
পরপর পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরকে (KKR) জেতানো হোক বা বিদায় জেনেও চোয়াল চাপা লড়াই, ২৫ বছরের রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ফের হৃদয় জিতলেন। ঘরের মাঠে শনিবার প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন নাইটদের। রিঙ্কুর হার না মানা লড়াই বলছিল, এই ম্যাচটা জেতা উচিত কলকাতার। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হল না। শেষ ম্যাচটা রাঙাতে না পারলেও মন জয় করে নিলেন রিঙ্কু। ২০২৩ আইপিএল থেকে ফের শূন্য হাতে ফিরল কেকেআর। তবে চলতি মরসুমে দলটির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আলিগড়ের রিঙ্কু। আইপিএলের বিপক্ষের টিমগুলিও তা এককথায় মেনে নিচ্ছে। কেকেআরের বিদায় ও লখনউয়ের জয় সত্ত্বেও সবার মুখে রিঙ্কুর নাম।
ম্যাচের ১৯ ওভারে লখনউয়ের পেসার নবীন উল হককে কার্যত মাটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনটি চার ও একটি ছয়। শেষ ২ বলে ১২ রানের প্রয়োজন ছিল। রিঙ্কু থাকলে সবই সম্ভব, ধরে নিয়ে গোটা ইডেনের গ্যালারি রিঙ্কুর নামে ধ্বনি দিল। বিপক্ষের স্নায়ুর চাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে শেষমেশ হার মানলেন। কী মনে হচ্ছিল তখন? ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, 'পাঁচ ছক্কার ম্যাচটার কথা মনে পড়ছিল। আমি একেবারে রিল্যাক্স মুডে ছিলাম। যা হবে দেখা যাবে। শেষ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল। ১টা বলে চার হয়।' তিনি আরও বলেন,' শেষ ইনিংসটার (গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে) পর লোকে আমাকে চিনতে শুরু করেছে। পাঁচটি ছয় হাঁকানোর পর প্রচুর সম্মান পেয়েছি। আজও তেমনটা হলে খুব ভালো হত।' ৩৩ বলে ৬৭ রান। নিজের ইনিংসে খুশি। তবে ম্যাচ না জেতায় বেশি আনন্দের বহিঃপ্রকাশ চাইছেন না রিঙ্কু।
ম্যাচ শেষে দেখা যায়, রিঙ্কুর ব্যাট নিয়ে টানাটানি করছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ওপেনার করণ শর্মা। তিনিও উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার। তাঁর নেতৃত্বে খেলেন রিঙ্কু। ব্যাট নিয়ে টানাটানি করায় রেগে যাচ্ছিলেন রিঙ্কু। কী ঘটেছিল তখন? রিঙ্কু বললেন, 'ও আমার কাছে ব্যাট চাইছিল। আমি বললাম, এই ব্যাট দিয়েই তো আমি রান করেছি। আমার লাকি ব্যাটও বলতে পারেন।
আইপিএলের (IPL) মহারণ আজ কলকাতায় (Kolkata)। কলকাতার ইডেনে যেন আজ মুখোমুখি হবে কলকাতা বনাম কলকাতা। একদিকে যখন ইডেনে খেলতে নামছে কলকাতা, তখন অন্যদিকে মোহনবাগানের জার্সি পড়ে খেলতে নামবে গোয়েঙ্কার দল লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। আজকের খেলার গুরুত্ব দুদলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে এখনও খাতায় কলমে টিকে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু সামনে অঙ্কটা খুব কঠিন। শুধু নিজেদের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারালেই চলবে না, তার পরেও তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচের দিকে। আবার লখনউকে শুধু হারালে হবে না, বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। তবে হার-জিত তো পরের কথা, টসের উপরই কলকাতার প্লে-অফ ভাগ্য নির্ভর করছে।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় নজর রাখলে দেখা যাবে আরসিবি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের পয়েন্ট ১৪। আরসিবি ও মুম্বইয়ের একটি করে ম্যাচ বাকি। কলকাতা শনিবার জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ১৪। আরসিবি ও মুম্বই পয়েন্ট নষ্ট করলে তখন একটা সুযোগ আসবে কেকেআরের সামনে।
পিচ নিয়ে ঘন হচ্ছে ইডেন (Eden) ও নাইটদের (KKR) যুদ্ধের মেঘ। পিচ নিয়ে পূর্বেই অভিযোগ এনেছিল নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশের দাবি সব দল নিজেদের ঘরের মাঠে সুবিধা মতো পিচ বানাচ্ছে। একমাত্র কলকাতা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। এমনকি নাইটদের দেওয়া হচ্ছে না পছন্দ মতো উইকেটও। লখনউ ম্যাচের আগে একথা জানানা কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা। যা নিয়ে কেকেআর এবং বঙ্গ ক্রিকেট দুই দলের মধ্যে তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ।
আসলে, ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
তবে, নাইটদের এই অভিযোগ নিয়ে ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও দলের কথা শুনে পিচ তৈরি করতে বাধ্য নন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।
ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। কিন্তু নাইটরা দল তৈরি করেছেন স্পিনারদের উপর ভরসা করে। ফলে ইডেনের পিচ থেকে তেমন কোনও সাহায্য পান না তাঁরা। আর তা নিয়েই রুষ্ট কেকেআর। তা বারবার প্রতিফলিত হয়েছে নীতীশের কথাতে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিরাট শাস্তি কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে। আইপিএলের গর্ভনিং বডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই ম্যাচে মন্থর বোলিংয়ের অভিযোগে ২৪ লাখ টাকা ফাইন করা হয়েছে নীতীশ রানাকে। একইসঙ্গে ফাইন করা হয়েছে কেকেআরের বাকি ক্রিকেটারদেরও। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৬ লাখ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্লো-বোলিং করার অভিযোগ কেকেআরের বিরুদ্ধে। প্রথমবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল নীতীশের। নিয়ম অনুয়াযী, আরও একটি ম্যাচে স্লো-বল করলে একটি ম্যাচ নির্বাসিত হতে হবে রানাকে। রবিবার আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলবে কলকাতা।
রবিবার ১১ বছর পর চিপক ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। কিন্তু সেই জয়ের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কারণ চেন্নাইয়ে ১৪৪ রানে রুখতে গিয়ে সময়ের বেশি সময় বল করেছেন কেকেআর বোলাররা। আর তাতেই নজিরবিহীন জরিমানা করা হয়েছে কেকেআর অধিনায়ককে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম বার মন্থর বোলিংয়ের জন্য ১২ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় বারের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা ও তৃতীয় বার ভুল করলে এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়। সেই শাস্তির মুখে এ বার নীতীশ।
রবিবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা। প্লে-অফে উঠতে হলে ওই ম্যাচ জিততে হবে কেকেআরকে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট এখন কেকেআরের ঝুলিতে।
১১ বছরের অপেক্ষা শেষ। সিংহগুহায় জিতে কলকাতা ফিরছেন নাইটরা। শেষবার ২০১২ সালে চেন্নাই গিয়ে চিপকে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের হারিয়েছিলেন নাইটরা। সেই দলের নেতা ছিলেন গৌতম গম্ভীর। রবিবার সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন দিল্লির আর এক ক্রিকেটার নীতীশ রানা। তবে, জিতলেও এখনই প্লে-অফে ওঠার ছাড় পাচ্ছেন না নাইটরা। তাঁদের এখন দীর্ঘ অপেক্ষা। উল্টোদিকে, প্লে-অফে ওঠার রাস্তায় এখন ২০ তারিখ শেষ ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। প্রতিপক্ষ দিল্লি।
পরিসংখ্যানে কলকাতার থেকে অনেক এগিয়ে চেন্নাই। বিশেষ করে চেন্নাইয়ের মাটি ধোনিদের প্রতিপক্ষের কাছে সবসময় দুর্ভেদ্য। সেই মাঠে এই নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ জিতল কেকেআর। কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানা জানিয়েছেন, চিপকে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয় সবসময় স্পেশাল। কারণ, এই মাঠের গ্যালারি ম্যাচের রং বদলে দেয়।
গ্রুপ পর্যায়ে রবিবার এই মাঠে শেষ ম্যাচ খেলেছে সুপার কিংস। ম্যাচ শেষে সিএসকে সমর্থকদের বিশেষ উপহার দিয়েছেন ধোনি, জাডেজা, রাহানেরা। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকে অটোগ্রাফ নিচ্ছেন সুনীল গাভাসকর। এদিন সানির জামায় নিজের সই রাখলেন মাহি। নিজের জার্সিতেও নিলেন কিংবদন্তি গাভাসকরের সই।
এখনও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR)। তবে, সেটা নির্ভর করছে না কলকাতার উপর। বরং কলকাতার প্লে-অফে যাওয়ার জন্য এবার নির্ভর করতে হবে অন্য দলের উপর।
চলতি মরশুমের আইপিএলে (IPL) কেকেআর মোট ১২টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে জিতেছে ৫টি ম্যাচ। ফলে তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ১০। এখনও চেন্নাই সুপার কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলবে নাইটরা। দু'টি ম্যাচই জিততে হবে তাদের। সেক্ষেত্রে তাদের প্রাপ্ত পয়েন্ট হবে ১৪। কিন্তু তার পরেও প্লে-অফে পৌঁছতে ভরসা করতে হবে অন্য দলের উপর।
ওদিকে আজ অর্থাৎ রবিবারের সন্ধ্যায় কেকেআরের মুখোমুখি হবে চেন্নাই। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে ধোনিবাহিনীকে হারাতেই হবে তাঁদের। গত ম্যাচে রাজস্থানের কাছে হেরে বিপাক বেড়েছে। থমকে আছে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা। এই ম্যাচ জিততে খানিকটা জট ছাড়তে পারে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মোটামুটি যা আভাস, তাতে দলে খুব একটা পরিবর্তন নাও হতে পারে।
কলকাতা এসে ধোনিরা ইডেনে ২৩৬ রান করেছিলেন। চিপক তাঁদের নিজেদের মাঠ। যেখানে ব্যাটিং এবং বোলিং, দুই বিভাগেই এগিয়ে হলুদ সেনা। হাঁটুর চোট নিয়ে খেলে যাচ্ছেন চেন্নাই অধিনায়ক। তাঁর থামার কোনও লক্ষণ নেই। উইকেটে সামনে এবং পিছনে সমান সাবলীল মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনিতেই ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের সেকেন্ড বয় চেন্নাই। এই ম্যাচ জিতলেই কেল্লাফতে।
অতীত ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে শেষবার ২০১২ সালে চিপকে জয় পেয়েছিল কলকাতা। তারপর ১১ বছর কেটে গিয়েছে। ২০২১ সালে দুবাইয়ের মাঠে ফাইনালে উঠেও সুপার কিংসদের আটকাতে পারেননি নাইটরা। তবে এই ম্যাচ কিন্তু কেকেআরের কাছে মরণ-বাঁচন। প্লে-অফে উঠতে হলে এই ম্যাচ থেকে দু-পয়েন্ট খুবই জরুরি। সেইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের দিকেও। তাই কেকেআর যে এই ম্যাচে পরিবর্তনের পথে হাঁটবে, এমনটা বলা যাচ্ছে না।
যস্বশী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) একার ঝড়েই বধ কেকেআর(KKR)। কলকাতার বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে বড় জয় পেল রাজস্থান (RR)। কলকাতার ঘরের মাঠে যস্বশী জয়সওয়াল ও স্যামসনের ব্যাটের দাপটে ৪২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জয়ের জন্য রাজস্থানকে ১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় কলকাতা। সেই রান যেন কোনো ব্যাপারই না। পাওয়ার প্লে একাই খেললেন যস্বশী জয়সওয়াল। সে যেন তাঁর স্বপ্নের ফর্মে। একটুর জন্য তাঁর সেঞ্চুরি হলো না। ১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাটে নেমে বাটলার কে তৃতীয় বলে রান আউট করে রাসেল। ঠিক তার পরেই যেন জ্বলে ওঠে যস্বশী জয়সওয়াল। খেললেন ৪৭ টি বল করলেন ৯৮ রান। পাশাপাশি সমান ছন্দে ২৯ বল খেলে ৪৮ রান করলেন স্যামসন। কলকাতার কোনো বলারকে যেন ছাড়লেন না এই দুজন।
মরণবাচন ম্যাচ জেনেই প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন জয়সওয়াল। শুরুও করলেন সেভাবে। জয়সওয়ালের ইনিংসে ফিকে হয়ে গেল ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ইনিংস। এদিন বল করতে এসে নীতিশ রানা অর্থাৎ অধিনায়ক ১ ওভারে ২৬ রান দেন। পাশাপাশি অনুকুল রায় এক ওভারে ২০ রান দেন। কলকাতাকে হারিয়ে রান রেটে কিছু এগিয়ে থাকলো রাজস্থান। সেইসঙ্গে কলকাতাকে হারিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এলো রাজস্থান।
এখনও অবধি আইপিএলের (IPL) দ্রুততম অর্ধশতরান করে সবার রেকর্ড ভাঙলেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) বিরুদ্ধে ১৩ বলে ৫০ রান করে ভেঙে দিলেন লোকেশ রাহুল এবং প্যাট কামিন্সের নজির।
এ বারের আইপিএলে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের যশস্বী। কলকাতার বিরুদ্ধে নতুন নজির গড়লেন ব্যাট হাতে। বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন তিনি। প্রথম ওভারেই কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে দু’টি ছক্কা এবং তিনটি চার মারেন। প্রথম ৬ বলে করেন ২৬ রান। তার পরেও তাঁকে থামাতে পারেননি কেকেআরের বোলাররা। ১৩ বলে ৫০ রান পূর্ণ করতে যশস্বী মারলেন ৬টি চার এবং ৩টি ছয়।
এর আগে আইপিএলে দ্রুততম অর্ধশতরান করার নজির ছিল রাহুল এবং কামিন্সের। তাঁরা ১৪ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেছিলেন। তাঁদের থেকে ১ বল কম খেলেই ইডেনে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন যশস্বী। তাঁর সামনে কলকাতার কোনও বোলারই সুবিধা করতে পারলেন না। যশস্বীর দাপটে রাজস্থানের অন্য ব্যাটাররাও কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করলেন। ২১ বছরের বাঁহাতি ব্যাটার একাই দলের ৭০ শতাংশের বেশি রান করলেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড যুবরাজ সিংহের দখলে। তিনি ১২ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন।
মরণ বাচন ম্যাচে আশাজনক রান করতে পারলো না কেকেআর (KKR)। টসে জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান (RR)। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু মোটামুটি হলেও মিডিল অর্ডার রানই পেল না, কেবল ভেঙ্কটেশ আইয়ার ছাড়া বাদবাকি সবাই ব্যর্থ বললেই চলে। ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেছিল অধিনায়ক নীতিশ রানা কিনটি সেও ব্যার্থ হলো। বোলিং দাপট দেখা গেল চাহলের। প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে।
প্রথমে ব্যাটে নেমে জেসন রয় ও গুরবাজ জলদি সাঝঘরে ফিরে আসে, হাল ধরার চেষ্টা করে মাত্র ২২ রানে চাহলের বলে ফিরতে হয় রানাকে। সেদিক থেকে রাসেল ও রিঙ্কু সিং দুজনেই আজ ব্যর্থ। যদিও রাসেলের ফর্ম এ বছর তেমন ভাবে পাওয়া যায় নি। শার্দুল ঠাকুরকে লেগ বিফোর উইকেট করে ঘরে পাঠায় চাহল। যদিও গোটা ইনিংসে একমাত্র প্রশংসনীয় খেলা খেললেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আইয়ারের ব্যার্থে যখন রান আসছিল তখন মনে হচ্ছিল কলকাতার রান ১৮০ উপরে যেতে পারে কিন্তু ম্যাচের হাল ধরে, ভালো এবং ভরসাযোগ্য ৫৭ রানের ইনিংস খেলে আইয়ার। ৪২ বলে ৫৭ রান করে চাহলের গুগলির কাছে পরাস্ত হয় আইয়ার এবং ক্যাচ দিয়ে বসে বোল্টকে।
ওদিকে রাজস্থানের পক্ষে দারুন স্পেল করে চাহল, চাহল ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেয়। একটি করে উইকেট নেয় সন্দীপ শর্মা ও আসিফ। ও দুটি উইকেট নেয় বোল্ট।
রাজস্থানের (RR) সঙ্গে মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে নামবে কলকাতা (KKR)। ইডেনে এই ম্যাচ দুই দলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। একসময় টানা ৪টি ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলের তলানিতে চলে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিজেদের প্রথম ৭টি ম্যাচের মধ্যে কলকাতা জেতে মাত্র ২টি ম্যাচ। তবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ান নীতিশ রানারা। পরবর্তী ৪টি ম্যাচের মধ্যে কলকাতা জয় তুলে নেয় ৩টি ম্যাচে। এমনটা নয় যে, কেকেআরের শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বরং কোনও ম্যাচ হেরে বসলে কেকেআরের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এই মুহূর্তে নাইট রাইডার্স প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রয়েছে পুরোদস্তুর। এই অবস্থায় ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে মাঠে নামছে কেকেআর। হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে সঞ্জু স্যামসনদের বিধ্বস্ত করতে মরিয়া নাইটরা।
বেশ কিছুদিন হয়ে গেল উইকেটের মুখ দেখেননি সুনীল নারিন। তা সত্ত্বেও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কলকাতার তুরুপের তাস হতে পারেন তিনি। কারণ জোস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসনের বিরুদ্ধে তাঁর রেকর্ড ভালো।
জেসন রয়কে দলে নেওয়ার সময়েই নাইট কোচ জানিয়েছিলেন যে, ব্রিটিশ তারকা যথাযথ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হতে পারেন। সেই মতো জেসনকে সুয়াশ শর্মার সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে রদবদল করে মাঠে নামাচ্ছে কলকাতা। রাজস্থান ম্যাচেও সম্ভবত একই পদক্ষেপ নিতে পারে কেকেআর।
ইডেনে (Eden) ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক নীতিশ রানা (Nitish Rana)। নীতিশ রাণার ব্যাট থেকে এসেছে একটি মূল্যবান ইনিংস। কিন্তু ম্যাচ জিতিয়ে জরিমানার মুখে কেকেআর অধিনায়ক। ম্যাচ ফি-র টাকা ফাইন হবে তাঁর। সোমবার প্রথম ব্যাট করে পাঞ্জাব সুপার কিংস তোলে ১৭৯ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন ওপেনার জুটি। তবে একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। পরে নীতিশ শক্ত হাতে ম্যাচ ধরে, পরে অবশ্য রাসেল ও রিঙ্কুর দাপটে ম্যাচ জেতে কেকেআর।
কিন্তু ম্যাচ জয়ের আনন্দের মধ্যেই আসে খারাপ খবর। দলের স্লোওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হল নাইট অধিনায়ক নীতিশকে। জানা গেছে, ১২ লাখ টাকা দিতে হবে তাঁকে জরিমানা বাবদ। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি আইপিএলে এটা যেহেতু প্রথম ভুল তাই ১২ লাখ জরিমানা করা হয়েছে। পরে যদি একই ভুল হয়, সেক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়বে।
আইপিএলে এই মরশুমে স্লোওভার রেটের কারণে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে জরিমানা দিতে হয়েছে। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন নীতিশও।
সোমবার কেকেআরের কাছে একদিকে যেমন ছিল পাওয়ার প্লে-র লড়াইয়ে টিকে থাকার ম্যাচ, তেমনই ছিল প্রতিশোধের। প্রথম লেগে পাঞ্জাবের কাছে হেরেছিল কেকেআর। ঘরের মাঠে সেই হারের বদলা নিল তারা।
টলিউডের (Tollywood) অভিনেত্রী হয়ে সাংসদের দায়িত্বও পালন করে চলেছেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। অভিনেত্রী, সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) এক বড় ভক্তও বটে। ফলে একজন ফ্যান হয়ে কিং খানের কাছে এমন এক আবদার করে বসলেন, যা শুনে অবাক। তবে তাঁর সেই আবদার শেষপর্যন্ত মেটালো শাহরুখের টিম কেকেআর (KKR)। তবে তিনি এমন কী চেয়েছিলেন, সেই নিয়ে কৌতুহল বাড়ছে মিমি অনুরাগীদের মনে।
জানা গিয়েছে, টুইটারে মিমির এক বান্ধবীকে দেখেছিলেন, কেকেআর-এর কাস্টমাইজড জার্সি পরে টুইটারে ছবি দিতে। ব্যাস, এই দেখেই মিমিও চেয়ে বসেন এমনি এক জার্সি, যেখানে নাম লেখা থাকবে নিজের। এই কথা টুইটেই তিনি জানিয়েছিলেন। এরপর আবদার করার পরপরই ইচ্ছাপূরণ হয়ে গেল তাঁর। শাহরুখের টিম কেকেআর-এর থেকে পাঠানো হয়েছে মিমির নাম লেখা বেগুনি রংয়ের কেকেআর-এর জার্সি। আজই ইডেনে পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে খেলা আছে কেকেআর-এর। তার আগেই হাতে পেয়েছেন নিজের পছন্দের সেই জার্সি। এরপর সেই জার্সি হাতে নিয়ে ছবিও শেয়ার করেছেন মিমি।
এর আগে টুইটে মজা করেই শাহরুখকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁকে পাঠান ছবিতে নেবে নাকি। কিন্তু সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর আসেনি। এসআরকে-কে ট্যাগ করে মিমি লেখেন, 'পাঠান ২-এ তুমি কি আমাকে নিচ্ছ?' এরই পাশাপাশি সম্প্রতি ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসার জন্য ধন্যবাদও জানান তিনি। কিন্তু এত টুইটের মাঝে মিমির টুইটের উত্তর দিতে দেখা যায়নি শাহরুখকে। কিন্তু এবারে শাহরুখের টিমকে এক আবদার করাতেই তা পূরণ করা হল। ফলে এই নিয়ে বেজায় খুশি মিমি ও তাঁর অনুরাগীরাও।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জয় পেয়ে, নিজেদের প্লেঅফের আশা জিইয়ে রাখলো কেকেআর। কলকাতার বোলারদের দাপটে বেঁচে রইল প্লে-অফ (IPL) খেলার স্বপ্ন। টানটান ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিল কলকাতা। ফের জয়ের সরণিতে ফিরল শাহরুখের দল (KKR vs SRH)। টস জিতে এদিন প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক নীতিশ রানা। প্রথমে ব্যাট করে বড় রানের লক্ষ্য দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি নেয় কলকাতা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় কেকেআর। পরপর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। রান পাননি ওপেনার রহমনতুল্লাহ গুরবাজ (০) ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৭)।
তবে রিঙ্কু সিং ও নীতিশ রানার দুরন্ত ব্যাটিং রানের গতি বাড়াতে সাহায্য করে কলকাতাকে। নীতিশ এদিন ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে আসে ১৫ বলে ২৪ রান। আর শেষে রিঙ্কু করেন ৪৬ রান। যদিও শেষের দিকে পরপর উইকেট পড়তে থাকে কেকেআরের। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে কলকাতা ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭১ রান। হায়দরাবাদের হয়ে ২ উইকেট করে নেন টি নাটরাজন ও ম্যাক্রো জেনসন। একটি করে উইকেট পান বাকিরা।
কলকাতার ১৭১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে হায়দরাবাদ। তবে এই ম্যাচে যে জয় সহজে আসবে না, সেটা বুঝিয়ে দেন, শার্দূল ঠাকুর, আন্দ্রে রাসেল, বৈভব অরোরা, অনুকূল রায়রা। পরপরই উইকেটে হারাতে শুরু করে হায়দরাবাদ। ৬.২ ওভারে হায়দরাবাদের স্কোর এসে দাঁড়ায় ৫৪-৪। সেখান থেকে অধিনায়ক অ্যাডেন মারকরাম ও হেনরিচ ক্লাসেন হাল ধরেন ম্যাচের। ২০ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। অন্যদিকে হায়দরাবাদের অধিনায়ক এদিন কিছুটা ধরে খেলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ডেথ ওভারে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং কেকেআরকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেয়। এখন দেখার পরের ম্যাচগুলিতে এই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারে কিনা কলকাতা।
এবারের মতো কার্যত বিদায় নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। তাদের প্লে অফের আশা প্রায় শেষই বলা চলে। কলকাতার পয়েন্ট নয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট। তাদের সঙ্গে একই পয়েন্টে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারাও ছয় পয়েন্ট অর্জন করেছে সাত ম্যাচ খেলে। আইপিএলে (IPL) প্রথম চার দল হল, গুজরাত (১২ পয়েন্ট), রাজস্থান (১০ পয়েন্ট), লখনউ (১০ পয়েন্ট) ও এম এস ধোনির চেন্নাই, তাদের পয়েন্টও ৮ ম্যাচ খেলে ১০। কলকাতা তালিকায় রয়েছে সাত নম্বরে। তাদের পরে রয়েছে মুম্বই, হায়দরাবাদ ও দিল্লি। এদিন শেষ দুটি দলের যে কেউ জিতলেই আরও চাপে পড়ে যাবে নীতিশ রাণার দল।
ইডেনে শনিবার কলকাতা যদি হার্দিকদের হারাতে পারত, তা হলে তাদের আশা ছিল। কিন্তু আইপিএলে প্রতিটি দলই ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে অন্য দলের, তাই অঙ্কটা জটিলই। এদিন তার মধ্যে বিজয় শঙ্করের (Vijay Shankar) ক্ল্যাসিক ইনিংস ইডেনে কেকেআরের হারকে নিশ্চিত করে দিয়েছে। তিনি এত দ্রুত রান তুলেছেন যে কখন খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে, অনেকে বুঝেই উঠতে পারেননি। ২৪ বলে করেছেন ৫১ রান। পাঁচটি ছয় ও দুটি চার মেরে তিনি দলের হিরো হয়ে গিয়েছেন।
শঙ্করের নামে একটা সময় অপবাদ ছিল তিনি ধীরস্থির ব্যাটিং করেন। কিন্তু তিনিও যেভাবে বিদ্যুৎগতিতে রান তুলেছেন, সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি নাইটদের দলের রাসেল থেকে শুরু করে বরুণ চক্রবর্তী ও হর্ষিত রানাদের বেধড়ক মেরেছেন। মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ইডেন মাতিয়ে দিয়েছেন। এই নিয়ে তাঁর পরপর দুটি হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল।
আজ অর্থাৎ শনিবার কলকাতার (KKR) ঘরের মাঠে কেকেআরের মধ্যে নামতে চলেছে হার্দিকরা (Hardik), বৃষ্টির জন্য আপাতত সেই ম্যাচ (IPL) শুরু করা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হার্দিক। কলকাতার প্রথম একাদশে পরিবর্তন হয়েছে। খেলছেন না উমেশ যাদব, চোটের জন্য নেই জেশন রয়। তাদের পরিবর্তে প্রথম একাদশে এসেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হরসিত রানা।
কলকাতার বিরুদ্ধে গুজরাতের এই ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ফলে এই ম্যাচ নিয়ে সংশয় ছিলই। আপাতত মাঠ ভিজে থাকার জন্য খেলার স্থগিত রাখা হয়েছে।