আদিবাসী ব্যক্তির পর এবার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নির্বীজকরণের অভিযোগ। নির্বীজকরণের অভিযোগ বারংবার উঠে আসছে নদিয়ার ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্বীজকরণ নিয়ে প্রথমে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক মাধব রায়। অভিযোগ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই মাধব রায়কে প্রথমে করোনা ভ্যাকসিনের নাম করে হাসপাতালে নিয়ে এসে নির্বীজকরণ করানো হয়।পরবর্তীতে আবারও সেই নির্বীজকরণ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিপুর থানায়।
অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি খোকন দেবনাথকে (৬২) নির্বীজকরণ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, খোকন দেবনাথ বিবাহিত হলেও তাঁর কোনও সন্তান হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও তাঁকে ভুল বুঝিয়ে নির্বীজকরণ বা এনএসভি করানো হয় বলে অভিযোগ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার সমস্ত পুরুষ।
তবে নির্বীজকরণ বা এনএসভি-এর ক্ষেত্রে সরকারি একটি অনুদান হিসেবে তিন ধাপে টাকা পাওয়া যায়। প্রথমত, নির্বীজকরণের ক্ষেত্রে যে আশাকর্মী রোগীকে নিয়ে আসবে সেই আশা কর্মী একটি টাকা পাবে। দ্বিতীয়ত, যিনি এনএসভি করবেন বা যাকে করানো হবে সেও একটি টাকা পাবে। অন্যদিকে, যে চিকিৎসক এই অপারেশন করবেন তিনিও টাকা পাবেন। সেক্ষেত্রে ফুলিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাদেরকে এনএসভি বা নির্বীজকরণ করানো হয়েছে তাঁরা কেউই টাকা পায়নি। যার কারণে অনুমান করা যাচ্ছে হাসাপাতালের ভিতরেও চলছে দুর্নীতি।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কখনো দরিদ্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ আবার কখনো বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের নিয়ে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে কিংবা বোকা বানিয়ে করানো হচ্ছে নির্বীজকরণ বা এনএসভি। বারংবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও উদাসীন প্রশাসন। নির্বীজকরণের অভিযোগ ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের সামনে সামিল হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।
ডাক্তার দেখাতে এসে রোগী নিখোঁজ এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM)। জানা গিয়েছে, ইসিজি রুম থেকেই নিখোঁজ সত্তরোর্ধ্ব ওই রোগী। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ বৃদ্ধ রোগী। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের ৭০ বছর বয়সী কুদ্দুস শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ, নওদাপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। বুধবার, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে তিনি আসেন এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে ১১ টার মধ্যে নাগাদ কার্ডিওলজি বিভাগে ডাক্তার দেখান কুদ্দুস শেখ। এরপরই দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে ওই হাসপাতালের ইসিজি রুমে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়স্বজন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভদ্রেশ্বর চন্দননগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রবীন সিং (১৯)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর বাবুবাজার এলাকায়। পেটে সংক্রমন হওয়ায় গত ১২ নভেম্বর ভর্তি হয় গৌরহাটি ই এস আই হাসপাতালে। এরপর গৌরহাটি থেকে বজবজ জগন্নাথ মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তারপর ১৯ তারিখ সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়। অবজারভেশনের জন্য আবার গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত আটটা নাগাদ গৌরহাটিতে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এরপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবকের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর অবস্থা খারাপ। হাসপাতালে এলে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে রবীন।
হাসপাতালের এইচ ডি ইউ-২ বেডে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। সেই বেডের পর্দা টাঙানোর অ্যালুমিয়ান বারে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি কর্তব্যরত নার্স ও হাসপাতাল কর্মীদের। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর জন্য আয়া রাখা ছিল, তা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল..? এমনকি এইচ ডি ইউ এর ভিতর যেখানে স্পেশাল কেয়ার থাকে সেখানে একজন রোগী কি করে আত্মহত্যা করল তা নিয়ে হাসপাতালের নজরদারির উপর উঠছে নানা প্রশ্ন।হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি মৃতের পরিবারের।
উৎসবের মরশুমে শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। এবারে আগুন লাগল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের একটি ল্যাবরেটরিতে বিকেল সাড়ে ৫:৩০ টা নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১ নম্বর গেটের কাছে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের চারতলায় এইচআইভি চিকিৎসার আউটডোরে আগুন দেখা যায়। আগুন লাগার পরই ফায়ার অ্যালার্ম বাজে ও তারপরই আগুন লাগার কথা জানতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। হতাহতের কোনও খবর নেই এবং যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই সময় সেই বিভাগে কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে আগুন লেগেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে।
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগে থাকতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুন লাগার পর হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। তবে কীভাবে লাগল এই আগুন, তার তদন্তে কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
কালীপুজোর রাতে খোদ হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। অভিযোগ একদল জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালের।
অভিযোগ, রাত ১০টার কিছু পরে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাল্টা দাবি, হাসপাতালে বাজি নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। এমনকী, তাঁরা শব্দ বাজি নয়, ফাটিয়েছেন সবুজ বাজি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাসপাতালের লেডি ডক্টর্স হস্টেলের সামনে শব্দবাজি ফাটাতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। পরে জানা যায়, তাঁরা এই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে বাজির প্যাকেটও। যদিও এইগুলিকে সবুজ বাজি বলেই পাল্টা দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনার পর তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে বাজি ফাটানো যে নিষিদ্ধ, তা তাঁরা জানতেন না। হাসপাতালের মধ্যে কারা বাজি ফাটিয়েছেন, সেই ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএসের সুপার ইন্দিরা দের বক্তব্য, এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানাবেন।
হাসপাতাল থেকে পলাতক বিচারাধীন বন্দি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে আরজি কর হাসপাতাল থেকে পলাতক হয় ওই বন্দি। যদিও পুলিসের দাবি, মঙ্গলবার নয়, বরং আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল সাড়ে আট'টা থেকে নিখোঁজ হয় ওই বন্দি। জানা গিয়েছে চিকিৎসার জন্য ওই বন্দিকে আরজিকর হাসপাতালে আনা হয়। আর সেই সুযোগেই সেখান থেকেই কোনও ভাবে পলাতক হয় ওই বন্দি। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক ওই বন্দির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগে জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আসামি মহম্মদ সাজিদ। এর পর তাঁকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল বছর ৩৫-এর মহম্মদ সাজিদ। আর সেই সুযোগেই নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে কার্যত পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দিল বন্দি। তার খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
এই ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে। ইতিমধ্যে পুলিসের তরফ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দিকে দ্রুত খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন পুলিস আধিকারিকরা।
কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কবি তথা পরিচালক শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন কবি, ডাক্তার পরীক্ষা করতে বলেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রবল জ্বর তাঁর, কিছুতেই আয়ত্তে আসছিল না। রিপোর্ট পজেটিভ আসতেই আর ফেলে রাখা হয়নি তাঁকে,তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষনে থাকবেন শ্রীজাত। এর আগে রুবেল, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যায়।
সোমবার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেরে নিজে পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে আসেন ইডির অধিকর্তাদের সঙ্গে। এরপর তাকে নিয়ে আসা হয় ইডির হেফাজতে। ইডির হেফাজতে বালুর প্রথম রাত কাটে মাটিতে শুয়েই। রাতে যদিও বাড়ির খাবার খান তিনি।
সূত্রের খবর, রাতের দিকে বালুর ঘুম আসেনি বলেই খবর। রাতভর ওই ঘরে হাঁটাচলা করেছেন তিনি। ভোরের দিকে ঘুমোন বলে খবর। মঙ্গলবার সকাল সকালই উঠে পড়েন বালু। সকাল ৮টা নাগাদ খালি পেটে তিন ধরনের ওষুধ খান। এরপর চিনি ছাড়া লিকার চা, সঙ্গে সুগার ফ্রি বিস্কুট ও পাউরুটি খান। আজ থেকেই ইডি জেরা শুরু করবে মন্ত্রীকে।
সোমবার বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রাত ১০টা ৭ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এর পরপরই ইডি দফতরে এসে হাজির হন বালুর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।
ইডির হাতে গ্রেফতার হবার পর আদালতে ইডির হেফাজতের নির্দেশ শুনেই জ্ঞান হারান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর থেকেই বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। এরপর ৩দিন চিকিয়সার পর সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। সোমবার রাত ৯টা ৫৮ নাগাদ বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতাল থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হেঁটে বাইরে বেরিয়ে এলেন।
এরপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। আদালতের নির্দেশে এবার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ১০ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু হল।
উল্লেখ্য, সোমবার দিনভর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নানা ধরনের পরীক্ষা করা হয়। শল্যচিকিৎসক থেকে শুরু করে মনোবিদ-সহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর পরীক্ষা করেন। এরপরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী হিনা খান (Hina Khan)। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসপাতাল থেকে ছবি শেয়ার করতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। কী হল তাঁর, এই নিয়েই একাধিক প্রশ্ন জাগে নেটিজেনদের মনে। শুক্রবার তাঁর সেই ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছিলেন হিনা।
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি হিনা খান। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। যেখানে হাসপাতালে রোগীর পোশাকে দেখা গেল তাঁকে। হাতে স্যালাইনের ব্যান্ডেজ। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও হিনার চোখেমুখে কিন্তু অসুস্থতার ছাপ দেখা গেলেও ছবিটি হাসিমুখেই তুলেছেন তিনি। তাছাড়া অসুস্থ থাকার সত্ত্বেও যে তিনি ভালো থাকার চেষ্টা করছেন তা তাঁর ক্যাপশনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন হিনা খান। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, 'কিছু যায় আসে না, আপনি কোথায় আছেন কিংবা আপনার মানসিক পরিস্থিতি কীরকম? তবে সামনে আয়না পেলে, একটা মিরর সেলফি তোলার সুযোগ ছাড়বেন না!' বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী হয়েছিল তাঁর, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
শুক্রবার আদালতে শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পরিবারের অনুরোধে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসদের পরামর্শে শনিবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে থাকবে ইডির নজরদারিও।
এদিকে শুক্রবারই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করে ইডি। শুক্রবার আদালত চত্বরে শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিচারক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ১০ দিনের ইডি হেফাজত দেয়। ইডি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোয়, আদালত জানায়, ছুটি পাওয়ার পরই তাঁর হেফাজতের দিন শুরু হবে। তবে ইডি কর্তারা হাসপাতালে নজরদারি করতে পারবেন।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দেড়ের (Nanded) হাসপাতালে (Hospital) ৪৮ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা দেশজুড়ে। অভিযোগ উঠেছিল, ওষুধের ঘাটতি, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবের কারণেই হাসপাতালের এই পরিস্থিতি। এবারে এই হাসপাতালেরই আরও মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের হাসপাতালে গত ৮ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অন্যদিকে হাসপাতালে ওষুধের জোগান নেই, এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ হাসাপাতালের ডিন।
হাসপাতালে একের পর এক মৃত্যুতে এবারে মুখ খুললেন হাসপাতালের ডিন শ্যাম ওয়াকোড়ে। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার শংকররাও চভন সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুদিন আগেই সরব হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রেপ বিজেপি সাংসদও। এমনকি সেখানে গিয়ে ডিনকে দিয়ে শৌচালয়ও পরিষ্কার করান। কিন্তু এবারে ডিন শ্যাম ওয়াকোড়ে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হাসপাতালে ওষুধের জোগান পর্যাপ্ত রয়েছে। কোনও কমতি নেই তাতে। যেসব শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, তারা জন্মগত সমস্যা নিয়ে জন্মেছিল। তাই তাদের মৃত্য হয়েছে। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের যাঁদের মৃত্যু হয়েছ, তাঁদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু ওষুধের অভাবের জন্য কেউ মারা যাননি বলে দাবি ডিন শ্যাম ওয়াকোড়ের।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শেহনাজ গিল (Shehnaaz Gill) অভিনীত সিনেমা, 'থ্যাঙ্ক ইউ ফর কামিং'। সিনেমায় ভূমি পেদনেকারের পাশে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমায় দেখা যাবে শেহনাজকে। সেই সিনেমাটির জন্য এতদিন জমিয়ে প্রচার করেছেন শেহনাজ। কিন্তু এই প্রচারে যাওয়ায় কাল হল অভিনেত্রীর জন্য। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। বাড়াবাড়ি এতটাই যে তাঁকে একেবারে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল।
হাসপাতালে ভর্তি হয়েও চুপ করে বসে নেই শেহনাজ। সামাজিক মাধ্যমে লাইভ এসেছিলেন অভিনেত্রী। ভক্তদের অভিনেত্রী বলেছেন, 'দেখ সবার দিন আসে, সবার দিন যায়। আমার সঙ্গেও তাই হয়েছে। কিছুদিন পরে আবারও তাই হবে। আমি এখন ভালো আছি। আমার ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। আমি স্যান্ডউইচ খেয়ে নিয়েছিলাম। আমার খাবার থেকেই ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল।
অভিনেত্রীর অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন তাঁর ভক্তরা। নেটিজেনদের খুব পছন্দের শেহনাজ গিল। অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে 'কিসি কা ভাই কিসি কি জান' সিনেমায় ডেবিউ করেছিলেন শেহনাজ। সম্প্রতি তাঁর সিনেমা 'থ্যাঙ্ক ইউ ফর কামিং' মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটিতে প্রশংসা পেয়েছেন শেহনাজের অভিনয়।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দেরের সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব, এমনটাই অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। ফলে নান্দেরের এই অবস্থায় হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হেমন্ত পাটিল (Hemant Patil)। শুধু তাই নয়, সেখানে গিয়ে হাসপাতালের ডিনকে দিয়েই হাসপাতালের শৌচালয় পরিষ্কার করান তিনি। সেই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, হাতে ঝাড়ু নিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করছেন হাসপাতালের ডিন।
মহারাষ্ট্রের নান্দেরের সরকারি হাসপাতালে একের পর এক মৃত্যু ঘটেই চলেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রের এই হাসপাতালে মঙ্গলবার পৌঁছে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হেমন্ত পাটিল। হাসপাতাল ঘুরে দেখার পর শৌচালয় দেখতে গিয়েই আকাশ থেকে পড়েন তিনি। তিনি দেখেন, হাসপাতালের শৌচালয় অত্যন্ত অপরিষ্কার। এর পরই তিনি ডিনকে ডেকে পাঠান ও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ডিনকে দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করান। ঝাঁটা হাতে নিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করেন তিনি। ডিন যখন শৌচালয় পরিষ্কার করছিলেন, তখন হাসপাতালের অন্য কর্মী এবং আধিকারিকরা এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।
আরও জানা গিয়েছে, হেমন্ত পাটিল যখন হাসপাতাল পরিদর্শন করছিলেন, তখন তিনি দেখেন মহিলাদের শৌচালয়ের সামনে মদের বোতল ছড়ানো, শিশুদের শৌচালয়ে তালা লাগানো। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এর পর বেশ কিছু রোগীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
সরকারি হাসপাতালে (Hospital) নেই ওষুধের জোগান, নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীও! এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল ২৪ জনের। যার মধ্যে ১২জন সদ্যোজাত। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দের জেলার।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলায় শংকররাও চভন সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। মৃতদের মধ্যে ১২ জনই শিশু। তাদের মধ্যে ৬ জন ছেলে এবং ৬ জন মেয়ে। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত ওষুধের জোগান না থাকাতেই এই পরিস্থিতি। এছাড়াও আর্সেনিক এবং ফসফরাসের বিষক্রিয়া হয়েছিল কয়েক জনের শরীরে।
হাসপাতালের ডিনের বক্তব্য, '১২ জন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যুর পিছনে নানাবিধ অসুস্থতা রয়েছে। অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। এখন বর্ষার মরশুমে সাপে কাটা রোগীই বেশি আসছে। নবজাতকদের মধ্যে ৬টি পুত্রসন্তান, ৬টি কন্যাসন্তান। আসলে রোগীর যা চাপ, সেই অনুযায়ী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের নেই। অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে একসঙ্গে বদলি করা হয়েছে, রিপ্লেসমেন্ট মেলেনি। আর সেটাই সমস্যা। নেই পর্যাপ্ত ওষুধের জোগান, পর্যাপ্ত পরিকাঠামোও নেই।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এলাকায় এই হাসপাতালের ৭০-৮০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোনও হাসপাতাল না থাকায় রোগীর চাপও খুব বেশি৷
হাসপাতালের এই পরিস্থিতি দেখে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারের নিন্দা করেছে বিরোধীরা। একনাথ শিন্ডে এই ঘটনাকে দুভার্গ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আবার মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর দিলীপ মহাইসেকর জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে রিপোর্ট।