সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সেনার চোখে পড়ায় দু'পক্ষের মধ্যে টানা গুলিবর্ষণ চলে। সেনার গুলিতে নিহত ১। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের শাহপুর সেক্টরে এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ভোরে একদল জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
কিন্ত জঙ্গিদের প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের প্রবেশে বাধা দিতেই দু'পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। সেনার গুলিতে মারা যায় এক জঙ্গি। শেষমেশ কোনও রকমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় জঙ্গিরা। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্তে পাহারায় থাকা জওয়ানদের নজরে আসে কারা যেন সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সতর্ক হয়ে যান। তারপরই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। এর পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। তারপর দু'পক্ষের মধ্যে অনবরত গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। গুলির লড়াই চলাকালীন জঙ্গিরা তাদের প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তার খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো জ়ারদারির (Bilawal Bhutto jardari) অভিযোগকে নস্যাৎ করল নয়াদিল্লি (New Delhi)। কাশ্মীরের (Kashmir) পরিস্থিতি নিয়ে করা জারদারির অভিযোগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, 'পাক বিদেশমন্ত্রীর (Pakistan) ঘৃণ্য, ভিত্তিহীন মন্তব্য জবাব দেওয়ারই যোগ্য নয়।' এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে বিলাওল অভিযোগ করেন, 'ভারতের (India) রাষ্ট্রযন্ত্র কাশ্মীরের মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে!' পাল্টা রুচিরা বলেন, 'পরিকল্পনামাফিক বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছে পাকিস্তান।'
পড়শি দেশে শাসক বদলের পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী বিলাওল। গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বেনজির-পুত্র। এরপরে কূটনৈতিকস্তরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের উত্তেজনার পারদ আরও চড়ে।
এরপর ফেব্রুয়ারিতে এক কর্মসূচিতে বিলাওল বলেন, 'কাশ্মীরিদের নিজভূমেই এক ঘরে করা হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় পরিকল্পনামাফিক অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের বসতি স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে ভারত সরকার। এর ফলে কাশ্মীরের ভূমিপুত্রর অধিকার খর্ব হচ্ছে।'
ভারতের সঙ্গে আর যুদ্ধ চায় না পাকিস্তান (Indo-Pak Relation)! রীতিমতো শান্তি প্রস্তাব (Peace Talk) পাঠিয়ে এহেন ঘোষণা করেছেন পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif)। পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব, 'তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে চান।' কাশ্মীর প্রসঙ্গে
বহু বার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে দু'দেশ। বেঁধেছে একাধিক যুদ্ধ। সেই সব যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে দু’দেশেরই সেনা জওয়ানদের। শাহবাজ সেই সব যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। ৩টি যুদ্ধের জেরে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছে পাকিস্তান। তাই আর যুদ্ধ নয়, এ বার পাকিস্তান শান্তি চায়।'
দুবাইয়ের এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান। যাতে এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত প্রায় এক বছর ধরে গুরুতর আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে খাদ্যসঙ্কট।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবী, আর্থিক ভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। তাই হঠাৎ এই বোধোদয় এবং চেয়ার বাঁচানোর কৌশল। যদিও শাহবাজ জানান, 'ভারতের সঙ্গে যে তিনটে যুদ্ধ হয়েছে, তাতে পাকিস্তান আরও দীন হয়েছে। প্রতিটি যুদ্ধের পরবর্তী কালে দারিদ্রের সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্ব। আমরা এই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়েছি। ঠেকে শিখেছিই বলা চলে।'