১০০ দিনের কাজের বকেয়া না মেটালে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৬ নভেম্বর বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপের।
নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর ফের পঞ্চায়েত, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ব্লক প্রেসিডেন্ট, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে মিটিং করবেন তিনি। বেলা ১২টার সময় বৈঠক হবে। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দিলে আন্দোলন বৃহত্তম পর্যায়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর।
রাজ্য চালু হতে চলেছে 'এক পরিবার, এক পরিচিতি'। অর্থাৎ একটা পরিবারের একটাই পরিচয় পত্র থাকবে। সেরকমই অন্য ধরনের আইডি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয়,সেজন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আসলে এই বিশেষ আইডি হবে তথ্যভাণ্ডার। যেমন আধার কার্ডে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়, রাজ্যবাসীর জন্য তৈরি বিশেষ আইডিতে থাকবে গোটা একটা পরিবারের তথ্য। পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য, তাঁদের কে কোন সরকারি পরিষেবার সুবিধা পান ইত্যাদি বিষয়গুলি।
জানা গিয়েছে, যেসব পরিবার সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তাঁদেরই এই ইউনিক আইডি কার্ড দেবে রাজ্য সরকার। তবে, অন্যদেরও ফেরাবে না সরকার।
কী সুবিধা রয়েছে কার্ডের ?
এই কার্ড চালু হলে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের আলাদা আলাদা নথি জমা দিতে হবে না। একটা কার্ডেই সব তথ্য থাকলে, আলাদা কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে না। এতে সময়ও বাঁচবে অনেকটা।
বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা আর সরাসরি পাবে না রাজ্য। এবার থেকে সেই টাকা থাকবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। অর্থাৎ, এতদিন যে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে কিংবা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের অ্যাকাউন্টে টাকা মজুত থাকত, তা আর হবে না।
নতুন নিয়মে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে প্রকল্পের প্রতিটি পর্বে বরাদ্দ টাকা নেওয়ার সময় হিসাব বুঝিয়ে দিতে হবে। খুব শীঘ্রই এই নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনেকে মনে করছেন, এই নতুন নিয়ম চালু হলে, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আর অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য।
অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ-সহ প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি করে নোডাল এজেন্সি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে একটি করে অ্যাকাউন্ট খুলবে। বরাদ্দের পর ‘পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিস’-এর মাধ্যমে টাকা পাঠাবে অর্থ মন্ত্রক। এরপর প্রকল্পের অগ্রগতির উপরে নির্ভর করে টাকা দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এখন এই নিয়ম আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় অর্থে পরিচালিত প্রকল্পগুলিতে। পরে কেন্দ্রীয় অনুদান প্রকল্পগুলিতেও একই নিয়ম আনা হবে।
বারবার অভিযোগ উঠেছে, এক খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করছে রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গেই সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। শুধু তা-ই নয়, অব্যবহৃত টাকা শুধু অ্যাকাউন্টে রেখে দেওয়ায় সুদও ‘অনৈতিক ভাবে’ ব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নতুন নিয়ম চালু হলে এ কাজগুলি করা সব রাজ্যের পক্ষেই কঠিন হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে অশান্তি। কিন্তু রোজ কেন বাড়ছে এই খুনোখুনি? তাঁর কারণ আরও স্পষ্ট করে জানতে রবিবার নিজের কোচবিহার (Cooch Behar) সফরে বিএসএফ (BSF) কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল (Goverment) সিভি আনন্দ বোস। সিতাইয়ে গিয়ে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মূলত জানতে চান, সীমান্ত ঘেষা এই জেলায় ভোটের আগে অশান্তির বাড়বাড়ন্ত কেন?
পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণা থেকেই সীমান্তবর্তী উত্তরবঙ্গের এই জেলা অশান্ত। বিশেষ করে দিনহাটা থেকে রোজই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার গীতালদহে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি জেলা সফরে পঞ্চায়েতের প্রচার করতে এসে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকছে দুষ্কৃতীরা।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সিতাই বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। শনিবারই দিনহাটায় তিনি জানান, পঞ্চায়েতে হিংসা তিনি রুখবেনই। তার জন্য তাঁকে যেখানে যেতে হবে, সেখানেই যাবেন। তাঁর এই ঘোষণার পরেও রবিবার উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা।
মেয়াদ বৃদ্ধি রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi)। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হিসেবে তাঁর মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Goverment)। শুক্রবারই তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়াদবৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠি না-আসায় প্রশাসনিক মহল খানিকটা উদ্বেগে ছিল। কিন্তু তার সঙ্গেই আশাবাদীও ছিল যে, শুক্রবার দিন শেষের আগেই ওই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র এসে যাবে। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে। দ্বিবেদীর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না। সেদিক দিয়ে আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ, প্রশাসনে দ্বিবেদী তাঁর ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত।
মুখ্যসচিব পদে তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন দ্বিবেদীও। গত কয়েকদিন তিনি সে ভাবে কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। যখন দ্বিবেদীর মেয়াদ না-বাড়লে গোপালিকার নামই পরবর্তী মুখ্যসচিব হিসেবে সবচেয়ে আগে বিবেচিত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, দ্বিবেদীর মেয়াদ যাতে না-বাড়ে, তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি যে দ্বিবেদীর ‘পক্ষে’ নন, তা একাধিক বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। বিবিধ অধিযোগও তিনি এনেছিলেন দ্বিদেবীর বিরুদ্ধে। এবং তা-ও প্রকাশ্যেই।
তিন বছরের বদলে চার বছরের স্নাতক (Graduation)। অবশেষে জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর বসিয়ে দিল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। নতুন নিয়মে চার বছর পর সরাসরি গবেষণায় সরাসরি যোগ দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সব সরকারি (Goverment) এবং বেসরকারি কলেজে (College) এই নীতি কার্যকর করা হবে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে তা চালু হবে।
গত ২৪ মে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। তার আগেই বুধবার রাজ্যের কলেজগুলিতে চার বছরের স্নাতকের ঘোষণা করল শিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে অভিন্ন পোর্টালে অবশ্য এই বছর ভর্তি প্রক্রিয়া হবে না। শিক্ষা দফতরের এই ঘোষণায়, কলেজগুলি নিজ নিজ পোর্টালেই ভর্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ও জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে।
সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee) সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে। হাওড়ার সভা থেকে এমনি হুঙ্কার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। পূর্বেই তিন দফা দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি (CO-Ordination Comitee)। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচি থেকেই সরকারকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি, শূন্যপদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও প্রতিহিংসামূলক বদলি নীতি-এই তিন ইস্যুকে সামনে রেখেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। বাম সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে ছিল যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের বাইরে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকে বঙ্কিম সেতু ধরে আন্দোলনকারীরা হাওড়া ময়দানে পৌঁছন। পুলিসের অনুমতি না মেলায় হাওড়া ময়দানে সভা করেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। সেখানে মঞ্চ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন আন্দোলনকারীরা।
নবান্ন যেতে না দিলেও এই কর্মসূচি পুরোপুরি সফল বলে দাবি করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, 'আজ মিছিল করে প্রমাণ করে দিয়েছি, সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে।' আজ জনসভা চলাকালীন তিনজন প্রতিনিধিকে নবান্নে ডেপুটেশনের অনুমতি দেওয়া হয়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান চলছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা সেখান থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন।
গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ঠিকানা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের (Tughlak Lane) সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ (MP)। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোয় তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউসিং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময় বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।
শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলাটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউসিং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া গুলাম নবি আজ়াদ অবশ্য এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
ডিএ (DA) জট কাটাতে এবার আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের (Goverment Employee) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার (State)। একটি নির্দেশিকা দিয়ে তাঁদের এ কথা জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় তাঁদের দু'জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে নবান্নের ১৩ তলায়। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ঠিক ওখানেই অর্থ সচিব এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভালো দীর্ঘ ২ মাসের উপর এই আন্দোলন চলছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলনের পথ বেছে নেন। সূত্রের খবর, ওই সরকারি কর্মচারীদের আরও বেশ কিছু দাবি নিয়ে শুক্রবার আলোচনা হতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক কর্তা বলেন, ডিএ ধর্মঘট পালন করায়, চার জন সরকারি কর্মচারীকে নবান্ন থেকে বদলি করা হয়। এদিন তাঁদের পুনরায় নবান্নে ফেরানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সূত্রে আরও খবর, ডিএ ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয় যেখানে বলা হয়, ১৭ ই এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে, ডিএ জট কাটাতে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সেই নির্দেশ মানা না হলে ফের আদালতে যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারপরে আদালত নির্দেশ দেয় ১০ দিনের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সেইমতো শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের পর, নবান্নের ১৩ তলায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে ওই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দুজন কর্তাকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
'জুতো মেরে গরু দান, চাই না।' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নববর্ষের শুভেচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান (Rejection) করে দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নববর্ষের শুভেচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করল সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee)। তারপর এমনটাই বললেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে শহীদ মিনারের নিচে আন্দোলন চলছে সরকারি কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের।
এই ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলন যেমন গড়িয়েছে অনেক দূর, ঠিক তেমনই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখে তাদের নিয়ে তীর্যক আক্রমণ বেড়েছে। সম্প্রতি রেড রোডের ধরণা মঞ্চ থেকে ওই কর্মচারীদের 'চোর-ডাকাত' বলে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার এই বক্তব্যের পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়ায় কলকাতা-সহ শহরতলি এলাকাগুলিতেও। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। এই শুভেচ্ছা গ্রহণ করেননি ওই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কেউই। এবিষয়ে শনিবার অর্থাৎ নববর্ষের দিন ওই সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষে কিঙ্কর অধিকারী বলেন, 'অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ক্ষমা চাওয়া, উনি ক্ষমা না চেয়ে, জুতো মেরে গরু দান করছেন। এই শুভেচ্ছা বার্তা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।' এছাড়া শনিবার তিনি জানিয়ে দেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
মনি ভট্টাচার্য: সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে, এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ গৃহশিক্ষকরা (Private Tutor)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) রাজ্যের ৩২ জন সরকারি স্কুল শিক্ষকের (Goverment Teacher) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যদের দাবি, যারা বেআইনি প্রাইভেট টিউশনে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ, শিক্ষা দফতর, সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বারবার, এ বিষয়ে জানিয়ে কোনও লাভই হয়নি। তাই এবার অভিযুক্ত সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাজ্যের শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ তাঁরা।
২০১৮ সালে মার্চ মাসের ৮ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সরকারি স্কুল শিক্ষকরা কোনওভাবেই পয়সার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। কিন্তু এই নিয়ম মানা হচ্ছে কই! অভিযোগ সরকারি স্কুল শিক্ষকদের একটি অংশ নির্দ্বিধায় পয়সার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করছেন। সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর অভিযোগ বারবার আনা সত্ত্বেও, সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সিএন -ডিজিটালের তরফে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা, এটা সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শকের ব্যাপার।'
এই মামলায় গৃহশিক্ষকদের পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস বলেন, 'আইনভঙ্গকারী প্রতিটি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ শিক্ষা দফতরের। শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড। তাঁরা যদি আইন ভাঙ্গে, ছাত্ররা কী শিখবে? এই অবস্থায় শিক্ষা দফতর ধৃতরাষ্ট্র হয়ে থাকতে পারে না।' এ বিষয়ে গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন, 'আমরা সরকারি স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধের জন্য ৩২ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন স্কুলে যুক্ত তাঁরা। এরই প্রতিবাদে সারা রাজ্যজুড়ে পথে নেমে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।'
বসিরহাট সীমান্তে রাজ্য সরকারের (Goverment) নাম ভাঙিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Cheat) অভিযোগ। হাতেনাতে পাকড়াও (Arrest) প্রতারক। শনিবার স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতর নাম স্বপন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ, কালার টিভি, খাট ও আলমারি-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কম দামে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করতেন অভিযুক্ত। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর গ্রামের ঘটনা। প্রতারক বছর ৬৩-এর স্বপন চট্টোপাধ্যায় হাবড়ার মোদক পাড়ার বাসিন্দা। বেশ কয়েক মাস ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে ফ্রিজ, কালার টিভি, ওয়াশিং মেশিন, খাট ও আলমারি-সহ সামগ্রী কম পয়সায় দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন গ্রামবাসীদের থেকে।
পুলিস জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা, ৫০০০ টাকা পর্যন্ত তুলেছেন। প্রায় ১৫০ গ্রামবাসীর কাছ থেকে এই টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। শনিবার হাকিমপুর গ্রামে অভিযুক্ত টাকা আনতে গেলে, গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় এবং স্থানীয়রা তাঁর কাছ থেকে উপযুক্ত নথি দেখতে চান। যদিও তিনি বৈধ কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে, ডায়রিতে নামের তালিকা তৈরি করে, তার পাশে গ্রামবাসীদের পাসপোর্ট ছবি লাগিয়ে, এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন প্রতারক। শনিবার তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়।
মনি ভট্টাচার্য: সচিবালয়ের কর্মী ব্লকে গিয়ে কাজ করবে এটা নজিরবিহীন। এমনটাই দাবি নবান্ন (Nabanna) থেকে বদলি হওয়া, ভূমি দফতরের (Land department) কর্মচারী অপূর্ব রায়ের। অপূর্ব বাবু সহ গোটা রাজ্য জুড়ে বহু সরকারি কর্মী (Goverment employee) , কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বা ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে ১০ই মার্চ ধর্মঘটে নামেন। নবান্নের নির্দেশ না মেনে সিংহ ভাগ সরকারি কর্মীই ধর্মঘটে যোগ দেন। সে জন্য রাজ্য জুড়ে বেশ কিছু সরকারি কর্মচারীকে শো-কজ করা হয়। পাশাপাশি ২৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকেও শো-কজ করা হয়েছে। শো-কজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ওই সরকারি কর্মীদের একদিনের বেতন কাটা হবে বলে জানায় নবান্ন কর্তৃপক্ষ। এরপরেও ২৪ মার্চ, শুক্রবার রাতেই নবান্ন থেকে বদলি করা হয়েছে সচিবালয়ের ৬ জন কর্মীকে। এ বিষয়ে শ্রমিক কর্মচারী ও শিক্ষকদের যুক্ত আন্দোলন মঞ্চের দাবি, 'ন্যায্য আদায়ের আন্দোলনে সমর্থন করার জন্যই হয়ত, এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ সরকারের।'
নবান্নের নির্দেশনামাতে নাম রয়েছে অপূর্ব রায়ের। অপূর্ব বাবু উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির বাসিন্দা। নিজের অধিকারের দাবিতে যোগ দিয়েছিলেন ডিএ আদায়ের ধর্মঘটে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ অপূর্ব বাবুকে, নবান্ন থেকে বদলি করে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ব্লকে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সিএন ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে, অপূর্ব বাবু বলেন, 'আমার পরিবারে কেউ কেউ অসুস্থ। আমার বাচ্ছা মেয়ে আছে। ডিএ আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম।' রবিবার তিনি আরও বলেন, 'আমাকে শো-কজ করা হয়েছিল। আমার উত্তর ছিল, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘট করেছি। সেই উত্তর অসন্তোষজনক ছিল সরকারের কাছে।' রবিবার তাঁর বদলির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, 'আমরা ধর্মঘট করেছি, তারপর এই ঘটনাগুলি ঘটেছে। এবার কারণটা সাধারণ মানুষ ও কর্মচারীরা ঠিক করুক।' পাশাপাশি আন্দোলন নিয়ে অপূর্ব বাবু বলেন, 'যা সব চলছে, তার একমাত্র সমাধান কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক সরকার।'
ওই একই তালিকায় নাম আছে বরুণ মিত্রের। বরুণ বাবুও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। নবান্ন থেকে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ২ ব্লকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। বরুণ বাবু রবিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আমরা সরকারি কর্মচারী। সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ করব। ডিএ-এর ন্যায্য দাবিতে ধর্মঘট করেছিলাম। জানিনা কেন আমাকে বদলি করা হলো। '
পাশাপাশি, শ্রমিক কর্মচারী ও শিক্ষকদের যুক্ত আন্দোলন মঞ্চের দাবি, ওই একই তালিকায় ৪ জন তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের অন্যত্র থেকে বদলি করে নবান্নে আনা হয়েছে। আরও খবর যে, এই মঞ্চের তরফে, ৬ জন কর্মচারীর বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে, নবান্নে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি করা হবে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র পার্থক্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। শনিবার ডিএ আদায়ের যৌথ মঞ্চের অনশন আন্দোলন ভাঙলেও তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ এখনও চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য (State) সরকার। আদতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা ঠিক কী? তা জানতে চেয়ে আদালতের (Court) নির্দেশ ছিল, ২৯ মার্চের মধ্যে গাইডলাইন প্রকাশ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য পুলিস। রাজ্য পুলিসের তরফ থেকে নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানানো হলো, এবার থেকে, কোনরকম আইন-শৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ব্যবহার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে এই মর্মে জারি হল সার্কুলার।
নির্দেশিকায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিসকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলানো, বেআইনি পার্কিং রোখা ও মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিসকে সাহায্যকারীর ভূমিকা থাকবে তাদের। প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিসে এখন ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। পাশাপাশি কলকাতা পুলিস এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন। এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন ৯ হাজার টাকা।
৪ শতাংশ মহার্ঘ (Da) ভাতা বাড়ালো কেন্দ্র। মূল্য বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে, সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ৪ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বাড়ালো কেন্দ্র (Central), মোদী সরকার। এর ফলে মহার্ঘ ভাতা ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হলো ৪২ শতাংশ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে, স্বাভাবিক ভাবেই খুশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্রের এই ঘোষণার ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রের মহার্ঘ ভাতার পার্থক্য বেড়ে দাঁড়ালো ৩৬ শতাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে, আদালতেও চলছে মামলা। আদালতের ঘোষণা সত্ত্বেও ডিএ বাড়াতে নারাজ রাজ্য সরকার।
রাজ্যের কর্মচারী সংগঠন গুলির দাবি , ২০২০ সালে ষষ্ঠ পে কমিশন চালু হবার পর, ২০২১ সালে ৩ শতাংশ ডিএ মিলেছিল। তখন কেন্দ্রের ডিএ ছিল ৩৮ শতাংশ। এর পর কেন্দ্র-রাজ্যের ব্যবধান দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশ, এর পর আবার রাজ্য ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ায়, তখন কেন্দ্র-রাজ্যের ব্যবধান ছিল ৩২ শতাংশ। কেন্দ্রের এই ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধিতে কেন্দ্র-রাজ্যের ব্যবধান দাঁড়ালো ৩৬ শতাংশ।