বাড়ি সন্দেশখালি। মাথায় সন্ত্রাসের ছাদ। আতঙ্কের তাড়ায় বদলেছে ভিটে। অনিশ্চিত বেঁচে থাকার ভবিষ্যৎ। সন্তানদের সুরক্ষা দিতে সন্দেশখালি থেকে সন্তানদের পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমই আপাতত ঠাঁই সন্দেশখালি ছাড়া ছোট্ট ছোট্ট মুখগুলোর। আর পড়াশুনো স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে।
আন্দোলন, বিক্ষোভের মধ্যদিয়ে কাটছে সময়। অশান্তিকর পরিবেশ গড়ে উঠেছে গোটা সন্দেশখালি জুড়ে। অশান্তির আঁচ যাতে বাচ্চাদের মধ্যে না পড়ে তার জন্য এলাকার বহু মানুষ বাচ্চাদের রুপনারায়ন নদী পার করিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। সম্প্রতি সেই আশ্রমে সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন বাচ্চা আবাসিক হিসাবে এসেছে। তারা নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম থেকে স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। বাড়ি ছেড়ে এখানে পড়াশোনা করলেও এলাকার অশান্তি ও পরিবারের লোকজনদের কথা ভেবে খুব চিন্তায় ও ভয়ে রয়েছে তারা।
নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভাপতি শুভজিৎ মাইতি জানান, 'উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা রয়েছে। তাদের মারফত কয়েকজন আশ্রমে আবাসিক হিসাবে আবেদন করে পরিকাঠামো অনুসারে আমরা ৯ জনকে রাখতে পেরেছি। তাঁরা আবাসিক হিসাবে থাকবে এবং পাশে নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করবে। সন্দেশখালির অশান্তির কারনেই এখানে পরিবারের লোক পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছি আমরা। অনেকে আবেদন করেছিলেন কিন্তু সকলকে আমরা নিতে পারিনি।'
নাটশাল হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ণ পণ্ডা জানান, 'বর্তমান শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন টিসি নিয়ে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জন সন্দেশখালির। সরকারি নিয়ম রয়েছে টিসি নিয়ে যারা পড়াশোনার জন্য আসবে তাদের স্কুলে ভর্তি করা হবে। তাই আমরা আবেদন অনুসারে ভর্তি করিয়েছি।'
ছাত্ররা জানিয়েছে, ওখানে পড়াশোনা হচ্ছে না। তাই তারা তাদেরকে বাবা-মা এখানে পাঠিয়েছে। এখন দেখার কবে শান্ত হয় সন্দেশখালি। আতঙ্ক কাটিয়ে কবে সন্দেশখালি ফিরবে পড়ুয়ারা। যে রাজ্যে অবাধ বিচরণ করে ক্ষমতাধারীরা, সেখানে খুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। 'শৈশব ছুটছে বাঁচার আশায়।' জীবনের নিশ্চয়তাটুকু নেই সন্দেশখালিতে? কোন আইনশৃঙ্খলার বড়াই করে শাসক-প্রশাসক? যে নিরাপত্তার বেষ্টনী শৈশবকে নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠতে দেয় না!
এবারে এক তৃণমূল বিধায়ককে নোটিশ পাঠাল আয়কর দফতর। অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার গরমিল করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিককে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিজে অথবা আইনজীবী মারফৎ আয়কর দফতরের সব নথি নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক কোটি টাকা গরমিলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর ২টি সংস্থার ক্ষেত্রে ১ কোটি টাকার কিছু লেনদেনের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমা না পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে এবার তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককে আয়কর নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বিধায়ক বা জেলা পরিষদ সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন '২০১৬ থেকে ২০১৮-এর মধ্যে কোন তথ্যটা তাঁদের কাছে নেই, সেই তথ্য আমার অ্যাকাউন্ট সেকশন যিনি দেখেন তিনি বিষয়টি সাবমিট করবেন।'
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডের পর 'মূলচক্রী' ললিত ঝা-এর (Lalit Jha) সঙ্গে কলকাতা কানেকশন তো আগেই জানা গিয়েছে। এবারে পশ্চিম মেদিনীপুরের কানেকশনও খুঁজে পাওয়া গেল। পুলিস সূত্রে খবর, ললিত ঝা, নীলাক্ষ আইচ এর তৈরি করা 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা'র সঙ্গে এবার যোগ পাওয়া গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের। তারা তাদের সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো। এছাড়াও এই কাণ্ডে নাম উঠে এসেছে আরও এক ব্যক্তির।
সাম্যবাদী সুভাষ সভা- ললিত ঝা, নীলাক্ষ আইচদের এই সংগঠনই এখন দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার এই সংগঠন নিয়ে উঠে এলো আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন জেলায় সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ করে সংগঠন বাড়ানোর কাজে নেমেছিল ললিত ঝা-রা। কীভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর, মেদিনীপুর শহরেও থাবা বসিয়েছিল 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা'। জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে সমাজ মাধ্যমেই যোগাযোগ করা হয় দাসপুরের ল ক্লার্ক হিমাংশু শেখর মান্নার সঙ্গে। দাসপুর, ঘাটাল সহ আশেপাশের এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হিমাংশুকে। এলাকায় সংগঠন তৈরি করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। রবিবার সকালে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হিমাংশু জানায়, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ফান্ড জমা করতে বলা হয়েছিল তাকে। ললিত ঝা-রা যে সংসদে হামলার মতো এত বড় ঘটনা ঘটাতে পারে তা একেবারেই টের পাননি হিমাংশু। টিভিতে সংসদ হামলার খবর দেখানোর পরেই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যায় হিমাংশু।
একইভাবে মেদিনীপুর শহরেও টার্গেট করা হয় মনীষ মাইতি নামে এক যুবককে। শনিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে ডিরোজিও নগরে মনীষের বাড়িতে গেলেও দেখা মেলেনি। বাড়িতে তালা। ঠিক এই ভাবেই 'সাম্যবাদী সুভাষ সভা' নিজেদের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। যার মধ্যে বাদ যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও। এই সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য কী বা সমাজ সেবার আড়ালে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য এই সংগঠনের ছিল কিনা তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
কথায় আছে, চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা! আর ধরা পড়লে কি হবে? চাল চুরি পর্দাফাঁস, হাতেনাতে ধরে ফেলল স্থানীয়রা। মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরা ৭ নম্বর অঞ্চলে অবস্থিত চুয়াশোল শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। অভিযোগ,সেই কেন্দ্রের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বস্তা ভর্তি চাল, টোটোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল স্কুলের শিক্ষিকার বাড়িতে। নির্দেশ নাকি মিলেছিল এমনটাই। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় হাতেনাতে টোটোচালকে পাকড়াও করেন গ্রামবাসীরা। তারপর গ্রামবাসীর জেরা মুখে পড়ে সবটাই স্বীকার করে নেন টোটোচালক। তবে, এই প্রথম নয় এর আগেও দু-একবার শিক্ষিকার বাড়িতে চাল পৌছে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন টোটোচালক। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব স্থানীয়রা, চলে বিক্ষোভ।
কোনও কোনও স্কুলে ঢালাও চাল চুরি। কোথাও কোথাও খোলা বাজারে চাল বিক্রি। অনেক ক্ষেত্রে আবার ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য ডিম দেওয়া হয় না। পড়ুয়াদের মুখে গ্রাসটুকু কেড়ে নিচ্ছে খোদ শিক্ষিকাই? তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
স্কুলের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের সুষম খাদ্য দিতেই মিড ডে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এ রাজ্যে দুপুরের খাবার জোগান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বারে বারেই।
রেশন দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেশন বন্টনে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এবার প্রকাশ্যে এল মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ। পড়ুয়াদের খাবার নিয়েও এত গড়িমসি কেন?
হাতির হানায় (Elephant Attack) গুরুতর জখম এক মহিলা-সহ দুই। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapur) বন বিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জের কিসমত বনকাটি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, বনকাটি এলাকায় রবিবার রাত থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট একটি দাঁতাল হাতি। সোমবার ভোরে জঙ্গলে যায় মঞ্জু সিং নামের ওই মহিলা। তখনই হাতির সামনে পড়ে যান মঞ্জু। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের হাতির হামলার মুখে পড়েন মুক্তিপদ রায় নামে এলাকারই এক বাসিন্দা। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকেই স্থানীয়রা নিয়ে যান মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
উল্লেখ্য রবিবারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতির হানায় প্রাণ গিয়েছে দু'জনের। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হাতির হানায় রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় এখন বন দফতরের কোনও আধিকারিক নেই। যার জেরে হাতির হামলা রুখতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
হাতির হানায় (Elephant Attack) জোড়া মৃত্যু (Death)। মেদিনীপুর (Midnapore) সদর ব্লকের মুড়াকাঠার জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে। জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়ে হাতি হানার মুখোমুখি পড়েন এক মহিলা। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে যায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে বন দফতরের আধিকারিকরা। এমনকি জঙ্গলে কাঠ কাটতে কিংবা পাতা কুড়োতে যাওয়ায় কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ।
একই ঘটনার চিত্র ধরা পড়েছে খড়্গপুরের খেমাশুলিতে গ্রাম থেকে। রবিবার ভোরে ওই গ্রামে ঢুকে পড়ে চার-পাঁচটি হাতি। আর সেই সময়ই হাতির সামনে পড়ে যায় ললিতা মাহাতো নামে বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। তখনই ওই মহিলাকে হাতি শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ললিতা মাহাতোর।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জেলার দুই মহকুমায় হাতির হানায় দুটি মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
এবার বেপরোয়া গতির শিকার বিশেষভাবে সক্ষম এক শিল্পী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরেক শিল্পী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে দ্রুতগতিতে আসছিল বালিবোঝাই ট্রাক। আর সেই ট্রাকের ধাক্কায় (Accident) প্রাণ হারিয়েছেন বছর ২৭-এর দীনেশ মাহাতো। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) তমলুক থানা এলাকায় ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর নিমতৌড়িতে।
পুলিস সূত্রে খবর, গুরুতর আহত অবস্থায় অন্য এক বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পীকে ভর্তি করা হয়েছে তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এদিন ভোরবেলা ভগবানপুর এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে নিমতৌড়িতে ফিরছিলেন ওই দুই শিল্পী। বাস থেকে নেমে রাস্তার ধার ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আচমকা মেচেদা থেকে নন্দকুমারগামী একটি বালি বোঝাই ট্রাক তাঁদের ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যান। ট্রাকের চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীনেশের।
স্থানীয়রা দেখতে পান অন্য আরেকজন শিল্পী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কাতার বিশ্বকাপ কাঁথি পুরসভার উপ পৌরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরির চোখে। কী লিখছেন তিনি
আমরা রাজনীতির মানুষ, ২৪ ঘন্টা তাই দৌড়ে বেড়াতে হয়। একদিকে জেলার যুব সভাপতির দায়িত্ব, অন্যদিকে পৌরসভা। এত চাপের মধ্যে থেকেও খেলা দেখবো না তাই কী হয়। একসময় ফুটবল খেলতাম এবং জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম। কিন্তু রাজনীতিতে আসার পর খেলাটাই ছেড়ে দিতে হল। আমার বাবা মন্ত্রী অখিল গিরি আবার ক্রিকেটের ভক্ত, খেলেছেনও। কিন্তু উনি বলেন, যে টুর্নামেন্টে ভারত নেই সেখানে কাউকে সমর্থন করবো না। কিন্তু বিশ্বকাপ দেখছেন। আমরা পরিবারের সবাই এবং মাঝে মধ্যে এলাকার ক্লাবে বসে হৈহৈ করে খেলা দেখছি। আর্জেন্টিনার খেলা থাকলে একা বসে দেখার মজা নেই।
বাংলা-সহ সারা পূর্ব মেদিনীপুর এখন নীল-সাদা হয়ে রয়েছে। প্রায় সকলের মুখে ভ্যামোস ভ্যামোস। স্প্যানিশ কথার অর্থ যতটা উদ্ধার করলাম তাতে দাঁড়ায়, জয় শুধু জয়। আমাদের এলাকায় অবশ্য কিছু ফ্ল্যাগ টাঙানো হয়েছে তুঁতে-নীল, সাদা-লাল অর্থাৎ ফরাসি দল। মজাদার বিষয়, ফ্রান্সের ভক্ত আগে এতো দেখিনি। মনে হয় এরা সব ব্রাজিলের সমর্থক। ফ্রান্সকে কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছি না। ফাইনাল বলে কথা, টেনশন তো থাকবেই।কিন্তু ওই যে, "ম"-এর নাকি সময় এটা। আমার তাই মনে হয় মারাদোনার পর মেসি কিছু একটা করবে।
রাত জেগে প্রায় সব খেলাই দেখেছি। আমার কিন্তু ভালো লেগেছে মরক্কোকেও। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে এবার। ফ্রান্সের স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে গিয়েছে। এই দল দেখবেন আমেরিকা বিশ্বকাপে সব দলের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াবে। আজ রাতে ক্রোয়েশিয়া বনাম মরোক্কো। মন চাইছে মরক্কো জিতুক, কিন্তু বাস্তব বলছে ক্রোয়েশিয়া। কারণ দুটি দলের খেলার ধরণ অনেকটাই এক রকম। ডিফেন্স করা এবং কাউন্টার আক্রমণে উঠে যাওয়া।একটি জায়গাই ক্রোয়েটদের ইতিবাচক অবস্থান সেটা গোল করার লোক বেশি।
যাই হোক, রবিবারের খেলায় আজকের ফুটবল শাহেনশা মেসির হাতে কাপ উঠুক। পরপর দু'বার বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড ছিল উরুগুয়ের ১৯৩৪ এবং ৩৮-এ এবং ব্রাজিলের ৫৮ ও ৬২-তে। তৃতীয়বার আর তার পুনরাবৃত্তি চাই না। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
এবার দুষ্কৃতী তাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষা পেল না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। বিদ্যালয় (school) জুড়ে রাতভর দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবারের দুপুরে বিদ্যালয় চত্বর সরজমিনে তদন্তে যান স্বয়ং দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়। ঘটনাটি দাসপুর (Dashpur) থানার সুরতপুর শ্রী অরবিন্দ শতবার্ষিকী বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষক (teacher) শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে ঢুকতেই দেখা যায় বিদ্যালয়জুড়ে ভাঙচুরের ছবি। নোটিস বোর্ড, মেয়েদের শৌচালয়, বিদ্যালয়ের বাগান সব জায়গাতেই ভাঙচুর, তছনছ কাগজপত্র। বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক অমিত বাবু জানান, 'তাঁদের প্রাথমিক অনুমান বুধবার রাতের অন্ধকারে এই তাণ্ডব চালিয়েছে কেউ বা কারা।' স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে রাতে এই বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছিল কয়েকজন বহিরাগত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই কাজ তাদের হতে পারে।
এদিকে, ঘটনার পরই বিদ্যালয়ের তরফ থেকে দাসপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় বিদ্যালয়ে গিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। দ্রুত ওই দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিস। তবে রাতদুপুরে এমন দুষ্কৃতী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সর্বসাকুল্যে বিদ্যালয়ে (school) সরকারি শিক্ষক মাত্র একজন। ছাত্র-ছাত্রীর (student) কথা ভেবে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে একজন শিক্ষক (teacher) রেখেছেন বিদ্যালয়ে। একদিকে যখন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, তখনই জুনিয়ার হাইস্কুলের এমনই চিত্র উঠে আসায় হুলুস্থুলু কাণ্ড শিক্ষা মহলে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) সবয়ং-এর। বিদ্যালয়টি যেন একজন শিক্ষকেরই। শিক্ষার্থী প্রায় ৮০ জন বিদ্যালয়টি সরকারি তবুও নেই নজর। দিনে দিনে কমছে শিক্ষার্থী সংখ্যা। সবং ব্লকের মানিকড়া জুনিয়র হাইস্কুলে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পাঠদান। এবার সেখানেও ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। অভিভাবকরা হতাশায় রয়েছেন। ধীরে ধীরে ভেস্তে যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। গত ৮ মাসেও সাড়া পড়েনি কোনও কর্মকর্তার। এমনকী ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও পরিদর্শনে যাননি কোনও শিক্ষা কর্মকর্তা এমনই অভিযোগ। বর্তমানে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, এই স্কুলে আগে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্য অনেক বেশি থাকলেও শিক্ষকের অভাবে আর কেউ ভর্তি হচ্ছে না। তাহলে কি আস্তে আস্তে বন্ধের পথে এই স্কুল? চিন্তায় এলাকাবাসী থেকে বর্তমান ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকরা। ২০২২ সালে ওই স্কুলের দায়িত্ব পান সন্দীপ পতি। প্রথম থেকে স্কুলে ছিলেন মোট ৪ জন শিক্ষক। কিন্তু উৎসশ্রী প্রকল্পের মধ্যে ৩ জন শিক্ষক অন্য স্কুলে চলে যাওয়ায় দায়িত্বভার পড়ে সন্দীপবাবুর উপর। এরপর থেকে একাকেই সামলাতে হয় স্কুলের সব দায়িত্ব। পড়ুয়ারা জানায়, স্কুলে শিক্ষকের অভাবে পড়াশুনোয় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারা চায় দ্রুত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। কিছু অবিভাবকরা বর্তমান সরকারের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তাঁদের ছেলেমেয়ে পড়াশুনার ক্ষেত্রে ভীষণরকম সমস্যা হচ্ছে। তাঁরাও চান, দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হোক এবং প্রতিষ্ঠান আরও এগিয়ে যাক।
গ্রামবাসীদের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীর কথা ভেবে মাত্র আড়াই হাজার টাকায় একজন গেস্ট টিচার রাখা হয়েছে। কবে পাবে নতুন শিক্ষক নাকি প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিকে যাবে, সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার বাসিন্দা, অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা।
বাল্য বিবাহের (Child marriage) গোপন খবর পেয়ে একেবারে ছাদনাতলায় হাজির পুলিস (police)। পাত্র-সহ পাত্রের বাবা, কাকা ও পুরোহিতকে গ্রেফতার (arrest) করল ঘাটাল থানার পুলিস। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal)। জানা গিয়েছে, পার্থ গুছাইত নামে বনহরিসিংহপুর এলাকার এক পাত্রের সঙ্গে গোপমহল মনোহরপুর এলাকার এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। বিয়ে হচ্ছিল বাঘানালার সনৎ চক্রবর্তী নামে এক আত্মীয় বাড়িতে। এই সনৎবাবুই আবার ছিলেন এই বিয়ের পুরোহিত।
বিয়ের খবর পায় ঘাটাল থানার পুলিস। এরপর শনিবার রাতেই বাঘানালা এলাকায় বিয়ের আসরে গিয়ে হাজির হয় ঘাটাল থানার পুলিস। ছাদনাতলা থেকে পাত্র পার্থ গুছাইত-সহ পিতা অশোক গুছাইত, কাকা হারাধন গুছাইত এবং এই বিয়ের পুরোহিত অর্থাৎ সনৎ চক্রবর্তীকে পাকড়াও করে পুলিস। পাত্রীর প্রকৃত বয়স যাচাই করে ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে রবিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, নাবালিকা বিয়ে বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে অপরাধ জেনেও মাঝে মধ্যেই ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই বিয়ের খবর শোনা যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে পুলিস। এই নিয়ে দফায় দফায় ঘাটাল শহরজুড়ে সচেতনতা শিবির থেকে শুরু করে মাইক প্রচার চলছে।
তারপরেও এই নাবালিকা বিয়ের অভিযোগ শুনে চুপ করে বসে থাকেনি প্রশাসন। প্রশাসনের সাফ কথা, সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে নাবালিকা বিয়ে। আর বালিকা বিয়ের খবর পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।
বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) কোলাঘাটের এক শিক্ষক। চোর অপবাদ, না চাকরি (job) চলে যাওয়ার আতঙ্কে এই এই পথ বেছে নেওয়া? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবারে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে পুলিস (police)। কোলাঘাট (Kolaghat) থানার দেঁড়িয়াচ গ্রামে এই ঘটনায় শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষকের নাম বাপ্পা বর্মণ। তিনি কাঁথির ভবানীচক অঘরচাঁদ হাইস্কুলের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ছিলেন। মঙ্গলবার সাতসকালই বাড়িতে কেউ না থাকায় পাশের টালির চালের ঘরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।প্রাথমিক তদন্তে এমনটা জানতে পেরেছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোর অপবাদ থেকে বাঁচতে কিংবা চাকরি যাওয়ার ভয়, যেকোনও একটি বিষয়ে এই আত্মহত্যা হতে পারে।
কিন্তু কেন এই প্রসঙ্গ। জানা গিয়েছে, তাঁর ফোনে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা তিনি ভুয়ো-শিক্ষক। তাঁর তিন বছরের শিক্ষকতার চাকরি চলে যাওয়ার ভয়েই হয়তো এই আত্মহত্যা। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন রকম মানুষ তাঁকে চোর অপবাদ দিয়েছে। এর জেরেও এই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হতে পারেন তিনি। তবে আদতে কী বিষয়ের উপর তাঁর এই সিদ্ধান্ত, তার উত্তর মিলবে না। মৃতের স্ত্রীয়ের দাবি, তাঁর স্বামীর ফোন কেউ বা কারা হ্যাক করে এই ম্যাসেজ ছড়িয়েছে। ওই একই ম্যাসেজ শিক্ষক বাপ্পা বর্মণ-সহ তাঁর গ্রামে একাধিক লোকের কাছে পৌঁছয়। এমনকি তাঁদের অত্মীয় পরিজনদের হোয়াটসঅ্যাপেও এই ম্যাসেজ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসূন গুপ্ত: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখনই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন তখনই তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই তরজা বেশিরভাগ সময়ে স্বাস্থ্যকর থাকেনি। এমনটিও দেখা গিয়েছে, শুভেন্দু মমতা বা অভিষেককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন, তার ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই কুণাল আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। এ কি এক অলিখিত নিয়ম? বোধহয় না, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি আস্থাভাজন কুণাল ঘোষ। এমনটিও দেখা গিয়েছে, শুভেন্দু কোথাও সভা করেছেন তো তার কিছুদিনের মধ্যে সেই স্থানে সভা করতে গিয়েছেন কুণাল।
কুণালের অনেক দায়িত্ব। একদিকে সারা বাংলার বিভিন্ন জেলায় তিনি যান। মূলত প্রচারের কাজটি সারেন। এছাড়া দলীয় মুখপাত্রর দায়িত্বে যেই থাকুন না কেন আসলে সম্পাদকীয়র কাজটি কুণালই করে থাকেন। এছাড়া পৌর বা পুরসভার ভোটেও তাঁকেই বিভিন্ন জেলায় যেতে দেখা গিয়েছে। এবারে দায়িত্ব পূর্ব মেদিনীপুরের। কোনও লিখিত পদ নয় কিন্তু দল (পড়ুন অভিষেক) তাঁকেই পঞ্চায়েতের সংগঠন ও প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছে।
কুণালের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছিল কালীপুজোর রাতে। তিনি জানিয়েছিলেন পয়লা ও দোসরা নভেম্ববর তিনি বিশেষ জেলার কাজে যাচ্ছেন। ফিরবেন হয়তো ৩ নভেম্বর। কিন্তু ফিরেই আবার জেলা সফর। শেষ পর্যন্ত জানা গেল সাম্প্রতিক ভোটের আগে ও পরে তিনি নিয়মিত গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সম্প্রতি নন্দীগ্রামে অভিমান করে থাকা দলের নেতা শেখ সুফিয়ানকে ডেকে এনে সভা করেছেন তিনি। ওই সভায় চোখে লাগার মতো ভিড় দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে কোনও সময়েই শুভেন্দু অধিকারী আমল দেন না কুণালকে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিরোধী নেতা সটান বলে দেন, 'ওই লোকের কথার উত্তর দিতে তাঁর রুচিতে বাঁধে।' কিন্তু বাস্তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কিন্তু আরও একবার বিজেপির কাছে লোকসভার আগে সেমিফাইনাল। দিল্লি থেকে কড়া নির্দেশ, পঞ্চায়েতে ভালো ফল করতে হবে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের লড়াই এখন শুভেন্দু বনাম কুণাল। কুণাল দায়িত্ব নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন হলদিয়ার অফিসে, যা একসময়ে শুভেন্দুর চারণ ভূমি ছিল।
পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) কোলাঘাট ব্লকের সমবায় নির্বাচনে ফের ধরে রাখল বাম-কংগ্রেস প্রগতিশীল মোর্চা (Left-Congress)। তৃণমূল (TMC) একেবারে ধরাশায়ী হয়েছে এই নির্বাচনে। মোট ৪৩টি আসনের মধ্যে বাম-কংগ্রেস প্রগতিশীল মোর্চা পেয়েছে ৩৮টি আসন। এই ভোটে তৃণমূল পেয়েছে ৪টি আসন এবং প্রথমবার বিজেপি খাতা খুলেছে ১টি আসন ঝুলিতে পুড়ে। জানা গিয়েছে, মোট ভোটার ছিল ১০৬৭টি, মোটের উপর প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মূলত এলাকার দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা সুরজিৎ মাইতির নেতৃত্বে এলাকায় কংগ্রেসের প্রাধান্য দীর্ঘদিনের।তিনি এই ভোট প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। ফল ঘোষণার পর গত নির্বাচনের মতোই ফের জয়লাভ করেছে বাম-কংগ্রেস জোট।
এই প্রসঙ্গে বাম-কংগ্রেস প্রগতিশীল জোটের এক সদস্য বলেন, 'বাম-কংগ্রেস মিলে এই ভোটে জিতেছে। আমাদের প্রার্থী সমবায় সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৮টি আসন আমাদের পক্ষে গিয়েছে। ৪টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আমাদের প্রার্থীরা হেরেছেন। তাঁদের প্রতি আমরা সহমর্মী।'
উৎসব শেষে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় (Tragic accident) বিষাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুড়ে। মাঠে পড়ে থাকা বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (death) বাবা-ছেলের। শুক্রবার মোহনপুরের (Mohanpur) শিয়ালসাই পঞ্চায়েতের ধৌড়জামুয়া এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া।
পুলিস সূত্রে খবর, মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর ৬২ এর দুলালচন্দ্র কর ও ছেলে বছর ৩২-এর বিষ্ণুপদ করের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকালে বাড়ির গবাদি পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন দুলালচন্দ্র। তখনই মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া হাইটেনশন বিদ্যুত্ লাইন হঠাৎই ছিঁড়ে পড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায়, তাঁর খোঁজ শুরু করে পরিবার। আচমকাই ছেলে বিষ্ণুপদ খুঁজতে বেড়িয়ে মাঠে বাবাকে পড়ে থাকতে দেখেন। কিছু না বুঝে বাবাকে তুলতে গিয়ে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনার খবর পেতেই দু'জনকে উদ্ধার করে মোহনপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগে সরব তাঁরা। পুলিস দেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, নৈহাটি ফেরিঘাটে বিসর্জন দেখতে গিয়ে শুক্রবার কেওড়াপাড়ার বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যু। ফেরিঘাটে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও প্রশাসনের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, ফেরিঘাটে থাকা একটি ল্যাম্পপোস্ট তরিদাহত হয়ে থাকায় সেখানে হাত পড়াতেই এই মৃত্যু। পরিবারের অভিযোগ, তরিদাহত হওয়ার পর অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন জয়দেব মণ্ডল। সেই সময় প্রশাসন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলে প্রাণ বেঁচে যেত। এই ঘটনায় আরও তিন জন আহত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।