
লটারি কাটার শখ তাঁর বহুদিনের।কিন্তু কখনোই শিকে ছেঁড়েনি ভাগ্যের।তাই অভ্যাস বশেই রবিবার বাজার করতে গিয়ে পাড়ার দোকান থেকেই কেটে আনেন লটারির টিকিট।এদিকে সকাল গড়িয়ে সবে বিকেল অমনি তাঁর জেতার খবর প্রকাশিত সংবাদপত্রে। জিতে যাওয়া টাকার সংখ্যাটাও বেশ অবাক করারই মত।এক নয়,দুই নয়,কড়করে বারো কোটি টাকা লটারিতে জিতলেন কেরালার কোট্টায়ামের বাসিন্দা সদানন্দ। পেশায় বাড়ি বাড়ি রঙ-এর কাজ করেন। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে রঙের কাজ করে আর্থিক অবস্থা কোনদিনই খুব স্বচ্ছল ছিল না সদানন্দ বাবুর। রবিবার বিকেলে এতো টাকা জেতার পরে নিজেই বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি।
সদানন্দ বাবু জানিয়েছেন, "রবিবার মাংস কিনতে গিয়ে পাড়ার বাজারের লটারির দোকানে খুচরো করাতে গিয়ে লটারির টিকিট কাটি। বিকেলে যখন জেতার খবরটা পেলাম তখনও পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারিনি।"
বারো কোটি টাকা জেতার পরে স্বভাবতই খুশির বন্যা সদানন্দের পরিবারে। খুশির আনন্দে ভাসছেন তাঁর দুই পুত্র এবং স্ত্রী। তবে অভাবের পরিবার তাই কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও সদানন্দবাবু এই লটারির টাকা নিয়ে করে রেখেছেন। পরিবারের ধার মেটানো,নতুন বাড়ি কেনার পরিকল্পনা সব কিছুই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সদানন্দ।
তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যাই থাকুক না কেন ,আপাতত লটারি জেতার আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত সদানন্দের পরিবার।
মাত্র ৬ টাকার লটারির টিকিট কেটে এক কোটি টাকার মালিক বীরভূমের তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল! খবরটা কতটা সঠিক, তা কেউই হলফ করে বলতে পারছেন না। কিন্তু লটারি সংস্থার তরফে এমন দাবি করায় স্বাভাবিকভাবেই দিনভর এটি চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
সোমবার দুপুর ১ টা নাগাদ লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। আর তাতেই দেখানো হয়েছে, তিনি লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন। তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ বীরভূমবাসীর। ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন দলীয় কর্মিসভার মঞ্চ থেকে "খেলা হবে" স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি এগিয়ে ছিলেন। অথচ এত বড় খেলা তিনি খেলে জিতে গেলেন, কেউ টেরই পেলেন না? দিনভর আলোচনার বিষয় ছিল এটাই। আবার জেলার তৃণমূল সভাপতি হয়ে তিনিও ৬ টাকার লটারির টিকিট কেটেছেন, এটা জেনেও অনেকে হতবাক।
অন্যদিকে, লটারির সংস্থার তরফ থেকে ফল প্রকাশের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের নামের উপর যে ছবি দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সত্যিই কি অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে টাকা জিতেছেন?
যদিও তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তবে তাঁর কাছ থেকে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডল টিকিট কাটেননি বলে দাবি এক লটারি বিক্রেতার।
এতদিন আমরা বারবার যে খবর দেখে এসেছি, তা হল, লটারি জিতে রাতারাতিই কোটিপতি হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। কিন্তু প্রদীপের নিচেই বোধহয় সবচেয়ে বেশি অন্ধকার থাকে। আর তাই ঘটল উলট-পুরাণ। লটারির টিকিট বেচে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। আর তার জেরেই নিয়ে ফেললেন চরম সিদ্ধান্ত।
এক লটারির টিকিট বিক্রেতার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই লটারির টিকিট বিক্রেতার নাম সুব্রত দাস। মৃতের মেয়ে সুপর্ণা দাস জানিয়েছে, তার বাবা সুব্রত দাস বেশ কয়েক বছর ধরে লটারির টিকিট বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। রবিবার সকালেও তিনি দোকানে যান। এরপর বাড়ি এসে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন এলাকার কাউন্সিলারের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা প্রিয়তোষ মুখার্জি। তিনি জানিয়েছেন, এলাকার খুব ভালো ছেলে ছিল সুব্রত। লটারি বিক্রি করে সংসার চলত তাঁর। লটারিতে অনেক টাকা লোকসান হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা বলে তিনি জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
একেবারে রাতারাতি ভাগ্যবদল। শীতে উৎসবের মরশুমে লটারির টিকিট কিনে এক কোটি টাকার মালিক ফরাক্কার এক যুবক। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিকিটে এক কোটি টাকা মিলতেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত ফরাক্কায় ওই যুবক নবাব শরীফ খান। তবে এরপর থেকেই এত টাকার মালিক হয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়া যান তিনি। হঠাৎ এত টাকা পেয়ে অবশেষে দেরি না করে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ফরাক্কার শ্রীরামপুর এলাকার যুবক নবাব শরীফ খান। পেশায় একজন লটারি বিক্রেতা তিনি। সম্প্রতি অন্যান্য সমস্ত টিকিট বিক্রি করলেও একটি টিকিট নিজেই কেটেছিলেন। আর তাতেই কার্যত ভাগ্য খুলে যায় তাঁর। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক কোটি টাকা মিলে যায় সেই লটারির টিকিট থেকেই। কোটি টাকা পাওয়ার আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠেন নবাব।
এদিকে লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার খবর মিলতেই নবাবের বাড়িতে কার্যত ভিড় জমে যায় পাড়া-প্রতিবেশীদের। নবাবের কাছে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে আসতে থাকে একাধিক ফোন। ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। ভয়ে পেয়ে যায় গোটা পরিবার। ফলস্বরূপ লটারির টিকিট নিয়ে শনিবার সকাল সকালই ফরাক্কা থানায় হাজির নবাব।
নবাব জানান, ২ বছর ধরে তিনি লটারির টিকিট বিক্রি করছেন। সংসারের অবস্থা খুব ভালো না হলেও চলে যাচ্ছিল। তবে তাঁর দোকানে কোনও দিন ৫০০-৬০০ টাকার পুরস্কারও পায়নি ক্রেতারা। তিনি প্রথম নিজের দোকান থেকে এদিন ওই টিকিটটি খেলার জন্য রেখেছিলেন। আর তাতেই বাজিমাত। তিনি আরও জানান, এই টাকা দিয়ে তাঁর সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা দেবেন। সঙ্গেই একটি বাড়িও বানাবেন বলে জানান তিনি।
তবে এই নিয়ে একাধিক জায়গার দেখা গেছে বিজয়ীরা এত মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। নবাবও এই একই পথেই হাঁটলেন। তবে লটারি পেয়ে খুশি নবাবের পরিবার।
একেই কি বলে ভাগ্য? বোধহয় তাই। না হলে এতো টাকা একসঙ্গে তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রায়গঞ্জের দক্ষিণ বরুয়া গ্রামের ভুটভুটি চালক দীপক দাস। চার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছয়। কিন্তু, শুধুমাত্র ভুটভুটি চালিয়ে খাবারের জোগাড় করতে গিয়ে একেবারে হিমশিম অবস্থা। মেয়েদের বিয়ে কীভাবে দেবেন, তা ভেবেই পাচ্ছিলেন না দীপক। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরার আশায় লটারির টিকিট কিনতে শুরু করেছিলেন। ভাবেননি, তাঁর ভাগ্যও কোনওদিন সুপ্রসন্ন হতে পারে। কিন্তু এবার ঈশ্বর মুখ তুলে চাইলেন। অবশেষে মাত্র ৬০ টাকার লটারির টিকিট কিনে ১ কোটি টাকা জিতলেন দীপক।
খুশির জোয়ার দীপক দাসের পরিবারে। রায়গঞ্জ থানার পুলিস উদ্যোগ নিয়ে হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। নিরাপত্তা সহকারে লটারি প্রাপক দীপক দাসকে থানায় নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে তারা। পুলিসের এই সহযোগিতায় খুশি গ্রামের বাসিন্দা থেকে দীপক দাসের পরিবার৷
অর্থ লাভের আশায় বছর দেড়েক ধরে নিজের দিনমজুরির রোজগারের কিছু অর্থ দিয়ে ৬ টাকা দামের লটারির টিকিট কেনেন তিনি। মাঝে দু-একবার ২-৫ হাজার টাকা পেলেও ভাগ্যে বড় অঙ্কের টাকা মেলেনি। কিন্তু মঙ্গলবার ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা।
কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় লটারির দোকানে টিকিট মেলাতেই দেখেন, তাঁর টিকিটে ফার্স্ট প্রাইজ ১ কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। লটারিতে কোটিপতি দীপক দাস বলেন, বাড়তি আয় আর মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার অর্থের জন্যই লটারির টিকিট কাটতাম। ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন।