হাওড়া থেকে খড়গপুর যাওয়ার সময় আপ লাইনে লাইনচ্যুত মালগাড়ি। শনিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়া-খড়গপুর শাখার নন্দাইগাজন রেল স্টেশনের কাছে। প্রায় চার পাঁচ কিলোমিটার সিলপাড়ের ওপর দিয়ে ছোটে মালগাড়িটি বলে জানা যায়। স্টেশন পর্যন্ত এভাবেই বিপদজনকভাবে ছুটে যায় ওই মালগাড়িটি। যার জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। ঘটনার জেরে দুর্ভোগে পড়েন হাওড়া-খড়গপুর শাখার নিত্যযাত্রীরা।
এরপর খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। তারপর মালগাড়িটিকে লাইন থেকে সরানোর কাজ শুরু করে। এদিকে এই ঘটনার জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। বিপজ্জনকভাবে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রেলপাতের। তবে কী কারণে লাইনচ্যুত হল মালগাড়িটি, তা এখনও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক শিশুর। এ ঘটনায় আহত কমপক্ষে ৪০ জন। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে পারাদ্বীপগামী একটি বাসে শুক্রবার রাতে হঠাৎ আগুন লাগে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মাদপুরের কাছে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগুন লেগে একটি শিশুর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের উপর ওই যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন লাগে। এই খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রাও। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই বাসের জানলা ভেঙে যাত্রীরা ঝাঁপ দিতে থাকে। কীভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, বাবুঘাট থেকে বাসটি ছেড়েছিল। খড়গপুর হয়ে ওড়িশার পারাদ্বীপ যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। রাত ৯টা নাগাদ হঠাৎ ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন। অনেক পণ্যও ছিল। চালক লাফিয়ে নেমে পালায়। কিন্তু বাসের প্রধান দরজা বন্ধ ছিল বলে খবর।
লক্ষ্মী পুজোর দিনেই খড়গপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লরির ধাক্কায় মৃত্যু কমপক্ষে ৬ জনের। শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও অবধি আহত ৪ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। জানা গিয়েছে, পুজোর জন্য ফুল লোডিং চলছিল। গাড়ি যাওয়ার কথা ছিল কোলাঘাট। সেই সময় সিমেন্ট বোঝাই একটি লরি তাল সামলাতে না পেরে সজোরে এসে ধাক্কা মারে ফুলের গাড়িতে।
নয়ানজুলিতে গিয়ে সজোরে পড়ে ফুলের গাড়িটি। তড়িঘড়ি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বেশ কিছুজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানার পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করেছে।
ফের খড়গপুর আইআইটিতে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার ভোরে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। ছাত্রমৃত্য়ুর এই ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হস্টেল চত্বরে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম কিরণ চন্দ্র (২১)। বাড়ি তেলেঙ্গানার মেড়াক জেলার তুপরান গ্রামে। আইআইটির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিল। আইআইটি এলবিএস হলের ৩১৫ নম্বর রুমে থাকত এবং সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এরপর দ্রুত ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে আইআইটি বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানায়।
কিভাবে মৃত্যু তা জানতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে খতিয়ে দেখছে পুলিস। মৃতদেহটি পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও খড়গপুর আইআইটিতে পড়ুয়া মৃত্য়ুর ঘটনা সামনে এসেছে।
বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিধ্বংসী আগুন (Fire)। গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর (Kharagpur) শহরের মালাঞ্চ রোডে অবস্থিত একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (Fire Brigade) চারটি ইঞ্জিন। ফ্যাক্টরির পাশেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। পাম্পে যাতে কোনওভাবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য চলছে কুলিং প্রসেস। তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্য়ন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে যখন বিস্কুট তৈরির কাজ চলছিল, ঠিক সেই সময়ই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে। ফুলকির জেরে প্রথমে আগুন লাগে তিন তলার একটি ঘরে। সেই ঘরে মজুত ছিল একাধিক বিস্কুট এর রেপার, প্লাস্টিক, পুরোনো বস্তা সহ একাধিক বস্তু। সেখান থেকেই আগুন গোটা ফ্যাক্টরিতে ছড়িয়ে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে এই বিধ্বংসী আগুন কতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্ধিহান দমকলের আধিকারিকরাও।
স্কুলের (School) ছাদের চাঙ্গর ভেঙ্গে গুরুতর জখম (Injury) হল দুই ছোট্ট স্কুল পড়ুয়া। তাদের মধ্য়ে একজন ছাত্র এবং ছাত্রী, বয়স আনুমানিক আট বছর। বুধবার সকালে খড়গপুর (Kharagpur) টাউন থানার অন্তর্গত ইন দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে ওই দুই পড়ুয়া। এদিন স্কুলে বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ওই দুই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুরের মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল-পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে।
স্কুল শিক্ষক জানিয়েছেন, এর আগেও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তখন শ্রেণি শিক্ষকদের মাথায় ছাদ ভেঙে পড়েছিল। তারপরে ছয় জায়গায় অ্য়াপ্লিকেশন পর্যন্ত জমা দেওয়াৃ হয়েছে দ্রুত স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য়। পাঁচ থেকে ছয় বছর কেটে যাওয়ার পরেও স্কুলের অবস্থা কিছুই বদলায়নি। যার ফলে এদিনের এই দুর্ঘটনায় আহত দুই খুদে স্কুল পড়ুয়া। অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বা আহত শিশুর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই চলছে স্কুলের ব্য়বস্থাপনা। বর্ষাকালে এই স্কুলে নালার জল ঢুকচে, চাঙর ভেঙে খসে পড়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, বারংবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
বেপরোয়া অডি সংস্থার একটি গাড়ির ধাক্কায় এক পুলিসকর্মী-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতরভাবে জখম (Injury) প্রায় ছয়জন। শুক্রবার, রাত একটা নাগাদ খড়্গপুর (Kharagpur) ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে গ্রামীণের বেনাপুর রেলগেটের কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর রামানন্দ দে (৪৫)। বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাংড়ায়। এছাড়াও দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছে অডি গাড়ির দু'জনের। একজনের নাম শেখ জাহাঙ্গীর খান (৩৫)। পেশায় তিনি ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। তিনি খড়্গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা। ঘটনায় মৃত আরও একজন ব্য়ক্তির নাম অভিষেক শ্রীবাস্তব। দুর্ঘটনার পর আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে প্রথমে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতির কারণে তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকার পরেই মৃত্য়ু হয় তার। জাহাঙ্গীর ও অভিষেকের সঙ্গী ওই গাড়ির সওয়ারি সুজিত রায়, প্রদীপ দাস ও চন্দনকুমার দাস ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত ও মৃতদের উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে খড়্গপুরের বেনাপুর রেলগেটের কাছে টহলরত পুলিসের ভ্যান থেকে নেমে ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্তব্যরত রামানন্দ দে৷ পুলিসের গাড়িতে ছিলেন অন্যান্য পুলিসকর্মীরাও। ঠিক সেই সময় খড়্গপুর অভিমুখে থাকা একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই পুলিস আধিকারিককে ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়েন রামানন্দ। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে পড়েন তিনি।
এরপর গাড়িটি রেলগেটের সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা মেরে বাঁ-দিকে থাকা একটি দোকানে ঢুকে যায়। এই ঘটনাস্থলে থাকা পুলিসকর্মীরা দ্রুত ছুটে গিয়ে পুলিস আধিকারিক রামানন্দকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তারপরে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ওই অডি গাড়ি থেকে জখমদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাড়ি থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয়। হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রামানন্দ দে ও জাহাঙ্গীর খানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিস সূত্রে খবর, মকরামপুরের একটি ধাবায় খাওয়াদাওয়া করে ওই অডি গাড়িতে করে ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর ও তাঁর সঙ্গীরা। পুলিসের অনুমান, মদ্য়প অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটে। আপাতত মৃতদেহগুলি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে এই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস প্রশাসন।
লরির সঙ্গে এক সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ (Accident)। দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয় সাইকেল আরোহীর। ঘটনায় মৃতদেহ রাস্তায় রেখে প্রতিবাদে স্থানীয়রা। পাশাপাশি ওই ঘাতক লরিটি ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার অন্তর্গত ডব্লিউবিআইআইডিসি শিল্প পার্ক এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিস, এরপর স্থানীয়দের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়, এরপর মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিসই। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই সাইকেল আরোহীর নাম সোনারাম মুর্মু (৩৬)। তিনি ধুলিয়াপাতার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তি গরুর জন্য ঘাস কেটে সাইকেলে বোঝাই করে শিল্প পার্কের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময়ই একটি লরি রাস্তা দিয়ে কারখানার দিকে যাচ্ছিল। তারপরেই ওই সাইকেল এবং লরিটির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লরির আঘাতে সাইকেল থেকে ওই ব্যক্তি ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আর এই ঘটনার পরেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানার লরিগুলি অবৈধভাবে রাস্তার উপর দিয়ে চালানো হয়। এমনকি রাস্তা খারাপ হওয়ার পরেও লরির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়না। প্রতিনিয়ত লরিগুলি ওভারলোড করে এই খারাপ রাস্তার উপর দিয়েই চালানো হয়। আর যার জেরেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, বারবার এই অসুবিধার কথা প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
ফের আইআইটির এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যু (Death)। ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর (Kharagpur) আইআইটিতে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আইআইটিতে। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সূর্য দীপান (২২)। আইআইটির ইন্টার্নশিপের এই ছাত্রের বাড়ি কেরলের তিরুবন্তপুরমে।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে আইআইটির আর কে হল থেকে পুলিস ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিস। এইদিকে ফইজানের মৃত্যুকে ঘিরে যখন তোলপাড় আইআইটিতে, তখন এই ছাত্রের রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে ফের প্রশ্নের মুখে খড়গপুর আইআইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সৌমেন সুর: কবি একসময় কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে। কিছুদিন অধ্যাপনা করার পর এ চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তাঁর জন্মস্থান বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে নিযুক্ত হন। কর্মযজ্ঞ যথাযথভাবে চলছিল, কিন্তু আকাশের কোনে কালো মেঘ দেখা দিলো। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলো, কিন্তু দেশভাগের ফলে তিনি ও তাঁর পরিবার সবকিছু ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন।
কলকাতায় এসে অধ্যাপনার চাকরি খুঁজতে থাকেন, তখন খড়্গপুরের কলেজে অধ্যাপক দরকার--সে বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। হিমাংশু ভূষন সরকার পূর্ববঙ্গ থেকে খড়্গপুরে এসে একটা কলেজে তৈরি করেন। এই কলেজেই জীবনানন্দ অধ্যপক হিসেবে নির্বাচিত হন। সালটা ১৯৪৮। সেই সময়ে কবির অনেকগুলি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ--মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির। এই সময় খড়্গপুর কলেজে একমাত্র ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন সরোজ কুমার ভট্টাচার্য। তাঁর একার দ্বারা এই বিভাগ চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। ১৯৫০ সালে কবি নির্বাচিত হন এই বিভাগে। কলকাতা থেকে খড়্গপুরের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। খড়্গপুরকে ভালোবেসে ফেলেন কবি। তিনি ছিলেন নির্জনতাপ্রিয় ও স্বল্পভাষী। পরিবেশের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়ে ছিলেন সুন্দরভাবে। খড়্গপুর রেল কোয়াটার্স, রেল কারখানা, লাল মাটির পথ, পুকুর, ধানক্ষেত এসব দেখে কবি মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন।
শোনা যায়, স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জন্য তাঁর মন উতলা হয়ে যেতো। প্রতি সপ্তাহের শেষে তিনি কলকাতায় চলে আসতেন। অসুস্থ স্ত্রীর জন্য একদিন তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এইভাবে চলতে চলতে কলেজের চাকরীতে অনিয়ম এসে যায়। একদিন তিনি বাধ্য হয়ে চাকরীতে ইস্তফা দেন। কবির জন্মের একশো বছর পুর্তিতে খড়্গপুর কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে তাঁর আবক্ষ মুর্তি বসানো হয়। কথা হলো, কবি জীবন সংগ্রামে ছিলেন দায়িত্ববান মানুষ। সংসার ও কাব্য সমানভাবে চালিয়ে গেছেন। কিন্তু ভাগ্যের লিখনে মানুষের Destiny বিধাতা লিখে রাখেন আগেই। কবির জীবনেও বুঝি তাই ছিল। যাই হোক খড়্গপুর কলেজে তাঁর কার্যকাল ছিল মাত্র পাঁচমাস বারো দিন। [তথ্যঋণ--অর্নব মিত্র]
ফের ট্রেনের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) এক ব্যক্তির। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, কানে হেডফোন দিয়ে লাইন পারাপার করছিলেন ওই ব্যক্তি। এরফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোমবার সকালে খড়গপুরের (Kharagpur) খড়িদা রেলগেটে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম সাহিল আগারওয়াল (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে খড়িদায় রেলগেট বন্ধ হওয়ার পর কানে হেডফোন দিয়ে লাইন পারাপারের চেষ্টা করেন মৃত ওই ব্যক্তি। ঠিক সেই সময় হঠাৎই একটি লাইনে হাওড়া-মেদিনীপুর লোকাল এবং অপর একটি লাইনে মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল চলে আসে। তখনই ট্রেনের ধাক্কায় খড়িদা গেটের সামনে ছিটকে পড়েন ওই ব্যক্তি। এরফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল রেলগেট। তীব্র যানজটও তৈরি হয় খড়িদা মালঞ্চ রোডে।
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর রেল পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ গেটের সামনেই পড়েছিল দেহটি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
খড়্গপুরে (Kharagpur) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাংলো ঘেরাও করলেন কুড়মি (Kurmi) আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বাংলোর মেন গেট লাথি মেরে খুলে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। এরপর বাংলোর সামনে বাগানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। নষ্ট করে ফুলের টব। উপড়ে দেয় বাগানের বহু গাছ। তাঁদের দাবি দিলীপ ঘোষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্য নিয়ে অসন্তোষ ও বিতর্ক দানা বাধে কুড়মি সমাজ। কুড়মিদের করা বেফাঁস মন্তব্য ঘিরেই কুড়মিদের মধ্যে আরও বেশি ক্ষোভ জমা হয়েছিল। সেই ক্ষোভের প্রকাশ পাওয়া গেল বুধবার। ফলে দিলীপ ঘোষের সাময়িক বিপাকে পড়ে।
এদিনের বিক্ষোভে সামিল ছিলেন কুড়মি সমাজের শীর্ষ নেতা অজিত মাহাত। বিক্ষোভের সময় অজিতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, 'দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। তিনি আরএসএসের ক্যাম্পে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কুড়মি সমাজের প্রতি এ ধরনের মন্তব্য তিনি কীভাবে করতে পারলেন? দিলীপবাবুকে ক্ষমা চাইতেই হবে।
খড়্গপুরে (Kharagpur) আগ্নেয়াস্ত্র (Firing Arms) সহ গ্রেফতার (Arrest) এক ব্যক্তি। অন্যদিকে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল ৪জন। শুক্রবার রাতে এই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত গেট বাজার এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দেখতে পাওয়া যায়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ভি.শ্রীনু রাও। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ব্যক্তিটির কাছ থেকে একটি একনলা পিস্তল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে খড়্গপুরের আয়মা এলাকায় চারজন ব্যক্তি জড়ো হয়েছিল ডাকাতির উদ্দেশ্যে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিস ওই এলাকায় হানা দিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছে ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার ধৃতদের খড়্গপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ট্রেন চালককে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তিন ঘন্টা আটকে রাখল এক ব্যক্তি। অভিযোগ, ট্রেন চালককে ট্রেন নিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যাওয়ার জন্য আটক করে রেখেছিল অভিযুক্ত। শেষমেষ গ্রেফতার (Arrest) করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর (Kharagpur) স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে (Platform)।
জানা গিয়েছে, চালক জনক শাহুর একটি মাল গাড়ি নিয়ে ভদ্রক থেকে খড়গপুর হয়ে মেছেদা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। খানিকক্ষণের জন্য গার্ডদের রেস্টরুমে একটু বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ফারুক মিয়া নামের ওই ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর গলায় ধরে জলপাইগুড়ি ট্রেন নিয়ে যেতে বলেন। ভিতর থেকে সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেয়। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে বিশাল রেল পুলিস ও জিআরপি। এরপর বহু চেষ্টার পর জিআরপির তৎপরতায় ওই ব্যক্তিকে আটক করে রেল পুলিস। তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তাকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় জিআরপি পুলিস স্টেশনে। সেখানেই ওই ব্যক্তির জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়গপুর স্টেশনে।
অবশেষে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ও আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হল। দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে ওই লাইনে কুড়মি সমাজের অবরোধের জেরে প্রায় ৪৫০টি ট্রেন বাতিল করতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অম্বর বোস বলেন, 'অবরোধের জেরে আমাদের ডিভিশনে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। অবরোধ উঠে যাওয়ায় আমরা খুব শীঘ্রই ওই দুই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করেছি।'
রবিবার সকাল থেকে টালবাহানা শুরু হলে, প্রথমে পুরুলিয়া অঞ্চলের অবরোধ তোলে কুড়মিরা। তারপর কুস্তাউর ও খেমাশুলি অঞ্চলে অবরোধ উঠলে রবিবার প্রথম ট্রেন চালানো শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল ১১:৪৫ নাগাদ কুস্তাউর স্টেশনের অবরোধ উঠলেও খেমাশুলি অঞ্চলে অবরোধ চালিয়ে যান কুড়মিরা। বিশাল পুলিস বাহিনী তাদের বোঝালেও তারা অবরোধ তুলতে চান না। এরপর তাঁদের উচ্চ নেতৃত্বের মারফত অবরোধ তোলার নির্দেশ পেলে, ওই দিন অর্থাৎ রবিবারই রাত ৮ টা ১৯ নাগাদ, খেমাশুলিতে অবরোধ উঠে যায়। পাশাপাশি রবিবারই কোটশিলা স্টেশনে বেলা ১২টা ২৫ নাগাদ সময় অবরোধ শুরু করে কুড়মিরা। রাত আটটার সময় কোটশিলা স্টেশনের অবরোধও তুলে নেওয়া হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ৯ এপ্রিল এবং ১০ই এপ্রিল যেসব ট্রেনগুলো বাতিল ছিল, তাদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ও ট্রেন ১০ তারিখ অর্থাৎ সোমবারই চালানো হবে। সোমবার সকাল নটা অবধি রেল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০ তারিখ অর্থাৎ সোমবার পূর্বে বাতিল হওয়া ৪৭ টি ট্রেন চালাবে দক্ষিণ পূর্ব রেল। তাদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে, ওই তালিকায় রয়েছে হাওড়া-পুনে এক্সপ্রেস, আজাদহিন্দ এক্সপ্রেস, হাওড়া-জগদলপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-আমেদাবাদ এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বাই এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া স্পেশাল, টাটানগর-খড়গপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-বোকারো স্টিল এক্সপ্রেস।