
ডাক্তারের দেখা নেই। রোগীদের ভরসা সেই ফার্মাসিস্ট। অর্থাত্ অসুখ জানাতেই কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিচ্ছেন ফর্মাসিস্টরা (Pharmacist)। ছবিটা মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad) কান্দি ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। কোথায় গেলেন ডাক্তাররা? কেনই বা ফার্মাসিস্ট ওষুধ দিচ্ছেন? প্রশ্ন করতেই বেজায় চটে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংবাদমধ্যমের ক্যামেরায় হাত দিয়ে বাধা দেওয়া হয় খবর সংগ্রহে।
ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে আসা রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশিতেই হাসপাতালে আসেন ডাক্তাররা। অগত্যা ভরসা ফার্মাসিস্ট। এমনকি কিছু কিছু রোগীরা অন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান।
তবে এই বিষয়ে একজন ফার্মাসিস্ট জানান, হাসপাতালের দুটি ডাক্তারের মধ্যে একজন ট্রেনিং-এ গিয়েছেন এবং অপরজনের শরীর অসুস্থ। স্থানীয়দের অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি তুলতেই তিনি জানান, ডাক্তার তো নেই তাই দিতে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে, জানান কান্দি ব্লকের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ সাহা।
শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও সরকারের গা ঢিলেমি মনোভাব। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার। কোথাও ভগ্নদশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তো কোথাও দেখা নেই চিকিত্সকের। এমন অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার সীমানা সংলগ্ন সোনাপুর চৌপতির কাছে জেলা পুলিসের এসডিপিও দেবাশীষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নাকা চেকিং চালানো হয়। আর এরপরই বড়সড় সাফল্য পায় তাঁরা। তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নেশার ওষুধ উদ্ধার করে পুলিস। সেই সঙ্গে ওই ওষুধ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জয়গাও-এর এক বাসিন্দা বছর ৩২ এর অর্জুন থাপা নামে এক ব্যাক্তিকে। আনুমানিক প্রায় ২ লক্ষ টাকার নেশার ট্যাবলেট ও কাফ সিরাপ সহ হাতেনাতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, যে গাড়িতে ওই নেশার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটিকেও আটক করা হয়েছে। গাড়িটিও গ্রেফতার অর্জুন থাপারই। সেদিন কোচবিহার থেকে জয়গা হয়ে ভুটানে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই সমস্ত অবৈধ নেশার ওষুধগুলি। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য্য ও সোনাপুর পুলিস ফাঁড়ির ওসি পিটি ভুটিয়া সহ একাধিক পুলিস প্রশাসন। জানা যায়, মোট তিন কার্টূন নেশার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ২ কার্টূন কাফ সিরাপ, অন্য এক কার্টূনের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭ হাজার নেশার ট্যাবলেট।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে কিছুদিন আগে মিলেছিল কেঁচো। এরপর শনিবারই খাবারে মিলেছে সাপ। তা নিয়ে হইচই কম হচ্ছে না। এবার ওষুধের মধ্যে মিলল মৃত মাকড়শার বাচ্চা। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের দরবেশপাড়া এলাকার বাসিন্দা তোজাম্মেল শেখ। জানা গিয়েছে, ১৬ জুন হঠাৎ করেই বমি করতে থাকে তোজাম্মেল শেখের ছেলে মোহম্মদ ফারহান শেখ, যার বয়স মাত্র আড়াই বছর। ছেলের বমির সমস্যা নিয়ে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন তিনি। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে একটি বমির সিরাপ লিখে দেন। সেই সিরাপটি হাসপাতালের আউটডোর থেকেই দেওয়া হয়। কিন্তু সিরাপটি নিয়ে গিয়ে ছেলেকে খাওয়ানোর সময় যখন ছিপি খোলেন, দেখেন ওই সিরাপের মধ্যে একটি মৃত মাকড়শার বাচ্চা রয়েছে।
এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান তোজাম্মেল শেখ। সঙ্গে সঙ্গে সিরাপটি নিয়ে হাসপাতালের আউটডোর এসে দেখালে সেখান থেকে নাকি বলা হয়, তাঁদের কিছু করার নেই। পরবর্তীতে তিনি হাসপাতালের সুপার অভিনাশ কুমারকে লিখিত অভিযোগ জানান।
এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। যদিও কর্তব্যরত সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার বাড়ছে। আর আগের তুলনায় এখন আরও বেশি মানুষ এই রোগে মারা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বছরে ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের জন্য বছরের পর বছর পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা। কষ্টকর কেমোথেরাপি ছাড়া এযাবত সেই অর্থে আর কোনও সুরাহা মেলেনি। কিন্তু এবার সুখবর শোনালেন একদল গবেষক।
সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে আমজনতার মধ্যে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ডসটারলিম্যাব’ নামের একটি ওষুধের সফল ফলাফল মিলেছে ক্যানসারের চিকিৎসায়। ১৮ জন রোগীর শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। প্রায় ৬ মাস ধরে চলে এই ওষুধের প্রয়োগ। তারপর ম্যাজিকের মতো শরীর থেকে বিলীন হয়ে যায় ক্যান্সারের কোষ। এই যুগান্তরকারী আবিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে।
উল্লেখ্য, রোগীদের উপর ওই ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে কোনও জটিলতা কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। ফলে সকলেই যেন দিশা দেখছেন। আগামী দিনে আরও বড় ট্রায়ালের কথা ভাবা হচ্ছে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। যা খুব কষ্টদায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্ট্রেস, অনিয়মিত ঘুম এবং আরও নানা কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
এই সমস্যা দেখা দিলে কেবলমাত্র মলত্যাগের সময়েই যন্ত্রণা বা সমস্যা হয় তাই নয়, এর পাশাপাশি দেখা দেয় আরও নানা সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে মানসিক সমস্যাও। অবসাদের মতো মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন রোগী।
তবে, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজকার খাবার তালিকা থেকে মাত্র তিনটি খাবার বাদ দিলে এড়ানো যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আয়ুর্বেদিক উপায়-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির জন্য কিংবা স্বাস্থ্যের নানা উপকারে আমরা খাবারে জিরা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই উপকারী জিরাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বাড়িতে যদি কারও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাহলে খাবারে জিরার ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রদাহ দূর, হজমশক্তি উন্নত করতে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই দই-ই ক্ষতিকর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাহলে এড়িয়ে চলা দরকার দই। এতে উপকারের পরিবর্তে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
চা কিংবা কফি খেতে কে না পছন্দ করেন। এনার্জি বৃদ্ধিতে, মস্তিষ্ক সচল রাখতে দারুণ কার্যকরী কফি। কাজের মাঝে কাপের পর কাপ হয়তো খেয়ে চলেছেন। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, কফির অনেক উপকারিতা থাকলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য তা ক্ষতিকর। অত্যধিক মাত্রায় কফি পানে শরীরে জলীয়ভাগে ঘাটতি দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা দিন শুরু করুন হালকা গরম জলে এক চামচ ঘি মিশিয়ে তা খেয়ে। এতে উপকার পাওয়া যায়।
একদিকে চড়া তাপমাত্রার পারদ। অন্যদিকে মহার্ঘ জ্বালানি। একইসঙ্গে অগ্নিমূল্য বাজার দর। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড়। এবার তার সঙ্গে দোসর ওষুধের দাম বৃদ্ধি।
চড়া মূল্যবৃদ্ধির আবহেই দাম বাড়ছে ওষুধের। ৮০০ টি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়েছে । কেন্দ্রীয় বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তরফে ২৭ মার্চ জানানো হয়েছে তা। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পাইকারি ওষুধের দাম ১০.৭ শতাংশ বেড়েছে। আশঙ্কা, এর প্রভাব পড়তে চলেছে খুচরো বাজারেও। খুচরো বাজারে দাম বেড়েছে ১০.২ শতাংশ। দাম বেড়েছে প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে প্রেসারের ওষুধের। কিন্তু এইভাবে ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন আমজনতা। রোগীর আত্মীয় স্বজনরা বলছেন, বাধ্য হয়েই চড়া দামেই ওষুধ কিনতে হচ্ছে তাঁদের। কিছুটা কম দামে ওষুধ পাওয়ার আশায় সরকারি হাসপাতালে ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপের বাইরে ওষুধ কেনার জন্য লম্বা লাইন। ওষুধ ছাড়া বর্তমানে মানুষের এক পাও চলা দায়। তাই এ বিষয়ে সরকার যাতে দৃষ্টিপাত করে তাই চাইছেন সকলে।
অন্যদিকে, বিক্রেতাদের মতে চিন থেকে আসে ওষুধের কাঁচামাল। বর্তমানে তার রপ্তানি কমে গেছে। তার ওপর পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কোপে বেড়েছে লজিস্টিক খরচ। যদিও বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, কলকাতার বেশ কিছু দোকানে কিছু পুরনো স্টক থাকায় আপাতত স্বস্তিতে আমজনতা। তবে তা বেশি দিনের জন্য স্থায়ী হবে না।
করোনার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। দেশের অর্থনীতিও ঠেকেছে তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় রোজই দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। বাদ যায় নি জীবনদায়ী ওষুধও। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কী করবেন, কোথায় যাবেন, এটাই বড় প্রশ্ন।
করোনামুক্ত (covid free) হয়ে উঠেছিল চিন (China)। এছাড়া বিশ্বের অনেক দেশও করোনাশূন্য হয়ে পড়েছিল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ (coronavirus)। চিন থেকে শুরু করে পশ্চিমী দেশগুলিতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ কার্যত চতুর্থ ঢেউয়ের(Covid 4Th wave) ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভারতেও জুনেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে স্বস্তির খবর শোনাল জাপানের (Japan) এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা শিনোগি অ্যান্ড কো-লিমিটেড (Shinogi & Co Limited)।
ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে একটি ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। যা শরীরের ভেতর থাকা ভাইরাসকে(Virus) বার করে দিতে সক্ষম। রবিবার ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গবেষণায় আশাজনক ফল পাওয়া গিয়েছে। যা আগামী দিনে করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এস-২১৭৬২২(S-2176622) নামক ওষুধটি শরীর থেকে সার্স কোভ-২ ভাইরাস দ্রুত নির্মূল করতে সক্ষম। করোনার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ে এই ওষুধ সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হলেই করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে বলে আশাবাদী জাপানের চিকিৎসক মহলের একাংশ।
৫০০০ নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করল রাজ্য এসটিএফ। গ্রেফতার ৪। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য এসটিএফের আধিকারিকরা সোদপুর সুখচর এলাকা থেকে একটি ট্রাকসহ ৫০০০ নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করল।
বেশ কয়েকদিন ধরে গোপন সূত্রে রাজ্য এসটিএফ অফিসারদের কাছে খবর আসছিল বিভিন্ন গাড়িতে করে নিষিদ্ধ ওষুধ উত্তরপ্রদেশ ও কানপুর থেকে এ রাজ্যে প্রবেশ করছে। এই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধেয় রাজ্য এসটিএফের অফিসারেরা খড়দহ থানার অন্তর্গত সোদপুর সুখচর বিটি রোড এলাকায় ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করেন। আর সেই সময় উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট লাগানো একটি ট্রাক সেখান থেকে যাচ্ছিল। এসটিএফের আধিকারিকরা তৎক্ষণাৎ ট্রাকটিকে ধরে ফেলে। চালকসহ ৫ জন ছিল ওই ট্রাকটিতে। ট্রাকটি ধরে ফেলার সময় একজন পালিয়ে গেলেও ৪ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এসটিএফ অফিসারেরা।
পরিষেবার অভাব, রেফার রোগীর মৃত্যু থেকে শুরু করে রোগী হয়রানি। বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সরকারি হাসপাতালের নাম। তবে এবার সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে মিলল বাংলাদেশি ওষুধ। সিএন-এর স্টিং অপারেশনের জেরে উঠে এল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের এই চাঞ্চল্যকর ছবি। হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ। রীতিমতো লাইন দিয়ে রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা প্রেসক্রিপশন দেখিয়েই নিচ্ছেন বাংলাদেশি ওষুধ।
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়ম ভেঙেই এদেশে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে ওপার বাংলার ওষুধ। এমনকি ওষুধের স্ট্রিপেই রয়েছে ক্রয়, বিক্রয়, নিষেধাজ্ঞার সতর্কীরণ বার্তা। কেন সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে বাংলাদেশের ওষুধ দেওয়া হল? সেই প্রশ্নের উত্তরে রোগীর আত্মীয় সাফ জানান, গোটা বিষয়টি অজানা ছিল তাঁর।
গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল সুপার ডাঃ রজতকুমার পাল। তাঁর দাবি, এই হাসপাতালে শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওষুধই দেওয়া হয়। এখানে কোনওভাবেই বাংলাদেশি ওষুধের সাপ্লাই নেই।
এবিষয়ে এগরা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তরুণকুমার মাইতির দাবি, বিষয়টি সম্বন্ধে তাঁর কিছুই জানা নেই।
এদিকে সিএন-এর খবর নজরে আসতেই গোটা ঘটনায় শাসকদলের নিন্দায় মুখর হন শালোতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। সোশ্যাল সাইটে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন না দিলে রাজ্য সরকারি হাসপাতালে কীভাবে ওষুধ পৌঁছল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অর্চনা মজুমদার।
গোটা ঘটনার নিন্দা করেন কাঁথির বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী।
এরাজ্যের সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশি ওষুধ মেলা পুরোপুরি বেআইনি বলে দাবি করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস।
প্রশ্ন উঠছে, আমদানি সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মাবলী মেনেই কি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ? কত দিন ধরে চলছে এই ওষুধ, কারোর জানা নেই। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে বিধি অনুসারে বাংলাদেশি ওষুধ ডক্সিসাইক্লিন-এর স্ট্রিপে সতর্কীকরণ দেওয়া ছিল যে এই ওষুধ বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়, সেখানে কী করে বেআইনিভাবে সরকারি হাসপাতালে মিলছে এই বাংলাদেশি একাধিক ওষুধ? উত্তর অধরা।
পেট্রোপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির পর এবার দাম বাড়তে পারে ওষুধের। জাতীয় অপরিহার্য ওষুধের তালিকায় থাকা ৮০০ টি নির্ধারিত ওষুধের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা। যেগুলির বেশিরভাগই সাধারণ অসুস্থতা এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। নতুন অর্থবর্ষ অর্থাৎ ১ লা এপ্রিল, ২০২২ থেকে দাম বাড়তে পারে ওষুধের।
ন্যাশনাল ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স অর্থাৎ ডাবলু পি আই-এর ডেটা অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় তা ১০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২১ সালে।
যার ফলে দাম বাড়তে পারে জ্বর, সংক্রমণ, হার্টের রোগ, ব্লাড প্রেসার, চর্মরোগ, অ্যানিমিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধের।
এতদিন সরকারি হাসপাতালগুলি (government hospital) থেকে বিনামূল্যে অথবা অল্প খরচে ওষুধ (medicine) পাচ্ছিলেন রোগীরা। কিন্তু বর্তমানে সেই সমস্ত ওষুধের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে কমবেশি। অন্যদিকে নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ (agitation) জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, ওষুধের ভাণ্ডার কমে যাচ্ছে। এর ফলেই সরকারি হাসপাতালগুলিতে অভাব দেখা দিয়েছে ওষুধের। নেই জীবনদায়ী ওষুধটুকুও। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে রোগী সহ পরিবারে। আবার ন্যায্যমূল্যের দোকানেও যখন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, তখন ভিড় জমছে বাজারের দোকানগুলিতে। বাজারের চড়া দামে কিনতে হচ্ছে যে কোনও ওষুধই। যার ফলে বিপাকে পড়ছেন তাঁরা।
শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে আসা অধিকাংশের মুখেই শোনা যায় অভিযোগ। তাঁরা জানান, হাসপাতাল থেকে যে ওষুধের নাম লিখে দেওয়া হচ্ছে, তার প্রায় বেশিরভাগ ওষুধই তিন মাস ধরে পাচ্ছেন না তাঁরা। বাজার থেকে সেই ওষুধ কিনতে গেলে লেগে যাচ্ছে হাজার খানেকের বেশি টাকা। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকে। তবে এই সমস্যা আগে ছিল না। মাস ছয়েক ধরেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেই জানান তাঁরা।
তবে অন্য চিত্র দেখা গেল আরজিকর হাসপাতালে। সেখানে আসা রোগীর পরিবারেরা জানায়, হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে ৫০০ পাওয়ারের ওষুধ। কিন্তু ন্যায্যমূল্যের দোকানে গেলে সেই পাওয়ার বাড়িয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা এর কারণ জানতে চাইলে বলা হচ্ছে ওই ওষুধ অর্ধেক করে খাইয়ে দিতে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন সরকারি পরিষেবা বাড়তি টাকার বিনিময়ে পেতে হচ্ছে? অবিলম্বে সরকারের এই বিষয়ে নজর দেওয়ার আর্জি জানান সকলেই।
২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে করোনা মহামারীর দাপট। দেশজুড়ে করা হয়েছিল লকডাউন। মাসের পর মাস মানুষ ঘরবন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন। অনেকেই হারিয়েছেন কাজ। বেশ কয়েকমাস দোকানপাট বন্ধ থাকায় জমানো টাকাও ফুরিয়ে এসেছে মধ্যবিত্তের। সেখানে দাঁড়িয়ে করোনার জেরে সকলের ঘরেই বেড়েছে ওষুধের পরিমাণ।
বলা বাহুল্য, করোনাকালে এমনিতে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তারওপর ওষুধের ওপর যেভাবে জিএসটি বেড়েছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠছে। এবার সাধারণের কথা ভেবেই পথে নামলেন এম আর অর্থাৎ মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা।
বুধবার সারা দেশব্যাপী এম আর-রা ধর্মঘটে নামলেন ছয় দফা বিষয় নিয়ে। এদিন তাঁরা কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন। বেলঘরিয়ার বাদামতলা মোড়ে এদিন এফএমআরএআই এবং ডব্লুউআরএমএসআরইউ-এর বেশ কয়েকজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ জড়ো হয়ে প্রতিবাদে নামেন। তাঁদের দাবি, ওষুধের ওপর জিএসটি কমাতে হবে। ন্যূনতম বেতন ২৬ হাজার টাকা করতে হবে। আর ৮ ঘন্টা কাজের দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও তাঁদের দাবি, অনলাইনে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এদিন সংগঠনের তরফে জানানো হয়, বুধবার প্রতীকী ধর্মঘট পালন করা হল। দাবি পূরণ না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
বিক্ষোভ কতটা সাফল্য পান তাঁরা এবং সাধারণ মানুষ, সেটাই এখন দেখার।
করোনা উদ্বেগের মধ্য়েই সামনে আসছে ওযুধ নষ্টের খবর। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে রেমডিসিভির নষ্টের পর উঠে এল বেলেঘাটা আইডিতে ওষুধ নষ্টের খবর। নষ্ট হতে চলেছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ৪০০ এমজি এবং ফ্যাভিপিরাভির ২০০ এমজি ট্যাবলেট। জানা গিয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে এই ওষুধগুলি। ৪৬, ৫০০টি হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ৪০০ এমজি ট্যাবলেট, প্রতিটির মূল্য ১৩ টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণর তারিখ এই বছরের ৩১শে মার্চ। নষ্টের পথে ৪৭২০ টি ফ্যাভিপিরাভির ২০০ এমজি ট্যাবলেট। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ১৩০ টাকা। এক্সপায়েরি ডেট সামনের ২৮শে ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পড়ে থেকে নষ্ট হল লক্ষ লক্ষ টাকার রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশনের খবর সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। দ্রুত এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রাথমিক ভাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন ব্যবহার করার কথা বলা হলেও, পরে কোভিড চিকিৎসার প্রোটোকল থেকে তা বাদ দেওয়া হয়। সেই কারণেই ইঞ্জেকশনগুলি ব্যবহার করা হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া অভিযোগ পত্রে দেখা গেছে, ২০২১-এর জুন মাসে ৮৫০ টি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়া হয়েছিল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালকে। সেই সব ইঞ্জেকশনগুলি ওই বছরের এপ্রিল মাসে তৈরি। হিসেব মতো ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে ওই ইঞ্জেকশনগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরও সেগুলি পড়ে রয়েছে হাসপাতালেই। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশনের দাম ৯০০ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি ইঞ্জেকশন নষ্টের অভিযোগ।
তবে শুক্রবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাহিদা না থাকায় হাসপাতালের স্টোরেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ওষুধগুলি। ওষুধগুলি এক্সপায়ার হয়ে গেলে আর কোন ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। শম্ভুনাথ হাসপাতালে ওষুধ নষ্টের কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কারনেই হয়তো ওষুধ নষ্ট হওয়ার আগেই তা অন্য হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।