
ফের নোংরা আবর্জনার (Garbage) স্তূপ বিষ্ণুপুর (Bankura) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের (Bishnupur Super Speciality Hospital) ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভেসে বেড়াচ্ছে নোংরা জল। আর তার উপর দিয়েই রোগীরা যাতায়াত করছেন। ফলে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ায় কর্মবিরতি শুরু করেছে সাফাই, ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এক বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
সোনামুখী পুরসভার সাফাই কর্মীদের অভিযোগ, কাজের পারিশ্রমিক না পাওয়ার জন্যই সবাই কর্মবিরতি নিয়েছেন। গত চারদিন ধরেই চলছে এই কর্মসূচি। এর আগেও দুই তিনবার এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তারপরেও একই ঘটনা ঘটে চলেছে। তাঁদের দাবি, প্রায় চার মাসের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। দু-তিন মাসের বেতন দিলে তবেই কাজ শুরু হবে। আর তা না হলে এই কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। প্রত্যেকবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তুু কোনও কাজ হয়নি।
তবে ওই বেসরকারি সংস্থার ইন চার্জ শিবম লাহা বলেন, কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা এবং মাননীয় বিধায়ক। ইতিমধ্যেই সমস্ত কর্মীদের দ্রুত কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ যেমন পরিষেবা পেত তেমনিই পরিষেবা পাবেন।
সাত সকালেই আবর্জনা (garbage) ফেলাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা। পুলিসের (police) সামনেই এলাকাবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরও। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) শহরের সিপাইবাজার এলাকার।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই সিপাই বাজার এলাকায় থাকা একটি ভ্যাট ভেঙে দেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারপর থেকেই আবর্জনা ফেলতে অসুবিধে হয় এলাকাবাসীদের। বাধ্য হয়েই এলাকায় নতুন ভ্যাটের দাবিতে রবিবার বিক্ষোভে সামিল হন এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঘটনাস্থলটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় হওয়ায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যামল ভকতও। এরপরই পুলিসের সামনে প্রথমে এলাকাবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন, পরে তা হাতাহাতিতেও পৌঁছয়। কোনওক্রমে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে সরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিস।
তবে ঘটনার পর এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। কিন্তু এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোতায়েন রয়েছে পুলিসবাহিনী। এদিকে, এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি প্রাক্তন কাউন্সিলর।
ভরসন্ধ্যায় বোমা (bomb) বিস্ফোরণ। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ঘটনাটি মহেশতলা (Mahestala) পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর (shyampur) শেখপাড়া এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যাবেলায় আবর্জনার স্তূপের পাশে খেলা করছিল কয়েকজন নাবালক। এরপর হঠাত্ই সেই স্তূপের মধ্যে পড়ে থাকা বোমা বিস্ফোরণ হয়ে আহত (injured) হয় এক নাবালক। আহত নাবালককে এলাকার মানুষ উদ্ধার করে প্রথমে মহেশতলা পুর-হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ওই আবর্জনার স্তূপের মধ্যে বোমা এল? কারাই বা রেখে গেল? আজ সকালবেলায় মহেশতলা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন অধিকারীর সহযোগিতায় আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানা পুলিস।
মহেশতলা পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁতরাপাড়া এলাকায় স্তূপাকার হয়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প নির্মল বাংলার কয়েক হাজার বালতি। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে বালতিগুলি পড়ে থাকার ফলে তার ওপর আগাছা জন্মে গিয়েছে। অথচ এই নির্মল বাংলার বালতি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা।
কিন্তু এই বালতিগুলি না পৌঁছনোর ফলেই স্তূপাকার হয়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন এই বালতিগুলি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি বাড়িতে দেওয়া হল না। এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। শোনা যাক, কী বলছে তারা।
এই বিষয়ে মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দুলালচন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ। চায়ের কাপ থেকে শুরু করে জলের বোতল, কী নেই? রোজ কয়েকশো মানুষ ভিড় জমান এখানে। তবু হুঁশ নেই কারও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুরসভার অন্তর্গত মহকুমা আদালত চত্বরের নিত্যদিনের ছবিটা এমনই।
আইনজীবীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বারুইপুর আদালত চত্বর পুরসভার পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয় না। যার জেরে নিকাশিনালা বন্ধ হয়ে গিয়ে বর্ষাতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এলাকা। সমস্যায় পড়েন আদালতে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনজীবীরা। পরিষ্কার নেই বাথরুমও। বারুইপুর মহকুমা আদালত পুর এলাকাতে হওয়া সত্ত্বেও ঠিক কী কারণে চত্বর সাফাই করা হয় না, তা জানেন না আইনজীবীরাও। তবে এই বেহাল দশায় সমস্যায় বহু মানুষ। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যা নামলেই কোর্ট চত্বরে বসে জুয়ার আসর। বলার কেউ নেই। প্রশাসনকে জানালেও মিলছে না সুরাহা, এমনটাই অভিযোগ।
তার উপর ইতিমধ্যেই গরম পড়ে গিয়েছে। এখন সবথেকে বেশি চাহিদা জলের। কিন্তু বারুইপুর মহকুমা আদালত চত্বরে পুরসভার পানীয় জলের পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কল আছে, কিন্তু জল নেই। পুর কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলেই অভিযোগ।
এই অবস্থায় আইনজীবীরা দিশাহারা। রোজই এই আবর্জনা দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের। শুধু তাঁরা নয়, সমস্যায় কোর্টে আসা সাধারণ বিচারপ্রার্থীরাও। কবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে কোর্ট চত্বর, কবেই বা মিলবে জলের সঠিক পরিষেরা? হুঁশ ফিরবে কি আদৌ! প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরা।
বাড়ির পাশে রয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড ও শ্মশান। ডাম্পিং গ্রাউন্ড-এর নোংরা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে রাস্তার উপর। যার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার মানুষ। ঘটনাটি কোচবিহারের তুফানগঞ্জ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের।
তুফানগঞ্জ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাক নদী সংলগ্ন শ্মশান রোড এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন সমস্যায় ভুগছেন। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা হয়েছে। তার পাশেই রয়েছে শ্মশান। ডাম্পিং গ্রাউন্ড-এ যে সমস্ত নোংরা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, সেগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। যার ফলে এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের যে রাস্তা রয়েছে, সেটাও নোংরা-আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে।
এর ফলে সমস্যায় ভুগছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নোংরা-আবর্জনার গন্ধের ফলে এলাকার মানুষের থাকতে অনেকটাই অসুবিধার হচ্ছে। অন্যদিকে নোংরা-আবর্জনার ফলে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। যে কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুরা। বিষয়টি বহুবার তুফানগঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এমনকি এলাকায় পথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন তাঁরা। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, সমস্ত বিষয় ঠিক করে দেওয়া হবে। তবে আজও সেই কাজ হয়নি। যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেলেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী আরও বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঠিক করে সেখানে ফুলের বাগান করার কথা ছিল। তবে সেটাও আজ পর্যন্ত করেনি পৌরসভা। কবে তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে, সেটাই এখন দেখার। অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পৌরসভাকে আক্রমণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তুফানগঞ্জ শহরে বিজেপি কনভেনর বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশান যাওয়ার রাস্তা হয়ে উঠেছে নোংরা-আবর্জনা ফেলার রাস্তা। আসলে পৌর নির্বাচনের আগে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে যাচ্ছে তৃণমূল ।
তবে গোটা বিষয় নিয়ে তুফানগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, বিষয়টি আমাদের নজর রয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে গিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সেখানকার সমস্যার সমাধান করা হবে।
আদৌ সমস্যার কতটা সমধান হয়, সেটাই দেখার।
১৪৮ বছরের পুরনো বিষ্ণুপুর পৌরসভায় আজও নেই স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনার স্তূপ। ভোগান্তির শিকার পুরবাসী। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সামনেই রয়েছে অন্যান্য পৌরসভাগুলির নির্বাচন। যদিও এখনও পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রাচীন মন্দির। মল্ল রাজাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই ঐতিহাসিক শহর। বিশেষ করে বছরের এই সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু পর্যটক আসেন মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর দর্শনে। কিন্তু পর্যটকরা মন্দিরের সামনে এই আবর্জনার স্তূপ দেখে স্তম্ভিত।
১৮৭৩ সালে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন চলাকালীন বিষ্ণুপুর পৌরসভা তৈরি হয়। তারপর কেটে গেছে ১৪৮ বছর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে বিষ্ণুপুর পৌরসভায়। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই বিষ্ণুপুরে একটি স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বর্তমানেও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনার স্তূপের বড় বড় পাহাড় জন্মেছে। তার ওপর বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১০ কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডের কেস চলছে।
তবে বিষ্ণুপুরবাসীর একাংশ মনে করছে, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নির্বাচন হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভার চেয়ারম্যান নেই। রয়েছেন প্রশাসক। সেই কারণেই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পুরবাসী। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিতে রাজনৈতিক নেতারা আসেন বটে, কিন্তু ভোট মিটে গেলে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই ইস্যুতে সরব কংগ্রেস। বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূলের আমলে মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর এখন জঞ্জালনগরীতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে ব্যর্থ। তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে কটাক্ষ করেন।
অন্যদিকে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক নীরজ কুমার বলেন, সব প্রকল্প চুরি করার একটা বদ অভ্যাস দাঁড়িয়ে গেছে তৃণমূল নেতাদের। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই, তা স্বীকার করেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রশাসক অর্চিতা বিদ। বেশ কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
কংগ্রেসের দামি তৃণমূল সরকারের আমলে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে ।সব প্রকল্প তেই চুরি করার অভ্যাস শাসক দলের দাবি বিজেপির । সাফাই প্রশাসকের ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী শহর ক্যানিং। বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামেও খ্যাত এই শহর। এক সময় বাণিজ্যের জন্য বিট্রিশ আমলে প্রাণকেন্দ্রের রূপ নিয়েছিল এই শহর। আর সেই কারণেই বিট্রিশ আমলে পুরসভার তকমা পেয়েছিল।
তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগেই সেই পুরসভা তকমা কোনও এক অজ্ঞাত কারণে হারিয়ে ফেলেছে। তবে পুরসভা তকমা হারালেও ক্যানিং তার নিজস্বতায় আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার এবং মাছের জন্য সুখ্যাতি ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে কদর বাড়লেও বর্তমানে বিট্রিশ আমলের ক্যানিং শহরের ঐতিহ্য চাপা পড়ছে প্লাস্টিক আর ময়লা-আবর্জনায়।
ক্যানিং পুরসভার তকমা হারিয়ে বর্তমানে পঞ্চায়েতের অধীনস্থ। মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্যানিং শহরের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমছে। আর সেই ময়লা থেকেই দূষণ ছড়াচ্ছে সমগ্র ক্যানিং শহরে। যার জেরে অতিষ্ঠ মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত নাগরিক সহ নিত্য যাতায়াতকারী লক্ষ লক্ষ পথচলতি মানুষ এবং দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।
এমনকি রেহাই মিলছে না খোদ মহকুমা শাসকের দফতর সংলগ্ন রাস্তা, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, ক্যানিং সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মাছ ও সবজি বাজার, পথের সাথী, এমনকি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অবস্থিত কোভিড হাসপাতাল লাগোয়া যাতায়াতাতের রাস্তাও। ফলে সুন্দরবনের প্রাণকেন্দ্র ক্যানিং শহর যে দূষণে ভরপুর, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।
উল্লেখ্য, এই এলাকায় নির্দিষ্টভাবে ময়লা ফেলার কোনও জায়গা নেই। এলাকাবাসীদের দূষণের হাত থেকে এবং প্লাস্টিক, ময়লা-আবর্জনা থেকে মুক্তি দিতে মাতলা ১ পঞ্চায়েত পুরসভার ধাঁচে ময়লা পরিষ্কারের জন্য ৫ টি গাড়ি বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত শহরের অলি-গলিতে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে সেগুলি। নির্দিষ্টভাবে ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় সেই সমস্ত ময়লা-আবর্জনা মাতলা নদীর চরে ফেলা হয়। আর সেখানেই আবর্জনা স্তূপের পাহাড় জমেছে। সেই ময়লা-আবর্জনার উপর কুকুর, শূকর, গরু সহ বিভিন্ন কাক-পক্ষীদের অবাধ বিচরণ। ফলে সেই সমস্ত ময়লা-আবর্জনা প্রকাশ্যে জনবহুল রাস্তার উপর ছড়িয়ে পড়ছে। ঢালাই রাস্তার উপর এতটাই ময়লা-আবর্জনা জমা হয়েছে যে, রাস্তা রয়েছে কি না আদৌ বোঝাই ভার।
ফলে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েই চলেছে। কার্যত প্লাস্টিক, ময়লা-আবর্জনার কারণে ক্যানিং শহর তার মুখ ঢেকে ফেলছে ক্রমাগত।
একদিকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ক্যানিং শহরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় চরম অবক্ষয়ের পথে ঐতিহ্যবাহী ক্যানিং শহর। ময়লা আবর্জনা থেকে কবে মুক্ত হবে ক্যানিং শহর? এমন প্রশ্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে ক্যানিং ১ এর বিডিও শুভঙ্কর দাস জানান, মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা থাকায় ময়লা জমছে ঠিকই, তবে পঞ্চায়েত সেগুলো তৎক্ষণাত পরিষ্কার করে ফেলছে। তাছাড়াও পঞ্চায়েতের তরফে একটি প্ল্যান জমা দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে। কীভাবে ওই সমস্ত ময়লা-আবর্জনা সঠিক পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা যায় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা যায়, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে ক্যনিং আবারও সুস্থ হয়ে ওঠে।
বছরের পর বছর বাড়ির সামনে জমে আবর্জনা। অথচ কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সার্ভিস রোডে জগাছা সুন্দরপাড়ার ঘটনা। বাড়িটির নাম মণ্ডল ভিলা। বাড়িটির বাউন্ডারির ভিতরেই রয়েছে একটি রেস্তোরাঁ। করোনাকালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর রুজিরোজগারের তাগিদে আবার তা চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন বাড়ির মালিক। তবে উপায় কোথায়? রেস্টুরেন্টে যাওয়া আসার জন্য যে প্রবেশ পথ রয়েছে, তার মুখেই স্তূপাকার হয়ে পড়ে আছে জঞ্জাল, ময়লা আবর্জনা। এককথায় যা দুর্গন্ধে ভরা, একেবারে যাতায়াতের অযোগ্য বলাই চলে। বাধ্য হয়ে যে পথে গাড়ি প্রবেশ করে বাড়ির, সেই দরজা ব্যবহার করতে হচ্ছে হাঁটাচলার জন্য। একদিকে একটু একটু করে বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। ঠিক অন্যদিকে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। তারই মধ্যে আবার বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেলা। বাড়ছে মশা, মাছির উপদ্রব। ফলে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
মণ্ডল ভিলার মালিকের অভিযোগ, এখন শীতকাল বলে শুধু গন্ধটুকুই পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষাকাল বা একটু বৃষ্টিতেই এখানকার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে। ক্রমশ বাড়ির মেন গেট দিয়ে বেরোনো দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তাঁদের। তাঁর অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে স্থানীয় কিছু মানুষই এই কাজ করছে। তবে কে বা কারা তা এখনও অধরা। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য,হাওড়া কর্পোরেশন এলাকার নাগরিক পরিষেবা ত্বরান্বিত করতে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার হাওড়া কর্পোরেশনের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কিছু উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা যে কোনওরকম সমস্যা নিয়ে কর্পোরেশনের হেল্পলাইন নম্বর ৮১০০৮৮৩৩০০ তে ফোন করতে পারবেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্পোরেশন। সমস্যার সমাধান হওয়ার পর অভিযোগকারীকে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে অবগতও করা হবে। সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বোরো ভিত্তিক যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের কাছে। এলাকার ছোট-বড় সমস্যাগুলির সমাধানের জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।
বাড়ির সামনে বর্জ্য জমার ঘটনায় শুধু বাড়ির মালিক নয় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় পথ চলতি মানুষেরাও। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। আর নির্বাচনের আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই জিততে মরিয়া। এখন জগাছা সুন্দরপাড়ার বাসিন্দারাও দূষণমুক্ত পরিবেশ পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
অতিমারী পরিস্থিতিতে এমনিতেই তটস্থ সাধারণ মানুষ। তার উপর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপে আশঙ্কিত সাধারণ মানুষ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যত্রতত্র রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে নোংরা-আবর্জনা। বোলপুর পুরসভার উদাসীনতার এই ছবির সাক্ষী বীরভূম পুরবাসী।
বীরভূমের বোলপুর পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ছড়ানো আবর্জনার স্তূপে তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, পুরসভার তরফে নোংরা ফেলার কোনও ব্যবস্থা নেই। বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা না থাকার ফলে যেমন ইচ্ছে নোংরা ফেলে দিচ্ছেন মানুষজন এবং তা বর্তমানে একপ্রকার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যা থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাস করা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। অভিযোগ উঠছে, দীর্ঘদিন কোনওরকম পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হয়নি এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বোলপুরের মতো সাজানো গোছানো শহরে এইভাবে যদি রাস্তার ধারে নোংরা ফেলা হয় এবং পুরসভা এ নিয়ে যদি কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তা লজ্জার। এর পাশাপাশি বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একেই করোনার দংশন, তারপর আবার এই ডেঙ্গি বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ার খবরে বোলপুরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তাঁরা চান, অবিলম্বে এই সকল সমস্যার সুরাহা হোক।
তবে সাধারণ মানুষের উপরই দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন বোলপুর পুরসভার প্রশাসক পর্ণা ঘোষ। তাঁর দাবি, আমরা নির্দিষ্ট পাত্র দেওয়া সত্ত্বেও সেখানে নোংরা ফেলেন না পুরবাসীরা। পাশাপাশি পুরসভার কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।