বড় জয় পেলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা গুজরাত সরকারের। বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন ধর্ষকদের জামিন আটকে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ বিলকিসের ধর্ষকদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জামিন দেওয়া হয়েছিল। আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অপরাধীদের ফের জেলে যাওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলাটি মহারাষ্ট্রে চলছিল। এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র আদালতের নেওয়া উচিত ছিল। এটা আইনি বিচ্যুতি। গুজরাত সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কখনোই পারে না।
গত বছর ১৫ অগাস্টের দিন ২০২২ সালে গোধরা হিংসার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। এই ঘটনায় দেশজুড়ে তৈরি হয় নিন্দার ঝড়। বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোটের কথা মাথায় রেখে গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ ওঠে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল সেই নির্দেশ। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার আদেশ ভুল ছিল পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারেন হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত।
গুজরাতের গবরা অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক ঘটনা। সোমবার বেলা পর্যন্ত সেখানে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এমনকি মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে ১৭ বছরের এক কিশোরও। উত্তেজিত হয়ে নাক- মুখ দিয়ে রক্ত বার হওয়া! তারপরেই মৃত্যু?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন ১০ জন। গবরা খেলা চলাকালীন শরীরের উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তার ফলেই এই মৃত্যু বলে প্রাথমিক মত চিকিৎসকদের। আর চিকিৎসকরা যা বলছেন, তাও যথেষ্ট দু:শ্চিন্তার বিষয়।
নবরাত্রীর উৎসব চলছে। দেশজুড়ে উৎসবের মহল। মনে করা হচ্ছে, এভাবে হৃদরোগে মৃত্যুর জন্য অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া ও জীবন যাপন। একদিকে দীর্ঘ সময় উপবাস, তারপর অস্বাস্থ্যকর খাবার। এছাড়াও আছে পূর্ব অসুস্থতা ও দুর্বল হৃদয়ের সম্ভাবনা।
গবরা অত্যন্ত পরিশ্রমের খেলা। বিশ্রাম না নিয়ে, শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ না থাকলে এই খেলায় নামা উচিত নয়। খেলার মধ্যেও বিশ্রাম নিতে হবে। ১৭ বছরের ছেলেকে অকালে হারিয়ে বুক চাপড়াচ্ছে পরিবার। যারা মারা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই কম বয়স। ২০ বছর বা তার আশপাশের বয়সের মৃত্যুর ঘটনা স্বাস্থ্য সম্পর্কে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। এত কম বয়সে কীভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে? চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মনে করছে, করোনা পরবর্তী সময়ে এই জটিলতা অনেক বেড়েছে।
রোবটের (Robots) দুনিয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রোবটের হাতেই খেলেন চা, এমনকি কথাও বললেন। সেই ছবিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এই দৃশ্য গুজরাটের (Gujarat) আমেদাবাদের। সেখানের সায়েন্স সিটির নেচার পার্কে আয়োজন করা হয়েছিল রোবট প্রদর্শনীর। আর সেই প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সেই প্রদর্শনীতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোবটদের কর্মকাণ্ড দেখেন তিনি।
সূত্রের খবর, 'ভাইব্র্যান্ট গুজরাট' কর্মসূচির ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্যে গুজরাটে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার দিনভর তিনি ঘুরেছেন সায়েন্স সিটিতে। মোদীর সঙ্গে এদিন ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। নিজের কর্মসূচির ব্যস্ততার মাঝেই গুজরাটের সায়েন্স সিটির রোবটিক্স গ্যালারি ঘুরে দেখেন। রোবটিক্স গ্যালারিতে সময় কাটানোর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে ও সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, রোবটের হাত থেকে চা নিয়ে খাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে দুটি স্যান্ডউইচ, জলের বোতলও। এছাড়াও রোবটের নানান কর্মকাণ্ড দেখেন তিনি। রোবটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই ছবিগুলো বর্তমানে ভাইরাল।
ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল (Rail)। এবার অগ্নিকাণ্ড (Fire) ট্রেনে। শনিবার দুপুরে আচমকাই আগুন ধরে যায় হামসফর এক্সপ্রেসে (Humsafar Express)। ট্রেনটি তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী থেকে রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর যাচ্ছিল বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ২টোর দিকে হঠাৎ হামসফর এক্সপ্রেস থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরতে থাকে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। সঙ্গে ট্রেনের কামরা থেকে দাউ দাউ করে আগুন বেরোতে দেখা যায়। তিরুচিরাপল্লী থেকে শ্রী গঙ্গানগর যাওয়ার পথে গুজরাটের ভালসাদ স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরই গুজরাটে ভালসাদ স্টেশনে ট্রেনটিকে থামানো হয়। কামরায় আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ফলে তড়িঘড়ি তাঁদের নিরাপদে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে খবর।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌঁছে যান রেলকর্মীরা। আগুনের নেভানোর কাজে হাত লাগান তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। হামসফর এক্সপ্রেসের একাধিক যাত্রী অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা।
রেলসূত্রে খবর,ট্রেনের পাওয়ার কার বা জেনারেটর কোচেই প্রথম আগুন লাগে। জেনারেটর কোচ থেকেই প্রথমে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে জেনারেটর ও লাগোয়া বি১ কোচে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই হয়তো ট্রেনের জেনারেটরে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের যাত্রীদের কামরায়। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিনেমাতে কাজ করার প্রস্তাব আগেই পেয়েছেন সীমা হায়দার (Seema Haider), এবারে পেলেন চাকরির (Job) প্রস্তাবও। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, গুজরাটের (Gujarat) এক ব্যবসায়ী পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দারকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সীমাকে বলা হয়েছে, তাঁর সুবিধামতো যে কোনও দিন তিনি চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। আর চাকরিতে যোগ দিলেই মাসে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে তাঁকে।
প্রেমিক সচিনের ভালোবাসার টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন সীমা হায়দার। কিন্তু এদেশে তিনি আসতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে। তিনি কোনও পাকিস্তানি গুপ্তচর কিনা, তা জানতে দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। ফলে এখনও ভারত আসার পিছনের আসল কারণ প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু তার আগেই খবর এসেছে, সীমাকে সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন আবার খবরে এসেছে, তাঁকে চাকরি দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, সীমার পাশাপাশি সচিনকেও এই চাকরি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় সচিন মীনার বাড়িতে এক চিঠি পৌঁছয়। আর সেই চিঠি খুলতেই দেখা যায়, গুজরাটের এক ব্যবসায়ী সচিন ও সীমাকে ৫০ হাজার টাকার চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে আরও জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে যদি অন্য কোনও সাহায্যও লাগে, তাতেও তিনি এগিয়ে আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! হাসপাতালের (Hospital) বেসমেন্টে আগুন (Fire)। গোটা হাসপাতাল ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের (Ahmedabad) শাহিবাগ এলাকার রাজস্থান হাসপাতালে। ঘটনার সময়ই হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয় হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি হাসপাতালের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে দমকল বাহিনীকেও (fire brigade)। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে দমকলের ২০ থেকে ২৫ টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ অব্যাহত আছে। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে।
এই ঘটনায় দমকলের এক আধিকারিক জয়েশ খাদিয়া সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, 'হাসপাতালের দ্বিতীয় বেসমেন্টে আগুন লাগে। রবিবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে। তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে রয়েছে। যদিও এই আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হাসপাতালের বেসমেন্টে কিছু সংস্কারের কাজ চলছিল,' এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এক তিন বছরের খুদের লিভার দিয়ে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল এক পাঁচ বছরের কন্যা। ঘটনাটি মুম্বইয়ের (Mumbai)। এক পাঁচ বছরের শিশুকন্যার জন্য খুব শীঘ্রই লিভার প্রয়োজন ছিল, ফলে তার বাবা-মা হন্যে হয়ে এমন একজনকে খুঁজছিলেন, যে লিভার দিতে পারবে। অবশেষে তাঁদের সন্ধান শেষ হয়। খোঁজ পেল এক তিন বছরের শিশুর। এরপর তার লিভার (Organ Donation) দিয়েই প্রাণ বাঁচানো হল সেই কন্যা সন্তানের।
জানা গিয়েছে, এক ৩ বছরের শিশুর কিডনিজনিত কিছু সমস্য়া ছিল। পরে সেই কিডনির সমস্যার পরই তার ব্রেন ডেথ হয়ে যায় জানান চিকিৎসকরা। এরপরই সেই খুদের বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন, তার অঙ্গ দান করা হবে। অবশেষে তাঁদের খোঁজ পান সেই পাঁচ বছরের কন্যাসন্তানের বাবা-মা। এরপরই বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে সেই লিভারের প্রতিস্থাপন সফলভাবে করা হয়। এভাবেই সেই খুদের লিভার দিয়ে প্রাণ বাঁচে পাঁচ বছরের বালিকার।
শুধু লিভার নয়, সেই তিন বছরের খুদের কর্নিয়াও দান করা হয় এক ১২ বছরের বালককে। ফলে সেই কর্নিয়া পেয়ে নতুন করে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় সে।
দিনের পর দিন যেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac Arrest) হয়ে মৃত্যু অনবরত বেড়েই চলেছে। এবারে মাত্র ১৭ বছরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হল কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। সোমবার ঘটনাটি ঘটে গুজরাটের (Gujarat) সুরাটে। জানা গিয়েছে, সুরাটের এক স্কুলেই গতকাল আকস্মিক মৃত্যু হয় এই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর (Student)। দু'বছর আগেই সে তার মাকে হারিয়েছে। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, এই ১৭ বছরের ছাত্রীর নাম তানিশা গান্ধী। সে সুরাটের নভসারির এবি স্কুলে পড়ত। সে ডাক্তার হতে চাইত। তাই সে নিটের পড়াশোনাও করছিল। কিন্তু তার স্বপ্নপূরণের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল সে। জানা গিয়েছে, সোমবার সে বন্ধুদের সঙ্গে সিঁড়িতে উঠছিল। তখনই হঠাৎ তাঁর শরীর অসুস্থ মনে হয়। এমনকি তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ও দরদর করে ঘামতেও থাকে। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, তার মৃত্যু হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। তবে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই পুরো বিষয় জানা যাবে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এমন কম বয়সীদের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। আর এসবের জন্যই তাঁরা বিশৃঙ্খল জীবনযাপনকেই দায়ী করছেন বলে জানা গিয়েছে।
নিজেই একজন বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট (Cardiologist), প্রায় ১৬ হাজারের বেশি রোগীদের হার্টের অস্ত্রোপচার করেছেন। কিন্তু তাঁরই মৃত্যু হল হার্ট অ্যাটাকে (Heart Attack)। গুজরাটের (Gujarat) জামনগরের বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডা. গৌরব গান্ধীর মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া চিকিৎসকমহলে। কারণ তিনি গুজরাটের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম ও বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪১ বছর।
জানা গিয়েছে, ঘুমের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তাঁকে কোনওভাবেই অসুস্থ বলে মনে হয়নি। প্রতিদিনের মতো সেদিনও হাসপাতাল থেকে রোগী দেখে এসে রাতের খাবার খেয়েছেন ও ঠিক সময়ে ঘুমোতে চলে যান। কিন্তু সকালে তাঁর ঘুম থেকে ওঠার সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি ওঠেন না। এরপরই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এরপর চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকের ফলে হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়েও বেশ সচেতন ছিলেন। ফলে কোনোদিন মদ্যপান, ধূমপান কিছুই করেননি তিনি। ফলে তাঁর মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্য়াটাক বলতে অবাক হন প্রত্যেকে। তবে চিকিৎসকদের অনুমান, মানসিক চাপ থেকেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে মানুষের।
জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন চার যুবক, সেকথা জানতে পেয়েই তড়িঘড়ি জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বিজেপি বিধায়ক হিরা সোলাঙ্কি (Hira Solanki)। ঘটনাটি গুজরাতের (Gujarat) পাটোয়া গ্রামের। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরের দিকে সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন চার যুবক। কিন্তু স্রোতের টানে অনেক দূর চলে গেলে তাঁরা ডুবতে শুরু করেছিলেন। ফলে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এই দেখে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হীরা সোলাঙ্কি এক মুহূর্ত নষ্ট না করে জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তিন যুবকের। তবে অনেক চেষ্টা করেও আরেকজনকে বাঁচানো সম্ভন হয়নি।
সূত্রের খবর, রাজুলা এলাকার বিজেপি বিধায়ক হিরা সোলাঙ্কি বুধবার সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। সেসময় চার যুবক স্নান করতে সমুদ্রে নামলে সমুদ্রের ঢেউ তাঁরা সামলাতে পারেননি। ফলে স্রোতের টানে অনেকটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকেরা ছুটে যায়। কিন্তু তাঁদের বাঁচাতে কেউই জলে নামে না। এরপর বিধায়ক হীরা জিজ্ঞাসা করাতে তাঁদের বাঁচাতে জলে ঝাপ দেন। নিজের প্রাণের পরোয়া না করে চার জনের মধ্যে তিনজনকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।
পুলিস জানিয়েছে, কল্পেশ সিয়াল, বিজয় গুজারিয়া, নিকুল গুজারিয়া এবং জীবন গুজারিয়া— এই চার জনের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করা গেলেও জীবন তলিয়ে যান। সন্ধ্যায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাক্তন পুলিস ইন্সপেক্টরকে (Police Inspector) ঘুষের অপরাধে তিন বছরের জেলের সাজা এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানা শোনাল আদালত। এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) রাজকোটে।
রাজকোটের জেলা পঞ্চায়েতের সার্কল ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন প্রাক্তন পুলিস ইন্সপেক্টর জয়সুখ ভরদ। ১৯ বছর আগে জমির চরিত্র বদলের পরামর্শ দিয়ে জনৈক অর্জন খিমানিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। খিমানিয়া ঘুষ দেওয়ার ঘটনা আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন দুর্নীতি দমন শাখায়। ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যান জয়সুখ। কিন্তু এর পরেও জয়সুখের দাবি তিনি মোটেও ঘুষ নেননি। খিমানিয়ার কাছে তাঁর এক পরিচিত এক হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকাই জয়সুখের মাধ্যমে শোধ করেছেন তিনি।
আদালত খিমানিয়ার বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হবে না, তা জানতে চায়। সেই মামলা চলছিল। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সেই মামলায় রায় দিয়েছে রাজকোটের বিশেষ আদালত। তত দিন চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করে বর্তমানে বাড়িতেই দিন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন জয়সুখ। এমন সময় তিনি জানতে পারলেন, আদালত সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী ৩ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে এবং একই সঙ্গে ৮ হাজার জরিমানাও দিতে হবে তাঁর।
রিলস (Reels) করার খেসারত! রিলসের নেশা এতটাই যে এবারে এই রিলস বানাতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হল নেপালের এক ২০ বছরের যুবককে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রেন দেখতে গিয়ে রেল ট্র্যাকে রিলস বানানোর সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, নেপালের এই যুবকের নাম প্রকাশ মঙ্গল বিকে। তিনি নেপালের কৈলাসনগরের বাসিন্দা। তবে তিনি বর্তমানে গুজরাটে থাকতেন। প্রকাশের দাদা অনিল জানিয়েছেন, জীবনে এর আগে একবারও ট্রেন দেখার সুযোগ পাননি তাঁর ভাই প্রকাশ। তাই প্রকাশ তাঁকে ও বন্ধুদের বলেছিলেন, ট্রেন দেখাতে নিয়ে যেতে। এরপর তাঁকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে যান সতভল্লা ব্রিজের নীচে। সেখানে ট্রেন দেখে উন্মাদনা ধরে রাখতে পারেননি প্রকাশ। ফলে ট্র্যাকে দাঁড়িয়েই রিলস ভিডিও বানাতে বলেন তাঁর ভাই। আর তখনই পিছন থেকে গান্ধীধাম এক্সপ্রেস এসে প্রকাশকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃ্ত্যু হয় প্রকাশের।
অবাক কাণ্ড! কুকুরদের তাড়া খেয়ে পালালো বনের রাজা! এ কি কখনও সম্ভব? তবে শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে গুজরাটের গির সোমনাথ নামক গ্রামে। আপনাার সবসময় দেখেছেন সিংহকে হরিণ, ছাগলদের শিকার করতে। কিন্তু এখানে ঘটেছে এর একদমই উল্টো। এখানে শিকার করা দূর কোনওরকমের কোনও হুঙ্কারও করল না সিংহ, বরং রাস্তা থেকেই তাকে তাড়িয়ে বিদায় করল কুকুরের একটি দল।
সম্প্রতি এই ঘটনারই একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, গুজরাটের গির সোমনাথের গ্রামের এক রাস্তায় রাতের দিকে এক সিংহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তখনই সেই জায়গার কিছু কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে করতে তাকে তাড়া দিয়ে বিদায় করে। তারপর সিংহ সেখান থেকে সামনে থাকা গরুর দিকে ছুটে পালিয়ে যায়।
এই ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ২০ হাজারের বেশি ভিউ এসেছে। সিংহের এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনরা। নেটিজেনদের কেউ লিখেছেন, 'একতাই শক্তি।' কেউ আবার কুকুরদের এমন সাহস দেখে তাদের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে সিংহের এরূপ দেখে মজাও করেছেন নেটিজেনরা। কেউ বলেছে, এই জায়গায় সিংহের বদলে লেপার্ড থাকলে বিষয়টা অন্যরকমের হত।
বিয়ে চলাকালীন ছাদনাতলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হল কনের। উভয় পরিবারের সম্মতিতে তড়িঘড়ি শ্যালিকার সঙ্গে বিয়ের (Wedding) পিঁড়িতে বসলেন হবু বর। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) ভাবনগর এলাকায়।
ভগবানেশ্বর মহাদেব মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের। উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রিতরা। হবু বর বিশাল এবং মৃতা তরুণী হেতাল সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেও পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যুগলের মালাবদল, সাত পাকে বাঁধা পড়ার আনন্দে মেতে উঠেছিল উভয়পক্ষ। একের পর এক নিয়ম পালনও করছিলেন কনে। গানবাজনা, হৈচৈ-এর মাঝে আচমকা তাল কাটে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাদনাতলাতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়লেন হেতাল। হুলুস্থুলু কাণ্ড ঘটে গেল বিয়ের আসরে।
তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুসারে বিয়ের পিঁড়ি থেকে বরের ফিরে যাওয়া অশুভ। তাি কনের বোনকে রাজি করানো হয় বিয়ের জন্য। শেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর মৃতের শেষকৃত্য করেন পরিবারের সদস্যেরা। কনের মৃত্যুর খবরে মুহূর্তের মধ্যে বিয়ের আনন্দ বদলে যায় বিষাদে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে পরিবারকে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
গুজরাতে (Gujarat) গাড়ি দুর্ঘটনায় (Jeep Accident) একসঙ্গে প্রাণ হারালেন ৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পাটান জেলার বারাহিতে। জানা গিয়েছে, গাড়িটি দ্রুত গতিতে এগোচ্ছিল। সেসময় পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে সজোরে ধাক্কা মারে জিপ গাড়িটি। বুধবার বিকেলের এই ঘটনার নিহতদের (Death) মধ্যে রয়েছেন ৪ জন মহিলা আর আহত হয়েছেন ৮ জন।
ঘটনার সময় জিপটি ১৫ জনকে নিয়ে বারাহি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। টায়ার ফেটে যাওয়ায় জিপের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আর গিয়ে ধাক্কা মারেন ট্রাকে। রিপোর্ট অনুসারে, মৃত ব্যক্তিরা হলেন সামজুভাই ফুলওয়াদি (৫০), দুদাভাই রাঠোর (৫০), রাধাবেন পারমার (৩৫), কাজল পারমার (৫৯), অমরুতা বানজারা (১৫) এবং পিনালবেন বানজারা (৭)৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। আহতদের উদ্ধার করে রাধনপুর ও পাটনের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিস সুপার কেকে পান্ডিয়া। পুলিস আধিকারিক আরও বলেছেন যে, শুরু হয়েছে তদন্ত। উভয় গাড়ির চালক দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মোটর যান আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে।