
এবার উচ্চমাধ্যমিকের (HS) প্রথম দশের ৮৭ জনের মধ্যে যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে হুগলির (Hoogly) শরন্যা (Saranya)। হুগলির চন্ডীতলার জনাই ট্রেনিং হাই স্কুলের পড়ুয়া শরন্যা। তিনি নিজে রূপান্তরকামী। রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি ও অধিকারের লড়াই কঠিন। উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যে পেয়ে জানালেন শরন্যা। স্বপ্ন, সরকারি আমলা বা অধ্যাপক হয়ে সমাজে রূপান্তরকামীদের উন্নয়ন করবেন তিনি।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মেধাতালিকায় লিঙ্গপরিচয় পুরুষ। নাম শরন্য। কিন্তু নিজের নারী সত্তাতেই বিশ্বাসী তিনি। একাদশ শ্রেণি থেকে নিজেকে রূপান্তরকামী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই লড়াইয়ে শরন্যা পাশে পেয়েছেন পরিবারকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পাশে দাঁড়ান। এবার উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের পর নিজের মতামত খোলাখুলি জানালেন শরন্যা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রজতকুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, শরন্যা মেধাবী পড়ুয়া। ভাল ফল করবে, তা প্রত্যাশিক ছিল। গত এক দেড় মাসের মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর পর এমন রেজাল্ট করবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই।
চাকরি (Job) দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে ৫ যুবককে গ্রেফতার করলো হুগলির (Hoogly) মগরা থানার পুলিস। রানাঘাট থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ত্রিবেণীর বাসিন্দা জনৈক মনোজিৎ সাউ গত পয়লা ফেব্রুয়ারি মগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার শিকার। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়েছেন কয়েক জন। এই মামলার তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস। তাঁদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিস। শুক্রবার তাঁদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে তাঁদের ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সৌমদ্বীপ ভট্টাচার্য শনিবার মগড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই চাকরি প্রতারণা চক্রের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানান, এর আগেও একবার কলকাতা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ধৃতদের মধ্যে সুজয় কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রতারণার জন্য তিনি দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিতেন। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার শিকার হতে হতো।
ফের অশান্ত রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাতভর আতঙ্ক (Panic) কাটিয়ে এখনও থমথমে হুগলির (Hoogly) রিষড়া। জারি ১৪৪ ধারা। পুলিসের তরফে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়াতে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল রেল লাইনে। অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকাই একদল দুস্কৃতী রিষড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। স্টেশনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি রিষড়ার ৪ নম্বর রেল গেটে অশান্তি হয় বলে খবর। যার জেরে হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে ওই লাইনে হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধায় পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল।
সোমবার রাত ১০টা থেকে রিষড়া স্টেশনে অশান্তির কারণে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে রিষড়া স্টেশন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একটি আপ ব্যান্ডেল লোকালকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত ১টার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিষেবা। রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ায় ঘোষণা করা হয় বর্ধমান শাখায় আপাতত ট্রেন চলবে না। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করে দেওয়া হয়। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় এবং রেলের তরফ থেকেও কোনও স্পষ্ট উত্তর না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ।
সম্প্রতি রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে দুষ্কৃতীদের। তাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। হাওড়ার পর এবার হুগলি। হুগলির রিষড়াতে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিশাল পুলিস বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এ ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকায়। প্রশ্ন উঠছে ১৪৪ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা বারবার কি করে ঘটছে? বিজেপির তরফে পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বরাবর। প্রসঙ্গত, হাওড়ার পর হুগলির ঘটনায় বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন জমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও খবর, পুলিসের বিরুদ্ধে একতরফা আচরনের অভিযোগে, মঙ্গলবার থেকে হুগলির রিষড়ায় ধরণায় বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে ধরনার আগেই সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিস।
হাওড়ার (Howrah) পর এবার হুগলির (Hoogly) অশান্তির ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে (Police) কাঁদানে গ্যাস ব্যাবহার করতে হয়। পুলিস সূত্রে খবর, রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ (Internet Service Close) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিষড়া থানার অন্তর্গত সন্ধ্যা বাজার এলাকায়, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন রিষড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বেশ কিছু পুলিসকর্মী। এবার হুগলির ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)।
রাজভবন সূত্রে খবর, রিষড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তার পরেই বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘গুন্ডা এবং দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’
রবিবার বিকেলে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় রিষড়া। ইটবৃষ্টি ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জখম হয়েছেন রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করবে রাজ্য। আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেন আইনভঙ্গকারীরা।' দু'দিন আগে হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডেও চরমে ওঠে পরিস্থিতি। সিআইডির হাতে শিবপুরকাণ্ডের তদন্তভার। যদিও হাওড়া ও হুগলির ঘটনায় রাজ্য পুলিসকেই দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল। হামলার ঘটনায় আহত কিছু বিজেপি কর্মীও। তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির (Hoogly) দ্বারবাসিনী এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মহম্মদ হাশেম।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহাম্মদ হাশেমের সঙ্গে ২৯ বছর আগে মেহেরুন নিশা বিবির বিয়ে (Marraige) হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা দু'জনেই বিবাহিত। কর্মসূত্রে দুই ছেলে বাইরে থাকেন। অভিযোগ, কয়েক বছর যাবৎ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে এসে দুই বৌমা ও স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করছিলেন মোহাম্মদ হাশেম।
এর আগেও বহুবার মেহেরুন নিশা বিবিকে মারধর (Beaten) করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। কয়েক বছর আগে এমন ঘটনার কথা পান্ডুয়া থানায় জানানো হয়। পুলিস হাশেমকে ডেকে ধমক দিলে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে পুনরায় মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে স্ত্রী ও বৌমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ।
শনিবার রাতেও অশান্তি চরমে পৌঁছয়। তখন স্ত্রী মেহেরুন নিশা বিবিকে এক তলা ছাদে নিয়ে গিয়ে উপর থেকে ঠেলে নিচে ফেলে দেন বলে পরিবারের লোকের অভিযোগ। বাড়িতে থাকা দুই বৌমা বাড়ির পিছনে জঙ্গল থেকে শাশুড়িকে উদ্ধার করেন। এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে নিয়ে শাশুড়িকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যান। নেহেরুন নিশা বিবির কোমরে, পায়ে ও হাতে গুরুতর চোট পাওয়ায় তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা।
পুলিস সূত্রে খবর, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পান্ডুয়া থানার পুলিস।
পারিবারিক বিবাদের জেরে মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। ছেলের হাতে খুন (murder) বাবা, মায়ের আশঙ্কাজনক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির (Hoogly) জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, ওই এলাকায় ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেই চলতি মাসের ১ তারিখ ভাড়া আসেন চন্দকান্ত সাহা ও স্ত্রী অঞ্জনা সাহা। বাবার দ্বিতীয়বারের বিবাহিত স্ত্রীকে মা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত সাহা। এরপর মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত আচমকাই বাড়িতে আসেন, চড়াও হন বাবা ও সৎ মাযের উপর। এরপর হঠাৎই হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে বাবা ও মায়ের শরীরে আঘাত করতে থাকেন। আঘাতের পরিমাণ এতোটাই বেশি হয় যে হাসপাতালে আনার পর বছর ৬৫ এর চন্দ্রকান্ত সাহাকে আহম্মেদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।
তবে স্ত্রী অঞ্জনা সাহাকে চিকিৎসকরা কৃত্তিমভাবে নিশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাড়ির মালিক রামকৃষ্ণ সাহা জানান, "আমার মোবাইলের ব্যবসা। রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় অশান্তি হতে দেখি। তবে এদিন নিমিষের মধ্যেই এই ঘটনা। আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা এমন ঘটনা ঘটতে পারে।"
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ টার পর দুজন আহত ব্যাক্তিকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। প্রথম ব্যক্তি চন্দ্রকান্ত সহা কিছুক্ষণ বেঁচে থাকলেও পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা সাহার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুড়ি চালানোর ফলে শ্বাসনালী কেটে গিয়েছে। কৃত্তিম ব্যবস্থা করে রেফার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেনি ছেলে। তার ফলেই এই ঘটনা। ধৃত নিলকান্ত সাহাকে বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিস (police)।
অস্বাভাবিক মৃত্যু বিজেপি নেত্রী ও তাঁর স্বামীর। ঘটনাটি হুগলির রিষড়া এলাকার। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি ও তাঁর স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। মৃতরা হলেন বছর ৬২ এর অমলেন্দু ঘোষ ও ৫৮ বছরের শ্রাবণী ঘোষ। তাঁরা রিষড়া ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা। শ্রাবণী দেবী বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রিষড়া থানার প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য ছিলেন অমলেন্দু বাবু। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই স্থানীয়রা পুলিসে খবর দেয়। রিষড়া থানার পুলিস গিয়ে দম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে দেনার দায়ে জর্জরিত ছিলেন ওই নিঃসন্তান দম্পতি। দেনা মেটাতে না পেরেই শেষ পর্যন্ত তাঁরা আত্মঘাতী হলেন বলে মনে করছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে এক মাছ বিক্রেতার পাওনা টাকা মিটিয়ে দেন অমলেন্দু বাবু। সম্ভবত এরপরেই বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ঘরের ভিতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় অমলেন্দু বাবুর দেহ উদ্ধার হয়। নীচে পড়ে ছিল স্ত্রী শ্রাবণীদেবীর দেহ।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে (Ship Disbalance) মহেশতলার (Maheshtala) আকড়া ২০ নম্বর ওয়ার্ডের উলুডাঙ্গা এলাকায় ভীম পার্কের কাছে হুগলি নদীর (Hoogly River) পাড়ে ধাক্কা জাহাজের (Ship)। ওই বিরাট আকারের জাহাজটি বজবজের (Budge Budge) দিক থেকে খিদিরপুরের (Khidirpur) দিকে যাবার পথেই ধাক্কা মারে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার ওপর আটকে থাকে জাহাজটি। জাহাজের নাবিক কর্মীদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিস। জাহাজটিকে নদীতে নামানোর যথাসাধ্য চেষ্টা শুরু করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এ কাজে সাহায্য করেন স্থানীয়রা। পাশপাশি নদী পাড়ে জাহাজ দেখতে ভিড়ও জমান স্থানীয়রা। এর পূর্বে বহুবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাজ হুগলি নদীর পাড়ে এসে ধাক্কা মারে।
মনে করা হচ্ছে, স্রোতের বেগের বেশি তারতম্যের কারণে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। কিংবা জাহাজে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই দুর্ঘটনা। সবটাই খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
হুগলি নদীতে ফলতার ৩ নম্বর সেক্টরের কাছে শনিবার একটি মালবাহী বার্জ ডুবে গিয়েছিল। রবিবার প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রামনগর থানা এলাকায়। এ দিন মাল-বোঝাই বিদেশি জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হুগলি নদীর বাঁধের কাছে চলে আসে। রাত পর্যন্ত আটকে থাকে জাহাজটি।
কোনো দিদি না, দাদাই সব। হুগলি (Hoogly) চুঁচুড়া (Chunchura) পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Trinamool) কার্যালয়ের সামনে এই কথা বলছিল কয়েকজন। এরপরই তাঁদের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের। এই ঝামেলার জেরে দুজনের গেঞ্জি ছিঁড়ে যায়।
ছয় নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাসের অভিযোগ, তাঁর ওয়ার্ডে বাইরে থেকে কিছু তৃণমূল কর্মী (TMC Worker) এসে সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিধবা ভাতা (Widow's Allowance), বার্ধক্য ভাতা (Oldage Allowance) পাইয়ে দেবার কথা বলছিলেন। বিধায়ক নিজে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন। অথচ তিনি জানেননা। কয়েকদিন আগেও ছয় নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে রক্তদান শিবিরের(Blood Donation Camp) আয়োজন করা হয়। সেখানেও তাঁকে ডাকা হয়নি। এর কারণ বিধায়ক নিজে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়কে সমর্থন করেন। ঝন্টু বিশ্বাস তিনবারের কাউন্সিলর। পুরসভা ভোটের আগেও বিধায়ক অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।অমিত রায়কে দল চেয়ারম্যান করার পর অসিত মজুমদারের শিবির বদল করেন ঝন্টু। আর তাতেই বিধায়কের কোপে পড়েন বলে মনে করছে ওই ওয়ার্ডেরতৃনমূল কর্মীরা।
বুধবার রাতে এই ঘটনার পর চুঁচুড়া থানার আইসি (IC) অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী বালির মোড়ে হাজির হয়। পার্টি অফিসে জড়ো হয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি চলে যেতে বলে পুলিস। ঝন্টু বিশ্বাসের অভিযোগ, যাঁরা বিধানসভা ভোটে বিজেপি করত তাঁরাই এখন তৃণমূল হয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এতে তাঁর নিজেকে তৃণমূলের নয় অন্য দলের কাউন্সিলর বলে মনে হচ্ছে।
সাংগঠনিক জেলা বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ-এর অভিযোগ, ভাগ নিয়ে গণ্ডগোল তৃণমূলের মধ্যে। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা দুর্নীতির আখরা হয়ে গিয়েছে। স্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেছে। বিধায়কের অনুগামীরা তার উপর হামলা করতে গিয়েছে বলে নিজেই স্বীকার করেছেন ঝন্টু বিশ্বাস। এর থেকে এটা স্পষ্ট ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ থাকছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে সেতু।
সূত্রের খবর, ভার এবং পরিবহণ ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য রবিবার ৬ ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। হাওড়া থেকে কলকাতা এবং কলকাতা থেকে হাওড়ামুখী পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্য্ন্ত। কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ এবং হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার বা এইচআরবিসি'র তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । হাওড়ার দিক থেকে কলকাতামুখী সমস্ত গণপরিবহন হাওড়া ব্রিজ দিয়ে কলকাতায় যাবে। আর পণ্যবাহী গাড়ি বালি ব্রিজ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজা অভিমুখের সমস্ত রাস্তায় হাওড়া সিটি পুলিসের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। যানজট এড়ানোর জন্য বেলেপোল মোড় থেকে ড্রেনেজ ক্যানেল রোড ধরে গণপরিবহনগুলিকে হাওড়া ব্রিজের দিকে পাঠাচ্ছে পুলিস।