মন্দির বাজারের পর এবার মথুরাপুরে নাবালিকা নিগ্রহের অভিযোগ। এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর থানা এলাকায়। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাসুদেব জাতুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ সহ পকসো আইনে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, এদিন নির্যাতিত ওই ছাত্রীর মেডিকেল করানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যৌন নিগ্রহের সময় অভিযুক্তের এক সঙ্গী পাহারা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিস তাকেও কেন গ্রেফতার করল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। যেহেতু অভিযুক্ত বাসুদেব জাতুয়া তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। তাই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত রয়েছে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা ও মা।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশেই খেলা করছিল পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। অভিযোগ, অন্ধকার নামার ঠিক আগেই বছর এগারোর ওই ছাত্রীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে গ্রামের নির্জন জায়গায় একটি খড়ের স্তুপের পিছনে যৌন নির্যাতন করে বাসুদেব। ঘটনার পর ছাত্রী বাড়িতে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ছাত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। এরপর ছাত্রীর মুখ থেকে সমস্ত ঘটনার কথা শুনে রাতেই পুলিসের দ্বারস্থ হন তার বাবা ও মা।
বাগানে কাজ করতে গিয়ে ঝোপের আড়ালে থাকা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুর থানার (Mathurapur PS) সন্তোষনগর কাদিরপাড়া এলাকায়। আহত ব্যক্তি লিয়াকৎ লস্কর (৬০)। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, সন্তোষনগর কাদিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা লিয়াকৎ লস্কর নিজের বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বোমা বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হয়। গুরুতর জখম হন লিয়াকৎ লস্কর।
বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে যান বাগানে সেখান থেকেই আহত অবস্থায় লিয়াকৎ লস্করকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মথুরাপুর থানার পুলিস। তবে কে বা কারা বাগানের মধ্যে বোমাগুলো লুকিয়ে রেখেছিল, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না লিয়াকৎ লস্কর। অন্যদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মথুরাপুর থানার পুলিস।
আহতের পরিবার জানিয়েছে, লিয়াকৎ মাঠে-ঘাটেই কাজ করতেন। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তিনি জানেন না। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ যোগ নেই।
আল-কায়দা জঙ্গি (Al Qaeda) সন্দেহে রাজ্যে ফের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ (STF)। মথুরাপুরের রানাঘাটা (Mathurapur) থেকে গ্রেফতার করা হয় ধ্রুবচাঁদ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মণিরুদ্দিন খানকে (২০)। বারাসাত ধ্রুবচাঁদ কলেজের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সে। গ্রেফতারের (arrest) ঘটনায় হতবাক মনিরুদ্দিনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে, সে আল কায়দার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের পাশাপাশি সে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে দিত। এই কাজে সে দক্ষ হয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যে তার ফোন ফরেন্সিকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কীভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশ হল মণিরুদ্দিনের, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। হাওড়া স্টেশন থেকে এর আগে বেশ কয়েকজন আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। কয়েক মাস আগেই জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মনিরুদ্দিনের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনিরুদ্দিনের সঙ্গে তার অন্য বন্ধু-বান্ধবের কোন যোগাযোগ আছে কিনা বা তারাও কোনওরকম জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।