
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দেড়ের (Nanded) হাসপাতালে (Hospital) ৪৮ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা দেশজুড়ে। অভিযোগ উঠেছিল, ওষুধের ঘাটতি, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবের কারণেই হাসপাতালের এই পরিস্থিতি। এবারে এই হাসপাতালেরই আরও মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের হাসপাতালে গত ৮ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অন্যদিকে হাসপাতালে ওষুধের জোগান নেই, এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ হাসাপাতালের ডিন।
হাসপাতালে একের পর এক মৃত্যুতে এবারে মুখ খুললেন হাসপাতালের ডিন শ্যাম ওয়াকোড়ে। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার শংকররাও চভন সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুদিন আগেই সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রেপ বিজেপি সাংসদও। এমনকি সেখানে গিয়ে ডিনকে দিয়ে শৌচালয়ও পরিষ্কার করান। কিন্তু এবারে ডিন শ্যাম ওয়াকোড়ে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হাসপাতালে ওষুধের জোগান পর্যাপ্ত রয়েছে। কোনও কমতি নেই তাতে। যেসব শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, তারা জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্মেছিল। তাই তাদের মৃত্য হয়েছে। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের যাঁদের মৃত্যু হয়েছ, তাঁদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু ওষুধের অভাবের জন্য কেউ মারা যাননি বলে দাবি ডিন শ্যাম ওয়াকোড়ের।
রেললাইনের উপরে রাখা বড় পাথর। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচওয়াদের রেললাইনের উপরেই পড়ে ছিল বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। পরে রেল কর্মীর তৎপরতায় এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের আকুরদি এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশনের মাঝে। পুণেগামী একটি ট্রেন আপ লাইনে আসছিল। সেই সময়ই হঠাৎ রেলের গার্ড দেখতে পান যে রেললাইনের উপরে বেশ কিছু বোল্ডার পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিনচওয়াদের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন ও নাগেরকোলি-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিনচওয়াদের কাছে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ও পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
যদি রেল গার্ড সঠিক সময়ে সতর্ক না করতেন, তাহলে লাইনচ্য়ুত হতে পারত ট্রেনটি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। রেলসূত্রে খবর, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজস্থানে জয়পুরগামী বন্দে ভারতের যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর পাথর, লোহার রড রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দেরের সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব, এমনটাই অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। ফলে নান্দেরের এই অবস্থায় হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হেমন্ত পাটিল (Hemant Patil)। শুধু তাই নয়, সেখানে গিয়ে হাসপাতালের ডিনকে দিয়েই হাসপাতালের শৌচালয় পরিষ্কার করান তিনি। সেই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, হাতে ঝাড়ু নিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করছেন হাসপাতালের ডিন।
মহারাষ্ট্রের নান্দেরের সরকারি হাসপাতালে একের পর এক মৃত্যু ঘটেই চলেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রের এই হাসপাতালে মঙ্গলবার পৌঁছে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হেমন্ত পাটিল। হাসপাতাল ঘুরে দেখার পর শৌচালয় দেখতে গিয়েই আকাশ থেকে পড়েন তিনি। তিনি দেখেন, হাসপাতালের শৌচালয় অত্যন্ত অপরিষ্কার। এর পরই তিনি ডিনকে ডেকে পাঠান ও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ডিনকে দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করান। ঝাঁটা হাতে নিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করেন তিনি। ডিন যখন শৌচালয় পরিষ্কার করছিলেন, তখন হাসপাতালের অন্য কর্মী এবং আধিকারিকরা এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।
আরও জানা গিয়েছে, হেমন্ত পাটিল যখন হাসপাতাল পরিদর্শন করছিলেন, তখন তিনি দেখেন মহিলাদের শৌচালয়ের সামনে মদের বোতল ছড়ানো, শিশুদের শৌচালয়ে তালা লাগানো। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এর পর বেশ কিছু রোগীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
সরকারি হাসপাতালে (Hospital) নেই ওষুধের জোগান, নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীও! এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল ২৪ জনের। যার মধ্যে ১২জন সদ্যোজাত। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দের জেলার।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলায় শংকররাও চভন সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। মৃতদের মধ্যে ১২ জনই শিশু। তাদের মধ্যে ৬ জন ছেলে এবং ৬ জন মেয়ে। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত ওষুধের জোগান না থাকাতেই এই পরিস্থিতি। এছাড়াও আর্সেনিক এবং ফসফরাসের বিষক্রিয়া হয়েছিল কয়েক জনের শরীরে।
হাসপাতালের ডিনের বক্তব্য, '১২ জন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যুর পিছনে নানাবিধ অসুস্থতা রয়েছে। অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। এখন বর্ষার মরশুমে সাপে কাটা রোগীই বেশি আসছে। নবজাতকদের মধ্যে ৬টি পুত্রসন্তান, ৬টি কন্যাসন্তান। আসলে রোগীর যা চাপ, সেই অনুযায়ী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের নেই। অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে একসঙ্গে বদলি করা হয়েছে, রিপ্লেসমেন্ট মেলেনি। আর সেটাই সমস্যা। নেই পর্যাপ্ত ওষুধের জোগান, পর্যাপ্ত পরিকাঠামোও নেই।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এলাকায় এই হাসপাতালের ৭০-৮০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোনও হাসপাতাল না থাকায় রোগীর চাপও খুব বেশি৷
হাসপাতালের এই পরিস্থিতি দেখে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারের নিন্দা করেছে বিরোধীরা। একনাথ শিন্ডে এই ঘটনাকে দুভার্গ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আবার মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর দিলীপ মহাইসেকর জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে রিপোর্ট।
একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur)। অনবরত ভারী বর্ষণের ফলে নাগপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। চারিদিকে জল থইথই, কোথাও হাঁটু সমান জল, আবার কোথাও কোমর সমান। এই পরিস্থিতিতে নাগপুরে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ বছরের পঙ্গু মহিলা-সহ ৪ জনের। অন্তত ১০ হাজার বাড়ি জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে বানভাসি হয়ে পড়েছে নাগপুর। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নাগপুরে এখনই বৃষ্টির আশঙ্কা কাটছে না। কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আর তার জেরে আতঙ্ক বাড়ছে নাগপুরবাসীদের। জানা গিয়েছে, শনিবার তিন ঘণ্টায় ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই বানভাসি বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে নাগপুরের এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবারই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এখনও অবধি ১৪০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্য়া পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে নাগপুরের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছিল প্রতিবেশীদের। পুলিস এসে ঘরের বক্স খাট (bed box) খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। উদ্ধার হল মা ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অমরাবতীতে (Amravati)। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে বেপাত্তা মৃত মহিলার বড় ছেলে। আপাতত মৃত দেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দু'দিন ধরে বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। অবস্থা বেগতিক বুঝে ওই বাড়ির আত্মীয়দের ফোন করে বিষয়টি জানান তাঁরা। এরপর আত্মীয়রা এসে দেখেন, বাড়ির সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা। তখনই তাঁরা পুলিসে খবর দেন। বাড়ির পিছনের দরজাও বন্ধ ছিল। আর তা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই পুলিস খাট থেকে রক্ত বেরোতে দেখে। এরপর বক্স খাট খুলেই চমকে যান সেখানে উপস্থিত সকলে। মা-ছেলের জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম নীলিমা গণেশ কাপসে (৪৫)। আর মৃতার ছোট ছেলে আয়ুষ কাপসের দেহ উদ্ধার হয়েছে বক্স খাটের মধ্যে থেকে। জানা গিয়েছে, মৃত আয়ুষের বয়স ২২ বছর। যদিও এখনও অবধি নীলিমার বড় ছেলের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোন করা হলেও বারবার ফোন সুইচড অফ মিলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে খুনের অভিযোগই দায়ের করেছে মহারাষ্ট্র পুলিস। আপাতত তদন্ত চলছে।
প্রেমের করুণ পরিণতি! প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ১২ বছরের কিশোরীকে মায়ের সামনেই ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন অভিযুক্ত যুবক। এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্টের (Maharashtra) থানেতে (Thane)। এরপর ওই যুবক নিজেও ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কপালজোড়ে বেঁচে যান যুবক। বর্তমানে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পুলিস জানিয়েছে, ২০ বছরের অভিযুক্ত যুবকের নাম আদিত্য কাম্বলে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে পুলিস জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন আগে কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রস্তাবে অসম্মতি জানায় কিশোরী। তবুও বারবার উত্যক্ত করতো তাকে। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরীর বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিল যুবক। কোচিং সেন্টার থেকে মায়ের সঙ্গে ফেরার সময় পথ আটকায় সে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করে কিশোরীকে।কিশোরীর মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আদিত্য। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। যদিও অভিযুক্ত যুবককে ধরা যায়নি। পুলিশের দাবি, আটবার কোপানো হয় কিশোরীকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও বাঁচানো যায়নি।
খবর পেয়ে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আদিত্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতাল ভরতি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস।
ভারী বৃষ্টির ফলে ধস (Landslide)। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কঙ্কণ এলাকার রায়গড় জেলার খালাপুর তহসিলের ইরশালওয়াড়ি গ্রামে। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে পাঁচ জনের এবং ধসের তলায় আটকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে বহু গৃহপালিত পশুও। ঘটনার জেরে ওই গ্রামে আটকে পড়েছে বহু পরিবার। তবে ইতিমধ্যে ধসে আটকে থাকা গ্রামবাসীদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল। পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়েছে ঘটনাস্থলে।
এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। যার ফলে ধস নেমেছে। এই ঘটনার ফলে ওই গ্রামে আটকে পড়েছে প্রায় ৫০ টি পরিবার। তবে মোকাবিলা বাহিনীর তৎপরতায় ২৫ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার ফলে দাদা ভুসে এবং উদয় সামন্তের মতো কয়েক জন মন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এমনকি এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে পারেন, এমনটাই জানা গিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে।
কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ! বাজারে যখন টোম্যাটোর (Tomato) দাম আকাশছোঁয়া, তখন সেই টোম্যাটো বিক্রি করেই কোটিপতি হচ্ছেন এক কৃষক। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুণের এক কৃষক একমাসে টোম্যাটো বিক্রি করেই কোটিপতি হয়েছেন। জানা গিয়েছে, টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর এক মাসে তিনি প্রা ১৩ হাজার টোম্যাটোর বাক্স বিক্রি করেছেন। এতে তাঁর উপার্জন হয়েছে প্রায় ১.৫ কোটি।
জানা গিয়েছে, পুণের সেই কৃষকের নাম তুকারাম ভাগোজি গায়োকর। তিনি তাঁর ছেলে ঈশ্বর গয়াকর ও বৌমা সোনালির সহায়তায় তাঁর চাষের ক্ষেতে কিনি টোম্যাটোর চাফ করেন। তাঁর নিজেরই ১৮ একর জমি রয়েছে ও সেখানেই তিনি টোম্যাটোর চাষ করেন। তুকারামের পরিবারে সদস্যরা জানিয়েছেন, চাষ করার ক্ষেত্রে তাঁদের বেশ জ্ঞান রয়েছে। ফলে তাঁরা এত পরিমাণে টোম্যাটোর চাষ করতে পেরেছেন।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, গত মাসে তাঁরা প্রতিটি টোম্যাটোর বাক্স হাজার থেকে ২হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও জানা গিয়েছে, টোম্যাটোর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের বেকারত্ব কেটেছে। অনেক মহিলা চাষের কাজে হাত লাগাতে পেরে তাঁরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। যেমন- তুকারামের ছেলের স্ত্রী তাঁদের সঙ্গে চাষের কাজে সাহায্য করেছেন ও উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা।
তবে টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধুমাত্র পুণের কৃষকরাই কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন, এমনটা নয়। অগ্নিমূল্যের বাজারে টোম্যাটো বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন কর্নাটকের কোলার জেলার এক কৃষকও।
ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৫ জনের। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ধুলে জেলায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, মুম্বই-আগ্রা হাইওয়েতে একটি কনটেইনার ট্রাক সজোরে একটি চার চাকার গাড়িকে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে থাকা এক ধাবায় ঢুকে পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ১০ জন। মনে করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই ট্রাকটি ধাক্কা মারে চার চাকার গাড়িটিকে, এরপর ঢুকে পড়ে ধাবায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ধুলের মুম্বই-আগ্রা হাইওয়েতে পলাসনার গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই জায়গাটি মুম্বই থেকে ৩০০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই দুর্ঘটনার পর এই হাইওয়ের ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায়, হাইওয়েতে দ্রুত গতিতে একটি কনটেইনার ট্রাক ছুটে আসে ও একটি সাদা রংয়ের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। এরপর পাশের এক ধাবায় ঢুকে পড়ে। এরপরই চারিদিক ধুলোতে ভরে যায় ও দেখা যায়, চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে দেহ।
এই দুর্ঘটনার পরই আহতদের তড়িঘড়ি শিরপুর ও ধুলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, মৃতের সংখ্যা ১০, তবে পরে জানা যায় এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের।
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় গা শিউরে উঠছে সাধারণ মানুষের। চলন্ত বাসে হঠাৎ কী করে আগুন লেগে যায় তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। শনিবারে মধ্যরাতের বাস দুর্ঘটনায় (Bus Accident) ২৬ জনের মৃত্যু হয়। আগুনে (Fire) ঝলসে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁদের। তবে কিছুজন সেই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তাঁদের মধ্যেই একজন বিস্তারিত জানালেন যে, সেই অভিশপ্ত রাতে ঠিক কী ঘটেছিল। এছাড়াও এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে কেউই কোনও গাড়ি থামাননি ও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।
যাঁরা বাস থেকে কোনওমতে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, তাঁদের একজন জানিয়েছেন, মধ্যরাতে হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজে বাসের টায়ার ফেটে যায়। এরপরই গাড়ি উল্টে যায় ও কিছু না বুঝতেই দেখেন যে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এরপর কোনওমতে তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি বাসের পিছনের জানালার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন। অন্যরাও চেষ্টা করছিলেন, তবে তাঁরা কেউই প্রাণে বাঁচতে পারেননি।
এরপর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বাসে আগুন লাগার পর ৪-৫ জন বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। স্থানীয়রা সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসলে রাস্তায় চলতি অন্য গাড়ি থামাতে যান। কিন্তু কোনও গাড়িই থামাননি চালকরা। ফলে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও স্থানীয়রা কোনও কিছুই করতে পারেননি। ফলে চোখের সামনেই যাত্রীদের মৃত্যু দেখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সমুদ্রসেতুর (sea bridge) নাম বদলে সাভারকরের নাম রাখতে চলেছে সে রাজ্যের সরকার একনাথ শিন্ডে। চলতি বছরের মে মাসে সাভারকরের ১৪০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ভারসোভা-বান্দ্রা সি লিঙ্ক-এর নাম পাল্টে সাভারকরের নাম ঘোষণা করেছিলেন। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে (meeting) এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠে। সেই বৈঠকে উপস্থিত সকল সদস্যরাই প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।
এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণের জন্য মহারাষ্ট্রের নির্মীয়মাণ আরও একটি সমুদ্রসেতু তৈরী করার পরিকল্পনা করেছে সে রাজ্যের সরকার। নির্মীয়মাণ এই সেতুর নামই রাখা হচ্ছে ‘অটল সেতু’। মুম্বই থেকে নবি মুম্বই পর্যন্ত মসৃণ এবং দ্রুতগামী যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার জন্য মহারাষ্ট্রে তৈরি হচ্ছে মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্রসেতু তৈরির কাজ শেষ হলে এটিই হবে ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু।
উল্লেখ্য, ভারসোভা-বান্দ্রা সমুদ্রসেতুটি বান্দ্রা-ওরলি সমুদ্রসেতুর সঙ্গে আন্ধেরি শহরকেও জুড়বে। এই সেতুটির নামকরণ যেহেতু একজন মহান ব্যাক্তির নামে করা হচ্ছে তাই এই সেতুর নামকরণ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
জীবনে সফল হতে গেলে ব্য়র্থ হওয়াটাও অত্য়ন্ত জরুরী। সেই ভাবনা বজায় রাখতে এবার নয়া উদ্য়োগ নিল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ঔরঙ্গাবাদ পুরসভা। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় (Exam) যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা কোনও মতে পাশ করেছে, তাদের জন্য পার্টির আয়োজন করল পুরসভা।
চলতি মাসের ৬ জুন এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলোর ব্যবস্থাও ছিল। পুরসভার এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, সব পড়ুয়ার সফর উদযাপন করা উচিত। সব সময় খুঁত বিচার করা উচিত নয়। পুরসভার প্রশাসক জি শ্রীকান্ত জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যম সফল পড়ুয়াদের কথাই শুধু যদি লেখে তবে যারা সফল হননি, তাদের কি কোনও সুযোগ হবে না?
স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের এক সদস্য শ্রীকান্ত সালভে জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল ঘোষণার আগেই এই পার্টির পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রায় ২০টি কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও পড়ুয়াকে জ্ঞান দেওয়া তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। বরং বাস্তব জীবনের যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন যে নম্বরই সর্বশেষ নয়।
পুলিস নিয়োগের চাকরি পরীক্ষায় যন্ত্রপাতি-সহ ধরা পড়লেন এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী (Candidate)। অভিযোগ, ওই পরীক্ষার্থী তাঁর দেহে একাধিক বৈদুতিন যন্ত্রপাতি সেট করে কোনওভাবে নজর এড়িয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পুলিসের চাকরির পরীক্ষা ছিল মহারাষ্ট্রে। সেখানেই নিরাপত্তার নজর এড়িয়ে কোনওভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন একজন 'ভুয়ো' পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থীর থেকে ব্লুটুথ ডিভাইস, স্মার্টওয়াচ এবং হেডফোন উদ্ধার হয়েছে। খবর, ভুয়ো ওই পরীক্ষার্থী শরীরের বিভিন্ন অংশে নানা যন্ত্রপাতি সেট করে এনেছিলেন। এমনকি হাঁটুতে নি-ক্যাপের সঙ্গে বেঁধেছিলেন ব্লুটুথ ডিভাইস এবং কানে লুকিয়ে রেখেছিলেন হেডফোন। এসবের সাহায্যে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। পরীক্ষাকেন্দ্রের থাকা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী হলেন ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। অন্য একজনের হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তবে ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়লেও মূল অভিযুক্তকে এখনও ধরা যায়নি।
মেসেজে খুনের হুমকি! হুমকির মেসেজ পেলেন শিবসেনা (উদ্ধব)-এর সাংসদ সঞ্জয় রাউত। মেসেজে লেখা, ‘মুসেওয়ালার মতো হাল করব তোর। দিল্লিতে যদি দেখতে পাই, তা হলে একে-৪৭ দিয়ে গুলি করে মারব। সলমন আর তুই ফিক্স।’ তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই অভিনেতা সলমন খানকে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি ১৮ মার্চ অভিনেতাকে হুমকি দিয়ে একটি ইমেলও পাঠানো হয়। তাই পুলিসের অনুমান, এই হুমকির বার্তাও পাঠিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউতের দাবি, এর আগেও একাধিকবার হুমকি বার্তা পেয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের পর তাঁর নিরাপত্তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রাউতের। শুক্রবারও হুমকি পেয়েছেন তিনি। এমনকি পুলিসকে এবিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে আমি কাউকেই চিঠি লিখে জানাইনি। একজন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র আমার উপর হামলার করার ষড়যন্ত্র করছেন। সত্যটা কী, আমি জানি।'
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানায়, যে ব্যক্তি এই মেসেজ পাঠিয়েছে তিনি পুণের বাসিন্দা। তবে অভিযুক্তকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অভিনেতা সলমনের সেই হুমকি ইমেল বার্তার সঙ্গে সাংসদ রাউতকে পাঠানো মেসেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।