
ফের চাঁদে (Moon) নামতে চলেছে অন্ধকার। চাঁদে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)-এর ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণের পর এই নিয়ে দু'বার চাঁদে সূর্যাস্ত হতে চলেছে। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞান'-এর থেকে। প্রায় এক মাসে আগেই স্লিপ মোডে পাঠানো হয়, কিন্তু আশা করা হচ্ছিল, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ফের জেগে উঠবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। কিন্তু এখনও তাদের থেকে কোনও উত্তর পাওয়া না গেলে প্রশ্ন উঠছে, চন্দ্রযান ৩-এর মিশন কি তবে এখানেই শেষ? তবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান জেগে না উঠলেও সমস্ত কাজই তারা সম্পূর্ণ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। ফলে তাদের কোনও অনুতাপ নেই। এমনকি ইসরোর তরফে ল্যান্ডারের সম্পর্কে আরও এক নয়া তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
চন্দ্রযান ৩ প্রজেক্ট ডিরেক্টর পি ভীরামুথুভেল জানিয়েছেন, বিক্রম-এর অবতরণের পর চাঁদে সূর্যাস্ত হতে শুরু হলে ল্যান্ডারের হপ এক্সপেরিমেন্ট করানো হয়। আর সেটি একেবারেই অপরিকল্পিত ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ৩ সেপ্টেম্বর ইসরো থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল, চাঁদের মাটি ছেড়ে কিছুটা উপরে উঠে কিছুটা দূরে দ্বিতীয়বারের জন্য সফট ল্যান্ডিং করে ল্যান্ডার বিক্রম। আর এটি একেবারেই 'অপরিকল্পিত' ছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে তিনি আরও জানিয়েছেন, ল্যান্ডার বিক্রম মিশনের উদ্দেশ্যর থেকেও বেশি কাজ করেছে। ফলে সূর্যোদয়ের পর তারা জেগে না উঠলেও তাতে তাঁরা দুঃখিত নয়।
চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য ও সূর্যযান পাঠানোর পর থেমে নেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এবারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পৃথিবীর পড়শি গ্রহ মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর জন্য। সূত্রের খবর, প্রায় ৯ বছর পর ফের লাল গ্রহে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো (ISRO)। মঙ্গলে পাঠানোর জন্য দ্বিতীয় যে মহাকাশযান প্রস্তুত করা হচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2)। মঙ্গলে মঙ্গলযান ২ পাঠানোর প্রস্ততি শুরু হয়েছে জোরকদমে, এমনটাই সূত্রের খবর।
'মঙ্গলযান-২'-এর পরিচিত নাম 'মার্স অরবিটর মিশন-২'। সূত্রের খবর, একাধিক উদ্দেশ্য নিয়ে মঙ্গলে পাঠানো হবে মঙ্গলযান। মঙ্গলযানের সঙ্গে লাগানো থাকবে আরও চারটি পেলোড, যেগুলি মঙ্গল গ্রহের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই পেলোডগুলি পরীক্ষা করে দেখবে লাল গ্রহের আবহাওয়া, মাটির ধুলো।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলযান ২-এর মার্স অরবিট ডাস্ট এক্সপেরিমেন্ট (মডেক্স) নামের প্রথম পেলোডটি মঙ্গলের মাটি থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ধুলোর উৎপত্তি, ঘনত্ব, গতিবিধি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। বায়ুমণ্ডলে ইলেকট্রন, নিউট্রনের ঘনত্ব পরিমাপ, বায়ুমণ্ডলের সার্বিক চরিত্র বিশ্লেষণ করবে দ্বিতীয় পেলোডটি, যার নাম রেডিয়ো অকালটেশন (আরও)। তৃতীয় পেলোড এনার্জেটিক আয়ন স্পেকটোমিটার (ইআইএস) মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে সৌরশক্তি কণা এবং সুপার থার্মাল সৌরবায়ু কণা চিহ্নিত করার জন্য তৈরি করা হবে। আর চতুর্থ পেলোডটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্লাজমার পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবে। এর মাধ্যমে ইলেকট্রনের ঘনত্ব, ইলেকট্রনের তাপমাত্রা পরিমাপ করা যাবে। এই পেলোডের নাম ল্যাংমিওর প্রোব অ্যান্ড ইলেকট্রিক ফিল্ড এক্সপেরিমেন্ট (এলপেক্স)।
গত ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর (ISRO) আদিত্য এল১ (Aditya L1)। উৎক্ষেপণ হওয়ার পর এটি প্রায় এক মাস ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরেছে। মোট পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তন করেছে এটি। অবশেষে পৃথিবীর টান কাটিয়ে ছুটে চলেছে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১-এর দিকে। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছাড়িয়ে সূর্যের দিকে আরও এগিয়ে চলেছে।
Aditya-L1 Mission:
— ISRO (@isro) September 30, 2023
🔸The spacecraft has travelled beyond a distance of 9.2 lakh kilometres from Earth, successfully escaping the sphere of Earth's influence. It is now navigating its path towards the Sun-Earth Lagrange Point 1 (L1).
🔸This is the second time in succession that…
৩০ সেপ্টেম্বর, ইসরো এক্স অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর আদিত্য এল১ উৎক্ষেপণের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৯.২ কিমি পথ অতিক্রম করেছে মহাকাশযানটি। তবে এখনও বাকি রয়েছে অনেকটা পথ। তবে চন্দ্রযান ৩-এর মত এটিও সফল হবে সূর্যের দেশে পাড়ি দিতে, এমনটাই ধারণা বিজ্ঞানীদের। আদিত্য এল-১ -এর যাত্রাপথ এখন পর্যন্ত মসৃণ, ফলে খুব সহজেই এগিয়ে চলেছে নিজের গন্তব্যে। ফলে ক্রমশ খুশির খবর পেয়েই চলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তবে আদিত্য এল-১ কবে পৌঁছবে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট-১-এ ও কী কী তথ্য দেবে সূর্যকে নিয়ে তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।
চাঁদের সূর্যোদয়ের পরও ঘুমিয়ে রয়েছে চন্দ্রযান৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Pragyan)। বর্তমানে এগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকলেও আশাবাদী ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। খোদ ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছে, তারা যে কোনও সময় জেগে উঠতে পারে। কিন্তু এসবের মাঝেই এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞান স্পষ্টভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি ইসরোর লোগো ও অশোকস্তম্ভের চিহ্ন। তবে এতে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এক নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
রোভার প্রজ্ঞানের চাকায় লাগানো ছিল ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভ ও ইসরোর লোগো। নির্ধারিত ছিল যে, চাঁদে পৌঁছেই মাটিতে ছাপ ফেলবে প্রজ্ঞান। কিন্তু ইসরো সূত্রে খবর, ইসরোর লোগো ও অশোকস্তম্ভের ছাপ স্পষ্টভাবে পড়েনি চাঁদের মাটিতে। তবে এতে নিরাশ নন বিজ্ঞানীরা। এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চাঁদের মাটি ধুলো-বালির তৈরি শক্ত না, এটি নরম ধরনের। কোনও গলিত উপাদানের তৈরি। তার মানে চাঁদে কিছু উপাদান মাটিকে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু কী সেই উপাদান যা মাটিকে বেঁধে রেখেছে, তা গবেষণা করতে হবে।
ইসরো সূত্রে খবর, এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, চাঁদেও থাকতে পারে জল। এছাড়াও ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির নির্দেশক অনিল ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, 'আমরা খুব স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, রোভারের চলাচলের কারণে চাঁদের পৃষ্ঠে গর্ত তৈরি হচ্ছে। ল্যান্ডিং সাইট এবং রোভার চলাচলের স্থানের চারপাশে তোলা ফটোগুলি দেখায় যে রোভারের চলাচলের কারণে সৃষ্ট গর্তগুলি প্রায় এক সেন্টিমিটার গভীর। ল্যান্ডারের পা চন্দ্রপৃষ্ঠে বসে যাচ্ছে। যা নির্দেশ করে সেখানকার মাটি আলগা রয়েছে। আমরা যত গভীরে যাব, মাটি তত ঘন হবে।'
চাঁদে সূর্যোদয় হওয়ার তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে, তবুও সাড়া পাওয়া যায়নি 'বিক্রম' (Vikram) ও 'প্রজ্ঞান'-এর (Pragyan)। তবে হার ছাড়েনি ইসরোর বিজ্ঞানীরৈ। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ও রোভার। আর কতদিন অপেক্ষা করা হবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান-এর উত্তর পাওয়ার, এবারে সে বিষয়েই বিস্তারিত জানালেন ইসরো (ISRO) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath)।
আশা করা হয়েছিল, চাঁদের ভোর হতেই ফের জাগিয়ে তোলা হবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে। কিন্তু তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও সাড়া দেয়নি। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চাঁদের পরবর্তী রাত হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। সুতরাং তাঁরা এক চন্দ্রদিন অর্থাৎ ১৪ দিন ধরে বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা জারি থাকবে।
ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, 'ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে কখন যোগাযোগ করা যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। জানি না, ওরা কখন জেগে উঠবে। হয়তো আগামী কালও জেগে উঠতে পারে। আবার দেখা গেল, চাঁদে আঁধার নামার আগের দিনও ওরা সাড়া দিল। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি ল্যান্ডার এবং রোভারকে জাগিয়ে তুলতে পারি, তা হলে এটাও হবে আমাদের বড় সাফল্য।'
টানা ১৪ দিন পর চাঁদের দেশে এসে পৌঁছেছে সূর্যের আলো। ঠিক ছিল, চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছনোর পর থেকেই 'বিক্রম' (Vikram) ও 'প্রজ্ঞান' (Pragyan)-কে ফের জাগিয়ে তোলা র চেষ্টা করা হবে। কিন্তু টানা ১৪ দিন পর পৃথিবীর ডাকে সাড়া দিল না চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ও রোভার 'বিক্রম' ও 'প্রজ্ঞান'। এমনটাই জানানো হয়েছে ইসরোর (ISRO) তরফে। কিন্তু এখনই সাড়া না দিলেও হার মানছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে ইসরো, 'বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল এসে পৌঁছয়নি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা জারি থাকবে।' প্রসঙ্গত, চাঁদে চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিং-এর পর, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে একটি পূর্ণ দিন কাটিয়েছে। এই সময়ে, বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সঙ্গে থাকা পেলোডটি চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইসরোর কাছে পাঠিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। এখন আবার বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া না মিললেও শনিবার তাদের কাছে সিগন্যাল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
ইসরো আরও বলছে, যদি ফের সক্রিয় না হয় রোভার ও ল্যান্ডার, তাহলে চিরকাল ভারতের দূত হিসেবে চাঁদের মাটিতেই থেকে যাবে বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার প্রজ্ঞান।
প্রায় ১৫ দিন পর চাঁদের (Moon) দেশে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করবে। ইসরো (ISRO) তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ২২ সেপ্টেম্বর ফের সূর্যের আলো এসে পৌঁছবে চাঁদের দেশে। ফলে এবারে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ও রোভারের জেগে ওঠার সময়। তবে আদৌ বিক্রম ও প্রজ্ঞান জেগে উঠবে কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবে আশা হারাচ্ছেন না ইসরো বিজ্ঞানীরা, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। আরও জানানো হয়েছে, যদি প্রজ্ঞান ও বিক্রম ফের জেগে উঠতে পারে তবে তাদের দিয়ে আরও ১৪ দিন কাজ করানো যাবে।
জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর 'শিবশক্তি পয়েন্টে' সূর্যের আলো পৌঁছতে শুরু করবে। ইসরো সূত্রে খবর, ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞানীরা 'প্রজ্ঞান' ও 'বিক্রম'-এর সঙ্গে ফের যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে। প্রায় অর্ধেক মাস চাঁদের এই জায়গায় সূর্যের আলো পৌঁছতে পারেনি। তাই এখানকার তাপমাত্রা প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গিয়েছে। তাই সেই পরিস্থিতি থেকে ল্যান্ডার ও রোভার জেগে উঠতে পারবে কিনা, তাই নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা। ফলে তাঁরা এখন বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ব্যাটারি চার্জ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। সূর্যের আলো পৌঁছনোর পরই চার্জিং শুরু হবে ও তার পরই এগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন ইসরো বিজ্ঞানীরা। প্রজ্ঞান ও বিক্রম-এর ফের জেগে উঠবে, এই নিয়েই আশাবাদী তাঁরা।
যে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) সফল হওয়ার জন্য দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বিশ্বদরবারে, সেই মহাকাশযান তৈরির পিছনে এক ইঞ্জিনিয়ারকে নাকি এখন দিন কাটাতে হচ্ছে রাস্তায় ইডলি, ধোসা বিক্রি করে। প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি বেতন পাননি বলে দাবি এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার। চন্দ্রযান ৩-এর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির পিছনে তাঁর হাত রয়েছে বলে খবর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করার পরও এমন কেন হাল ইঞ্জিনিয়ারদের, তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় মঙ্গলবার থেকে। কিন্তু কতটা সত্যি এই খবর, এই নিয়েই এবারে শুরু জল্পনা। মঙ্গলবার এই খবর ছড়িয়ে পরার পরই পিআইবি থেকে এই খবরকে 'ভুয়ো' বলে দাবি করা হচ্ছে।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার খবরে আসে, চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চপ্যাড তৈরি করেছেন এইইসি-এর ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার উপারারিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের লঞ্চপ্যাড তৈরিতে যুক্ত ছিলেন দীপক কুমার উপরারিয়া (Deepak Kumar Uprariya)। হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HEC)-তে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির রাস্তায় তাঁকে ঠেলাগাড়িতে ইডলি বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। ধুরওয়া এলাকায় পুরনো বিধানসভা ভবনের ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায় ইডলি বিক্রি করেন তিনি। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে ইডলি বিক্রি করেন ও অফিস থেকে ফিরেও আবার দোকানে যান। আর এতেই চলছে সংসার। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছে, দীপকের মতো আরও প্রায় ২৮০০ জন ইঞ্জিনিয়ার এইচইসি থেকে প্রায় ১৮ মাস ধরে বেতন পাননি।
কিন্তু এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, সঙ্গে দেওয়া হয় 'প্রমাণ'। পিআইবি-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারদের পারিশ্রমিক না পাওয়ার তথ্য় একেবারেই 'ভুয়ো'। আবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র অ্যাডভাইজার কাঞ্চন গুপ্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি চন্দ্রযান ৩-এর কোনও যন্ত্রপাতি তৈরির নেপথ্যে এইচইসি ছিলই না। এইচইসি থেকে শুধুমাত্র পরিকাঠামোর জন্য কিছু সামগ্রী নেওয়া হয়েছিল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোথায়, কী প্রযুক্তি বসবে, তা খতিয়ে দেখল ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার যাদপুরে গিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা শুধু মাত্র ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। এদিন ইসরো প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হস্টেল। গত ৯ অগস্ট এই হস্টেলেই মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-সহ রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরেই অস্থায়ী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ।
ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষেই তিনি সওয়াল করেছেন। কোন কোন প্রযুক্তি যাদবপুরের কোথায় বসবে, সে বিষয়ে ইসরো কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইসরোর প্রযুক্তিকে ব্যবহারের কথা প্রথমবার বলেছিলেন আচার্য এবং রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। তাঁদের ১৪ দিনের জন্য কাজ করতে পাঠানো হয়েছে চাঁদে। কারণ এর পরই চাঁদে নেমে এসেছে আঁধার অর্থাৎ চাঁদের এখন রাত চলছে। ফলে চাঁদে রাত নামার আগেই বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে 'স্লিপ মোডে' পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা ঘুমনোর আগে পর্যন্ত অনবরত করে চলেছে কাজ। তারই প্রমাণ একটি ছবি, যা ইতিমধ্যে শেয়ার করেছে ইসরো।
জানা গিয়েছে, ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর ছবিটি 'প্রজ্ঞান' ৩০ অগাস্ট তুলেছিল। তবে এটা ইসরো তার এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে ৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। তবে প্রজ্ঞানের তোলা এই ছবিতে এক বিশেষত্ব রয়েছে। ইসরো সূত্রে খবর, 'বিক্রম' ও চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবিটি অ্যানাগ্লিফ (Anaglyph)। আসলে এটি একটি থ্রি ডি ছবি। এই ছবিতে চন্দ্রপৃষ্ঠের রং ধূসরের পরিবর্তে কিছুটা সবুজ ও লালচে রং-এর দেখাচ্ছে। তবে খালি চোখে এই থ্রি ডি ছবি ঠিকমতো বোঝা যাবে না। এর জন্য রেড অ্যান্ড সায়াল গ্লাসের প্রয়োজন। আরও জানানো হয়েছে, এমন ধরনের ছবি ন্যাভক্যাম স্টিরিও ইমেজ-এর মাধ্যমে (NavCam Stereo Images) তোলা হয়েছে।
চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan) ১৪ দিনের জন্য রয়েছে 'ঘুমের দেশে'। তবে অন্যদিকে, সৌরযান আদিত্য এল-১ তাঁর গন্তব্যের পথে ছুটে চলেছে। ইসরো (ISRO) তরফে মঙ্গলবার মধ্যরাতে জানানো হয়েছে, সৌরযান পৃথিবীর প্রথম কক্ষপথ ঘোরা সম্পূর্ণ করে দ্বিতীয় কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত আদিত্য এল-১-এর (Aditya L1) রাস্তা মসৃণ রয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরো তার এক্স অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আদিত্য এল-১ সফলভাবে পৃথিবীর দ্বিতীয় কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। বেঙ্গালুরু ও পোর্ট ব্লেয়ারে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকেই সৌরযানটিকে পরিচালিত করা হচ্ছে। বর্তমানে নতুন ২৮২ X ৪০২২৫ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে আদিত্য এল-১।
এর পর আরও জানানো হয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাত ২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ফের কক্ষপথ পরিবর্তন করবে ও তৃতীয় কক্ষপথে প্রবেশ করবে আদিত্য এল-১। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর প্রথম কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তন করেছে আদিত্য এল-১। জানা গিয়েছে, পৃথিবীর মোট পাঁচটি কক্ষপথ বদল করবে সৌরযানটি। পঞ্চম বার কক্ষপথ পরিবর্তন করার পরই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে বেরিয়ে যাবে আদিত্য এল-১। আর এতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ দিন। এর পর তার লক্ষ্য হবে সূর্যের কাছে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট বা এল১ পয়েন্ট। এটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরের একটি 'হ্যালো' পয়েন্ট। সেই গন্তব্যে দাঁড়িয়েই সূর্যকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে ভারতের প্রথম সৌরযান।
কিছুক্ষণ আগেই ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছিল, বিক্রম (Vikram) হঠাৎ চাঁদের বুকে লাফিয়ে উঠেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ সেমি উপরে উঠে গিয়েছিল। আসলে ইসরোর বিজ্ঞানীরাই বিক্রমকে উড়িয়ে দেখেছে এটা ফের উড়তে সক্ষম কিনা। আর সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তাই বলা হচ্ছে যে, ল্যান্ডার বিক্রম ফের চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে। আর এবারে ল্য়ান্ড করানো হয়েছে আগের জায়গা থেকে ৩০-৪০ সেমি দূরে। সেই দৃশ্যও ইসরোর তরফে শেয়ার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ফের খবরে এসেছে, প্রজ্ঞানের সঙ্গেই ঘুমের ঘোরে চলে গেল ল্যান্ডার 'বিক্রম'ও। স্লিপ মোডে পাঠানো হল ল্যান্ডার বিক্রমকে। যেহেতু চাঁদে রাত নামছে, তাই আবহাওয়ার সঙ্গে যুঝতে ইসরোর এই সিদ্ধান্ত। আবার ২২ সেপ্টেম্বর চার্জড আপ হয়ে জেগে ওঠার কথা 'বিক্রম'-'প্রজ্ঞান'-এর।
ইসরো সূত্রে খবর, ল্যান্ডারের সঙ্গে একটি hop experiment করেছে বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এতদিন ভাবা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কাজকর্ম সেরে চাঁদের মাটিতেই চিরস্থায়ী বাসা বাঁধতে হবে ল্যান্ডারকে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, এটা হয়তো ফের ফিরে আসতে পারে। একটি ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করে ইসরো লিখেছে, 'চাঁদে আবার সফট ল্যান্ডিং করেছে বিক্রম ল্যান্ডার। প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত কাজ করেছে বিক্রম। চাঁদে লাফও দিয়েছে ল্যান্ডার। ইসরোর পাঠানো কমান্ড মেনেই প্রায় ৪০ সেমি লাফ দিয়েছে বিক্রম। তারপর ৩০-৪০ সেমি দূরে গিয়ে ফের ল্যান্ড করেছে। পুরো কাজটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর সব কাজকর্মের পর বিক্রম এখন একদম ঠিক রয়েছে।' ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে কীভাবে এই হপ পরীক্ষায় চন্দ্রপৃষ্ঠ কীভাবে ধুলোঝড়ে ভরে গিয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, এই হঠাৎ লাফে আগামী দিনেও বিক্রম থেকে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই পরীক্ষা মানুষের চন্দ্রাভিযানে কাজে লাগবে। চাঁদের বুক থেকে একটু ওপরে তোলার সময় ChaSTE, ILSA - এই দুই পেলোডকেও গুটিয়ে নেওয়া হয়। এক্সপেরিমেন্ট হয়ে যাওয়ার পর আবারও এগুলিকে সচল করা হয়েছে।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) September 4, 2023
Vikram Lander is set into sleep mode around 08:00 Hrs. IST today.
Prior to that, in-situ experiments by ChaSTE, RAMBHA-LP and ILSA payloads are performed at the new location. The data collected is received at the Earth.
Payloads are now switched off.… pic.twitter.com/vwOWLcbm6P
ইসরো সূত্রে খবর, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদে নামছে রাত, তাই তার আগে বিক্রমকে আগেভাগেই ঘুমের দেশে পাঠানো হল। তাকে জাগানোর কাজও আগেভাগে সেরে ফেললেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ফলে চাঁদের রাত শেষ হওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ফের জেগে ওঠার আশায় সারা দেশবাসী।
২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে পা রেখেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3), এর পর ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে আদিত্য এল-১। কিন্তু উচ্ছ্বাসের মাঝেই এল দুঃখের খবর। জানা গিয়েছে, শনিবার প্রয়াত হলেন ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী এন ভালারমতি (N Valarmathi)। ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩ -এর পিছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ৩-এর কাউন্টডাউনের সময় নেপথ্যে যাঁর গলা ছিল তিনি আর কেউ নন, এন ভালারমতিই ছিলেন।
সূত্রের খবর, গত শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভালারমতি। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র চন্দ্রযান ৩-এর কাউন্টডাউনের ঘোষিকা হিসাবেই ছিলেন না। ইসরো থেকে উৎক্ষেপণ করা প্রায় সমস্ত রকেটের উৎক্ষেপণের আগের কাউন্টডাউন তাঁর কন্ঠেই শোনা যেত। এছাড়াও চাঁদের বুকে অবতরণ করেছে, এসমস্ত কিছুর নেপথ্যে কন্ঠ ছিল তাঁরই। চন্দ্রযান ৩ তাঁর শেষ কাজ ছিল।
এন ভালারমতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কিটাকৃষ্ণন তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরোর উৎক্ষেপণ করা রকেটের কাউন্টডাউনের সময় তাঁর ভালারমতি ম্যাডামের কন্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত।' ফলে তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বৈজ্ঞানিক মহল।
The voice of Valarmathi Madam will not be there for the countdowns of future missions of ISRO from Sriharikotta. Chandrayan 3 was her final countdown announcement. An unexpected demise . Feel so sad.Pranams! pic.twitter.com/T9cMQkLU6J
— Dr. P V Venkitakrishnan (@DrPVVenkitakri1) September 3, 2023
অবশেষে 'নিদ্রা'য় গিয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। শনিবার রাতে ইসরো (ISRO) থেকে এক্স-এ জানানো হয়েছে, রোভার প্রজ্ঞান তার কাজ সম্পন্ন করেছে ও এটিকে ঠিকমতো পার্ক করা হয়েছে। ফলে এখন এটাকে 'স্লিপ মোডে' রাখা হয়েছে। ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে চন্দ্রযান ৩ পা রেখে এক ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এরপর ১৪ দিনের জন্য কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে। ইসরো তরফে তাই জানানো হয়েছে, স্লিপ মোডের আগে রোভার তার কাজ সম্পন্ন করেছে। তবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, চাঁদের অন্ধকার চলে গেলে ফের কি জেগে উঠবে প্রজ্ঞান?
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) September 2, 2023
The Rover completed its assignments.
It is now safely parked and set into Sleep mode.
APXS and LIBS payloads are turned off.
Data from these payloads is transmitted to the Earth via the Lander.
Currently, the battery is fully charged.
The solar panel is…
শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ টুইট করে ইসরো জানায়, ১০ দিনেই কাজ সম্পন্ন করেছে প্রজ্ঞান। তাই তাকে এখন নিরাপদ স্থানে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, তার দুটো পেলোড এপিএক্সএস ও এলআইবিএস-কেও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এই পেলোডে সংগৃহীত তথ্য ল্যান্ডার বিক্রম-এর মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলেও এতে সম্পূর্ণ চার্জ রয়েছে। এর সোলার প্যানেল গুলোকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, চাঁদে আবার সূর্যের আলো পড়লে তা যেন প্যানেলে পড়ে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২২ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে দিন অর্থাৎ সূর্যের আলো পড়বে। তারপরই জেগে উঠতে পারে 'প্রজ্ঞান'।
তবে এও জানানো হয়েছে, যদি প্রজ্ঞান তার 'ঘুম' থেকে জেগে উঠতে না পারে তবে তা সারাজীবনের মত ভারতের চাঁদ 'অ্যাম্বাসেডর' হয়ে থেকে যাবে। আর এক ইতিহাস হওয়ার সাক্ষ্য প্রমাণ করে চলবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। ফলে সারা দেশবাসী এখন প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার অপেক্ষায়। কারণ এটা জেগে উঠলেই আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ভারতের প্রথম সৌর অভিযান সফল হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম হতেই ইসরোকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দু'সপ্তাহের মধ্যেই ইসরোর দ্বিতীয় সফল উৎক্ষপণের ফলে আপ্লুত মোদী। ২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল ১। ফলে এই সফল উৎক্ষেপণে বেজায় খুশি পুরো দেশবাসী।
প্রথমে চাঁদকে হাতের মুঠোয় করেছে ভারত, আর এবারে সূর্যকে হাতের মুঠোয় করার পালা। ফলে একের পর এক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশের প্রধানমন্ত্রী। ফলে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে না রাখতে পেরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণায় ফের কামাল করল ভারত। আমাদের সমস্ত বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ইসরোর সকল ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা জানাই। আদিত্য এল-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে। মহাকাশকে আরও কাছ থেকে বোঝার এবং মানব সভ্যতার উন্নতিতে এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা আরও সাফল্য এনে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।'
আবার এদিন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থাকে তাঁদের সাফল্যের জন্য় অভিবাদন জানান। তিনিও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একই পোস্টে কুর্নিশ জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
Time and again our scientists have proved their might and brilliance. The nation is proud and delighted over the successful launch of Aditya L1, India's first solar mission.
— Amit Shah (@AmitShah) September 2, 2023
Kudos to the team @isro for this unparalleled accomplishment. It is a giant stride towards fulfilling PM… pic.twitter.com/XEacBvLxoj