
মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু। আমেরিকার মায়ামি থেকে ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে চিলির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটি যখন মাঝ আকাশে, তখন হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন বিমানের পাইলট। বিমানের শৌচালয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহকারী পাইলটের প্ৰচেষ্টায় বিমানটি পানামাতে জরুরি অবতরণ করানো হয়। অন্যদিকে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই ভারতীয় পাইলটের মৃত্যুর খবরে শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে বিমানবন্দরে। আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে মাঝআকাশে। দুই ভারতীয় পাইলটের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (DGCA)।
বৃহস্পতিবার বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পাইলট নাগপুর বিমানবন্দরে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খানিক পরে দুপুর ১টা নাগাদ নাগপুর থেকে পুনেগামী বিমান ওড়ানোর কথা ছিল তাঁর। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর এদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন পাইলট। নির্দিষ্ট বিরতিতে তিনটি বিমান ওড়ানোর কথা ছিল আজ। তার আগেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বুধবার কাতার এয়ারওয়েসের এক ভারতীয় পাইলটের মৃত্যু হয়েছে দিল্লি থেকে দোহাগামী উড়ানে। ঘটনার সময় তিনি প্যাসেঞ্জার কেবিনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই বিমানের অতিরিক্ত পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এবং মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তি এর আগে স্পাইস জেট, অ্যালায়েন্স জেট এবং সাহারা-র জন্য কাজ করেছেন।
২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মাঝ আকাশে ফের বিমানে (Flight) বিপত্তি। উড়ানের এক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির বিমানবন্দরে (Delhi Airport) এক রাঁচিগামী বিমানের জরুরি অবতরণ করা হল। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে রাঁচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার বিমান। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই বিমানে দেখা গেল যান্ত্রিক গোলযোগ। আর তার কারণেই উড়ানের এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হল। শুক্রবারও ইন্ডিগোর বিমানে একই ধরণের সমস্যায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। আরও আজও একই ঘটনা।
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৭ টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে রাঁচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগো বিমান। কিন্তু ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ বিমানটি ফের দিল্লি বিমানবন্দরেই ফিরে আসে ও বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। এক যাত্রীর জানিয়েছেন, উড়ানের কিছু পরেই বিমানের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। এরপর বিমানকর্মীর এসে জানান যে, বিমানের কিছু যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে বিমানটিকে ফের দিল্লি বিমানবন্দরেই নিয়ে যাওয়া হবে ও এর জরুরি অবতরণ করানো হবে। তাঁদের আরও জানানো হয় যে, যাত্রীদের জন্য অন্য বিমানের ব্যবস্থা করা হবে, তবে তাতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে।
গত শুক্রবারও ইন্ডিগোর বিমানে ইঞ্জিনের কিছু সমস্যা হলে উড়ানের তিন ঘণ্টার মধ্যেই জরুরি অবতরণ করা হয়। ফলে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর ফলে চরম ভোগান্তির শিকারও হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মাঝ আকাশে ফের বিপত্তি। উড়ানের মাত্র তিন মিনিটের মধ্য়েই বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ করা হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালের ঘটনাটি পাটনার (Patna)। আজ সকালে পাটনার বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওয়া দেয় ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার বিমান। কিন্তু উড়ানের কিছু মিনিটের মধ্য়ে বিমানকে ফের বিমাবন্দরে অবতরণ করানো হয়। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক কিছু গোলোযোগের কারণে দিল্লিগামী বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ৯ টা ১১ মিনিটে পাটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর ৬ই ২৪৩৩ নম্বরের দিল্লিগামী বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বিমানটি উড়ান নিয়েছিল ৯ টা ৮ মিনিট নাগাদ। ফলে উড়ানের ৩ মিনিটের মধ্যেই সেটির জরুরি অবতরণ করা হয়। বিমানে উপস্থিত ছিলেন মোট ১৮১ জন যাত্রী। জানা যায়, বিমান উড়ে যাওয়ার পর দেখা গিয়েছে বিমানের একটি ইঞ্জিন কাজ করছে না। এরপরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এমনকি যাত্রীদের কথা ভেবেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়।
১৪ মে সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস (International Mother's Day)। রবিবার নেটদুনিয়ায় দেখা গিয়েছে, মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে একাধিক ছবি-ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। কিন্তু এবারে আরও এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে আপনার চোখে জল আসবেই। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মা-মেয়ে একই বিমানের কেবিন ক্রু ও মায়ের কাঁধের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন মেয়েও। এই মা-মেয়ের মিষ্টি মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে ইন্ডিগোর (Indigo) ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাবিরা সাশমি নামের বিমানের এক ক্রেবিন ক্রু যাত্রীদের কাছে তাঁর মায়ের বিষয়ে কিছু ঘোষণা করছেন। এরপর তিনি তাঁর মাকে কাছে ডেকে নেন ও তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন। রাবিরা জানান, এই প্রথম বিমান ক্রু হিসাবে তাঁর মাকে একই ইউনিফর্ম ও একই বিমানে পেলেন তিনি।
Happy Mother's Day to the one who's always had my back, on the ground and in the air. #HappyMothersDay #goIndiGo #IndiaByIndiGo pic.twitter.com/gHLZBZRmra
— IndiGo (@IndiGo6E) May 14, 2023
রাবিরা বলেন, 'আমি তাঁকে কেবিনের সব কাজ করতে দেখেছি। আর আজ আমি তাঁরই সঙ্গে একই দায়িত্বে আছি। গত ছয় বছর ধরে, আমি তাকে এই পিএ-তে কথা বলতে দেখেছি। অবশেষে আজ আমার হাতে সেটি। আশা করি আজ আমি তাঁর গর্বের কারণ হয়ে উঠতে পারব।' এই বলার পর তাঁর মা আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না। আনন্দে কেঁদে ফেললেন তিনি। এরপর তাঁর মা তাঁকে কাছে টেনে স্নেহে ভরা চুম্বন করলেন। তাঁদের এমনভাবে দেখে বিমানযাত্রীরাও হাততালি দেন ও তাঁরাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
ফের বিমানে (Flight) ধুন্ধুমার কাণ্ড! মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে এক মহিলা বিমানকর্মীকে শ্লীলতাহানির (Harrassment) অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যাত্রীকে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি রবিবারের। ইন্ডিগো বিমান (Indigo Flight) সংস্থার ৬ই ১৪২৮ দুবাই থেকে অমৃতসরগামী বিমানে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিসি হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তও করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রজিন্দর সিং। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ইন্ডিগো বিমান করে দুবাই থেকে অমৃতসরে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠছে, তিনি অত্যধিক মদ্যপান করেন এবং মদ্যপ অবস্থায় মহিলা বিমানকর্মীর সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেন। এরপরেই বিমানকর্মী সেই বিষয়ে জানালে বিমানের বাকি কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিসেও খবর দেওয়া হয়। তারপর অমৃতসরে বিমান অবতরণ করতেই রজিন্দরকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তাঁকে পুলিসি হেফাজতেই রাখা হয়েছে। বিমানে ঠিক কী কী ঘটেছিল, সেই বিষয়েও তদন্ত করছে পুলিস।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস থেকেই বিমানে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও সহযাত্রী গায়ে প্রস্রাব, আবার কখনও বিমানকর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার আবার কখনও সহযাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতি, এগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে।
ফের মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে অভব্য আচরণের অভিযোগ। গত কয়েক বছরে একাধিকবার মাঝ আকাশে যাত্রীদের অভব্য আচরণের অভিযোগ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, ইন্ডিগো বিমানের (Indigo Flight) এক বিমানকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে এল ৬৩ বছর বয়সী এক সুইডিশ (Swedish) বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থার ৬ই-১০৫২ বিমানে, যখন বিমানটি ব্যাংকক থেকে মুম্বইয়ে ফিরছিল। এরপর তাকে বৃহস্পতিবারেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে তাকে ২০ হাজার বন্ডের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ৬৩ বছর বয়সী সুইডিশ বৃদ্ধের নাম এরিক হ্যারাল্ড জোনাস। সূত্রের খবর, বিমানের ২৪ বছর বয়সী সেই কেবিন ক্রু জানিয়েছেন, এসব ঘটনা শুরু হয় তাকে খাবার দিতে যাওয়ার সময়। তাকে খাবার দেওয়ার পর যখন তিনি টাকা পেমেন্টের জন্য পিওএস মেশিনে এটিএম কার্ড সোয়াইপ করার কথা বলেন, তখন সেই ব্যক্তি তরুণীর হাত অশ্লীলভাবে ধরে। এরপর তরুণী এর প্রতিবাদ করলে ওয়েস্টবার্গ দাঁড়িয়ে বাকি যাত্রীদের সামনেই তাকে হেনস্থা করে। এরপর তরুণী চিৎকার করলে সে সিটে ফিরে যায়। তরুণী আরও জানিয়েছেন ক্লাস এরিক সেই সময় মত্ত অবস্থায় ছিল ও তার বিরুদ্ধে বাকি সহযাত্রীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁদেরকেও হেনস্থা ও গালিগালাজ করে। এরপর এসব ঘটনা জানানো হলে মুম্বইয়ে বিমান অবতরণের পর তাকে ইন্ডিগো সিকিউরিটি অফিসার ও সিআইএসএফ-এর আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে মত্ত অবস্থায় শ্লীলতাহানি ও অভব্য আচরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলেও শুক্রবার ২০ হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়ে যায় এরিক। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, এরিক নাকি অসুস্থ, সে কোনও কিছুর সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে পারে না, তাই ওই তরুণীর হাত ধরে।
ইন্ডিগো বিমানে (Indigo Flight) বিমানসেবিকা এবং সহযাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই মত্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটানাটি ঘটেছে দুবাই থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানে। বিমানটি মুম্বইয়ে অবতরণ করার পর মত্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করলে আদালতের তরফে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয় বলে পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ১১ মার্চ বিমানের শৌচালয়ে ধূমপান করার অভিযোগ সহ বিমানের যাত্রীদের অসংযত ব্যবহারের এটি এই বছরের সপ্তম ঘটনা। এক পুলিস আধিকারিক জানান, ওই দুই মত্ত অভিযুক্ত পালঘর এবং কোলাপুরের নালাসোপাড়ার বাসিন্দা। তাঁরা দুজনেই দুবাইয়ে কাজ করেন। তাই প্রায় এক বছর পর বাড়ি ফেরার আনন্দে বিমানের মধ্যেই মদ্যপান করেন তাঁরা। এক জন চলন্ত বিমানের করিডরেই মদ্যপান করতে শুরু করেন। বিমান সেবিকারা বাধা দিতে গেলে বিমান সেবিকা ও সহযাত্রীদের অকথ্য ভাষায় কথা বলেন অভিযু্ক্তরা।
তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাহার থানায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ওই পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন।
বিমানের শৌচাগারে গিয়ে সিগারেট ধরানোর (Smoking) অপরাধে গ্রেফতার করা হয় এক বিমান যাত্রীকে (Passenger)। অসম থেকে বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো বিমানের (Indigo Flight) এক ব্যক্তি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। যার ফলে বিমানের শৌচাগারে গিয়েই সিগারেট ধরিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ রানওয়ে ছেড়ে বিমান আকাশে উড়তেই ওই ব্যক্তি আসন ছেড়ে ধীরে ধীরে শৌচাগারের দিকে যেতে থাকে। ঠিক সেই সময় পাশের কেবিনের একজন সহযাত্রীর বিষয়টি নজরে পড়ে। ওই ব্যক্তিকে সিগারেট হাতে পাকড়াও করেন ওই সহযাত্রী। রবিবার একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ইন্ডিগো সিক্স ই সেভেন ওয়ান সিক্স বিমানের যাত্রী ছিলেন ওই অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই একইরকম ঘটনা ঘটে লন্ডনে। তাঁর বিরুদ্ধে বিমানের শৌচাগারে সিগারেট খাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামতেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।
ফের বিমানেই (Airplan) মৃত্যু হল এক যাত্রীর (dead)। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই যাত্রী। বিমানটিকে তড়িঘড়ি নাগপুরে (Nagpur) বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করেও শেষরক্ষা হল না। রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর (Indigo) একটি বিমানেই ঘটে এই ঘটনা। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। বিমান যখন আকাশে উড়ছে ঠিক সেই সময়ই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এই পরিস্থিতির কথা জানাতেই তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। অবতরণও করা হয় বিমানটিকে। বিমানের মধ্যে এক ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে আগে থেকেই তৈরি ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও প্রয়োজনের কথা ভেবে বিমানবন্দরেই অ্যাম্বুল্যান্স রেখে দেওয়া হয়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই অ্যাম্বুল্যান্সের রক্ষণাবেক্ষণকারী আয়াজ শামি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর দিল্লি-দোহাগামী বিমানেও এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁরও মৃত্যু হয়।
মাঝ আকাশে পাখির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের (Indigo Flight) এক বিমানের। জানা গিয়েছে, রবিবার দিল্লির উদ্দেশে সুরাট বিমানবন্দর (Surat International Airport) থেকে রওনা হয় এই ইন্ডিগো বিমান। উড়ানের কিছুক্ষণ পর বিমানটির সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগে। বিমানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে সেটিকে আমেদাবাদের বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।
রবিবার ইন্ডিগো এ-৩২০ বিমান দুর্ঘটনার সময় ক্রু সদস্য-সহ ১৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমানের যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে পাখির আঘাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানের দুই নম্বর ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের ফ্যান ব্লেডগুলির কিছু জায়গায় ভেঙেও গিয়েছে। বিমান সংস্থার তরফে ফ্যান ব্লেডগুলি মেরামতের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারও এক দিল্লিগামী বিমান কোচিন বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরুর কয়েক মুহূর্ত পরেই তা আবার ঘুরিয়ে ভোপাল বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, বিমানে এক যাত্রীর হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জরুরি চিকিৎসার জন্য দিল্লি না গিয়ে মাঝপথে ভোপাল বিমানবন্দরে ইন্ডিগো বিমানটি নামানো হয়। ভোপালে অবতরণ করানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
যোধপুরে (Jodhpur) জরুরি অবতরণ করল জেদ্দা (Jeddah) থেকে দিল্লিগামী (Delhi) ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার একটি বিমান। বিমানের এক যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় জরুরি অবতরণ করা হয়। জানা গিয়েছে, অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীর নাম মিত্রা বানো, বয়স ৬১। তাঁকে যোধপুরের গয়াল হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রে (Goyal Hospital and Research Centre) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তবে হাসপাতালে নিয়ে আসা বানোকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মিত্রা বানো জম্মু ও কাশ্মীরের হাজারিবাগের বাসিন্দা। সকাল ১১টায় যোধপুরে ফ্লাইটটি অবতরণ করার সময় বৃদ্ধার ছেলে মুজাফফর তাঁর সঙ্গে ছিলেন। বিমানবন্দরের সূত্রে খবর, বিমানে থাকাকালীন মিত্রার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। উপায় না দেখে দিল্লির আগে যোধপুরেই নেমে পড়ে উড়ান।
মাঝ আকাশে যাত্রীর অসুস্থতার কারণে জরুরি অবতরণ, এ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে মাদুরাই-দিল্লি ইন্ডিগো ফ্লাইটে একজন ৬০-বছর-বয়সী যাত্রীর মাঝ আকাশে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় ইন্দোর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়েছিল বিমান। তবে স্থানীয় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। যাত্রী ছিলেন নয়ডার বাসিন্দা।
মাদুরাই থেকে দিল্লির (Madurai-Delhi) দিকে রওনা হওয়া ইন্ডিগোর বিমানে (IndiGo flight) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক যাত্রী (Passenger)। বিমানটি তখন মাঝ আকাশে। যাত্রীর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল, তাঁর মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যাত্রীর নাম অতুল গুপ্ত (৬০)।
সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছনোর আগেই বিমানটিকে ইন্দোরে দেবী অহল্যাবাই হোলকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তারপর সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রৌঢ় যাত্রীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
বিমানবন্দরের ডিরেক্টর ইনচার্জ প্রবোধ চন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অতুল গুপ্ত ইন্ডিগোর বিমান ৬ই-২০৮৮-এর যাত্রী ছিলেন। তাঁর মুখ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল এবং মাঝ আকাশেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিমানটি জরুরি অবতরণ করে।”
এয়ারপোর্ট থেকে ওই ব্যক্তিকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার ডাক্তাররা জানান, তিনি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। বিমান অবতরণের পরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদুরাই থেকে দিল্লিগামী বিমানটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যাত্রী নয়ডার বাসিন্দা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পর তা তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
ফের বিপত্তির মুখে ইন্ডিগোর (Indigo) বিমান। বৃহস্পতিবার অসমের (Assam) জোড়হাট বিমানবন্দরে টেক অফের (take-off) সময় রানওয়েতে পিছলে গেল কলকাতাগামী যাত্রীবাহী ওই বিমান। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরও ত্রুটি মেরামত করতে না পারায় শেষমেশ বাতিল (cancelled flight) করা হয় বিমানটি। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময়ে বিমানে ৯৮ জন যাত্রী ছিলেন। সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন।
এয়ারলাইনস জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী রানওয়েতে ঘোরার সময় বিমানের দুটি চাকা পিছলে যায়। রানওয়ের পাশের একটি মাঠে কাদায় আটকে যায় চাকা। এরফলে চাকা বার করার চেষ্টা করলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে হইচই শুরু হতেই নিরাপদে যাত্রীদের বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
একজন স্থানীয় সাংবাদিক টুইটারে একটি ছবি আপলোড করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে, রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়েছে বিমানটি। এবং নরম ঘাসের আউটফিল্ডে এক জোড়া চাকা আটকে রয়েছে।
Guwahati Kolkata @indigo flight 6F 757 slips from runway and stucked in muddy field in Jorhat airport in Assam. The flight was scheduled to depart at 2.20 pm but flight delayed after the incident. pic.twitter.com/spDT1BRHNd
— Dibya Bordoloi (@dibyabordoloi80) July 28, 2022
ইন্ডিগোকে ট্যাগ করে ওই সাংবাদিক লিখেছেন, "গুয়াহাটি কলকাতা @ ইন্ডিগো ফ্লাইট 6F 757 (6E757) রানওয়ে থেকে স্লিপ করে এবং অসমের জোড়হাট বিমানবন্দরে কর্দমাক্ত মাঠে আটকে যায়। ফ্লাইটটি ২.২০ টায় ছাড়ার কথা ছি, কিন্তু ঘটনার পর ফ্লাইটটি বিলম্বিত হয়।"
সেই পোস্টের জবাবে ইন্ডিগো বলেছে, বিমানটিতে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল এবং রাত ৮.১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছিল। তারা এই দুর্ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিচার করে সংশ্লিষ্ট টিমের কাছে পুরো বিষয়টি তুলে ধরছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বারংবার স্পাইসজেট বিমানকে যান্ত্রিক গোলযোগের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছিল। এবার ইন্ডিগো বিমানকে দুর্ঘটনার মুখে। আতঙ্কিত যাত্রীরা।
বিশেষভাবে সক্ষম (specially abled child) এক শিশু সহ তার পরিবারকে বিমানে উঠতে বাধা। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী (Union Civil Aviation Minister ) জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। এ ধরনের আচরণ মোটেই বরদাস্ত করবেন না বলে সোমবার টুইট (Tweet) করেন তিনি।
অভিযোগ, ইন্ডিগো বিমানের (Indigo Airlines) এক কর্মচারী শনিবার বিশেষভাবে সক্ষম শিশু সহ তার পরিবারকে বিমানে উঠতে নিষেধ করেন। শিশুটি বিমানে উঠতে প্রথমে ভয় পেয়েছিল। তারপর ওই কর্মচারী বলেন, বিমানের বাকি যাত্রীদের অসুবিধে হতে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে রাঁচির বিমানবন্দরে (Ranchi Airport)। খবর কানে যেতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
তিনি টুইট করে লেখেন, যে কোনও এয়ারলাইনস কোম্পানির যাত্রীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ মোটেও মেনে নেওয়া হবে না। আর যাতে কাউকে এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন। আর এই ঘটে যাওয়া বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে লেখেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, তারা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়। শিশুটির আচরণ অন্যান্য যাত্রীদের কাছে অসুবিধের হয়ে উঠতে পারত। এছাড়া রবিবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (Directorate General of Civil Aviation ) (ডিজিসিএ) প্রধান অরুণ কুমার জানিয়েছেন, ইতমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বলে জানান।
ইন্ডিগো-কাণ্ডের (Indigo Issue) পর তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। ফের সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়ে দাবি করলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। বোর্ডিং গেট বন্ধ হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অভিনেত্রীকে ট্যুইট করেছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও, সম্ভব হয়নি। এভাবেই ঋতুপর্ণার উদ্দেশে ট্যুইট (Social Media) করা হয়েছে। সেই ট্যুইটের স্ক্রিনশট এদিন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
তিনি লেখেন, 'ক্ষমাপ্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ২৫ মিনিট আগে বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া যাত্রী এবং সংস্থা, কারও জন্য সুখকর নয়। এই ক্ষতির জন্য আমাকে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে দুটো বেশি যাত্রা করতে হয়েছে। একটা কাজ আমার হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। শুধু আমার নিজের জন্য নয়, জনগণের জন্য এই কথা বলছি।'
এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, তিনি সেই পোস্টের পর ফেসবুক জুড়ে হওয়া সমালোচনাকেও বিঁধেছেন। ঋতুপর্ণা লেখেন, 'আমি সামাজিক মাধ্যমে অনেক বিরুদ্ধ নেতিবাচক মন্তব্য দেখেছি। কিন্তু নিজের জন্য গলা চড়াইনি, বরং গোটা দেশের জন্য গলা চড়িয়েছি। জরুরি ভিত্তিতে ডাক এলে পেশাগত জায়গায় যেতে অনেক মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়। আমার সঙ্গে হওয়া অন্যায় নিয়ে আমি ব্যথিত ছিলাম। তাই আমার জন্য এবং গোটা দেশের জন্য ন্যায় চেয়ে সুর চড়িয়েছিলাম। একটা যোগাযোগ মিস করা মানে গোটা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। আহমেদাবাদ থেকে আমার কর্মক্ষেত্র ছিল ৩ ঘণ্টার যাত্রাপথ। তাই আমি ওদের অনুরোধ করেছিলাম। যেহেতু কোনও সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না।'