
মণি ভট্টাচার্য: কালের নিয়মে বয়স বাড়লে কমজুরি হয়ে যায় মানুষ। আর এটাই হয়ত সুযোগ। অপমানিত হতে হয়, লাঞ্চিত হতে হয়, কখনও কখনও খুন হতে হয় পরিচারিকা, গাড়িচালক, কিংবা কোনও প্রোমোটারের হাতে। মূলত যারা শহর কলকাতায়, কিংবা কলকাতা লাগোয়া শহরতলি এলাকা গুলিতে একাকী থাকেন। হ্যাX, পরপর দুটো খুন, একটি বাগুইহাটিতে অন্যটি দমদম নাগেরবাজারে। পৃথক দুটি ঘটনাতেই একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খুনে প্রশ্ন উঠছে শহরে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে। শহরে, কতটা নিরাপদ একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। খোঁজ নিলো সিএন-ডিজিটাল।
শনিবার দু'টি পৃথক প্রবীণদের খুনের ঘটনায় কোথাও পরিচারিকা কিংবা কোথাও গাড়ির চালকের গ্রেফতারি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রবীণদের। সূত্রের খবর, বাগুইহাটিতে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই বৃদ্ধার এক পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ঘুমের সমস্যা হওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে মারধর করতেন পরিচারিকা। পাশাপাশি, দমদমের নাগেরবাজারে গাড়ি চেয়ে না পাওয়ায়, একাকী এক বৃদ্ধ কল্যাণ ভট্টাচার্যকে খুন করে তাঁর গাড়িচালক। ওই বৃদ্ধর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে।
খোঁজ নিতেই জানা গেল, কোথাও কেউ কেউ আছেন নিশ্চিন্তে, কিংবা কোথাও আছেন আতঙ্কে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর দমদমের এক প্রবীণ হেমন্ত সুর আতঙ্কে থাকেন, একাকী জেনে যদি কখনও কেউ তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। কিংবা যদি তিনি শারীরিক ভাবে সমস্যায় পড়েন? তাঁর একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, হেমন্ত বাবু শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আতঙ্ক তো একটু হয়ই, মাঝে একদিন হুমকিও এসেছিল, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি।' শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাল-হকিকত খোঁজ নিতেই জানা গেল রাজ্য পুলিশের তরফে প্রবীণদের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও ব্যাবস্থা এখনও নেই। সে ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে লোকাল পুলিশ ছাড়া কোনও সুরক্ষা তাঁদের দেওয়া হয় না। যদিও কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, বয়স্কদের সুরক্ষার্থে একটি বেসরকারি এনজিও দ্যা বেঙ্গলের সঙ্গে যৌথ ভাবে 'প্রণাম' নামের একটি বিভাগ চালু করেন কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা শহরে একাকী প্রবীণদের উপর বারবার আক্রমণ, খুনের ঘটনাগুলি সামনে আসতেই, এই ঘটনাগুলি পাকাপাকি ভাবে মেটাতে চালু হয় এই 'প্রণাম' বিভাগ। কলকাতা পুলিশ সূত্রেই খবর, 'প্রণাম' বিভাগের তরফে শহরের একাকী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের তরফে তিন ধরণের সহায়তা করা হয়। আইনি সাহায্য, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাহায্য, এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাহায্য। শহরের যাঁরা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ, যাঁরা একা, তাঁরাই এই 'প্রণাম'-এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে আরও খবর, কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ৭২ টি থানা এলাকায় বর্তমানে প্রায় ২৩ হাজার একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এই প্রণামের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সুবিধা, সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।
কলকাতা পুলিশের 'প্রণাম'-এর এক সদস্য, শহর কলকাতায় একাকী বৃদ্ধ স্বপন কুমার ঘোষ শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও সমস্যা হয় না। সব সময় 'প্রণাম'-এর পুলিশের সদস্যরা পাশে থাকেন। অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালেও নিয়ে যান। সপ্তাহে একবার করে দেখা করেন, রোজ একবার খোঁজ নেন।' ওদিকে 'প্রণাম'-এর অপর এক সদস্য মিনা ঘোষ শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন,'কলকাতায় একা আছি, এটা কখনও মনেই হয় না। মাঝে মাঝে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়ে যান তারা।'
এ বিষয়ে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গোতম মোহন চক্রবর্তী ও দ্যা বেঙ্গল এনজিওর কর্ণধার সন্দীপ ভুতোড়িয়া ২০০৯ সালে এই 'প্রণাম' প্রকল্পটি শুরু করেন। এদিন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গোতম মোহন চক্রবর্তী সিএন-ডিজিটালকে জানান, এই 'প্রণাম' শহর কলকাতার একাকী মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শনিবার দ্যা বেঙ্গল এনজিওর তরফে জয়েন্ট কনভেনর এশা দত্ত বলেন, 'শহরে একাকী বৃদ্ধের সহযোগিতায় সবসময় প্রণাম ভরসা হয়েই থাকবে, এছাড়া রোজ হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে ফোন পেয়ে কমপক্ষে ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সহযোগিতা করা হয়। যারা এখনও প্রণামের সদস্য নয়।' 'প্রণাম'- এর হেল্প লাইন নম্বর ০৩৩ ২৪১৯ ০৭৪০।'
বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছে মাঝে মধ্যেই। কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতারকরা ফাঁকা করে দিচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট। এমনকি ফোনেও আসছে না OTP।
সম্প্রতি কলকাতার পুলিসের তরফের বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি মেনে চললে প্রতারণার ঘটনা কমবে বলেই আশা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ হল দ্রুত বায়োমেট্রিক লক করা। এছাড়াও আনমাস্কড আধার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধ করা হয়েছে পুলিসের তররফে। প্রয়োজনে পুরো আধার নম্বর না দিয়ে শেষ চারটি ডিজিট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিস।
কীভাবে বায়োমেট্রিক লক করবেন?
আপনার নিজের স্মার্টফোন থেকেই আধারের বায়োমেট্রিক লক করতে পারবেন। তার জন্য এম আধার (mAadhaar) অথবা উমাঙ্গ অ্য়াপ ডাউনলোড করতে হবে।
-প্রথমে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করুন।
-এররপর সেখানে Lock/Unlock biometric অপশন আসবে।
-ওই অপশনে ক্লিক করুন।
-সেখানে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। এরপর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে OTP আসবে।
-সেই OTP দেওয়ার পর আধারের বায়োমেট্রিক লক হবে।
সম্প্রতি একাধিক এই সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারণার ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করুন। এবং ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখুন।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ভেজা বা তৈলাক্ত হাতে বায়োমেট্রিক ছাপ দেবেন না। এবং সঠিক কারণ না জেনে কোথাও বায়োমেট্রিক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল। কলকাতা পুলিসের আওতায় এল ভাঙড়। ফলে আরও বাড়ল লালবাজারের সীমানা। গঙ্গা নদী থেকে যা সম্প্রসারিত হয়ে পৌঁচ্ছে গেল একেবারে মাতলা নদীর কাছে। এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন হল ভাঙড়।
নতুন ডিভিশনের জন্য ঠিক হয়েছে আটটি থানার পাশাপাশি নতুন ট্রাফিক ডিভিশন তৈরি করা হল। যেখানে দু জন ডিসির পাশাপাশি থাকবেন চারজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। প্রত্যেক থানায় ওসির পাশাপাশি রাখা হবে, অতিরিক্ত ওসি। থাকবেন কমপক্ষে ১০ জন সাব-ইন্সপেক্টর। বুধবার এই আটটি থানার পরিকাঠামো তৈরিতে চার জনকে অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরিকাঠামোর কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করা হবে। নতুন থানা হতে চলেছে, হাতিশালা, পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার, মাধবপুর, চন্দনেশ্বর, বোদরা ও ভাঙড়।
অশান্ত ভাঙড়কে শান্ত করতে গতকালই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল অর্থাৎ বুধবারই কলকাতা পুলিস কমিশনার কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভাঙড়ের শান্তি রুখতে, ভাঙড়কে কলকাতা পুলিসের একটি নতুন ডিভিশনের আওতায় আনার জন্য। এবার সেই মতো পরিকল্পনার কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিস।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একজন আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা পুলিসের বেশ কিছু আধিকারিক ভাঙড়ের কাশিপুর থানায় যান। সূত্রের খবর, সেখানে ভারপ্রাপ্ত এক অফিসার কে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও চলে। ওই বৈঠকে আলোচনা হয় একটি নতুন ডিভিশনের মাধ্যমে ভাঙড় এবং সন্ত্রাস কবলিত ভাঙ্গড় সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা ওই ডিভিশনের আওতায় এনে, কলকাতা পুলিসের একটি নতুন ডিভিশন করা হবে। সেখানে প্রয়োজনে অতিরিক্ত থানার পরিকল্পকনা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ভাঙড়। দফায় দফায় তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ৭ মানুষের। এরই মধ্যে ভাঙড়কে শান্ত করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এ ছাড়া ভাঙড় ও ক্যানিংয়ের বিধায়ক নওশাদ ও শওকত মোল্লা দুজনই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ভাঙড়কে শান্ত করার বার্তা দেন।
তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষে আগেভাগেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করল কলকাতা পুলিস। ২১ জুলাই কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসবেন। ফলে শহরের একাংশ অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা। প্রতিবারের মতো এবারও করা নিরাপত্তার মধ্যেই পালন করা হবে তৃণমূলের শহীদ দিবস। সে কারণে সাধারণ মানুষ এই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ধর্মতলা চত্বরে না ঘেঁষাই ভালো।
এদিন কোন গাড়ি কোন পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে, কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে, কোন রাস্তায় কী ভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১২ জুলাই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের খুঁটিনাটি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পুলিশ।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিটে উত্তর থেকে দক্ষিণে, কেসি সেন স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত বিধান সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, কলেজ স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, ব্রেবর্ন রোডে উত্তর থেকে দক্ষিণে, হেয়ার স্ট্রিট থেকে রাজা উডমন্ট স্ট্রিট পর্যন্ত স্ট্র্যান্ড রোডে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পূর্ব থেকে পশ্চিমে, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, নিউ সিআইটি রোডে পশ্চিম থেকে পূর্বে এবং বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজার স্ট্রিট পর্যন্ত, রবীন্দ্র সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে।
কলকাতা পুলিশের অধীন সমস্ত এলাকায় শুক্রবার ভোর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও ধরনের মালবাহী যান চালানো যাবে না (ব্যতিক্রম গ্যাস সিলিন্ডারবাহী গাড়ি, সব্জি, ফল এবং দুধ পরিবহণকারী যান)।
এ ছাড়া, শুক্রবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মধ্যে এবং কাছাকাছি এলাকায়, এজেসি বোস রোডের কিছু অংশে, হেস্টিংস ক্রসিং এবং ক্যাথিড্রাল রোডের মধ্যবর্তী এলাকা, হসপিটাল রোড, কুইন্সওয়ে, ক্যাথিড্রাল রোড, ক্যাসুয়ারিনা অ্যাভিনিউ এবং লাভার্স লেনে কোনও ধরনের গাড়ি পার্ক করতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার শহরে ট্রাম চলবে না। ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলের রুটে যে কোনও রকমের গাড়িকেই বাধা দেওয়া হতে পারে।
শুক্রবার বন্ধ থাকবে কলকাতার একাধিক বাস রুট। কারণ, রাস্তাঘাটে দিনের একটা বড় সময় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। একই সঙ্গে সমাবেশ উপলক্ষে কর্মী-সমর্থকদের জন্য প্রচুর বাস তুলেও নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। শহরের বাইরে থেকেও ঢুকে পড়বে প্রচুর বাস। সকালে তৃণমূল কর্মীদের আসা এবং দুপুরের পরে ফিরে যাওয়া। এর ফলে রাস্তাঘাট গোটা দিনই ভিড়ে ভারাক্রান্ত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অ্যাপ-নির্ভর ক্যাবও ভিড়ের কারণে কতটা সচল থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে মেট্রো পরিষেবা শুক্রবার স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই দিন রাজনৈতিক সমাবেশ উপলক্ষে কোনও বাড়তি মেট্রো চালানো হবে না। তবে ভিড় সামলাতে কোনও কোনও স্টেশনে কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে।
ফের দময়ন্তী সেনকে (Damayanti Sen) বদলি করা হল। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) পদে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারের নির্দেশ অনুযায়ী, এবার ‘এডিজি ট্রেনিং’ পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই প্রথম নয়, আগেও তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ-কাণ্ডের পর তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হয়েছিল। প্রথমে ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ছিলেন তিনি। এরপর সেখানে থেকে সরানো হয় যথাক্রমে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি রেঞ্জ ও সিআইডি-তে। ফের ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশে ফেরেন তিনি। কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণ মামলায় তদন্তভার যে তিনজনকে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দময়ন্তী সেন।
মনি ভট্টাচার্য: ঘূর্ণিঘড় 'মোখা'র মোকাবিলায় সক্রিয় কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, এ সংক্রান্ত মোকাবিলায় লালবাজারে (Lalbazar) খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (Control Room)। কীভাবে 'মোখা'র মোকাবিলায় সহায় হবে লালবাজার! সিএন ডিজিটালকে বিস্তারিত জানালেন কলকাতা পুলিসের টেকনিক্যাল বিভাগের এক অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার। লালবাজারের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিসের ওই এসিপি জানালেন, ডিএমডি, কেএমসি, সিইএএসসি ইত্যাদি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে এই কন্ট্রোল রুমের। কোনো ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই থানা ভিত্তিক এলাকাগুলিতে পুলিস বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের বাহিনী পাঠিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
সরকারের তরফে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র মোকাবিলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। শনিবার নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলার কথাও জানানো হয়েছিল। কথামতো 'মোখা'র মোকাবিলায় নবান্নে শনিবারই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি 'মোখা'র মোকাবিলায় এবার কলকাতা পুলিসের তরফেও খোলা হয়েছে হেল্পলাইন। রবিবার সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিসের কন্ট্রোল রুম।
লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই দিনে ৩ শিফটে ওই কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে ডিএমডি, কেএমসি, সিইএসসি দফতরের একজন আধিকারিক থাকবেন। তাদের সাহায্যেই প্রতিটি থানা এলাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের বাহিনী পাঠানো হবে।
লালবাজার সূত্রে খবর, ওই কন্ট্রোলরুম গুলির কয়েকটি নম্বর চালু করা হয়েছে। যাতে বিপদের সম্মুখীন হলেও ওই কন্ট্রোল রুমের সাহায্য নিতে পারে মানুষ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর থেকেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যদি শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে এটিই হবে চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে, আগামী ৮ মে এই ঘূর্ণাবর্তটি একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর ৯ মে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই লালবাজারের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও খোলা হয়েছে। নম্বরগুলি হলো, ২২১২ ১৮৯০, ২২৫০ ৫০৩৩, ২২৫০ ৫০৪৪, ২২৫০ ৫১৪৬। এর পাশাপাশি লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ৯৪৩২৬১০৪৫০।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইপিএলে (IPL) বেটিং (Betting) করার অভিযোগে মোট ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্লাইভ রো এলাকার একটি অফিস থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম মনীশ জৈন (৪৩)। তাকে জেরা করে পুলিস আরও অনেক জুয়াড়ির বিষয়ে জানতে পাড়া যাবে বলে খবর।
আইপিএলে বেটিং চক্র কলকাতায় অতি সক্রিয়, এবিষয়ে বারবার অভিযোগ আসছিল কলকাতা পুলিসের কাছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, কলকাতায় স্কাই এক্সচেঞ্জ নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেট বেটিং চক্র চলছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস জানতে পারে, চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে ওই খেলায় বেটিং চলছে। খবর পেয়ে হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে আরও দুই জুয়াড়ির খোঁজ পায় পুলিস। পরে ধৃতের বক্তব্যের ভিত্তিতে, অপর জুয়ারিরকে ধরতে বেরোয় পুলিস। সূত্রের খবর, ডোভার রোডের রোজা ম্যানর হোটেলে হানা দিয়ে ওই দুই জুয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম পবন আগরওয়াল (৩২) এবং রোহিত জৈন (৩৬)। পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে মোট ১১টি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি মামলা শুরু হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইপিএলে (IPL) বেটিং (Betting) করার অভিযোগে, মোট ৩ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্লাইভ রো এলাকার একটি অফিস থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম মনীশ জৈন (৪৩)। তাকে জেরা করে পুলিস আরও অনেক জুয়াড়ির বিষয়ে জানতে পার্বনে বলে জানিয়েছে পুলিস।
আইপিএলে বেটিং চক্র কলকাতায় অতি সক্রিয়, এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ আসছিল কলকাতা পুলিসের কাছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, কলকাতায় স্কাইএক্সচেঞ্জ নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেট বেটিং চক্র চলছে, হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস জানতে পারে, চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে ওই খেলায় বেটিং চলছে। খড় পেয়ে হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে আরও দুই জুয়াড়ির খোঁজ পায় পুলিস। পরে ধৃতের বক্তব্যের ভিত্তিতে, ওই ধৃতকে নিয়ে অপর জুয়ারিরকে ধরতে বেরোয় পুলিস। সূত্রের খবর, ডোভার রোডের রোজা ম্যানর হোটেলে হানা দিয়ে ওই দুই জুয়ারিকিওপি গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম পবন আগরওয়াল (৩২) এবং রোহিত জৈন (৩৬)। পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃত দের থেকে মোট ১১টি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ, ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি মামলা শুরু হয়েছে।
প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Suicide)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কুলবেড়িয়া সরদার পাড়া গ্রামে। ঘটনাস্থল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (Kolkata Leather Complex Police) থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত প্রেমিক যুগলের নাম অসীম সরদার ও প্রেমিকা টুকটুকি সরদার। একই ওড়নার দুই প্রান্তে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তাঁরা। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় দু'জনকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। একই ওড়নার এক প্রান্তে প্রেমিক ও অপর প্রান্তে প্রেমিকাকে ঝুলতে দেখে এলাকার মানুষজন। এরপরই তাঁরা পুলিসে খবর দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি দুই পরিবার। সেই কারণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে দু'জন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
রাষ্ট্রপতির বঙ্গ সফরের মধ্যেই তিলজলায় নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ রেল থেকে সড়ক পথ। নাবালিকা (Minor Murder) খুনের বিচারের দাবির পাশাপাশি থানায় হামলার ঘটনায় ধৃতদের মুক্তির দাবিতে ধুন্ধুমার তিলজলা, পিকনিক গার্ডেন, বন্ডেল গেট এলাকা (Tiljala Murder)। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। তিলজলায় নাবালিকা খুনে রবিবার থেকেই ফুঁসছে এলাকা। সোমবার বেলা গড়াতেই সেই জনরোষ ছড়িয়ে পড়ল রেল লাইন থেকে রাস্তায়। রেল অবরোধের সঙ্গেই চলেছে পথ অবরোধ। পুলিস, দমকলকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। অগ্নিসংযোগ পুলিসের গাড়িতে। বন্ডেল গেট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। গোটা এই জনরোষের ঘটনা ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। পুলিস এই অবরোধ তুলতে এলে, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি নামানো হয় র্যাফ। প্রায় ঘণ্টাখানেক শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর এখন স্বাভাবিক পরিষেবা।