
মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) উজ্জয়িনীর (Ujjain) ১২ বছরের কিশোরী যৌন নিগ্রহের শিকার, একথা প্রকাশ্যে আসতেই সারা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি, কিশোরীর অর্ধনগ্ন-রক্তাক্ত অবস্থার দৃশ্য সিসিটিভি-র মাধ্যমে সামনেও আসে। এবারে যৌন নিগ্রহের অভিযুক্তকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে ফের হাতিয়ার করা হল বুলডোজারকে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত অটো চালকের 'বেআইনি' বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে।
গত মাসেই এক ১২ বছরের কিশোরীর নির্মম দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, অর্ধনগ্ন-রক্তাক্ত অবস্থায় লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য চাইছে সে। কিন্তু কেউই এগিয়ে আসেননি। এর পর অবশেষে এক পুরোহিত তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিসকেও খবর দেন তিনি। এই ঘটনার তিনদিন পরই ভারত সোনি নামে অভিযুক্ত অটো চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবারে তাকে আরও শাস্তি দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার তার বেআইনি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
উজ্জয়িনী পুরসভা জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি জমিতে বাড়ি তৈরি করে সেখানে থাকছে তার পরিবার। পুরসভার কমিশনার রোহন সিং জানিয়েছেন, যেহেতু সরকারি জমিতে অভিযুক্তের বাড়ি রয়েছে, তাই তা ভাঙার জন্য আগাম বিজ্ঞপ্তি জারির কোনও প্রয়োজন নেই। মধ্যপ্রদেশ পুলিসের সঙ্গে মিলিত ভাবে বুধবার পদক্ষেপ করবে পুরসভা।
যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে অর্ধনগ্ন-রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরছিল ১২ বছরের এক নাবালিকা (Minor)। কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে না এলেও পরে এক আশ্রমের পুরোহিত তাকে সাহায্য করেন ও হাসপাতালে নিয়ে যান। এবারে মধ্য়প্রদেশের (MadhyaPradesh) উজ্জয়িনীর (Ujjain) এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, এই নাবালিকাকে সাহায্যের জন্য প্রায় ৮ কিমি হাঁটতে হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এক অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
বুধবার প্রকাশ্যে আসে এক গা শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বডনগরে এক ১২ বছরের নাবালিকাকে অর্ধনগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে দেখা যায়। এই নির্মম দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরই এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়েছে মধ্যপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, জীবন খেড়ি এলাকা থেকে একটি অটোতে উঠেছিল ওই নাবালিকা। সিসিটিভি ফুটেজে এর প্রমাণ মিলেছে। সেই অটোচালক পলাতক ছিলেন। তাঁর অটোতে রক্তের দাগও মিলেছে। ওই অটোর ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আটক হওয়া তিন জনের মধ্যেও এক জন অটোচালক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। পরবর্তীতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।
পোষ্য কুকুরদের (Dog) ঝগড়া ছড়াল মালিকদের মধ্যে। বিবাদ এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছয় গুলি চালানো শুরু করলেন এক ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ২ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬ জন। বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরে (Indore)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাজপাল রাজাওয়াত তাঁর পোষ্য কুকুরকে নিযে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁর এক প্রতিবেশীও তাঁর পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ দুই পোষ্য কুকুরের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু হয়। এই নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যেও তর্কাতর্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। অভিযোগ এরপর, রাজপাল রাজাওয়াতের ককুরটিকে আঘাত করেছিলেন অপর ব্যক্তি। বচসা আরও তুঙ্গে ওঠে। রাজপাল ঘরে ঢুকে নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক বের করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।
ঘটনাস্থলেই গুলি লেগে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ এসে আটক করে রাজপালকে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন তিনি। রাজপালের বন্দুকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গুলি চালানোর ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সারা দেশজুড়ে যখন ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence day 2023) পালন করা হচ্ছে, সেই সময় ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকার। এই জোড়া ঘটনা ভিন্ন সময়ে পৃথক জায়গায় ঘটেছে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের মউগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চেই পড়ে যান বিধানসভার স্পিকার গিরিশ গৌতম। আবার রাইসেনের এক অনুষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়েন মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. প্রভুরাম চৌধুরী।
সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের মউগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছিল। পতাকাল উত্তোলনের পর তিনি মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। আর সেসময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিধানসভার স্পিকার গিরিশ গৌতম। সেখানে উপস্থিত আধিকারিকরা তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অন্যদিকে রাইসেনে পতাকা উত্তোলনের পর প্যারেড শুরু হয়েছে। আর সেসময় মঞ্চে চেয়ারে বসেছিলেন স্বাস্থ্য়মন্ত্রী ড. প্রভুরাম চৌধুরী। কিন্তু তখনই হঠাৎ চেয়ার থেকে পড়ে যান। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে তাঁদের অসুস্থ হওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু জানা গিয়েছে, স্পিকার গিরিশ গৌতম স্থিতিশীল রয়েছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ কেন হয়ে যায়, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এক সরকারি কর্মীর অবসর নেওয়ার সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ও লক্ষ লক্ষ টাকা ও লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না। এক সরকারি কর্মীর বাড়িতে এত টাকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অভিযানকারীদের। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের। সূত্রের খবর, সেই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালায় মধ্যপ্রদেশের লোকায়ুক্ত দল।
সূত্রের খবর, ভোপালের স্বাস্থ্য দফতরের এক স্টোর কিপারের কাজ করতেন আশফাক আলি। তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত। তবে এক গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় লোকায়ুক্ত দল। লোকায়ুক্ত দলের সূত্রে খবর, আশফাকের বাড়িতে তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬ লক্ষ টাকার গয়না ও ২০ লক্ষ টাকা নগদ।
এছাড়াও বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক দামি আসবাবপত্র। মডিউলার রান্নাঘর থেকে শুরু করে সারা বাড়িতে রয়েছে দামি টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, তাঁর নামে এক চার তলার বিল্ডিং রয়েছে, তারও খোঁজ পেয়েছে তাঁরা। আবার তিনি এক স্কুল চালান বলেও জানা গিয়েছে। স্ত্রী-সন্তানের নামেও ১.২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ফলে মোট তাঁর নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছ লোকায়ুক্ত দলের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন আইনে আশফাকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno national park) একের পর এক চিতার মৃত্যুতে বেড়েছে উদ্বেগ। পাঁচ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৯টি চিতার। তার মধ্যে অষ্টম এবং নবম চিতার মৃত্যু হয়েছে বর্ষাজনিত সংক্রমণেই। এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।
ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ”এই নিয়ে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই। বর্ষাকালের পোকার কামড় থেকে তৈরি হওয়া সংক্রমণের বিষয়টি আমার নজরে পড়েছে। দু’টি চিতা ওই সংক্রমণেই মারা গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও হয়েছে।” উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মেনে আফ্রিকার একাধিক দেশ থেকে ভারতে চিতা আনা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় কুনোর জঙ্গলে। এ বছর ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে।
মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে গত ৩ অগাস্ট মৃত্যু হয় নবম চিতা ধাত্রীর। এর আগেও কুনোর জঙ্গলের তিন তিনটি চিতার মৃত্যু হয়েছে এই ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের জেরেই। সপ্তম মৃত চিতা তেজস এবং অষ্টম সূরযের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে সেপ্টিসেমিয়ার উল্লেখ করা হয়।
১২ বছরের নাবালিকাকে (Minor Girl) যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এবারে তাদেরই বাড়ি বুলডোজার (Bulldozer) দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। সূত্রের খবর, যাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে তারা পেশায় দিনমজুর। তবে এই অভিযোগ উঠে আসার পরই মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং-এর সরকার শনিবার তাদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপরই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের বাড়ি।
এর আগেও দেখা গিয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে অপরাধে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় বুলডোজার দিয়ে। এক্ষেত্রেও কিছু ব্যতিক্রম হয়নি। এই দুই দিনমজুরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠতেই তাদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হল। জানা গিয়েছে, এই দুই অভিযুক্তের নাম রবীন্দ্র চৌধুরী ও অতুল বাধৌলিয়া। তাদের ইতিমধ্যেই কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর এবারে তাদের বাড়িও ভেঙে ফেলা হল।
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল সাতনা জেলার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পুলিসেশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এরপর শুরু হয় খোঁজ। এরপর শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় নাবালিকাকে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলেই খবর। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের বাড়ি।
কিছুদিন আগেই বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর ব্যালট পেপার খাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। আর এটি ঘিরেই সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এবারে এক সরকারী কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ঘুষের (Bribe) টাকা চিবিয়ে খাওয়ার। জানা গিয়েছে, সেই ঘুষের টাকা খাওয়ার পরও রেহাই পাননি তিনি। হাতেনাতে জব্বলপুরের লোকায়ুক্ত দলের (Jabalpur Lokayukta's Special Police Establishment) কাছে ধরা পড়েছেন তিনি। সোমবারের ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কাটনির।
পুলিস সূত্রে খবর, রাজস্ব দফতরের এক কর্মী গজেন্দ্র সিং এক জমির মামলায় চন্দন সিং নামের এক ব্যক্তির থেকে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে চন্দন সিং লোকায়ুক্ত দলকে অভিযোগ করেন। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একদিন গজেন্দ্রর প্রাইভেট অফিসে হানা দেয় লোকায়ুক্ত দল। আর তখনই হাতেনাতে গজেন্দ্রকে টাকা ঘুষ নিতে দেখে ফেলেন লোকায়ুক্তর আধিকারিকরা। তাঁদের দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি সেই ঘুষের টাকা মুখে পুড়ে নেন গজেন্দ্র সিং। চিবোতেও থাকেন সেটা। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে সূত্রের খবর।
তবে সেই টাকা খেয়ে ফেলার পর তাঁকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এরপর অনেক চেষ্টা করে তাঁর মুখ থেকে সেই টাকা বের করে আনা হয়। সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। চিকিৎসকরা পরে জানান যে, গজেন্দ্রর অবস্থাও স্থিতিশীল।
বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) কোচে ভয়াবহ আগুন (Fire)। ঠিক এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটিতে (Viral Video) দেখা গিয়েছে কিভাবে বন্দে ভারতের তলায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। সোমবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) কুড়ওয়াই কেথোরা এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল কর্মীরা। যদিও কোচের মধ্যে থাকা যত্রীদের সুস্থভাবে বাইরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় রেল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তলায় থাকা ব্যাটারির বাক্সে ব প্রথমে আগুন দেখা দিয়েছে। দমকল বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং আগুন নিভিয়েছেন। ব্যাটারি বক্সে আগুন দেখা গেলেও সেখানে কী ভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।
ফের টোম্যাটো (Tomato) নিয়ে মজাদার খবর প্রকাশ্যে। এবারে টোম্যাটো নিয়েই ঝগড়া স্বামীও স্ত্রীর। আর এই ঘটনার জল গড়াল পুলিস স্টেশন পর্যন্ত। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শাহদোলের (Shahdol)। আকাশছোঁয়া হয়েছে টোম্যাটোর দাম। ফলে কোথাও শোনা যাচ্ছে, সোনা-গয়না-টাকার বদলে চুরি করা হচ্ছে টোম্যাটো, আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে, টোম্যাটোর জন্য সবজির দোকানে রাখা হচ্ছে বাউন্সার। আর এবারে এই টোম্যাটো নিয়েই হয়ে গেল বর-বউয়ের ঝগড়া। আর এর ফলে বাড়ি ছেড়েও চলে গেলেন স্ত্রী, এমনটাই দাবি স্বামীর।
জানা গিয়েছে, সেই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর টিভিন সার্ভিস রয়েছে। ফলে তিনি সেই সব টিফিন বানানোর জন্য খাবারে দুটো টোম্যাটো ব্যবহার করেছিলেন, তবে তা স্ত্রীর থেকে অনুমতি না নিয়ে। আর এতেই নাকি চটে যান তাঁর স্ত্রী। আর এই ঝগড়া এমন অবস্থায় যায় যে তিনি তাঁর সন্তানকে নিয়ে বাড়িই ছেড়ে চলে যান। এরপর তাঁকে খোঁজার অনেক চেষ্টা করার পর তাঁকে না পেলে স্থানীয় পুলিস স্টেশনের দ্বারস্থ হন তিনি।
এরপর শাহদোলের স্টেশন হাউস অফিসার সঞ্জয় জয়সওয়াল জানান যে, সঞ্জীব পুলিসের কাছে এই ব্যাপারে জানালে তাঁরাও খুঁজতে করেন। অবশেষে তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তিনি ঝগড়ার পর কষ্ট পেয়ে বাড়ি ছেড়ে উমারিয়ায় তাঁর বোনের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তবে তিনি ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) প্রস্রাব কাণ্ড (Urination Case) নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। আদিবাসী শ্রমিকের গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় এবারে এল নতুন মোড়। নির্যাতিত দাশমত রাওয়াত জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন প্রথমে তিনি মিথ্যা বলেছিলেন। কিন্তু পরে অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লা সবটাই নিজে স্বীকার করে নেওয়ার পর দাশমতও পরে মুখ খোলেন।
নির্যাতিত দাশমত রাওয়াত জানিয়েছেন, গায়ে প্রস্রাব করার ভিডিও জুলাই মাসের প্রথম দিকে ভাইরাল হওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়। তখন দাশমত পুরোটাই মিথ্যা বলেছিলেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, ভিডিও-র নির্যাতিত ব্যক্তিটি তিনি ছিলেন না। আর এই ঘটনাটি ছিল ২০২০ সালের। এই ঘটনা নিয়ে কালেক্টরকেও মিথ্যা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি পরে আরও বলেন, 'আমি সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম। বুঝতেই পারিনি, গায়ে কে প্রস্রাব করেছিল। এরপর আমাকে পুলিস স্টেশন ও পরে কালেক্টরের কাছে নিয়ে গেলে প্রথমে মিথ্যাই বলি। কিন্তু পরে অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লা নিজেই ঘটনাটি স্বীকার করলে এরপর আমিও মেনে নিই।'
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লাকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করার পর দাশমত তার মুক্তির আর্জি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। তিনি বলেছেন, 'উনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। এখন তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত।'
আদিবাসী শ্রমিকের (Tribal Labourer) গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই ঘটনা নিয়ে। ফলে এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তাঁর অবৈধ সম্পত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এবারে এই অভিযুক্তের মুক্তির জন্য আর্জি জানালেন খোদ নির্যাতিতা দাশমত রাওয়াত। তিনি মধ্যপ্রদেশ সরকারের (Madhya Pradesh) কাছে তাঁর মুক্তি চেয়ে বলেছেন, 'তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন।'
বেশ কয়েকদিন ধরেই গায়ে প্রস্রাব করার ভিডিও নিয়ে তোলপাড় ছিল রাজ্য-রাজনীতি। পরে তাই অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লাকে গ্রেফতার করে পুলিস ও তার অবৈধ সম্পত্তিও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। শুধু তাই নয়, মুখ্য়মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নির্যাতিত দাশমতকে তাঁর বাসভবনে নিয়ে গিয়ে তাঁর পা ধুইয়ে দেন ও তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এরপর তাঁর কাছে ক্ষমাও চান মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর এই ঘটনার পরদিনই দাশমত অভিযুক্তের জন্য মুক্তির অনুরোধ করেন। তিনি মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছেন, 'প্রভেস শুক্লাকে এবারে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তিনি যা করেছেন, সেটা যে ভুল, তিনি বুবঝতে পেরেছেন।' তিনি আরও বলেন, 'উনি আমাদের গ্রামের পণ্ডিত। আমরা সরকারের কাছে তাঁর মুক্তির দাবি করেছি।'
আদিবাসী শ্রমিকের (Tribal) গায়ে প্রস্রাব (Urination Incident) করা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো দেশজুড়ে। এবারে এই বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার সেই আদিবাসীর পা ধুইয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh chouhan)। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছে ক্ষমাও চাইলেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের এক যুবকের অত্যন্ত ঘৃণ্য কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, তার নাম প্রভেস শুক্লা। এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সিধি জেলার বেহরী থানা এলাকার। অভিযোগ উঠেছে, গত ৯-১০ দিন আগে ওই এলাকার একটি মোবাইল দোকানের সামনে বসে থাকা এক আদিবাসীর মুখে প্রস্রাব করে অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর মঙ্গলবার বেহরী থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সিধি জেলার পুলিশ সুপার ডঃ রভিন্দ্র বর্মা জানান, প্রভেশ শুক্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪,৫০৪ ধারায়, এনএসএ এবং এসসি/এসটি অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করার পরই বুধবার জানা যায়, তার সম্পত্তির কিছু অবৈধ অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের তরফেই নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরপরই আজ দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সেই আদিবাসী শ্রমিক দাশমাত রাওয়াতকে তাঁর বাসভবনে নিয়ে গিয়ে তাঁর হাত-পা ধুইয়ে দেন। এরপর তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন ও তাঁকে একটি সাদা রংয়ের উত্তরীয় পরিয়ে দেন ও দিয়েছেন কিছু উপহার। আবার দাশমাতের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানকে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি গা শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। অভিযোগ উঠেছে, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক যুবক এক আদিবাসী শ্রমিকের (Labourer) গায়ের উপর প্রস্বাব করেছে। আর সেই ভিডিও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan) চোখে পড়তেই মঙ্গলবার তিনি তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেন। এরপর সেদিন রাতেই সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আর এবারে জানা গিয়েছে, তাকে 'শাস্তি' দিতে তার বাড়িতে চালানো হল বুলডোজার (Bulldozer)।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম প্রবেশ শুক্লা। আর এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ঘটেছে। এনএসএ-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এরপর বুধবার জানা গিয়েছে, তাকে শাস্তি দিতে তার বাড়িতে চালানো হয়েছে বুলডোজার। তার বাড়ির নির্মাণ অবৈধ বলে দাবি করা হয়েছে, ফলে সেই বাড়ি ভাঙা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আজ তার বাড়িতে বুলডোজার আসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁদের উপস্থিতিতেই তার বাড়ি ভাঙা হয়েছে।
এদিকে মধ্যপ্রদেশের গৃহমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র প্রবেশের এই ব্যবহারকে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। ফলে তার বাড়িতে বুলডোজার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার।
মধ্যপ্রদেশে (MadhyaPradesh) ঘটে গিয়েছে এক অপ্রীতিকর ঘটনা, যা নিয়ে শুরু জোর বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি এক শ্রমিকের (Labourer) গায়ের উপর প্রস্রাব করেছেন। আর সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ভিডিও পরবর্তীতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়তেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন শিবরাজ চৌহান (Shivraj Chouhan)।
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার এক ব্যক্তি রাস্তায় থাকা এক শ্রমিকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে। এরপর সেই শ্রমিকের গায়ের উপর প্রস্বাব করতেও দেখা যায় সেই ব্যক্তিকে। এরপর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হইহই পড়ে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে।
এই ভিডিও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের সামনে আসতেই তিনি জানান, সেই অভিযুক্ত এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের ব্যক্তির সঙ্গে এমন অসভ্য আচরণ করেছেন। ফলে তার উপর এনএসএ লাগু করা উচিত। সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তিনি কড়া পদক্ষেপও নিতে বলেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, 'তাঁর চোখে এমন ভিডিও পড়েছে। ফলে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সেই দোষীকে যেন অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয় ও তার উপর যেন এনএসএ ধারায় মামলা করা হয়।'
मेरे संज्ञान में सीधी जिले का एक वायरल वीडियो आया है...
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) July 4, 2023
मैंने प्रशासन को निर्देश दिए हैं कि अपराधी को गिरफ्तार कर कड़ी से कड़ी कार्रवाई कर एनएसए भी लगाया जाए।