
অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez) প্রসঙ্গ উঠলেই, প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে আরও একটি নাম সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar)। বর্তমানে আর্থিক তছরুপের মামলায় যে কারাবন্দি। সুকেশ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হতেই উঠে আসে জ্যাকলিনের নাম। শুধুমাত্র তাই নয়, প্রকাশ্যে আসে দুজনের বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি। জেলবন্দি সুকেশ জ্যাকলিনের প্রেমেই মত্ত। জ্যাকলিনকে কখনও সাংবাদিকদের সামনে 'ভ্যালেন্টাইন্স' দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আবার কখনও কারাগার থেকে প্রেমপত্র পাঠিয়েছেন তাঁর উদ্দেশে। কিন্তু জ্যাকলিনের অনুভূতি ঠিক কী?
অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ একসময় এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'সুকেশ আমার জীবন নরক বানিয়ে দিয়েছে।' বর্তমানে আবারও তাঁর বক্তব্যে সুকেশের জড়িয়ে থাকার জল্পনা শুরু হল। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের জন্যই বেশ কিছু কথা লিখেছিলেন জ্যাকলিন। সেই পোস্টেই তিনি লিখেছেন, 'ফরগিভ ইউর পাস্ট মিসটেকস' অর্থাৎ তোমার অতীতের ভুলগুলি ভুলে যাও। এরপরেই জল্পনা এই কথাগুলি কী জ্যাকলিন সুকেশকে নিয়ে লিখেছেন।
'বোট্টা বোম্মা।' গানের কথা নয়, এই নামেই জ্যাকলিনকে (Jacqueline Fernandez) ডাকেন সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandasekhar)। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপি মামলায়, সুকেশ অভিযুক্ত হতেই সামনে আসে মডেল ও বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের নাম। প্রকাশ্যে আসে তাঁদের একাধিক ছবি। সুকেশ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, তাঁদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক। ছবি থেকে সেই রসায়ন স্পষ্টও হয়। নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রী নোরা ফতেহির। তবে সুকেশ স্পষ্টতই জানান, নোরা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তবে এগিয়ে রেখেছেন জ্যাকলিনকে। সুকেশের মতে, জ্যাকলিন তাঁকে এখনও ভালোবাসে। তাই বিশেষ দিনে জ্যাকিকে চিঠি লিখলেন জেলবন্দী প্রেমিক।
সুকেশ তাঁর জন্মদিনে প্রেমপত্র পাঠান জ্যাকলিনকে। চিঠির শুরুতেই জ্যাকলিনকে তিনি 'মাই বেবি জ্যাকলিন' বলে সম্বোধিত করেন। কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাঁর জ্যাকির কথা খুব মনে পড়ছে, একথাও জানান। সুকেশ লেখেন,' আমার বোম্মা (পুতুল), আমার জন্মদিনে তোমাকে খুব মনে পড়ছে। আমাকে ঘিরে তোমার উপস্থিতি মনে পড়ছে। আমার কাছে আর শব্দ নেই, কিন্তু আমি জানি আমার উপর তোমার অশেষ ভালোবাসার আবেশ রয়েছে।'
প্রসঙ্গত সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক তছরূপি মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনেরও। সুকেশের কাছ থেকে তিনি একাধিক সম্পত্তি নিয়েছে সেই প্রমাণও পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডির চার্জশিট অনুযায়ী জ্যাকলিন সুকেশের থেকে 'গুচি' ও 'চ্যানেল'এর ৩টি ব্যাগ, গুচির জিমের কাপড়, লুই ভিতোঁর ব্যাগ, দুটি হিরের কানের, বিভিন্ন রঙের পাথরের একটি ব্রেসলেট, দুটি হার্মিজ ব্রেসলেট ও একটি মিনি কুপার গাড়ি নিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিস এবং ইডি।
প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়িয়েছে রাম সেতুর নায়িকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacueline Fernandez)। দু'লাখ টাকার বিনিময়ে দিল্লির আদালত থেকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান সুন্দরী। তাঁর জীবনে অশান্তির জন্য বারবার সুকেশকে (Sukesh Chandrasekhar) দায়ী করেছেন। তবে জ্যাকলিন সুকেশের বিরুদ্ধে যতই আঙুল তুলুক না কেন, তাঁর প্রতি বারবার ভালোবাসা জাহির করছেন সুকেশ। ভ্যালেনটাইনস ডে-এর পর এবার হোলিতেও জ্যাকলিনের জন্য প্রেমপত্র লিখলেন কনম্যান।
জ্যাকলিনের থেকে দূরে থাকলেও বসন্তের প্রেমের রং লেগেছে সুকেশের মনেও। হ্যাপি হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছে জ্যাকলিনকে লাভ ইউ মাই বেবি গার্ল বলে চিঠি লিখলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। নেটপাড়ায় ভাইরাল সুকেশের সেই চিঠি। সুকেশ লিখেছেন, "এই দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর, বিউটিফুল জ্যাকলিনকে হোলির শুভেচ্ছা। আজকের এই বিশেষ দিনে ফেস্টিভ অফ কালারস, তোমার জীবন থেকে যে রং হারিয়ে গিয়েছে আমি তা ফিরিয়ে আনব। এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। আমি আমার মতো করে এই বছরটা রঙিন করে তুলব। এটা আমি নিশ্চিত করলাম। কারণ এটি আমার দায়িত্ব। আমার কাছে তুমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার রাজকন্যাকে অনেক ভালোবাসা। তোমাকে খুব মিস করছি। আমার বোম্মা। আমার ভালোবাসা। আমার জ্যাকি।"
এর আগে জেরার মুখে পড়ে অভিনেত্রী অকপটে স্বীকার করেছিলেন, সুকেশ তাঁর জীবন নরকে পরিণত করেছেন। প্রায় দেড় বছর হল জেলবন্দি সুকেশ।
২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ, আর তার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar)। বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন সুকেশ। কিন্তু শুধুমাত্র যে জোচ্চুরিতেই মাহির ছিলেন তিনি তাই নয়, সুকেশের নারী সঙ্গতও ছিল যথেষ্ট হিংসা ধরানোর মত। নোরা ফতেহি (Nora Fatehi) থেকে নিকি তাম্বোলি, কে না নেই সেই তালিকায়। তবে এঁদের মধ্যে সবথেকে চর্চিত নাম হল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez)। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ডেটিং করতেন বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পো থেকেই সুকেশের সঙ্গে একাধিকবার তাঁর নাম জড়ায়। এমনকি, জেলেও নাকি সুকেশের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রেমিকা জ্যাকলিন! সামনে আসে এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্যও। তবে দুই পক্ষ থেকেই এইসব কথা অনেকাংশে অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু ফের শিরোনামে সুকেশ জোচ্চুরি মামলা।
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় শনিবার পটিয়ালা হাউস কোর্টে বিচারকের সামনে জবানবন্দী দিলেন বলিউডের এই নায়িকা। উল্লেখ্য, এই আর্থিক প্রতারণার মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইডি সহ তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। তবে দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের তিনি সরাসরি জানিয়েছিলেন, তিনি যা বলবেন তা আদালতে। সেই মতোই এইদিন জবানবন্দী দেন অভিনেত্রী। কিন্তু তিনি সুকেশের এই আর্থিক প্রতারণা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলেই দাবি করেছেন বিচারকের সামনে। প্রসঙ্গত, কোটি কোটি টাকার উপহার দিয়ে সুন্দরী অভিনেত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বাড়াতেন সুকেশ। জ্যাকলিনকে তিনি প্রায় ১১ কোটি টাকার উপহার দিয়েছিলেন বলে খবর সামনে আসে। এমনকি জ্যাকলিন নাকি সুকেশকে বিয়ে করতে পাগল হয়েছিলেন বলেও দাবি বলিউডের একাংশের। তবে এই দামী উপহার নেওয়ার কথা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
২০০ কোটি আর্থিক তছরূপ মামলায় জ্যাকলিনের (Jacqueline Fernandez) পাশে দাঁড়ালেন মূল অভিযুক্ত প্রতারক সুকেশ। অবশেষে সুকেশের কথা প্রকাশ্যে এল। তিনি বললেন, জ্যাকলিনের কোনও দোষ নেই। তিনি কোনও ভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। সুকেশ (sukesh Chandrasekhar) বর্তমানে জেলবন্দি। সেকারণে তাঁর আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি (Letter) পাঠিয়ে সকলের সামনে এ কথা প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন। এবং সেই চিঠিতে আরও অনেক তথ্য ফাঁস করলেন সুকেশ। রবিবারই সকলের সামনে এল দীর্র্ঘ চিঠিটি।
সুকেশের দাবি, জ্যাকলিন ও সে সম্পর্কে ছিলেন। দু'জন দুজনকে ভালোবাসতেন। আর ভালোবাসার সম্পর্কে উপহার দেবেন এটা স্বাভাবিক বিষয়। বহুমূল্য গাড়ি হোক কিংবা যাই দামী উপহার হোক না কেন, সবটাই ভালোবেসে জ্যাকলিনকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। সুকেশ এও বলেন, জ্যাকলিনকে ও তার পরিবারকে যা উপহার দিয়েছেন তা সবটাই তাঁর বৈধ যায় থেকে।
তিনি এও বলেন, জ্যাকলিনের এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নায়িকা এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না. জ্যাকলিন কেবল তাঁর কাছ থেকে ভালোবাসা চেয়েছিলেন। আর সর্বদা পাশে থাকার কথা বলতেন। কোনও উপহার নিতে চাইতেন না বলে জানান সুকেশ। ভালোবাসার মানুষকে ও তাঁর পরিবারকে উপহার সকলেই দিতে চান। তিনিও এর ব্যতিক্রম নন। আর সুকেশ উপহারগুলো বৈধ উপার্জন থেকে দিয়েছেন, সেই তথ্য আদালতে আগেও পেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন চিঠিতে।
महाठग सुकेश चंद्रशेखर ने लिखी चिट्ठी।एक्ट्रेस जैकलिन फर्नांडीज को बताया बेकसूर।सुकेश ने लिखा@dir_ed उसे और जैकलीन को गलत फसा रहे है।जैकलीन को उसने दोस्ती में अपनी गाढ़ी कमाई से गिफ्ट दिए,तो इसमें जैकलीन की क्या गलती।@indiatvnews pic.twitter.com/o4NzuEOpi6
— Atul Bhatia (@Atul_Bhatia80) October 22, 2022
চিঠিতে কনম্যান আরও জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ায় তাঁর একটি কয়লা খনির ব্যবসা রয়েছে। একাধিক হোটেলের স্বত্ব এবং খবরের চ্যানেলও ছিল। সেগুলি বর্তমানে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। সুকেশের দাবি, তাঁকে অস্ত্র এবং সুরক্ষার চুক্তিতে ফাঁসানো হয়েছিল।আরও দাবি, প্রাক্তন র্যানব্যাক্সি মালিককে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য তাঁকে ২০০ কোটি টাকা নিতে বাধ্য করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Delhi Court) সূত্রে শনিবার জানানো হয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকা তছরুপ-কাণ্ডে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের অন্তর্বর্তী সুরক্ষা বাড়ল। এই সময়ের মধ্যে নতুন চার্জশিট এবং আনুষঙ্গিক নথি সবপক্ষের আইনজীবীদের কাছে পেশ করবে ইডি (ED)। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী জামিনে (Interim Bail) ছাড়া পান জ্যাকলিন।
এখন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজে (Jacqueline Fernandez) মানেই বিতর্ক। ২১৫ কোটি আর্থিক তছরূপ মামলায় ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। একাধিকবার ইডি-র (ED) ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে নায়িকাকে। এসবের মধ্যে শোনা যাচ্ছে, জ্যাকলিনের বাড়ি সাজিয়ে তুলছেন শাহরুখ-জায়া (Gauri Khan) গৌরী খান। এত টাকা কি তবে প্রতারক সুকেশের? নেটিজেনরা তুলছে প্রশ্ন।
আসল বিষয়টা কী? গৌরী খানের নতুন শো 'ড্রিম হোমস উইথ গৌরি খান' খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। যেখানে ৬ সেলিব্রিটিদের অন্দরসজ্জা পরিবর্তন করতে চলেছে গৌরী খান। আর সেই ৬ জনের লিস্টে রয়েছে জ্যাকলিনেরও নাম। এছাড়া রয়েছে মণীশ মলহোত্রা, ফারহা খান,কবীর খান, ক্যাটরিনা কাইফ, মালাইকা আরোরা।
এই মাসের শুরুতেই বলি নায়িকার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করেছিল ইডি। তোলাবাজি মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিনের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেছে। এত কিছুর মাঝেও গৌরীর শোয়ে জায়গা করে নিলেন জ্যাকলিন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নেট নাগরিকদের আলোচনা। এক জন বলেছেন,'সুকেশই কি এ সবের খরচ জুগিয়েছেন?' গৌরীকেও টেনে আনেন এর মধ্যে। লেখেন, 'আরে! এ তো ২০০ কোটির জালিয়াতি করা সেই মেয়ে... গৌরী.. আপনিও কি সুকেশের থেকে অংশবিশেষ পেয়েছেন?'
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় (200 crore extortion case) প্রতারক সুকেশের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়ানোর পর থেকে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে একাধিকবার ইডি তলব করেছিল(Jacqueline Fernandez)। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি জ্যাকলিনের। শেষমেশ তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল।
গত মাসে ইডি-র চার্জশিটে উঠে এসছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকেশের থেকে বেশ কিছু দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। গুচ্চি, শ্যানেলের ব্যাগ থেকে শুরু করে জিমের পোশাক, একজোড়া ‘লুই ভিতোঁ’র জুতো, দুটি হীরের আংটি, এছাড়াও একাধিক ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। ইডি অফিসাররা আগেই জানিয়েছেন, সুকেশের কুকর্মের বিষয়ে সবটা জ্যাকলিন জানতেন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল ইডি। তবে এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল আরও এক চঞ্চল্যকর তথ্য।
এমনকি মুম্বইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করে দিয়েছেন। আর এই আর্থিক তোলাবাজির মামলায় সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি জানতেন সবটাই। পিঙ্কির সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। এমনকি জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশকে পিঙ্কিই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। পিঙ্কি ইরানিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
উল্লেখ্য, ইডি জানিয়েছিল প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক তছরূপের মামলায় সরকারের সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফাতেহি। তাই এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোরাকে কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় (200 crore extortion case) ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez)। নাম উঠে এসেছিল বলিউড (Bollywood) বেলি ডান্সিং কুইন নোরা ফাতেহিরও (Nora Fatehi)। জানা গিয়েছিল, সুকেশের থেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন নোরা। ওই প্রতারণা মামলায় নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই়ডি)। আর এ নিয়ে তৃতীয় বার জেরার মুখে পড়লেন জ্যাকলিন। টানা আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া পান তিনি।
ইডি-র সেই চার্জশিটে উঠে এসছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকেশের থেকে বেশ কিছু দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। গুচ্চি, শ্যানেলের ব্যাগ থেকে শুরু করে জিমের পোশাক, একজোড়া ‘লুই ভিতোঁ’র জুতো, দুটি হীরের আংটি, এছাড়াও একাধিক ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। ইডি অফিসাররা আগেই জানিয়েছেন, সুকেশের কুকর্মের বিষয়ে সবটা জ্যাকলিন জানতেন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল ইডি। তবে এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল আরও এক চঞ্চল্যকর তথ্য।
এমনকি মুম্বইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করে দিয়েছেন। আর এই আর্থিক তোলাবাজির মামলায় সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি জানতেন সবটাই। পিঙ্কির সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। এমনকি জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশকে পিঙ্কিই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন।
বুধবার পিঙ্কি ইরানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকেও ছেড়ে দেয় পুলিস। আগে দুজনের বয়ানে মিলেছিল অসঙ্গতি। তাই এদিন পিঙ্কি এবং জ্যাকলিনকে একসঙ্গে তলব করেছিল। এবং একসঙ্গে জেরা করা হয়।
উল্লেখ্য, ইডি জানিয়েছিল প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক তছরূপের মামলায় সরকারের সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফাতেহি। তাই এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোরাকে কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।