Breaking News
Garden Reach: গার্ডেনরিচকাণ্ডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে পুরসভা ও আবাসিকের মধ্যে টানাপোড়েন      Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার     

Food

Food Building: খাদ্যভবনে চলল গুলি, মৃত্যু পুলিসকর্মীর

এবারে খাদ্যভবনে চলল গুলি। সোমবার বড়দিনের উৎসবের রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খাদ্যভবনে কর্মরত পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ব্যারাকে থাকতেন তপন পাল। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যখন সবাই উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়েছেন, ঠিক তখনই হাইকোর্টের ডিউটির জন্য বেরোচ্ছিলেন তপন পাল। জানা যায়, সেই সময় নিজের সার্ভিস গান দিয়েই আত্মহত্যা করেন তিনি। গুলি লাগে বুকে। শোকের ছায়া গোটা পরিবার জুড়ে।

সূত্রের খবর, রিজার্ভ ফোর্সের ওই পুলিসকর্মীর নাম তপন দাস। বড়দিনের সন্ধ্যায় হাইকোর্টের ডিউটিতে বেরোচ্ছিলেন তপন পাল। সেই সময় নিজের সার্ভিস গান দিয়েই আত্মঘাতী হন তিনি। নিজেই নিজেকে গুলি করেন, সেই গুলি এসে লাগে তাঁর বুকে। ঘটনার পর সহকর্মীরা তাঁকে কলকাতা পুলিস হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

জানা যাচ্ছে, তপন পাল হরিণঘাটা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুবর্ণপুরের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ভুগছিলেন স্নায়ু রোগে। এছাড়াও বহু দিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা যায় সূত্র মারফত। ৫৩ বছর বয়সী তপন পালের এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার। শোকের ছায়া গোটা পরিবারে।

3 months ago
Dog: অমানবিক! খাবারে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ শিলিগুড়িতে

এনআরএস কাণ্ডের ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। ২০১৯ সালে  কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ১৬টি কুকুরছানাকে নৃশংস হত্যায় নাম জড়িয়েছিল দুই নার্সিং ছাত্রীর। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রায় বছর তিনেক পর আবারও একই ঘটনার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৪টি কুকুরছানাকে ‘খুন’ করেছে দুষ্কৃতিরা। কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

জানা গিয়েছে,  সুভাষপল্লিতে সম্প্রতি একটি পথকুকুর ১৫টি সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাদের দেখভাল করতেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল তারা। রাতের দিকে একের পর এক ১০টি পথকুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকা থেকে আরও একাধিক কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়।

স্থানীয়রাই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পথে নামে পশু প্রেমী সংগঠন। পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কে বা কারা অমানবিক কাজ করল, তা জানার চেষ্টা চলছে।

4 months ago
Nadia: রেশনের আটায় পশু খাদ্য মেশানোর অভিযোগ, স্থানীয়দের হাতে পাকড়াও অভিযুক্ত

রেশন দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরমধ্যেই নদিয়ার বীরনগর পুরসভার ৮ নম্বর চরকপাড়া এলাকায় হাতেনাতে ধরা পড়ল রেশনের কালো বাজারি। অভিযোগ সেখান থেকে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রেশনের আটা বস্তাবন্দি করে পাচার হচ্ছিল। এলাকাবাসীরাই এই অপকর্ম ধরে ফেলেন। পশু খাদ্য সহ নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী মেশানোর অভিযোগও তোলেন তাঁরা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশান্ত পাল নামে এক রেশন সাপ্লায়ার এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কলাবাগানে রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার বস্তা রেশন সামগ্রীর নতুন বস্তার মুখ কেটে পশু খাদ্য এবং নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী মেশানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

5 months ago


Durga Pujo: রামমোহন থেকে প্যারীমোহন, মনীষীদের পুজোর খাবারের কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

সৌমেন সুরঃ আর কিছুদিন পরে দুর্গাপুজো। পুজোয় ভালোমন্দ খাওয়া দেওয়ার ওপর বাঙালির ভীষণ নজর। পুজোর পাঁচটা দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন পদের খাওয়া দাওয়ায় বাঙালি সর্ব্বোচ্চ স্থানে বিরাজ করছে। এককথায় বলা যায় বাঙালি বড্ড ভোজনরসিক। ভোজন রোশনে প্রিয় খাবারের বৈচিত্রে বাঙালি দু'কদম এগিয়ে। খাওয়া দাওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তো আছেই, তবে অবাক হতে হয় কিছু মনীষীদের খাওয়া দাওয়া শুনলে।

শুরু করি রামমোহন রায়কে নিয়ে। তিনি যেমন সুপুরুষ ছিলেন তেমনি খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে ছিলেন সবার উপরে। একটা গোটা পাঠা খেয়ে ফেলা তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই ছিল না। দিনে দুধ খেতেন দশ/বারো সের। এছাড়া পঞ্চাশটা আপ আর এক কাদি নারকেল তার কাছে অতি সাধারণ ব্যাপার ছিল। অন্যদিকে প্যারীমোহন সরকার ও বিদ্যাসাগর মশায় ভোজনে কম যান না। প্যারীমোহন জলখাবার সারতেন এক ধামা মুড়ি আর শ'খানেক মূল খেয়ে। কোনও এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে বাজি ধরে-সমস্ত খাওয়া দেওয়ার পর একসের ছানাবড়া খেয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর মশায় ছিলেন তার যোগ্য সহচর। একটা পাঠ দু-বন্ধু মাইল অর্ধেক সাবাড় করে ফেলতেন। অন্যদিকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন কম যান না, পেট ভরে পোলাও মাংস খাবার পর দু'সের রসগোল্লা অম্লান বদনে খেয়ে ফেলতেন।

আমিষ ও নিরামিষ দুটোই দুটোতেই বাঙালির রান্নার খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। পরাধীন ভারতের ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড যুবরাজ থাকাকালীন ভারত ভ্রমণের সময় ভবানীপুরে এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে বাঙালির নানা পদের রান্না তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। প্রখ্যাত লেখিকা পার্ল বাক বাঙালির রান্নার প্রশংসা করে গেছেন। শোভাবাজার রাজবাড়িটির রাজা নবকৃষ্ণদেব তাঁর মাতৃশ্রাদ্ধে যে বিপুল খরচ করেছিলেন সেইসময়ে, শুনলেই চক্ষু চড়কগাছ।  খরচ করেছিলেন আনুমানিক দশ লক্ষ টাকা। নিমন্ত্রিত অতিথিদের সব আহার্য কলকাতার সব দোকান থেকে জোগাড় করা হয়েছিল। তাতে কলকাতার সমস্ত মুদির দোকানের চালডাল ফুরিয়ে গিয়েছিল। কুমোরটুলির একটি মাটির হাঁড়িও অবশিষ্ট ছিল না। ছিল না কলাগাছের একটি পাতা। নবকৃষ্ণের এই নিমন্ত্রণ এখনও ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে খাওয়া আর খাওয়ানোর ব্যাপারে বাঙালিদের মতো ভোজন বিলাসী ও ভোজনরসিক জাত সত্যিই বিরল। তবে এখন আর নিমন্ত্রণের তেমন বহর নেই। আছে হারিয়ে যাওয়া কিছু সুখকর স্মৃতি। তবে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাচ্ছে সেই সুখকর স্মৃতিও।

6 months ago
FSSAI: খাবার দিতে আর ব্যবহার করা যাবে না খবরের কাগজ! জানাল এফএসএসএআই

ভারতে পুরনো সংবাদপত্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত করা হয়। খবরের কাগজ প্রথমে যে কাজে লাগানো হয়, তা হল খাদ্য সামগ্রী রাখার জন্য বা খাবার পরিবেশনের জন্যও। কিন্তু এবারে এটাতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল এফএসএসএআই (FSSAI)। 'ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া' বা এফএসএসআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে খবরের কাগজে কোনও রকমের খাবার দেওয়া যাবে না। খবরের কাগজ থেকে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে বলেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

এফএসএসআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্স রেগুলেশন ২০১৮ অনুযায়ী, খাবার রাখার জন্য বা কাগজ দিয়ে খাবার মুড়িয়ে রাখা নিষিদ্ধ। এছাড়াও খাবার মোড়ানো, ঢাকা দেওয়া বা পরিবেশন করা বা ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করার জন্য কোনওমতেই সংবাদপত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।

এফএসএসআই-এর সিইও কমল বর্ধন রাও এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত সমস্যার জন্য খবরের কাগজে খাবার মোড়া বা প্যাকেজিং করা উচিত নয়। সংবাদপত্রে যে কালি ব্যবহার করা হয়, তাতে বিভিন্ন বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান থাকে। যা থেকে খাদ্যসামগ্রী দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওই খাবার খেলে, উপভোক্তাদের শরীর খারাপ হতে পারে। তাই খাবার পরিবেশন বা মুড়ে রাখার জন্য উপযুক্ত পাত্র ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

6 months ago


Barasat: উপভোক্তাদের অভিযোগে রেশন দোকানে হাজির খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ

আচমকা রেশন দোকানে এসে হানা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। শনিবার উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী বারাসতের বিভিন্ন রেশন দোকানে গিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের সমস্ত সমস্যা সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন তিনি। একই সঙ্গে রেশন ডিলাররা সঠিক পরিমাণে রেশন সামগ্রী দিচ্ছে কিনা তা নিয়েও খোঁজখবর নেন গ্রাহকদের থেকে। উপভোক্তদের তরফে বেশ কতগুলো অভিযোগও খাদ্যমন্ত্রীর কাছে আসে। সেগুলো নিয়ে তিনি খতিয়ে দেখেন। 

বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে এক রেশন দোকানে একজন উপভোক্তা অভিযোগ করেন যে দুয়ারের রেশনের তালিকা নির্দিষ্ট জায়গায় টাঙানো থাকে না। তাতে সমস্যায় পড়েন উপভোক্তারা। খাদ্যমন্ত্রী এই কথা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গেই দোকানদারকে নির্দেশ দিয়ে দেন, যেন সমস্ত দোকানের দুয়ারে রেশনের তালিকা সঠিক জায়গাতেও টাঙানো থাকে। 

বারাসত নতুন পুকুরের অন্য একটি রেশন দোকানে অভিযোগ যে, রেশন দেওয়ার সময় অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে রেশন দোকানদার। খাদ্যমন্ত্রী রেশন দোকানদারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তদন্ত করে সাংবাদিকদের জানান আসলে নন পিডি আইটেম। কিছু সামগ্রী আছে রেশন দোকানে বিক্রি করা যায়। সেই জিনিসের জন্যই উনি টাকা নিয়েছিলেন। তাই উপভোক্তাদের সঙ্গে দোকানদারের যাতে কোনও বিবাদ না হয় সেজন্য নন পিডি আইটেমের আলাদা তালিকা তৈরি করে দোকানে লাগানোর নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

6 months ago
Thyroid: থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন? ভুলেও খাবেন না এই খাবারগুলো

থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যা এমনই এক সমস্যা, যা এখন কারও কাছেই বিশেষ অপরিচিত নয়। আর এই সমস্যা প্রত্যেক ঘরে ঘরেই কম বেশি দেখা যায়। প্রতি বাড়িতেই কোনও না কোনও মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু এই রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে পরে দেখা দিতে পারে গুরুতর সব অসুখ। এমনকি এই সমস্যা ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে জেনে রাখা দরকার থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে খাদ্যতালিকায় ভুলেও রাখা উচিত নয় এই খাবারগুলো।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগলে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও সর্ষে, মুলো, রাঙা আলু, চিনে বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। থাইরয়েড বেড়ে গেলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ ডায়েট থেকে বাদ দিন। এছাড়া চিনি, রান্না করা গাজর, পাকা কলা, ময়দার রুটি, আলু, পাস্তা, মিষ্টি শরীরে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা বাড়ায়। থায়রয়েড থাকলে এগুলোও কম খান। চা, কফি, চকোলেট, সফট ড্রিঙ্ক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।

যাঁরা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কপার এবং আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া  জরুরি। টাটকা মাংস, কাজু, গমের আটায় প্রচুর পরিমাণে কপার রয়েছে। সবুজ শাকসবজি, বিন, আঁশওয়ালা মাছ, সামুদ্রিক মাছ, পোলট্রির ডিমে রয়েছে আয়রন। সেই সঙ্গেই ভিটামিন সি খাবার যেমন- লেবু, টমেটো, ক্যাপসিকাম খাওয়া উচিত। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, থাইরয়েডের জন্য আদর্শ হল নারকেল বা নারকেলের দুধ।

7 months ago
Bankura: তিন মাসের বিল বকেয়া! আইসিডিএস সেন্টারে বন্ধ খাবার, ক্ষোভ প্রকাশ অভিভাবকদের

তিন মাস ধরে সবজি ও ডিমের টাকা বাকি আইসিডিএস খাবার সেন্টারে। বকেয়া টাকার দাবিতে খাবার বন্ধ করে দিলেন আইসিডিএস কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের সমস্ত আইসিডিএস কেন্দ্রে খাবার বন্ধ করে দিলেন কর্মীরা। যার ফলে আইসিডিএস সেন্টারের খাবার থেকে বঞ্চিত হল শিশুরা। 

আইসিডিএস কর্মীরা জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে মেলেনি সবজি, ডিম ও জ্বালানীর দাম। অভিযোগ, আইসিডিএস কর্মীরা বকেয়া বিলের দাবি নিয়ে বারংবার দ্বারস্থ হয়েছেন ওন্দা ব্লক সিডিপিও এর কাছে। কিন্তু তাতেও মেলেনি বকেয়া বিলের টাকা। বকেয়া টাকা না পাওয়াতে সেন্টার চালাতে বড় সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা। বাজারে দেনা না মেটানো পর্যন্ত নতুন করে বাজার থেকেও ধারে মিলছে না সবজি ও ডিম। 

আইসিডিএস কর্মীদের দাবি, বাজার থেকে সবজি, ডিম ও জ্বালানী টাকা পাওয়া যায় সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে। আর মাসে মাসে সেই টাকাও দেওয়া হয় ওই দফতর থেকে। কিন্তু গত তিন মাস ধরে বাজার থেকে সেই সব জিনিসপত্র কেনা হয়েছে আর সরকারিভাবেও কোনও টাকাপয়সা দেওয়া হয়নি। তিন মাস ধরে বকেয়া টাকা না পাওয়াতে বাজার থেকে ধার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে সেন্টার চালাতে বড় বিপাকে পড়েছেন কর্মীরা। এই সমস্যার কারণে ওন্দা ব্লকের আইসিডিএস কেন্দ্রে শিশুদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিলেন আইসিডিএস কর্মীরা। 

এদিন সকাল থেকেই ওন্দা ব্লকের সমস্ত আইসিডিএস সেন্টারে খাবার রান্না করলেন না কর্মীরা। কর্মীদের দাবি, বকেয়া টাকা মিলে গেলেই আবার চালু হবে রান্না। অন্য়দিকে শুক্রবার সকাল থেকে আইসিডিএস সেন্টারে এসে খাবার খেতে পেল না শিশুরা, তাই ক্ষোভ জন্মেছে অভিভাবকদের মধ্যেও।

7 months ago


Dengue Foods: শুধু ওষুধ নয়, ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

বর্ষা (Monsoon) প্রবেশ করতেই সারা দেশজুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যাও। পুজোর আগে আগেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। তাই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেই এর থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত খাদ্য তালিকায়। শুধুমাত্র ওষুধের উপর ভরসা না করে পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি থেকে রেহাই পেতে কী কী ধরণের খাবার খাদ্যতালিকায় (Dengue Diet) রাখা উচিত।

হাইড্রেশন: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে বেশি করে জল খাওয়া উচিত। কারণ এই সময় জ্বর ছাড়তে শুরু করলে ঘাম হয়। বমি, ডায়ারিয়াও হয়ে থাকে। তাই দেহে যাতে জলের অভাব না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। মুরগির মাংস, মাছ, ডাল থেকে শুরু করে ডিম, পনির খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও রক্ত কোষের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ মাছ খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এই ধরনের খাবার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আয়রন যুক্ত খাবার: আয়রন যুক্ত খাবার যেমন- মাংস, ডাল, কড়াই, পালং শাক  খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এই সময় শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট কমে যেতে পারে। তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

7 months ago
Food: চিকেন কারি অর্ডার করে খাবারে এল ইঁদুরের বাচ্চা! এরপর যা হল...

এর আগেও একাধিকবার খবরে এসেছে, হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারে পাওয়া গিয়েছে আরশোলা, টিকটিকি। এবারেও ফের এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, এবারে মুম্বইয়ের (Mumbai) এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁর খাবারে পাওয়া গিয়েছে ইঁদুর। এমনটাই অভিযোগ তুলে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ও সেইফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেন এক যুবক। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মুম্বইয়ের বান্দ্রার (Bandra) এক রেস্তোরাঁর।


সূত্রের খবর, রবিবার বান্দ্রার এই জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়েছিলেন গুরুগ্রামের এক ব্যাঙ্ক কর্মী অনুরাগ সিং। সেই রেস্তোরাঁ পাঞ্জাবি খাবারের জন্য জনপ্রিয়। ফলে তিনি সেখানে গিয়ে চিকেন কারি অর্ডার করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, একটি চিকেনের পিস মুখে পুড়তেই স্বাদ অন্যরকমের মনে হয়। এরপর তা কাছ থেকে ভালো করে দেখতেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। তিনি দেখেন, সেটি কোনও চিকেনের টুকরো নয়, তা আসলে একটি ছোট্ট ইঁদুরের বাচ্চা। তা দেখতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান তিনি। খাবার নিয়ে রেস্তোরাঁর কর্মীদের বলতেই তাঁরা ক্ষমা চান। কিন্তু অনুরাগ সিং অভিযোগ করেন, এই ঘটনার ৪৫ মিনিট পরেও ম্যানেজার তাঁর কাছে এসে ক্ষমা চাননি। এমনকি তিনি নাকি পরে এই অভিযোগও অস্বীকার করেন। পুলিস সূত্রে খবর, অনুরাগ সিং আরও জানান, সেই খাবার খেয়ে তিনি অসুস্থ বোধও করছিলেন। এরপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে তিনি তাঁর চিকিৎসাও করান। এরপরেই তিনি বান্দ্রা পুলিস স্টেশনে গিয়ে সেই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ও দুই সেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

অনুরাগ সিং-এর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ভারতীয় দন্ডবিধির ২৭২ ও ৩৩৬ ধারার অধীনে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও তাঁরা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।

8 months ago


Hearing Loss: কানে কম শুনছেন? খাদ্যতালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখবেন, জানুন

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের শারীরিক অসুস্থতাও বাড়তে থাকে। এর মধ্যে একটি হল শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া। তবে বর্তমানে শ্রবণশক্তি কমে (Hearing Loss) যাওয়ার প্রবণতা বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ছোট থেকেই শরীরে এই রোগ না দেখা যায়, তার জন্যও বিশেষজ্ঞরা খাদ্যতালিকায় (Diet)পরিবর্তন আনার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যার ফলে জানা যাবে, কেমন ধরনের খাবার খাদ্য়তালিকায় রাখলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, মধ্যবয়স্কদের থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের শরীরে ডিএইচএ-র পরিমাণ বেশি থাকলে শ্রবণশক্তির কমে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮-২০ শতাংশ হ্রাস পায়। অর্থাৎ যাঁদের শরীরে ডিএইচএ-র মাত্রা কম থাকে, তাঁদের শোনার ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর আগে গবেষণায় জানা গিয়েছিল, শরীরে ডিএইচএ-র পরিমাণ কমে গেলে হৃদরোগের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবারে জানা গেল, এর Docosahexaenoic Acid অর্থাৎ ডিএইচএ-র মাত্রা কম থাকলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্যতালিকায় সি-ফুড (Seafood) অন্তর্ভুক্ত করলে রক্তে ডিএইচএ-র মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এর থেকে শ্রবণশক্তি ঠিক থাকার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও হবে।

8 months ago
Food: খাবারে প্লাস্টিক, ফ্রিজারে পচা মাংস! রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ফুড সেফটি আধিকারিকদের

বাংলায় মিড-ডে মিলের খাবারে কখনও দেখা গিয়েছে, টিকটিকি, কখনও দেখা গিয়েছে সাপ। আর এই খাবার খেয়ে রীতিমতো অসুস্থও হয়েছে বহু শিশু। কিন্তু এবারে চেন্নাইয়ের (Chennai) এক নামী রেস্তোরাঁর খাবারে দেখা গেল আস্ত প্লাস্টিক। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই চেন্নাইয়ের এক রেস্তোরাঁর (Restaurant) বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল যে, সেখানকার খাবার খেয়ে মানুষ ফুড পয়জনিং-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন। এরপরই মঙ্গলবার সেই রেস্তোরাঁয় হানা দেয় ফুড সেফটি আধিকারিকরা। এরপরই প্রকাশ্যে যা এল তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের।

চেন্নাইয়ের যে রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল, সেখানেই মঙ্গলবার তদন্ত করতে যান ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথারিটি অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। তাঁরা সবকিছু খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেন। এরপর সমস্ত খাবারের গুণমান দেখতে গিয়ে তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। এক বড় পাত্রে রাখা সাম্বার ও কারি নাড়তে উঠে আসে এক আস্ত প্লাস্টিকের প্যাকেট। খাবারে কীভাবে প্লাস্টিক এল, তা জিজ্ঞাসা করলে রেস্তোরাঁর লোকেরা ভয় পেয়ে যান। এছাড়াও রান্নাঘরের চারপাশে মাছি ও নোংরা পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, ফ্রিজার থেকে বাসি মাংস ও মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া খাবারও উদ্ধার করা হয়।

রেস্তোরাঁর এমন অবস্থা অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেন আধিকারিকরা। রেস্তোরাঁর এমন শোচনীয় পরিস্থিতি দেখে রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া দেয় ফুড সেফটি বিভাগের আধিকারিকরা।

8 months ago
Eye Health: বর্ষায় চোখের সংক্রমণ রুখতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি

বর্ষা (Monsoon) আসতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বর্ষা আসতেই ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পায়। এই সময় যে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা এই সময়ে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। তবে এই সংক্রমণের থেকে বাঁচতে কিছু খাবার খেতে পারেন, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো করবেই, এছাড়াও এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চোখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে খাওয়া উচিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। যেমন- কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন- ডিম খেতে হবে। এতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- আখরোট, আমন্ড যা ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক ও ভিটামিন ই-এ সমৃদ্ধ, যা ডায়েটে রাখা উচিত। এগুলো চোখের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও ফ্ল্যাক্স বীজে চোখ হাইড্রেট করার উপাদান রয়েছে। আবার ভিটামিন এ ও অন্যান্য জরুরী উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর ডায়েটে রাখা উচিত। গাজর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকরী।

8 months ago


Sugar: সবসময় মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করে? চিনির বিকল্প হিসাবে খান এই খাবারগুলো

অনেকেরই শর্করা জাতীয় খাবার (Foods) বা মিষ্টি খাবার পছন্দ হয়ে থাকে। যেমন- চকোলেট, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি ইত্যাদি। কিন্তু এটা প্রায় সবারই জানা যে, সবসময়ই শর্করা জাতীয় খাবার বা চিনি (Sugar) শরীরে কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এর ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ব্যাধি। তবে চিনি ছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার ভাবাই যায় না। ফলে মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা হলে কী করবেন? তবে আর চিন্তা নেই, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ (Health Tips), মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা হলে এমন অনেক বিকল্প খাবার রয়েছে। আর এগুলো খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হবেই না বরং ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও উপকারী। সেগুলো হল-

ফল- দিনে যখনই মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করবে, তখনই আপনি ফল খেতে পারেন। ফলে বিভিন্ন রকমের উপকারী উপাদানের পাশাপাশি এতে উপস্থিত চিনি শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। ফলে চকোলেট, মিষ্টির বদলে খান ফল।

দই- দই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার, যা প্রোটিন, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ। এই খাবার যেমন শরীরের পক্ষে উপকারী ও তেমনি আপনার মিষ্টি খাওয়ার ক্রেভিংস কমাতেও সাহায্য করবে। 

খেজুর- এই ড্রাইফ্রুট শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী, তেমনি এটি খেতেও মিষ্টি। খেজুর ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রনে সমৃদ্ধ। এছাড়াও খেজুরের পাশাপাশি আমন্ড, আখরোটও খেতে পারেন। এতে স্বাস্থ্য তো ভালো থাকবেই আবার মিষ্টি খাবার খাওয়াও হয়ে যাবে।

গুড় ও মধু- চা, কফিতে চিনি না দিয়ে তার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন মধু ও গুড়। এতে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না। আবার ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

10 months ago
Food: ফুটপাতের দোকান, রেস্টুরেন্টে পচা খাবার বিক্রি! হঠাৎ খাদ্য দফতরের আধিকারিকের হানা, তারপর....

রাস্তার চারিদিকে এখন শুধু খাবারের (Food) দোকান। আর যেদিকেই তাকানো যায় শুধুই দেখা যায় লম্বা লাইন। কখনও কখনও তো আবার এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার কিনতে হয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই এই স্ট্রিট ফুডের দোকান গুলির বিরুদ্ধে নষ্ট খাবার বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার খাদ্য সুরক্ষা (Food Inspector) অধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছে দোকানগুলিতে। সারাদিন রীতিমতো খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়ে চোখ যেন কপালে উঠল খাদ্য সুরক্ষা অধিকারিকদের।

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Purbo Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায়। শুক্রবার দিনভর চন্দ্রকোনা শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চপ মুড়ির দোকান, মিষ্টির দোকানে অভিযান চালান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। দোকানগুলিতে তৈরি খাবারের গুনমান দেখে এবং নিজে সেই খাবার খেয়ে যেন একপ্রকার রণমূর্তি ধারন করলেন তিনি। ঝা-চকচকে দোকানের আড়ালেই খাদ্য রসিক মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। তাই বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দিয়ে বাসি-পচা খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তিনি। এমনকি রীতিমতো নিজে হাতে একাধিক দোকানদারকে নোটিশ দিয়ে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। 


এবিষয়ে চন্দ্রকোনার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার জানান, সমস্ত দোকানদারকে ডেকে ট্রেনিং সমেত একাধিক নিয়মাবলি সম্পর্কে আগে সচেতন করা হলেও অনেকেই খাদ্য সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিচ্ছিল না। তাই অভিযান চালিয়ে বাসি খাবার থেকে পচা মাংস ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক দোকানদারই এখনও বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছেন তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বিনা লাইসেন্সে চন্দ্রকোনা শহরে দিনদিন বেড়ে চলেছে খাবারের দোকান, খাবারের গুনগত মান নিয়েও উঠছিল একাধিক অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগই রাস্তায় নামলো খাদ্য সুরক্ষা দফতর, খাবারের গুনগত মান বজায় রাখতে আগামী দিনেও এই অভিযান বজায় থাকবে বলে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। তবে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এহেন অভিযানে খুশি ক্রেতা থেকে চন্দ্রকোনাবাসী।

10 months ago