আজই দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। লোকসভা ভোটের আগেই এই ঐতিহাসিক ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১২ ডিসেম্বর ২০১৯-এ রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর কেটে যায়। অবশেষে চালু হল সিএএ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এই আইনের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত।
আজই দেশজুড়ে চালু হতে পারে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। আর কিছুক্ষণ পরই ঐতিহাসিক ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় লাগু হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মুখে একাধিকবারই শোনা গিয়েছে যে দ্রুত সিএএ কার্যকর করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সিএএ নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। সেদিনই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আজ, মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। ঘোষণামতোই কাজ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান তিনি।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
শিবু-উত্তমের পর এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালি অঞ্চলের তৃণমূলের সম্পাদক অজিত মাইতি। রবিবার সন্ধ্য়ায় অজিত মাইতিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিস। তারপর আজ, সোমবার সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই বসিরহাট আদালতে তোলা হয় তাঁকে। পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ বিচারপতির।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার জনরোষের মুখে পড়ে একটি বাড়িতে লুকিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। জানা গিয়েছে, জমি লুট এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর মারধর সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে অজিত মাইতির বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রাম। রবিবার শেখ শাহজাহান, শেখ সিরাজউদ্দিনের পাশাপাশি অজিত মাইতির গ্রেফতারি নিয়েও শুরু হয়েছিল তোড়জোড়। এমনকি বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকাবাসীরা। তারপরেই রবিবার সন্ধ্য়ায় সেই জনরোষের মাঝখান থেকে অজিত মাইতিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিস। এরপর মিঁনাখা থানায় নিয়ে গিয়ে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, অজিত মাইতির বিরুদ্ধে ৪২৭,১৪৭,৩৮০ এই তিনটি ধারায় মামলা করল পুলিস।
বাগদেবীর আরাধনাতেও রাজনৈতিক উত্তাপ। সরস্বতী পুজোতেও বাদ গেল না অশান্তি। তৃণমূল-বিজেপির বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় আহত ১১ জন। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অকারণে মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতেই সরস্বতী পুজো করে আসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মণ্ডল জমিটি নিজের বলে দাবি করতেই শুরু হয় বিবাদ। জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার? ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের অকারণে মারধরের অভিযোগ হবিবপুর থানার পুলিসের বিরুদ্ধে।
পুলিসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির দাবি দেব মণ্ডলকে সহযোগিতা করার জন্যই লঠিচার্জ করে পুলিস। রাজ্য জুড়ে মিথ্যা প্ররোচনা দিচ্ছে বিজেপি, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলা পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার নিজাম প্যালেসে আসেন দেবরাজ চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের 'প্রভাবশালী' কাউন্সিলরকে বাড়ি, অফিসে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। জমা নিয়েছে কিছু নথিও। তারপর সাতদিন আগেই এই মামলার হাজিরা দিতে নিজাম প্যালেসে এলেও, বুধবার ফের হাজিরা দিতে আসেন দেবরাজ।
সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল দেবরাজ নিজাম প্যালেসে আবারও আসবেন কিনা, তা নিয়ে। তবে, দেবরাজ আসেন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে জানান, 'তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু তথ্য আমায় দিতে হবে। তবে যেহেতু তা তদন্তের অংশ, তাই তিনি সেবিষয়ে কিছু বলতে চান না এখনই।'
এমনিতেই দেবরাজের বাড়িতে তদন্ত চালিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন একাধিক অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র সহ বেশ কিছু নথি, যা সরাসরি নিয়োগ মামলায় দেবরাজের যোগের কথাই বলে। এখন দেখার এরপর আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতির চূড়ান্ত চার্জশিটে দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম খোদাই থাকে কিনা।
৫ বছরের মেয়াদে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার বিকেল ৫টায় হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এবার তাঁর সঙ্গে শপথ নিলেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রীও। ২ জনেই বিজেপির বিধায়ক। সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা এবার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেপি নাড্ডা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা ইন্ডিয়া ব্লকে। নীতীশ কুমারের শিবির ত্যাগে শুধু ইন্ডিয়া ব্লক নয়, বিহারে মহাজোট ভেঙে দিয়েছে। রবিবার সকালে পটনায় রাজভবনে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন জেডিইউ সুপ্রিমো। নীতীশ কুমারের এই শিবির ত্যাগে কংগ্রেসও কার্যত দিশেহারা।
এদিন কংগ্রেসের নেতারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তারা নীতীশ কুমারকে গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, জনগণ তাঁকে কখনই ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নীতীশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতকদের বিশেষজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বিশেষজ্ঞ এবং যারা তাদের নাচিয়েছে, তাদেরকে জনগণ ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রকী ও বিজেপি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে বয় পাচ্ছেন। সেখান থেকে দৃষ্টি সরাতে এই রাজনৈতিক নাটক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সর্বসাকুল্যে এই নিয়ে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ েনবেন নীতীশ কুমার। প্রতিবারই কোনও না কোনও কৌশলে পাল্টি খেয়ে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর পদটি ঠিক বাঁচিয়ে গিয়েছেন নীতীশ। কখনও বিজেপির হাত ধরে তো কখনও আরজেডির হাত ধরে। দাবার চালের মতো চাল চেলেই নিজে গদি রক্ষা করেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো।
২০০০ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন নীতীশ কুমার। কখনও বিজেপির সমর্থনে তো কখনও আরজেডির সমর্থনে। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকেছেন নীতীশ কুমার। ২০১৫ সালে ২ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন আরজেডির সমর্থনে। ২০১৭ এবং ২০২০ তে আবার বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। ২০২২ সালে আবার আরজেডির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। তারপরে আবার ২০২৪ সালে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। যদিও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন বিজেপির সঙ্গে নীতীশের এই জোট স্থায়ী হবে না। ২০২৪-র লোকসভা ভোট আসতে আসতে তিনি আবার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একটা সময়ে জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে মনোমালিন্যার জেরে তিনি জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
বিহারে রাজনৈতিক সংকট ফের তুঙ্গে। আবারও পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি শাসিত এনডিএ-তে। আজ, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তবে এবার আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে নয়। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে বেরোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার।
সকাল ১০টা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে জোট ঘোষণার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেবেন। তার আগে বিকেল ৩টে নাগাদ পাটনায় পৌঁছবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ কুমার, এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাতেই সিলমোহর পড়ল। গতকাল নিজের মন্ত্রিসভা থেকে আরজেডির সব মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে বিধানসভা ভেঙে দেন নীতীশ কুমার। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি।
অবশেষে গুঞ্জনই কি সত্যি হবে! ফের একবার জোট বদল করতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এমনটা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। ২৮ জানুয়ারি বিজেপি-জেডিইউ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন নীতিশ বলেই সূত্রের খবর। গেরুয়া শিবিরে ফিরতে চলেছেন তিনি। রবিতেই এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন জেডিইউ সুপ্রিমো, আর এই নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ফের একবার বিহারের রাজনীতিতে 'হালচাল'। জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে বিহারের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেখানে বিহারের বিজেপি নেতৃত্বকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে নীতিশকে প্রয়োজন এনডিএ-র। আজ অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন জানা যাচ্ছে, বিজেপি এবং নীতিশ কুমার-এর জোট প্রায়ই নিশ্চিত। রবিবারই এনডিএ জোটের হয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। এই পরিস্থিতিতে সুশীল মোদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলেও কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও দূরত্ব বাড়ল বিহারের জেডিইউ এবং আরজেডির মধ্যে, তা বলাই বাহুল্য। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে লালু প্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিনি এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে কোনও একজন রাজনীতিবিদকে প্রবল আক্রমণ করেন। সেখানে "বদতামিজ" এর মত শব্দ প্রয়োগ করেন তিনি। পরিষ্কারই বোঝা যাচ্ছিল আক্রমণের লক্ষ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমার। এতে অত্যন্ত অপমানিত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন নীতিশ। যদিও পরে এক্স হ্যান্ডেলের এই পোস্টগুলি মুছে দেন রোহিনী। কিন্তু এবার নীতিশের পাশে দাঁড়িয়ে রোহিনীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে বিহার বিজেপি। আর এর থেকেই পরিষ্কার যে, বিজেপির সঙ্গে ক্রমশই সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে নীতিশ কুমারের।
যদিও জেডিইউ-র পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। ফলে রবিবার যদি বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ-তে ফের প্রত্যাবর্তন করেন নীতিশ কুমার, তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে 'ইন্ডিয়া' জোটের জন্য বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য।
সোমবার রাজপথে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি মিছিল শুরু করবেন তিনি। সর্বধর্ম সমন্বয়ে এই মিছিলে যোগ দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে এই সংহতি মিছিল শুরু করবেন তৃণমূলনেত্রী। যার পুরোভাগে কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, থাকবেন সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। পুরোহিত, মোয়াজ্জেম, শিখ গুরু, গির্জার ফাদার প্রত্যেকে সামনে থেকে এই মিছিলকে নেতৃত্ব দেবেন। মিছিল শেষ হবে পার্ক সার্কাসে।
পার্ক সার্কাসে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সেখান থেকেই বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও জানা গিয়েছে, ওই মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতা থাকবেন না। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে পোস্ট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক লিখেছেন, “মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার যা-ই হোক, ঘৃণা, হিংসা ও নিরীহ মানুষের মৃতদেহের উপর তৈরি কোনও উপাসনাস্থল মেনে নিতে আমার ধর্ম আমায় শেখায়নি।”
মণি ভট্টাচার্যঃ বঙ্গে ধুঁকছে শিক্ষাব্যবস্থা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নেই। কোথাও ৪ জন কিংবা কোথাও ৬ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পঠনপাঠন। মূলত স্কুলে শিক্ষকের অভাব পূরণ করেতে পার্ট টাইম শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়েই কাজ চালানোর চেষ্টা করলেও তাদের বেতন দিতে অপারগ সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল গুলি। চক-ডাস্টার কেনার সামর্থ্যটুকুও নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত বেতনও মিলছে না স্কুলের অস্থায়ী কর্মীদের। স্কুলের ফান্ডের এই ভাঁড়ে মা ভবানী দশা রাজ্যের সর্বত্র। কিন্তু নিরুত্তাপ রাজ্য সরকার।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারকে একাধিকবার সমস্যার কথা জানিয়েও মিলছে না সুরাহা। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? উত্তর অধরা। কিন্তু আগামীদিনে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে স্কুল চালানো অসম্ভব দাবি প্রধান শিক্ষক সংগঠনের। খোদ শহর কলকাতার বুকেও একাধিক সরকারি স্কুলের এমন দৈন্যদশায় হতবাক সারা বাংলা। তবে রাজ্যের স্কুলগুলির এই করুণ পরিণতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দোষারোপ শিক্ষাবিদমহলের।
উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া সফিক আহমেদ গালর্স হাইস্কুলের অব্যবস্থার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। স্কুলে নেই চক-ডাস্টার কেনার পয়সা। এমনকি কোনও নেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার পয়সাও নেই। কার্যত অসহায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সামান্য গাড়ি ভাড়া করে টেস্ট পেপার আনার টাকাটুকুও নেই স্কুলের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরেও নিয়োগের আবেদন জানিয়েও মেলেনি পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। নিত্যদিন তাই ৮০ থেকে ১০০ টি ক্লাস অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিতে হয় বাধ্য হয়ে। তাদের দাবি একটাই, দ্রুত নিয়োগ চাই। অন্যথায় স্কুল চালানো অসম্ভব।
উল্লেখ্য, সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে একটা অনুদান প্রত্যেক বছর দিলেও সেখানে ওই টাকা কোন খাতে ব্যাবহার হবে সেটা বলা থাকে। কিন্তু সেখানে স্কুলের পার্ট টাইম শিক্ষক বা ক্লার্কদের মাইনে সংক্রান্ত উল্লেখ থাকে না। এই অবস্থায় স্কুল চালানো সম্ভব না। বলে দাবি প্রধান শিক্ষকদের একাংশের।
ফের রাজ্য়ে খুন তৃণমূল কর্মী। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় এখনও অবধি ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এসডিপিও বারুইপুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। মৃত ব্য়ক্তির নাম সাইদুল আলী শেখ। পেশায় একজন গাড়িচালক।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে পাড়ার পরিচিত এক যুবক সাইদুলকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁর কাছে জানতে চায় ক্লাবের সামনের মাঠে কেন গাড়ি চালিয়েছিলেন, তা নিয়ে শুরু হয় ক্লাবের ছেলেদের সঙ্গে সাইদুল আলি শেখের বচসা। কথা কাটাকাটি চলাকালীন আচমকা তাঁকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে এবং লোহার গরম রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ক্লাবের ছেলেরা।
অভিযোগ, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সাইদুলের বাড়ির লোকজন তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি সাইদুলের স্ত্রী ও মেয়েকে নাকি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে অনেকবার অনুরোধ করলেও সাইদুলকে নির্মমভাবে মারা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।
রবিবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাইদুল আলী শেখের। এই মর্মান্তিক মৃত্য়ুর ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয়দের দাবি, সাইদুল আলী শেখ এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে গাড়ি চালনো নিয়ে ঝামেলার জেরে এই ঘটনা নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক হিংসা রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ভালো নেই মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এখন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। এর মধ্যেই খিঁচুনির জেরে তিনি বেড থেকে পড়ে যান, ভেঙে যায় তাঁর বা কাঁধের হাড়। হাসপাতালে মদন মিত্রকে দেখতে আসেন সাংসদ সৌগত রায়।
কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডর পাশাপাশি যিনি কালারফুল বয় হিসেবেই বেশি পরিচিত। সবসময় খোশ মেজাজে দেখা যায় মদন মিত্রকে। সেই মদন মিত্রই এখন গুরুতর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা শুরু হয়েছিল তাঁর। সঙ্গে ছিল জ্বর। এই অবস্থায় তাঁকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি করা হয়। ডাঃ অতনু পালের অধীনে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তিনি জানান, মদন মিত্র গভীর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থতার মধ্যেই হাইপক্সিয়ার ফলে হঠাৎ করেই শুক্রবার রাতে তাঁর খিঁচুনি ওঠে। দাঁতে দাঁত লেগে যায় তাঁর। যার জেরে তাঁকে ধরতে যাওয়ায় টানাটানিতে পড়ে গিয়ে তিনি আঘাত পান। ফলস্বরূপ, গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত, মদন মিত্রের বাঁ কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। তাই আপাতত হাড় ভাঙা, নিউমোনিয়া সঙ্গে নিয়ে ভালো নেই বিধায়ক মদন মিত্র।
এই আবহে মদন মিত্রকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন সাংসদ সৌগত রায়। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে দেখতে এসে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। চান সরকার একটু পাশে এসে দাঁড়াক। তবে অনুদান নয়। কর্মসংস্থান দিক সরকার।
২ সন্তান। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে জতীয় স্তরে একাধিক মেডেল প্রাপ্তি। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগাদানের স্বপ্ন থাকলেও খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
দু'বেলা দু মুঠো অন্ন জোগাড়ও অনিশ্চিত। তবুও ঘর ভরেছে সোনা, রূপোর পদকে। সংসারে আয় বাড়াতে, ছোটো দুই ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ টানতে কাজে যোগ দিয়েছেন বুলটি নিজে। তবুও সময় বের করে চলছে অনুশীলন। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাই এখন স্বপ্ন। তার জন্য খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। আক্ষেপ একটাই, অন্য জায়গায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের সবাই চেনে, সাহায্যও পান তাঁরা।
বুলটি স্বর্ণপদক জয় করলেও তাঁর কাছে নেই উপযুক্ত জুতো। অনুশীলনের জন্য নেই ভাল পোশাক। কিন্তু অভাব বুলটির ইচ্ছেশক্তির কাছে পরাজিত। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা চাকরি দেন, তাহলে তাঁর পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারবে। এর সঙ্গে নিজের স্বপ্নের পিছনে আরও দৌড়তে পারবেন বছর তিরিশের ‘সোনার মেয়ে’।
চারিদিকে পুজোর মরশুম, এই সময়ে প্রায় ক্লাবেই সংগীতশিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই মতো সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সীকেও একাধিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই শোনা গিয়েছে, একাধিক শো বাতিল হয়েছে তাঁর। আর তাঁর এই শো বাতিল হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। হঠাৎ তাঁর কী হল, একাধিক প্রশ্ন ভক্তদের। তার পরই অদিতি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে, তিনি অসুস্থ, তাঁর গলায় সংক্রমণ হয়েছে। তাই তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই একাধিক শো বাতিল করেছেন।
গায়িকা অদিতি মুন্সীর ভক্তি গীতি শুনলেই মন-প্রাণ জুড়ে যায়। ফলে তাঁর অনুরাগীও অগুনতি। উৎসবের মরশুমে একাধিক ক্লাব তাঁর গান করার কথা ছিল। কিন্তু একের পর এক শো বাতিল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনুরাগীরা। তখনই খোদ অদিতি জানান, তিনি অসুস্থ, গলা খারাপ, কথাই বলতে পারছেন না তিনি। এই বিষয়ে জানতে পেরেই অনুরাগীরা তাঁর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য কামনা করেছেন।