১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার এগারো দিনে পা রাখল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas War)। এই সংঘর্ষে রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজারের উপর মানুষ। গাজায় ঢুকে হামাস সন্ত্রাসীদের নিকেশ করছে ইহুদি দেশটির সেনা। আবার গাজা দখল করতেও তৎপর ইজরায়েল। কিন্তু এই পদক্ষেপ 'বড় ভুল' বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এমনটা বার্তা দেওয়ার পরই যুদ্ধবিধস্ত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে ইজরায়েল যাচ্ছেন জো বাইডেন। সূত্রের খবর, বুধবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুদ্ধ বিধস্ত ইজরায়েলের তেল আভিভে রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন, বুধবার ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পর বাইডেনও নিজেই এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানান, বুধবার তিনি ইজরায়েল আসছেন। জানা গিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে ও ইজরায়েলের পরবর্তী পরিকল্পনা জানতেই এই সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ইজরায়েল সফরের পাশাপাশি বাইডেন জর্ডন যাবেন এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফদেহ-এল-সিসি ও প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও দেখা করবেন বাইডেন।
On Wednesday, I'll travel to Israel to stand in solidarity in the face of Hamas's brutal terrorist attack.
— President Biden (@POTUS) October 17, 2023
I'll then travel to Jordan to address dire humanitarian needs, meet with leaders, and make clear that Hamas does not stand for Palestinians' right to self-determination.
ইজরায়েল (Israel) যদি গাজা (Gaza) দখল করে তবে তা বড় ভুল হবে, এমনটাই প্রকাশ্যে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রনেতা ইজরায়েলি পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মন্তব্য করলেন। আরও জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলের তেল আবিবেও যেতে পারেন তিনি। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আজ, সোমবার দশম দিন। রবিবারই গাজা ছেড়ে যেতে প্যালেস্তেনীয়দের বার্তা দেওয়া হয়। এর পরই আকাশ, স্থল, সমুদ্র পথে ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে ইজরায়েল সেনা। আর এই প্রেক্ষাপটে জো বাইডেনের এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, রবিবার এক সংবাদমাধ্য়মে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে নেতানিয়াহু সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, 'গাজায় ইজরায়েলের দখলদারিত্ব একটি বড় ভুল হবে।' তিনি আরও জানান, সমস্ত প্যালেস্তেনীয়র প্রতিনিধিত্ব করছে না হামাস। তাই ইজরায়েল গাজা দখল করলে তা বড় ভুল হবে। এই প্রথম কোনও ইজরায়েলি পদক্ষেপের প্রকাশ্য বিরোধিতা করল মার্কিন মুলুক। সূত্রের খবর, ইজরায়েলকে বার্তা দিলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ত যুদ্ধবিধ্বস্থ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে তেল আবিবে যেতে পারেন বাইডেন। তবে হোয়াইট হাউসের তরফে খবর, এখনও সেই কর্মসূচি জানা যায়নি।
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কুচকাওয়াজ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যদিও এর সরকারি কোনও ঘোষণা এখনও অবধি হয়নি। তবে , আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জানান জি২০ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইডেন ও মোদী, তখনই আমন্ত্রণ সেরে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত , ২০১৮ সালে নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারত সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে।
জি-২০ সম্মেলন ঘিরে রাজধানী দিল্লিতে সাজো সাজো রব। আজ অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit)। ইতিমধ্যেই নয়া দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানরা ও ভারত মণ্ডপমে বসেছে এর আসর। শনিবার সকালেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক-সহ অন্য রাষ্ট্রনেতারা একে একে পৌঁছন সেখানে। নিজে উপস্থিত থেকে সকলকে সেখানে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর পরই বাইডেনকে স্বাগত জানানোর এক বিশেষ মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জি-২০ সম্মেলনের জন্য তৈরি করা কোনারকের সূর্যমন্দিরের বিখ্যাত চাকার প্রতিরূপ দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন বাইডেন। আর সেই প্রতিরূপের মাহাত্ম্য বিষয়ে বাইডেনকে জানাতে দেখা গেল মোদীকে।
জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন শিল্প ও কারুকার্যে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল 'ভারত মণ্ডপম'। সেখানে প্রবেশের মুখেই ওড়িশার কোনারকের মন্দিরের বিখ্যাত চাকাটির একটি প্রতিরূপও তৈরি করে রাখা হয়েছে। সেই সাজসজ্জা নজর কেড়েছে সকলেরই। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারতের এমন শিল্প দেখে হতবাক হয়ে যান। নিজের কৌতূহল চেপে রাখতে পারেননি তিনি। ফলে তাঁর কৌতূহল প্রকাশ করতেই বাইডেনের সঙ্গে করমর্দনের পর তাঁকে ওই চাকার বর্ণনা দিচ্ছেন মোদী। আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে ও ইতিমধ্যে তা ভাইরাল।
VIDEO | PM Modi explaining about Odisha's Konark wheel to US President Joe Biden as he arrived at Bharat Mandapam to attend the G20 Summit.
— Press Trust of India (@PTI_News) September 9, 2023
The Konark wheel was built during the 13th century under the reign of King Narasimhadeva-I. The wheel consists of eight wider spokes and… pic.twitter.com/NPw5yCgEuK
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) নিজের বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi)। ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটিতে পা রাখেন জো বাইডেন। এর পর জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit) আগেই মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বাইডেন। বৈঠকটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় ও রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে শেষ হয়। প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁদের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৫২ মিনিটের এই বৈঠকে এআই, মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় মোদী-বাইডেনের। দুই নেতার আলোচনায় উঠে এসেছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যাতে ভারত হতে পারে সেই বিষয়টি নিয়ে। বৈঠকে মোদীকে আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন। ভারতকে স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত করে রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে পাশে থাকার কথাও বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ৫জি ও ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে আরও গবেষণা ও বিকাশের জন্য জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স গঠনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার কোয়ান্টাম শক্তি নিয়েও কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্তরে কোয়ান্টাম শক্তিকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন। এছাড়াও চন্দ্রযান ৩ -এর সাফল্যের জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক্স মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কিছু মুহূর্তের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনের আগে এই বৈঠক ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
Prime Minister @narendramodi and @POTUS @JoeBiden are holding talks at 7, Lok Kalyan Marg in Delhi.
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2023
Their discussions include a wide range of issues and will further deepen the bond between India and USA. 🇮🇳 🇺🇸 pic.twitter.com/PWGBOZIwNT
আজ সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫মিনিটে বাইডেনের বিশেষ বিমান নামবে নয়া দিল্লির ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। এর আগে ৭ই সেপ্টেম্বরই তাঁর দিল্লি পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু হোয়াইট হাউস (White House) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ভারতের মাটিতে পা রাখবেন। এর পরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। কিন্তু মোদী ও বাইডেনের মধ্যে এমন কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে।
তবে এবারে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে যে মোদী ও বাইডেনের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, বাইডেন-মোদী আলোচনায় প্রাধান্য পাবে প্রিডেটর ড্রোন, ফাইটার জেট ইঞ্জিন, ৫জি/৬জি প্রযুক্তির মতো বিষয়। এছাড়া, শান্তিপূর্ণ ভাবে পরমাণু শক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়গুলি নিয়ে হবে আলোচনা। তবে আরব বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ভারতের সঙ্গে বড় রেলপথ প্রকল্প নিয়ে জল্পনা ছিল বহুদিন ধরেই। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে কিনা, তা নিয়ে কিছু জানাননি।
ইতিমধ্যেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে, আজ সন্ধ্যায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হতে চলেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী কুমার জুগনাথ উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠক পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে জানিয়েছেন মোদী।
হাতে আর একদিন, এর পরই নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20 Summit)। ফলে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ থেকেই দেশে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। রাত পোহালেই অর্থাৎ শুক্রবার দেশে এসে পৌঁছবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে ভারতে আসবে তাঁর গাড়ি 'দ্য বিস্ট' (The Beast)। তবে এই গাড়ি কিন্তু কোনও সাধারণ গাড়ি নয়। বলা হয়, এই গাড়িই বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ গাড়ি। আর এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। ফলে কী নেই এতে! সূত্রের খবর, বোমা-গুলি কোনও কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না গাড়িটিকে।
সূত্রের খবর, ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ভারতের মাটিতে পা রাখবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সঙ্গে থাকছে তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে, ভারতে এসে তিনি যে গাড়িতে চড়বেন, তা আমেরিকা থেকে বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার থ্রি করে নিয়ে আসা হবে। এই গাড়ির নাম 'দ্য বিস্ট'। জানা গিয়েছে, এই গাড়ি মূলত স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও সেরামিক দিয়ে তৈরি। প্রায় ৮ ইঞ্চি পুরু দরজা ও ৫ ইঞ্চি পুরু জানালা। এছাড়াও কোনও বোমা বা বুলেটেও কোনও ক্ষতি হবে না গাড়িটির। ফলে এই গাড়িতে বসলে কোনও ক্ষতি তো দূর কোনও আঁচড় অবধি বসবে না দেহে। এতে যেমন রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা, তেমন রয়েছে টিয়ার গ্যাস ডিসপেনসার, স্মোক প্রুফ স্ক্রিন, জিপিএস। আবার এই গাড়ির ভিতরে রয়েছে প্রেসিডেন্টের ব্লাড গ্রুপের রক্তও।
শুধুমাত্র গাড়ির নিরাপত্তাই নয়, তার বাইরেও রয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, বাইডেনকে ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে থাকবে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে ভারতের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের কমান্ডো ও তৃতীয় স্তরে থাকবে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট। ভারতে এসে বাইডেন ও মার্কিন প্রতিনিধিরা থাকবেন দিল্লির আইটিসি মৌর্য শেরাতন হোটেলে থাকবেন। বাইডেন থাকবেন হোটেল ১৪ তলায়। সেখানে বাইডেনের জন্য আলাদা লিফটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
চলতি মাসের ৯ ও ১০ তারিখে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে নয়া দিল্লিতে। এ বছর জি-২০-এর আয়োজক দেশ হল ভারত। জানা গিয়েছে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। কিন্তু তার আগেই হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর এসেছে, সম্মেলনের ২ দিন আগেই ভারতে আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ৭ সেপ্টেম্বরই ভারতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বাইডেনের এমন কেন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই তাঁর প্রথম ভারত সফর। জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি। এর পর ৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।
এই ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, 'আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার জি-২০ সামিটে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন বাইডেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন বিষয় যেমন- জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নতি নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের সামাজিক প্রভাব, কীভাবে বিশ্ব ব্যাংকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, দারিদ্র দূর করা যায়, গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ সেই বিষয়েও আলোচনা করা হবে।'
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আগে মোদী-বাইডেন বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের বৈঠকের পর কী কী বার্তা আসতে পারে দুই মিত্র দেশের তরফে, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ববাসী।
ইউক্রেনের (Ukraine) ক্ষেপণাস্ত্র হানা (War)। রুশ (Russia) বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে আমেরিকার দেওয়া ক্লাস্টার বোমা (Cluster Bomb) ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। আর সেই বোমা ফেটে তার থেকে আরও অনেক ছোটো ছোটো বোমা বেরিয়ে আসছে। পরে আবার সেই ছোটো ছোটো বোমাগুলিই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এই বোমা ব্যবহার একরকম প্রায় নিষিদ্ধ। একটি রিপোর্টে ইউক্রেনীয় কর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র শত্রুদের হামলার জবাব দিতেই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হবে।
অন্যথায় এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ জেনেও ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যার ফলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সবাই। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশও বাদ পড়েনি বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে।
তিনদিনের মার্কিন (US) সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজই তাঁর সফরের শেষদিন। প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন মুলুকে পা রাখতেই শুরু হয়েছিল তাঁর প্রশংসা। আমেরিকার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্যই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাইডেন সরকারের (Joe Biden) তরফে। নরেন্দ্র মোদীও যৌথ অধিবেশন গিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। আর তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে আমেরিকা-ভারতের সম্পর্কের কথা। এরপর শেষ কর্মসূচীতে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগান সেন্টারে প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এখন মেন ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড তৈরি হবে।' মার্কিন সফর শেষ করে তিনি এখন ইজিপ্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথাতে উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র, অর্থনীতি, পরিবেশ। তবে তাঁকে বেশি বলতে দেখা গিয়েছে ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী করার পক্ষে জোর দিয়েছেন তিনি। আবার ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা এখানে ভারতের মানচিত্র তৈরি করেছেন। মনে হচ্ছে মিনি ইন্ডিয়া ফুটে উঠেছে। আমেরিকায় এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত-এর এত সুন্দর ছবি দেখানোর জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই।'
তবে যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়া ছাড়াও সফরের প্রথমেই তিনি বিশ্বের কিছু শিল্পপতিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। গুগল এবং অ্যাপলের মতো সংস্থা ভারতে বড় বিনিয়োগ করবে বলেও তিনি জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশ ছাড়ার আগে টুইট করে বলেন, 'বিশেষ আমেরিকা সফরের সমাপ্তি হল। এই সফরে আমি ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বকে গতিশীল করার লক্ষ্যে অসংখ্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে পেরেছি৷ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে৷ বিশ্বের আগামী প্রজন্মকে উন্নত ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্যও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।'
অবশেষে সাংবাদিক সম্মেলনের (Press Conference) সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২২ জুন, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের একেবারে মুখোমুখি হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন ও ভারতীয় দুই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আরও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনে এক মার্কিন সাংবাদিক এবং এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি প্রশ্ন থাকবে। সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি এই যৌথ সম্মেলনকে 'বড় বিষয়' বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'হোয়াইট হাউস কৃতজ্ঞ যে সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।'
তিনদিনের সফরে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এটাই তাঁর প্রথম অফিসিয়াল মার্কিন সফর। ফলে এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছনোর পরই তাঁকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর আজ হোয়াইট হাউসে পৌঁছতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাঁকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান।
ফের ইতিহাস সৃষ্টি করার পথে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী মার্কিন কংগ্রেসে (US Congress) দু'বার ভাষণ দিতে চলেছেন। ২২ জুন আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরকালে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী মার্কিন কংগ্রেসে দু'বার ভাষণ দেবেন এবং পঞ্চম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এছাড়াও তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এই আবহে মোদীকে বরণ করতে আমেরিকায় প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে।
মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনিও টুইটে স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি, সেনেটর চার্লস সুমার, রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল-কে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, 'আমন্ত্রণের জন্য় ধন্যবাদ। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দ্বিতীয়বার বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমেরিকার সঙ্গে গ্লোবাল স্ট্যাটেজিক পার্টনারশিপের জন্য আমরা গর্বিত।'
চলতি মাসের ২২ জুন আমেরিকা যেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেখানে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে বক্ত্তা দেবেন। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বৈশ্বিক নানা প্রতিবন্ধকতা ও ভারতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন তিনি, এমনটাই সূত্রের খবর।
মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার পরই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। সূত্রের খবর, কলোরাডোতে (Colorado) মার্কিন বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে ওঠেন। এরপর বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নামতে গিয়েই হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে আসেন সেখানে উপস্থিত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। জানা গিয়েছে, তেমন কোনও চোট লাগেনি তাঁর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলোরাডোতে মার্কিন বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর সেখানে গিয়েই ঘটে এই বিপদ। আচমকা হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। এর আগেও একাধিকবার তাঁর সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারমধ্যেই এমন এক কাণ্ড। তবে জানা গিয়েছে, মঞ্চে রাখা এক ব্যাগের সঙ্গে পা লেগেই তিনি পড়ে যান। ফলে সম্পূর্ণ সুস্থ জো বাইডেন। এমনটাই দাবি হোয়াইট হাউসের।
বাইডেন পড়ে যেতেই পাশের থেকে অনেকে ছুটে এলেও তিনি একাই উঠে যান ও হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন যে, ব্যাগে হোঁচট খেয়েই পড়ে যান তিনি। পরে হোয়াইট হাউসের তরফেও বলা হয়, 'প্রেসিডেন্ট একদম সুস্থ রয়েছেন। আসলে তিনি যখন জনতার দিকে হাত নাড়ছিলেন তখন স্টেজে থাকা একটি ব্যাগ পায়ে জড়িয়ে যায়।'
একটা অটোগ্রাফ (Autograph) পাওয়া যাবে। জাপানের হিরোসিমায় জি-সেভেন বৈঠকের ফাঁকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই আবদার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। বৈঠকে যোগ দিতে এসেই মোদীকে (Narendra Modi) দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন অশতিপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। জানান, আপনি ভীষণ জনপ্রিয়। তাই আপনার একটা অটোগ্রাফ চাই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, এই ব্যাপারে তিনি সিরিয়াস। একটুও মজা করছেন না।
এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই কোয়াডের বৈঠকে দেখা হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। ওই বৈঠকের ফাঁকে বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকায় মোদী কতটা জনপ্রিয়, তা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সফরের আগেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ, তিনি অনেক ফোন পাচ্ছেন, যাঁরা অনুরোধ করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখবেন বলে।
প্রায় একই কথা জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে হাজির থাকা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির ম্যাচ দেখতে আমেদাবাদে হাজির ছিলেন তিনি। টেস্ট শুরু আগে স্টেডিয়ামের ৯০ হাজার দর্শকের মোদী মোদী রব এখনও তিনি ভুলতে পারেননি। অ্যান্টনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেন, নরেন্দ্র মোদীর থেকে তিনিও অটোগ্রাফ চান।
ফের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার তকমা পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জনপ্রিয়তার নিরিখে এবারেও ছাপিয়ে গেলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (Joe Biden), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak)। মোট ৭৬ শতাংশ সমর্থনের সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী ফের হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা। এমনটাই রবিবার এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
সম্প্রতি 'মর্নিং কনসাল্ট' নামে এক সংস্থার তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ছাপিয়ে গিয়েছেন জো বাইডেন, ঋষি সুনকের মতো নেতাদেরও। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে এর আগের বারের সমর্থন ছিল ৭৮ শতাংশ মানুষের। এবারে ২ শতাংশ কমলেও তাঁর জায়গায় তিনি স্থির।
দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদীর পরেই ৬১ শতাংশ পেয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল লোপেজ অব্রাডোর। ৫৫ শতাংশ সমর্থনের সঙ্গে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ। বাইডেন রয়েছেন ষষ্ঠ স্থনে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪১ শতাংশ। কানাডার রাষ্ট্রপতি জাস্টিন ট্রুডো রয়েছেন অষ্টম স্থানে। তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
এই সমীক্ষাটি চলতি বছরের ২৩ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে করা হয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে মর্নিং কলসাল্ট সমীক্ষা করেছিল। তখনও ৭৮ শতাংশ সমর্থন পেয়ে বিশ্বসেরা নেতা হয়ে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।