বকেয়া মহার্ঘভাতা, স্বচ্ছ নিয়োগসহ একাধিক দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অব্যাহত আন্দোলন। জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ ২৩ দিন ধরে চলছে তাদের লাগাতার অনশন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এলনা সুদিন। অনশনের ৫২৩ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও হুঁশ ফিরল না সরকারের। এই আবহে সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণায় যেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের আগুনে হয়েছে ঘৃতাহুতি। যেখানে ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি, সেখানে সামান্য ৪ শতাংশ ডিএ প্রদান করা মাননীয়ার মহানুভবত নয়। রাজ্যসরকার মূলত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের চাপে বাধ্য হয়ে এই ৪ শতাংশ ডিএ প্রদানের সিদ্ধন্ত নিয়েছে। দাবি আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্য মহার্ঘভাতা প্রদান করছে না। এমনকি অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ করার দিকেও ভ্রুক্ষেপ নেই মাননীয়ার।সরকারের এই উদাসীনতার যোগ্য জবাব দিতেই আগামী দিনে একাধিক কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।আবারও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
মার্চের শুরুতেই আবার রাস্তায় নামবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ মার্চ (রবিবার) মহামিছিল এবং মহাসমাবেশ হবে। প্রথমে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনারে মিছিল আসবে। তারপর শহিদ মিনার চত্বরে জনসভা করা হবে। সেখানে কারা কারা আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে অতীতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভায় একাধিক নেতা যোগ দিয়েছিলেন।
বড়দিনের আগেই বড় খবর রাজ্যবাসীর জন্য। অবশেষে ডিএ বৃদ্ধির (DA Hike) ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছর শুরুর আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হল মহার্ঘ ভাতা। ১ জানুয়ারি থেকেই এই বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অ্যালেন পার্কের 'ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালে'র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উৎসবের মরশুমে খুশির খবর। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটালো মোদী সরকার (Modi Government)। দীপাবলির আগেই বৃদ্ধি করা হল মহার্ঘ ভাতা (DA Hike)। সূত্রের খবর, ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে ডিএ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা ৪২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও এই বিষয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হবে।
সূত্রের খবর, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ বুধবার একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার গত ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ কার্যকর হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাস থেকেই বেতন বাড়বে তাঁদের। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ধিত ডিএ-র টাকা যুক্ত হবে কর্মীদের বেতনের সঙ্গে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের বকেয়াও কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতনের সঙ্গেই দেওয়া যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকে প্রসব হওয়া পর্যন্ত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন (Maternity Leave) ছুটি দেওয়া হয়। এই সুবিধা বিশেষ করে সরকারি মহিলা কর্মীরাই পেয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে বেসরকারি সংস্থাতেও দেওয়া হয় ছুটি। এবারে 'চাইল্ড কেয়ার লিভে'র (Child Care Leave) মেয়াদ বাড়ানো হল। বুধবার লোকসভায় (LokSabha) ঘোষণা করা হয়েছে, সন্তানদের যত্ন নেওয়া বা চাইল্ড কেয়ার হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা কর্মীরা মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। এখানেই শেষ নয়, সিঙ্গল বাবারাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, সরকারি মহিলা কর্মীরা সন্তানদের যত্ন নেওয়ার জন্য মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। তবে সর্বাধিক দু'সন্তানের ১৮ বছর হওয়া পর্যন্তই এই ছুটি নিতে পারবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা। আবার সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানের জন্য কোনও বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।
জিতেন্দর সিং বলেন, 'কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস নিয়ম ৪৩-সি ধারার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা ও সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরা সর্বাধিক ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভ পাবেন।' আরও জানানো হয়েছে, এই ছুটি সন্তানের দেখভাল, অসুস্থতার জন্য দেওয়া হচ্ছে। পুরো চাকরি জীবনের যে কোনও সময় এই ছুটি মোট ৬ টি ধাপে নেওয়া যাবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government employee) জন্য় খুশির খবর। শীঘ্রই মহার্ঘ ভাতা (DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদী। এক কোটিরও বেশি কর্মীর ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে পারে অর্থাৎ ডিএ-র পরিমাণ ৪২ থেকে গিয়ে দাঁড়াবে ৪৫ শতাংশে। তবে এই ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশনে’র সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের তরফে বলা হয়েছে তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।’’
কেন্দ্রের হারে ডিএ-র দাবিতে সরব পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে আইনি লড়াইও চলছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই মামলা। ডিএ-র দাবিতে কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচে সরকারি কর্মীদের অবস্থান বিক্ষেভও চলছে। তাই সবদিক চিন্তা ভাবনা করে তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো হতে পারে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
একবছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave) পাবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা, এমনটাই জানালেন সিকিমের (Sikkim) মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধুমাত্র মহিলারাই নন, তাঁদের পাশাপাশি ছুটি পাবেন পুরুষ কর্মীরাও। কিন্তু পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় থাকছে মাত্র এক মাস।
বুধবার সিকিম স্টেট সিভিল সার্ভিস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসসিএসওএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণ দিয়ে গিতে মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সরকারি মহিলা কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই পরিষেবার নিয়মগুলিতে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সন্তান ও পরিবারের ভালোমত যত্ন ও পরিচর্যা করার জন্য়ই এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম সরকার।
প্রসঙ্গত, সিকিমের পুরনো আইন ম্যাটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট ১৯৬১-এর অধীনে সিকিমে সরকারি মহিলা কর্মীরা ২৬ সপ্তাহের বেতন সহ ৬ মাসের ছুটি পেতেন। এবারে সেই ছুটির মেয়াদই বাড়ানো হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অফিসাররা রাজ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ড, তাঁরা সিকিম এবং এর জনগণের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।' ফলে তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছিল সরকারি কর্মচারীদের (Government Employee) একটি সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutha Mancha)। তাতে অবশ্য কোন লাভ হয়নি। এরপর ওই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে ওই সংগঠনের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভবিষ্যতে তাঁদের আন্দোলন দীর্ঘতম হবে।
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ৪ মে আন্দোলনকারীরা ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই মিছিলেন অনুমতি দেয়নি পুলিস। পুলিস প্রশাসনের কাছে মিছিলের অনুমতি না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল যৌথ মঞ্চ। মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে তারা। সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মিছিলের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
ডিএ আন্দেলনকারীরা ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করতে চান। কিন্তু পুলিস সেই মিছিলের অনুমতি দেননি। মিছিল করার অনুমতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এই মিছিলের বিরোধিতা করে পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এই মিছিল হলে কলকাতা কী ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে, সাধারণ মানুষের কী অসুবিধা হবে- তা তুলে ধরতেই এই পাল্টা মামলা বলে জানা গিয়েছে।
এ নিয়ে ডিএ-এর দাবিতে ধর্মতলায় ধর্না দেওয়া আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন নবান্ন অবধি মিছিলের পাশাপাশি ৬ মে হাজরা থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট অবধি পৃথক মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁরা বলেছেন, '৬ মে মিছিলের প্রস্তুতি হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনভেনশন ও পথসভার আয়োজন করা হবে। বর্তমান সরকারে দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকাররে মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মতো দুয়ারে আন্দোলন করতে চাইছি আমরা।'
কেন্দ্রীয় সরকারি (Government Employee) কর্মচারীদের জন্য নতুন ঘোষণা। আরও ১২ দিন বাড়ানো হলো সরকারি কর্মচারীদের বার্ষিক ছুটি। তাই এখন কেন্দ্রীয় কর্মীরা আগের থেকে ১২ দিন বেশি ছুটি পাবেন। কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা অঙ্গ দান করার পরে ৪২ দিনের একটি বিশেষ ছুটি (Special Leave) পাবেন।
ডিওপিটি-র (DOPT) জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যেকোনও কর্মচারীর শরীরের কোনও অংশ দান করলে তাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। যার ফলে ওই ব্যক্তির সুস্থ হতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। তাই তাঁদের সাহায্য করার জন্য বার্ষিক ৩০ দিনের ছুটি বাড়িয়ে ৪২ দিন করা হয়েছে। আর এই নিয়মটি নির্ধারণও করা হয়েছিল। তবে তা কার্যকর হয়েছে ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩ সালে।
তবে এই নিয়মটি সব কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়, জানাল ডিওপিটি। এই নিয়ম কোনও রেল কর্মচারী ও অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এমনকি সরকারের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দাতার অঙ্গ অস্ত্রোপচারের জন্য এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফের কাজে দেওয়ার জন্যই এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে চিকিত্সকের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই ছুটি দেওয়া হবে এবং হাসপাতালে ভর্তির সপ্তাহ আগেই এই ছুটি নিতে পারবে দাতা।
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে শহিদ মিনারে (Sahid Minar) অবস্থান বিক্ষোভের ২৫ দিন। পাশাপাশি লাগাতার অনশনের (Fast onto Death) ১১তম দিন। এই আন্দোলনের মধ্যেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সোমবার এবং মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। এই দু'দিন কোনও সরকারী এবং সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানে কাজ হবে না। নবান্নের (Nabanna) উপর চাপ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। ৩০টির বেশি সরকারি কর্মীদের সংগঠন এই যৌথ মঞ্চের সদস্য। সেই কর্মবিরতির (Cease Work) প্রথম দিন শহরের একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান ঘুরে কর্মবিরতির সমর্থনে অনুপস্থিতির ছবিই দেখা গিয়েছে।
মহাকরণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, খাদ্য ভবন, বিকাশ ভবন, নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের মতো একাধিক জায়গায় কর্মবিরতির সমর্থনে সরকারি কর্মীদের 'নিষ্ক্রিয়' (পেন ডাউন) হয়ে বসে থাকার দৃশ্য চোখে পড়েছে। অনেক জায়গায় আবার সই করে কর্মীদের বেড়িয়ে যেতেও দেখে গিয়েছে। এই কর্মবিরতি রুখতে ইতিমধ্যে কড়া সার্কুলার জারি করেছে অর্থ দফতর। কিন্তু সেই সরকারি সার্কুলার উপেক্ষা করেই চলছে পাহাড়-জঙ্গলমহল, পুরুলিয়া থেকে বসিরহাট কর্মবিরতি। এমনটাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক সদস্যের দাবি।
এদিকে, টানা ১১দিন অনশনে থাকা এক মহিলা সোমবার শহিদ মিনারের মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক আন্দোলনকারী জানান, 'প্রতিদিন কেউ না কেউ অসুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসা হচ্ছে না। সরকার নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছে। এটা কী অমানবিক রূপ।'
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা DA-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের অবস্থান আন্দোলনের ১৯তম দিন। পাশাপাশি অনশন কর্মসূচির পঞ্চম দিন। ইতিমধ্যে দু'জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এতেও থামবে না আন্দোলনের ঝাঁঝ, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে ডিএ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরকারি কর্মচারীদের ৩৪টি সংগঠনের এই মঞ্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে গত প্রায় তিন সপ্তাহ অবস্থান আন্দোলন করছে। আগামি দু'দিনের মধ্যে সরকার বকেয়া ডিএ না মেটালে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। এই মর্মে তারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখছে।
বকেয়া ডিএ না মেটালে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না কোনও সরকারি কর্মচারী। এমন হুঁশিয়ারি রাজ্যের প্রতি ছুড়ে দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। এদিকে, এই আন্দোলন মঞ্চ থেকে স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। DA অবস্থান মঞ্চ থেকে ৭০০ কোটি টাকার পোশাক দুর্নীতি হয়েছে বলে ব্যানারে অভিযোগ সরকারি কর্মীদের।
অভিযোগ, একজন পড়ুয়ার প্রতি পোশাকের জন্য বরাদ্দ ৬০০ টাকা। যে মানের পোশাক দেওয়া হয়, তার মূল্য আড়াইশো টাকার বেশি নয়। রাজ্য প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ২ কোটি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। প্রতি পড়ুয়াপিছু ৩৫০ টাকা করে কাটমানি খাওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৭০০ কোটি টাকা কাটমানি কার পকেটে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে সরব DA অবস্থান মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।
শহীদ মিনারের পাদদেশে বকেয়া ডিএ-র (DA Agitation) দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের অবস্থান বিক্ষোভ শনিবার নবম দিনে পড়ল। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ১টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন চলবে। এরপরেও যদি সরকার থেকে কোনওরকম পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে পরবর্তী দিনে এই অনশন বৃহত্তর আকার ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি কর্মচারী ফেডারেশনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Government Employee Federation)। এখনও পর্যন্ত ৩০টির বেশি সংগঠন এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। এদিন ধর্নাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে অবস্থানরত সরকারি কর্মীরা নানারকম গান বা প্যারোডি বেঁধে সরকারকে তাঁদের অভিযোগের কথা জানানোর চেষ্টা করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, 'আমরা ২৭-শে জানুয়ারি থেকে এই বিক্ষোভ করছি। এক তারিখ রাজ্যজুড়ে ২ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলাম। সরকারি স্কুল, কলেজ,অফিস; সব জায়গায় তা পালিত হয়েছে।'
তাঁদের হুঁশিয়ারি, 'সরকার যদি এরপরেও তাদের কথা না শোনেন তবে এই বিক্ষোভ আরও দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্রতর হবে। এই বিক্ষোভ শুধুমাত্র ডিএ-র দাবিতে নয়, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেও।' তাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ চাইছেন। হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে তাঁরা জয়লাভ করলেও সরকারি মহল থেকে বলা হচ্ছে, বকেয়া ডিএ প্রদান সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই অভিযোগেও সরব আন্দোলনরত সরকারী কর্মীরা। তাঁদের আশা, 'আগামী দিনে সরকার, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে, তাঁরা সেখানেও জয়লাভ করবেন।'
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা DA-র দাবিতে বৃহস্পতিবারও শহিদ মিনারে চলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না (Agitation)। এই ধর্নায় অংশ নিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী (State Government Employees) ও অবসারপ্রাপ্তদের (Pensioner) ২৮টি সংগঠন। প্রায় ছয় দিন চলছে তাঁদের ধর্না কর্মসূচি। জানা গিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৪০ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। মহার্ঘ ভাতা-র দাবিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠন বুধবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। এই দু'ঘন্টার জন্য রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, সরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি দফতরে কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মী এবং অবসারপ্রাপ্তদের ২৮টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।
অভিযোগ, ঘাটাল থেকে শুরু করে মুশির্দাবাদ, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভয় দেখিয়েছে শাসকদল। এক গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান স্কুলের দরজা তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। এই অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদে তারা বৃহস্পতিবার কালা দিবস পালন করছেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী যদি তাদের এই দাবির উপর বিশেষ ভাবে দৃষ্টিপাত না করেন, তবে তাঁরা আরও বড়সড় কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন এমনটাই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা।
চাকরি চেয়ে পুলিসের 'কামড়' খাওয়ার মাসেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) চেয়ে জুটলো পুলিসের 'ঘুসি'। বুধবার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের (Government Employee) বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার রাজপথে। পুলিস-আন্দোলনকারী ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র বিধানসভার (Bengal Assembly) ২ নম্বর গেট চত্বর। যদিও আন্দোলনকারীদের আটকাতে আগেভাগেই বিধানসভা গেট বন্ধ করে দেয় পুলিস। রানী রাসমণি অ্যাভেনিউতে বসানো হয় ব্যারিকেড। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিস বাহিনী এবং প্রিজন ভ্যান। বামপন্থী কর্মী সংগঠনের এই মিছিলের একটি অংশ লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে পুলিসের দুটি ব্যারিকেড ভেঙে বিধানসভা দু'নম্বর গেটের সামনে আসতেই ধুন্ধুমার। এক আন্দোলনকারীর পেটে-ঘাড়ে ঘুসি মারার অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের রেয়াত করা হয়নি বলেও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
এমনকি, মহিলাদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ। এই ধস্তাধস্তিতে একাধিক পুলিসের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। পুলিসি এই 'অতিসক্রিয়তাকে' ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে করা এই আন্দোলনে পুলিসও উপকৃত হবে। তাহলে কেন এই আটক এবং গ্রেফতারি? প্রশ্ন তোলেন সরকারি কর্মীরা। এদিন দু'নম্বর গেটের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে আন্দলনকারীদের চশমা, পেন।
যদিও পুলিসি ধরপাকড়ে দু'নম্বর গেট চত্বর ফাঁকা করে স্বাভাবিক করা হয় পরিস্থিতি। যেহেতু এই আন্দোলনের সময় বিধানসভার অধিবেশন চলছিল, তাই আরও বেশি সতর্ক ছিল পুলিস, এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এদিন মূলত তিন দফা ৩০টি বামপন্থী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল। বকেয়া ডিএ, শূন্যপদে নিয়োগ এবং সরকারি দফতরে স্থায়ীকরণের দাবিতে সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যরা পথে নামেন। এঁদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উৎসবের মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Central Government Employee) জন্য সুখবর। ফের তাঁদের একপ্রস্থ ৪% হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) বাড়তে চলেছে। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুসারে এই মহার্ঘ ভাতা বাড়াতে চলেছে মোদী সরকার (Modi Government)। কেন্দ্রের এই ঘোষণায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%। কেন্দ্রের এই ঘোষণায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী এই সুবিধা পেতে চলেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা আগেই ৩৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পেতেন। রাজ্য সরকার সেখানে ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ঘোষণার ফলে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মহার্ঘ ভাতার ব্যবধান বেড়ে আরও বাড়ল।
এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। মহার্ঘ ভাতা প্রদান নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই আর্জি খারিজ করেছে। তারা জানিয়েছে, মে মাসের রায় বহাল রেখেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে।
যদিও রাজ্যের তরফে অর্থাভাবের যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ হয়েছে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে পুজোর আগে কয়েক হাজার সরকারি কর্মীর মুখে হাসি ফুটবে। এমনটাই মনে করছেন সরকারি কর্মীদের সংগঠন।
DA বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (Mamata Government)। বকেয়া ডিএ প্রদান সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের। মে মাসের রায় বহাল রেখেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে বৃহস্পতিবার আবার জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে অর্থাভাবের যুক্তি দেওয়া হলেও, সেই যুক্তি খারিজ হয়েছে আদালতে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে পুজোর আগে কয়েক হাজার সরকারি কর্মীর মুখে হাসি ফুটবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবে তারা। তাই আগেভাগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে সরকারি কর্মী ফেডারেশন। যাতে তাঁদের না জানিয়ে কোনও শুনানি না হয় আদালতে। কর্মী সংগঠনের দাবি, 'শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়বে সরকারের। বরং সুপ্রিম কোর্ট সুদ-সহ বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিতে পারে। কারণ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে কেন ডিএ বকেয়া রাখা যাবে না।'
সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একজন জানান, ২০১৬ থেকে স্যাট, হাইকোর্ট, হাইকোর্ট স্যাট করে বকেয়া ডিএ প্রদান দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছে। বরং রাজ্যকে কটাক্ষের সুরে হাইকোর্ট বলেছে আপনারা নতুন করে আবেদন করছেন কেন? রায় পুনর্বিবেচনা মানে আগের রায়ে কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে সেটা সংশোধন। তাই আপনাদের এই আবেদন গৃহীত নয়য়। ২০ মে ২০২২-র রায় মেনেই ডিএ দিতে হবে।'
তিনি জানান, আমরা কোয়ান্টাম অফ ডিএ চাইনি। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স মেনে প্রাপ্য ডিএ চেয়েছি। এদিকে, আদালত অবমাননার একটি পৃথক মামলা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানি ৯ নভেম্বর হবে। মে-অগাস্ট তিন মাসের মধ্যে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও, সেই রায় মানেনি সরকার। তাই আদালত অবমাননার এই মামলা।