অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Road Accident) সাক্ষী পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানার অন্তর্গত ফ্রি স্কুল স্ট্রিট। ঘটনায় মৃত্যু ১ ব্যক্তির। দমকলের গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ফায়ার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে রিফিলিং-এর জন্য গাড়িটি বেরিয়েছিল। সেইসময় ফ্রি স্কুল স্ট্রিট থেকে মারকুইস স্ট্রিটের টার্নিং পয়েন্টে গাড়ির পিছনের চাকার নিচে চলে আসেন ওই ব্যক্তি। মাথার একাংশ পুরো থেঁতলে যায়। ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ওই এলাকায় চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে এলাকা। এলাকার স্থানীয় বিজোপি নেতা বলেন, এই দুর্ঘটনার জবাব দিতে হবে সরকারকে অবৈধ পার্কিং নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে এই ঘটনায় দমকলের গাড়ির কোনও দোষ নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার পরেই ওই গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। কথা বলা হয় দমকলের আধিকারিকদের সঙ্গে। তবে শহর কলকাতার বুকে অবৈধ পার্কিং-এর জেরে এই দুর্ঘটনায়, ফের একবার প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিধ্বংসী আগুন (Fire)। গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর (Kharagpur) শহরের মালাঞ্চ রোডে অবস্থিত একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (Fire Brigade) চারটি ইঞ্জিন। ফ্যাক্টরির পাশেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। পাম্পে যাতে কোনওভাবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য চলছে কুলিং প্রসেস। তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্য়ন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে যখন বিস্কুট তৈরির কাজ চলছিল, ঠিক সেই সময়ই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে। ফুলকির জেরে প্রথমে আগুন লাগে তিন তলার একটি ঘরে। সেই ঘরে মজুত ছিল একাধিক বিস্কুট এর রেপার, প্লাস্টিক, পুরোনো বস্তা সহ একাধিক বস্তু। সেখান থেকেই আগুন গোটা ফ্যাক্টরিতে ছড়িয়ে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে এই বিধ্বংসী আগুন কতক্ষণে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্ধিহান দমকলের আধিকারিকরাও।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! হাসপাতালের (Hospital) বেসমেন্টে আগুন (Fire)। গোটা হাসপাতাল ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের (Ahmedabad) শাহিবাগ এলাকার রাজস্থান হাসপাতালে। ঘটনার সময়ই হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয় হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি হাসপাতালের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে দমকল বাহিনীকেও (fire brigade)। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে দমকলের ২০ থেকে ২৫ টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ অব্যাহত আছে। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতালের ভিতরে থাকা রোগীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে।
এই ঘটনায় দমকলের এক আধিকারিক জয়েশ খাদিয়া সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, 'হাসপাতালের দ্বিতীয় বেসমেন্টে আগুন লাগে। রবিবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে একটি ফোন আসে। তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে রয়েছে। যদিও এই আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হাসপাতালের বেসমেন্টে কিছু সংস্কারের কাজ চলছিল,' এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লিতে (Delhi) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে দমকলের (fire brigade) দশটি ইঞ্জিন। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। আগুন লেগেছে দিল্লির কনট প্লেসের বারাখাম্বা রোডের ডিসিএম বিল্ডিংয়ের বহুতলে।
VIDEO | Fire breaks out at DCM Building, Barakhamba Road in New Delhi, 10 fire tenders on spot. More details are awaited.
— Press Trust of India (@PTI_News) July 15, 2023
(Source: Third Party) pic.twitter.com/g0A5FBIxNw
দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পাওয়ার পরেই তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। তবে কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগে থাকতে পারে।
ভয়াভহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল আইআইটিতে। আইআইটির (IIT) এল বি এস হলের কমন রুমে হঠাৎ আগুন, যার জেরে চাঞ্চল্য গোটা ক্যাম্পাসে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর (Khargapur) আইআইটিতে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ওই ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন উপস্থিত হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ক্রমাগত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী (fire brigade)। তবে কি কারণে এই আগুন লাগলো ইতিমধ্যেই তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোর তিনটে নাগাদ হঠাৎই আইআইটি লাল বাহাদুর হলের কমনরুমে আগুন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। এই ঘটনায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে ছাত্রদের বেডিং সহ বেশকিছু জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়নি। তারপরেই খড়গপুর এবং সালুয়া থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, শর্ট-সার্কিটের জেরেই রুমে আগুন লেগেছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে (Fire) পুড়ে ছাই পাঁচজন দিনমজুর পরিবারের বাড়ি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার। অভিযোগ, আগুন লাগার দেড় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে এসে পৌছয় দমকলবাহিনী (Firebrigade)। দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় তৈরি করা হোক দমকল কেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া ১নং ব্লকের রতুয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহাদেবপুর গ্রামে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক মজুরের বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। সেখান থেকেই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পাঁচজনের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র ভস্মীভূত। কিন্তু রতুয়ায় নেই কোনও দমকল কেন্দ্র। ৩০ কিলোমিটার দূরে চাঁচলে রয়েছে দমকল। তাই বাধ্য় হয়ে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
লরিতে (Lorry) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল লরি ভর্তি পাট। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) নাজিরপুর বাজারে। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire Brigade) দুটি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গাড়িতে রাখা পাটগুলি। আগুনের জেরে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়াতে ঢেকে গিয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে চরম আতঙ্কে সাধারণ মানুষজন।
জানা গিয়েছে, সোমবার একটি দশ চাকার লরিতে পাট বোঝাই-এর কাজ চলছিল। এমন সময় ইলেকট্রিক তার থেকে ওই লরিতে অগ্নি লেগে যায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে তেহট্ট ফায়ার ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরবর্তীতে করিমপুর ফায়ার ব্রিগেড থেকে আরও একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। শেষমেশ নিয়ন্ত্রণে আনান সম্ভব হয় আগুন।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) চাপড়া থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভাটগাছি এলাকায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের (Fire Brigade) একটি ইঞ্জিন। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাপড়া থানার পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে। ভাটগাছি এলাকার বাসিন্দা সামাদ মণ্ডলের বাড়িতে হঠাৎই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা আগুন নেভানোর অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আর তারপরেই দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় পুড়ে যাওয়া বাড়ির এক সদস্য জানান, মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই গোটা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা আসতে আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমনকি ঘরের মধ্যে থাকা ৪৫ হাজার টাকা সহ সোনার গয়নাও আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছ।
রাস্তা দিয়ে চলামান একটি বিএমডব্লিউ (BMW) গাড়িতে (Car) আগুন (Fire)। সেই আগুন লেগে যাওয়া অবস্থাতেই ওই গাড়িটি এক কিমি পথ চলে যায়। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে দমকলের এক কর্মী হর্ষদ ইয়েওয়ালে তাঁর পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। তারপর তৎপরতার সঙ্গে পাশের একটি পেট্রল পাম্প থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলকর্মী।
হর্ষদ বলেন, গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে দেখি রাস্তার পাশে একটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে। গাড়ি থামিয়ে নেমে ছুটে যাই পাশের একটি পেট্রল পাম্পে। সেখান থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দিই দমকলকে। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় গাড়িটি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েওয়ালে। তবে আগুন লেগে যাওয়ায় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই গাড়ির চালক। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ একটি গাড়ির সামনে আগুন লেগে যায়। কয়েক জন মিলে ওই গাড়ির চালককে সতর্ক করেন। গাড়ির চালক গাড়ি থামাতেই দাউ-দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গাড়িতে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাকি অন্য কোনও কারণ আগুন লেগেছিল তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে দমকলবাহিনী।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ড(Fire)। গোরেগাঁওয়ের আসবাব হাবের পর এবার মুম্বইয়ের মালাডের(Mumbai Malad) এক বস্তিতে আগুন। গোটা বস্তি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিস-দমকল (Fire Brigade)। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
#WATCH | Mumbai: Level 2 fire breaks out in the shanties of a slum in Malad's Anand Nagar area. No injuries have been reported. pic.twitter.com/rsH6a9JJ6P
— ANI (@ANI) March 13, 2023
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে ৫০ নাগাদ আনন্দনগরের বসতি এলাকায় আগুন লাগে। ফলে গোটা আনন্দনগর এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সূত্রের খবর, পুরসভা প্রথমে একে পয়লা স্তরের অগ্নিকাণ্ড বলে জানালেও পরে তা দ্বিতীয় স্তরের বলে চিহ্নিত করেছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এখনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে মালাডে আগুন লাগার কারণটি এখনও পরিষ্কার নয় পুলিসের কাছে। তবে কীভাবে এই আগুন লেগেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সোমবার মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে একটি আসবাবের গুদামেও আগুন লাগে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় কয়েক কোটি টাকার জিনিস। ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। বাগদার খদ্দকুলবেড়িয়াতে কাঠ চেরাই করার মিলে(Wooden Factory) আগুন। পুড়ে ছাই কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি। ঘটনাস্থলে বাগদা থানার(Bagdah police) পুলিস। ঘটনাস্থলে দমকলের(Fire Brigade) দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ আগুন দেখতে পান তাঁরা। তত্ক্ষণাত্ মিলের মালিক তাপস রায়কে ফোন করে আগুন লাগার খবরটি জানায় তাঁরা। কিছুক্ষণ পরে দমকলের দুটি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
মিলের মালিক তাপস রায় জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ করে আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর তাঁকে ফোন করে জানান স্থানীয়রা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাপস রায় বাগদা থানায় খবর দেন। পুলিসের পক্ষ থেকেই দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মিলের মালিক তাপস রায় আরও জানান, 'প্রায় ৯ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি কাঠ চেরাই করার মেশিনগুলিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।' তবে মূলত শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান তাপস রায়ের। তবে পুলিসের কাছে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করার আবেদন জানান তিনি।
রহস্যজনকভাবে আগুন লাগার ঘটনা পুরুলিয়া ডিআইবি দফতরে। জেলা পুলিসের গোয়েন্দা সংক্রান্ত নথিপত্র থাকে এই দফতরে। এদিন সকালে হঠাৎ করে আগুন দেখা যায় দফতরের দুটি কক্ষে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ছুটে আসে দুটি ইঞ্জিন। এর মধ্যেই আগুনের শিখা বাড়তে থাকে। দমকল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিছুক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন।
তবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে ছাই হয়েছে। এমনটাই দমকল সূত্রে খবর। কীভাবে আগুন লাগলো তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ডিআই কর্তার চেম্বার এবং সেই ঘর লাগোয়া আরও একটা গ্লাস হাউসে আগুন লাগে। দমকল যখন এসে পৌঁছয়, তখন লেলিহান শিখা ছড়াতে শুরু করেছে। তবে দুটি ইঞ্জিনের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে আগুন।
সোমবার রবীন্দ্রসদন এক্সাইড মোড়ের কাছে একটি টায়ারের শোরুমে ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ ৫৯-ডি চৌরঙ্গী রোডের একটি টায়ারের শোরুমে আচমকাই আগুন লেগে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে শোরুমের উত্তর-পূর্ব কোণে আগুণ লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে তা গোটা শোরুমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দমকলে খবর দিয়ে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন এসে হাজির হয়। এছাড়াও পুলিসের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও সেখানে আসেন। ডিজি জানিয়েছেন, শোরুমের ভিতরে ৪জন আটকে পড়েছিলেন, পুলিস ও দমকলকর্মীদের সহায়তায় তাদের ৩জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, আর একজন বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন, তাঁকেও পরে উদ্ধার করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক, যারা আটকে ছিলেন তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে,তবে সঠিক কারণ তদন্ত করে দেখবে পুলিস।
শিয়ালদা (Sealdah House Collapse) পূরবী সিনেমা হলের সামনে বাড়ির এক অংশ ধসে দুর্ঘটনা। ৩৬ নম্বর মহাত্মা গান্ধী রোডের (MG Road) ওই বাড়ির সিঁড়ির অংশ সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎই ধসে পড়ে। ধসে আটক একাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা গিয়েছে। ৩টি পরিবারকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। এক কিশোরী এবং পোষ্য কুকুর-সহ প্রত্যেকেই এখন নিরাপদ। ল্যাডার এবং দড়ির মাধ্যমে এঁদের উদ্ধার করেছে দমকল (Fire Brigade)। এখনও পর্যন্ত বাড়ি ধসে হতাহতের কোনও খবর নেই। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল (CP Vineet Goyal) এবং মন্ত্রী শশী পাঁজা। নিরাশ্রয় পরিবারগুলোর জন্য থাকার ব্যবস্থা করছে পুরসভা (KMC)।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বাড়ির মালিককে 'বিপদজনক বাড়ি' হিসাবে নোটিশ ধরিয়েছিল পুরসভা। তবে পাশের বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজের জন্য এই ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ বাড়ির বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, 'আমরা ভালোই ছিলাম এই বাড়িতে। পাশের বাড়িতে নির্মাণকাজের জন্য আমরা আশঙ্কা করছিলাম বাড়িটা ভেঙে পড়বে। সেই অনুমান ঠিক হল। ভূমিকম্পেও এই বাড়ির কিছু হয়নি।' প্রশাসনের উদাসীনতার দিকেও আঙুল তুলেছে স্থানীয়রা।
এমনকি এই দুর্ঘটনার পরেও দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুপস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দমকলের দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে নিরাপদে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে খবর। বাড়ি পরিদর্শনে এসে নগরপাল জানান, 'দমকল এবং পুলিস যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। দ্রুত উদ্ধার করা গিয়েছে যারা আটকেছিলেন। মোট তিনটি পরিবার এখানে বাস করতেন।'
পাশাপাশি মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, 'বাড়িটা পূর্ব ঘোষিত বিপজ্জনক বাড়ি। তাও নানা কারণে বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে পারেননি। এখন একটা সিঁড়ি ধসে গিয়েছে। যারা বাসিন্দা ছিলেন তাঁদের নিরাপদে সরানো হয়েছে। আপাতভাবে গৃহহীনদের একটা থাকার ব্যবস্থা চলছে। সবচেয়ে বড় কথা এই দুর্ঘটনায় কোনও হতাহত নেই।'
বছর শুরুর দিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। আগুন লাগল দিল্লির একটি বৃদ্ধাশ্রমে। রবিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির গ্রেটার কৈলাস টু এলাকায় অবস্থিত ওই বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে দু'জন প্রবীণ মহিলা নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহত আরও ছয় জন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (Fire Brigade) একাধিক ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, আহতদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে।
এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দিল্লির সংগম বিহার এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় তল থেকে ১৪ জনকে (চারজন মহিলা, পাঁচটি পুরুষ এবং পাঁচটি শিশু) উদ্ধার করা হয়। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের।