Breaking News
Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি     

Kunal

Kunal Ghosh: ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল, কুণালকে সমর্থন তাপসের

বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর  বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল। তিনি অভিযোগ করেছেন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বেশ কিছুটা সময় ছিলেন একটি ভুবনেশ্বরে বেসরকারি হাসপাতালে। কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন সেই সময় সুদীপের হাসপাতালের বিল কে দিয়েছে? তিনি দিয়েছেন না কেউ তার হয়ে দিয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা? এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কুণাল। 

অবাক হওয়ার মত ঘটনা, এতদিন ধরে যে কুণাল ঘোষ ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করেছেন। খড়্গহস্ত হয়েছেন, সেই কুণালই এবার সুদীপ প্রসঙ্গে ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কুণালের মতে সুদীপের হাসপাতালের বিল নিয়ে ইডি ও সিবিআই তদন্ত করে দেখে যদি কোনও গরমিল পায় তাহলে সুদীপের ফের গ্রেফতার হওয়া উচিত। যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিজে থেকে না এগোয়, তাহলে তিনি নিজে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং এই বিষয়ে তদন্তের আবেদন করবেন, এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন কুণাল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়লেও তিনি যে দলের জন্য পথে নেমে লড়াই জারি রাখবেন তার বার্তাও শনিবার দিয়েছেন কুণাল।

শুধু কুণালই নন, এবার কুণালের সমর্থনে তৃণমূলের আর এক বিধায়ক, তাপস রায়। ঠিক কি বললেন তিনি। তিনিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে এলেন জনসমক্ষে। কুণাল ঘোষ একজন সাংবাদিক তার যুক্তি তো ফেলে দেওয়া যায়না। কয়লার টাকা নিয়ে খুব ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন কুণাল।

কুণালের মতই তাপসের গলাতেও অভিমানের সুর। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই দুঁদে নেতার মন্তব্যেই হাওয়া গরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘাসফুলের অন্দরের কোন্দলের যে গুঞ্জন ছিল রাজনীতির বাতাসে তাই এই দুই নেতার মন্তব্যে প্রতিধ্বনিত হল।  লোকসভা নির্বাচনের আগে যা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে নিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

2 months ago
Kunal Ghosh: শনিবার ব্রিগেড নিয়ে পথে কুণাল

প্রসূন গুপ্ত: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলেন এবং একটি প্রকল্প উদ্বোধন করে রাজনৈতিক জনসভা করলেন আরামবাগে। তুলোধোনা করলেন রাজ্যসরকারকে। সব শেষে কলকাতায় ফিরে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক করলেন। যদিও বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর চিরায়ত ভঙ্গিতে অসংসদীয় ভঙ্গিতে মমতাকে আক্রমণ করলেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকে বেরিয়ে জানালেন যে, নিছকই গল্প করে এলেন তিনি। এ নিয়ে মিডিয়া মহল দিনভর খবরে রাখতেই পারত মোদী সফরকে কিন্তু সকালেই তাতে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের নির্যাস অনেকটাই গিলে ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।  

ইতিমধ্যেই সে সংবাদ জনসমক্ষে এসেছে কিন্তু শনিবার সকালেই বেশ কিছুক্ষন কথা হলো কুণাল ঘোষের সঙ্গে। জানা গেলো নতুন তথ্য।কুণাল এই প্রতিবেদককে জানালেন যে, ভুল কী বলেছি ? ভেবেই বলেছি সব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক লড়াই করে আজ বাংলার দায়িত্বে। দিদির এই কাজকে সর্বদা আমাদের সৈনিকদের মেনে চলতে হবে। কিন্তু কি জানেন যখন বেনিয়ম দেখি তখন এই নেত্রীর জন্য খারাপ লাগে। 

কুণাল আরও বললেন, যে কোনও নেতার দলের সচ্ছতা মেনে চলা উচিত। মুখপাত্র হিসাবে যখন বিরোধীদের সমালোচনা করছি, তখন দেখছি দলের বড় নেতা কেন্দ্রের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছেন। এটা তো দলনেত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। এই নেতা রাজ্যে এসে দলের কোন স্ট্রাটেজি মানছেন ? একটা স্কুলের মধ্যে রাজনৈতিক অফিস হবে কেন ? কেন দলের টিকিট নিয়ে রাজ্যসভায় যাওয়ার পরে এক বিখ্যাত অভিনেতা বিজেপিতে চলে যায় এবং তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুবাক্য বলার পরেও দলের এক শ্রেণীর অভিনেতা/পরিচালক তাঁকে নিজেদের ছবিতে নিয়ে তাঁর সঙ্গে পাবলিসিটিতে নামেন ? 

এ গুলো কি নেত্রীকে খাটো করা নয়। 'অনেক কারণে আমি দায়িত্ব ছাড়তে চলেছি, জানালেন কুণাল'। তিনি বললেন যে , দল ছাড়ার প্রশ্নই নেই। শনিবার বেলা একটায় আমি আমাদের সাথীদের নিয়ে মিছিল করছি আসন্ন ব্রিগেড অভিযানকে নিয়ে। কুণাল আজকেও প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে ঢুকে পড়লেন যে, নতুন ঘটনা নিয়ে। খবর কেটে দেওয়ার বিষয়ে ওস্তাদ কুণাল ঘোষ।

2 months ago
Kunal Ghosh: তৃণমূলের একাধিক পদ থেকে ইস্তফা অভিমানী কুণালের

এক্স হ্যান্ডেলে জল্পনার সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে। তখনই নিরবতা ভাঙলেন অভিমানি কুণাল। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পদ ছাড়ার কথা শুত্রবার কুণাল ঘোষের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে সামনে এসে যায়। তিনি লিখলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি। তৃণমূল কংগ্রেস আমার দল।’সরকারি নিরাপত্তার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের whats app গ্রুপও ছাড়লেন কুণাল। 

কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরক পোস্ট করা হয়। তখন থেকেই সকলের মনে দানা বাধছিল তৃণমূলের অন্দরে একটা কিছু চলছে। শুক্রবার সকালে আচমকাই  দেখা গেল সেই পোস্টটি উধাও। এমনকী এক্স হ্যান্ডলের বায়ো থেকে রাজনীতিবিদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের পরিচয়ও মুছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এখন তাঁর পরিচয় শুধুই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন এমন করলেন কুণাল ? 

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ পোস্ট করেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই পোস্টে কারুর নাম উল্লেখ না করলেও কলকাতা উত্তর লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করে যে কুণালের এই পোস্ট তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারুর। পোষ্ট করে তিনি লেখেন নরেন্দ্র মোদীর কুৎসার বিরোধিতা যুক্তিতে ধুয়ে দেওয়া যায়।নাম না করে সুদীপকে কটাক্ষ করে লিখেছেন রোজভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলেস পড়িয়ে রেখেছেন মোদী। শুক্রবার সিএনকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে সুদীপকে নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল। 

অন্যদিকে সূত্রের খবর গত দু বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাজ করছেন কুণাল ঘোষ।কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই হলদিয়ায় অস্থায়ী বাড়িও নিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন কুণাল।পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাটাই বৈঠক থেকে শুরু করে গ্রাম সভা সবটা করেছেন গোটা জেলা জুড়ে।দুই সাংগঠনিক জেলা কাঁথি এবং তমলুক ছুটে গিয়েছেন দলের প্রয়োজনে।আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কলকাতার নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন সুদীপ। সেখানে ডাক পাননি কুণাল ঘোষ । শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের বৈঠকেও ডাক পাননি তিনি।যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি। আর এরপরই ক্ষোভে বিস্ফোরক পোস্ট। অভিমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কুণাল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘাসফুলের অন্দরে এই অশান্ত বাতাবরণ তৈরি হওয়ায় দলের অস্বস্তি যে আরও বাড়লো তা বলাইবাহুল্য।

2 months ago


Controversy: কুণাল সুদীপ বিতর্ক ?

প্রসূন গুপ্ত: গত কয়েক ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নিজের পেজ থেকে তৃণমূলের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে স্বপরিচয় দিলেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। হঠাৎ হলোটা কি ? দু একদিন আগেই তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিলো। মামুলি কিছু কথা। কুশল বিনিময় আর কি। একবারের জন্যও বুঝতে পারা গেলো না যে , তিনি দলের উপর ক্ষুব্দ!

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি দলের উপর ক্ষুব্দ নাকি দলের প্রথম সারির কোনও নেতার উপর। গুঞ্জনে যা জানা যাচ্ছে যে, তিনি উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নাকি ক্ষুব্দ। কিন্তু কি এমন হলো যে কুণাল লিখছেন যে, কোনও নেতা অযোগ্য, সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে তারপর নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভর করে ভোটে জিতে আসবেন। কে এই ব্যক্তি ? তিনি যিনিই হন, তিনি ভোটে দাঁড়ান এবং জিতেও আসেন। অর্থাৎ কোনও এক জয়ী নেতা। 

পশ্চিমবঙ্গে বা কলকাতায় এমন কোনও বিধায়ক বা কাউন্সিলর নেই ,যাঁর ক্ষমতা আছে যে কুণালের সাথে দুশমনি করবে। তাহলে অবধারিত কোনও বড়োসড়ো নেতা যিনি ভোটে জিতে আসছেন বারংবার। ফের গুঞ্জনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতা। সত্তর উর্দ্ধ বয়স। এক সময়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে রাজনীতি এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের নেতা। কংগ্রেস দল ভেঙে যেদিন তৃণমূল দল তৈরি হয় তখনও তিনি মমতার পাশেই ছিলেন। মাঝে একবার দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে গিয়ে ফের ফেরত তৃণমূলে। 

সুদীপ দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির রাজনীতি করছেন। মাঝে একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোপে পরে জেলযাত্রাও হয়েছিল কিন্তু বেরিয়ে আসার পরে দিল্লির রাজনীতির সরকারি দলের সুনজরে আসেন এবং বিভিন্ন কাজে তাঁকে দেখাও যায়। কলকাতার রাজনীতিতে তিনি বড় একটা উৎসাহ দেখান না তবে উত্তর কলকাতায় সংগঠন তাঁর আছে। তিনি পার্লামেন্টে দলের নেতাও বটে। তবে এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটোখাটো নেতাদের খুব একটা পাত্তা দেন না। অন্যদিকে আর এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক খুব খারাপ। কুণাল তাপস দুজনই দলের মুখপাত্র এবং উত্তর কলকাতার জাদরেল নেতা। এবারে প্রশ্ন ঠিক লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে বিকল্প ভাবনা সুদীপের কিছু থাকতে পারে কি ? সবটাই রহস্য।  

2 months ago
Agitation: শুকনো কথায় ভিজবে না চিড়ে! নিয়োগ নোটিশের দাবিতে কুনালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদের

চাকরিপ্রার্থীদের কান্না আর হাহাকারের যেন কোনও শেষ নেই। প্রতিদিনই রাজপথে তাদের বিক্ষোভ জানান দেয় তাদের যন্ত্রণা। সরকার আমল দেয় না তাদের দাবির। চোখ বন্ধ করে থাকে। কেটে যায় বছরের পর বছর। মঙ্গলবারও কলকাতার রাজপথে দেখা গেল তারই প্রতিফলন। ২০২২ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের D.L.ED ঐক্যমঞ্চের তরফে হল APC ভবন অভিযান।  লোকসভা নির্বাচনের আগে ৫০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। মেলেনি চাকরি। উল্টে প্রতিবারের মত দাবি জানাতে গেলে মিলেছে পুলিসের বাধা। করুণাময়ীর সামনে রীতিমতো শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে ধাস্তাধস্তি। একপ্রকার টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যনে।

মঙ্গলবার  সল্টলেকে বিক্ষোভের পর বুধবার চাকরিপ্রার্থীরা পৌঁছে যান কুনাল ঘোষের বাড়ি। তৃণমূল মুখপাত্র্রের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের দাবি আর প্রতিশ্রুতি নয়। অবিলম্বে ভোটের আগে নোটিস বের করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীরা কুণাল ঘোষের পিএ-এর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তিনি জানান বাড়িতে থাকলেও তাঁকে বিরক্ত করা যাবে না। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন এই হতাশ পরিস্থিতিতে তারা যদি একটু কথা বলতে না পারেন তাহলে তার এই অবস্থায় তারা কার কাছে যাবেন। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে গিয়ে ভোটের আগে চাকরি হওয়ার অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু কোথায় নিয়োগ ? যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি আর দেখা দিচ্ছেন না। তবে কি অন্তঃসারশূন্য প্রতিশ্রুতিই বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ? যে প্রতিশ্রুতি রাখা যায় না তা কেন দেন কুণালবাবুরা ? জবাব চায় বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা। 

2 months ago


Justice Ganguly: 'এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে, হিসাব দিতে পারবেন?', অভিষেককে চ্যালেঞ্জ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি প্রসঙ্গে এবারে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়েচ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এদিন কুণালের সেই চিঠি প্রসঙ্গে কুণালকে নিজের এজলাস থেকে পাল্টা জবাব দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, এসব করে তো আর চুরি আটকানো যাবে না। আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে অভিষেকের সম্পত্তির প্রসঙ্গও। সম্পত্তির হিসেব নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'একের পর এক কোটি কোটি টাকা খরচ করে মামলা হয়, এই মামলার খরচ কে বহন করে তা জানাতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? যদি হলফনামা দিয়ে জানান তাহলে বাকি নেতা মিনাক্ষীর মতো তাদের বলব আপনারাও সম্পত্তির কথা জানান। উনি কি পারবেন? মনে হয় না পারবেন? রাজ্য দুর্নীতি ঢাকতে কত টাকা খরচ করছে। এরপর অফিসিয়ালি জানতে চাইব। বিভিন্ন স্তরের লোকেরা জেলে তাই আমার উপর রাগ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর কন্ঠস্বরের পরীক্ষা কেন? তিনি তো আসামী নন। একটা হাসপাতাল ব্যবহার করল। কী চলছে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। দেখি কদিন হয়। দুর্নীতি করে টাকা রাখতে চাই এরপর এই ধরণের মামলা করবে।'

বিচারপতি আরও বলেন, 'সুদীপ রাহাকে আমি চিনি না সুতরাং তার বক্তব্যের কোনও মতামত আমি দেব না। সুদীপ রাহার নাম শুনিনি। আমায় সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। অনেক কাজ করতে পারে। আমার মনে হয় একদল চোর এবার হয়ত সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে আমাদের সম্পত্তি চুরি করে করা। বন্ধ হলে অসুবিধা হবে তাই অবাধে চুরি করার অনুমতি চেয়ে মামলা করবে। যার যেখানে অভিযোগ করার করুক, আমি ন্যায়ের পথেই চলবো।'

4 months ago
Justice Ganguly: 'উনি মানুষটা ভালো', হঠাৎ বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় কুণাল ঘোষের প্রশংসা

রাজ্য ঘটা একাধিক ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এবারে তাঁরই মুখে শোনা গেল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশংসা। বিচারপতিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'কুণাল ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। উনি মানুষটা ভাল।' 

সোমবার বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি চলছে। আর সেসময়ই এজলাসে বসেই শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশংসা করলেন বিচারপতি। কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করলেন। কুণাল ঘোষ সম্পর্কে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'কুণাল ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। উনি মানুষটা ভাল। অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। উনি একদিন আমার চেম্বারে এসেছিলেন। কথা বলে ভাল লেগেছে। ওনার সঙ্গে আমার এখন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ওনার উপন্যাসের কয়েকটা বই দিয়েছেন। আমি পড়ছি, ভালোই লিখেছেন।

কুণাল ঘোষ যে তাঁকে নিশানা করে কটূক্তিও করেছেন, সে কথাও বলেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, 'উনি আমায় গালাগালি করেন। তাতে অসুবিধা নেই। উনি ওনার জায়গা থেকে ওনার কথা বলেন। কালকেও বলেছেন, আমায় টুল নিয়ে বাইরে বসতে। ওতে আমি কিছুই মনে করি না। আমার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।' তিনি আরও বলেন, 'কল্যাণ ব্যানার্জিও আমায় পদত্যাগ করতে বলেছেন। ভেবেছিলাম আজ হয়তো সকালে এসে বলবেন তুমি পদত্যাগ কর। তবে উনি আমায় খুব ভালবাসেন আমিও ওনাকে খুব শ্রদ্ধা করি। আমিও কি সব সময় নিয়ন্ত্রণ রেখা মেনে চলি।'

4 months ago
Rajeev Kumar: 'দক্ষ অফিসার', রাজ্য পুলিসের নয়া ডিজি রাজীব কুমারকে খোঁচা দিয়ে শুভেচ্ছা কুণাল ঘোষের

অবশেষে রাজ্য পুলিসের নয়া ডিরেক্টর জেনারেল বা ডিজি হলেন রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তাঁর নামেই সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benerjee)। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

একসময় কলকাতা পুলিসের কমিশনার পদে ছিলেন রাজীব কুমার। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। জানা গিয়েছে, আপাতত ভারপ্রাপ্ত ডিজি হিসেবে কাজ করবেন তিনি। এর আগে ডিজির পদে ছিলেন মনোজ মালব্য। তবে আজই তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে।  এরপর রাজীব কুমারকেই ডিজি হিসাবে নিয়োগ করা হল। কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীব বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিবের পদে ছিলেন। আজ অর্থাৎ বুধবার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে রাজীবের এই নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে রাজীব কুমারকে ডিজি পদ দেওয়ার পরই খোঁচা দিে শুভেচ্ছা জানালেন কুণাল ঘোষ। রাজীবকে 'দক্ষ আইপিএস' অফিসার বলে সম্বোধন করে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কটাক্ষ করে বললেন, "তবে কখনও কারুর কথা শুনে আমার মত কোনো নির্দোষের জীবন নষ্ট করতে যাবেন না। এসব ভগবান ক্ষমা করেন না।"

4 months ago


Sisir-Kunal: শিশির অধিকারীর 'সম্পত্তি বৃদ্ধি'র তদন্ত চেয়ে মোদী-শাহকে চিঠি দিলেন কুণাল

কিছুদিন আগেই এক্স হ্যান্ডেলে শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) 'সম্পত্তি বৃদ্ধি' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী পরিবারের দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। এবারে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধির তদন্ত চেয়ে সরাসারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ইডি ও সিবিআইকে চিঠি দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এক বছরেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও ভারত সরকারকে দেওয়া শিশির বাবুরই তথ্য তুলে ধরে শনিবার এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর এবারে তাঁর সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়ে চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। শুধু তাই নয়, সারদার প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, সারদা কাণ্ডের টাকা শিশির অধিকারীর কাছে গিয়েছে কিনা তার জন্যও তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

এক্স হ্যান্ডেলে চিঠিগুলোর ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "২০১১-১২ সালে সারদা কর্তা দাবি করেন, কাঁথির অধিকারী পরিবার ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছে। ঠিক সেই সময়েই ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয় সাংসদ শিশির অধিকারীর। সারদা মামলার আওতায় এনেA এই অভিযোগের তদন্ত হোক।"

6 months ago
Mahua: মহুয়াকে ডাকাডাকিতে এত তাড়া কীসের এথিক্স কমিটির, প্রশ্ন কুণালের

এথিক্স কমিটি। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদকে ডাকাডাকিতে এত তাড়া কীসের কমিটির। এবার সেই প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপাত্রের কথায়, মহুয়া তো বলেননি যে যাবেন না, কিন্তু তারপরেও ফের চিঠি দিয়ে তড়ঘড়ি ডেকে পাঠানোর কারণ কী তা খুঁজে পাচ্ছেন না কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি তিনি এও জানান, মহুয়াকে নিয়ে দলের অবস্থান একই আছে।

উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্র আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত থাকবেন। তারপর যে কোনওদিন তাঁকে ডাকা হলে, উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু তারপরেও ২ নভেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে মহুয়াকে। কুণাল ঘোষ বলেন, " মহুয়া এক জন সাংসদ। সবে পুজো মিটেছে। তাঁর কেন্দ্রে ১০ খানা কর্মসূচি থাকতে পারে। এক বার চিঠি দিয়ে জানানোর পর ফের তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।"

শুভেন্দুকেও আক্রমণ করেন এদিন। কুণাল বলেন, "এথিক্স কমিটির যদি এতই তাড়া তা হলে শুভেন্দুর ঘুষকাণ্ডের পর তাঁকে ডাকেননি কেন? মহুয়ার বেলায় ছ’দিন তর সইছে না আর শুভেন্দুর বেলায় কেন ছ’বছর ধরে ঘুমিয়ে ছিলেন?"

6 months ago


Kunal: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইউরোপ যাওয়ার অনুমতি পেল কুনাল ঘোষ, ফিরতে হবে ২৩শের মধ্যে

মুখ্যমন্ত্রীর ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার অনুমতি পেল কুনাল ঘোষ। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কুনাল ঘোষের আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনুমতি দেয়। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষ ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অবধি ইউরোপে থাকতে পারবেন। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ও বিচারাধীন আসামি হওয়ায় তাঁর বিদেশ যাত্রায় জট তৈরী হয়। এরপর মমতার সঙ্গে স্পেনে অর্থাৎ ইউরোপ মহাদেশে যেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল মুখপাত্র।

সূত্রের খবর, স্পেনে একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে আমন্ত্রণ পান কুনাল ঘোষ। এরপরেই কুনাল ঘোষ স্পেনে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ওদিকে বিচারাধীন আসামি হওয়ার দরুন নিন্ম আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা ছিল। স্পেনে যাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি ওই পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার জন্যও আবেদন করেন তিনি। আবেদনে কুনাল ঘোষ জানান, এরপূর্বে তিনি বিচারাধীন আসামি হওয়া সত্ত্বেও সিঙ্গাপুর যাওয়ার আবেদন করেছিল, অনুমতি নিয়ে সেই যাত্রা সম্পূর্ণ করে আবার ফিরেও আসেন, তবে এখন কেন অনুমতি পাবেন না? সূত্রের খবর, তিনি ওই আবেদনে আরও জানান, তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন, তিনি সিঙ্গাপুর ঘুরে আবার ফিরেও এসেছেন। সেসময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার অনুমতি দেন।

এবারও মমতার ইউরোপের সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য কুনাল ঘোষ হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানায়, সেই আবেদন মঞ্জুর করা হল। এবং এদিন জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দেয় কুনাল ঘোষকে তাঁর পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে হবে, পাশাপাশি ২৩ তারিখের পর ফিরে ওই পাসপোর্ট কুনাল ঘোষকে ফের জমা দিয়ে দিতে হবে। 

8 months ago
Kunal: বিমান, সেলিম, শতরূপের বিরুদ্ধে কুণালের মানহানি মামলা, তিন বাম নেতাকেই আদালতের সমন

বিমান বসু (Biman Basu), মহম্মদ সেলিম (Md Salim) ও শতরূপ ঘোষের (Shatarup Ghosh) বিরুদ্ধে আগেই মানহানির মামলা করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এবার সেই মামলায় তিন বাম নেতাকে সমন পাঠাল নিম্ন আদালত। আগামী ১৩ জুন এই তিন নেতাকেই আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন কুণাল ঘোষ মামলা করেছিলেন? শতরূপের গাড়ি কাণ্ড ঘিরেই এই তরজার সূত্রপাত। সিপিএম নেতা শতরূপের ২২ লাখের গাড়ি নিয়ে নীতিগত প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল। তার উত্তর দিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বসে সাংবাদিক বৈঠকে কুণালকে ব্যাপক আক্রমণ করেন শতরূপ। সেখানে বেশ কিছু বিতর্কিত কথাও বলেন তরুণ সিপিএম নেতা। সেই প্রসঙ্গেই শতরূপের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন কুণাল।

বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হয়েছিল? সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেছিলেন, ওঁদের অনুমতিক্রমেই আলিমুদ্দিন থেকে শতরূপ সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তাই ওঁদেরও দায় আছে। কুণাল প্রথমে ওই তিন বাম নেতাকে আইনি নোটিস পাঠান। কিন্তু সেই নোটিসের জবাব না পেয়েই আদালতে যান তিনি। আদালত আগেই কুণালের মামলা গ্রহণ করেছিল। সেই মামলার শুনানিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। কুণাল বলেন, ‘আমি প্রথমেই মামলা করিনি। আগে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেই চিঠির জবাব না আসেনি। এখন দেখি কীভাবে সমন এড়িয়ে যান।’ আদালতের এই সমন প্রসঙ্গে শতরূপ বলেন, ‘চোর আগে নিজের মান প্রতিষ্ঠা করুক। তারপর তো মানহানির প্রশ্ন। আদালতে দেখা হবে।’


12 months ago
Kunal: 'কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম', সুপ্রিম রায়ের পর মুখ খুললেন জাস্টিস গাঙ্গুলি

শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) এজলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই নির্দেশের পর দুপুর ২টো ২৪ মিনিট নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে বসেন বিচারপতি। প্রথমে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি চান। তারপরেই তোলেন কুণালের (Kunal Ghosh) প্রসঙ্গ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। তিনি যা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তা আমার জানা ছিল না। তাঁর পুরো কথা মিলে গিয়েছে।’

এদিন তিনি আরও বলেন প্রয়োজনে রাত ১২টা অবধি চেম্বারে থাকব। এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এখনও পাইনি, আমার সাক্ষাৎকারের অনুলিপি চেয়ে পাঠিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে না আসা পর্যন্ত এই মামলায় কিছু বলব না।' এ ছাড়া এবিষয়ে নিজের এজলাসে তিনি বলেন, 'কোন মামলা থেকে আমাকে সরানো হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।' একথা বলেই এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারপতি।

অন্যদিকে, বিচারপতির এই মন্তব্যের পর, কুণাল পাল্টা বলেন, ‘গোটা জিনিসটার মধ্যে আমি কোনও জয়-পরাজয় দেখছি না। আদালত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সব বিচারপতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু মামলার বাইরে গিয়ে আমার দলনেতা-নেত্রীকে আক্রমণ করলে দলের মুখপাত্র হিসাবে আমার কর্তব্যটুকু পালন করতে হয়েছিল শুধু।’ এছাড়া এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'জাস্টিস গাঙ্গুলি চেয়ারের অপব্যবহার করছিলেন, চেয়ারকে ব্যবহার করে দলীয় নেতা-নেত্রীদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন।'

12 months ago


Kunal: 'আমিও ভদ্রলোক, উনিও ভদ্রলোক', জাস্টিস গাঙ্গুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে কী বললেন কুণাল

মনি ভট্টাচার্য: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), বর্তমানে দু'জনই এরাজ্যের বিস্তর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একজন কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি (Judge), অপরজন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র। জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বারবার পরোক্ষে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন। তেমনই শাসক দলের পক্ষে যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের তিন বিধায়ক। পাশাপাশি গারদের পিছনে রয়েছেন আরও বেশ কিছু তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা। শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তাও নিয়োগ-কাণ্ডে জেলে। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের ভার দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে কারণে শাসক দলের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তেমনই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করেছেন 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলী' বলে। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নিজের এজলাসে কুণাল ঘোষের নাম না করে, তাঁকে সমঝে দিতে চেয়েছেন।

সম্প্রতি কলকাতার একটি প্রচার মাধ্যমের অনুষ্ঠানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দেখা গিয়েছে সৌজন্য বিনিময় করতে। সৌজন্যের এ ছবি তাঁর নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন কুণাল ঘোষ। যার পরে শুরু হয়েছে নেটিজেনদের কটাক্ষ। কুণাল ঘোষ ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই প্রথম সাক্ষাতে কী বার্তালাপ হলো! এই প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালের তরফে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঠিক কী বলেছেন!


কুণাল ঘোষ বলেন, 'শুক্রবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ওনার সঙ্গে দু'বার দেখা হয়। যা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর এটাই বাংলার আসল ছবি।' এর পরে তৃণমূল মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় তবে কি কোথাও নিজের আক্রমণাত্মক জায়গা থেকে পিছিয়ে আসলেন? এর উত্তর তিনি বলেন,  'আমি একটা ভদ্র লোক, উনিও একজন ভদ্রলোক। উনি একজন বিচারপতি, ওনার কাজ উনি করছেন, আমার কাজ আমি করছি। উনি আইনের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু বললে আমি প্রতিবাদ করব, উনি আইনি কথা বললে তো আমি কিছু বলি না, আমার যদি মনে হয় আইনের বাইরে উনি আমার দলকে আক্রমণ করছেন, সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করব, সেটা উনিও স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন আমিও স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছি। সেখানে এগোনো বা পিছন বা মানিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না।'

এছাড়া ওদের মধ্যে কী কথা হলো! এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ, দুজনেই হাসিমুখে, করমর্দন ভঙ্গিতেই, আমাদের কথা শেষ হয়েছে। কী কথা হয়েছে এটা নিতান্ত ব্যক্তিগত।' একদিকে আক্রমণ, অপরদিকে ওনার সঙ্গে একফ্রেমে থাকা ছবি ফেসবুকে পোস্ট। এই বিষয়ে বিচারপতিকে নিয়ে ব্যক্তিগত ধারণা সমন্ধে প্রশ্ন করা হয়, তার উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, 'অভিজিৎ গাঙ্গুলি ফর্সা মানুষ, সুন্দর দেখতে, সুন্দর কোট পড়েন, একটা লোককে একমুখী ভাবে মূল্যায়ণ করা যায় না।' তিনি জানান, উনি একজন সন্মানীয় মানুষ উনিও সৌজন্য দেখিয়েছেন, আমিও সৌজন্য দেখিয়েছি। এর মধ্যে আর অন্য কিছু নেই।

12 months ago
CBI: সিবিআই তলব! 'অভিষেক আতঙ্কে বিজেপি', কুণালের খোঁচা, 'যা রটে...', পাল্টা সুকান্ত

মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই (CBI)। নির্দেশনামায় কোন কাণ্ডে এই তলব উল্লেখ নেই। দায়ের হওয়া এফআইআর-র ভিত্তিতে সৌমেন নন্দী বনাম রাজ্য সরকার মামলায় হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের অর্ডার মেনে এই তলব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল সাংসদকে (Abhishek Banerjee) নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে মঙ্গলবার। এই মর্মেই নোটিস পৌঁছেছে রাজ্যের শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে। কিন্তু এই সিবিআই তলবেও বিজেপির ইন্ধন দেখছে তৃণমূল।

সোমবার দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি অভিষেক আতঙ্কে ভুগছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ওরা যেভাবে মাথা ঘামাচ্ছেন মানুষ বুঝতে পারছেন দিল্লিতে বিজেপির পথের কাঁটা তৃণমূল। তৃণমূলকে দমন করা, ম্যানেজ করা যাচ্ছে না। তাই এজেন্সি দিয়ে, সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলছে। আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সিবিআইয়ের পাঠানো নোটিশে কোথাও কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের যোগসূত্র নেই। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এই নোটিশ।'

এদিকে, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই সিবিআই তলব প্রসঙ্গে জানান, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আমরা সংবাদ মাধ্যম থেকে জানলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই ডেকেছে। সূত্রের খবর জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বিভিন্ন লোকের কথোপকথনের রেকর্ড তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। আগামি দিনে উনাকে এই রেকর্ডগুলো কষ্ট দিতে পারে। ঘনিষ্ঠজনের নাম জড়িয়ে যেতে পারে। এখন যা রটছে, তা কিছু হলেও বটে। এমনকি সাম্প্রতিককালে সেগুলো সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।'

12 months ago