অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি করতে গিয়ে ঝামেলার পড়লেন দুই ডেলিভারি বয়। ক্রেতাদের খুচরো পয়সা দিতে না পারার অভিযোগে হেনস্থায় মুখে পড়তে হয় তাঁদের। নয়াদিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকার এই ঘটনায় পুলিস সূত্রে খবর, ডেলিভারি দু'জন বয়ের নাম অমন সিং এবং গুরুপাল সিং। শনিবার রাজৌরি গার্ডেনে অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলেন ওই দুজন ডেলিভারি বয়। যে বাড়ির ঠিকানায় অর্ডার ডেলিভারি করার ছিল, সেই বাড়ির দরজা খোলেন তরুণ সুরি নামে এক ব্যক্তি। অর্ডার করা জিনিস হাতে পেতেই ডেলিভারি বয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। মোট ১ হাজার ৬৫৫ টাকার জিনিস অর্ডার ছিল, বাকি থাকা খুচরো পয়সা না থাকায় কারণে তারা দিতে পারেননি। একারণে ডেলিভারি বয়দের নানাভাবে হেনস্থা করা হয়।
ডেলিভারি বয়দের অভিযোগ, তাঁদের কাছে খুচরো পয়সা না থাকার কারণেই দুর্ব্যবহার করেছিলেন তরুণ। এমনকি বাড়ির মহিলারাও পর্যন্ত বাদ যায়নি এই ঝামেলা থেকে। ঝামেলায় কথাকাটাকাটি থেকে গায়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। অমন এবং গুরুপালের দাবি, তাদের মাথার পাগড়িও খুলে দেয় ক্রেতা পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগে তরুণ সুরি ও তার পরিবার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুলিস।
আবার উল্টো অভিযোগ করে তরুণ সুরি। অভিযোগ, ডেলিভারি করতে এসে তার বাড়ির মহিলাদের সাথে কূটক্তি ভাষায় কথা বলা হয়। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তদন্তে নেমেছেন পুলিস।
এখন কম-বেশি অনেকেই অনলাইন খাবার অর্ডার (Online Food Delivery) করেন। ধরুন আপনি জোম্যাটো (Zomato), সুইগি বা অন্য কোনও সাইটে খাবার অর্ডার করলেন। আর সেই অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থার সিইও (CEO) আপনার বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনার মন-পসন্দ খাবার নিয়ে। কেমন হবে ভাবুন তো বিষয়টা?
শুনে ভাবছেন তো সিইও খাবার ডেলিভারি করবেন? এ আবার হয় নাকি? সম্প্রতি জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দর গয়ালকে খাবার পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে গ্রাহকের বাড়িতে। তাও আবার নিজের সুট-বুট পাল্টে, একেবারে জোম্যাটো লেখা লাল টি-শার্ট পরে হাজির গ্রাহকের বাড়ি। গোপন এ তথ্য ফাঁস করেছেন ‘নকরি ডট কম’-এর মালিক সঞ্জীব বিকচন্দানি। জানা গিয়েছে, প্রতি তিন মাস অন্তর এক বার এমন কাজ করেন দীপিন্দর।
টুইট করে সঞ্জীব লিখেছেন, ‘‘দীপিন্দর ও জোম্যাটোর সদস্যদের সঙ্গে দেখা হল। খুব ভাল লাগল জেনে যে, সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজাররা-সহ দীপিন্দরও লাল রঙের জোম্যাটোর টি-শার্ট পরে বাইকে করে এক দিন খাবার পৌঁছে দেন। যাতে তাঁকে সহজে কেউ চিনতে না পারেন, সে কারণেই এমন বেশে খাবার পৌঁছে দেন দীপিন্দর। এ কথা উনিই আমাকে বলেছেন।’’
এ টুইট মুহূর্তে শেয়ার হয়ে যায়। লাইক, কমেন্টে ভোরে যায় বক্স। নেটিজেনরা সিইও-র এই কাজের ভুরিভুরি প্রশংসাও করেছেন।