
ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যেও। এবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে পুজোতেই বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নবান্নের। সেই মত সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে এরাজ্যেও। প্রবল বৃষ্টিতে ক্রমশ জলধারনের ক্ষমতা হারাচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার। এর জেরে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ডিভিসি, তাই পুজোর মুখে চার জেলায় বন্যার আশঙ্কা। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার একাংশে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ঝাড়খন্ড পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নিচু এলাকা থেকে তড়িঘড়ি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির জন্য কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেই নিয়ে সোমবারই বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হবে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। ত্রিপল, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায়।
সম্বলপুর থেকে জম্মুতাওয়াইগামী মুরি এক্সপ্রেসে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন রেল যাত্রী আহত হয়েছেন। সমস্ত দামী সামগ্রী নেওয়ার পাশাপাশি গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে লাতেহারের দিকে রওনা হয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই কামরায় বসে ছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। লাতেহার স্টেশন ছাড়ার পরেই অপারেশন শুরু করে তারা। এস ৯ কামরাতেই লুঠপাট চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রেলপুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না, ফোন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী কেড়ে নিয়েছে তারা। বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ট্রেনটি ডালটনগঞ্জ স্টেশনে থামলে আহত য়াত্রীরা অভিযোগ দায়ের করেন।
এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে সমন পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতাধীন একটি মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও ঠিক কী কারণে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
ঝাড়খণ্ডের খনি সংক্রান্ত কয়েকটি অর্থ তছরুপের মামলার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। তার জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে হেমন্ত সোরেনকে। তবে তাঁর কাছ থেকে কী জানতে চাওয়া হবে সেবিষয়ে কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। এর আগেও গত নভেম্বর মাসে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় হেমন্তের বয়ান রেকর্ড করেছিল ইডি।
যদিও হেমন্তকে নোটিস পাঠানোর পরেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগে বিরোধীরা। বেছে বেছে অ-বিজেপি রাজ্যগুলির উপর বারবার আঘাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ফের ইডির তলব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren)। গতবছরও ইডি (Enforcement Directorate) তলব করেছিল হেমন্ত সোরেনকে। তবে সেবার অন্য এক মামলায় তলব করা হয়েছিল। এবারে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে (Money Laundering Case) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৪ অগাস্ট তাঁকে রাঁচির ইডির দফতরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত এক আইএএস অফিসারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এরপর তার বয়ানের ভিত্তিতেই হেমন্ত সোরেনকে আর্থির তছরুপের অভিযোগে জেরা করতে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্তকে তলব করা হয়েছিল খনি কেলেঙ্কারি কাণ্ডে। সেসময়, তাঁকে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এবারে তাঁকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তলব করল ইডি। ফলে এখন এটাই দেখার যে, তিনি ১৪ অগাস্ট ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।
লোকসভার ভোটের আগে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বিরোধী দলের। এছাড়াও হেমন্ত সোরেন 'ইন্ডিয়া' জোটের সক্রিয় সদস্য, তাই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর দলের নেতা-নেত্রীদের।
ভালোবাসার টানে মানুষ কত কিছুই না করেন! একদিকে যেমন সীমা হায়দার তাঁর প্রেমিকের টানে সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন। তেমনি আরও এক বিদেশিনী নিজের দেশ ছেড়ে সাত সমুদ্র পেরিয়ে এসেছেন ভারতে, একমাত্র ভালোবাসার টানে। পোল্যান্ডের (Poland) এক মহিলা বারবারা পোল্যাক (Barbara Polak) ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক যুবকের ভালোবাসার টানে ভারতে এসেছেন। তবে এবারে পাবজি নয়, ইনস্টাগ্রামে হয়েছে তাঁদের আলাপ। জানা গিয়েছে, এনারা নাকি খুব শীঘ্রই বিয়েও করতে চলেছেন।
জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে পোল্যান্ডের মহিলা বারবারার সঙ্গে ২০২১ সালে ঝাড়খণ্ডের যুবক শাদাব মালিকের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তাঁদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেম-ভালোবাসায় পরিণত হয়। ফলে সম্প্রতি বারবারা সেখানকার সব কিছু ফেলে শুধুমাত্র তাঁর কন্যাসন্তানকে নিয়ে এদেশে আসেন শাদাবের সঙ্গে সংসার করতে। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের বারাতুয়া গ্রামে শাদাবের সঙ্গেই থাকেন বারবারা ও তাঁর ৬ বছরের মেয়ে অনন্যা। আর খুব শীঘ্রই তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন।
ইতিমধ্যেই হাজারিবাগ সাব ডিভিশনাল মেজিস্ট্রেটের কাছে বিয়ের জন্য আবেদনও করে ফেলেছেম শাদাব এবং বারবারা। বর্তমানে তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না। শোনা যায়, মেয়ে অনন্যা এখন থেকেই শাদাবকে বাবা বলে ডাকতেও শুরু করেছে। গ্রামেও তাঁদের বিয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আদিবাসীদের ডাকে ১২ ঘণ্টার বনধ। নাজেহাল ট্রেন যাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) চিরুগড়া স্টেশন লাগুয়া ট্রেনপথ অবরোধ (blockade) করা হয়েছে। সেই অবরোধের ফলে খড়্গপুর টাটা লাইনে বিভিন্ন ট্রেন বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে ট্রেন (train) যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, হাওড়া-বড়বিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেস হাওড়া ছাড়ার পর খড়্গপুরে এসে থেমেছে। সেখানেই ট্রেন ক্যান্সেল করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ার পরই কেন রেলের তরফ থেকে জানানো হয়নি আদিবাসীদের বনধ চলছে খড়্গপুরে। তাহলে তাঁরা হাওড়া ছাড়ার আগেই কোনও ব্য়বস্থা নিত।
যাত্রীদের দাবি, হঠাৎ ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। ফলে যাত্রীদের যাত্রাপথে ব্য়ঘাত ঘটে। যদি ট্রেন বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে অন্য কোন ব্যবস্থা করল না কেন রেল প্রশাসন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রেলের বিরুদ্ধে।
রাজ্যের চাহিদা মতো কেন্দ্র ৮২২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স (Central Force) না দিতে পারলে পাশের রাজ্য থেকে বাহিনী নিয়ে আসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। মূলত, ঝাড়খন্ড (Jharkhand) এবং ওড়িশা থেকে বাহিনী আনার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে একটি বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এমনকি শনিবার বিকালেও রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে বাহিনী আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর সোমবারের মধ্যেই রাজ্যে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য থাকছে ৬০ হাজার রাজ্য পুলিশ এবং ১৫ হাজার কলকাতা পুলিশ। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। কোনও কারণে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে পাশের রাজ্য থেকে বাহিনী নিয়ে এসে ভোট করাবে তারা।
বেআইনি কয়লা (Coal) খাদানে ধস। মৃত্যু (Death) হয়েছে তিন জনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদে ভোওরা কোলিয়ারি এলাকায় ধস নামে। জায়গাটি ধানবাদ শহর থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে। ধসে বহু মানুষের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা প্রশাসনের। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বহু গ্রামবাসী বেআইনি খাদানে কয়লা উত্তোলনের কাজ করেন। তিনি বলেন, ধসের পর স্থানীয় মানুষ ভিতর থেকে ৩টি দেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়েছেন।
বেআইনি খাদান থেকে কয়লা উত্তোলন এই এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা। অপরিকল্পিত খননের জেরে এলাকা যেমন অতিধসপ্রবণ হয়ে উঠছে, পাশাপাশি খোলামুখ খনি থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা পাচারের কারণে এলাকায় অসামাজিক গতিবিধিও মাথাচাড়া দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে এ সব বেআইনি কাজ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসনেরই উদ্যোগের অভাব।
ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। হাতির (Elephant) দল পিষে (crushed) দিল একই পরিবারের তিন সদস্যকে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) লাতেহার জেলায়। ঘুমের মধ্যে থাকাকালীনই মৃত্যু (Death) হয়েছে তাঁদের। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে। তিন জনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য লাতেহার হাসপাতালে পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্বামী-স্ত্রী সহ এক তিন বছরেরে মেয়ের। মৃত স্বামী-স্ত্রীর নাম ফানু ভুঁইয়া (৩০), ববিতা দেবী (২৫)। গাড়োয়া জেলা থেকে কাজ করতে এসেছিল ওই শ্রমিক পরিবার। মালহান পঞ্চায়েতের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন ফানু ভুঁইয়া। তাই ওই ইটভাটা এলাকার কাছাকাছিতেই থাকতেন তাঁরা।
লাতেহার ডিভিশনের বন আধিকারিক রৌশন কুমার জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৮ টি হাতির একটি দল। আর এই নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল এলাকাবাসীদের। তিনি আরও বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ ইটভাটা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল ওই হাতির দলটি। সেই সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়ায় কেউ টের পাননি। বন আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে সরকারি চাকুরীদের জন্য সুখবর। সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা অর্থাত্ ডিএ (DA) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) সরকার। এত দিন যাবত্ ওই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। এবার থেকে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতোই ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন।
২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে আবার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি ছিল, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষে তা বহন করা কঠিন। ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে কখনওই বঞ্চিত করা যাবে না তাঁদের। এরপর গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয় এই ডিএ মামলার শুনানি।
এই ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার, ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল রাঁচিতে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হবে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বলা হয়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীর বেতন পরিবর্তিত হয়েছে, তাঁরা সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন।
মৃত্যু (Death) হল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) শিক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ মাহাতোর (৫৬)। করোনা পরবর্তী উপসর্গ নিয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার ভোরেই চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রথম সারির নেতা জগন্নাথ মাহাতো। গিরিডি জেলার ডুমরি বিধানসভা কেন্দ্রে ২০০৫ সাল থেকে টানা ৪ বার ভোটে জিতেছিলেন জগন্নাথ। তবে প্রায় আড়াই বছর ধরে রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না তিনি। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয়েছিল তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, গত আড়াই বছর ধরে শারীরিক অসুবিধায় ভুগছিলেন তিনি। এছাড়াও তাঁর কো-মর্বিডিটি ছিল।
চেন্নাই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অপার জিন্দল জানিয়েছেন, ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পর থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। এমনকি মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে চেন্নাইয়ও আনা হয়েছিল। তারপরেই বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি। জগন্নাথের মাহাতোর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
১২ তম স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গিরিডি জেলার তারাপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিস (Police)। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। পাশাপাশি মৃত মহিলার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সাবিত্রী দেবী (৪০)। অভিযুক্তের নাম রামচন্দ্র তুরি। সাবিত্রী রামচন্দ্রের ১২ তম স্ত্রী। এর আগে আরও ১১ জন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন অভিযুক্ত রামচন্দ্র। সাবিত্রী ও রামচন্দ্রের তিন পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানও আছে।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় ঘরেই মদের আসর বসিয়েছিলেন রামচন্দ্র এবং সাবিত্রী। তখনই কোনও এক বিষয়কে কেন্দ্র করে বচসার সৃষ্টি হয় দু'জনের মধ্যে। বচসা চলাকালীনই মদের নেশায় বুঁদ হয়ে স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন রামচন্দ্র। মারের চোটেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই মহিলা, এমনটাই অভিযোগ। এমনকি আগের পক্ষের স্ত্রীদের সঙ্গেও তাঁর আচরণ ভাল ছিল না। তাই রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রায় প্রত্যেক স্ত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগও তুলেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগে থেকেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই খুনের বিষয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৌদি সহ দুই ভাইপোকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গুমলা জেলার লুংটু গ্রামের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, দাদার মৃত্যুর পর ১১ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন দাদার স্ত্রী অর্থাৎ বৌদি পুনম কান্ডুলনা। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, ওই টাকার ভাগ দেওয়ার জন্যই বৌদিকে চাপ দেওয়া শুরু করেন দেওর এনোসের। আর তাই নিয়ে পরিবারে নিত্য দিন অশান্তি লেগেই থাকত বলেই পুলিশের দাবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরেই পুনম এবং তাঁর সন্তানদের দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা পঞ্চায়েতে খবর দেয়। পঞ্চায়েত থেকে ডেকে পাঠানো হয় দেওর এনোসকে। এমনকি পঞ্চায়েতের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিসকেও।
পুলিস সূত্রে খবর, এনোসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনায় পুলিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন রাতে পুনম এবং এনোসের মধ্যে বচসাও হয়। বচসার জেরে এনোস কুড়ুল দিয়ে পুনমের মাথায় জোরে আঘাত করতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মায়ের খুন হওয়ার ঘটনাটি দেখে ফেলে পুনমের দুই ছেলে। তাই প্রমাণ লোপাট করতে দুই শিশুকেও পিটিয়ে খুন করেন এনোস। এনোস পুলিসকে জানিয়েছেন, খুনের পর বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে তিনটি দেহ পুঁতে দেন তিনি। তবে এনোসের সহযোগিতায় বাড়ির পিছন থেকে ওই তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়, দাবি পুলিসের।
এক ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তাঁরই পুরনো বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদে। ঘটনার তদন্তে সুদামহিদ (Sudamdih police) থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বৃদ্ধা ধানবাদের সুদামদিহ এলাকার বাসিন্দা। তিনি চোখে দেখতে পান না।
নির্যাতিতার ছেলের অভিযোগ, অভিযুক্তর বাড়িতে এক সময় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। কয়েক মাস আগেই সেই বাড়ি ছেড়ে সুদামদিহ এলাকায় চলে এসেছেন। সোমবার সুদামহিদ এলাকায় নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। সেই সময়ই বাড়িতে ঢুকে পড়েন ৫৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলাকে নির্যাতন করেন, এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই বুধবার থানায় ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার আত্মীয়রা।
সুদামদিহ থানার অফিসার-ইন-চার্জ প্রদীপ রানা জানান, অভিযোগ করার পর থেকেই ফেরার ওই ব্যক্তি। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত শিশুকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চতরা জেলায়। শিশু বিক্রির খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস (Police)। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম আশা দেবী। তিনি এক শিশুপুত্রের জন্ম দেন। প্রসবের পরেই তিনি পুত্র সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেন ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
পুলিস জানায়, উদ্ধার করা হয়েছে শিশুকে। প্রথমেই অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকেই ডিম্পল দেবী নামে অন্য এক মহিলার সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকি ১১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সাব-ডিভিশনাল পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোকারো থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিহারের হাজারিবাগের এক যুগলের সঙ্গে শিশুটি কেনার জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকায় চুক্তি হয়েছিল। ১ লক্ষ টাকা শিশুটির মাকে দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি টাকা ভাগ হয়েছিল অন্য অভিযুক্তর মধ্যে।