Breaking News
ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...      NIA: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ NIA     

ISRO

Aditya L1: নতুন বছরে নয়া ইতিহাস গড়ল ইসরো! সফলভাবে গন্তব্যে পৌঁছল ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল১

নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর। আরও এক সাফল্যের পালক ইসরোর মুকুটে। ফের ইতিহাস গড়ল ইসরো, চন্দ্রযানের পর এবারে সূর্যযানও তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে সফল হয়েছে। চাঁদের পর এবারে সূর্য ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আরও একধাপ এগিয়ে গেল। ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল১ শনিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ 'ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১' (এল১) লাগোয়া একটি 'হ্যালো' কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপিত হয়েছে। এখন পৃথিবী থেকে ভারতের প্রথম সৌরযানটির দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার।

গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে দেশের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-এল 1 উৎক্ষেপণ করাহ হয়েছিল। মিশনের লক্ষ্য, সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট (L1)-এর চারপাশে একটি কক্ষপথ থেকে সূর্যকে পরীক্ষা করা, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিমি দূরে অবস্থিত। ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট হল সেই অঞ্চল যেখানে পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যেকার মাধ্যাকর্ষণ নিরপেক্ষ হয়ে যায়। হ্যালো কক্ষপথে এল১ পয়েন্টের চারপাশে উপগ্রহের মাধ্যমে সূর্যকে একটানা দেখা যায়। এটি সূর্যের সমস্ত ক্রিয়াকলাপের উপর নজর রাখা যায়।

এদিন ইসরোর এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "ভারত আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছে। ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল১ তার গন্তব্যে পৌঁছেছে। এটি সবচেয়ে জটিল মহাকাশ মিশনগুলির মধ্যে একটি। তবে আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এটি অক্লান্ত পরিশ্রমের একটি ফল।"

3 months ago
ISRO: ইসরোর নয়া সাফল্য! কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজে মহাকাশে পাড়ি দিল নতুন উপগ্রহ 'এক্সপোস্যাট'

ইসরোর মুকুটে নতুন পালক। কৃষ্ণগহ্বর গবেষণার লক্ষ্যে মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর নতুন উপগ্রহ 'এক্সপোস্যাট'। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এই উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য বছরের প্রথম দিনটিকে বেছে নিয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি -সি৫৮ রকেটে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশ্য পাড়ি দিল এক্সপোস্যাট। নাসার পর ইসরোই দুনিয়ার একমাত্র মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যারা এমন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল।

চন্দ্রযান-৩ ও আদিত্য এল-১-এর সাফল্যের পরে নতুন বছরের প্রথম দিনে আরও এক সাফল্য ইন্ডিয়ান স্পেল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের। এদিন সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে ইসরোর 'এক্সপোস্যাট'-এর। মহাকাশে এই বড় পদক্ষেপের সঙ্গে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে উঠল। এর আগে এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর কৃতিত্ব রয়েছে কেবল নাসার।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহের আয়ু পাঁচ বছর। এক্সপোস্যাট পৃথিবীর ওপরে নিচু কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫০০ থেকে ৭০০ কিমি। ইসরোর তরফে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে।

অনেকগুলি নিউট্রন কণা একত্রিত হয়ে যা তৈরি হয়, তার নাম নিউট্রন স্টার। এই ধরণের নক্ষত্র অনেক ছোট আকারের হয়। নিউট্রন স্টারের ব্যাসার্ধ ৩০ কিমির বেশি নয়। সেইসব নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎসব খুঁজবে এক্সপোস্যাট। ইসরো এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশে পেতে চলেছে।

ইসরো সূত্রে খবর টানা ২১ মিনিট উড়ে এই রকেট পৌঁছে যাবে ৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। তারপর এটি তার কক্ষপথে স্থির হবে। মোট ৭৪০ কোটি ওজন নিয়ে উড়ে গেল পিএসএলভি -সি৫৮। গত বছর ইসরোর মুকুটে উঠেছিল দুটি পালক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান নামিয়েছিল ইসরো। পাশাপাশি সূর্য অভিযানে পাঠিয়েছিল আদিত্য এল ওয়ান। এবার নতুন বছরের প্রথম দিনেই ইসরো মহাকাশে পাঠাল তার নতুন উপগ্রহ এক্সপোস্যাটকে বা এক্স রে পোলার মিটার স্যাটেলাইট।

4 months ago
Gaganyaan: সপ্তমীতে নজির ইসরোর, সফল 'গগনযান'-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

অবশেষে সফল হল গগনযানের (Gaganyaan) প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। উৎসবের মরশুমে খুশির খবর জানাল ইসরো (ISRO)। শনিবার অর্থাৎ সপ্তমীর দিন গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হল। এদিন সকালে দু’বার থমকে যাওয়ার পরও গগনযানের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। অবশেষে গগনযান মিশনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে TV-D1 ফ্লাইটের সফল উৎক্ষেপণ করল ইসরো।

সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৮টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে গগনযানের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪৫ মিনিট পরে, অর্থাৎ ৮টা ৪৫ মিনিটে গগনযান যাত্রা শুরু করবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তখনও উৎক্ষেপণ হয়নি। ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক আচরণ দেখেই সেই সময় উড়ান স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সকাল ১০টা নাগাদ TV-D1-এর উৎক্ষেপণ করা হয়। গগনযান মিশনের সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, "এটা ঘোষণা করতে পেরে আমি খুব খুশি যে, গগনযান TV-D1 মিশনের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে।"

6 months ago


ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে পাঠানো হবে মানুষ! ইসরোকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর চেষ্টা করবে ভারত, চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পরই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) আরও জানালেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরির নকশাও বানাতে হবে ইসরোকে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গগনযান মিশনের প্রথম প্রদর্শনী উড়ানের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। গগনযান মিশনের লক্ষ্য, মহাকাশে মানুষ পাঠানো। পর্যালোচনা বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের জানান, ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিতে হবে ইসরোকে।

সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের মহাকাশ গবেষণার নানা দিক খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। মূলত, গগনযান মিশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। এর পরই ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম ভারতীয় পাঠানোর সময় বেঁধে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন বা ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশন তৈরি করার কথাও জানালেন তিনি। তবে শুধু চাঁদ নয়, মঙ্গল এবং শুক্রগ্রহেও অভিযানের জন্যও বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে সত্যিই কি ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের প্রথম ভারতীয় নভোশ্চর পৌঁছতে পারবে কিনা, তারই অপেক্ষায় থাকবে সারা দেশবাসী।

6 months ago
Gaganyaan: সপ্তমীতেই উড়ান! 'মিশন গগনযান' নিয়ে বড় খবর দিল ইসরো

চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর এবারে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো (ISRO)। মানুষ পাঠাতেও যাতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা সফল হয়, অর্থাৎ মিশন গগনযান (Mission Gaganyaan) সফলের জন্য ইসরো চলতি মাসেই শুরু করতে চলেছে পরীক্ষামূলক মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ। গগনযান মিশনের আগে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ২১ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর দিনই করা হবে বলে জানাল ইসরো। ১৬ অক্টোবর, সোমবার ইসরো জানিয়েছে, ২১ অক্টোবর TV-D1 পরীক্ষামূলক মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে।

সোমবার ইসরোর এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, গগনযানে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি ২১ অক্টোবর উড়বে। TV-D1 পরীক্ষামূলক মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে ওই দিন। সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে পরীক্ষামূলক মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে হবে এই উৎক্ষেপণ। সপ্তমীর দিন যে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হতে চলেছে, তাতে মডিউলটিকে নিয়ে মহাশূন্য়ের পথে রওনা হবে যানটি। পরে তা ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। পৃথিবীর বুকে বঙ্গোপসাগরে নামার কথা এই মহাকাশযানের। তারপর সাগরের জল থেকে যাতে মডিউলকে উদ্ধার করা হয় তার জন্য নৌসেনার প্রস্তুতিও তুঙ্গে। একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে চূড়ান্ত মিশনের সময়ও।

প্রসঙ্গত, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে গগনযানকে দুটি ট্রায়াল মিশনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই ট্রায়াল মিশনের অঙ্গ হল TV-D1 টেস্ট ফ্লাইটের সফল উৎক্ষেপণ। মিশনের প্রথম পর্বের পরীক্ষায় এই টেস্ট ফ্লাইটটিকে পাঠানো হবে। তারপরেই গগনযানের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। সেই পর্যায়ে মহিলা মহাকাশযাত্রী হিসেবে 'ব্যোমমিত্র' নামে একটি হিউম্যানয়েড রোবটকে লঞ্চ করা হবে।

6 months ago


Aditya L1: হঠাৎ রাস্তা বদল 'আদিত্য এল-১'-এর! মহাকাশে কেমন আছে সৌরযান

২ সেপ্টেম্বর সূর্যের দিকে রওনা দেয় আদিত্য এল-১ (Aditya L1)। এটি ভারতের প্রথম সৌরযান। এবারে এই মহাকাশযান বিষয়ে এক নয়া তথ্য দিল ইসরো (ISRO)। ইসরো তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি মহাকাশে আদিত্য এল-১-এর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করা হলেও সূর্যের দিকেই অবরত এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন যন্ত্রও ঠিক মতোই কাজ করছে।

ইসরো সূত্রে খবর, সৌরযান আদিত্য এল-১-এর অবস্থা একদম ঠিক আছে। শুধু তাই নয়, বরং সঠিক পথেই ছুটে চলেছে এটি। তবে ৬ই অক্টোবর প্রয়োজন অনুসারে মহাকাশযানের গতিপথ ঠিক করা হয়েছে। ট্রান্স ল্যাগরেজিয়ান পয়েন্ট-১ ইনসারসন কৌশলটি ট্র্যাক করার সময় এই সংশোধন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে আরও খানিক এগিয়ে যায় আদিত্য এল-১। এর পরই সৌরযানের গতিপথ ১৬ সেকেন্ডের জন্য পরিবর্তন করা হয়েছিল।

6 months ago
Chandrayaan 3: চাঁদের বুকে পাকাপাকিভাবে ঘুমিয়ে পড়ল বিক্রম ও প্রজ্ঞান!

চাঁদের বুকে ফের নেমে আসল অন্ধকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া গেল না চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞান'-এর থেকে। একেবারে ঘুমের দেশের চলে গিয়েছে। ইসরো তরফে আশা করা হয়েছিল, চাঁদে অন্ধকার শেষে সূর্যোদয় হলে জেগে উঠবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। কিন্তু তা হল না। ফলে মনে করা হচ্ছে, একেবারেই পাকাপাকি ভাবে চাঁদের বুকেই ঘুমিয়ে পড়েছে চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রম ও প্রজ্ঞান।

এর আগেই ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, বিক্রম-প্রজ্ঞান জেগে না উঠলেও তাতে কোনও অনুতাপ নেই তাঁদের। কারণ নিজেদের কাজ সম্পূর্ণ করেই তারা ঘুমের দেশে গিয়েছে। চন্দ্রযান ৩ অবতরণের পর চাঁদে আঁধার নেমে আসার আগে স্লিপ মোডে পাঠানো হয়েছিল তাদের। মনে করা হয়েছিল, সূর্যাস্তের পরই জেগে উঠবে ল্যান্ডার ও রোভার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের ঘুম থেকে ওঠানো যায়নি। কোনও সংকেত পাওয়া যায়নি তাদের থেকে। ফলে প্রথমবারে রাতের কঠিন ঠান্ডা সহ্য করে যখন জেগে উঠতে পারেনি চন্দ্রযান-৩, তখন আর কখনই তার ঘুম ভাঙবে না বলে ধরে নেওয়া যায়। ফলে এবারে মনে করা হচ্ছে, একেবারের জন্যই চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।

7 months ago
Chandrayaan 3: চাঁদে ফের সূর্যাস্ত, প্রকাশ্যে এল চন্দ্রযান ৩-এর এক চমকপ্রদ তথ্য

ফের চাঁদে (Moon) নামতে চলেছে অন্ধকার। চাঁদে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)-এর ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণের পর এই নিয়ে দু'বার চাঁদে সূর্যাস্ত হতে চলেছে। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞান'-এর থেকে। প্রায় এক মাসে আগেই স্লিপ মোডে পাঠানো হয়, কিন্তু আশা করা হচ্ছিল, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ফের জেগে উঠবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। কিন্তু এখনও তাদের থেকে কোনও উত্তর পাওয়া না গেলে প্রশ্ন উঠছে, চন্দ্রযান ৩-এর মিশন কি তবে এখানেই শেষ? তবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান জেগে না উঠলেও সমস্ত কাজই তারা সম্পূর্ণ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। ফলে তাদের কোনও অনুতাপ নেই। এমনকি ইসরোর তরফে ল্যান্ডারের সম্পর্কে আরও এক নয়া তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

চন্দ্রযান ৩ প্রজেক্ট ডিরেক্টর পি ভীরামুথুভেল জানিয়েছেন, বিক্রম-এর অবতরণের পর চাঁদে সূর্যাস্ত হতে শুরু হলে ল্যান্ডারের হপ এক্সপেরিমেন্ট করানো হয়। আর সেটি একেবারেই অপরিকল্পিত ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ৩ সেপ্টেম্বর ইসরো থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল, চাঁদের মাটি ছেড়ে কিছুটা উপরে উঠে কিছুটা দূরে দ্বিতীয়বারের জন্য সফট ল্যান্ডিং করে ল্যান্ডার বিক্রম। আর এটি একেবারেই 'অপরিকল্পিত' ছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে তিনি আরও জানিয়েছেন, ল্যান্ডার বিক্রম মিশনের উদ্দেশ্যর থেকেও বেশি কাজ করেছে। ফলে সূর্যোদয়ের পর তারা জেগে না উঠলেও তাতে তাঁরা দুঃখিত নয়। 

7 months ago


Mangalyaan 2: এবারে মঙ্গল গ্রহের দেশে পাড়ি দেবে ইসরো! কী কী খুঁজবে মঙ্গলযান ২

চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য ও সূর্যযান পাঠানোর পর থেমে নেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এবারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পৃথিবীর পড়শি গ্রহ মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর জন্য। সূত্রের খবর, প্রায় ৯ বছর পর ফের লাল গ্রহে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো (ISRO)। মঙ্গলে পাঠানোর জন্য দ্বিতীয় যে মহাকাশযান প্রস্তুত করা হচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2)। মঙ্গলে মঙ্গলযান ২ পাঠানোর প্রস্ততি শুরু হয়েছে জোরকদমে, এমনটাই সূত্রের খবর।

'মঙ্গলযান-২'-এর পরিচিত নাম 'মার্স অরবিটর মিশন-২'। সূত্রের খবর, একাধিক উদ্দেশ্য নিয়ে মঙ্গলে পাঠানো হবে মঙ্গলযান। মঙ্গলযানের সঙ্গে লাগানো থাকবে আরও চারটি পেলোড, যেগুলি মঙ্গল গ্রহের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই পেলোডগুলি পরীক্ষা করে দেখবে লাল গ্রহের আবহাওয়া, মাটির ধুলো।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলযান ২-এর মার্স অরবিট ডাস্ট এক্সপেরিমেন্ট (মডেক্স) নামের প্রথম পেলোডটি মঙ্গলের মাটি থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ধুলোর উৎপত্তি, ঘনত্ব, গতিবিধি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। বায়ুমণ্ডলে ইলেকট্রন, নিউট্রনের ঘনত্ব পরিমাপ, বায়ুমণ্ডলের সার্বিক চরিত্র বিশ্লেষণ করবে দ্বিতীয় পেলোডটি, যার নাম রেডিয়ো অকালটেশন (আরও)। তৃতীয় পেলোড এনার্জেটিক আয়ন স্পেকটোমিটার (ইআইএস) মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে সৌরশক্তি কণা এবং সুপার থার্মাল সৌরবায়ু কণা চিহ্নিত করার জন্য তৈরি করা হবে। আর চতুর্থ পেলোডটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্লাজমার পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবে। এর মাধ্যমে ইলেকট্রনের ঘনত্ব, ইলেকট্রনের তাপমাত্রা পরিমাপ করা যাবে। এই পেলোডের নাম ল্যাংমিওর প্রোব অ্যান্ড ইলেকট্রিক ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট (এলপেক্স)।

7 months ago
Aditya L1: পৃথিবীর 'মায়া' কাটিয়ে সূ্র্যের আরও কাছে আদিত্য এল-১, কতটা পথ এগোল

গত ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর (ISRO) আদিত্য এল১ (Aditya L1)। উৎক্ষেপণ হওয়ার পর এটি প্রায় এক মাস ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরেছে। মোট পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তন করেছে এটি। অবশেষে পৃথিবীর টান কাটিয়ে ছুটে চলেছে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১-এর দিকে। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছাড়িয়ে সূর্যের দিকে আরও এগিয়ে চলেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর, ইসরো এক্স অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর আদিত্য এল১ উৎক্ষেপণের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৯.২ কিমি পথ অতিক্রম করেছে মহাকাশযানটি। তবে এখনও বাকি রয়েছে অনেকটা পথ। তবে চন্দ্রযান ৩-এর মত এটিও সফল হবে সূর্যের দেশে পাড়ি দিতে, এমনটাই ধারণা বিজ্ঞানীদের। আদিত্য এল-১ -এর যাত্রাপথ এখন পর্যন্ত মসৃণ, ফলে খুব সহজেই এগিয়ে চলেছে নিজের গন্তব্যে। ফলে ক্রমশ খুশির খবর পেয়েই চলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তবে আদিত্য এল-১ কবে পৌঁছবে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট-১-এ ও কী কী তথ্য দেবে সূর্যকে নিয়ে তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।

7 months ago


Chandrayaan 3: চন্দ্রপৃষ্ঠে ইসরোর লোগো ও জাতীয় প্রতীকের স্পষ্ট ছাপ ফেলতে পারেনি প্রজ্ঞান! প্রকাশ্যে নয়া তথ্য

চাঁদের সূর্যোদয়ের পরও ঘুমিয়ে রয়েছে চন্দ্রযান৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Pragyan)। বর্তমানে এগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকলেও আশাবাদী ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। খোদ ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছে, তারা যে কোনও সময় জেগে উঠতে পারে। কিন্তু এসবের মাঝেই এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞান স্পষ্টভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি ইসরোর লোগো ও অশোকস্তম্ভের চিহ্ন। তবে এতে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এক নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।

রোভার প্রজ্ঞানের চাকায় লাগানো ছিল ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভ ও ইসরোর লোগো। নির্ধারিত ছিল যে, চাঁদে পৌঁছেই মাটিতে ছাপ ফেলবে প্রজ্ঞান। কিন্তু ইসরো সূত্রে খবর, ইসরোর লোগো ও অশোকস্তম্ভের ছাপ স্পষ্টভাবে পড়েনি চাঁদের মাটিতে। তবে এতে নিরাশ নন বিজ্ঞানীরা। এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চাঁদের মাটি ধুলো-বালির তৈরি শক্ত না, এটি নরম ধরনের। কোনও গলিত উপাদানের তৈরি। তার মানে চাঁদে কিছু উপাদান মাটিকে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু কী সেই উপাদান যা মাটিকে বেঁধে রেখেছে, তা গবেষণা করতে হবে।

ইসরো সূত্রে খবর, এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, চাঁদেও থাকতে পারে জল। এছাড়াও ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির নির্দেশক অনিল ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, 'আমরা খুব স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, রোভারের চলাচলের কারণে চাঁদের পৃষ্ঠে গর্ত তৈরি হচ্ছে। ল্যান্ডিং সাইট এবং রোভার চলাচলের স্থানের চারপাশে তোলা ফটোগুলি দেখায় যে রোভারের চলাচলের কারণে সৃষ্ট গর্তগুলি প্রায় এক সেন্টিমিটার গভীর। ল্যান্ডারের পা চন্দ্রপৃষ্ঠে বসে যাচ্ছে। যা নির্দেশ করে সেখানকার মাটি আলগা রয়েছে। আমরা যত গভীরে যাব, মাটি তত ঘন হবে।'

7 months ago
Chandrayaan 3: চাঁদে সূর্যোদয়ের তিনদিন পার, তবুও নেই কোনও সাড়া বিক্রম-প্রজ্ঞান-এর

চাঁদে সূর্যোদয় হওয়ার তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে, তবুও সাড়া পাওয়া যায়নি 'বিক্রম' (Vikram) ও 'প্রজ্ঞান'-এর (Pragyan)। তবে হার ছাড়েনি ইসরোর বিজ্ঞানীরৈ। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভার। আর কতদিন অপেক্ষা করা হবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান-এর উত্তর পাওয়ার, এবারে সে বিষয়েই বিস্তারিত জানালেন ইসরো (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath)।

আশা করা হয়েছিল, চাঁদের ভোর হতেই ফের জাগিয়ে তোলা হবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে। কিন্তু তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও সাড়া দেয়নি। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চাঁদের পরবর্তী রাত হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সুতরাং তাঁরা এক চন্দ্রদিন অর্থাৎ ১৪ দিন ধরে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা জারি থাকবে।

ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, 'ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে কখন যোগাযোগ করা যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। জানি না, ওরা কখন জেগে উঠবে। হয়তো আগামী কালও জেগে উঠতে পারে। আবার দেখা গেল, চাঁদে আঁধার নামার আগের দিনও ওরা সাড়া দিল। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি ল্যান্ডার এবং রোভারকে জাগিয়ে তুলতে পারি, তা হলে এটাও হবে আমাদের বড় সাফল্য।'

7 months ago
Chandrayaan 3: ঘুম ভাঙছে না 'বিক্রম' ও 'প্রজ্ঞান'-এর, জাগিয়ে তোলার চেষ্টা জারি ইসরোর

টানা ১৪ দিন পর চাঁদের দেশে এসে পৌঁছেছে সূর্যের আলো। ঠিক ছিল, চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছনোর পর থেকেই 'বিক্রম' (Vikram) ও 'প্রজ্ঞান' (Pragyan)-কে ফের জাগিয়ে তোলা র চেষ্টা করা হবে। কিন্তু টানা ১৪ দিন পর পৃথিবীর ডাকে সাড়া দিল না চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ও রোভার 'বিক্রম' ও 'প্রজ্ঞান'। এমনটাই জানানো হয়েছে ইসরোর (ISRO) তরফে। কিন্তু এখনই সাড়া না দিলেও হার মানছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে ইসরো, 'বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল এসে পৌঁছয়নি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা জারি থাকবে।' প্রসঙ্গত, চাঁদে চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিং-এর পর, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে একটি পূর্ণ দিন কাটিয়েছে। এই সময়ে, বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সঙ্গে থাকা পেলোডটি চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইসরোর কাছে পাঠিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। এখন আবার বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া না মিললেও শনিবার তাদের কাছে সিগন্যাল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।

ইসরো আরও বলছে, যদি ফের সক্রিয় না হয় রোভার ও ল্যান্ডার, তাহলে চিরকাল ভারতের দূত হিসেবে চাঁদের মাটিতেই থেকে যাবে বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার প্রজ্ঞান।

7 months ago


Chandrayaan 3: রাত পোহালেই চাঁদের দেশে হবে সূর্যোদয়, জেগে উঠবে কি বিক্রম-প্রজ্ঞান?

প্রায় ১৫ দিন পর চাঁদের (Moon) দেশে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করবে। ইসরো (ISRO) তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ২২ সেপ্টেম্বর ফের সূর্যের আলো এসে পৌঁছবে চাঁদের দেশে। ফলে এবারে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ও রোভারের জেগে ওঠার সময়। তবে আদৌ বিক্রম ও প্রজ্ঞান জেগে উঠবে কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবে আশা হারাচ্ছেন না ইসরো বিজ্ঞানীরা, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। আরও জানানো হয়েছে, যদি প্রজ্ঞান ও বিক্রম ফের জেগে উঠতে পারে তবে তাদের দিয়ে আরও ১৪ দিন কাজ করানো যাবে।

জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর 'শিবশক্তি পয়েন্টে' সূর্যের আলো পৌঁছতে শুরু করবে। ইসরো সূত্রে খবর, ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞানীরা 'প্রজ্ঞান' ও 'বিক্রম'-এর সঙ্গে ফের যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে। প্রায় অর্ধেক মাস চাঁদের এই জায়গায় সূর্যের আলো পৌঁছতে পারেনি। তাই এখানকার তাপমাত্রা প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গিয়েছে। তাই সেই পরিস্থিতি থেকে ল্যান্ডার ও রোভার জেগে উঠতে পারবে কিনা, তাই নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা। ফলে তাঁরা এখন বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ব্যাটারি চার্জ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। সূর্যের আলো পৌঁছনোর পরই চার্জিং শুরু হবে ও তার পরই এগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন ইসরো বিজ্ঞানীরা। প্রজ্ঞান ও বিক্রম-এর ফের জেগে উঠবে, এই নিয়েই আশাবাদী তাঁরা।

7 months ago
Engineer: ১৮ মাস বেতন না পেয়ে ইডলি বিক্রি করছেন চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চপ্যাড তৈরি করা ইঞ্জিনিয়ার!

যে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) সফল হওয়ার জন্য দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বিশ্বদরবারে, সেই মহাকাশযান তৈরির পিছনে এক ইঞ্জিনিয়ারকে নাকি এখন দিন কাটাতে হচ্ছে রাস্তায় ইডলি, ধোসা বিক্রি করে। প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি বেতন পাননি বলে দাবি এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার। চন্দ্রযান ৩-এর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির পিছনে তাঁর হাত রয়েছে বলে খবর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করার পরও এমন কেন হাল ইঞ্জিনিয়ারদের, তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় মঙ্গলবার থেকে। কিন্তু কতটা সত্যি এই খবর, এই নিয়েই এবারে শুরু জল্পনা। মঙ্গলবার এই খবর ছড়িয়ে পরার পরই পিআইবি থেকে এই খবরকে 'ভুয়ো' বলে দাবি করা হচ্ছে।

গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার খবরে আসে, চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চপ্যাড তৈরি করেছেন এইইসি-এর ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার উপারারিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের লঞ্চপ্যাড তৈরিতে যুক্ত ছিলেন দীপক কুমার উপরারিয়া (Deepak Kumar Uprariya)। হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HEC)-তে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির রাস্তায় তাঁকে ঠেলাগাড়িতে ইডলি বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। ধুরওয়া এলাকায় পুরনো বিধানসভা ভবনের ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায় ইডলি বিক্রি করেন তিনি। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে ইডলি বিক্রি করেন ও অফিস থেকে ফিরেও আবার দোকানে যান। আর এতেই চলছে সংসার। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছে, দীপকের মতো আরও প্রায় ২৮০০ জন ইঞ্জিনিয়ার এইচইসি থেকে প্রায় ১৮ মাস ধরে বেতন পাননি।

কিন্তু এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, সঙ্গে দেওয়া হয় 'প্রমাণ'। পিআইবি-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারদের পারিশ্রমিক না পাওয়ার তথ্য় একেবারেই 'ভুয়ো'। আবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র অ্যাডভাইজার কাঞ্চন গুপ্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি চন্দ্রযান ৩-এর কোনও যন্ত্রপাতি তৈরির নেপথ্যে এইচইসি ছিলই না। এইচইসি থেকে শুধুমাত্র পরিকাঠামোর জন্য কিছু সামগ্রী নেওয়া হয়েছিল।

7 months ago