Breaking News
Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি      Fire: দমদমে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন      Bengaluru Blast: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ      Sheikh Shahjahan: 'সিবিআই হলে ভালই হবে', হঠাৎ ভোলবদল শেখ শাহজাহানের      CBI: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের...     

God

Vishwakarma: সৃষ্টির দেবতা বিশ্বকর্মা

সৌমেন সুরঃ আর মাত্র সাতদিন পরে অর্থাৎ ১৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। বিষয়টি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বলেই তথ্যটা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। বিশ্বকর্মা হলেন সবকিছুর স্রষ্টা। এই বিশ্বের সমস্ত কারিগর শিল্পীর প্রধান প্রতিনিধি তিনি। একসময় এই বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ছিল অন্ধকারে পূর্ণ। তখন জল, পৃথিবী, বায়ু, তেজ, স্পন্দন, ধ্বনি ছিল না। জীব পদার্থের অস্তিত্ব ছিল না। সবকিছুই অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। একদিন হঠাৎ ধ্বনি জেগে ওঠে। সংকেত হয়- সৃষ্টির সূচনা আরম্ভ হলো। এক উজ্জ্বল আলোকময় দীপ্তির মধ্যে প্রকাশিত হলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। জন্ম হলো জল,মাটি,বায়ু,গ্রহ,নক্ষত্র, দেবতা, দানব, মানব। জগৎকে যিনি সৃষ্টি করলেন তিনি মহাস্রষ্টা বিশ্বকর্মা।

বেদ বেদান্ত, রামায়ণ, মহাভারত বিভিন্ন পুরাণে বিশ্বকর্মার যে ভাবনা জন্ম নিলো উত্তরকালে তার প্রতিফলন দেখা দিলো। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে যখন আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠলো স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন এলো জীবনযাত্রার। সমস্ত শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কাছে তাদের কর্মের দেবতা হয়ে উঠলেন বিশ্বকর্মা। বৈদিক যুগে যা ছিল অরূপে, একালে তারই প্রকাশ হলো রূপে। বর্তমানে মানুষের জীবনে যন্ত্রের ব্যবহার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আর যন্ত্র অর্থে বিশ্বকর্মা। তাই অনেক বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর মতো বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দেবমূর্তি এনে পুজোর আয়োজন করা হয়। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে যন্ত্রসংক্রান্ত বিষয় শিক্ষা দেওয়া হয় সেখানে বিশ্বকর্মা পুজো হয়।

বিশেকর্মা শুধু যন্ত্র সৃষ্টি করেন না, তিনি জ্ঞানের প্রসারও করেন। কোথাও কোথাও দীপাবলির দিন বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোয় আর এক বৈশিষ্ট্য হলো ঘুড়ি ওড়ানো। ঘুড়ির মধ্যে দিয়ে মানুষ মেলে ধরে নিজেকে অসীম অনন্তে, যা বিশ্বকর্মার মূল ভাবের প্রতীক। এই বিশ্বকর্মা পুজো শুধু বাংলায় নয়, অসম, ত্রিপুরা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের নানা অঞ্চলে প্রচলন আছে, এমন কি দক্ষিণ ভারতের কিছু কিছু আঞ্চলে এই পুজোর প্রচলন আছে।

7 months ago
Shasan: বেআইনি সর্ষের তেলের গোডাউনে হানা, বাজেয়াপ্ত ১০০ টিন সর্ষের তেল

বেআইনি সর্ষের তেলের গোডাউনে (illegal mustard oil godown) হানা (Raid) দিল এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের (EB) আধিকারিক ও পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে শাসন (Shasan) থানার অন্তর্গত গোলাবাড়ি বাজার এলাকায়। ওই বেআইনি গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০টি সর্ষের তেলের টিন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঠিক কি কারণে এত তেল ওই বেআইনি গোডাউনে মজুত করা হয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে ইবি এবং শাসন থানার পুলিস আধিকারিকেরা।  

ইবি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় শাসন থানার গোলাবাড়ি এলাকার একটি গোডাউনে বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে সর্ষের তেল। এই খবর পাওয়ার পরেই জেলা ইবি আধিকারিকেরা হানা দেয় ওই অবৈধ গোডাউনে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করে ১০০টি সর্ষের তেলের টিন, যা থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার লিটার সর্ষের তেল। ইবি আধিকারিকদের দাবি, এই ঘটনায় ওই গোডাউনের মালিক তেল মজুত করে রাখার কোনও কাগজ পত্র দেখাতে পারে না, এমনটাই দাবি ইবি আধিকারিকদের।

9 months ago
Godzilla Ramen: বাটি ভর্তি স্যুপ, তার পাশেই ঝুলছে গডজিলার পা, ভাইরাল 'গডজিলা ব়্যামেন'

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট জিনিস দেখতে পান সারা দুনিয়ার মানুষ। তার মধ্য়ে অন্যতম হল বিভিন্ন ধরনের খাবার। বর্তমানে ফিউশন খাবারের যুগ এসেছে। অর্থাৎ দেখা যায়, এক খাবারের সঙ্গে অন্য ভিন্ন প্রজাতির খাবার তৈরি করতে। আর এইসবই বেশি করে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে দেশেরই বিভিন্ন জায়গায় ম্য়াঙ্গো অমলেট থেকে শুরু করে চকোলেট ম্যাগি, চকোলেট ফুচকা ইত্যাদি তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারে এমন এক খাবার দেখা গিয়েছে, যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। বাটি ভর্তি ব়্যামেন, সঙ্গে ডিম, ভুট্টা, লেবু কিন্তু পাশেই ঝুলছে গডজিলার পা। আর এই দেখেই আঁতকে উঠেছেন নেটিজেনরা (Netizen)।

জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের ইউলিন কান্ট্রির দউলিউ সিটির (Taiwanese Restaurant) এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় এই খাবার তৈরি করা হয়েছে, যা চমকে দিয়েছে সকলকে। এই খাবারের নাম 'গডজিলা ব়্যামেন' (Godzilla Ramen)। এই খাবার তৈরি করার পর এর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। ফলে এই ছবি দেখে নেটিজেনদের অনেকে ঘেন্নায় মুখ সরিয়ে নিচ্ছেন, আবার অনেকে এটি দেখেই শিউরে উঠছেন, এটা খাওয়া তো দূর।

10 months ago


Karnataka: বৃষ্টির দেবতাকে তুষ্ট করতে দুই বালকের বিয়ে,রয়েছে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজনও!

এর আগে সমকামী অর্থাৎ পুরুষ-পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে মহিলার বিয়ে (Marriage) তো অনেক দেখেছেন। তবে কখনও শুনেছেন কি বৃষ্টির দেবতা বা বরুণ দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য ছেলের সঙ্গে ছেলে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে? হয়তো এমন ঘটনা আপনি কখনও দেখা তো দূর, শোনেনওনি। তবে এবারে এমনটাই ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) মান্ড্য জেলায়।

দু'জন ছেলের মধ্যে একজনকে বর ও অন্য একজনকে কনে সাজিয়ে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে দিল গ্রামবাসী। শুধু বিয়েই নয়, বিয়ের পর বেশ খাওয়া-দাওয়ারও এলাহি আয়োজন। জানা গিয়েছে, মান্ড্য জেলার কৃষ্ণরাজপেট তালুকার গঙ্গেনাহাল্লি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীদের কথা অনুযায়ী, বৃষ্টির ঘাটতি মেটাতে ও বৃষ্টির দেবতাকে তুষ্ট করতে বিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই বালকের। দুই বালকের পরিবার ও গ্রামবাসী মিলেই তাদের বিয়ের আয়োজন করেছে। শুক্রবার রাতে তাদের এই বিয়ে হয়েছে। সেই গ্রামবাসীদের বিশ্বাস দুই বালকের বিয়ে দিলেই নাকি বরুণ দেবতা তুষ্ট হবেন ও সেখানে বৃষ্টি পড়বে।

গ্রামবাসীরা বলেন, 'এটি বৃষ্টি দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য এবং বৃষ্টি আনার জন্য একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে এটি করা হয়েছে। বিয়ের পরে একটি ভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে।' তাঁরা আরও বলেন, 'রাজ্যে বর্ষা দুর্বল, তাই গত বছরের তুলনায় বৃষ্টির অভাব রয়েছে। এর কারণে, রাজ্যের লোকেরা পুরানো ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। এককথায় দুই বালকের এই বিয়ে নিয়ে বেশ আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। 

10 months ago
Sabarmati: ১৭ বছর জেলে! গোধরা-কাণ্ডের ৮ আসামিকে জামিন সুপ্রিম কোর্টের

গোধরা মামলায় (Godhra train burning case) ৮ জন সাজাপ্রাপ্তকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে চার সাজাপ্রাপ্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেদিনই এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্তরা ১৭ বছর জেলে রয়েছেন, সেদিকে তাকিয়ে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের S-6 কামরায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। এদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে তাঁরা ওই ঘটনার শিকার হন। তার জেরে সমস্ত গুজরাটে ছড়িয়ে পরে হিংসা। ঠিক তার পরের দিন গান্ধীনগরের পালিয়াদ গ্রামে জ্বলে ওঠে গোষ্ঠী হিংসার আগুন। আক্রান্ত হয় বহু সংখ্যালঘু পরিবার। অভিযোগ ছিল যে, গোধরার সেদিনের ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছিল অভিযুক্তরা। ট্রেনের ওই কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল এবং ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়েছিল।

শুক্রবার যে ৮ জনকে জামিন দেওয়া হল, তাঁরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত। এই মামলায় মোট ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। ২০ জনকে শোনানো হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। যে ৪ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে, তাঁদের ফাঁসির সাজা খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই।


12 months ago


River: নর্মদার নদীর উপর হাঁটছেন মহিলা, দেবী ভেবে শুরু পুজো-অর্চনা! জানুন ঠিক ঘটনা

নদীর জলের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছেন এক মহিলা! আর তা দেখে মহিলাকে ‘দেবী’ ভেবে পুজো জনসাধারণের। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায়। মহিলার জলে হেঁটে বেড়ানোর কথা শুনে নদীর তীরে ভিড় জমান স্থনীয়রাও। এমনকি ‘দেবী’ আবির্ভাবের খবর শুনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসও। তবে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছতেই উদঘাটন হয় ‘দেবীরহস্য’। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম জ্যোতি রঘুবংশী। তিনি নর্মদাপুরানের বাসিন্দা। কয়েকমাস আগেই তিনি বাড়ি থেকে চলে আসেন।  

 স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার নর্মদা নদীর তিলওয়ারা ঘাটে ওই মহিলাকে হাঁটতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে মহিলাকে ‘মা নর্মদা’র রূপ মনে করে নদীর তীরেই ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুজো করতে শুরু করেন স্থানীয়রা।

পুলিস জানিয়েছে, নর্মদা নদীর জলস্তর কম থাকায় কোথাও কোথাও পায়ের গোছও ঠিক করে ডোবে না। জ্যোতি নর্মদা নদী পরিক্রমা করতে এসেছিলেন। তিনি নদীর এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন যেখানে জলস্তর কম। আর তা দেখেই স্থানীয়রা তাঁকে ‘দেবী’ বলে ভুল করে বসেন। পুলিস আরও জানায়, ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

12 months ago
Special Story: সৃষ্টির সব পর্বেই রয়েছে ভগবানের স্পর্শ (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: স্রষ্টা সৃষ্টির আদি সময়ে যেমন তিনি পূর্ণরুপে বিরাজমান ছিলেন, তেমনি সৃষ্টির এই নিত্যপথ চলার মধ্যে দিয়ে নিজেরই মহিমায় হয়ে রয়েছেন আপ্লুত। আত্মাই ছিলেন একমাত্র বিরাজিত সমগ্র সৃষ্টির প্রথমে। তিনিই অদ্বিতীয় হয়ে সৃষ্টির কর্ম সূচনা করেছেন। তিনি আত্মসচেতনে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছে জাগ্রত করলেন সৃষ্টির। তিনি ইচ্ছাময় হয়ে উঠলেন, লোকসমূহ সৃষ্টি করলেন। সৃষ্টির সূচনা করলেন ভগবান এই লোকসমূহ দিয়ে। সমগ্র সৃষ্টির কেন্দ্রে স্থাপন করলেন মানবের এই চেতনা।

বিশ্বমাঝে স্বতঃই হয়ে চলেছে ভাঙা-গড়া। জীবনে আসা এবং চলে যাওয়া এবং পিছিয়ে পড়া রয়েছে স্বতঃই প্রকৃতির অনাবিল অবদান। ভগবান স্বয়ং যেন সবই করেছেন নিয়ন্ত্রন। তিনিই ছন্দময় গতিময় হয়ে জীবনকে লালন করে চলেছেন।

জীবন গঠনের জন্য চাই জীবনের দর্শন ও প্রত্যয়। দর্শনটি হতে হবে শুদ্ধ আর বহু ব্যপ্ত। প্রত্যেকের মধ্যে বিরাজ করছে বিপুল সম্ভাবনা। জীবনের সম্ভাবনাগুলো যখন হযে ওঠে কার্যকরী, ক্রমে গড়ে ওঠে ব্যপ্তি। একজন মানুষের জীবন তখন হয়ে ওঠে বহুজনের আশ্রয়দায়ী। একজনের মধ্যে সুপ্ত হয়ে থাকা সম্ভাবনা বিকাশ ক্রমে বহু মানুষজনকে যুক্ত করে দেয়। বৈদিক ঋষিগণ স্বতঃই চেয়েছেন সত্য, জ্ঞান, কর্মের সমন্বয় জীবন মাঝে। সামবেদের ঋষিগণ প্রসঙ্গ আনলেন ভক্তির। ভক্তির অনিবার্য অঙ্গ হলো শ্রদ্ধা-বিশ্বাস-ভালোবাসা। এই সমন্বয়ে গড়ে ওঠে ভগবৎ প্রেম। এই বন্ধনে বন্দিত হয় ভগবান ও ভক্ত। জীবনের সমস্ত পর্বই ভগবানের স্পর্শ সততই বিরাজমান।

তথ্য ঋণ: রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়

one year ago
Special Story: সৃষ্টির সব পর্বেই রয়েছে ভগবানের স্পর্শ (প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুর: সৃষ্টির পেছনে বিরাজ করছে স্রষ্টার ইচ্ছে। ভগবানই সৃষ্টির দ্যোতনা এনেছেন। একের পর এক সৃষ্টির পর্ব এসেছে। কোনওটি প্রথমে কোনওটি পরে। এই প্রসঙ্গে ডারউইন থেকে বহুজন ইভল্যুশনের তত্ত্ব দিয়েছিলেন। ডারউইন 'অরিজিন অফ স্পেসিস' একটি সামান্য পর্যবেক্ষণমূলক পরীক্ষার দ্বারা অনুমানের উপর দাঁড় করিয়েছেন সিদ্ধান্তগুলি। ছোট্ট দ্বীপের মাঝে ক্ষুদ্র প্রাণের বেড়ে ওঠা আর ধ্বংস হওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রজাতির পরম্পরা ও চরিত্র নির্মাণ করেছেন। বহু সহস্র বৎসর এই বিশ্বাস বয়ে নিয়ে আসছে যে, সমগ্র সৃষ্টিই ভগবানের দান। তিনি পঞ্চভূত রচনা করে প্রকৃতির মাঝে জীবন সৃষ্টি-ধারণ ও লালনের পটভুমি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির আদি রচনার বীজ মহাকাল স্বয়ং দান করেছেন প্রকৃতির পটভূমিতে।

অন্যদিকে জীবনধারনের জন্য ভোগের বাস্তবিক প্রয়োজন রযেছে। বৈদিক সভ্যতার ঋষিগণ এই সিদ্ধান্তে সকলে একমত হলেন যে, মানবের পক্ষে এক সাযুজ্যপূর্ণ জীবন গড়ে তোলার জন্য চারটি বিভিন্ন বিভাগ প্রয়োজন। এই চারটি বিভাগকে একসূত্রে বেঁধে দিয়েছেন ঋষিগণ। এরা হলো ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ। ধর্মই হতে হবে জীবনের ভিত্তি। ঋষিগণ যখন ছাত্র শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছেন, সেই শিক্ষার মধ্যে অনেকগুলি বিভাগ ছিল। শিক্ষার প্রথম অঙ্গ হলো চেতনার জাগরণ, মনের মালিন্য দূর করে বিশুদ্ধ মনের অধিকারী হওয়া, আর বিশুদ্ধ চরিত্র গঠন। জগতের প্রতি সহনশীল ও জগতের সমস্ত বস্তু প্রাণের জন্য মনের প্রস্তুতি গড়ে তোলা। (চলবে)

one year ago


Godard: জ্ঞানের সন্ধানী জঁ লুক গদার, জানুন নিউ ওয়েভ ছবির অন্যতম পতাকা বাহককে

সৌমেন সুর: একসময় চায়ের দোকানে, রেস্তোরাঁ, রাস্তায়, ক্লাবে গদারকে নিয়ে রীতিমতো তর্কবিতর্ক হতো, বিদ্বজ্জনরা ঝড় তুলতো আলোচনায়। কখনও শোনা যেতো, 'তুই গদারের ছবি দেখিসনি। তাহলে তোর জীবনটাই বৃথা। আরে গোদারের ছবি দেখ, গদারকে বোঝ, কী রেঞ্জের সিনেমা প্রেজেন্ট করে সেটা একবার উপলব্ধি কর।' জঁ লুক গদার, আজকের বিষয় সুইস-ফরাসি এই চিত্র নির্মাতাকে। বিশ্ব চলচ্চিত্র নির্মাণ যখন ক্রমেই স্টুডিওমুখী, ঠিক তখন ফরাসি নিউ ওয়েভ ছবিতে গদারে অবদান অনস্বীকার্য।

সিনেমার পিকাসো হলেন জঁ লুক গদার। এই প্রথম কোনো ফিল্মমেকার বিশ্ব সিনেমার প্রেক্ষাপটে এলেন, যিনি প্রথম ছবি থেকেই নিজের পথ নিজে বাছলেন। ১৯৬০ সালের তাঁর প্রথম ছবি ব্রেথলেস থেকে ২০১৮-র শেষ ছবি দ্য ইমেজ বুক পর্যন্ত; তাঁর ছবি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বাস্তবিক জীবন থেকে দৈনন্দিন রাজনীতির প্রভাব সেলুলয়েডে তুলে আনা যায়। এসব তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন। তাই শুধু নয় সেই রাজনীতিকে একইসঙ্গে কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়লেন না তিনি। আবার সাংস্কৃতিক শক একদিকে, আর অন্যদিকে শহুরে অর্থনীতির ধাক্কা। এসব সবকিছু তাঁর ছবির চিত্রনাট্যের মাধ্যমে বড় পর্দায় ফুটে উঠেছে কখনও মাই লাইফ টু লিভ, কখনও দ্য চাইনিজ, কখনও মেড ইন ইউএসএ, কখনও লেটার টু জেন, কখনও ফিল্ম সোশালিজম; এমনকি শেষ ছবি দ্য ইমেজ বুক হিসেবে। 

গদারকে বলা হয় দার্শনিক সাত্রে ও ব্রেখটের ভাব শিষ্য। সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে (অ্যানথ্রোপলজি) তিনি আগ্রহী হয়ে উঠলেন সাত্রের দর্শনে। তাঁর মন্তব্য, 'আমি মনে করি শিল্প এক বিশেষ বন্দুক। সব আইডিয়াও বন্দুক।' গদার মনে করেন আমাদের প্রকৃত সত্তার অন্বেষণ একজন চলচ্চিত্রকারের লক্ষ্য। বিশ শতকের সিনেমায় জঁ লুক গদারছিলেন আকাশচুম্বী প্রতিভাধর, যিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করে ষাটের দশকে আন্তর্জাতিক সিনেমার মানচিত্র পালটে দিলেন।

সত্যজিৎ রায়ের ভাষায়, 'চিত্র ভাষার ব্যবহারে বিপ্লবের পুরোধা গদার মুদ্রিত প্রবন্ধ এবং চলচ্চিত্রায়িত বক্তব্যকে সমার্থক করে দিলেন। তাঁর সিনেমায় অন্তর্ভুক্ত হল সংবাদ, রাজনীতি, দর্শন, বিজ্ঞাপনের ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গী, চিত্রকলা ভাস্কর্য, স্থাপত্য, প্রযুক্তি, খবরের কাগজে প্রকাশিত চিঠিপত্র। বিষয় হিসেবে এলো বিপ্লব এবং নারী। সব মিলিয়ে তৈরি হলো আধুনিকতার এক জটিল কোলাজ। ডকুমেন্টারি ও ফিকশনের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক গদারের সিনেমার বৈশিষ্ট্য।

গদারের ছবিতে প্রথম ফুটে ওঠে রাজনীতির এক তাৎপর্যপূর্ণ রূপ। তাঁর ছবিতে ফিরে আসে নারী, সঙ্গীত এবং সমুদ্র। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউরোপ মানুষের মোহভঙ্গ ও সামাজিক অবক্ষয় তুলে ধরে তাঁর ছবিগুলো। তিনি বোঝান এই সমাজে শিল্প, সংস্কৃতি, বিবেকবোধ; সবকিছুই পণ্য হয়ে উঠছে। ৯১ বছরে গদার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন। তবে যতদিন পৃথিবী থাকবে, সিনেমা নামক মাধ্যম থাকবে, ততদিন গদার আমাদের হৃদয়ে লীন হয়ে থাকবেন।

তথ্যঋণ: পার্থ মুখোপাধ্যায়, রাহুল দাশগুপ্ত

one year ago
Fire: পাটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আগুন

কালী পুজোর রাতে পাটের গোডাউনে (Jute Godown) আগুন (Fire)। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর (Ashoknagar) থানার মানিকতলা ভ্যান স্ট্যান্ড এলাকায়।

জানা গিয়েছে, আগুন লাগার ঘটনাটি প্রথমে নজরে আসে অশোকনগর থানার টহলরত পুলিস প্রশাসনের। তড়িঘড়ি দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পাটের গোডাউনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

ফলে কিভাবে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে ক্ষতি দেখছে দমকল আধিকারিকরা। তবে আগুন লাগার ঘটনায় পাটের গোডাউনের মালিক মাখম হালদার জানিয়েছেন, প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

একই দিনে টিটাগড় কেলভিন জুটমিলে ভয়াবহ আগুন। জুটমিলের পাট ঘরে আগুন লাগে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান,  শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়েছে। তবে আগুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। তবে আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।

2 years ago


Chennai: বাজির আগুনে পুড়ে ছাই ওষুধের কারখানা, ভস্মীভূত গুদাম

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই চেন্নাইয়ের একটি ওষুধ কারখানার গুদাম। তবে সোমবারের এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে চেন্নাই পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এদিন সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ উত্তর চেন্নাইয়ে অশোক নগর এলাকায় ওই বেসরকারি ওষুধ কারখানা সংলগ্ন গুদামে আগুন লাগে।

দমকল বিভাগ ঘণ্টা ছ’য়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও গুদামটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে গুদাম লাগোয়া কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেননি কারখানার কর্মচারী ও দমকলকর্মীরা।

আগুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দমকল প্রাথমিকভাবে মনে করছে, বাজির আগুন থেকেই এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জনও একই অভিযোগ করেছেন। এদিকে, সোমবার ভোরেই অরুণাচল প্রদেশের নহারলগাঁওয়ের একটি বনবস্তিতেও বাজির ফুলকি থেকে বিধ্বংসী আগুন লাগে বলে অভিযোগ। এর আগে রবিবার রাতে মুম্বইয়ের ‘এ টু জেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট’-এর লোয়ার প্যানেলের একটি কারখানা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

2 years ago