উত্তর কোরিয়ার (North Korea) শাসক কোনও না কোনও কারণে সর্বদা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। ফের জল্পনায় কিম জং উন (Kim Jong Un)। তিনি গোটা দেশে একটি নয়া ফতোয়া জারি করেছেন। এবার সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করেন বলে একটি রিপোর্টে দাবি।
উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রক সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, শাসক কিম জং উনের মেয়ে জু আয়ের (Ju Ae) নামে কেউ নাম রাখতে পারবেন না সেদেশে। যদি কেউ আগেই এই নাম রেখে থাকেন তাহলে তাঁদের অবিলম্বে হলফনামা জমা দিয়ে নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মেয়ে ও মহিলাদের নাম পরিবর্তনের জন্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছে নির্দেশিকায়।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জু আয়ের নামটি এখন "সর্বোচ্চ মর্যাদার" ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। উল্লেখ্য, কিম জং উনের দ্বিতীয় সন্তান হল জু-আয়ে। আরও দুটি সন্তান রয়েছে কিমের। তবে কানাঘুষো, জু-আয়ে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের সন্তান। মনে করা হচ্ছে, নিজের উত্তরসূরি হিসেবে দেশবাসীর সামনে নিজের মেয়েকে তুলে ধরতেই জু-আয়ে'কে নিয়ে এত কাণ্ড।
তিন মাসে পড়ল বিপাশা বসুর (Bipasha Basu) মেয়ে দেবী। সোশাল মিডিয়ায় (Instagram Post) সেই ছবি পোস্ট করলেন মা বিপাশা। মাতৃত্বের সফর যে সবচেয়ে সুখের, তা মেয়ে কোলে বিপাশাকে দেখলেই বোঝা যায়। ৩ মাসের জন্মদিনে দেবীকে বুকে জড়িয়ে মনোরম সাদাকালো ছবি পোস্ট অভিনেত্রীর। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অনাবিল হাসছেন মা। হাসিতেও ধরা পড়ছে মাতৃত্বের উচ্ছ্বাস। ছবির ক্যাপশনে বিপাশা লেখেন, 'দেবীর বয়স তিন মাস হল। এত দ্রুত! তার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্ত... আমাদের সেরা স্মৃতি। দেবীর বাবা এবং মা হয়ে আমরা সবচেয়ে সুখী!'
ছবিটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই আসতে থাকে অজস্র শুভেচ্ছাবার্তা। এক অনুরাগী লেখেন, “মা এবং সন্তান, ঈশ্বর দু’জনেরই মঙ্গল করুন সবসময়।” ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন কর্ণ আর বিপাশা। সেই থেকে সুখী দাম্পত্যে এই তারকা যুগল। ২০২২-র ১২ নভেম্বর, তাঁদের জীবনে উপহার হয়ে আসে কন্যা সন্তান দেবী।
সদ্যোজাত শিশুকন্যার (New Born) মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য তমলুকের (Tamluk) চককামিনাতে। পূর্ব মেদনীপুরের হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক থানার চককামিনা এলাকায়। জন্মের আগেই আলট্রাসাউন্ডে (USG) কন্যাসন্তান দেখে নিয়েছিলেন সদ্যোজাতর পরিবার। তাই সেই নিষ্পাপ প্রাণকে হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান স্থানীয়দের। রাস্তার পাশে আবর্জনা স্তুূপে এই শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য এবং ক্ষোভ এলাকায়।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সকালবেলায় ঘটনাস্থলে অনেক লোকের ভিড়। আবর্জনার স্তুূপে একটি শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ, মৃতদেহটি কেউ রাতের অন্ধকারে ওই স্থানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। পুলিস খবর পেয়ে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করে। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিস।
নির্দয় মা! অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রাজস্থানের (Rajasthan) শ্রীগঙ্গানগর জেলা। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে (Child) খুন (Murder) করে ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম সুনীতা এবং তাঁর প্রেমিক সানি। দু'জনকেই পুলিস ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করেছে।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। প্রাথমিক অনুমান, সুনীতা পরিকল্পনামাফিক সোমবার মধ্যরাতে তিন বছরের মেয়ে কিরণকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর প্রেমিক সানির পরামর্শে মেয়ের দেহ বিছানার চাদরে জড়িয়ে শ্রীগঙ্গানগর রেল স্টেশনে যান।
শ্রীগঙ্গানগর থানার পুলিস সুপার আনন্দ শর্মা জানান, অভিযুক্তরা মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শ্রীগঙ্গানগর স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ধরেন। ট্রেন ফতুহি রেলওয়ে স্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় যখন সেতুর উপর দিয়ে পৌঁছয়, তখন নাবালিকার দেহ চলন্ত ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেন সুনীতা এবং সানি।
সূত্রের খবর, সুনীতা এবং সানি ভেবেছিলেন মেয়ের দেহ খালের মধ্যে পড়বে। কিন্তু রেললাইনের কাছে পড়ে দেহটি। মঙ্গলবার সকালে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ শনাক্ত করার পর, পুলিস সুনীতাকে খুঁজে বের করে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তিনি মেয়েকে খুন করার কথা স্বীকার করেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। এরপরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
উল্লেখ্য, সুনীতার মোট পাঁচ সন্তান। তার মধ্যে তিন সন্তান স্বামীর সঙ্গে থাকে। আর দুই কন্যাকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন মহিলা।
সমাজ এখনও কতটা পিছিয়ে তার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া গেল! মেয়ে জন্মানো নিয়ে এখনও নাক সিটকানো রয়েছে অনেক পরিবারে। তবে শিক্ষিত পরিবার, শিক্ষিত ছেলের কাছে এ ধরণের মানসিকতা কেউই আশা করেন না। চাকরি সূত্রে দু'জনেই থাকেন পুনেতে (Pune)। দু'জন্যেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (Computer Engineer)। সদ্য মা-বাবা হয়েছেন। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ায় ঘোর আপত্তি জানায় স্বামী। এমনকি পিতৃত্ব অস্বীকার করেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রান্নাঘর থেকে সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে (Wife Killed by Husband) দেন ইঞ্জিনিয়ার স্বামী। পরে নিজেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। পুনের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
২০২০-র ২০ নভেম্বর নানদেদে বিয়ে হয় জ্যোতি-রাজেন্দ্রর। গত ২৭ জুন তাঁদের ঘর আলো করে আসে ছোট্ট একটি কন্যাসন্তান। সেখান থেকেই সূত্রপাত ঝগড়ার। মেয়ে হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না রাজেন্দ্র। প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। সোমবার রাতে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। রাগের মাথায় রাজেন্দ্র রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে স্ত্রীয়ের গলায় কোপ বসিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় জ্যোতির। মাথা ঠাণ্ডা হতেই রাজেন্দ্রর হুঁশ ফেরে। তিনি বুঝতে পারেন ভুল। এরপর বাড়িওয়ালার কাছে সব খুলে বলেন এবং আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। খবর যায় থানায়। পুলিস এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় রাজেন্দ্রকে।
উল্লেখ্য, জ্যোতি নিজেও ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু সন্তানের জন্মের জন্য ম্যাটারনিটি লিভে ছিলেন। কয়েক মাস আগেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিন দিন আগে ইস্তফা দেন সেই চাকরিতে।
নভেম্বরের ৬ তারিখ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলিয়া ভাট (Alia Bhat)। প্রায় তিন সপ্তাহের মাথায় মেয়ের নাম প্রকাশ্যে আনলেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট (Ranbir Kapoor)। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে মেয়ের নাম প্রকাশ্যে এনেছে তারকা দম্পতি। একটি ছবিও পোস্ট করেছে তাঁর। সেই ছবিতে রণবীরের কোলে রয়েছেন শিশুকন্যা (Girl Child)। পাশেই দাঁড়িয়ে আলিয়া। জানা গিয়েছে, রণবীর ও আলিয়ার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে ‘রাহা’। নাতনির এই নাম রেখেছেন ঠাকুমা নীতু কাপুর। মেয়ের নাম প্রকাশ করে এ কথা জানান আলিয়া। একই সঙ্গে রাহার নামের যে সুন্দর অর্থ রয়েছে, তা-ও তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
সোহাহিলি ভাষায় রাহা শব্দের অর্থ আনন্দ, সংস্কৃতে এই শব্দের অর্থ বংশ। আবার বাংলায় এই শব্দের মানে হল স্বস্তি, আরবি ভাষায় এই নামের অর্থ শান্তি। রাহা মানে আনন্দ, স্বাধীনতাও। তারপর থেকেই তাঁদের মেয়ের কী নাম রাখা হবে, জোর চর্চা চলেছিল বলিপাড়ায়। এ নিয়ে পাপারাৎজিদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী নীতুও। অবশেষে মেয়ের নাম প্রকাশ করলেন আলিয়া।
রেহাই পেল না চার বছর বয়সী কিন্ডারগার্ডেনের (KG School) ছাত্রীও। স্কুলের অধ্যক্ষের গাড়ির ড্রাইভারের যৌন লালসার (Sexually Harassment) শিকার হয় মেয়েটি বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভারকে। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী শিশু (Girl Child) মেয়েটি। মেয়েটির বাবা-মা তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের মেয়ে অস্বাভাবিকভাবে শান্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সময় বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যেত এবং অকারণে কাঁদত। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁদের। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর অবশেষে লাঞ্ছনার কথা জানতে পারেন। সোমবার অধ্যক্ষের চেম্বারের কাছে একটি ল্যাবে তাকে নির্যাতন করে অধ্যক্ষের ড্রাইভার বলে জানায় মেয়েটি।
এই অমানবিক ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবা-মা এবং অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ দেখান। গাড়ির চালককে ধরে মারধরও শুরু করেন সকলে। তখন মেয়েটি জানায়, দু'মাস ধরে তার উপর এই অত্যাচার করছে। মঙ্গলবার বাবা-মা তার সঙ্গে স্কুলে গেলে, ড্রাইভারের দিকে ইঙ্গিত করে মেয়েটি। এরপরে অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেন। এবং সেই দিনই অভিযুক্ত ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে একটি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সে আরও বিস্তারিত জানায় এবং পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
IPC-এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং পকসো আইনের অধীনে এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিস আধিকারিক বলেছেন, ড্রাইভারটি স্কুলের পরীক্ষাগারগুলি রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ সদস্যদের জন্য কাজ করতেন। এভাবে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসে। এটি আরও বলেছে যে তিনি অন্য ছাত্রদের হয়রানি বা লাঞ্ছিত করেছেন কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।