Breaking News
Senior Citizen: কেউ আতঙ্কে, কেউ আবার দিব্যি আছেন, শহর কলকাতায় কেমন আছেন একাকী বয়স্করা?      cctv: ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় মারধর! সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার বৃদ্ধার পরিচারিকা      Mamata: 'বাংলায় বিনিয়োগ করলে...' দুবাইয়ের মঞ্চ থেকে বিনিয়কারীদের পথ দেখালেন মমতা      Parineeti-Raghav:শনিবার সকাল ১০টা বাজতেই শুরু হল পরিণীতি-রাঘবের বিয়ের অনুষ্ঠান      Manish: শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন অনুব্রতর হিসেব রক্ষক মনীশ কোঠারি      Summon: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ৩৪ পুর-কর্মীকে তলব, চাপে মদনের পুরসভা কামারহাটি      Anubrata: পিছল ইডির করা মামলা, মেয়ের মত অনুব্রতরও পুজো কাটতে চলেছে তিহারে      Court: আদালতে কিছুটা স্বস্তি রাজ্যের, সমবায় দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ে আস্থা সার্কিট বেঞ্চের      Nipah virus: নিপা আতঙ্ক এবার বাংলাতেও, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক      Abhishek: ফের আদালতে ধাক্কা অভিষেকের, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় মিলল না বাড়তি সময়     

Marriage

Marriage: মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ

মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ না ২১, ঠিক কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে বহুদিন ধরেই। গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই বিষয়ে প্রস্তাব পাশ হল, ১৮ নয়, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স হওয়া উচিত ২১।  শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিল আনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

যেহেতু এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্যাবিনেট, তাই এর জন্য আইনও সংশোধন করতে চলেছে সরকার। বর্তমান আইন অনুযায়ী, দেশে ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১, আর মেয়েদের ১৮। এবার বাল্যবিবাহ রোধ আইন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ও হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট সংশোধন করবে সরকার। নীতি আয়োগের জয়া জেটলির নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স এটির সুপারিশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণের সময় মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছিলেন। এরপরই ওই বছর জুন মাসে নীতি আয়োগের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে একটি রিপোর্ট পেশ করে টাস্ক ফোর্স। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মেয়েদের প্রথম গর্ভধারণের বয়স ২১ হওয়া উচিত। আর মেয়েরা দেরি করে বিয়ে করলে তার ইতিবাচক প্রভাব পরিবার, তাদের আর্থিক, সামাজিক ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পড়বে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

2 years ago
Marriage পুরনো প্রথা মেনে পালকিতে চেপেই বিয়ে করতে গেলেন বর

আগেকার দিনে রাজা-মহারাজা থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলায় বিয়েতে দেখা যেত পালকির ব্যবহার। আজকের দিনে যা লুপ্তপ্রায় বলা যায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়া যত এগিয়ে চলেছে, তত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাংলার কৃষ্টি, কালচার হারিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু আজকের যুগে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক গাড়ি চলে আসায় শহর পেরিয়ে গ্রাম বাংলার বিয়েবাড়িতে এখন আর দেখাই যায় না পালকি। বাবা-ঠাকুরদাদের পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে পালকিতে চেপেই বিয়ে করতে গেলেন বর। এমনই চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার দাশিয়ার পশ্চিমপাড়া এলাকায়।

স্থানীয় যুবক উদয় সরকারের বিয়ে ঠিক হয় কালিয়াগঞ্জের শেরগ্রাম এলাকায়। তাঁর বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়ি আনুমানিক ৩-৪ কিলোমিটার। উদয়ের ইচ্ছা ছিল,পালকিতে চেয়ে বিয়ে করতে যাবেন। কারণ, সব ধরনের গাড়িতে চাপার সুযোগ হলেও গ্রামবাংলার পুরনো কালচার পালকিতে চাপার সুযোগ তাঁর কখনও হয়নি। তাঁর বাবা, কাকারা পালকিতে চেপেই বিয়ে করেছেন। তাই তাঁর ইচ্ছা ছিল, পালকিতে চেপেই বিয়ে করতে যাবেন। সেই মোতাবেক বরযাত্রীদের সাথে নিয়ে পালকিতে চেপে বিয়ে করতে গেলেন উদয় সরকার। সঙ্গে ছিল পুরনো বাংলা ব্যান্ড পার্টি। পাশাপাশি সঙ্গে ছিল আধুনিক ডিজে ও বিভিন্ন ধরনের গাড়ি বরযাত্রীদের সুবিধার্থে।

পাত্রের আত্মীয় ভূপতি দেবশর্মা বলেন, এই পালকির প্রচলন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে নস্টালজিয়াকে ফিরিয়ে আবার সতেজ করে তুলেছে তাঁর ভাইপো উদয়। তাতে তিনি খুবই খুশি। কম্পিউটার, মোবাইলের যুগে চাপা পড়ে গেছে পালকির যুগ। 

পাত্র উদয় সরকার বলেন, তাঁর প্রথম থেকেই ভাবনা ছিল,পালকি করে বিয়ে করতে যাওয়ার। সেকারণে তিনি কাছাকাছি বিয়ে ঠিক করেন। যাতে পালকি বাহকদের কষ্ট না হয়। সঙ্গে তাঁর ইচ্ছাও পূরণ হয়।

পুরনো প্রথা তাহলে কি ফের ফিরে আসবে? পালকি বাহকরা অর্থের মুখ দেখতে পাবেন? রয়ে গেল সমাজের কাছে নানা প্রশ্ন।

2 years ago
Marriage Ceremony নবদম্পতির নব উদ্যোগ, বৌভাতে খাওয়ালেন দুঃস্থদের

বিবাহের মতো একটি সামাজিক অনুষ্ঠানও যে সমাজসেবামূলক হয়ে উঠতে পারে, তার দৃষ্টান্ত গড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার এক নবদম্পতি। আত্মীয়-স্বজনদের পাশাপাশি সাদরে আমন্ত্রণ করে বৌভাতের অনুষ্ঠানে নিয়ে এলেন এলাকার বেশ কিছু দুঃস্থ মহিলা ও অসহায় বিশেষভাবে সক্ষম মানুষকে। 

সদ্য বিবাহিত ওই নবদম্পতির হাত থেকে বস্ত্র ও প্রতিবন্ধী সহায়ক সামগ্রী হুইল চেয়ার, ট্রাই সাইকেল ইত্যাদি পেয়ে খুশি এলাকার কিছু দুঃস্থ এবং বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া ব্লকের পশ্চিম চণ্ডীপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী হারুন মণ্ডল তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শাহরুখ ও পুত্রবধূ নিশার বৌভাত অনুষ্ঠানে আর পাঁচজন আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে দুঃস্থদেরও পাত পেড়ে ভুরিভোজ করান।  পাশাপাশি উপহারও তুলে দেন।

মঙ্গলবার রাতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাদুড়িয়ার যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুরজিৎ বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্টজন। সহযোগী হিসেবে ছিলেন পাত্রের বাবা হারুন মণ্ডলের জামাতা কুতুবুদ্দিন মণ্ডল, জ্যেষ্ঠপুত্র ফারুক মণ্ডল প্রমুখ। 

পাত্রের বাবা হারুন মণ্ডল বলেন, তাঁরা অনেক সময় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় ও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিবাহ, জন্মদিন বা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত  অনুষ্ঠানেও কিছু বাজেট কাটছাঁট করে যে দুঃস্থ মানুষের সেবা করা যায়, তারই একটি বার্তা দিতে এই উদ্যোগ। আত্মীয়-স্বজন ও আমন্ত্রিত অতিথিরা হারুন মণ্ডলের পুত্র ও পুত্রবধূকে আশীর্বাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁর এই উদ্যোগকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানাতে ভোলেননি।

পাত্র শাহরুখ মণ্ডল বলেন, লকডাউনে গরিব মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। তাঁদের কথা ভেবে তাঁরা বিয়ের খরচ কিছুটা কম করে দুঃস্থ, প্রতিবন্ধীদের জন্য বস্ত্র কিনেছেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় হুইল চেয়ার এবং আরও কিছু সামগ্রী দান করেন। তিনি এও বলেন, সকলে যে যেমনটা পারবে, তেমনভাবেই যেন এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ায়।  

এহেন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। এভাবেই এগিয়ে আসুক সমাজের লোকেরা। থাকুক একে অপরের পাশে।

2 years ago


Minor Marriage: গায়ে হলুদ শেষ, শেষ মুহূর্তে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল পুলিস

গায়ে হলুদ শেষ, সম্পূর্ণ হয়েছে বিয়ের আয়োজন। শনিবার ছিল বিয়ের লগ্ন। সেই খবর পেয়ে পুলিস ও জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মীরা এক নাবালিকার বিয়ে আটকে দিলেন। গ্রেফতার করা হল পাত্রের জামাইবাবুকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানা এলাকার ভবানীপুর গ্রামে।

চাইল্ড লাইনের এক আধিকারিক সমীর রায় জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বর তিনি খবর পান, চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের ভবানীপুর গ্রামে ১৪ বছরের এক নাবালিকার বিয়ে হতে চলেছে।। সঙ্গে সঙ্গে থানায় বিষয়টি জানিয়ে একটি জেনারেল ডায়েরি করেন তাঁরা। সেদিনই তাঁরা মেয়ের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন ব্লক প্রশাসনিক কর্তা এবং চাঁচল থানার পুলিশ আধিকারিকরা। ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যও।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সেদিন মেয়ের বাবা মুচলেকা দিয়ে তাঁদের জানান, প্রাপ্তবয়স্ক না হলে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। কিন্তু শনিবার তাঁরা জানতে পারেন, মেয়েটির বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাঁরা ফের সেখানে যান। বিয়ে বন্ধ করার কথা বলে আসেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জানতে পারেন, মেয়ের পরিবার এই বিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। তারপরই পুলিস পাঠিয়ে পাত্রের জামাইবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা সবাই পলাতক। রবিবার সকালে এনিয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি।

মেয়ের দিদিমা বাসন্তী ঘোষের বক্তব্য, পাত্রী তাঁর নাতনি। নিমন্ত্রণ পেয়ে তাঁরা বিয়ের ভোজ খেতে গিয়েছিলেন। ১৪ বছরের মেয়ের কেন বিয়ে দিচ্ছিল, তা ওর বাবা-মা বলতে পারবে। শনিবার নাতনির বিয়ে ছিল। উনার জামাই মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল বলে জানান তিনি। তিনি একবার বলেছিলেন, এত ছোট বয়সে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অল্প বয়সে বিয়ে ঠিক করায় তাঁর ছেলে-বৌমা অর্থাৎ মেয়ের মামা-মামি রাগ করে এই বিয়েতে আসেনি। শেষ পর্যন্ত পুলিস ও প্রশাসন বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।  অন্যায় হওয়া রুখেছে।

এদিকে এই ঘটনায় ধৃত পাত্রের জামাইবাবু ভরত ঘোষ বলেন, তিনি ছেলে পক্ষের লোক। মেয়ের বয়স জানতেন না তিনি। বিয়েতে এসে শোনেন, মেয়ের বয়স ১৪। তাঁর সঙ্গে যারা ছিল, তারা সব চলে গিয়েছে। ছেলে বিয়ে করতে আসেনি। তবু মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। মেয়ের বাড়ি থেকে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলেই তাঁরা চারজন সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁকে পুলিস তুলে নিয়ে যায়। বাকিরা পালিয়ে যায়।

এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, সমাজে এখনও এরকম নাবালিকার বিয়ে আইনের চোখের ফাঁকে হয়েই চলেছে। সবটা আইনের চোখে ধরা পড়ে না। 

2 years ago
Cooking ক্যাটরিনা-ভিকির বিয়ের অনুষ্ঠানের দুটি পদ বাড়িতেই রান্না করে ফেলুন

ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশলের রাজকীয় বিয়েতে আমন্ত্রিত হয়ে ভুরিভোজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ তো আর সবার কপালে জোটে না। তা বলে মন খারাপ করার কিছু নেই। ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফের যে দুটি পছন্দের পদ তাঁদের বিয়ের মেনুতে পরিবেশিত হয়েছে, সেই পদ দুটি বাড়িতেই বানিয়ে সেলিব্রেট করতেই পারেন।