
মাসের শুরুতেই ফের ধাক্কা। উৎসবের মরশুমে ফের বৃদ্ধি করা হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas Price)। কিন্তু গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস নয়, বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। একধাক্কায় ১০০ টাকা বৃদ্ধি (Price Hike) করা হয়েছে ১৯ কেজি সিলিন্ডার অর্থাৎ বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম। ১ নভেম্বর তেল বিপণন সংস্থাগুলি সারা দেশে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম একলাফে ১০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। তবে ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত দুই মাসে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য এটি দ্বিতীয় মূল্যবৃদ্ধি। আজ অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকেই এই মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে।
বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির পর দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন দাম দাঁড়াল ১৮৩৩ টাকা। কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম হল ১৯৪৩ টকা, মুম্বইতে ১৭৮৫ টাকা ও বেঙ্গালুরুতে ১৯১৪.৫০ টাকা ও চেন্নাইতে ১৯৯৯.৫০ টাকা। ১৯ কেজি রান্নার গ্যাস হোটেল, রেস্তোরাঁয় সাধারণত ব্যবহার করা হয়। ফলে উৎসবের মরশুমে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ায় হোটেলের খাবারের দাম বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আর মাত্র কয়েকদিন, তার পরই শুরু হবে উৎসব। আর এই উৎসবের মরশুমেই বড় ধাক্কা পেল সাধারণ মানুষ। আজ থেকে ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক রান্নার (Commercial Gas) গ্যাসের দাম ২০৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলি। আগের মাসেই গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত ও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমানো হয়েছিল। কিন্তু মাস পেরোতে না পেরোতেই এবারে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম (LPG Price Hike) বাড়ানো হল, তাও আবার দুশো টাকার বেশি। এই দাম রবিবার অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকেই কার্যকর হয়েছে৷
এই দাম বৃদ্ধির পরে দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১৭৩১.৫০ টাকা৷ এদিকে চেন্নাইতে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ১৮৯৮ টাকা। মুম্বইতে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম হল ১৬৮৪ টাকা। আর কলকাতায় ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ১৮৩৯.৫ টাকা।
এর আগের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেই বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৭ টাকা কমানো হয়েছিল। ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দামও ২০০ টাকা কমানো হয়েছিল। কিন্তু ঠিক পুজোর মাসেই বাড়িয়ে দেওয়া হল বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম। ফলে এর থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, উৎসবের মরশুমে হোটেল, রেস্তোরাঁয় খাবারের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এর ফলে পকেটে টান পড়তে চলেছে নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের। তবে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়লেও গার্হস্থ্যের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
আরও সস্তা হল রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas)! কয়েকদিন আগেই দেশের মহিলাদের রাখির উপহার হিসেবে কেন্দ্রের তরফে গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানো হয়েছিল। এর ফলে আম জনতার পকেটে চাপ কিছুটা হলেও কমেছে। আর এবারে কমল কমার্শিয়াল অর্থাৎ ১৯ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। সূত্রের খবর, পাবলিক সেক্টর অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলি বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৮ টাকা কমালো। বাণিজ্যিক এলপিজি গ্রাহকদের (LPG Price Cut) স্বস্তি দিতেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাস অর্থাৎ অগাস্টে হোটেলে রান্নার জন্য ব্যবহৃত বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমানো হয়েছিল। তার আগে জুলাইতে ১৯ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ৭ টাকা। আর জুন মাসে ৮৩.৫০ টাকা কমেছিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। আর এই মাসে তা আবার কমানো হল। ফলে ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানোর পরই ফের নতুন মাসের শুরুতেই ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমায় বেজায় খুশি গৃহকর্ত্রী থেকে ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ।
আজ অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে ১৯ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হল ১৫২২.৫ টাকা। যেটা আগে ছিল ১৬৮০ টাকা। দাম কমায় কলকাতায় দাম দাঁড়াল ১৬৩৬ টাকা, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমে হল যথাক্রমে ১৪৮২ টাকা ও ১৬৯৫ টাকা।
গৃহস্থের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের (LPG Gas) দাম প্রায় বহু মাস ধরে অপরিবর্তিত ছিল। একমাত্র ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ধাপে ধাপে কমেছিল, আবার কখনও বৃদ্ধিও পেয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ১৪.২ কেজি গ্যাসের দাম একধাক্কায় ২০০ টাকা কমে যাওয়ায় দেশের মহিলাদের মুখে হাসি ফুটেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, রাখি বন্ধন (Rakhi Bandhan) উৎসবের আগে দেশের মহিলাদের জন্য এটাই উপহার ছিল প্রধানমন্ত্রীর তরফে। ফলে দাম কমে যাওয়ায় আদৌ কোনও সাশ্রয় হবে কিনা, এই নিয়েই সিএন-কে কী জানালেন শহরের গৃহকর্ত্রীরা।
কসবার এক গৃহকর্ত্রী পাপিয়া ভৌমিকের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল সিএন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানা গিয়েছে, তিনি একজন হাউস ওয়াইফ-এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীও। তাঁর খাবারের ব্যবসা রয়েছে। হেঁশেলের গ্যাসের দাম কমায় কী কী সুবিধা হল, তা নিয়ে বলতে গেলে তিনি জানান, গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হল। মাসের শেষে ২০০ টাকা সাশ্রয় হবে। এবারে বাড়িতেই বিভিন্ন রকমের খাবার তাঁর ছেলেকে তৈরি করে দিতে পারবেন তিনি। তাঁকে যখন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? তখন পাপিয়া ভৌমিক উত্তরে বলেন, 'আমার মনে হয় না এতে কোনও রাজনীতি রয়েছে। সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত মানুষদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমি করি। আমার মনে হয় না এর পিছনে কোনও পলিটিক্স আছে।' তবে তিনি আশাবাদী যে, বাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি যদি ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দামও কমে যায়, তবে আরও ভালো হয়।
অন্যদিকে সল্টলেকের এক গৃহকর্ত্রী অর্পিতা সরকারের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল সিএন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, গ্যাসের দাম কমে যাওয়ায় কী কী সুবিধা হয়েছে তাঁদের। তখন তিনি বলেন, 'বাজারের শাক-সবজির দাম কতটা পরিমাণে বেড়েছে, আপনারা জানেন। সেই জায়গায় রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমায় আমরা অত্যন্ত খুশি। আমাদের বাড়িতে মাসে দু'টো করে গ্যাস সিলিন্ডার লাগে। ফলে সেক্ষেত্রে মাসে ৪০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে আমাদের জন্য এটা অনেক বড় খুশির খবর। তাই আমরা চাই, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার যেন এভাবেই যেন সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আরও প্রকল্প আনেন। আর রাখি উৎসবের আগে এটি সেরা উপহার।' তাঁকে যখন উজ্জ্বলা প্রকল্পের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি জানান, যাঁদের মাসের শেষে রোজগার খুবই সীমিত, সেক্ষেত্রে তাঁদের মাসে ৪০০ টাকা করে সাশ্রয় হবে। যা অনেক বড় ব্যাপার। তাই আজ দেশের প্রত্যেকে মোদীজিকে দূর থেকেই আশীর্বাদ দিচ্ছেন। তাঁর জন্য শুভকামনা করছেন।
মাসের শুরুতেই দুঃখের খবর। এবারে দাম বাড়ল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের (Commercial LPG Gas) দাম। অয়েল মার্কেটিং সংস্থার (Oil Marketing Companies) তরফে জানানো হয়েছে সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস বা ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ১৭৮০ টাকা। তবে বাড়িতে ব্যবহৃত ১৪ কেজি রান্নার গ্যাসের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এর আগের তিন মাসে দাম কমেছিল বাণিজ্যিক এলপিজির গ্যাসের দাম। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে এর দাম কমেছিল। তবে মার্চ মাসে এই সিলিন্ডারের দাম কিছুটা বেড়েছিল। ১লা জুন অয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক এলপিজির দাম ৮৩ টাকা কমিয়েছিল। এর পরে দিল্লিতে এর দাম ১৭৭৩ টাকা হয়ে গিয়েছিল। মে মাসে বাণিজ্যিক এলপিজির দাম ১৭১.৫০ টাকা কমানো হয়েছিল। এপ্রিলেও এলপিজির দাম কমানো হয়েছিল ৯২ টাকা।
কিন্তু এবারে ৭ টাকা দাম বাড়ানোর পর দিল্লিতে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৭৭৩ থেকে ১৭৮০ টাকা হল। আবার কলকাতায় ১৯০২ টাকা, মুম্বইয়ে ১৭৪০ টাকা ও চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল ১৯৫২ টাকা।
স্বস্তি ফিরল মধ্যবিত্তদের। মাসের শুরুতেই ফের সুখবর। আগের মাসের মতো এই মাসেও রান্নার গ্যাসের (LPG Gas) দাম কমল। একধাক্কায় ৮৩.৫ টাকা দাম কমল রান্নার গ্যাসের। বৃহস্পতিবার, ১ জুন অয়েল মার্কেটিং সংস্থার (Oil Marketing Companies) তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার বা বাণিজ্যিক গ্যাসের (Commercial Gas) দাম কমেছে ৮৩.৫ টাকা। তবে গৃহস্থে ব্যবহৃত গ্যাস (Domestic Gas) বা ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মে মাসেও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম একধাক্কায় ১৭১.৫ টাকা কম হয়েছিল। এই মাসে ৮৩.৫ টাকা দাম হ্রাস পাওয়ায় আজ থেকে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল ১৮৭৫.৫০ টাকা। দিল্লিতে ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হল ১৭৭৩ টাকা। মুম্বই ও চেন্নাইয়ে দাম বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম দাঁড়াল যথাক্রমে ১৭২৫ ও ১৯৩৭ টাকা।
তবে আগের মাসের থেকে এই মাসে দাম কমানোর পরিমাণ কিছুটা কম হলেও এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ফের কমতেই খুশি ব্যবসায়ীরা। কারণ বাণিজ্যিক গ্যাস বা ১৯ কেজির সিলিন্ডার সাধারণত রেস্তোরাঁ, হোটেলেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু গার্হস্থ্যে স্বস্তি নেই। কারণ ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই রয়েছে। কলকাতায় ১৪.২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১১২৯ টাকা, দিল্লি-মুম্বই ও চেন্নাইয়ে গৃহস্থে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম যথাক্রমে ১১০৩, ১১১২.৫০ ও ১১১৮.৫ টাকা।