
চতুর্থ দিনেও গুলির লড়াই অব্যাহত জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে। সেনা বাহিনীর ধারণা, জঙ্গিদের কাছে প্রচুর অস্ত্র মজুত রয়েছে। আর সেকারণেই তিনদিন অতিক্রান্ত হলেও গুলি চালাচ্ছে তারা। অনন্তনাগের একটি পাহাড়ের গুহায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর। সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। যদিও পালটা জবাব দিয়েছেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খতম করতে এবার মর্টার ব্যবহার শুরু করল সেনা। পাশাপাশি রকেট লঞ্চার এবং ড্রোন দিয়েও হামলা চালানো হচ্ছে।
বুধবার অনন্তনাগে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। সংখ্যায় তারা দুই বা তিন। সেদিন থেকেই ব্যপক গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের গুলিতে চার জওয়ান শহিদ হয়েছেন। জঙ্গিরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছে তার একদিকে খাদ এবং অন্যদিকে পাহাড়ি জঙ্গল রয়েছে। ইতিমধ্য়ে সেনা জওয়ানরা অন্য একটি রাস্তা ব্যবহার করে জঙ্গিদের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।
কাশ্মীরে অনন্তনাগের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। জঙ্গির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন তিন নিরাপত্তা আধিকারিক। এদিন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাল শ্রীনগর। শহিদ জওয়ানদের ছবি নিয়ে মিছিল করেন। চোখের জলে তাঁদের স্মরণ করেন। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই সেনা অফিসার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরা হলেন কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস ধোনাক ও ডিএসপি হুমায়ুন ভাট।
ওদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আহত হলেন আরও দুই সেনা জওয়ান। পাশাপাশি আরও এক জওয়ান নিখোঁজ রয়েছেন বলেই খবর। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন জওয়ানরা। সেসময়, গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গভীর রাত পর্যন্ত তুমুল সংঘর্ষ চলতে থাকে। তখনই জঙ্গিদের গুলিতে দুই জওয়ান আহত হন বলে খবর।
বুধবার অনন্তনাগে জঙ্গিদের চালানো গুলিতে শহিদ হন এক কর্নেল, মেজর এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডি এস পি। ওই ঘটনার পর সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করা হয়। উল্লেখ্য, বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনন্তনাগে চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘাত। গারুল এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকেই তারা আক্রমণ চালায়।
ফের ভূমিধস ভূস্বর্গে (Jammu & Kashmir)। এবারে জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে ধস (Landslide) নামে। আর যার জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হল চারজনের। সূত্রের খবর, ধস নামার ফলে বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহালে (Banihal)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালের শের বিবির কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা ধস নামার ফলে পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসে একটি বড় আকারের পাথর। আর সেই পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে গিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকটিতে চালক-সহ মোট ৪ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামবানের ডেপুটি কমিশনার। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। তারাই ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বানিহাল হাসপাতালে পাঠায়।
ভূমিধস ও এই দুর্ঘটনার জেরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ফলে জাতীয় সড়কের মাঝে আটকে পড়েছে একাধিক গাড়ি। এর ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই জাতীয় সড়ক খোলা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, 'বানিহালে ভূমিধসের কারণে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকেদের ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
ভূস্বর্গের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে শ্রীনগরের (Srinagar) টিউলিপ গার্ডেন (Tulip Garden)। এবারে এই বিশালাকৃতির গার্ডেনই জায়গা করে নিল ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (লন্ডন) (World Book of Records)। শ্রীনগরের এই টিউলিপ গার্ডেন ডাল লেক ও জাবারওয়ান পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এটিই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান। এমন সৌন্দর্যে ভরা টিউলিপ গার্ডেন বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না। ফলে এই বাগান জায়গা করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসে।
শ্রীনগরের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন প্রায় ৩০ হেক্টর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই বাগানে প্রায় ৬৮ টি প্রজাতির টিউলিপ রয়েছে ও প্রায় ১.৫ মিলিয়ন টিউলিপ রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বাগান দেখতে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষের মত পর্যটক আসেন। এই টিউলিপ গার্ডেন এই বিশেষ সম্মান দেওয়ার জন্য ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসের টিমকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই টিউলিপ গার্ডেন হলেও এখানে আরও বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা হয়। হায়াসিন্থস, ড্যাফোডিলস, মাসকারি, সাইক্লেমেনস নামের ফুলগুলি এই বাগানের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে নানা রংয়ের ফুল, এগুলোর সুগন্ধে ভরে ওঠে এই টিউলিপ গার্ডেন। এছাড়াও প্রতি বছর বসন্তের সময় এই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগানে টিউলিপ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। আর এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ভূস্বর্গের পর্যটন ব্যবসার পক্ষেও তা উপকারী হয়।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু'বার সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারার পর এবারে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে ফের এক জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের (Poonch) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি ও আহত হয়েছে অন্য এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল ইত্যাদি।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। যার ইঙ্গিত পেতেই সেনা জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করে গোটা এলাকা ঘিরে। এরপরই পাক জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এরপর সেনা জওয়ানরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গুলির লড়াইতে নিহত হয় এক জঙ্গি। অন্য একজন আহত হয়। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ অভিযানে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য এক জঙ্গিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গুলি করার পরেই সে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালাতে থাকে। আরও জান গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল ও প্রচুর বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য,স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতে এক বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে পাক সংগঠনের জঙ্গিরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সকাল সকাল ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবারে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) গুলমার্গ (Gulmarg)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এরপরেও একাধিকবার আফটারশক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজির তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
Earthquake of Magnitude:5.2, Occurred on 05-08-2023, 08:36:01 IST, Lat: 35.46 & Long: 73.32, Depth: 129 Km ,Location: 184km NNW of Gulmarg, Jammu and Kashmir, India for more information Download the BhooKamp App https://t.co/SQhNSDHu45 @Dr_Mishra1966 @KirenRijiju @moesgoi pic.twitter.com/dd4GrwMnnD
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) August 5, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৮ টা ৩৬ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ট থেকে ১২৯ কিমি গভীরে। আর কম্পন অনুভূত হয়েছে গুলমার্গ থেকে প্রায় ১৮৪ কিমি দূরে। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগেই আন্দামান ও নিকোবরে ভূমিকম্প হয়েছে। এবারে কেঁপে উঠল গুলমার্গের মাটিও।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে জুন মাস থেকে এখন অবধি ১২ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ১০ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগে ১৩ জুন ডোডায় কম্পন অনুভূত হয়। সেসময় একাধিক বাড়ি, বিল্ডিং, রাস্তায় ফাটল দেখা যায়।
আবার রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়। সূত্রের খবর, গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান। তবে সেনাবাহিনী জঙ্গিদের ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এখনও চলছে গুলির লড়াই। নিরাপত্তাকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পান, কুলগামের হালান বনাঞ্চল এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সেনাবাহিনী, পুলিস যৌথ অভিযান শুরু করে।
বেগতিক বুঝে জঙ্গিরা নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে। প্রস্তুত ছিল সেনাও। পাল্টা জবাব দিতে থাকে। তখনই জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তিন সেনা জওয়ান। ওই এলাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের বাগে আনতে এখনও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
ভারতীয় সেনার তরফে একটি টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘‘কুলগামের হালানের জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন জন কর্মী গুরুতর জখম হয়ে শহিদ হন। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।’’ প্রয়োজনে আরো সেনা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
কাশ্মীরের সোনমার্গ এলাকায় থাজিওয়াস হিমবাহে আরোহণের সময় বিপদের মুখে পড়েছিলেন দুই পর্বতারোহী। রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে তাঁদের উদ্ধার করে শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় শ্রীনগর বায়ুসেনার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, দুই পর্বতারোহীর নাম হল জিশান মুস্তাক এবং ফয়জল ওয়ানি।
শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ফয়জল এবং জিশান যে বরফে আটকে গিয়েছিলেন। তাঁদের হেলিকপ্টার থেকে প্রথমে লক্ষ করা হয়। এরপর তাঁদের উদ্ধারের জন্য সেখানে হেলিকপ্টার নামানোর চেষ্টা করা হলেও সব চেষ্টা বিফল হয়। মুখপাত্র জানান, হেলিকপ্টার নামানোর জন্য কোনও ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পর শ্রীনগর বায়ুসেনাকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তাঁদের উদ্ধার করে। ভারতীয় বায়ুসেনা এএলএইচ এমকে ৩ হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনকে উদ্ধার করে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন দুই পর্বতারোহীর মধ্যে এক জনের হাড় ভেঙেছে, দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও তিনি চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় দুই পর্বতারোহীকেই শ্রীনগর বায়ুসেনার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) গুলির (Shot) লড়াই। সেনার এনকাউন্টারে নিহত (Death) পাঁচ জঙ্গি (Terrorist)। শুক্রবার ভোর রাতে কুপওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই সময় নিরপত্তাবাহিনী এবং পুলিসের যৌথ গোলাগুলিতে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিস। এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জুমাগুন্ড এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সেনা এবং পুলিসের যৌথ দল। সেই সময়ই শুরু হয় গুলির লড়াই।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চলতি মাসের ১৩ জুন, কুপওয়াড়া জেলার ডোবানর মাচাল এলাকায় সেনাবাহিনী এবং কুপওয়াড়া পুলিসের যৌথ অভিযানে অন্তত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
ফের কেঁপে উঠল (Earthquake) জম্মু ও কাশ্মীর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট নাগাদ শুরু হয় প্রথম কম্পন। তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারবার কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। মঙ্গলবার মাঝরাতে ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। বুধবার সকালে ৭ টা ৫৬ মিনিট নাগাদ আবার কম্পন শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৫। এমনকি এর উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। তার আধ ঘণ্টা পরেই সকাল ৮টা ২৯ মিনিট নাগাদ আবার চতুর্থ ভূমিকম্প অনুভূত হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরপর অনুভূত হওয়া এই ভূকম্পন স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে মানুষের মনে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, চতুর্থবার অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎসস্থল কিশতওয়ারের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের জেরে ফাটল দেখা দিয়েছে বহু ঘরবাড়িতে। এমনকি এই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত না হলেও আহত হয়েছেন চার জন।
কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য় পেল নিরপত্তা বাহিনী। যৌথবাহিনীর গুলি বর্ষণে নিহত দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার কূপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির (shot) লড়াইয়ে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, দোবানর এলাকার যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল।
কাশ্মীর উপত্য়কায় এর আগে বহুবার সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে জঙ্গিরা। তবে জঙ্গিদের হামলা চালানোর আগে থেকে সতর্ক সেনা সহ প্রশাসন। গত মাসে শ্রীনগরে জি২০ বৈঠকের আগে ধারাবাহিক ভাবে উপত্যকায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। লস্কর-ই-তইবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো পরিচিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি, ‘পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট’ ‘কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স’ নামে ‘অপরিচিত’ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলও হামলার কৃতিত্ব দাবি করে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়ায় দেখা মিলল একটি বিমানের (Plane) আকারের বেলুন। শনিবার সকালে দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, সাদা এবং কালো রঙের ওই বেলুনে পাকিস্তান বিমান সংস্থার ‘পিআইএ’-র (PIA) নাম লেখা। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হীরানগরে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে বেলুনটি উদ্ধার করে। কোথা থেকে বিমানটি এল তা খতিয়ে দেখছে তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এসে পড়েছে বেলুনটি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ‘রহস্যময়’ বেলুন উড়ে এসে পড়েছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিমলায় আপেলের একটি বাগান থেকেও এরকমই বিমানের আকৃতির সাদা-কালো বেলুন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাতে ঠিক একই রকমভাবে পাকিস্তান বিমান সংস্থার নাম লেখা ছিল। এছাড়াও গত বছর অক্টোবর মাসে ‘আই লাভ পাকিস্তান’ লেখা একটি হলুদ রঙের বেলুন কাঠুয়া থেকেই উদ্ধার করেছিল পুলিস। সেখানে অবশ্য় ইংরাজি এবং উর্দু দু’ভাষাতেই লেখা ছিল।
সাতসকালে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Bus Accident)। মঙ্গলবার সকালে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায় যাওয়ার পথে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি বাস। জানা গিয়েছে, বাসটি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন সেই বাসটিতে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের ও আহত হয়েছেন প্রায় ৫৫ জন। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জম্মু এসএসপি চন্দন কোহলি জানিয়েছেন, কাটরা থেকে ১৫ কিমি দূরে ঝাজ্বর কোটলি এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই বাসটি মূলত অমৃতসর থেকে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী যাচ্ছিল। সেসময়েই ঝাজ্বর কোটলি ব্রিজের উপর থেকে খাদে পড়ে যায় বাসটি। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাসটিতে যাত্রীসংখ্যা বেশি ছিল। আর যে ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা।
জম্মু এসএসপি বলেছেন, 'এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন ৫৫ জন। ঘটনাস্থলে এসডিআরআফ-এর টিম পৌঁছে গিয়েছিল। উদ্বারকার্য এখনও চলছে।' আরও জানা গিয়েছে, গুরুতর আহতদের জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও বাকিদের স্থানীয় হেলথ কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্মেন্ট মনোজ সিনহা।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। রবিবার ছুটির দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি (Delhi) ও আশেপাশের এলাকাগুলি। রিখটার স্কেলে জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এখনও অবধি কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি বা নিহতের খোঁজ মেলেনি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী ছিল সেই কম্পন। সূত্রের খবর, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কিছু অংশও কেঁপেছে। চণ্ডীগড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেবল দেশ নয়, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে রবিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটর স্কেলে ৫.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার গভীরে।
ফের কাশ্মীরে (Kashmir) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। এবার দুর্ঘটনাস্থল কিশ্তওয়াড়। সেখানকার গভীর খাদে পড়ে যায় একটি গাড়ি। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে অন্তত ছ’জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও চার জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিশ্তওয়াড়ের দাংদুরু বাঁধ এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে ছিলেন দাংদুরু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কর্মী। বাঁধ প্রকল্প এলাকার কাছেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পড়ে যায় গভীর খাদে। দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে কিশ্তওয়াড় পুলিস জানিয়েছে, একটি যাত্রীবোঝাই গাড়ি খাদে পড়ে গিয়েছে। ওই কর্মীদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, কিশ্তওয়াড় এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ। এর আগেও এই এলাকায় একাধিকবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।