Breaking News
ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...      NIA: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ NIA     

KuntalGhosh

Ayan: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বহু পুরসভার চেয়ারম্যানের, তবে কি ইডির ডাক পাবেন তাঁরাও?

শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের (Ayan) সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট (OMR Sheet)। উদ্ধার প্রার্থীর তালিকা সহ অ্যাডমিট কার্ড ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। অয়নের অফিস হাতড়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। যা আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পারে বলে সূত্রের খবর।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় নাম জড়িয়েছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের। ইডির তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, শান্তনুর যাবতীয় তথ্য সরিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের অফিসে। পাশাপাশি ইডির তল্লাশিতে আর উঠে এসেছে, চাকরির প্রস্তুতির প্রতিষ্ঠান খুলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন পুরসভা গুলিতেও। অর্থাৎ শুধু শিক্ষা নয় এবার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরসভার চাকরিতেও। অভিযোগের তীর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের দিকে।

শনিবার দিনভর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের অফিস ও প্রতিষ্ঠানের নথি যাচাই করে এই তথ্য জানতে পারে ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, 'একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অয়ন। একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।' শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির বাইরে পুরসভার নিয়োগে কি এবার দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ একাধিক চাকরির নোটিফিকেশন এবং প্রার্থী তালিকা পাওয়া গিয়েছে অয়নের হার্ডডিক্সে।

শনিবার ইডি অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ কিছু ইলেকট্রনিক্স গেজেটে পাসওয়ার্ড থাকার দরুন সেগুলি ব্যাবহার করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ অয়ন শীলকে তাঁর সল্টলেকের অফিসে আনা হলে আধিকারিকরা সেই ইলেকট্রনিক্স গেজেটের পাসওয়ার্ড জানতে পারে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ব্যাঙ্কের নথি এবং কিছু লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই লেনদেন গুলি কবে করা হয়েছিল এবং অয়ন শীল কাদের মাধ্যমে ওই লেনদেন করেছিলেন তা নজরে রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। এছাড়া জেরার পর ইডি সূত্রের দাবি, শান্তনু-কুন্তলের মিডল ম্যানরা ছড়িয়ে পড়েছিল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়। এ যাবতীয় সমস্ত নথি অয়নের অফিস হাতড়ে খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

one year ago
Soma: 'আমার ফেস লস হয়নি', টাকা ফেরত দিয়ে দাবি কুন্তল ঘনিষ্ঠ সোমার

ইডির (ED) দেওয়া ৫দিন সময়ের মধ্যেই কুন্তল ঘোষের টাকা ফেরত দিলেন সোমা চক্রবর্তী। অভিনেতা বনির পাশাপাশি কুন্তলের টাকা ফেরত দিলেন নেইল আর্ট পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তী (Soma Chakrabroty)। সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'কুন্তলের (kuntal Ghosh) যে অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সেই অ্যাকাউন্টেই টাকা ফেরত দিয়েছি।'

এদিন তিনি আরও জানান, তাঁর ব্যবসার মূলধন থেকে ওই টাকা ফিরিয়েছেন তিনি। এদিন টাকা ফেরত দেওয়ার পর ইডির থেকে ক্লিনচিট পান তিনি, জানান সোমা দেবী। সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'এরপর থেকে কোনও ব্যাঙ্ক লেনদেনের আগে অবশ্যই সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে জেনে নেবেন।' কুন্তলের ব্যপারে আগেভাগে কিছুই জানতেন না বলে দাবি সোমা চক্রবর্তীর। কুন্তলের বিষয়ে এদিন তিনি বলেন, 'কুন্তলের সঙ্গে এমনিই বন্ধুর মতো দেখা করেছিলাম, আলাপ দীর্ঘ হওয়াতে তাঁর থেকে ব্যবসার জন্য লোন নিই।' এরপরেও যদি ইডি ডাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। 

one year ago
Bony: 'ভুল হয়ে গিয়েছিল, শুধরে নিলাম', টাকা ফেরতের পর বললেন বনি

আমি কোনো ভুল করি নি, যা করেছি নিজের সিদ্ধান্তে ভুল শুধরে নিয়েছি, কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) থেকে দামি গাড়ি উপহার পাওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Actor Bony)। শিক্ষক নিয়োগ-কাণ্ডে (Education Scam) শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের পর নাম জড়িয়েছে কুন্তল ঘোষের, জেরায় কুন্তলের সঙ্গে অভিনেতা বনির যোগসূত্র খুঁজে বার করে ইডি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে এই যোগ বেড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা জানতে পারে কুন্তল, বনিকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে অর্থ দিয়েছিলেন। এরপরেই  শুরু হয় তোলপাড়। যদিও অভিনেতার দাবি, 'কুন্তল বলেছিল প্রোগ্রাম করে সেই টাকা মিটিয়ে দিতে। প্রাথমিক ভাবে একটা ছবি তৈরি কথা হলেও, সেই ছবি তৈরি হয়নি।'

তবে শুক্রবার সিএন-র সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমাকে চাপ দিয়ে কিছু করাতে পারবে না, নিজের অজান্তে একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল সেটাই শুধরে নিলাম।' এরপরে টাকা ফেরত দিতে দেরি কেন, এই প্রশ্ন করা হলে বনি জানায় টাকার পরিমানটা নেহাৎ কম নয়, আমি জানতাম না কুন্তল আদতে কেমন। এদিন তিনি আরও বলেন, 'কুন্তল পিছনে পিছনে কী করত সেটা আমার জানা সম্ভব ছিল না, একপ্রকার ভালো সম্পর্ক হয়ে যাওয়ায় ভুলটা করে ফেলি।'

সব ভুল শুধরে ফেলে ঠিকের দিকে এগিয়ে টলিউডে স্বমহিমায় ফিরবেন বলে জানান অভিনেতা।

one year ago


ED: কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ইডিকে ফেরালেন বনি, সোমাও একই পথে হাঁটলেন

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি(Teacher Recruitment Scam) নিয়ে কুন্তল ঘোষ(Kuntal Ghosh)এখন খবরের শিরোনামে। পাশাপাশি কুন্তলের সূত্র ধরে দু'বার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। একইভাবে নেইল আর্ট পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তী ইডির ডাক পেয়েছেন। এবার এই দুজন কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিল ইডিকে। জানা গিয়েছে, এই দু'জনের থেকে পাওয়া প্রায় এক কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি (ED)।     

 সূত্রের খবর বনি সেনগুপ্ত বৃহস্পতিবার ইডি-কে ডিমান্ড ড্রাফটে ৪৪ লক্ষ টাকা ফিরিয়েছেন। যদিও চলতি সপ্তাহেই বনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ওসব আমার টাকা। একইভাবে সোমা চক্রবর্তী ফিরিয়েছেন ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা।      

ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল এই দু'জনকে সেই অ্যাকাউন্টেই টাকা ফেরত এসেছে। দু-জনের ফেরত দেওয়া মোট ৯৯ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফ্রিজ করেছেন ইডি আধিকারিকরা।

ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে বনি জানান গাড়ি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। একটা ছবি তৈরির ব্যাপারে কথা হলেও সেটা পরে এগোয়নি। কুন্তল বলেছিল প্রোগ্রাম করে সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে। একইভাবে সোমা জানিয়েছিলেন, সোমা চক্রবর্তী তাঁর নেল পার্লারের ব্যবসার জন্য টাকা ধার নিয়েছিলেন।

ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, কুন্তল ঘোষের মোট ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই ১টি অ্যাকাউন্টে থাকা কোটি কোটি টাকা নিয়োগ দুর্নীতিরই, অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই টাকা বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। কুন্তলের পরিবারের অ্যাকাউন্টে কোন টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। 

one year ago
Bony: বনির পাশে অভিনেতা জয়জিৎ! বললেন, 'ওর মধ্যে অস্বচ্ছতা দেখিনি'

নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সূত্রে ইডির ডাক (ED Summon) পেয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bony Sengupta)। গত একসপ্তাহে দু'বার কেন্দ্রীয় সংস্থার সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে হাজিরা দেন অভিনেতা। বনির ইডি নোটিস নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বাংলা বিনোদন জগত। একটা অংশ ঘুরিয়ে তরুণ অভিনেতার সমালোচনায় সরব। অপর একটি বনির পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। দ্বিতীয় এই অংশে এবার যুক্ত অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Jayjit Banerjee) নাম। টলিউডের ছোট এবং বড় পর্দার এই পরিচিত মুখ বাংলা এক  অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'বনিকে আমি বহু বছর ধরে চিনি। ওর মধ্যে আমি কোনও অস্বচ্ছতা দেখিনি।' 

তাঁর সংযোজন, 'আমরা শিল্পী। কাজ করি, পারিশ্রমিক নিই। জিএসটি কেটে টাকা ঢোকে ব্যাঙ্কে। আর মাচা শো করলে আর্টিস্ট কো-অর্ডিনেটর থাকেন। তাঁরাই সব দেখে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেই শিল্পীর পক্ষে জানা সম্ভব নয়, সেই প্রযোজক কিংবা আয়োজকের টাকা কোথা থেকে আসছে। যেমন কেউ চাকরি করলে কোম্পানির টাকা কোথা থেকে আসছে জানা কি সম্ভব?' 

বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন জয়জিৎ। তিনি লেখেন, 'প্রযোজকের টাকার উৎস জানাটা অনেকটা আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোঁজ রাখার মতন নয় কি? কুন্তল ঘোষ প্রযোজিত ছবি কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছিল খবর পেলাম। সত্যি?!'

one year ago


KIFF: কুন্তল প্রযোজিত ছবির স্ক্রিনিং কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে, টাকা সাদা করার ফন্দি?

কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) প্রযোজিত একটি ছবি এখন রাজ্য রাজনীতির চর্চায়। ঘটনাচক্রে 'স্পেয়ার কি' নামের ওই ছবি ২০১৯ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (KIFF 2019) প্রদর্শিত হয়। নবকথা প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি এই ছবিতে অভিনয় করেন সৌরভ দাস এবং দর্শনা বণিক। সেই সময় কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান ছিলেন বিধায়ক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। 

তাঁকে ক্যালকাটা নিউজের তরফে চলচ্চিত্র উৎসবে স্পেয়ার কি প্রদর্শনীর প্রসঙ্গে ফোনে ধরা হলে রাজ জানান, 'কেউ যদি ফেস্টিভেলে অনলাইনে ছবি পাঠিয়ে থাকেন তখন কি এসব খতিয়ে দেখা হবে। কুন্তল ঘোষকে সেই সময় চিনতাম না কেউ। এখন কোনওকিছু আসলে ভেবে দেখবো। সত্যি কথা বললে আমরা সেই সময় এভাবে খুটিয়ে দেখিনি।' 

বিরোধী শিবিরের দাবি, এভাবেই প্রোডাকশনের নামে কালো টাকা সাদা হয়েছিল টলিউডে। এদিকে বনি সেনগুপ্তকে ইডি তলবের পর আরও তিনটি নাম টলিউডের অন্দরে ঘুরছে। তাঁরা কুন্তলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগসূত্রে ইডির তলব পেতে পারেন বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই তিন জনের মধ্যে রয়েছেন বড় পর্দার এক অতি পরিচিত অভিনেত্রী, এক প্রযোজক-অভিনেত্রী এবং বাংলা ওটিটি জগতের বেশ জনপ্রিয় এক অভিনেতা। অপরদিকে কুন্তলের প্রযোজনা সংস্থায় অভিনেতা-অভিনেত্রী কলাকুশলী যারাই কাজ করেছেন তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।  

one year ago
Bony: 'সব আমার টাকা ফেরতের প্রশ্ন নেই', দাবি বনির!অভিনেতার ফের ইডি হাজিরা

একসপ্তাহে দ্বিতীয়বার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির (ED) দফতরে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ইডি দফতরে ছিলেন তিনি (Actor Bony Sengupta)। যেসব নথি কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে আনতে বলেছিল, সেই নথি সঙ্গে নিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন অভিনেতা। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান বনি। এদিন সিজিও থেকে বেরনোর সময় অভিনেতা বলেন, 'যা যা নথি চেয়েছিল সব জমা দিয়েছি। এরপর সব ইডি বলবে। আমাকে আর আসতে হবে না। টাকা ফেরতের প্রশ্ন নেই, ওসব আমার টাকা।'

সংবাদ মাধ্যমকে বনির অনুরোধ, 'আপনারা আমাকে আর প্লিজ হ্যারাস করবেন না। আপনারা একটু বেশি বলছেন। প্রশ্নের উত্তর সব ইডির থেকে জানতে পারবেন।' এই মন্তব্য করেই গাড়িতে উঠে বেড়িয়ে যান বনি সেনগুপ্ত। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে সিজিওতে ঢোকার মুখে একঝাঁক প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিনেতাকে।  ফরেন ট্রিপের টাকা কে দিয়েছিল, কুন্তলের সঙ্গে কোনও চুক্তিপত্র সই হয়েছিল কিনা? কিন্তু কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকে যান অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুই দফায় বনি সেনগুপ্তকে জেরা করে ইডি। কুন্তলের থেকে পাওয়া একটা গাড়ির সূত্র ধরে এই জিজ্ঞাসাবাদ বলে সূত্রের খবর। সেবার বনি বলেছিলেন, এক অর্গানাইজারের সূত্রে তাঁর সঙ্গে কুন্তলের পরিচয়। ছবি করার প্রস্তাব নিয়ে কুন্তল এসেছিলেন। তারপর ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৪০ লক্ষ টাকার একটা গাড়ি ও আমাকে দিয়েছিল। তবে কোনও ছবি তৈরি হয়নি। কিন্তু বলেছিল প্রোগ্রাম করে সেই টাকা শোধ করে দিতে।

one year ago
Shanatanu: 'আমার সব কিছু লিগাল, দুর্নীতির মাথা কুন্তল ঘোষ', ধৃত শান্তনুর দাবি

নিয়োগ-কাণ্ডের (Education Scam) মূল চক্রী কুন্তল ঘোষ। এভাবে সবাইকে ডাইভার্ট করে নিজের টাকা সরাচ্ছে কুন্তল (Kuntal Ghosh)। অন্য রাজ্যে টাকা পাঠাচ্ছে। ইডি হেফাজতে (ED Custody) থাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। এদিন সিজিও থেকে বেরনোর মুখে হুগলির বলাগড়ের এই তৃণমূল নেতা (TMC Leader) বলেন, 'এই কাণ্ডের মেইন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল। ও এরকম করে সবাইকে ডাইভার্ট করছে। মিথ্যা অভিযোগ করে ডাইভার্ট করছে। আর ওর টাকাগুলো এভাবে সাইড করছে, অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছে।'

হুগলি জেলা পরিষদের এই কর্মাধ্যক্ষর দাবি, 'আমি কোনওকিছুর সঙ্গে জড়িত নই। আগামি দিনে প্রমাণ হবে। কুন্তলের লোকজন অন্য রাজ্যে টাকা সরাচ্ছে। এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে। কয়েকশো এজেন্টের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে ও। আমার সবকিছু লিগাল। আগামি দিনে সব প্রমাণ হবে।' 

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, 'নিয়োগ-কাণ্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোট ৬ বার ইডি ডেকেছে। সপ্তমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ছ'বার সংবাদ মাধ্যম তাঁকে নানা প্রশ্ন করলেও এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু গ্রেফতার হতেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন তিনি। বলাগড়ের এই তৃণমূল নেতা দাবি করলেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল। তিনি নির্দোষ বরং যারা জেলে বসে রয়েছেন, তাঁরা ফাসাচ্ছেন শান্তনুকে। হঠাৎ কেন কুন্তলকে কাঠগড়ায় তুলছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়?' 

যদিও এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি দাবি করেছে নিয়োগ-কাণ্ডে কুন্তল এবং শান্তনু যৌথভাবে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলেছেন। এঁরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমান, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি ১১১ কোটির নয় বরং ৩৫০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি। ইতিমধ্যে তদন্তে শান্তনুর নামে ৫১ কাটা জমি, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্টের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। একজন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর কাছে এই টাকা কোথা থেকে আসছে? ইডির জবাব, 'বেআইনি নিয়োগের মাধ্যমে এসেছে এই টাকা।' আদালতে তারা জানিয়েছে, 'তদন্তে এমন কিছু তথ্য আসছে, যার মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল। যারা চাকরি পেয়েছে তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড মোবাইলে মিলেছে। এগুলো কী করছিল মোবাইলে?'

one year ago


Kaushani: কুন্তলের সূত্রে নাম আসা সোমার পার্লারের ব্র্যান্ডিংয়ে কৌশানী, কত লেনদেন?

আমার নেইল পার্লারের ব্র্যান্ডিং করেছিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Actress Kaushani Mukherjee)। সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) থেকে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের জানান সোমা চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, ইডির হাতে ধৃত কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিয়োগ-কাণ্ডে নাম এসেছে সোমা চক্রবর্তীর। এক পার্লারের মালকিন হিসেবে এখন রাজ্য রাজনীতির খবরের শিরোনামে এই মহিলা। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নাকি বিনিয়োগ হয়েছে এই নেইল পার্লারে। তাই শনিবার দ্বিতীয়বারের জন্য সোমাকে তলব করে ইডি (ED)। একাধিক নথি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন সোমা। তারপর থেকে ৪ ঘন্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। 

সোমাকে মোট কত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ একদিকে সেটা জানার চেষ্টা করেন ইডি অধিকারিকরা। একইসঙ্গে নগদ টাকা লেনদেন হয়েছে কুন্তল ও সোমার মধ্যে সেটা মনে করছে ইডি। শুধু তাই নয় সোমা চক্রবর্তীর পার্লারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। যদিও কত টাকার বিনিময়ে এই ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। তার কোনও সদুত্তর দেয়নি সোমা চক্রবর্তী।  

জানা গিয়েছে, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হাজিরা দিলেন সোমা। চলতি মাসের ৩ মার্চ প্রথমবার ইডি দফতরে এসেছিলেন তিনি। আজ দুপুর ১টা নাগাদ আসেন সোমা, বেড়িয়ে যান বিকাল ৫টা নাগাদ।

one year ago
Bony:বনির সূত্রে কৌশানীর সঙ্গে কুন্তলের আলাপ, আর কারা ইডি স্ক্যানারে! তৈরি তালিকা

বৃহস্পতিবার দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে। ফের মঙ্গলবার ইডির (ED) তরফে তলব করা হয়েছে বনি সেনগুপ্তকে। ব্যাংকের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে অভিনেতাকে (Bony Sengupta)। এদিকে জানা গিয়েছে, বনির চর্চিত বান্ধবী অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেতার মাধ্যমেই আলাপ কুন্তলের। টলিউডের এক নায়িকাকে সামনে রেখে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood Industry) বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল কুন্তল।

তার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেন তিনি বলেই সূত্রের খবর। 

ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। অনেককেই ছবি প্রযোজনা করার টোপ দিয়ে আলাপ করে দামী উপহার দিয়েছে কুন্তল, এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনকি, এই অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন কুন্তল। মূলত নিজের ক্ষমতা এবং পরিচিতি সাধারণের কাছে জাহির করার জন্য এভাবে নেটওয়ার্ক তৈরি করেন কুন্তল। অনেক অভিনেত্রী কোনও ছবির কাজ না করেই মোটা টাকা পেয়েছেন কুন্তলের থেকে। কিছু অনুষ্ঠানে কেবল উপস্থিতির বিনিময়ে টাকা পেয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। 

টলিপাড়ার এই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তালিকা তৈরি করছে ইডি।

এদের মধ্যে একজন অভিনেত্রী এই নেটওয়ার্ক তৈরিতে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন।

সেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর। 

one year ago


Boni: কুন্তলের সূত্র ধরে নিয়োগ-কাণ্ডে ইডি স্ক্যানারে অভিনেতা বনি, একদিন আগে হাজিরা

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Education Scam) গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) সূত্র ধরে এবার ইডি স্ক্যানারে টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। নথি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ চলতি সপ্তাহের শুক্রবার তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। কিন্তু বৃহস্পতিবারই ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অভিনেতা। জানা গিয়েছে, বনি (Boni Sengupta) ছাড়াও কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে ইডি র‍্যাডারে টলিউডের আরও বেশ কিছু পরিচিত মুখ। তবে নিয়োগ-কাণ্ডে এই প্রথম কোনও টলিউড অভিনেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার নোটিশ পেলেন।  

ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে বনি সেনগুপ্ত ওরফে অনুপ্রিয় সেনগুপ্তর নাম উঠে এসেছে, সেই সূত্রেই এই তলব। কী পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে, কুন্তলকে কীভাবে চেনেন এবং নিয়োগ-কাণ্ডে আদৌ জড়িত কিনা বনি? এসব জানতেই তলব বলে সূত্রের খবর। ইডির অনুমান, এই দুর্নীতির টাকা ঘুরপথে টলিউডে ছড়িয়েছে। এদিকে, বনি ছাড়াও হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছে ইডি। এর আগে কুন্তলকে গ্রেফতারির পর একাধিকবার শান্তনুর নাম নিয়োগ-কাণ্ডে প্রকাশ্যে এসেছে। 

one year ago
Tapas: জেরা টেবিলে তাপস-কুন্তল তর্কাতর্কি! নিয়োগ-কাণ্ডে এবার কি রহস্যময়ী নারী

সিবিআই জেরার (CBI) সময় কুন্তল-তাপসের তর্ক জারি ছিল জেরা টেবিলে। মুখোমুখি জেরা পর্বেও বেশ কয়েকবার তর্ক জুড়েছেন হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই দাবি। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জেরা পর্বে দুই অভিযুক্তর মধ্যে তর্ক বাঁধে, এমনটাই খবর। জেরার সময় একে অপরের বক্তব্য বারেবারে খণ্ডনের চেষ্টা করেছিলেন তাপস-কুন্তল (Tapas-Kuntal) বলে সূত্রের দাবি।

এই দুজনের কলহের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জেরা বন্ধ রাখতে হয় সিবিআইকে।দু'পক্ষকে শান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তদন্তকারী অফিসাররা। এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, কুন্তল ঘোষ এদিন দাবি করেন তিনি কালীঘাটের কাকুকে চেনেন না। তিনি কাকু বলতে, একমাত্র তাঁর বাবার ভাইকেই চেনেন। যদিও কুন্তল 'মিথ্যা বলছে', 'ও সব জানে' বলে বৃহস্পতিবার পাল্টা দাবি করেন তাপস মণ্ডল।

পাশাপাশি এদিন কুন্তল আদালতে থেকে বেড়িয়ে জনৈক হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক 'রহস্যময়ী নারী'র প্রসঙ্গ টানেন। বিস্ফোরক কুন্তল বলেন, 'রহস্যময়ী নারী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় সব জানেন। তদন্তের ভিতরের কথা আর কিছু বলবো না।'

জানা গিয়েছে, তদন্তে চলাকালীন একটি সংস্থার নাম উঠে এসেছে। যেখানে গোপাল দলপতির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সেই অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টের খোঁজ নিতে গিয়ে এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম পাওয়া যায়।

one year ago
CBI ED: 'ভ্যারাইটি অফ পনির খুঁজছে সিবিআই',কোর্টে সওয়াল সিবিআইয়ের

বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে (CBI Court) পেশ করা হয়েছিল নিয়োগ-কাণ্ডে (Education Scam) ধৃত তিন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ,তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে। ৯ মার্চ পর্যন্ত এঁদের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এদিন শুনানিতে সকলেরই জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার আপত্তি মেনে খারিজ হয় সেই আবেদন।

যদিও শুনানি চলাকালীন বিচারক সিবিআইকে সিডি দেখিয়ে জনৈক মিস্টার হোসেনের নামোল্লেখ করে প্রশ্ন করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'দু'জনের নাম উঠে এসেছে। সেখানে মিস্টার হোসেন নামে একজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। যিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। সিডিতে নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি কেনো?'

এই প্রশ্নের জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, উনি (পড়ুন জনৈক হোসেন) আমাদের প্রাইম উইটনেস। ও আমাদের বলছে, সেইমতো আমরা কাজ করছি।' এরপরেই বিচারক প্রশ্ন করেন, 'এই ব্যক্তির জবানবন্দি কোথায়?' সিবিআই আইনজীবী জানান, সেটা রেকর্ড করার কাজ চলছে।' বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন, 'যদি পরে রাজি না হয়?'

এদিকে, কুন্তল, নীলাদ্রি এবং তাপসের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায়,'এদের আইনজীবীরা স্বীকার করছেন যে ওরা এজেন্ট। এঁরা তদন্তে সহযোগিতা করেনি। মুখোমুখি জেরায় বেশ কিছু প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। যারা এঁদের সঙ্গে সংযুক্ত। এঁরা তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে। ষড়যন্ত্র এতটাই বড় যে, আমাদের তদন্তকারীর এতটা কম্পিটেন্ট যে কোনও প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করছে না। পনিরের কথা বলা হচ্ছে, ভ্যারাইটি অফ পনিরটাই খুঁজছে তদন্তকারীরা।'

এদিন কোর্টের বাইরে তাপস-কুন্তলের আইনজীবী জানান, 'বন্ধ দরজার ভিতরে সিবিআই কী করেছে আমরা জানি না। আমার দুই মক্কেলকে মাত্র এক ঘণ্টা জেরা করেছে। কিন্তু কোর্ট বারবার একটাই প্রশ্ন করছে, প্রভাবশালী সেই ব্যক্তিটা কোথায়?' পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের আইনজীবী জানান, 'সিবিআই এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। কুন্তল ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সিবিআইয়ের নোটিশের জবাবে আমরা তদন্তে সহযোগিতা করতে ছয় বার কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে গিয়েছি।' 

one year ago


Kuntal:'কুন্তলের টাকা গিয়েছে মানিকের কাছে', দাবি ইডির! শৌভিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Corruption Case) তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, কুন্তল ঘোষ টাকা দিয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকেও (Manik Bhattacharya)। জেরায় কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। তিন জন লোক যুব তৃণমূল নেতার থেকে এই টাকা এসে নিয়ে যেতেন। এমনটাই ইডিকে জানিয়েছেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। সেই তিন ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছে ইডি। নানাভাবে কোটি টাকার বেশি সেই তিন ব্যক্তি কুন্তলের থেকে নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যর হাতে তুলে দিয়েছে।

এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে ইডি। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে এই মর্মে অবগত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ-কাণ্ডে এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি ইডির। এযাবৎকাল তদন্তে পাওয়া একাধিক তথ্য এবং নথির ভিত্তিতে সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছেন মানিক-পুত্র। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই লুকআউট নোটিস জারি ইডির।  

one year ago
ED: টলিউডে টাকা ঢেলেছেন কুন্তল! 'বাড়িতে বৃদ্ধা মা, সন্তান ছোট', জামিনের আর্জি যুব টিএমসি নেতার

ইডি হেফাজত (ED Custody) শেষে এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গত মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল। জানা গিয়েছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেকোনও দিন জেলে (Jail) গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারবে ইডি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সংস্থার ফরওয়ার্ডিং লেটারে উল্লেখ, কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) টলিউডে টাকা বিনিয়োগ করেছেন। শর্ট ফিল্ম-সহ গান রেকর্ডিংয়ের কাজে এই দুর্নীতির টাকা ব্যবহার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে ইডি।

এমনকি, ইডি জেরায় যুব তৃণমূল নেতা স্বীকার করেছেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ১৯ কোটি পৌঁছে গিয়েছে প্রভাবশালীদের কাছে। জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক মেথড ব্যবহার করে ইনভেস্টিগেশন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন কুন্তল ঘোষ।

তাঁর আবেদন, 'আমি কিছু বলতে চাই। আমি সর্বত্রভাবে ইডিকে সাহায্য করেছি। আমার কাছে কিছু পায়নি ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা বলতে বাধ্য হয়েছে আমার কাছে কিছু নেই। আমার বাড়িতে বৃদ্ধা মা আছেন, আমার ৫ বছরের ছেলে ৪ বছরের মেয়ে আছে। আমাকে হুজুর জামিন দেওয়া হোক।'

one year ago