রাজ্য়ে ফের তৎপর ইডি। ১০০ দিনের কাজে নয়া দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি আধিকারিকেরা। কয়েক হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডির দল। কলকাতা সহ মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হুগলিতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ করেনি এমন ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের টাকা।
এদিন সাত সকালে ঝাড়গ্রামে হাই ভোল্টেজে ইডি। ঝাড়গ্রামের বাছুরডুবা হাউসিং ব্লক বি সরকারি আবাসনে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর, WBCS অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। জাতিগত সংশাপত্র তজরূপের অভিযোগ রয়েছে শুভ্রাংশু মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে হানা ইডির। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বিষ্ণুপুর কালিবাড়ি অঞ্চলে এলাকায় নওদার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ পঞ্চায়েত মেম্বার রথীন্দ্রনাথ দে এর বাড়িতে এদিন তল্লাশি শুরু করে ইডি। ১০০ দিনের কাজে প্রায় ৪ কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। জানা গিয়েছে, নওদা পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
মঙ্গলবার সকালে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি ইডির টিম এসে পৌঁছয় হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। সেখানে সন্দীপ সাধু খাঁ এর খোঁজে শুরু করে ইডি। কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে রাজ্য জুড়ে প্রথম তল্লাশি অভিযানে ইডি। নির্বাচনের আগে নজর প্রকল্প আধিকারিকদের উপর।
মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের 2টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান। তাঁর বাড়িতেও শুরু হয় রাজ্য় দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি অভিযান। অন্য়দিকে কলকাতার সল্টলেকের EA ব্লকে বিদ্যাসাগর নিকেতন আবাসন অভিযানে নামে ইডির আরও একটি দল।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেপরোয়া পাথর বোঝাই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক লড়ি সহ অভিযুক্ত। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম শশাঙ্ক পাত্র। বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবান পল্লীতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পুলিসি মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গুটি বোঝাই করা ট্রাক ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। এরপর খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিসকে। ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর যানচলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘাতক গাড়িটিকে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে ইতিমধ্য়ে অভিযুক্ত গাড়ির চালকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই গায়েব অভিযুক্ত স্বামী গঙ্গাধর বেরা। অভিযোগ, মদ্য়প অবস্থায় থাকার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার সকালে ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম থানার বামুনমারা গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কনিকা বের (৬০) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে তুমুল অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন রাগের মাথায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্বামী। এরপর এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহুল গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। এমনকি গলায় একাধিক জায়গায় ক্ষতের চিহ্ণও দেখায় যায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস।
টাকার পাহাড় তো দেখেছেন। ছোলার পাহাড় দেখেছেন কখনও? ঝাড়গ্রামের এক মাঠের মাঝে আস্ত ছোলার পাহাড়। তবে খাওয়ার যোগ্য হলে তাও তো হত। এ যে একেবারে খারাপ হয়ে যাওয়া ছোলা। ছোলার মাঝ দিয়ে রীতিমত উঁকি মারছে কালো কালো পোকা। পাশে ফেলা বস্তার গায়ে জ্বলজ্বল করছে রেশনের স্ট্যাম্প। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার খোদ মন্ত্রী, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তারই মাঝে, এবার ঝাড়গ্রাম গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের তপসিয়ার কেন্দুয়ানা গ্রামের ফাঁকা মাঠে উদ্ধার বস্তা বস্তা নষ্ট ছোলা। কোথা থেকে আসল বিপুল পরিমাণ ছোলা?
গ্রামেরই মাঠের মধ্যে এত এত ছোলা উদ্ধার হচ্ছে, এই ব্যাপারে কিন্তু স্পিক টি নট রেশন ডিলারের পরিবারও। জানা গিয়েছে, এলাকার রেশনের দোকান থেকে সেইভাবে ভাগ্যে ছোলা জোটেনি কারোরই।
দোকানের ছোলা তো জোটেই না। উপরন্তু এলাকার মাঠে ছোলার ছড়াছড়ি। কোথা থেকে এল এই বিপুল পরিমাণ নষ্ট হওয়া ছোলার বস্তা? রেশন দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কি ছোলা নষ্ট করতে তৎপর স্থানীয় রেশন ডিলার? সবটা শুধু প্রশ্ন আকারে আসছে সামনে। উত্তর দেবে কে?
রেশন দুর্নীতির জালে ইতিমধ্যেই ধরা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারই মধ্যে কোথাও দেখা গেছে রেশনের কার্ড। কোথাও আবার রেশনের খাবার। সবটাই কি কাকতালীয়? নাকি সত্যিই ডাল মে কুছ কালা হ্যায়?
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এরপর ঝাড়গ্রাম। ফের মাটির বাড়ি ভেঙে মৃত্যু এক বৃদ্ধের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন দু’জন। সূত্রের খবর, মাটির বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে আরও দুটি গবাদি পশুর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের জামবনিতে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্যামাপদ নায়েক (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে স্তব্ধ হয়েছে জনজীবন। রবিবার রাতেই বেলপাহাড়িতে ভেঙে পড়ে তিনটি মাটির বাড়ি। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিয়াশুলি গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে শ্যামপদ নামে ওই বৃদ্ধের। অপরদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ২ ব্লকের বেলপাহাড়ি থানার সন্দাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকুয়াপাল গ্রামে তিনটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দুই ব্যক্তি। তবে তাঁদের পোষ্য দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
ওদিকে শনিবার বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এরপর রবিবারও সকালে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর এবং বীরভূমে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। ঝাড়গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনার পর, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭।
ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। লোকসভার পর সংসদের বাইরেও বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার তোপের সামনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বুধবার ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিনেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া স্লোগান, বিজেপি দিল্লি ছাড়ো। তাঁর অভিযোগ, 'মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান কিছুই ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শুধুই ভোট।'
এদিন আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান যোগ দিয়ে মমতার অভিযোগ, জিএসটির নাম করে রাজ্যের থেকে বেশির ভাগ টাকা কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে কেন্দ্র। আটকে রাখা হয়েছে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা। তাঁর দাবি, এই সরকারের মসনদ আঁকড়ে বসে থাকার কোনও অধিকার নেই।
মমতার এই সমালোচনার কয়েক ঘণ্টা আগেই লোকসভায় মণিপুর বিতর্কে যোগ দিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গোলা ছোড়েন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাবণের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। যা নিয়ে সংসদে হইচইও হয়। ঝাড়গ্রামেও প্রধানমন্ত্রীকেই নিশানা করেন মমতা।
তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, “মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান কিছুই ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শুধুই ভোট।” অভিযোগ করা হয়েছে, “যতটা বকেন প্রধানমন্ত্রী, তার একাংশও করে দেখান না। ভোটের সময় আবার বলবে ফ্রি-তে রেশন দেব। এখন কেন বন্ধ? দিল্লি থেকে হরিয়ানা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ ফিরে আসছে। বাংলার মানুষ বঞ্চনা সহ্য করে না, লাঞ্চনা সহ্য করে না, শোষণ সহ্য করে না
ঝাড়গ্রামে গিয়েই চমক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কথা ছিল বুধবার কুড়মিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধেতেই ডেকে নিলেন কুড়মি নেতাদের। যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঝাড়গ্রামের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয়ে হামলার অভিযুক্ত কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো। কী কথা হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে? তা কিন্তু স্পষ্ট করেননি রাজেশ।
তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির সময় তাঁর গাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে রাজেশ মাহাতোর বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে মমতার বৈঠক হওয়ায় রীতিমতো সরগরম রাজ্যরাজনীতি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের তরফে রাজেশ মাহাতোকে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি তিনি স্বীকার করে নেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কথা হয়েছে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলকে কুড়মিরা সহযোগিতা করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীও রাজেশের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। ফলে বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মণি ভট্টাচার্য: শুক্রবার রাতে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda), ও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তরজা ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। পুলিস জানিয়েছে এ ঘটনায় খুনের চেষ্টা সহ আরও বেশ কিছু জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্তে নেমে এখনও ৪ কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুক্রবার রাতে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ঝাড়গ্রাম জেলার গড় শালবনিতে। ভাঙচুর করা হয় আরও ভিআইপির গাড়ি। কুড়মিদের নিয়ে অস্বস্তিতেই ছিল তৃণমূল, এর আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এলাকায় কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এই আবহেই মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরে কুড়মি সহ বিজেপিকে দুষেছেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুড়মি নেতৃত্ব ও বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও ভাবেই এই আন্দোলনের সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়, মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরে বিজেপিকে দুষে কোনও লাভ নেই, কুড়মি আন্দোলনে বিজেপির পার্টি অফিসে ঢিল পড়েছে, দিলীপ ঘোষের বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে।'
যদিও শনিবার সকালে সিএন ডিজিটালের তরফে ঝাড়গ্রাম জেলা কুড়মি আন্দোলনের আহ্বায়ক সুদীপ মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এই অভিযোগ মিথ্যে। কুড়মিরা কোনও ভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।' তিনি আরও বলেন, 'যখন শাসক দলের কনভয় থাকে তখন জেলার কর্মীরা ওনাদের রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে থাকে, এ দৃশ্য নতুন নয়। তবে এ ঘটনা কে করেছে সেটা ধরার দায় পুলিস প্রশাসনের। প্রশাসনের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা।' পাশাপাশি ৪ জন কুড়মি আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি নিয়ে বলেন, 'যতক্ষণ অবধি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন, ততক্ষন তাঁদের সঙ্গে আছি। পুলিসের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা হল এর ডে পুলিশকেই নিতে হবে।'
শনিবার এ বিষয়ে ওই জেলার পুলিস সুপার রাহুল সিনহা সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'পর্যাপ্ত পুলিস রাস্তায় ছিল। বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ হয়েছে, কোথাও কম কোথাও আবার বেশি পুলিস ছিল, গোটা রাস্তায় কোথায় কিভাবে পুলিসি নিরাপত্তা ছিল সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এখনও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।'
ফের হাতির (Elephant) হামলা (Attack)। দেওয়াল চাপা পড়ে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যু (Death)। অপরদিকে, একটি গরুর উপর হাতির দল আক্রমণ করলে গরুটিও মারা যায়। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের প্ৰতাপপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিস (Police)। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম ভেদি মাহাতো (৭০)।
ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। শতাধিক হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের যেমন ক্ষতি করে চলেছে, তেমনি হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ একদল হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রামে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। ওই গ্রামে ঢুকে হাতির দলটি বেশ তাণ্ডব শুরু করে। কয়েকটি বাড়িও ভেঙে দেয় হাতির দলটি। যায় ফলেই একটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান ওই বৃদ্ধা। তবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হলেও হাতির হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরেও ওই এলাকায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি হাতি এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে এলাকাজুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে হাতির দল ওই এলাকায় গত তিন দিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে আরও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কার পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের গ্রামে গ্রামে দাঁতালের (Elephant) আতঙ্ক। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫ টি দাঁতাল হাতির দল। মঙ্গলবার সকালেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হুলা পার্টির সদস্যরা। লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার খাবারের সন্ধানে দাঁতালের দলটি জঙ্গল ছেড়ে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের লোকালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে। দাঁতালের দলটি চাষের জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ৩ থেকে ৪ বিঘা চাষের জমি নষ্টও করেছে দাঁতালের ওই দলটি। আরও জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর ২ নং ব্লকের তপসিয়া,কেন্দুয়ানা সহ একাধিক এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে দাঁতালের ওই দলটি। তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন হাতির এই তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। এমনকি বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। তাই স্থানীয়দের দাবি, বন দফতর থেকে খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।
তফসিলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে কুড়মিদের (Kurmi) ঘাঘর ঘেরা কমিটির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে বুধবার সকাল থেকেই স্তব্ধ হল বাঁকুড়া (Bankura) এবং ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জনজীবন। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর, খাতড়া, সারেঙ্গা, পি মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে পথে নামেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বিক্রমপুর এলাকায় বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক এবং খাতড়া এলাকায় বাঁকুড়া-রানিবাঁধ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হন কুড়মিরা।
বুধবার সকাল থেকেই বনধের প্রভাবে বাঁকুড়ার রাইপুর, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা, সিমলাপাল এবং খাতড়া ব্লকের দোকান-বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। বাস এবং অন্যান্য যাত্রিবাহী গাড়ি চলাচলও বন্ধ। ফলে অসুবিধায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তবে বাঁকুড়া সদর মহকুমা এবং বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায় কুড়মিদের বন্ধের সে অর্থে কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি। ওই দুই মহকুমা এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দোকান-বাজারও খোলা।
কুড়মিদের তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে সপ্তাহ দুই আগে পুরুলিয়ার কুস্তাউর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে ‘রেল টেকা, ডহর ছেঁকা’ (রেল রোকো ও পথ অবরোধ) কর্মসূচির ডাক দেন কুড়মিরা। এই কর্মসূচির জেরে টানা ৫ দিন ধরে বিপর্যস্ত ছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা এবং খড়্গপুর শাখার রেল চলাচল। একাধিক সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় যান চলাচলেও তার প্রভাব পড়ে। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার সাধারণ মানুষ। পাঁচ দিন পর সরকারি আলোচনার আশ্বাসে অবরোধ উঠলেও তখনই আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন যে দ্রুত দাবিপূরণ না হলে তাঁরা আবার আন্দোলন করবেন। কুড়মি নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পরেও কুড়মিদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার ব্যাপারে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ না করায় বুধবার আবার জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে ‘হুড়কা জাম’ (বন্ধ)-এর ডাক দেয় কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কমিটি। এই আন্দোলনকে বাইরে থেকে সমর্থন জানায় কুড়মিদের আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন।
বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ঝাড়গ্রামে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিসবাহিনী। বুধবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথার মোড় প্রায় জনশূন্য। সকাল থেকে খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। যেখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক দূরপাল্লার সরকারি এবং বেসরকারি বাস। সেখানে কেবলমাত্র একটি সরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় কলকাতা যেতে গিয়েও বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের। কলকাতাগামী সরকারি বাসের এক কন্ডাক্টর বলেন, ‘সকালে বাস নিয়ে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় আবার ফিরে এসেছি। কলকাতা যেতে পারিনি। বন্ধের জেরে সকাল থেকে কোনও বেসরকারি বাসের দেখা নেই। ভাবছি, বাস ডিপোতেই ফিরে যাব।’
ঝাড়গ্রাম শহরের দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ। কয়েকটি স্কুল ছাড়া শহরের সরকারি, বেসরকারি স্কুলগুলোও বন্ধ রয়েছে। কুড়মি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের সংগঠনের পতাকা বেঁধে দিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম পুরসভার গেটেও বাধা রয়েছে কুড়মি সামাজিক সংগঠনের ঝান্ডা। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি, শিলদা, বিনপুর, গিধনি, গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইলেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে এই বন্ধের। আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো বলেন, ‘সকাল থেকে বনধের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। আমাদের দাবিগুলো সাধারণ মানুষ সমর্থন করছেন। তাই রাস্তাঘাট ফাঁকা এবং দোকানপাটও বন্ধ।’
জঙ্গলমহলে হাতির পর এবার কুকুরের হামলার (Dog Attack) আতঙ্ক। পাগল কুকুরের হামলায় গুরুতর (injured) জখম ৭ জন। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার বেলিয়াবেড়া থানার মহাপাল আম্বি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে এক শিশুকে কামড়ায় পাগলা কুকুরটি। তারপরে ওই শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে কুকুরের হামলার শিকার হন দুই জন। ইতিমধ্যেই কুকুরের কামড়ে আহতদের স্থানীয় তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ও গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোখের নিমিষে পাগল কুকুরটি রাস্তায় চলাচল করা ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার উপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কারোর গলা লক্ষ্য করে কুকুরটি ঝাঁপ দিয়ে বুকে কামড়ে দিচ্ছে। কারোর বা হাতে কিংবা পায়ে কামড় দিয়ে দ্রুত গতিতে জঙ্গলে পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, বনদফতর ও প্রশাসনের তরফ থেকে অবিলম্বে এই পাগল কুকুরটিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হোক। তবে একটি কুকুর নাকি একাধিক কুকুর তাঁদের উপর আক্রমণ করছে তা নিয়ে এলাকাবাসী সংশয়ে রয়েছে। তাই গোটা বিষয়টিতে এখনই বনদফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
হাতি তাড়াতে (Elephant Attack) গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেলো এক তরুণের। ঝাড়গ্রাম (Jhargram Incident) গোপীবল্লভপুরের এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আমির হাতি। তাঁর বাড়ি গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ঘোড়াইডাঙা গ্রামে। হাতির আক্রমণে জখম অবস্থায় আমিরকে হাসপাতালে নিয়ে আস হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ১৪টি হাতির দল গোপালপুরে জমিতে তাণ্ডব চালাচ্ছিল।
সেই সময় ওই তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে হাতি তাড়াতে গিয়েছিলেন। একটি দলছুট হাতি পিছন থেকে এসে আমিরকে শুড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়ে বন দফতর গোপীবল্লভপুর থানার পুলিস ও স্থানীয়রা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অমিরের মৃত্যু হয়। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
গাছের নিচে পড়ে মহিলার মৃতদেহ (Death)। মহিলার শরীরে ক্ষতবিক্ষত রয়েছে। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের লাউদহ গ্রামের আদিবাসী পাড়া এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম পূর্ণিমা মান্ডি (৩২)। তিনি সাঁকরাইল ব্লকের লাউদহ গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবারও ছাগল চড়াতে গিয়েছিল এই আদিবাসী মহিলা। মঙ্গলবাঁধি খালের কাছে একটি গাছের নিচেই তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় একটি ছেলে। পরে ওই ছেলেটিই গ্রামবাসীদের এবং ওই মহিলার পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়। পরিবারের লোকজনরাই গাছের তলা থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। মহিলার শরীরে ক্ষত রয়েছে। এমনকি মুখ দিয়েও কী যেন বের হচ্ছিল, পরিবারের দাবি। দাবি, সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক পুলিস। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ পড়ে থাকা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে পুলিস। এমনকি এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিস।
ঘনঘন হাতির হামলায় জঙ্গলমহলে মৃত্যুর প্রতিবাদ (Elephant Attack) ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। আট দফা দাবি নিয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন (Deputation) জমা। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরির দাবি রয়েছে এই ডেপুটেশনে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমন দাবিও উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা ডেপুটেশনে।
খবর, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে নিত্যদিন হাতির হামলায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার নেতা অশোক মাহাতো ডেপুটেশন দেওয়ার পর বলেন, 'জঙ্গলমহলজুড়ে হাতির হামলায় প্রায় প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। এমনকি প্রতিদিন ঘর-বাড়ি ও ফসলের ক্ষতিও করছে হাতির দল। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারবর্গকে চাকরি দেওয়ার দাবি এবং হাতির দল যাঁদের ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি করছে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে।'