রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।
বাসন্তী হাইওয়েতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় আহত প্রায় ৩০ যাত্রী। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত এক বাইক চালক। বুধবার দুপুরে ভাঙড় থানার অন্তর্গত ভোজেরহাট বৈরামপুরের এলাকার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গেসঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় এখনও অবধি কারোর মৃত্যু না হলেও গুরুতর আহত হয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরের দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি বাইক সামনে থাকা একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়, এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি, কলকাতার দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ধামাখালি বি গার্ডেন রুটের বাসের সামনে পড়ে যায়। বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গেলে বাধ্য হয়ে ব্রেক কষতে বাধ্য হন বাস চালক। তখনই ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। বাইক ও আরোহী বাসের চাকার তলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক চালককে উদ্ধার করে নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ভাঙ্গড় থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।
আবারও প্রকাশ্যে রান অ্যান্ড ড্র্যাগের (Dragged) ঘটনা। দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে ট্রাক। আর তার সামনে নীল রঙের একটি গাড়ি হিঁচড়ে নিয়ে চলেছে। গাড়ির মধ্যে সেসময় ছিলেন দুই শিশু সন্তান সহ এক দম্পতি। জানা গিয়েছে, তাঁরা নয়ডার বাসিন্দা। প্রায় ২ কিলোমিটার গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিসি তৎপরতায় প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রা-মুম্বই হাইওয়েতে (Agra-Mumbai highway)। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন আগ্রা-মুম্বই হাইওয়ে ধরে মধ্যপ্রদেশের ঢোলপুরে যাচ্ছিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার অমরভূষণ জৈন, স্ত্রী কবিতা এবং তাঁদের দুই সন্তান। অমর সিকন্দপুর শহরের কাছে ট্রাকটিকে ওভারটেক করে। আর তখনই ট্রাকটি পিছন থেকে গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। ট্রাকের সামনের অংশে গাড়িটি আটকে যায়। ওই অবস্থায় ট্রাকটি আরও গতি বাড়িয়ে এগোতে থাকে। গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার করতে থাকেন কবিতা ও তাঁদের দুই সন্তান। পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।
স্থানীয়রা চেষ্টা করেও ট্রাকটিকে থামাতে না পেরে পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে ট্রাকটিকে থামায়। গ্রেফতার করে ট্রাকচালককে। এরপর ওই দম্পতি ও শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিস। অমর ও সন্তানরা সামান্য চোট পেলেও, স্ত্রী কবিতা মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
জাতীয় সড়কে (National Highway) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্য়ু হল এক বাইক আরোহীর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরা থানা এলাকায়। অভিযোগ, বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম পঙ্কজ বিশ্বাস, ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাগডোগরা থানার পুলিস এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হাসখোয়া জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই যুবক। সেই সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের উপর পড়ে যান বাইক আরোহী। অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপরদিকে পুলিস বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায়শই জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখা গিয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিংবা বেপরোয়া গতির কারণেই পথ দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে। যেভাবে প্রতিনিয়ত পথ দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার পরেও যদি মানুষ সতর্ক না হয়, তাহলে এই পথ দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকবে।
মঙ্গলবার ভোরে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানেতে (Thane) ঘটে গেল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Crane Accident)। এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছিল। আর সেই সময়ই নির্মাণকর্মীদের উপর ভেঙে পড়ল ক্রেন। এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য এক বিশেষ ধরনের ক্রেন গার্ডার লঞ্চার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু কাজ চলাকালীন হঠাৎ ১০০ ফুট উপর থেকে পড়ে যায় ক্রেনটি। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ জন। ক্রেনের ধ্বংসাবশেষের নীচে এখনও কিছুজন আটকে রয়েছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
পুলিস সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের থানের সারলাম্বে গ্রামের সাহাপুর এলাকায় সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় সেখানে কাজ করছিলেন একাধিক কর্মী। আর তখনই আচমকা ১০০ ফুট থেকে তাঁদের মাথার উপর ভেঙে পড়ে ক্রেন। ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের। আহত ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিস এবং দমকল বাহিনী। জোরকদমে তারা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ের আর এক নাম মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ে। ৭০১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা মুম্বই এবং নাগপুরকে যুক্ত করে। তাই দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ।
নির্মীয়মান মহাসড়ক (Highway) যেন মৃত্যু ফাঁদ। ঠিক এমনই অবস্থা ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সলসলা বাড়ি পর্যন্ত নির্মীয়মান মহাসড়কের। সড়কের কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পাশাপাশি নদীর উপরে তৈরি করা ডাইভার্সন বহু আগেই চলে গেছে নদী গর্ভে। তার ওপর দিয়েই কোনওক্রমে চলছে যাতায়াত। তবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে শুরু হয়েছিল রাস্তার কাজ। কিন্তু কয়েকমাস হল নির্মাণকারী সংস্থা মহাসড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রেখেই পাততাড়ি গুটিয়েছে। তাই রবিবার জাতীয় মহাসড়ক উন্নত করার দাবিতে ফালাকাটা সংলগ্ন বালুরঘাট ডাইভার্সন এলাকায় গণসংগ্রাম কমিটির সদস্যরা বিক্ষোভে (Agitation) নেমেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই রাস্তার উপর দিয়েই কোনোক্রমে চলছে যাতায়াত। তবে বর্ষাকালে যখন নদীতে জল বাড়ে তখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, আলিপুরদুয়ার সলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১ কিমি মহাসড়কের এমন বেহাল অবস্থা। খারাপ অবস্থার কথা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরে শুরু হয়েছিল কাজ। কিন্তু কয়েকমাস ধরে অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ওই রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ফের ধসের (LandSlide) কারণে বন্ধ রাখা হল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক (Badrinath National Highway)। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালেই যানবাহন চলাচলের জন্য জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত পেরোতেই ফের ধস। তাই আজ, শনিবার উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ জাতীয় মহাসড়ক আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ছিনকা এলাকায় সাত নম্বর জাতীয় সড়ক শনিবার বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার, ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার ফলে একই জায়গায় ভূমিধস হয় এবং বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির কারণে ছিনকার কাছে প্রবল ভূমিধসের কারণে সড়কের ১০০ মিটার অংশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এবারে ফের ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ রাখা হল। এর জেরে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক এবং তীর্থযাত্রী। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে রাস্তা খোলার কাজ শুরু করেছে।
জাতীয় সড়কে গাড়ির (Car) ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। কেশিয়াড়ি থেকে বেলদা গামী ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে (Statehighway) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মনদীপ সিং। বাড়ি বেলদা থানার কুশমুড়ি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় কেশিয়াড়ি থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, কেশিয়াড়ি দিক থেকে বেলদার দিকে বাইকে যাওয়ার সময় অজানা এক গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় যুবকের। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাইকটিকে উদ্ধার করে পুলিস। এছাড়া ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহজনক ভাবে একটি পিক আপ ভ্যান আটক করেছে পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। কেশিয়াড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পথ দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে অবশ্য পুলিসি হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
কুড়মি সমাজের আন্দোলনে অবরুদ্ধ (Agitation) রাজপথ (National Highway) ও ট্রেন (Train) লাইন। রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। এই অভিযোগে ১লা এপ্রিল থেকে ঘাঘর ঘেরা ও খেমাশুলির রেললাইন অবরোধ করেন কুড়মি সমাজের একটি সংগঠন। তার জেরেই বুধবার অর্থাৎ এপ্রিলের ৫ তারিখ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মোট ৬৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, আদ্রা-চন্ডিল শাখায় কুস্তাউড় স্টেশনে, খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনে বুধবার কুড়মিদের অবরোধের জেরে, সংশ্লিষ্ট দুই শাখায় ৬৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ট্রেনের রুট আদ্রা থেকে পতিবর্তন করা হয়েছে।
যার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও রয়েছে। রয়েছে কিছু মেমু স্পেশাল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের পিআরও অম্বর বসু বলেন, 'ওই বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে ২৬টি এক্সপ্রেস ট্রেনও রয়েছে যেগুলি বাতিল করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুরন্ত এক্সপ্রেস ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেসও রয়েছে।' বুধবার তিনি আরও জানান, 'গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির মধ্যে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস-সহ ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস ও রুট পরিবর্তন করে চালানো হবে।' এছাড়াও বাতিলের তালিকায় রয়েছে বোকারো স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড় টিলাগড় এক্সপ্রেস, হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই মেল।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে কুড়মি সমাজের বেশ কয়েকটি সংগঠন, প্রতিবাদে পথে নেমেছে। এই কুড়মি সমাজের একটি সংগঠনের পক্ষে কৌশিক মাহাতো জানান, '১৯৫১ সালে আমাদের এই জাতিকে উপজাতি কোটা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কোনও কারণ ছাড়াই, সেই জন্য ২০১৫ সালে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন গড়ে তুলি।' কৌশিক বুধবার সিএন-ডিজিটালকে জানান, 'রাজ্যের একটি সিআরআই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং এর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় উপজাতি লিস্টে নথিভুক্ত করতে পারে কেন্দ্র সরকার, আন্দোলনের পরে ২০১৭ সালে সেই সিআরআই রিপোর্ট রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়, সেই রিপোর্টে অনেক গাফিলতি আছে।'
কুড়মি আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক আন্দোলনকারীর অভিযোগ, 'রাজ্যের গাফিলতির জন্য এই রিপোর্টটা ভুল গিয়েছে এবং তাদের গাফিলতির জন্যই বিষয়টা পিছিয়ে যাচ্ছে।' সূত্রের খবর, গত বছর, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কুর্মি সমাজ আন্দোলনে নেমেছিল, কিন্তু সেসময় সরকারের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ ও আন্দোলন তুলে নেয় তাঁরা। বুধবার কুড়মি আন্দোলনের এক নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, 'রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসে বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে সিআরআই রিপোর্টটা ঠিক করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু তারপর থেকে ৬ মাস হয়ে গেল পাঠায়নি, এভাবে ৬ বছর আমাদের অবহেলা করছে রাজ্য।'
পথ দুর্ঘটনা। লরির ধাক্কায় মৃত্যু (Death) দু'জনের। ঘটনাটি ঘটেছে উওর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার করণদিঘী থানার অন্তর্গত টুঙ্গিদিঘী এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনার জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় করণদিঘী থানার (Karandighi Police) পুলিস। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করনদিঘী থানার পুলিস।
একজন মৃতের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ টুঙ্গিদিঘী জাতীয় সড়কে উপর দিয়ে সাইকেল নিয়ে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন দু'জন। পিছন দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁদের ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দু'জন সাইকেল আরোহীর। পরিবারের দাবি, প্রশাসনের কাছে আবেদন রাস্তার ফুটপাতের উপর রাখা এই ইট, বালি তাড়াতাড়ি স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করা হোক।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত একজনের বাড়ি টুঙ্গিদিঘীর পার্শ্ববর্তী জোলকা সাদিপুর গ্ৰামে। তবে অন্য জনের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে করণদিঘী গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তবে ঘটনায় ঘাতক লরিটি পলাতক।
বড়সড় দুর্ঘটনা! দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনে (Pune) জেলার নাসিক-পুনে মহাসড়কে (Nashik-Pune highway)। পুলিস সূত্রে খবর, একসঙ্গে ১৭ জন মহিলা রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সে সময় আচমকা দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি এসইউভি গাড়ি (SUV crashed)। রাস্তার মধ্যে ৫ মহিলাকে পিষে দেয়। আর গুরুতর জখম হয়েছেন ৩ জন। সোমবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ পুনের শিরোলি গ্রামের কাছের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।
একজন পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, ওই মহিলারা একসঙ্গে পুনে শহর থেকে পুনে-নাসিক হাইওয়ের ধারে অবস্থিত একটি বিয়েবাড়ি অনুষ্ঠানে ক্যাটারিংয়ের জন্য যাচ্ছিলেন। রাতে হাইওয়ে পার হচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই একটি এসইউভি গাড়ি এসে মহিলাদের ওই ভিড়ে ঢুকে পিষে দিয়ে যায় ৫ জনকে। কয়েক জন রাস্তার ধারে ছিটকে পড়েন বলে জানান অফিসার।
অজ্ঞাত ওই এসইউভি চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলেই দু'জন মারা গিয়েছে। আর বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে।
ফের জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। দুর্ঘটনায় মৃত্যু (Death) ১ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে লাটাগুড়ি ও গরুমারা জঙ্গলের মাঝে টিয়াবন এলাকায় ৩১ নং জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, একটি ছোট গাড়ি ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে এই দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ছোট গাড়িটি বাতাবাড়ি থেকে লাটাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে বাইকে করে আসছিল ২ জন আরোহী। জাতীয় সড়কের ওপরে গাড়ি দুটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাইকের দুই আরোহী বাইক সহ সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। তাতে গুরুতর আহত হন দু'জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেটেলি থানার পুলিস।
এরপর আহতদের উদ্ধার করে চালসার মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আরেজকন চিকিৎসাধীন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পুলিস গাড়ি দুটিকে আটক করেছে।
ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা (Road Accident)। গাড়ি ও লরির সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ জন। দুর্ঘটনাটি চেঙ্গলপাট্টু (Chengalpattu) জেলার মধুরান্থগামে ত্রিচি-চেন্নাই জাতীয় সড়কে (richy-Chennai national highway)। জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে ১৫ জনেরও বেশি লোক ছিল।
প্রথমে টাটা এস গাড়িটির সামনে থেকে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর পিছন থেকে আসা আরেকটি গাড়ি ওই টাটা এসকে ধাক্কা মারে। এর ফলে টাটা এস গাড়িটি দুটি গাড়ির মধ্যে পিষ্ট হয়ে যায়। ছয় জন নিহত হয়েছেন। পাঁচজন গুরুতর আহত। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান।
স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চেঙ্গলপাট্টু সরকারি হাসপাতালে পাঠায়। অন্যদিকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস একটি মামলা দায়ের করেছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া মৃতদের প্রত্যেক পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার কথা জানিয়েছে এবং আহতদের সঠিক চিকিৎসা যাতে হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা-বাসন্তী ঝা চকচকে স্টেট এক্সপ্রেসওয়েতে (Basanti Highway) গতির খেলায় বারেবারে দুর্ঘটনা (Road Accident) এবং ঝরে যাওয়া তরতাজা প্রাণ। গত ৫ বছরে এমন চারটি ঘটনা শিউরে ওঠার মতো। যে তালিকায় নবতম সংযোজন মঙ্গলবারের পথদুর্ঘটনা। মসৃণ রাস্তায় হালে বসেছে স্পিড লিমিটার। ট্রাফিকের এই নিয়ম কেউ মানেন, কেউ আবার তোয়াক্কা করেন না। তাই বারেবারে মৃত্যু (Death) বাসন্তী হাইওয়েতে।
বামনঘাটা বাজার থেকে চৌবাগা আসার পথে রাস্তায় একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক কার্যত দেখতেই পায়নি রেস বা গতি প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা দুটি বাইকের চালক। একটি বাইক তাও শেষ মুহূর্তে খেয়াল করে ব্রেক কষার চেষ্টা করে, অপরটি তাও করতে পারেনি। দুটি বাইক দুমড়ে মুচড়ে তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বাইক দুটির গতিবেগ কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার ছিল বলে পুলিস সুত্রে খবর। গতির এই নেশায় অকালে ঝরে গেল তিনটে তরতাজা প্রাণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইক রেষারেষির জেরেই বকডোবা এলাকার এই দুর্ঘটনা। প্রচণ্ড বেগে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার পথে একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারলে দুটি বাইকের তিন জন সওয়ারির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস এসে মৃতদেহ-সহ বাইক গুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ১৯ বছরের রাকেশ দাস, ১৭ বছরের জয় গায়েন এবং ১৭ বছরের রাহুল নস্কর, এঁরা বামনঘাটার বাসিন্দা। তবে দ্বিতীয় বাইকে রাইডারের পিছনে বসা সওয়ারি (এখনও নাম জানা যায়নি) গুরুতর আহত অবস্থায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩ এপ্রিল ২০২২ এবং ২৭ মে ২০২২; বাসন্তী হাইওয়েতে গতির বলি তরতাজা প্রাণ।
ফের গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক (panic)। গঙ্গার জলস্তর কিছুটা কমতেই ফের একবার ভয়াবহ ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার মহেশটোলা এবং প্রতাপগঞ্জ এলাকা। শনিবার সকালে ওই এলাকায় একটি বাড়ি ও দুটি দোকান গঙ্গা নদীর ভাঙনের করাল গ্রাসে তলিয়ে যায়। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাজ্য সড়কের ধারে অবস্থিত একটি ইলেকট্রিক পোল ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার রাতে প্রতাপগঞ্জ এলাকায় কাঁকুরিয়া–ধুলিয়ান রাজ্য সড়কের উপরেও ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা আগামী দু থেকে একদিনের মধ্যেই এই রাস্তাটিও গ্রাস করবে গঙ্গা।
আর এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিরোধীরাও। মিলন ঘোষ উত্তর মুর্শিদাবাদ বিজেপি সহ-সভাপতি বলেন, পুর-প্রধান থেকে শাসক দলের বিভিন্ন নেতাদের উপর মানুষ ক্ষিপ্ত। কারণ, শাসক দল থেকে প্রশাসনিক স্তরে সকলেই স্থানীয় মানুষদের এই গঙ্গার গ্রাস থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। এছাড়াও, এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। সমস্যা দেখা দিলে শুধু বালি, বাঁশ দিয়ে মেরামত করে কোনওরকমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা আর কতদিন। যেখানে কেন্দ্র ৫৩ কোটি টাকা এবছর দিয়েছে, সেখানে কেন সমস্যার সমাধান মিলছে না। তাহলে সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? প্রশ্ন করেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে সমস্যায় আছেন মুর্শিদাবাদবাসী।