আবারও খবরের শিরোনামে কলকাতা বিমানবন্দর। এবার সিআইএসএফ জওয়ানের সার্ভিস রাইফেল থেকে চলল গুলি। বিমানবন্দরের ৫ নম্বর গেটের কাছে ওয়াচ টাওয়ারে ঘটেছে ঘটনাটি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছেন কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান। পরবর্তীতে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই জওয়ানকে। তবে শেষরক্ষা হল না। মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে যায় সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বিমানবন্দর থানার পুলিস। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার জেরে বিমানবন্দরজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই বিমানবন্দর ৫ নম্বর গেটে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। তাতেই কর্তব্যরত অন্যান্য সিআইএসএফ থেকে শুরু করে সকলে সতর্ক হয়ে যান। তারপর জানা যায় ৫ নম্বর গেটের যে টাওয়ার, সেখান থেকেই গুলির আওয়াজ এসেছে। এরপর অন্যান্য কর্মীরা টাওয়ারের উপর ওঠেন। ততক্ষণে লুটিয়ে পড়েছেন ওই সিআইএসএফ কর্মী। নিজের এসএলআর রাইফেল থেকে নিজেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ান।
পুলিস সূত্রে খবর, কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ২০২২ থেকে সিআইএসএফ-এ কর্মরত ছিলেন ওই জওয়ান।
এ যেন ৯০ বা সমসাময়িক বাংলা সিনেমা। একটি সুপারি কিলারের দল। যাদের হাফ মার্ডারের এক রেট, ফুল মার্ডারের অন্য রেট। তৎকালীন বাংলা সিনেমা না হলেও এমন বাস্তব ঘটনার সাক্ষী ক্যানিং। সূত্রের খবর, খুনের অর্ডার নেওয়া হয় বলে ভিজিটিং কার্ড ও পোস্টার ছাপিয়ে শুরু করেছিলেন নিজের অপকর্ম। কিন্তু পুলিসের কানে খবর যেতেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় ওই অভিযুক্ত। পুলিস জানিয়েছে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মোরসালিম মোল্লা। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি ক্যানিং থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামে একটি অদ্ভুত পোস্টার দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই পোস্টারে খুনের অর্ডার নেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় ক্যানিং থানার পুলিসের কাছে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিস মোরসালিম মোল্লা নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সূত্রেই খবর, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ২০২২ সালের ০৭ জুলাই গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামের তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি সহ তিনজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে জেরা করে জানা যায়, অভিযুক্ত অর্থাৎ রফিকুল যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল, সেটি সরবরাহ করেছিল মোরসেলিম মোল্লা। এরপর ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি পরে পুলিস মোরসেলিম মোল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ মোরসেলিমকে বেলগাছি থেকে একটি অটো সহ গ্রেফতার করে। এরপর ওই ঘটনা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে।
কিন্তু সম্প্রতি ক্যানিং থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামে ওই সন্দেহজনক পোস্টারের পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। সূত্রের খবর, ওই ভিজিটিং কার্ডে ও পোস্টারে লেখা আছে হাফ মার্ডার ৫০ হাজার ও ফুল মার্ডার ১ লক্ষ। পুলিশের দাবি, ধৃত মোরসেলিম কোথা থেকে এই ভিজিটিং কার্ড করল এবং কোথায় কোথায় এই কার্ড বিলি করলো তার তদন্ত চলছে, এছাড়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও দেখা হচ্ছে। তবে এই গোটা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধৃত মোরসেলিমের পরিবার। তাঁদের দাবি, চক্রান্ত করে মোরসেলিমকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বারুইপুর কামালগাজি বাইপাস এলাকায় গাড়ি থামিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠছিল। সামনে এসেছিল একাধিক দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনাও। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও চলছিল। এবার ওই ঘটনার তদন্তে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বারুইপুর থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সৌরভ সামন্ত ওরফে রানা। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনাগুলিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে বলে পুলিস আধিকারিকদের দাবি। সোমবার রাতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস, মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে বলে পুলিসের।
পুলিস সূত্রের খবর, অভিযুক্ত রানার থেকে তল্লাশি চালিয়ে, একটি ৭ এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড লাইভ কার্তুজ ও নগদ ১২ হাজার টাকা এবং একটি নাম্বারপ্লেট বিহীন প্রাইভেট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিস। এরপরই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওই অভিযুক্তকে জেরা করা শুরু করে তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিস জানিয়েছে, ওই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিস, ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্তর বয়ানের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সুত্রে আরও জানা গিয়েছে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিস সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নাম্বার প্লেট বিহীন একটি গাড়িকে আটকায়। গাড়ির মধ্যে ছিল সৌরভ সামন্ত। তার বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুর এলাকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ টাকা, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ধৃতের নামে সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় একাধিক চুরি ছিনতাইয়ের মামলা আছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের মালদায় (Malda) অস্ত্র (Firing Arms) উদ্ধার। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হবার পর থেকেই, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া গোটা রাজ্যে সন্ত্রাসের চিত্র দেখেছে বাংলা। এরপর নির্বাচন কমিশন ও পুলিসের তৎপরতায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা, গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র, উদ্ধারে নেমেছে প্রশাসন। এবার মালদার রতুয়া থেকে গ্রেফতার ২ অস্ত্র ব্যবসায়ী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশিতে নামে পুলিস। শনিবার রাতে রতুয়ার জাননগর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিসের এসটিএফ। পাকড়াও করা হয় দুই অস্ত্র কারবারিকে।
ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের একজন রতুয়া ও অন্যজন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের বাসিন্দা। গত মাসেও মালদায় অস্ত্র উদ্ধার হয়। গঙ্গার নদীর ঙাট এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। একজনকে ধরেও এসটিএফ। পঞ্চায়েতের আগে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদায়।
ফের শহরের বুকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী (Criminal)৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুর এলাকায়৷ বেশ কিছুদিন ধরে অস্ত্র (Firing Arms) নিয়ে দাপাদাপি করার অভিযোগ ওঠছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ শাহাজাদা ওরফে শেখ সমীর৷ তাকে জেরা বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ এছাড়াও তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দু রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিস৷ এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আগেও বেশ কিছু ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস৷ তবে অভিযুক্ত কি কারণে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷ পুলিস আরও জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ কোথা থেকে তিনি এই অস্ত্র পেয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস৷
বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানায়, ধৃতের বিরুদ্ধে আর্মস অ্যাক্ট মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ধৃতকে শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে৷
খড়্গপুরে (Kharagpur) আগ্নেয়াস্ত্র (Firing Arms) সহ গ্রেফতার (Arrest) এক ব্যক্তি। অন্যদিকে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল ৪জন। শুক্রবার রাতে এই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত গেট বাজার এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দেখতে পাওয়া যায়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ভি.শ্রীনু রাও। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ব্যক্তিটির কাছ থেকে একটি একনলা পিস্তল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে খড়্গপুরের আয়মা এলাকায় চারজন ব্যক্তি জড়ো হয়েছিল ডাকাতির উদ্দেশ্যে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিস ওই এলাকায় হানা দিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছে ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার ধৃতদের খড়্গপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্র (Firing Arms) হাতে স্কুলে (School) ঢুকে দাদাগিরি। বুধবার সকালে মালদহের (Malda) মুচিয়া চন্দ্র মোহন হাই স্কুলের ঘটনা। অস্ত্র দেখিয়ে আটক করে রাখা হয় ছাত্রছাত্রীদের। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা স্কুল চত্বরে। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মালদহের মুচিয়া চন্দ্র মোহন হাই স্কুলে ঢুকে ক্লাস সেভেনের ছাত্রদের আটক করল এক ব্যক্তি। পুলিস জানিয়েছে অভিযুক্তের নাম দেববল্লভ। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে হুমকি দেওয়ার জন্য গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নেতারা তাঁর বউ ও ছেলেকে কিডন্যাপ করে রেখেছে। থানায় অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। তাই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। পুলিস আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তের থেকে ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্কুলে তখন চলছিল সেভেনের বাংলা ক্লাস। হঠাৎ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন ক্লাসরুমে। বন্দুক তাক করেন ক্লাসে উপস্থিত বাংলা শিক্ষিকার ওপর। কোনরকমে তিনি বেরিয়ে আসতে পারলেও ছাত্রছাত্রীদের আটকে রাখে ওই ব্যক্তি। এরপরই স্কুল কতৃপক্ষ খবর দেয় থানায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উদ্ধার করা হয় ছাত্রদের।
স্থানীয় বিজেপি নেতার মতে, অভিযুক্ত দেববল্লভের স্ত্রী ও পুত্র তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পারিবারিক সমস্যা। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। পুলিস সুত্রের খবর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ব্যগ সহ কিছু বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে স্কুলের ভেতর সবার চোখ এড়িয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়লেন ওই ব্যক্তি, তদন্তে পুলিস।
ফের দক্ষিণ থাইল্যান্ডে (Southern Thailand) গুলিবৃষ্টি (Shooting)। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু (Death) হয়েছে ৪ জনের। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ গুলি চলার ঘটনাটি ঘটে। বন্দুকবাজের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। কী কারণে এই হামলা তাঁর তদন্তও করছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের খিরি রাত নিখোম জেলার সুরাট থানি প্রদেশে গুলি চলার ঘটনাটি ঘটে। একেবারে প্রাক্তন গ্রাম প্রধানের বাড়ির কাছেই এই ঘটনা। পুলিস এখনই অন্য কোনও তথ্য সামনে আনতে চায়নি। সেখানকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। যদিও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই অনুমান পুলিসের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের গুলি চালনার ঘটনা বেড়ে চলেছে। গত বছর অক্টোবরে এক প্রাক্তন পুলিসকর্মী নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে ৩৬ জনকে মেরে ফেলেন। তার মধ্যে ২৪টি শিশু। আবার গত মাসে ফেতচাবুরি প্রদেশে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩ জন গুরুতর আহত হন। মনে করা হচ্ছে, সেখানে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়া খুব সহজ। সে কারণে আততায়ীরা সহজে হাতে বন্দুক পেয়ে যাচ্ছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে চলেছে।
গাড়ি পার্কিং (Car Parking) নিয়ে শুরু হয় বচসা। তারপর পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে এগোয়, যে শুরু হয় হাতাহাতি। সেখান থেকে চলে গুলিও। যার জেরে দু'জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় আহত ৫ জন। উত্তেজিত জনতা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। একেবারে রণক্ষেত্রে পরিণত বিহারের (Bihar) পাটনার (Patna) জেঠুলী গ্রাম।
জানা গিয়েছে, রবিবারের এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে পাটনা মেডিকেল কলেজ এবং নালন্দা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিস এই ঘটনায় গ্রামের প্রধান-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পাটনার পুলিস সুপার জানিয়েছেন, 'দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সংঘর্ষ অচিরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মোট পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিস জেঠুলীতে ক্যাম্প করবে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এক পুলি্স আধিকারিকের সামনেই গুলি চালানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে ভরা বাজারে ছুরি হাতে ঘুরছেন এক যুবক। কখনও বাজারে থাাকা সাধারণ মানুষের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন (Knife Attack)। আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছুটে পালাচ্ছিলেন উপস্থিত সকলে। তাঁদের মধ্যেই কেউ একজন প্রকাশ্যে ছুরি নিয়ে ঘোরার কথা পুলিসকে জানান। পুলিস ঘটনাস্থলে আসতেই পুলিসের উপরেও আক্রমণের চেষ্টা করে যুবক। আরও উত্তেজিত হয়ে তাণ্ডব শুরু করে দেন বাজারে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম ফজল ভগবান।
পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবক তাঁদের দিকেও তেড়ে আসে। বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। ছুরি ফেলে দিতে বলা হলেও কথা শুনছিলেন না। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই ব্যক্তির পায়ে গুলি চালায় পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তারপরই পুলিসকর্মীরা লাঠি নিয়ে মারধর করেন। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর হাতের ছুরিটিও। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কালবুর্গির একটি বাজারে।
এরপর গুলিবিদ্ধ ফজলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। মানসিক কোনও সমস্যা নাকি এর পিছনে অন্য কারণ ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ওডিশার (Odisha) স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Minister) তথা বিজেডি নেতা নবকিশোর দাসের (Naba Kishore Das) মৃত্যুতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ায় মন্ত্রীকে গুলি করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল চন্দ্র দাস (ASI Gopal Chandra Das)।
রবিবার দুপুরে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের কাছে গান্ধী চকে রাজ্য পুলিসের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়েন। সেখানেই মাটিতে পড়ে যান মন্ত্রী। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে এয়ারলিফট করে ভুবনেশ্বরেও নিয়ে যাওয়া হয়। এত কিছুর পরেও হয়নি শেষরক্ষা। এদিকে অভিযুক্ত পুলিসকর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দুপুর একটার দিকে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজনগরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নবকিশোর দাস। সেই সময় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালায় ওড়িশা পুলিসের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। গুলি চালানোর সঠিক কারণ কী, তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
ঘটনার পর অভিযুক্ত এএসআইয়ের স্ত্রী জয়ন্তী দাস বলেন, 'ঘটনার দিন সকালেও মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন। ৭-৮ বছর থেকে মানসিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা চলছিল গোপালের। তবে ওষুধ খেলে সুস্থ থাকতেন। পাঁচ মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন।' এখন প্রশ্ন উঠছে মানসিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর কাছে রিভলবার কেন দেওয়া হল? তাঁকেই বা কেন নিরাপত্তার দায়িত্বে পাঠানো হল?
পশু-পাখি শিকার অনেকের কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও পশু হত্যা আইন বিরুদ্ধ। কিন্তু পোষ্য কুকুরের (Dog) ছোড়া গুলিতে 'শিকার' হলেন যুবক। এমন ঘটনা অবিশ্বাস্য। অবাক করার মতো হলেও, বাস্তবে এমনই ঘটেছে আমেরিকায় (America)। এক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার পোষা কুকুরের ‘ছোড়া’ গুলিতে ৩০ বছর বয়সি কানসাসের এক যুবকের মৃত্যু (Death) হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন ওই যুবক একটি গাড়িতে করে শিকার করতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর পোষ্য কুকুর। আর শিকারের যাবতীয় সরঞ্জাম। যার মধ্যে ছিল গুলি ভর্তি বন্দুক। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিল আদরের পোষ্য। কোনোভাবে বন্দুকের ট্রিগারে পা পড়ে। আর বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যুবকের পিঠে লাগে। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিস জানিয়েছে।
তবে প্রাথমিক তদন্তের পর সামার কাউন্টি শেরিফের অফিসের পক্ষ থেকে এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে। শিকারের জন্য গাড়ির পিছনের সিটে রাখা ছিল ক্যানাইন রাইফেল। সেই রাইফেল থেকে ছোড়া গুলিতেই নিহত হন যুবক। ঘটনাস্থল থেকে ওই কুকুরটিকে উদ্ধার করে পশু কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে টেকনোসিটি থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর বা এসআই কৌশিক ঘোষের পায়ে গুলি (Firing)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরই সহকর্মী অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর বা এএসআই (ASI) অভিজিৎ ঘোষ। জানা গিয়েছে, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ থেকে কিছুদিন আগেই তিনি পোস্টিং পেয়েছেন টেকনোসিটি থানায় (Techno City PS)। টেকনো সিটি থানার পুলিস ব্যারাকের মধ্যে গণ্ডগোলের কারণেই এই গুলি চালনার ঘটনা। সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন এসআই কৌশিক ঘোষ। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা। একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিধান নগর কমিশনারেটের কমিশনার। ঠিক কী কারণে এই গুলি চলেছে রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি দুই সহকর্মীর মধ্যে কোনও বিবাদ বা ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কিনা তাও দেখবে বিভাগীয় তদন্ত।
এই ঘটনায় এএসআই অভিজিৎ ঘোষকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এই গুলি চালনা ইচ্ছাকৃত, না দুর্ঘটনাবশত খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সকালে টেকনোসিটি থানায় যান বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা। যদিও দুর্ঘটনাবশত এই গুলি চালনার ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে, গত বছর কলকাতা জাদুঘর বা মিউজিয়াম-কাণ্ড। সিআইএসএফ ব্যারাকে সহকর্মীর ছোড়া গুলিতে এভাবেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক আধা সামরিক কর্তার। গুরুতর জখম হয়েছিলেন আরও এক।
আচমকা পাকিস্তানের (Pakistan) গুজরাট কেন্দ্রীয় কারাগারে (Jail) গুলির শব্দ। কারাগারে বন্দি কয়েদি ও জেলকর্মীদের মধ্যে শুরু বিবাদ। আর দাঙ্গা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় বন্দিদের নিয়ন্ত্রণে শূন্যে গুলি ছুড়ল (Gunshots) পুলিস। ঘটনায় আহত হয়েছেন ডেপুটি সুপার-সহ বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী। পাকিস্তানের গুজরাতের এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য।
পাক সংবাদপত্র সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ (স্থানীয় সময়) গুজরাট জেলা জেলে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। কারাগারের আধিকারিকদের সঙ্গে বন্দিদের প্রথমে বচসা বাঁধে। এরপর উত্তেজিত হয়ে কয়েদিরা ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে থাকা পুলিসকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে। এরপর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে গুলি চালানো হয়। তাতে যদিও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বিক্ষোভ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন গুজরাত সিটি সার্কল ডিএসপি পারভেজ গোন্দল-সহ বেশ কয়েক জন আধিকারিক।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দাঙ্গায় মোট ১২ জন পুলিস আহত হয়েছেন। কিছু বন্দিকে কারাগারের ছাদে উঠতে দেখা গিয়েছিল। বেশ কিছু জেল কুঠুরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কয়েদিরা যাতে পালাতে না পারেন, জেলের চারপাশে ঘিরে ফেলা হয়। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উল্লেখ্য পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্জাবের নবনিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি সিনিয়র পুলিস অফিসারদের দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণেশ্বরে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি (Dakhineswar Firing)। ডাকাত (Dacoity) দল ধরতে রহড়া থানা দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের এক গেস্ট হাউসে অভিযান চালালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম এক সিভিক ভলান্টিয়ার। রহড়া এলাকায় ৩৪ লক্ষ টাকা ডাকাতি এবং পুলিসকে লক্ষ্য করে এই গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার তিন। ধৃতরা মহম্মদ সনু, আখতার আলী এবং পারভেজ আখতার। জানা গিয়েছে, এই ধৃত তিন দুষ্কৃতী কামারহাটি লুটবাগান এলাকার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, রহড়ার এলাকায় কয়েক দিন আগে ৩৪ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছিল। সেই ডাকাত দলের তিনজন দক্ষিণেশ্বরের গেস্ট হাউসে লুকিয়ে ছিল। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের ধরতে দক্ষিণেশ্বরের ওই গেস্ট হাউসে হানা দেয়। তাঁদের কাছে ছবি দেখে একজনকে চিহ্নিত করেন হোটেলের কর্মীরা। এরপরেই ২০৯ নম্বর রুমে গিয়ে দরজায় নক করে পুলিস। তখনই ঘরের দরজা খুলেই গুলি চালায় ডাকাত দল। তাতে সিভিক ভলান্টিয়ার মহম্মদ রেজাউলের কুচকিতে গুলি লাগে। এরপরে অন্য পুলিসকর্মীরা ঢুকে তিনজনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে। রেজাউলকে প্রথমে রথতলার এক নার্সিংহোম এবং পড়ে বাইপাসের ধারে এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের মতো জনবহুল এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ৭ মিমি পিস্তল থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি সাউথ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৪টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরের এক গেস্ট হাউসে অভিযান চালায় রহড়া থানা। তাদের কাছে খবর ছিল, রহড়া থানা এলাকায় ডাকাতিতে অভিযুক্ত একটি দল সেই গেস্ট হাউসে আশ্রয় নিয়েছে। সেই গেস্ট হাউসে গিয়ে পুলিস প্রথমে দু'জন আসামিকে গ্রেফতার করে। তিন নম্বর আসামিকে অন্য ঘরে ঢুকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমাদের এক সহকর্মীর পায়ের উপরের অংশে গুলি লেগেছে। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, 'যে গেস্ট হাউসের এই ঘটনা, সেই গেস্ট হাউস এখন রেস্ট হাউস। কোনও নজরদারি, নিরাপত্তা নেই। প্রতি দুপুরে মুখে কাপড় জড়িয়ে অনেকেই এলাকার একাধিক গেস্ট হাউসে আসেন। তারা কারা, দেখার কেউ নেই। আদ্যাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরের মতো এলাকায় গেস্ট হাউসগুলোকে গেস্ট হাউস হিসেবেই ব্যবহার করা হোক। এই ঘটনায় পুলিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চূড়ান্ত।'