নারদা মামলায় (Narada Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নারদা মামলায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার নারদা মামলায় হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেই তিনজনকেই একই কথা বলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিন জনই মন্তব্য করেন ও জানান যে, সবের পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত দাবি করেন, 'নারদা মামলায় ববি হাকিমের কোনও যোগ নেই। মুকুল রায় মির্জা কে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এত বছর ধরে মামলা চলছে কোনও সঠিক রিপোর্ট নেই। সরকারি আইনজীবীরা লিখিতভাবে জমা দিন, আমরা রিপোর্ট জানাব।' ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
'চাকরিপ্রার্থীদের টাকা নেওয়ার থেকে মায়ের মাংস খাওয়া ভালো,' পুর নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে এবার এমন মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম। রবিবার সকালে রাজ্যের বারোটি জায়গায় তদন্ত সিবিআই হানা দেয়। এরই মধ্যে মদন মিত্র এবং কলকাতার মেয়ার ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জেরা শেষে ফিরহাদ সাংবাদিকদের জানান, তিনি কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।
কিছুটা বিস্ফোরক সুরেই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি কে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ল, 'আমি প্রশ্ন করতে চাই আমি কি চোর? আমি কি অপরাধ করেছি? সারা জীবন একটা আদর্শ, একটা নীতি নিয়ে রাজনীতি করেছি। কি পেলেন তদন্ত করে?' এদিন তিনি আরও জানান, অয়নশীলকে আমি চিনিও না, কোনদিন জীবনে কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হইনি। জীবনে নিজে কখনো ফুর্তি করিনি, জীবনে কখনও নেশা-ভান করিনি। মানুষ সেবা করতে এসেছি।'
এরপরেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের টেনে তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে সুজন বাবু আমাকে জানেন, রাজনীতি ছেড়ে বলুন, আমি চোর? বিকাশ বাবু ব্যক্তিগতভাবে বলুন, আমি চোর! দিলীপ ঘোষ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানে, বলুন আমি চোর!'
এদিন উত্তেজিত সুরে ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, 'ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে মানুষের সেবা করেছি।' এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তোপ দিয়ে তিনি বলেন, 'যা ইচ্ছে তাই করব, নারদা হয়েছে, ভেবেছিলাম করে বিচার পাব। সেখানে বিচার হবে না, তার কারণ একতরফা হয়েছে। শুভেন্দু ওই কেসে আসামী। তাই কোনদিন চার্জ ফ্রেম হবে না। কোনওদিন বিচার পাব না। আমি মারা যাব তারপর বিচার কোনও একদিন আমি ক্লিনচিট পাবো।'
এবার তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ' আমার ফ্যামিলিকে হ্যারাস করা হচ্ছে। বিজেপিকে বলে দিই পারলে আমাকে জেলে রাখুন আমাকে, কিন্তু অপমান করবেন না। বিজেপি একটি অসভ্য, বর্বর লোকের দল। সামনে দিয়ে লড়তে পারে না মিথ্যা প্রবাদ দিয়ে পিছন দিক দিয়ে আমাদের সম্মানহানি করে।'
এদিন তিনি সাংবাদিকদের তাকে সিবিআইয়ের জেরা বিষয়ে বলেন, 'আমার দলিল দেখেছে, জেরক্স কপি নিয়ে গেছে, আমার ডকুমেন্টস দেখেছে, গোটা বাড়ি তল্লাশি করেছে উপর থেকে নিচ অবধি। কিছু বাজেয়াপ্ত করেনি,' শেষ পর্যন্ত নারদার পর ফের সিবিআই জেরে শেষে তিনি বলেন, 'আইন অনুযায়ী পৌর মন্ত্রীর সঙ্গে কোনোভাবেই পুর নিয়োগ যুক্ত নয়। পুরসভার নিয়োগের কোনও তথ্য পৌরমন্ত্রীর কাছে এসে না।'
পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বাড়িতে সিবিআই হানা। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল তাঁর চেতলার বাড়িতে হানা দেয়। সেসঙ্গেই ববি হাকিমের বাড়ি ঘিরে রয়েছে সিআরপিএফের একটি দল। সূত্রের খবর, এই পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এবার ওই একই কাণ্ডে নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা।
ওদিকে রথিন ঘোষের এলাকার মত ফিরহাদের বাড়ির সামনে জমায়েত করেছেন তাঁর অনুগামীরা। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তাঁরা। উঠছে কেন্দ্রীয় সরকার-বিরোধী স্লোগান।
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ইয়াসির হায়দার। সূত্রের খবর, ইয়াসির রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের জামাই। আজ অর্থাৎ শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। কংগ্রেসে যোগদান করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন স্বয়ং ইয়াসির হায়দার। পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীররঞ্জন চৌধুরী। মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ফিরহাদ হাকিমের জামাইয়ের তৃণমূলে ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, ইয়াসির তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব ছাড়াও বিশেষ সমাজকর্মী নামেই পরিচিত। শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ইয়াসিরের কংগ্রেসে যোগদানের কথা জানায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনিই ইয়াসিরের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। কংগ্রেসে যোগদান করে ইয়াসির বলেন, 'তৃণমূলে থেকে কাজ করার সুযোগ পাই নি। স্বপ্ন ছিল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করব। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।' পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমি কোনও ব্যক্তি দেখে রাজনীতি করি না, মানুষের জন্য কাজ করি, মানুষের কাজ করার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলাম।'
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কংগ্রেসের জয়ী বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। সেসময় অবশ্য বায়রনের মত ছিল, দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই ও মানুষের জন্যই কাজ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা। কিন্তু এবার তার পাল্টা কংগ্রেসে যোগদান করলেন ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দার। এ বিষয়ে সিএন ডিজিটালের তরফে ফিরহাদ হাকিম ও ইয়াসির হায়দারের সঙ্গে পৃথক ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোনে পাওয়া যায় নি।
রাজ্যের পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার আরও তৎপর হল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)। মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, কোন পুরসভায় (Municiplity) কত নিয়োগ হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মূলত, সল্টলেক থেকে গ্রেফতার প্রমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে এই ব্যাপারে অনেক তথ্য তাদের হাতে এসেছে বলেই দাবি ইডির। এই মামলায় ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই।
সম্প্রতি স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রমোটার অয়ন শীলকে। তাঁকে জেরা করেই মূলত উঠে এসেছিল পুরসভায় নিয়োগে গড়মিলের তথ্য। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে।
নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
কলকাতার গরম (Summer) দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে। ট্রেনে-বাসে সাধারণ মানুষের মুখে একটাই কথা 'সাহারা মরুভূমির থেকেও কলকাতায় গরম বেশি মশাই'। খুব একটা ভুল কথা নয়। গরমের তেজ ভালোই টের পাচ্ছে রাজ্যবাসী। এর জন্য দায়ী কে? নেটিজেনরা বলছেন, চারিদিকে যেভাবে গাছ কেটে ফ্ল্যাট উঠে যাচ্ছে, তাতে পরিবেশের উপর অত্যাচার করছে আসলে মানুষ। এই গরম সেই সব কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া। একই কথা বলছেন গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। গা না বাঁচিয়ে এবার সরাসরি মন্ত্রীর উদ্দেশেই মন্তব্য করলেন তিনি।
সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক পোস্টে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ট্যাগ করে লোপামুদ্রা লিখেছেন, 'সচরাচর ট্যাগ করি না, কিন্তু করলাম।' এরপর একেবারে সরাসরি তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, 'গরমটা কী সহ্য হচ্ছে? হবে?' দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন গায়িকা। সেখানে গাছের পরিস্থিতি নিয়ে লোপামুদ্রা লিখেছেন,'আমাদের পাড়ায় ফুটপাথের ধরে যে বড় গাছগুলো আছে, বড় বা ছোট ঝড় এলে কেউ বাঁচবে না, কারণ শেকড় মেলার জায়গা নেই, ঘাড়ের কাছে বড় বড় বাড়ি, ডালপালার ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে।'
গরম থেকে রক্ষা পেতে, এই গাছের ক্রমাগত ধ্বংস থেকে বাঁচতে লোপামুদ্রা লিখেছেন, 'দক্ষিণ কলকাতার লেকে কী জঙ্গল বানাতে পারি না আমরা ?' তিনি আরও কড়া সুরে বলেন, 'গা বাঁচানোর আরেক নাম সহ্য, আর সহ্য হচ্ছে কী?
'দুর্নীতি প্রমাণ হলে সিবিআই (Cbi) লাগবে না, নিজের জীবন (Life) নিজেই বিসর্জন দিয়ে দেব' সজল ঘোষের করা অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিএন-ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন কলকাতার মেয়র (Mayor) ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
সোমবার কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সে প্রসঙ্গে সোমবার বিকেলে সিএন ডিজিটালের তরফে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে চরম সিদ্ধান্ত নেব।
নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল। অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে, পুরসভায় অবৈধ নিয়োগ নিয়ে দাবি করে ইডি। এরপর সজল ঘোষ রবিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে টার্গেট করে। কী বলেছেন সজল ঘোষ? বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, 'পরিষ্কার দুর্নীতি। পুরসভায় চাকরি হয় মিউনিসিপ্যাল কমিশন পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০১৭ সালে কয়েক লক্ষ যুবক আবেদন করেছিল। পেয়েছে ৩টে পাড়ার লোক। ১৪৯টা পদ ছিল। নিয়োগ হয়েছিল ১৪৮টি পদে। ওসব পদে নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে নদিয়া সংলগ্ন এলাকার ১১৮, বৈদ্যবাটি ভদ্রেশ্বর থেকে ৬ এবং বাকীটা ববিদার পাড়া থেকে হয়েছে। বিশ্বাস করেন, দুই থেকে আড়াই লক্ষ যুবক পরীক্ষা দিল আর চাকরি পেল ৩টে পাড়ার লোকজন? এই জন্যই আমার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি। এগিয়ে বাংলায় ৩টে পাড়া?'
সজল ঘোষের ওই অভিযোগ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'দুর্নীতি প্রমাণ হলে সিবিআইয়ের দরকার হবে না। আমি নিজেই নিজেকে আত্মহুতি দিয়ে দেব।'
পার্কিং ফি (Parking Fee) নিয়ে পিছু হটার পর, মমতা (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ ববির (Firhad Hakim) গলায় কি এবার অভিমানের সুর। কলকাতা পুরসভার পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের মুখে পরে ববি অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম। রবিবার চেতলায় একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, 'এখনকার বাচ্ছা বাচ্ছা ছেলেরা কয়েকদিন পর নেতৃত্ব দেবে। হয়তো আমার থেকে বেশি উন্নয়ন করবে, আমি হয়ত থাকবো না! কিন্তু হাজার ববি তৈরি হবে।' ববি হাকিমের এই বক্তব্যে অভিমানী সুর দেখছে রাজনৈতিক মহল ও দলের একাংশ।
বর্ধিত পার্কিং ফি দলের অন্দরে কোন্দল সৃষ্টি হয়। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা ঠিক করে, এ বছরের ১লা এপ্রিল থেকে পার্কিং ফি বাড়ানো হবে। সেইমতো বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে নির্দেশিকা জারি হয়। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে ববিকে কটাক্ষ করেন কুনাল ঘোষ। কুনাল দাবি করেন, এই পার্কিং ফি বৃদ্ধি কি মমতা ব্যানার্জির অনুমতিতে হয়েছিল? খবর পৌঁছয় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কানে। কুনালের কটাক্ষের পাল্টা ববি হাকিম বলেন, 'মমতা বন্দোপাধ্যায় বললে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেব।' এবং কুনাল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'এই প্রসঙ্গটা দলের মধ্যে বললেও হত। সাংবাদিক সন্মেলন করে বাইরে না বললেও চলত।'
এসবের পরেই পাল্টে যায় চিত্র। একদিকে কুনাল ঘোষ টুইট করে বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের। বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের উপর এত চাপ দিতে চান না তিনি।' যদিও তখনও কলকাতা কর্পোরেশনের তরফ থেকে কোনো নির্দেশিকা জানানো হয়নি। এরপরে গুড ফ্রাইডে অর্থাৎ শুক্রবার, ওই দিন কলকাতা কর্পোরেশন ছুটি থাকলেও, রাতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই বর্ধিত পার্কিং ফি-র নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়।
এই পার্থ দা-কে (Partha Chatterjee) চিনি না। এই পার্থ দা আমার কাছে নতুন। দীর্ঘদিন পার্থ দা-র সঙ্গে রাজনীতি করছি। কিন্তু স্বপ্নেও ভাবতে পারি না টাকা নিয়ে কেউ চাকরি (Education Scam) দেবে। এটা অত্যন্ত লজ্জার। মঙ্গলবার এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) । তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী জুড়েছেন, 'যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলা ঠিক নয়। মিডিয়া ইনভেস্টিগেশন এক জিনিস আর আদালতে যতক্ষণ না চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে, প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষণ সে দোষী নয়, তার আগে পর্যন্ত আন্ডার ট্রায়াল।'
মঙ্গলবার চেতলা গার্লস স্কুলের সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী। সেই সময়েই রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দেওয়া শিক্ষা দুর্নীতি প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা সকলেই চাই বেকার ছেলেদের চাকরি হোক, পার্টির ছেলেদের চাকরি হোক। কিন্তু কারও অধিকার হরণ করে যদি সত্যি সত্যি চাকরি দিয়ে থাকে তবে সেটা অন্যায়। তবে যতক্ষণ না মহামান্য আদালত বলছেন সে দোষী, ততক্ষণ সে বিচারাধীন। মিডিয়া কী বলছে, সূত্র কী বলছে সে বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক না।'
তাঁর দাবি, 'এটা শাসক দলের দুর্নীতি নয়। কোনও ব্যক্তি অন্যায় করলে বা দুর্নীতি করলে সেটা পাপ। যেকোনও দুর্নীতি পাপ। আমরা মানুষের কেয়ার টেকার। মানুষ আমাদের অধিকার দিয়েছে তাঁদের কাজ করার। দুর্নীতি অন্যায় এবং দুর্নীতি যারা করেন তাঁরাও অন্যায় করেন।'
মেট্রো (Kolkata Metro) করিডরের পিলার এবং গার্ডার নীল-সাদা করা হোক। এই অনুরোধ রেখে মেট্রো রেলওয়ে বিকাশ নিগমকে চিঠি লেখেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কিন্তু এই চিঠির প্রেক্ষিতে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর সাধের নীল-সাদা রঙে (Blue-White) রাজ্যব্যাপী চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। সরকারি ভবন থেকে ব্রিজ, রাস্তার রেলিংও সেজে উঠছে নীল-সাদা রঙে। এবার এই সৌন্দর্যায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেট্রো করিডরের পিলার এবং গার্ডারকে নীল-সাদা রঙে রাঙিয়ে তুলতে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন ফিরহাদ হাকিম।
মেট্রো রেল বিকাশ নিগমের কর্তা অমিত রায়কে লেখা ওই চিঠিতে কলকাতার মেয়র বলেন, 'নজরে এসেছে মেট্রোর পিলার এবং গার্ডার রঙের কাজ চলছে। আমাদের রাজ্যের থিম কালার নীল-সাদা। কলকাতা পুরসভাও শহরকে সাজাতে সেই রঙকে বেছে নিয়েছে। আমার অনুরোধ শহরব্যাপী চলা এই সৌন্দর্যায়নের শরিক হতে মেট্রোর পিলার এবং গার্ডারও নীল-সাদা রঙে করা হোক।'
যদিও ১৮ জানুয়ারি লেখা এই চিঠির সূত্র ধরে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনটা কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর।
কলকাতা (Kolkata) শহরজুড়ে বন্ধ হচ্ছে হুক্কা বার (Hookah Bar)। শুক্রবার জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। তিনি জানান, 'রেস্তোরাঁয় (Food Restaurant) যে হুক্কাবার চলে, সমাজের পক্ষে খারাপ। হুক্কায় যে কেমিক্যাল ব্যবহার হয়, সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। পাশাপাশি কোনও কোনও হুক্কা বারে নেশা জাতীয় জিনিস মেশানো হচ্ছে। যদিও আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। সেই নেশায় আসক্তি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের। ফলে হুক্কা বারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে তাঁদের। তাই আমরা হুক্কা বারের নতুন করে লাইসেন্স দেব না। যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া আছে, তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করব। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত জানাবো। পুলিসের থেকেও সাহায্য নেব, হুক্কা বার বন্ধ করতে।'
তাঁর মন্তব্য, 'আগে ছাদে হুক্কাবার চলতো, অসুবিধা হতো না। এখন রেস্তোরাঁর সঙ্গেই হুক্কাবার চালানোর অনুমতি নেওয়া হচ্ছে। এতে মানুষ এবং সমাজের অসুবিধা হচ্ছে। এই হুক্কাবারগুলো মানুষ, সমাজের পক্ষে অসুবিধা তৈরি করছে। শুধু রেস্তোরাঁ চলুক, খাওয়া-দাওয়া চলুক অসুবিধা নেই। যারা হুক্কাবার চালান তাঁদের কাছে অনুরোধ করবো বন্ধ করতে।' তিনি জানান, প্রচুর অভিযোগ এবং আপত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত। বদ্ধ জায়গায় হুক্কাবার বন্ধ থাকবে। এখনই পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নেবে না। অনুরোধ থাকবে বদ্ধ জায়গায় যাতে হুক্কা বার না চালানো হয়। পুলিসকেও বলা হয়েছে কড়া পদক্ষেপ নিতে। অনেক হুক্কা বারে মাদক মেশানো চলছে, সেটা নজরদারি করতে।
এই সবে মাস কয়েক হল করোনা কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে বিশ্ব। কিন্ত এরই মধ্যে আবার বিষফোঁড়া মশা বাহিত রোগ (Dengue)। ভারতের একাধিক রাজ্য তো বটেই, সেই সঙ্গে এই মশা বাহিত রোগের থাবা পড়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। পাশাপাশি বাংলায় বেশ বড় আকার ধারণ করেছে এই রোগ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু বেলাগাম ডেঙ্গি সংক্রমণের জন্য এবার রাজ্য সরকারকেই (Mamata Government) দায়ী করল সব বিরোধী দল। এছাড়াও ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রশাসনের দায়সারা মনোভাবের অভিযোগ তুলে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবি তুলে বিজেপির যুব মোর্চার নেতৃত্বে শহরের রাস্তায় বেরিয়েছিল মহামিছিল (Protest Rally)।
সোমবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে নিউ আলিপুর থেকে চেতলা সেন্ট্রাল পার্ক পর্যন্ত হয় এই মিছল, যেখানে প্রতীকী মশা এবং মরার খাট, ইত্যাদি মডেল নিয়ে পা মেলালেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ডক্টর ইন্দ্রনীল খাঁ, আকাশ মাঘরিয়া-সহ বহু কর্মী সমর্থক। খোদ কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের এলাকায় মড়ার খাটে তাঁরই প্রতীকী কুশপুতুল সাজিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল পদ্ম বাহিনী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদের মুখের ছবি নিয়ে মশা বানানো হয়েছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে চূড়ান্ত ব্যর্থ কলকাতা পুরসভা, এমন অভিযোগ তুলে চলে বিক্ষোভ। নিউ আলিপুর এর ব্রিজ থেকে নামার পর পিয়ারি মোহন রোড দিয়ে,মিছিল পৌঁছে যায় মেয়রের বাড়ির সামনে। সেখানে মরার খাটে রেখে মেয়রের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। এদিকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীকে।
অপরদিকে এদিন ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হল কংগ্রেস। সোমবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে লেক মার্কেটের সামনে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কলকাতার মেয়র ব্যর্থ, মূলত এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। সামিল ছিলেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।
ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। আরও ১৪ দিন অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত আসানসোল জেলেই থাকতে হবে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতিকে। শুক্রবার জামিনের শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্বেই তৃণমূল নেতার জামিনের (Bail Plea) বিরোধিতা করে সিবিআই। বিশেষ করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা (CBI)। সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়াল, 'রাজ্যের মন্ত্রী জেলায় গিয়ে বলছেন উনি বাঘ। তাহলে বুঝুন কতটা প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচারের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকা তোলা। তাই এই বেআইনি রাস্তা বেছে নেওয়া হয়েছিল। টাকা ছিল এই বেআইনি ব্যাবসার মূল উদ্দেশ্য। এই অভিযুক্ত (পড়ুন অনুব্রত মণ্ডল) নিজের দেহরক্ষীর মাধ্যমে টাকা তুলতেন।'
সিবিআইয়ের এহেন সওয়ালের পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী জানান, সিবিআই বলছে আমার মক্কেল প্রভাবশালী। জামিন পেলে নথি নষ্ট করবেন। সাক্ষীদের ভয় দেখাবেন। আমার প্রশ্ন মক্কেল তো জানেন না এই মামলায় কারা সাক্ষী। তাহলে তাদের ভয় দেখাবেন কী করে?
আমাদের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তো এত খারাপ নয়! সিবিআই বলছে, রাজ্য সরকারের অধিকারিকদের কাজে লাগিয়ে আমার মক্কেল এসব কাজ করেছেন। তাহলে সিবিআই কি বলতে চাইছে রাজ্য সরকারের সব আধিকারিক দুর্নীতিগ্রস্থ?
তাঁর যুক্তি, 'বারবার বলা হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত। এভাবে চলতে থাকলে তদন্ত শেষ হবে না। ঠিক যেমন ভাবে সারদা কেস চলছে। এভাবে চললে, এক সময় আর কেউ কিছু বলতে পারবেন না। আমার মক্কেলের বয়স আরও বাড়বে। তখন কিছু বলতে পারবেন না। গরু পাচার মামলায় যারা মূল অভিযুক্ত, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ এখন জামিন পেয়েছেন। আমার মক্কেল তো পাচার-কাণ্ডের সাক্ষী হিসাবে ছিলেন। তাহলে তাঁকে কেন জামিন দেওয়া হবে না?'
দু'পক্ষের এহেন সওয়াল-জবাব শেষে শুনানির পর কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। অবশেষে বেলা বাড়লে জামিনের আবেদন খারিজ করে অনুব্রত মণ্ডলকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলে পাঠায় আদালত।
ফের ডেঙ্গিতে (dengue) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (death) ৮ বছরের এক নাবালিকার। সে বিধাননগর (Bidhannagar) পুরনিগমের ১৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব নারায়ণতলার বাসিন্দা। ঘটনায় একদিকে যেমন শোকের ছায়া গোটা এলাকায়, অন্যদিকে অভিযোগ ওঠেছে পুরসভার গাফিলতির।
স্থানীয় সূত্রে যেমনটা জানা গিয়েছে, নারায়ণতলার বাসিন্দা ঋত্বিকা সাউ বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে (fever) ভুগছিল। মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি বিসি আর শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিত্সা হচ্ছিল তার। তবে মাঝরাতেই হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে খবর আসে ঋত্বিকার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিল ছোট ঋত্বিকা। তার শরীরে এনএসওয়ান ভাইরাসের দেখা মিলেছিল।
তবে এমন ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। স্থানীয়রা সরাসরি অভিযোগ করেছেন পুরসভার গাফিলতির। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় কম পরিমাণে দেওয়া হয় ব্লিচিং অথবা মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার অন্য সরঞ্জাম। আর দিলেও তার কোনও প্রভাব তাঁরা দেখতে পান না। সকাল থেকেই ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে রাখতে হয়। যেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তে সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে সেখানে উদাসীন মনোভাব পুরসভার।
অন্যদিকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এই বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করে জানান, তিনি যথা সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে মৃত্যু বেদনাদায়ক। তিনি দুঃখিত, আগামীদিনেও তাঁর যা করণীয় তাই করবেন।
অন্যদিকে এদিনই রাজপথে নেমে মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন তিনি ভবানীপুরের (Bhabanipur) একাধিক এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে বার্তা দেন। তিনি স্পষ্টতই বলেন, আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে, শুধুমাত্র পুরসভার ভূমিকা যথেষ্ট নয়। এবছর মাত্রারিক্তভাবে ডেঙ্গির প্রভাব বেড়েছে তাই নিজস্ব উদ্যোগে মানুষকে এই রোগ মোকাবিলা করতে হবে। না হলে একা পুরসভার পক্ষ থেকে কখনই সম্ভব নয় এই রোগ মোকাবিলা করা।
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling) জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) বাঘের সঙ্গে তুলনা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad on Anubrata)। বীরভূমের হাঁসনে এক কর্মিসভায় অংশ নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছো, সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন খাঁচা থেকে বেড়িয়ে আসবে, আজ যারা শিয়ালগুলো মতো হুক্কা-হুয়া করছে, তখন তোমরা খাঁচায় ঢুকে যাবে। বনের বাঘ একদিক থেকে অন্যদিকে গেলে, সেই ফাঁকা জায়গায় শিয়ালগুলো লাফালাফি করে। আবার বাঘ আগের জায়গায় ফিরলে শিয়াল লেজ তুলে পালিয়ে যায়।'
তিনি জানান, আমরা আদর্শগত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস করি। নিশ্চিতভাবে দলের একজন নেতা অন্যায় করেছে, সে আমাদের তাঁর কাজে অপমান করেছে। তাঁর জন্য নিশ্চিতভাবে আমরা লজ্জিত। তার মানে এই নয় তৃণমূল কংগ্রেসের সবাইকে চোর বলার অধিকার তোমার এসে গিয়েছে বিজেপি। এদিন তিনি বাম-কংগ্রেসকেও তীব্র খোঁচা মারেন। দুটো ল্যাংরা হাত মিলিয়েছে এবং খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলছে।
ফিরহাদের এই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্যে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, ডায়লগ দিয়ে চলছে। বাঘ লোহার খাঁচায় ঢুকেছে, সেই খাঁচার চাবি কার কাছে খোঁজা চলছে। মাত্র ৯ কিলো ওজন কমেছে আর কত কেজি কমে দেখা যাক। তাই উনি ভাবছেন ফুটো দিয়ে বেড়িয়ে যাবেন, ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন।