ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিরাট শাস্তি কলকাতার অধিনায়ক নীতীশ রানাকে। আইপিএলের গর্ভনিং বডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই ম্যাচে মন্থর বোলিংয়ের অভিযোগে ২৪ লাখ টাকা ফাইন করা হয়েছে নীতীশ রানাকে। একইসঙ্গে ফাইন করা হয়েছে কেকেআরের বাকি ক্রিকেটারদেরও। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৬ লাখ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্লো-বোলিং করার অভিযোগ কেকেআরের বিরুদ্ধে। প্রথমবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল নীতীশের। নিয়ম অনুয়াযী, আরও একটি ম্যাচে স্লো-বল করলে একটি ম্যাচ নির্বাসিত হতে হবে রানাকে। রবিবার আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলবে কলকাতা।
রবিবার ১১ বছর পর চিপক ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। কিন্তু সেই জয়ের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কারণ চেন্নাইয়ে ১৪৪ রানে রুখতে গিয়ে সময়ের বেশি সময় বল করেছেন কেকেআর বোলাররা। আর তাতেই নজিরবিহীন জরিমানা করা হয়েছে কেকেআর অধিনায়ককে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম বার মন্থর বোলিংয়ের জন্য ১২ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় বারের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা ও তৃতীয় বার ভুল করলে এক ম্যাচ নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়। সেই শাস্তির মুখে এ বার নীতীশ।
রবিবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কলকাতা। প্লে-অফে উঠতে হলে ওই ম্যাচ জিততে হবে কেকেআরকে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট এখন কেকেআরের ঝুলিতে।
২৩ এপ্রিল রবিবার, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (RCB) এবং রাজস্থান রয়্যালস (RR)। রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয় এসেছিল বেঙ্গালুরুর। কিন্তু সেই ম্যাচের জন্যই এবার মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি-সহ বেঙ্গালুরুর গোটা টিমকে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। জরিমানা হিসেবে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) দিতে হবে ২৪ লক্ষ টাকা। টিমের বাকি সদস্যদের অবশ্য কম টাকা জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু কী কারণে এই জরিমানা?
জানা গিয়েছে, রাজস্থান রয়্যালসদের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর স্লো-ওভার রেটের জেরেই এই জরিমানা চোকাতে হবে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, 'রাজস্থান রয়্যালসদের বিরুদ্ধে মাঠে নামা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রত্যেক ক্রিকেটারদের প্রাপ্ত ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ বা ৬ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। বিরাট কোহলিকে দিতে হবে ২৪ লক্ষ টাকা।'
আইপিএলে বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, ফাফ ডু প্লেসিস। কিন্তু চোটের কারণে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। তাই শেষ দু'টি ম্যাচে বেঙ্গালুরুর হয়ে অধিনায়কত্ব করছেন বিরাট কোহলি। তবে জরিমানা নিয়ে এবার বিপাকে কোহলি। স্লো-ওভার রেট, আইপিএলের অপরাধ সংক্রান্ত আইনবিধির মধ্যে পড়ে। এই জন্যেই মোটা টাকা মাশুল গুনতে হবে কোহলি-সহ গোটা টিমকে।
'সেলফি' (Selfie) বর্তমান যুগে যেন প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সেলফি ছাড়া যেন কোনও কিছুই সম্পূর্ণ হয় না। কোথাও বেড়াতে গেলেও সেলফি, কারো সঙ্গে দেখা করলেও সেলফি, এককথায় সেলফি ছাড়া মানুষ যেন এখন অসম্পূর্ণ। কিন্তু এই সেলফি তোলায় যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বা সেলফি তুললেই যদি ভালো অঙ্কের জরিমানা (Fine) দিতে হয়, তবে কেমন হয় বিষয়টা, ভাবতে পারছেন? হ্যাঁ, এমনই এক জায়গা আছে, যেখানে সেলফি তুললেই দিতে হবে জরিমানা। ইতালির পোর্তোফিনো (Portofino) নামক শহরে পর্যটকদের জন্য এই নিয়ম। তবে কেন এই নিয়ম জেনে নিন।
ইতালির পোর্তোফিনোর অপরূপ দৃশ্য, মনোরম আবহাওয়া সমস্ত কিছুই পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কিন্তু সেলফিপ্রেমীদের জন্য এই শহর একেবারেই উপযুক্ত নয়। পোর্তোফিনোর মেয়র জানিয়েছেন, পর্যটকদের সেলফি তোলার কারণে চারিদিকে অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। পর্যটকরা রাস্তা বন্ধ করে ভিড় করে সেলফি তুলতে থাকেন। ফলে এতে যানজটের সমস্যা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।
জানা গিয়েছে, এই সেলফি তোলার নিষেধাজ্ঞা সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জারি থাকে। অক্টোবর পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে সেখানে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে সেলফি তুলতে দেখলেই তাঁর থেকে ৩০৩ ডলার বা ভারতীয় অর্থে প্রায় ২৫ হাজার টাকা ধার্য করা হবে।
মুম্বইয়ের (Mumbai) এক বয়স্ক দম্পতির সহায় এবার আদালত। অভিযোগ, বাড়ি দখল করার জন্য ছেলে এবং বৌমার কাছে নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধ দম্পতি। যার ফলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা (Old Couple)। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বইয়ের এক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ, এক মাসের মধ্যে দম্পতির বাড়ি ছাড়তে হবে ছেলে-বৌমাকে। পাশাপাশি, জরিমানা (Fine) হিসেবে বৃদ্ধ দম্পতিকে ২৫ হাজার টাকাও দিতে হবে।
রবিবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আদালতের কাছে আবেদনে জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। বাড়িটি তাঁর স্বামীর নামে থাকা সত্ত্বেও, তা জবরদখল করার জন্য বিয়ের পর থেকে বৌমার সঙ্গে মিলে অত্যাচার চালাচ্ছেন ছেলে। এমনকি, তাঁদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মেলামেশাও বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়িটি দখল করার জন্য এক বার তাঁকে বাড়ির বাইরে বার করে দিয়েছিলেন ছেলে-বৌমা। ওই বাড়িতে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছেলে-বৌমা বসবাস করছেন বলে দাবি বৃদ্ধার। আদালতের কাছে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি। বৃদ্ধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছেলে-বৌমাকে আদালতে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তবে তাঁরা আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করেন। হাজিরা না দেওয়ায় বৃদ্ধার অভিযোগ সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
প্যান ও আধার (PAN- Adhaar Link) সংযুক্তকরণ নিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ কেন্দ্রের। গেল বছর থেকেই এই বিষয়ে জরিমানার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছিল। সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শেষে কেন্দ্র সরকারের সেই পদক্ষেপেরই সাফাই দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ প্যান এবং আধার সংযুক্ত করার সময়সীমা শেষ হয়েছিল। সেই সময়ই কর পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, কোনও করদাতা প্যান এবং আধার সংযুক্ত করার কাজ সম্পূর্ণ না করে থাকলে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকেই তাঁকে জরিমানা গুণতে হবে।
এমনকি ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে তিন মাসের মধ্যে প্যান এবং আধার সংযুক্ত করা হলে এককালীন জরিমানা গুনতে হয়েছে ৫০০ টাকা। তারপরেও যদি কেউ এই কাজে দেরি করে তাহলে তাঁর জরিমানা হচ্ছে ১০০০ টাকা। ইতিমধ্যেই অনেকেই ১০০০ টাকা দিয়ে প্যান ও আধার সংযুক্ত করিয়েছেন। তবে প্যান এবং আধার কার্ড সংযুক্ত করার ‘বর্ধিত সময়সীমা’ গত মাসের ৩১ তারিখেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখনও যাঁদের প্যান এবং আধার কার্ড সংযুক্ত করা হয়নি তাদের জন্য আবার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ‘‘সরকারের পক্ষে যতটা সময় দেওয়া সম্ভব ছিল তা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এখনও প্যান এবং আধার কার্ড সংযুক্ত করেননি, দ্রুত করে ফেলুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার অঙ্কও বাড়বে।’
অফিসে গিয়ে ধূমপান করায় জরিমানা এক ব্যক্তির। ঘটনায় জরিমানা ধার্য করল এক সরকারি সংস্থা। ওই ব্যক্তির থেকে জরিমানা করা হয়েছে ১.৪৪ মিলিয়ন ইয়েন, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এছাড়াও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর ছ’মাসের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে ১০ শতাংশ করও। ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের ওসাকায় এক সরকারি অফিসে।
জানা গিয়েছে, ধূমপান নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে জাপানের ওসাকায় কঠোর আইন রয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস, সংস্থা ও অফিস চত্বরে ধূমপান করা যাবে না। গত ১৪ বছর ধরে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মোট সাড়ে ৪ হাজার বার ধূমপান করেছেন। যার জেরেই এমন জরিমানা। ২০১৯ সালে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকও ৩ হাজার ৪০০ বার ধূমপান করায় তাঁকেও বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল।
জাপানের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওসাকার একটি সরকারি অফিসে কাজের ফাঁকে ধূমপান করতেন ওই ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সঙ্গী। অফিসের এইচআর (হিউম্যান রিসোর্সেস) থেকে বারবার সতর্ক করলেও কোনও কাজ হয়নি, তখন তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তারপরেও ওই তিন জন লুকিয়ে ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
২০২২র ডিসেম্বরে তিন জনকে ফের এইচআর তলব করলে সেখানেও তাঁরা মিথ্যা কথা বলেন। তবে এবার ধূমপান করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়তেই ‘শাস্তি’র ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই কর্মীকে ‘লোকাল পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট’-এ ‘কর্তব্যে নিষ্ঠার অভাব’-এর অভিযোগ এনে জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়াও অফিসের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বেতনও কাটা হয়েছে।
বিরাট শাস্তি পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল (India Cricket Team)। হাড্ডাহাড্ডি প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) পরাস্ত করেছে ভারত। এই ম্য়াচে ভারতের কাছে বড় পাওনা ওপেনার হিসেবে দ্বিশতরান করা শুভমান গিল। সব আনন্দের মাঝেও বড় জরিমানার মুখে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ব্রিগেড। স্লো-ওভার রেটের (Slow Over Rate) কারণে জরিমানার কবলে টিম ইন্ডিয়া। ফলে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে বিপাকে ভারতীয় শিবির।
প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩৪৯ রান করে। ৮ উইকেটে হারিয়ে এই রান তোলে। এই ম্যাচে ভারত জিতলেও বিপুল জরিমানা। ভারতকে তাদের ম্যাচ ফি-র ৬০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা করা হয়েছে। তিন ওভার দেরিতে করার জন্য এই জরিমানা। জাভাগাল শ্রীনাথের নেতৃত্বাধীন ম্যাচ রেফারির কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি সময় নিয়ে কড়াকড়ি করছে আইসিসি।
উল্লেখ্য, আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২২ ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং কোটা পূর্ণ করতে না পারলে প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফি'র ২০ শতাংশ হারে জরিমানা করা হয় সংশ্লিষ্ট দলকে। এক্ষেত্রে দল ৩ ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ২০ শতাংশ হারে মোট ৬০ শতাংশ করে ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
ব্রিটেনের রাস্তায় সিগারেট খাওয়ার (Cigaratte Smoking) অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। এছাড়া তাঁকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) করা হয়েছে বলে খবর। ওই যুবক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিরাত্তারক্ষীদের সামনে সিগারেট ফেলে চলে যান। এই ঘটনায় কোর্ট ওই ব্যক্তিকে বড় শাস্তিতে অভিযুক্ত করেছে। ব্রিটেনের (Britain Incident) সংবাদমাধ্যম মেট্রো নিউজ কর্তৃপক্ষ জানান, থর্নবেরি এলাকায় গ্লস্টারশায়ারের বাসিন্দা অ্যলেক্স ডেভিড রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন। ব্রিটেনের রাস্তায় এভাবে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়া একটি অপরাধমূলক কাজ বলে মনে করা হয়।
এই অপরাধে হিসাবমতো ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীদের সামনে সিগারেট ফেলে চলে যায়। এছাড়া ওই ব্যক্তি পুলিসের পাঠানো সমনকেও অগ্রাহ্য করা বলে অভিযোগ। এই কারণে ওই ব্যক্তিকে আদালতের তরফ থেকে ৫৫,০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা অগাস্ট মাসের, এরপর থেকেই ব্রিটেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়া নজর দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ ভাবছে এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা অতি আকস্মিক। তবে ওই বক্তি নিয়মকানুনের কোনও তোয়াক্কা না করায় এই ধরনের শাস্তির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ। এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা শুধু সিগারেটই না অনেক সময় খাবারের প্যাকেটও রাস্তায় ফেলে চলে যেতে দেখা যায়।
আজকাল কোথাও যেতে গেলে অনেকেই ক্যাব (Cab) বুক করে থাকেন। তবে অনেকসময় দেখা যায়, ক্যাব ড্রাইভাররা নির্ধারিত সময়ে আসছেন না। অনেকে আবার খারাপ ব্যবহারও করেন যাত্রীদের সঙ্গে। সম্প্রতি উবের (Uber) নামক অনলাইন (Online) ক্যাব সংস্থাকে দেরি করে আসার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হল। যাত্রী পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। সেকারণে ২০ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) করল মুম্বইয়ের (Mumbai) এক আদালত। এক মহিলা যাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, উবের গাড়ি দেরি করার কারণে তিনি বিমানে উঠতে পারেননি।
ঘটনাটি ২০১৮-র। এরপর থেকে আদালতে মামলা চলছিল। অভিযোগকারী কবিতা শর্মার মুম্বইয়ের ডোম্বিভলির বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি থেকে ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। আর ফ্লাইট ছিল সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে। সে কারণে তিনি সাড়ে ৩টে নাগাদ বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য উবের ক্যাব বুক করেছিলেন।
কবিতার অভিযোগ, প্রথমত, ওই ক্যাবচালক আসতে ১৪ মিনিট দেরি করেন। তারপর তাঁকে সোজা পথ দিয়ে নিয়ে না গিয়ে ঘুরপথ দিয়ে নিয়ে যান। এমনকি গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি (সিএনজি) কিনতেও থেমেছিলেন। যার ফলে কবিতা ফ্লাইট ধরতে পারেননি। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, বুক করার সময় ক্যাব ভাড়া দেখাচ্ছিল ৫৬৩ টাকা। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে ৭০৫ টাকা নেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ হিসাবে কবিতাকে ২০ হাজার টাকা দেবে উবের। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা মামলার খরচ আর বাকি ১০ হাজার কবিতার মানসিক চাপ বাড়ানোর কারণে।
আসানসোলের (Asansol) কাল্লা মোড়ে ট্রাফিক পুলিসকে (Traffic police) তৃণমূল কাউন্সিলরের হুমকি। সাফ জানানো হয়েছে, "তোলাবাজি বন্ধ করুন। না হলে মেরে গুটিয়ে দেব। চাকরি করতে এসেছেন চাকরি করুন। বেশি হনু হয়ে গিয়েছেন? কিছু বলি না বলে যা খুশি তাই? একদম চুপ। একদম চুপ। চুপ করে বসুন। গরিব মানুষের থেকে শুধু ফাইন? তোলাবাজি?" এমন ছবিই ধরা পড়ল সিএন-এর ক্যামেরায়।
ঘটনার সূত্রপাত আসানসোল কর্পোরেশনের (Asansol Corporation) এক সাফাইকর্মীর দু'চাকা গাড়ি ধরাকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার সকালে কাজে আসার সময় হঠাৎই ফোন আসে কর্পোরেশনের এক সাফাই বিভাগের কর্মীর। হেলমেট খুলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কথা বলেন সেই কর্মী। ঠিক সেই সময় আসানসোলের কাল্লা মোড়ে ট্রাফিক পুলিস তাঁর গাড়ি ধরে বলে অভিযোগ। এরপর ১০০০ টাকা ফাইন ও চালান কেটে দেন। খবর পৌঁছয় আসানসোলের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যাম সরেনের কাছে। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন শ্যাম সরেন। আঙুল তুলে কথা বলতে থাকেন কাউন্সিলর। পুলিস ও কাউন্সিলরের মধ্যে ব্যাপক বচসা শুরু হয়। জাতীয় সড়ক অবরোধের হুমকি ও দেওয়া হয়।
কাউন্সিলর শ্যাম সরেনের কথায়, ওই এলাকায় পুলিস তোলাবাজি করছে। সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করছে। কর্পোরেশনের কর্মীদেরও ছাড়ছে না। যাদের মাত্র রোজ আয় ১৫০ টাকা তাঁদের ও ১০০০ টাকা ফাইন করছে। অনেক অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে চালান বাতিল না করলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। এরকম আর দ্বিতীয়বার বরদাস্ত করা হবে না। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে পুলিসকে মেরে গুটিয়ে দেওয়া হবে।
তাঁর এমন মন্তব্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সাফাই কর্মীদের পক্ষ থেকে ঘেরাও করা হয় কিয়স্কও। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অপর এক কাউন্সিলর উৎপল সিনহা। তাঁর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। ক্যামেরায় না বললেও পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির গাড়িতে হেলমেট ছিল। মাথায় ছিল না। তাই ফাইন করা হয়েছে।
বাস ভাড়া (bus fare) বৃদ্ধি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা(fine) করল কলকাতা হাইকোর্ট(HighCourt)। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও হলফনামা পেশ করেনি রাজ্য।
মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? প্রশ্ন তুলল আদালত। উল্লেখ্য, বাস ভাড়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার(state government)। নির্দিষ্ট গাইডলাইন(guideline) করে দিক আদালত, সেই আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ।
মূলত তিনটি বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কীনা । পাশাপাশি, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এবং তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ রুল অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও, বেশির ভাগ বাসে কমপ্লেইন্ট বুক নেই বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, সরকারি বেঁধে দেওয়া ভাড়া নেওয়ার বালাই নেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। যে এমন ইচ্ছে ভাড়া নিচ্ছে। এখনও নিয়মানুযায়ী এমনি বাসে ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা। কিন্তু সেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অলিখিতভাবেই ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
সারা দেশেই করোনার (Corona) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi)। তাই করোনা প্রতিরোধে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটল দিল্লির প্রশাসন। সেখানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানা (Fine)। আর এটা যাতে কড়াভাবে কার্যকর করা যায়, তার জন্য বিশেষ টিম (Special Team) গঠন করে অভিযানে নামছে সেখানকার প্রশাসন।
প্রসাশনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কোভিডগ্রাফ কিছুটা কমতেই মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এমনভাবে পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যেন করোনা চলে গিয়েছে। এটা প্রশাসন ভালোভাবে নিচ্ছে না। সেই কারণেই প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম গাফিলতি যেন বরদাস্ত করা না হয়। কারণ, বিগত দুই সপ্তাহের করোনা-চিত্রে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে সংক্রমণ ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী, মূলত জনবহুল স্থানগুলির জন্যই বিপর্যয় মোকাবিলার এই আইন কার্যকর করা হবে। কেউ যদি একসঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চড়ে কোথাও যান, তাহলে তাঁরা এই জরিমানার আওতায় পড়বেন না।
দক্ষিণ দিল্লির জেলাশাসক আইন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য তিনটি বিশেষ টিমও গঠন করেছেন। প্রতিটি টিমে থাকবেন ১৫ জন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং জেলা প্রসাসনের অফিসাররা, যাঁরা বাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবেন। কারণ হিসাবে প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু সামনেই উত্সবের মরশুম, তাই বাজারগুলিতেই বেশি সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই নজরদারির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজারগুলিকেই। দরকার হলে এই ধরনের নজরদারি টিমের সংখ্যা আগামিদিনে আরও বাড়ানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিটি মহকুমাকেও প্রতিদিন নজরদারি চালিয়ে আইনভঙ্গকারীদের পাকড়াও করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বুধবার গত তিনমাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে, ৮ জনের। ওইদিন করোনায় আক্রান্ত হন ২১৪৬ জন এবং পজিটিভিটি রেট ছিল ১৭.৮৩ শতাংশ।