ডিভিশন বেঞ্চে ফের ধাক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই তাঁর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়। এবার সিবিআইয়ের দায়ের এফআইআরও খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করার কথা জানার পরেও কি করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস সেই রায়ের কপি সিবিআইকে পাঠালো? বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
নতুন বছরের শুরুতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উঠে এসেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। অর্থপেডিক স্নাতকোত্তর বিভাগের ২ ডাক্তারি পড়ুয়া, একই বিভাগের ২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন। যার মধ্যে ছিল অশালীন আচরণ, শারীরিক নিগ্রহ, দুর্ব্যবহার এমনকি অস্ত্রোপচার কেন্দ্রের ভিতরে মারধর, ইলেকট্রিক কেটলি, জলের বোতল দিয়ে মারধর করা ছাড়াও অস্ত্রোপচার কেন্দ্রের সরঞ্জাম দিয়ে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ। এরপরেই ঘটনাটি লিখিত আকারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে জানান র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্ররা। পাশাপাশি এই ঘটনায় ছাত্র সংসদ-এর তরফ থেকেও অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির কাছে।
এরপরেই শুক্রবার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের র্যাগিং সংক্রান্ত এনকোয়ারি কমিটির পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের অফিসে জমা দেওয়া হলো রিপোর্ট। শনিবার এই রিপোর্ট নিয়েই বৈঠক রয়েছে কলেজ কাউন্সিলের। এছাড়াও, র্যাগিংয়ের ঘটনায় যে অভিযোগ উঠেছিল সে সম্পর্কে সত্যতা জানতে পেরেছে এনকোয়ারি কমিটি, এমনটাই সূত্রের খবর।
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
দালাল চক্রের অভিযোগ এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মা বিভাগে। অর্থের বিনিময়ে চলছে সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কাজ। টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না কোনও পরিষেবা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অন্য একটি বিভাগ মাতৃ মা। সেটাও এখন দালাল রাজের এক অন্যতম আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতৃ মায়ের ভিতরে মেয়েদের ছাড়া সকলের প্রবেশ নিষেধ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাতৃ মায়ে কর্মরত ওয়ার্ড বয় ও সহকারীরা রীতিমত টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। আবার কখোনও চিকিৎসার অভাবে গর্ভবতী মায়েদের বাধ্য হয়ে মাতৃ মা ছেড়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। কিন্তু যাদের আর্থিক সংকট তাঁদের এক প্রকার বাধ্য হয়েই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। যার ফলে চিকিৎসার গাফিলতি তে প্রসূতি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগ, প্রসূতির আলট্রাসোনোগ্রাফির ছবি তোলা কিংবা বেডে দেওয়ার জন্য ধার্য করা হয় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি কখনো কখনো চিকিৎসা না করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা নিরুপায় হয়ে তাঁদের কথা মতো টাকা দিয়ে নিজেদের চিকিৎসাটুকু করিয়ে নেয়। আর এভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে দালাল চক্রের রাজত্ব।
যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের দেওয়ালের লেখা রয়েছে চিকিৎসাক্ষেত্রে কাউকে পয়সা দেবেন না অথবা কোনো প্রকার অভিযোগ থাকলে একটি নাম্বারও দেওয়া আছে।
পুলিসের মারে মৃত্যু হল এক পান ব্যবসায়ীর। এই অভিযোগে মেডিকেল কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জয়েন্ট সিপি রূপেশ কুমার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই দোকানদার ব্যক্তির নাম অশোক সিং। অভিযোগ আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে একটি ঘটনার তদনের জন্য ওই ব্যক্তিকে থানায় ডাকা হয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। অভিযোগ এর পর আহত অবস্থায় ওই দোকানদারকে মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল।
সূত্রের খবর, মৃত ওই অশোক সিং একটি মোবাইল কেনে, ২ হাজার টাকার বিনিময়ে, অভিযোগ ওই মোবাইল টি চোরাই মোবাইল ছিল। ওই মোবাইল চুরির তদন্তে আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে থানায় ডাকা হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ এরপরেই তদন্তের নামে ওই ব্যক্তিকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি সিএন। অভিযোগ আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে মেডিকেল কলেজের সামনেই রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। যদিও এ ঘটনা সামাল দিতে ঘটনাস্থালে পৌঁচেচেন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উৎসবের মরশুমে শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। এবারে আগুন লাগল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের একটি ল্যাবরেটরিতে বিকেল সাড়ে ৫:৩০ টা নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১ নম্বর গেটের কাছে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের চারতলায় এইচআইভি চিকিৎসার আউটডোরে আগুন দেখা যায়। আগুন লাগার পরই ফায়ার অ্যালার্ম বাজে ও তারপরই আগুন লাগার কথা জানতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। হতাহতের কোনও খবর নেই এবং যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই সময় সেই বিভাগে কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে আগুন লেগেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে।
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগে থাকতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুন লাগার পর হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। তবে কীভাবে লাগল এই আগুন, তার তদন্তে কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ। বুধবার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মেডিকেল কলেজের ৩ কর্মী সহ মোট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বর্ধমান থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিকেল কলেজ চত্বরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে শববাহি গাড়িতে করে একাধিক দেহ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় মৃতদেহ সহ গাড়িটিকেও হাতেনাতে ধরা হয়। এরপর খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিস যায় মেডিকেল কলেজে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে তৎপর হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এমনকি মৃতদেহ পাচারের উদ্দেশ্য়ে যাওয়া শববাহি গাড়িটিকে আটক করে পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়। অনুমতি ছাড়ায় মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গ থেকে মৃতদেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক।
যদিও এই মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় যথাযথ প্রমাণ না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে কে বা কারা এই মৃতদেহ পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিংবা এর পিছনে বড় কোন পাচারচক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের হোস্টেলে পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু। ডাক্তারি পড়তে যাওয়া যে মৃত্যু ডেকে আনবে নার্সিং পড়ুয়ার তা আর কে জানতো? বোলপুরে মৃত্যু হয় হুগলি পুড়শুড়ার বাসিন্দা বছর ২০-র স্নেহা দত্তর। জানা গিয়েছে, ডাক্তারি পড়তে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন স্নেহা। রবিবার খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে প্রথমে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে ও পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মেয়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। এই রহস্য়মৃত্য়ু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবার রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর মুখ থেকে ফেনা বেরোতে শুরু করে তাঁর। মৃতার বাবা জানান, প্রথমে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানায় কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তারপর রবিবার মধ্য়রাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই ছাত্রীর।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকার পরেও কেন সেখানে চিকিৎসা করা হলো না। কেনই বা তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্য়ে। তবে ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু? তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃত্য়ুর সঠিক জানতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দালালরাজের দৌরাত্ম্য। খবর সামনে আসতেই রাতারাতি হাসপাতাল জুড়ে পড়ল জাভেদ নামের এক দালালের বিরুদ্ধে পোস্টার। পোস্টারে রয়েছে জাভেদের থেকে সতর্ক থাকার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাওয়ার পরিবর্তে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ার ভয়ে তটস্থ রোগী থেকে রোগীর পরিবার। চিকিৎসা মেলার পরিবর্তে তাঁরা চান না দালালদের পকেট ভারী করতে। চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন অসহায় রোগী ও তার পরিবাররে সদস্যরা। যদিও গোটা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত দালাল জাভেদ। দালালরাজের বাড়বাড়ন্তে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুললেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম।
তবে হাসপাতালে দালালরাজের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রির সাফ জবাব, এই ঘটনার তদন্তে একটি এনকোয়্যারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, জাভেদ হাসপাতালের স্থায়ী কর্মী নয়। এজেন্সি মারফত নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী। যদি ভবিষ্যতে হাসপাতালের ওই অস্থায়ী কর্মচারী জাভেদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, কোনও ঘটনা বিশদে না জেনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা য়ায় না। তাই পুলিস এ ব্যাপারে তদন্ত করুক এবং রোগীর পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ হাসপাতালে জমা দেয়, তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে হাসপাতাল। আশ্বাস দিলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) বেড না পাওয়া শুভদীপ পালকে। আজ সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল শুভদীপের। বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বেড না পাওয়ার পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আজ শুভদীপের মৃত্যুর খবরে কার্যত ভেঙে পড়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’ শুভদীপের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুতে এতটাই মর্মাহত মদন মিত্র যে আজ নিজের সব কর্মসূচিও বাতিল করে দিয়েছেন তিনি।
শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি। তারপর অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, সঠিক সময়ে যদি হাসপাতালে ভর্তি করা যেত শুভদীপকে, তাহলে কি এই পরিণতি দেখতে হত?
কলকাতা মেডিক্যালে যে সময়ে শুভদীপকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুভদীপের চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যালে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। শুভদীপের অবস্থায় যে মোটেই ভাল ছিল না, তা গতকাল কলকাতা মেডিক্যালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারীর কথাতেই স্পষ্ট ছিল। বলেছিলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে শুভদীপ ভাল নেই। আমরা ওকে যে অবস্থায় পেয়েছি…’। সেই কথা থেকেই আশঙ্কার কথা স্পষ্ট। আর আজ হাসপাতালেই মৃত্যু শুভদীপের।
মনি ভট্টাচার্য: 'মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য 'ফ্রি' কোনও ব্যবস্থা নেই। বারবার আকুতি করার পরেও আমার আবেদন হাসপাতালের কেউ শোনে নি। শেষে নীরজকে ব্যাগে নিয়ে বাড়ি ফিরি।' শুধু স্বাস্থ্যদফতর নয়, সরকার নয়, অভিযোগ সরাসরি মানবিকতার বিরুদ্ধে। মৃত সন্তানকে সমাধিস্থ করার পর মানবিকতার পরাজয়ের গল্প শোনালেন কালিয়াগঞ্জের মৃত শিশুর বাবা অসীম দেব শর্মা।
শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার পয়সা ছিল না। কারোর কাছেই পায়নি সাহায্য। অবশেষে নিজের সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে করে নিয়ে বাসে চেপে বাড়ি ফিরলেন বাবা। অমানবিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুর। রবিবার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য।
সোমবার সকালে সিএন-ডিজিটালের প্রতিনিধি ওই সন্তানহারা বাবা অসীম দেব শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, '৫ মাসের যমজ দুই ছেলের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। রবিবার দুই সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। দুই হাসপাতালে পরীক্ষা ও চিকিৎসার পর মঙ্গলবার অবশেষে ঠাঁই হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসা চললে বড় ছেলে নিলয় দেব শর্মা সুস্থ হয়ে যায়। শনিবার ছোট ছেলে নীরজ দেব শর্মাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ মৃত বলে ঘোষণা করে।'
অসীম যেমনটা জানিয়েছে, এ ঘটনার পর মৃত শিশুকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক, শববাহী গাড়ির চালক সবাইকে বলি। তাঁরা চিকিৎসকদের কাছে পাঠায়। চিকিৎসকদের বললে হাসপাতাল সুপারের কাছে পাঠায়।
অসীম আরও বলেন, 'একদিকে সমস্ত টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আমার বাচ্চাও মারা গিয়েছে। আমি ওই হাসপাতালের সুপারকে জানাই। সুপার জানায়, মৃতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্রি-এর কোনও ব্যবস্থা নেই। বারবার আকুতি করার পরেও কোনও চিকিৎসক, কেউই আমার কোনও আবেদন শোনেন নি। এরপর কোনোভাবেই গাড়ি জোগাড় করতে না পেরে জামা-কাপড়ের ব্যাগে জামা-কাপড়ের বদলে নীরজকে ঢুকিয়ে বাসে করে ফিরে আসি।'
যদিও এ খবর পেয়ে ততক্ষণে কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর গৌরাঙ্গ দাস। কিন্তু এ ঘটনায় মানবিকতার পরাজয় দেখছে গোটা রাজ্যবাসী। এ ঘটনা জানতে চেয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের সুপারকে ফোন করা হলে তিনি পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন। এরপর বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ওই জেলার স্বাস্থ্যদফতরের অধিকর্তাকে ফোনে ধরার চেষ্টা করা হলে তারও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
পারিবারিক সম্পত্তি (Property) নিয়ে বিবাদ। তার জেরেই খুনের চেষ্টা। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে (India) এসে ছোট ভাইকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় ছোট ভাই আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (R.G. Kar Medical College & Hospital)। অভিযুক্তকে গ্ৰেফতার (Arrest) করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশের থেকে গত শুক্রবার দেগঙ্গায় ছোট ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন দাদা মনোহর বিশ্বাস। বুধবার তাঁর বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে মনোহর আচমকা কোদাল নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন তাঁর ভাইকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাই শিবনাথ বিশ্বাসকে (৫৪) প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে আর জি কর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিবনাথ বিশ্বাস চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।
বুধবার দেগঙ্গা থানায় অভিযুক্ত মনোহর বিশ্বাসের কঠিন সাজা চেয়ে দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আহত ব্যক্তির বৌমা স্বপ্না বিশ্বাস। ধৃতকে পুলিসি হেফাজতে চেয়ে বারাসত আদালতে পাঠিয়েছে দেগঙ্গা থানার পুলিস। স্থানীয়দের অনুমান সম্পত্তিগত বিবাদে ভাইকে খুন করে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতের।
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ (Medical College) ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে বাচ্চা চুরি যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা মেডিকেল চত্বরে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেন প্রশাসন। পুলিস (Police) তদন্তে নামে।
সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের বলরামপুর গ্রামে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিসের বিশাল বাহিনী তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মা ও মেয়ে অঞ্জু দাস বাচ্চা চুরির ছক কষেছিলেন। কারণ গত ১০ বছর বিয়ে হয়েছে অঞ্জু দাসের। কিন্তু সন্তানের মুখ না দেখায় বাচ্চা চুরির পরিকল্পনা করেন। অবশেষে অঞ্জু দাসের বাড়ি থেকে ৬০ ঘণ্টা পর পুলিসি তৎপরতায় চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হল মাটিগাড়া থানার পুলিস। এই ঘটনায় ওই দুই মহিলা ছাড়াও আরও দু'জন যুবককে আটক করেছে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, হাসপাতলের মধ্যে থেকে বাচ্চা চুরির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি সামনে আসছে। জানা গিয়েছে, প্রসূতি বিভাগের বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় পড়েছিল। যার ফলে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িযে একজন মহিলা শিশুকে বের করে নিয়ে গেল। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের সুরক্ষাকর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। মায়ের কোলে ফিরে এসেছে তাঁর হারানো সন্তান। নিজের সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হলেন মা।
জিইয়ে রইল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) অচলাবস্থা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhaban) প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পড়ুয়াদের তরফে নাগরিক মিছিল (Civil Society) আয়োজন করা হয়েছে। মিছিলের সমর্থনে হাজির অন্য মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, মিছিলের অভিমুখ সেন্ট্রাল এভিনিউ সেখান থেকে ধর্মতলা। পাশাপাশি এসপ্লানেডে চলমান গাড়িতে পথসভা হবে। বেশ কয়েক জন চিকিৎসক হাজির এই মিছিলে।
এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে নির্বাচন সংক্রান্ত জট কাটাতে ফের স্বাস্থ্য সচিবকে ফোন করে সমাধানসূত্র বের করার আবেদন জানাব। এদিন এমনটাই জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, গত ১০ই ডিসেম্বর কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমস্যা দুর করতে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগী।
পাশাপাশি সোমবার হাসপাতালে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি প্রাথমিক ভাবে কথা বলেন অনশনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে। তারপর প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু এদিন বৈঠক বাতিল হওয়ায় ঝুলে রইল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা।
ছাত্র সংসদের (Students Union Vote) নির্বাচনের দাবিতে ৪ দিনে পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যসচিব পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। কিন্তু বেরোয়নি সমাধান সূত্র। মঙ্গলবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও সোমবার অনশনরত এক পড়ুয়া ঋতম মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসার জন্য সুপার স্পেশালিটি ব্লকের সিসিইউ-তে নিইয়ে যাওয়া হয়েছে। আর তাঁদের সহপাঠীর এহেন অবস্থার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আন্দোলনরত (Agitation) মেডিক্যাল পড়ুয়ারা।
এদিকে, এদিন সমস্যা সমধানের সূত্র খুঁজতে মেডিক্যাল কলেজে আসেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে এরপরে ভিতরে প্রিন্সিপাল রুমে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিকে, অনশনের সঙ্গেই কলেজ চত্বরে পোস্টারিং পড়ুয়াদের। এখন মঙ্গলবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য মহল।