Breaking News
Rujira: কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক পত্নী রুজিরাকে তলব ইডির      Railway: অসংক্ষরিত টিকিটের ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা থাকলে মৃতের পরিবার হয়ত টাকাটা পেত!      Railway: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পরিবারের কেউ নিখোঁজ! সনাক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রেলের      Train Accident: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ১০০      ED: মানিকের ফোন থেকেই কালীঘাটের কাকুর খোঁজ, ইডির কাছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য      DA: অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়      Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়      Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের      IPL: আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই বনাম গুজরাত, বৃষ্টি হলে কে জিতবে!      Prerona: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেরণার উদ্দেশে ভাষা সন্ত্রাস 'অনুপ্রেরণার'     

Lottery

Lottery: লটারি খেলেই বাজিমাত! কাজ না করেই প্রতি সপ্তাহে এই ব্যক্তি পাবেন ৮২ হাজার টাকা

যদি কোনও কাজ না করেই টাকা পাওয়া যেত, এমনটা হলে দারুণ হতো, তাই তো! কিন্তু এমনটা সম্ভবই নয়, কারণ জীবনে অর্থ উপার্জন করতে কাজ করতেই হবে। কিন্তু এক ব্যক্তি এতটাই ভাগ্যবান যে, তিনি কাজ না করেই টাকা পাবেন। এমনটা কীভাবে সম্ভব, এই প্রশ্নই মনে আসছে তো? তবে তিনি বিনা কাজেই টাকা পাবেন, এটা সত্যি। কিন্তু এই টাকা পাওয়ার ভাগ্য তিনি পেয়েছেন এক লটারির (Lottery) মাধ্যমে। এমন এক লটারি জিতেছেন যেখানে বলা আছে, তিনি  যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন প্রতি সপ্তাহে ৮০ হাজার টাকা করে পাবেন তিনি।

জানা গিয়েছে,  রবিন রাইডেল নামের এক ব্যক্তি ওরিগন লটারি গেমস (Oregon Lottery games) খেলে এই লটারিটি জিতেছেন। তিনি এই লটারি প্রায় গত ১৪ বছর ধরে খেলছেন। কিন্তু অবশেষে ভাগ্য খুলেছে তাঁর। সারা জীবনের মতো টাকা উপার্জন করার চাপ তাঁর মাথার উপর আর থাকল না। কারণ এমনই লটারি জিতেছেন তিনি। এই লটারিতে এমনটাই রয়েছে যে, যিনি এটি জিতবেন, তিনি বাকি জীবন প্রতি সপ্তাহে ১০০০ ডলার করে পাবেন। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ হাজার টাকা।

আরও জানা গিয়েছে, রবিন রাইডেল পেশায় একজনড ড্রাইভার। তিনি তাঁর লটারিতে জেতা সেই টাকা দিয়ে ভবিষ্যতের সমস্ত বিল মেটাবেন। তাঁর বাড়ি ভালো করে বানাবেন ও নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়ে সেখানে তাঁদের বিবাহ বার্ষিকী পালন করবেন।

3 weeks ago
Anubrata: লটারির টিকিট আদতে কালো টাকা সাদা করার পথ, আদালতকে শেখালো ইডি

লটারি (Lottery) নিছকই উপায়, আদতে লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। গরু পাচারকাণ্ডে চার্জশিটে (Chargesheet) এমনই দাবি ইডির (ED)। লটারির টিকিটের পিছনে যে দুর্নীতি আছে আগেই তা জানিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এবার চার্জশিটে তা খোলসা করল ইডি। একের পর এক লটারি কেটেছেন। পেয়েছেন কোটি কোটি টাকা। বীরভূমে তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লটারি-কাহিনি নিয়ে আগেও শোরগোল পড়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জমা পড়া তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডি দাবি করল, লটারি কেটে নয়, লটারির পুরস্কারপ্রাপকদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে টিকিট কিনে নিতেন বীরভূমের কেষ্ট। এ ভাবেই ২ কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ার আড়ালে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

ইডির দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, বোলপুরের লটারি বিক্রয়কেন্দ্র গাঙ্গুলি লটারি এজেন্সির সঙ্গে অনুব্রতর একটি বোঝাপড়া ছিল। সংশ্লিষ্ট ওই লটারির টিকিট বিক্রেতার থেকে সমস্ত খবর পেয়ে যেত অনুব্রত। যেমন কে কোটি টাকার পুরস্কার জিতল। এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পৌঁছে যেত অনুব্রতর কানে। তার বদলে লটারি বিক্রয়কেন্দ্রকে কিছু কমিশন দেওয়া হত। এরপর ওই লটারি বিজেতার সঙ্গে কোনওভাবে সংযোগ করে ওনার থেকে ওই টাকা দিয়ে লটারির টিকিটটি কিনে নিতেন অনুব্রত।

সূত্রের খবর, ইডির ওই চার্জশিটে উল্লেখ আছে, এ ভাবেই অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যা ৫০ লক্ষ টাকার দু’টি এবং ১ কোটি টাকা পুরস্কারমূল্যের একটি লটারির টিকিট কিনে নিয়েছিলেন। এ ছাড়াও ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালের মধ্যে সুকন্যা ৭৫ লক্ষ ৫৩ হাজার এবং ৫৬ লক্ষ টাকা লটারিতে জিতেছেন বলে ইডির দাবি। ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে, অনুব্রত জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং কন্যা সুকন্যা মোট ১০-১২ বার লটারি জিতেছেন। তার মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে ৫-৬ বার লটারিতে পুরস্কার জিতেছে তাঁর পরিবার।

4 weeks ago
Lottery: লটারি জিতে খুলে গেল ভাগ্যের চাকা! রতন টাটাকেও ছাড়িয়ে গেলেন যুবক

লটারি (Lottery) জিতেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই পেয়ে গেলেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। লটারির জোরে রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে আমেরিকার (America) এডউইন ক্যাস্ত্রোর। ভারতের শিল্পপতি রতন টাটাকেও (Ratan Tata) ছাড়িয়ে গেল এই যুবক। ক্যাস্ত্রোর লটারিতে জেতা অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ১৬ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। টাকার পরিমাণের জন্য ক্যাস্ত্রোকে ঘিরে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাবড় তাবড় ধনী ব্যক্তিদেরও টক্কর দিয়েছেন এই যুবক। অর্থের নিরিখে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি রতন টাটাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। 

জানা গিয়েছে, আমেরিকার ক্যাস্ত্রো লটারির টিকিট কিনেছিলেন। আর সেই লটারির জোরে রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে ক্যাস্ত্রোর। তিনি পেয়ে গিয়েছেন জ্যাকপট। গেল বছরেই নভেম্বরে লটারিতে বাজিমাত করেছেন ওই যুবক। তবে লটারির পুরস্কারমূল্যের পুরো টাকাটা হাতে পাননি ক্যাস্ত্রো। কর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাটছাঁট করে তাঁর হাতে এসেছে দাঁড়িয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এত টাকা পেয়েছেন শুনে স্বাভাবিক ভাবেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু পরে লটারি জয়ের উত্তেজনা সামলে এই টাকা কী ভাবে খরচ করবেন, সে নিয়ে আগাম পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।

আরও জানা গিয়েছে, টাকা পাওয়ার পর ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। ওই বিলাসবহুল বাড়িটির দাম ৩ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ২৪৫ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। তবে বাড়িটি কেনার সময় ৫০ লক্ষ ডলার ছাড় পেয়েছেন ওই যুবক। শেষে আড়াই কোটি ডলারে কিনেছেন ওই বাড়িটি। এমনকি যে এলাকায় নতুন বাড়ি কিনেছেন ক্যাস্ত্রো, সেটি অভিজাত এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউড হিলস এলাকায় বাড়ি কিনেছেন তিনি। হলিউডের অধিকাংশ তারকার বাড়ি ওই এলাকাতেই রয়েছে। ক্যাস্ত্রোর ১৩ হাজার ৫৭৮ বর্গফুটের ওই প্রাসাদোপম বাড়িটিতে রয়েছে এলাহি বন্দোবস্ত। ওই বাড়িতে রয়েছে জিম, মুভি থিয়েটার, সুইমিং পুল এবং একটি বিশাল বড় গ্যারাজ। যেখানে একসঙ্গে কমপক্ষে ৭টি গাড়ি রাখা যেতে পারে।  

লটারি জয়ের এমন অনেক ঘটনায় সামনে এসেছে বহুবার। তবে এত পরিমাণ টাকা জেতার খবর আগে শোনা যায়নি।

3 months ago


ED: লটারি-কাণ্ডে এক টিএমসি বিধায়কের স্ত্রী-সহ হাইকোর্টের আইনজীবীকে ইডির তলব

এবার লটারি-কাণ্ডে (Lottery Case) তৎপর ইডি। আর্থিক তছরূপ বা দুর্নীতির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে তৃণমূলের এক বিধায়কের স্ত্রী, এক লটারি বিজেতা এবং কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে তলব করেছে ইডি (ED)। চলতি মাসের ১১, ১৪ এবং ১৫ তারিখ তাঁদের ইডির দিল্লি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সম্প্রতি মধ্য কলকাতার এক তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) স্ত্রী-র লটারি জেতা ঘিরে শোরগোল পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কালো টাকা সাদা করতে এভাবে লটারিতে বিনিয়োগ। এই অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা।

এরপরেই এই অভিযোগের গুরুত্ব খুঁজতে তৎপর হয়েছে ইডি। পাশাপাশি নিয়োগ-কাণ্ডে ইডি সূত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির সময় তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত বিভিন্ন নথি, জিনিসপত্র সম্বন্ধে কাউকে না জানাতে তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুরোধ করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি তিনি ইডির আরেস্ট মেমো ও সিজার লিস্টে সই করেননি।

7 months ago
lottery: পঞ্চায়েত এলাকায় দোকানঘর পেতে লটারি, টিকিটমূল্য পাঁচ হাজার টাকা!

দোকান পাবার জন্য পাঁচ হাজার টাকার লটারি (lottery)! যা আবার অফেরৎযোগ্যও।  যা নিয়ে বিতর্ক বানারহাটের (Bannerhat) গয়েরকাটায়। এবার দেখা যাক, আসল ঘটনা কী?

লটারির আয়োজন করেছে সাঁকোয়াঝোরা (Sankwajhora) ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। টিকিটমূল্য পাঁচ হাজার টাকা। ১১ জন ভাগ্যবান পেতে পারেন এই দোকান (shop)। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত (condition)। যাঁরা লটারিতে দোকান পাবেন, তাঁদের ফের অফেরৎযোগ্য ১ লক্ষ টাকা জমা করতে হবে। পাশাপাশি দিতে হবে দোকানঘর ভাড়া বাবদ মাসে ২ হাজার টাকা। বৈদ্যুতিক বিল দিতে হবে নিজের পকেট থেকে। এরকমই লাভজনক লটারি বিক্রির নোটিশ জারি করা হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। যা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই গয়েরকাটায় তুমুল বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমন অদ্ভুত প্রক্রিয়ায় দোকানঘর বন্টন নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের নোটিশের বিরোধিতা বিরোধীদের, সঙ্গে প্রত্যাহারেরও দাবি।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নোয়ন দফতরের অন্তর্গত আইএসজিপি প্রকল্পের অর্থানুকুল্যে বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটা ফুটবল ময়দানে নির্মাণ করা হয় একটি গ্যালারির। যার ওপরে রয়েছে বসে খেলা উপভোগ করার জায়গা ও পিছন দিকে নিচে একইসঙ্গে নির্মাণ করা হয় ১১ টি দোকানঘর। গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি এই প্রকল্প জেলায় সর্বপ্রথম হওয়ায়, প্রশংসাও কুড়িয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্যস্তরের।

তবে এখানে দোকানঘর বন্টনের বিষয়টির বিরোধিতা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের দাবি, লটারিতে যাঁরা দোকানঘর পাবেন না, অন্তত তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি যাঁরা দোকানঘর পাবেন, তাঁদের কাছ থেকে কম টাকা নেওয়া হোক।

যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, টাকা দোকানঘর আবেদনপত্রের জন্য নেওয়া হচ্ছে। তা দিয়ে এলাকার জন্যই উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।

অন্যদিকে বিজেপির ধূপগুড়ি উত্তর পূর্ব মণ্ডলের সভাপতি কৌশিক নন্দী বলেন, "আমরা প্রথমে শুনেছিলাম যে গরীব মানুষদের সহযোগিতার মাধ্যমে এলাকার জীর্ণ অর্থনীতির হাল ফেরাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই করোনার কারণে প্রত্যেকেই অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন। তারমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত যদি দোকান বন্টনের জন্য ৫ হাজার টাকা করে প্রত্যেকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে, তাহলে তা অনৈতিক কাজ হবে। আমরা দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিধায়ক, সাংসদ ও অন্যান্য মহলে জানাবো। কর্তৃপক্ষের উচিৎ এই নোটিশ প্রত্যাহার করে মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া।"

10 months ago


Nadia: লটারি খেলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র শান্তিপুর

মঙ্গলবার লটারি খেলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নদিয়ার শান্তিপুর শহর। শুরু হয় বচসা, এরপর হাতাহাতি। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় শান্তিপুর থানার পুলিস বাহিনী। চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন টিকিট ক্রেতারা।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শুরু হয় শান্তিপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মেজ গোপাল পাড়ায় লটারী খেলা। প্রথম দিকে সমস্ত কিছু ঠিক চললেও পড়ে এই খেলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেই। সামাল দিতে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামলায়।

টিকিট ক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০০ টিকিট কর্তৃপক্ষ আত্মগোপন করেছিল খেলা শুরুর আগেই। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন টিকিট ক্রেতারা। জবাব চাইলে উত্তর দিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। এরপরই পরিস্থিতি বিগরায়। শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। এক-দু কথায় হাতাহাতিতে পৌঁছয় তা।

অন্যদিকে গোপন সূত্রে জানা যায়, এই খেলার কোনও পুলিসি পারমিশন ছিল না। অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে প্রচুর মানুষের ভিড়ে অবরোধ থাকে। তবে এই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস।

11 months ago
Lottery: লটারিতে নিঃস্ব হয়ে আত্মঘাতী যুবক, ওই গ্রামেই মত্স্যজীবী পেলেন এক কোটি

একজন পেলেন, আর একজন পেলেন না। যিনি পেলেন না, তিনি নিজেকে শেষ করে দিলেন। এমনও হয়? বাস্তবে হল তাই। লটারি কেটে সর্বস্বান্ত হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার রঘুনাথপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিমারির মহিষদা গ্রামের যুবক সুরজিৎ চন্দ্র। অবশেষে দিনকয়েক আগে তিনি বেছে নেন আত্মহননের পথ। অন্যদিকে ডিমারির পাকুড় গ্রামের ফুটপাতে মাছ বিক্রি করেন মৎস্যজীবী শক্তি বর্মণ। দিন আনা দিন খাওয়া ওই মৎস্যজীবী লটারিতে এক কোটি টাকা পেলেন। খুশির হাওয়া শক্তিবাবুর পরিবারে। কী অদ্ভুত সমাপতন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিমারিতে।

তবে লটারি কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মহত্যার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেই জানান তিনি। শক্তিবাবু বলেন, আশা করা ভালো, কিন্তু লোভ ঠিক নয়। সবার আগে তাঁর সংসারের কথা ভাবা উচিত ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরজিৎ লটারির নেশাতেই সর্বক্ষণ বুঁদ হয়ে থাকতেন।

সুরজিতের মণিহারি দোকান ছিল। তিনি দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার লটারি কাটতেন।

হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে গেলেও তিনি ফের লটারি কাটতেন। পরিবারের দাবি, সেই কারণেই আত্মঘাতী হন সুরজিৎ।

12 months ago
Shantipur: লটারিতে সরস্বতী লাভ! প্রথম প্রাইজ রবীন্দ্র রচনাবলী

লটারিতে (lottery) ফেরে ভাগ্য! তবে ১০০ জনের মধ্যে একজনের। বাকি ৯৯ জন হয় সর্বস্বান্ত। তবুও একজন হওয়ার দৌড়ে, নেশায় পরিণত হয় স্বল্প রোজগেরে লাখ লাখ মানুষের। সরকারি আয়ের উৎস হিসেবে লটারি টিকিট কাটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। এ তো গেল লটারির মাধ্যমে লক্ষ্মী প্রাপ্তি। অর্থাৎ অর্থপ্রাপ্তির গল্প। তবে এরই পাশাপাশি আরও একটি গল্প রয়েছে। লটারির টিকিট কেটে বিত্তবান বা ধনী নয়, সুযোগ রয়েছে সরস্বতী লাভের অর্থাৎ জ্ঞানলাভের। নদিয়ায় (nadia) এই ধরনের কাজে খুশী সকল বইপ্রেমীরাই। 

বাংলার খ্যাতনামা কবি সাহিত্যিকদের মূল্যবান লেখা। দু-একবার লাইব্রেরি থেকে নিয়ে পড়ার সুযোগ হলেও, অত্যাধিক দাম হওয়ার কারণে, তা কখনও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি অনেকেরই। পাঠ্যপুস্তকের যে পরিমাণে দাম বেড়েছে, তাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক না কিনে উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতার বই কেনার সামর্থ্য থাকে না অনেকেরই। এই ধরনের বেশকিছু আত্মউপলব্ধি নিয়ে শান্তিপুর "আমাদের ঠেক" সংস্থার পক্ষ থেকে অভিনব এক লটারি চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে, প্রাইভেট টিউশন এবং কোচিং সেন্টারগুলোতে  শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিক্রি করছেন লটারি টিকিট। যে টিকিটের প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে রবীন্দ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় পুরস্কার অক্সফোর্ড ডিকশনারি, তৃতীয় পুরস্কার শরৎসমগ্র এভাবেই উপেন্দ্রকিশোর সুকুমার রায়, বিভূতিভূষণ, শরৎচন্দ্র, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র, কাজী নজরুল ইসলামসহ এক এবং অদ্বিতীয় মূল্যবান ১৪ টি বই থাকছে পুরস্কার হিসেবে। থাকছে ৩৬ টি সান্তনা পুরস্কার, এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যের বই-ই থাকবে। যার মধ্যে বাদ যাচ্ছেনা, বিভিন্ন গোয়েন্দা গল্প, হাসির কবিতা প্রবন্ধ, চাষবাস, রান্নাবান্না, খেলাধুলা। আগামী ১৪ ই মে নির্ধারিত হতে চলেছে ২০০০ বইপ্রেমীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে।

উদ্যোক্তারা জানান, "খরচ বাদে সমস্ত লভ্যাংশ খরচ করা হবে বিভিন্ন সামাজিক কাজে এবং দুস্থদের বই বিতরণের মাধ্যমে। কারণ প্রত্যেকেই কম-বেশি কর্মের সঙ্গে যুক্ত আছি আমরা। একঘেয়ে কাটাতে মামার চায়ের দোকানে আসা, কাজের ফাঁকে খুব কম সময়ে পেলেও সেখান থেকেই বিভিন্ন মানুষকে তাঁদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে কর্মে অনুপ্রাণিত করা, রক্তদান, বস্ত্রদানের মতো বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পূরণে ইচ্ছা জাগে সকলের। তাই মাঝেমধ্যেই পিছিয়ে পড়া পরিবারকে সমাজের মূল স্তরে আনার নানান রকম চেষ্টা করে থাকি। তবে এবারের উদ্যোগ সম্পূর্ণ আলাদা, বিভিন্ন লাইব্রেরীগুলিতে পাঠক লুপ্তপ্রায় হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ লকডাউনে এবং বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সাধনে স্বল্প দামে কেনা এন্ড্রয়েড মোবাইলে হাতের মুঠোয় চলে আসছে গোটা পৃথিবী। তাই বই পড়ার আগ্রহ কমছে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের। সকলে না হলেও কিছু মানুষ যদি এই বই পাওয়ার পর পড়ে সেখানেই আমাদের সার্থকতা।"

অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে লটারি কাটার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারাও জানায়, অনেকদিন লকডাউনে পরিবার প্রধানের কাজকর্ম বন্ধ ছিল। সংসারের খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তার মধ্যে পড়াশোনার বই এর খরচ বেড়েছে অনেকটাই। এ ধরনের প্রবন্ধ উপন্যাস গল্পের বই অভাবী পরিবারের কাছে আড়ম্বরতা ছাড়া কিছু নয়।

one year ago


Alipurduar: লটারি ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র ব্যবসা? গ্রেফতার ১, মূল অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিস

আলিপরদুয়ার জেলার অসম সীমানাবর্তী বারবিশায় দুটি দেশী পিস্তল সহ দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করল কুমারগ্রাম থানার বারবিশা ফাঁড়ির পুলিস। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ওই অভিযানে  বারবিশা লস্করপাড়া এলাকায় একটি লটারির গোডাউন থেকে এক যুবককে দুইটি দেশী পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি সহ পাকড়াও করা হয়। জেলা পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম জয় দাস (২৩)। সে গোপাল দাস নামক এক লটারি ব্যবসায়ীর গোডাউনে কাজ করে।

এই বিষয়ে কুমারগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকার বলেন, বারবিশার বাসিন্দা গোপাল দাস এক বছর আগে একবার অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছে। সম্প্রতি সে আবার অস্ত্র দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিস গোপালের ওপর নজর রাখছিল। গোপাল দাস বেশিরভাগ সময়ই বারবিশার বাইরে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে খবর আসে গোপাল বাড়িতে ফিরেছে। রাতে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে পুলিস। সে কোনওভাবে পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্ধকারের সুযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । সে সময় গোডাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় জয় দাস নামে তার কর্মচারীকে। তাকে জেরা করে উদ্ধার হয় দুইটি দেশী পিস্তল সহ দুই রাউন্ড গুলি।

জয় দাস পুলিসি জেরায় জানায় , গোপালের কাছে আরও অস্ত্র আছে। ধৃতকে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে পুলিসের তরফ থেকে। তাকে জেরা করে গোপালকে ধরবার ছক কষছে পুলিস। যদিও গোপাল দাসের পিতা অস্ত্র ব্যবসার কথা অস্বীকার করেছেন।

one year ago
Jalpaiguri: মানবিক পুলিস,স্বপ্নপূরণে একধাপ এগোল জলপাইগুড়ির নবামবিকা

ইংরেজি'তে(English) স্নাতক(Graduation), স্বপ্ন ডব্লিউবিসিএস(WBCS) পাশ করে বড় অফিসার হওয়া। কিন্তু লটারি বিক্রেতার কন্যার সেই স্বপ্নপূরণে বাধ সেধেছিল আর্থিক সংকট । তা দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) পুলিস(Police)। পুলিসের এই মানবিক মুখ স্বপ্ন পূরণের পথে একধাপ এগিয়ে দিল জলপাইগুড়ির নবামবিকাকে।

জলপাইগুড়ি শহরের আদরপাড়ার বাসিন্দা নবামবিকা দাশগুপ্ত। বাবা নাড়ুগোপাল দাশগুপ্ত লটারি বিক্রেতা(Lottery seller)। দীর্ঘদিন আগে পথদুর্ঘটনায় নাড়ুগোপাল বাবু ডান-হাত খুইয়েছিলেন। তারপর থেকেই শহরের স্টেশন রোডে একফালি দোকানে বসে লটারি বিক্রি করেই সংসার চলে তাঁর। দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে নবামবিকা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী(Meritorious student)। জলপাইগুড়ি প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে ইংরেজি'তে স্নাতক হয় ২০২১ সালে। স্বপ্ন ছিল ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে মস্ত অফিসার হবে সে। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। কারন এতবড় পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ নিতে গেলে অনেক টাকার দরকার। কিন্তু সেই সার্মথ্য ছিল না বাবা নাড়ুগোপাল বাবুর।

লটারির দোকান থেকেই তাঁর সংসার চলত। সেই দোকানে বাবা'কে কাজে  সাহায্য করত নবামবিকাও।  কিন্তু করোনার প্রকোপে সেই রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই কোপই এসে পড়ে  নবামবিকার পড়াশোনার ওপর। স্বপ্ন প্রায় ভেঙে যেতে বসেছিল তাঁর।

ঠিক সেই সময়ই পাশে এসে দাঁড়াল জলপাইগুড়ি পুলিস(Jalpaiguri police) । যে পুলিস চোর,ডাকাত  ধরতে বা অপরাধ দমনেই শুধু ব্যস্ত থাকত বলে ধারণা ছিল নবামবিকার। সেই পুলিসই  মানবিক হাত বাড়িয়ে দিল, তাঁর স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে। তাঁকে ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসার উপযুক্ত প্রশিক্ষণের জন্য শিলিগুড়ির একটি নামি বেসরকারি কোচিং সেন্টারে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে। সেই সেন্টারের দুই বছরের কোচিং এর ফি বাবদ প্রায় ৭৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে।

জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার(Police Super) দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, এর জন্য কোতোয়ালি থানার প্রত্যেক পুলিস আধিকারিক এবং কর্মী নিজের সাধ্যমত অর্থ দিয়েছেন।  জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি সহ সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে ডাক পেয়ে কোতোয়ালি থানায়( Kotwali police station ) এসেছিলেন নবামবিকা এবং তাঁর বাবা নাড়ুগোপাল দাশগুপ্ত। সাহায্যের পাশাপাশি নবামবিকার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সফল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানান পুলিস সুপার।  তাতেই আপ্লুত নবামবিকার বাবা।

আর মানবিক পুলিসের বাড়িয়ে দেওয়া হাত ধরতে পেরে একধাপ এগিয়ে যাওয়া নবমবিকা ফের সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

one year ago


lottery : সংসার চালাতে হিমশিম, ৩০০ টাকার টিকিটে হঠাৎ কোটিপতি তালদির রফিক

এমন দিন আসবে, ভাবতে পেরেছিলেন তিনি? লটারিতে টাকা পাওয়ার কথা শুনে এসেছেন এতদিন। কিন্তু নিজের ভাগ্যে যে শিকে ছিঁড়বে, তা বোধহয় স্বপ্নেরও (dream) অতীত ছিল। কিন্তু না, এবারে আর স্বপ্ন নয়, এবার তিনি সত্যিই কোটিপতি হলেন। সৌজন্যে লটারি (lottery)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদি পঞ্চায়েতের বয়েরসিং গ্রামের রফিক আলি গাজি মঙ্গলবার ৩০০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটেন। তালদি বাজারে একটি লটারির কাউন্টার থেকে তিনি টিকিট কাটেন। সন্ধ্যা হতেই সেই টিকিটের নম্বরে তাঁর এক কোটি টাকা লেগে যায়। সেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে তিনি সঙ্গীদের নিয়ে হাজির হন ক্যানিং থানায় (police station)। নিরাপত্তার কারণেই তিনি ক্যানিং থানার দ্বারস্থ হন  বলে জানান কোটিপতি রফিক আলি গাজি। পুলিশ-প্রশাসনকে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান।

দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কোনও কর্মসংস্থান ছিল না। কোনও এক সময় তিনি বেসরকারি চিটফান্ডের (cheat fund) এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তিনি প্রতারণার শিকার হন। আমানতকারীদের কয়েক লক্ষ টাকা নিজস্ব জায়গাজমি বেচে তাদের পরিশোধ করতে হয় তাঁকে। সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে ও বাবা-মা রয়েছেন। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন রফিক। কিন্তু হঠাৎই মঙ্গলবার কোটিপতি হওয়ায় তাঁর সঙ্গে খুশি এলাকাবাসীও।

one year ago
LOTTERRY লটারিতে কারচুপি? চেয়ার,টেবিল ভাঙচুর,রণক্ষেত্র হলদিবাড়ি

ভাগ্য ফেরাতে বহু মানুষ লটারির টিকিট কেনেন। নিজেদের ভাগ্য়কে পরীক্ষা করতে এমন বহু মানুষ আছেন যারা প্রায় প্রতিদিন লটারির টিকিট কিনে থাকেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী     সংগঠনের নাম দিয়ে লটারির টিকিট ছাপিয়ে ভুয়ো নম্বর খেলিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার।

লটারিতে কারচুপির অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। লটারি খেলায় সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে শেয়ার হোল্ডারদের বিরুদ্ধে। প্রথমে বেশ কিছু মানুষ ১০০ টাকার বিনিময়ে টিকিট কাটে কিন্তু পরে তাদের টাকা চোট গেছে বলেই অভিযোগ ওঠে। ভুয়ো নম্বার খেলানো নিয়ে স্থানীয় মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে খেলার মঞ্চসহ টেবিল চেয়ার ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়দের দাবি, ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল ১০০১ থেকে ৫০,৯৯৯ নম্বর পর্যন্ত টিকিটে এদিন খেলা হবে। অর্থাৎ মোট ৪৯,৯৯৯ টিকিটে খেলা হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবারের এই খেলায় প্রথম হওয়া টিকিটের নম্বর ৫৩১১৩, দ্বিতীয় টিকিটের নম্বর ৪২১১১, তৃতীয় ২৬১৯২, চতুর্থ ৩০৬৪৪, পঞ্চম ২২৬০৯,ষষ্ঠ ২৪১৭২। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ এতগুলো খেলার টিকিটই ছিল না ওই জায়গায়। তাহলে কীভাবে খেলা হল এত টিকিটের? তাই তাঁদের দাবি খেলাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো পদ্ধতিতে হয়েছে। ভুয়ো খেলা জানতে পেরেই তাঁরা তাঁদের টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরত না পেয়েই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপহারের তালিকায় ছিল, বাইক, ফ্রিজ, টোটো-সহ একাধিক জিনিস। নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় খেলা।  অভিযোগ, ৪৯,৯৯৯ টি খেলার কথা বলা হলেও ৫৩ হাজারের ঘরে গিয়ে প্রথম পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এরপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে।

ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস। পুলিস পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটকের কোনওরকম খবর নেই। যারা টিকিট কিনেছিলেন তাঁদের অধিকাংশই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। পরিকল্পনামাফিক তাঁদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন।

one year ago
lottery লটারিতে ৪০ লক্ষ টাকা জেতার লোভ দেখিয়ে ১৭ লক্ষ আত্মসাৎ, অবসাদে আত্মহত্যা

বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার দেখা গেছে, রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অনেকেই। ক্ষণিকে তাঁরা পরিণত হয়েছেন সেলিব্রিটিতে। কোটি টাকার মালিক হয়ে কেউ কিনেছেন ফ্ল্যাট, তো কেউ আবার সন্তানদের জন্য তা রেখেছেন জমিয়ে। অনেকেই আবার কোটি টাকা মেলাতেই ভয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় থানার। কয়েকদিন আগে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে কোটিপতি হয়েছেন, এই খবরে কম হইচই হয়নি।

এবার প্রতারণার কৌশল হিসাবে কাজে লাগানো হল সেই লটারিকেই। লটারিতে ৪০ লক্ষ টাকা জিতেছেন, এমন ফোনেই পাতা হয়েছিল প্রলোভনের ফাঁদ। তারপর দফায় দফায় ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাত। কিন্তু প্রতিশ্রুতিমতো বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ৪০ লক্ষ টাকা মেলেনি। অবশেষে অবসাদে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার মশাগাঁর ঘটনা। মৃত ব্যক্তির নাম শ্রীকান্ত ওঝা।

জানা গিয়েছে, নিজের জমি-বাড়ি বিক্রি করে, সর্বস্ব খুইয়ে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি, এমনটাই সুইসাইডিয়াল নোটে লিখে গেছেন ওই ব্যক্তি। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সুইসাইডাল নোট সহ যাবতীয় ফোন নাম্বার পুলিশ নিয়ে গেছে।

one year ago


Anubrata lottery লটারিতে কোটি টাকা! ধোঁয়াশাই রেখে দিলেন অনুব্রত

'পেলেও আমি পাবো, দিলেও আমি দেবো' লটারিতে কোটি টাকা জেতা প্রসঙ্গে উত্তর দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের গত সোমবার সর্বত্র শোরগোল পড়ে যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকা জেতার খবরে। কিন্তু এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনওবারই খোলসা করেননি। তবে লটারি সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, তিনি লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই দিনভর এটি চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। 

উল্লেখ্য, সোমবার শোরগোল তৈরি হওয়ার পরেই ডেউচাতে আয়োজিত জঙ্গলমহল উৎসব শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, "ওটা পরে হবে"। একইভাবে এই লটারির প্রসঙ্গ মঙ্গলবার এড়িয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল।

মঙ্গলবার বোলপুরের সার্কিট হাউসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিগম লিমিটেডের একটি বৈঠক ছিল। যে বৈঠক শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে এই লটারি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ফের উত্তর দেন, 'পেলেও আমি পাবো, দিলেও আমি দেবো। তোর জেনে কিছু লাভ আছে?' অনুব্রত মণ্ডলের ফের এমন উত্তরে লটারির টিকিটে জেতা টাকার ধোঁয়াশা আজও থেকে গেল।

one year ago
lottery winner : ১২ কোটি টাকার লটারি জিতে বাজিমাত কেরালার শ্রমিকের

লটারি কাটার শখ তাঁর বহুদিনের।কিন্তু কখনোই শিকে ছেঁড়েনি ভাগ্যের।তাই অভ্যাস বশেই রবিবার বাজার করতে গিয়ে পাড়ার দোকান থেকেই কেটে আনেন লটারির টিকিট।এদিকে সকাল গড়িয়ে সবে বিকেল অমনি তাঁর জেতার খবর প্রকাশিত সংবাদপত্রে।  জিতে যাওয়া টাকার সংখ্যাটাও বেশ অবাক করারই মত।এক নয়,দুই নয়,কড়করে বারো কোটি টাকা লটারিতে জিতলেন কেরালার কোট্টায়ামের বাসিন্দা সদানন্দ। পেশায় বাড়ি বাড়ি রঙ-এর কাজ করেন। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে রঙের কাজ করে আর্থিক অবস্থা কোনদিনই খুব স্বচ্ছল ছিল না সদানন্দ বাবুর। রবিবার বিকেলে এতো টাকা জেতার পরে নিজেই বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি।

সদানন্দ বাবু জানিয়েছেন, "রবিবার মাংস কিনতে গিয়ে পাড়ার বাজারের লটারির দোকানে খুচরো করাতে গিয়ে লটারির টিকিট কাটি। বিকেলে যখন জেতার খবরটা পেলাম তখনও পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারিনি।"


বারো কোটি টাকা জেতার পরে স্বভাবতই খুশির বন্যা সদানন্দের পরিবারে। খুশির আনন্দে ভাসছেন তাঁর দুই পুত্র এবং স্ত্রী। তবে অভাবের পরিবার তাই কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও সদানন্দবাবু এই লটারির টাকা নিয়ে করে রেখেছেন। পরিবারের ধার মেটানো,নতুন বাড়ি কেনার পরিকল্পনা সব কিছুই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সদানন্দ।

তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যাই  থাকুক না কেন ,আপাতত লটারি জেতার আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত সদানন্দের পরিবার।

one year ago