বিশ্বকাপ ফাইনালে (World Cup Final 2023) ভারতের পরাজয়ের পর শোকের ছায়া পুরো দেশজুড়ে। প্রায় দু'দশক পর ইন্ডিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ফের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একরাশ মনখারাপ নিয়ে ফিরতে হয় হল তাঁদের। বিরাট আউট হয়ে যাওয়ার পরই তাঁর চোখে-মুখে বিষণ্ণতার ছাপ দেখা যায়। এর পরই দেখা যায়, গ্যালারিতে ফিরতেই অনুষ্কাকে জড়িয়ে ধরেন বিরাট। সান্ত্বনা দেন অনুষ্কাও। সেই ছবি বর্তমানে ভাইরাল। ইতিমধ্যেই আরও এক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অনুষ্কা পুরো ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন স্বামী বিরাটের জন্য। সেই ছবি দেখে দেখেও মুগ্ধ অনুরাগীরা।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই ভারতকে টেক্কা দিয়ে ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ হারার পর বিধ্বস্ত বিরাট, রোহিতদের পাশে তাঁদের স্ত্রী-রা। টুপির আড়ালেই হারের ক্ষত ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে দেখা যায় কোহলিকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অনুষ্কার কাঁধে মাথা রেখেই সেই ক্ষত ঢাকলেন বিরাট। বিরাটকে বাহুডোরে জাপটে ধরে সাহস জোগালেন অনুষ্কা। শুধুমাত্র সাফল্য নয়, বিরাটের ব্যর্থতার পাশেও আছেন অনুষ্কা। এই ছবি ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। তবে এর পাশাপাশি আরও এক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেটি দেখে নেটিজেনদের দাবি, অনুষ্কা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত বিরাটের পাশে ছিলেন ও বিরাটের সঙ্গেই একেবারে ম্যাচের শেষে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়েছেন তাঁরা।
তিনি নাকি ম্যাচ দেখলে ইন্ডিয়া জেতে না! কথা বলা হচ্ছে 'বিগ বি'-এর বিষয়ে। বিশ্বকাপ ফাইনালের (World Cup Final 2023) আগেই তিনি সে কথা জানিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে। এবারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারের পরই ভারতীয় ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ালেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তিনি টুইটে লিখলেন, 'এর চেয়ে আরও ভাল কিছু হবেই।'
২০০৩,২০২৩। এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া, এবং ভারতের হার। টানা দশ ম্যাচে ধারাবাহিক ভাবে জেতা টিম ইন্ডিয়ার হার মানতে পারছে না গোটা দেশ। এরই মধ্যে আবেগঘন হয়ে অমিতাভ বচ্চন টুইটে লিখলেন, 'গত রাতের পারফরম্যান্স-এ তোমাদের প্রতিভার প্রতিফলন হয়নি। ওই রাতটা তোমাদের ক্ষমতা, তোমাদের শক্তির পরিচয় হতে পারে না কোনওভাবেই। কিন্তু তোমাদের জন্য গর্বিত, এর চেয়ে আরও ভাল কিছু হবেই, সেই দিনটার জন্য অপেক্ষায় থেকো।'
আজ অর্থাৎ রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। কুড়ি বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনাল ফের মুখোমুখি হয় ভারত অস্ট্রেলিয়া। মোতেরায় টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কামিন্স বাহিনী। টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪০ রান করে ভারত। অর্থাৎ বিশ্বকাপ জিততে অস্ট্রেলিয়ার সমানে মাত্র ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল ভারত।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও ধাক্কা খায় গিলের উইকেটে। স্টার্কের বলে জাম্পাকে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরে রাহুল। এরপরেই প্রথম পাওয়ারপ্লেতে রোহিতের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে রোহিতকে ঘরে ফেরায় ডেভিস। ওদিকে কামিন্সের বলে উইকেট রক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে ঘরে ফেরে শ্রেয়স। এরপর রাহুল ও বিরাট ভালো পার্টনারশিপের চেষ্টা করলেও পুরোটা সফল হয় নি। বিরাট ৫৪ রানে কামিন্সের বলে প্লেডাউন হয়ে আউট হলে ছন্দ হারায় ভারতের ইনিংস। এরপর জাদেজা ও সিরাজও তেমন কিছু করতে পারে নি। ওদিকে ৬৬ রানে একটি যোগ্য ইনিংস খেলে রাহুল। একদিকে বলা চলে যে ভারতের টপ অর্ডার মোটামুটি খেললেও মিডল অর্ডার একেবারে ব্যর্থ।
ওদিকে স্টার্ক ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেয়। দুটি করে উইকেট পায় হেজেলউড, কামিন্সও, পাশাপাশি ১ টি করে উইকেট পায় ম্যাক্সওয়েল ও জাম্পা। খেলার শুরু থেকেই দুর্দান্ত লাইন ও লেন্থের বোলিং। এবং কড়া ফিল্ডিং ভারতকে প্রথম থেকেই চাপে রেখেছিল। রোহিতের ব্যাটে বাউন্ডারি এলেও, এরপরে বাউন্ডারি মারতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ভারতকে। বলা চলে প্রথম পাওয়ারপ্লের পর আর ওভার বাউন্ডারি হয় নি। মোটের উপর বিশ্বকাপ ফাইনালের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং যথেষ্ট হতাশাজনক সেটা বলা চলে। এখন দেখার মাত্র ২৪১ রান টার্গেট দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে রুখতে ভারতের বোলিং আক্রমণ কতটা গুরুতর হয়!
বিশ্বকাপে তিনিই ছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার ডেপুটি। তাঁকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন কোটি কোটি অনুরাগী৷ কিন্তু বিধি বাম হার্দিক পান্ডিয়ার। বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু তাতে কী! মনেপ্রাণে দলের সঙ্গেই আছেন হার্দিক। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফাইনালের আগে তিনি মর্মস্পর্শী বার্তা দিলেন টিমমেটদের।
ভিডিও বার্তায় হার্দিক বলেছেন, "এই দলকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত। এখনও পর্যন্ত আমরা যা খেলেছি তা আমাদের বহুদিনের কঠিন পরিশ্রমের ফসল। বিশ্বকাপ জেতা থেকে মাত্র এক কদম দূরে আমরা। ছোটবেলা থেকে এই স্বপ্নই আমরা দেখেছি। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এই স্বপ্ন দেখছেন। তাঁরা সবাই আমাদের পাশে রয়েছেন।"
হার্দিক জানিয়েছেন, তিনি সব সময় দলের সঙ্গে আছেন। মানসিকভাবে সারাক্ষণ পাশে আছেন সতীর্থদের। টিমমেটদের প্রতি তাঁর বার্তা, "রবিবার নিজেদের সেরাটা দাও। তা হলেই আমরা সফল হব। এ বার সময় হয়েছে কাপটা দেশে রাখার। জয় হিন্দ।"
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (বিধায়ক/অভিনেতা): রবিবারের ফাইনালে শেষ পর্যন্ত সেই অস্ট্রেলিয়া? আমি সিএন পোর্টালে শুরুর দিকে লিখেছিলাম, অস্ট্রেলিয়া যা করছে তা আনপ্রেডেক্টিবল। কিন্তু একই সাথে শেষ ৮টি ম্যাচ জিতে তারা ফাইনালে গেলো। এই মুহূর্তে টিম ইন্ডিয়া তুলনাহীন। বিশ্বের সর্বকালের সেরা কম্বিনেশন কিন্তু তা সত্ত্বেও বলবো লীগ একরকম আর ফাইনাল আরেক রকম। কাজেই অজিদের খাটো করা চলবে না। আবার অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ঘাবড়ে যাওয়াও চলবে না। হতে পারে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া সাংঘাতিক কিন্তু পুরোনো ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন ১৯৯৬-এ টপ ফর্মে থাকা শ্রীলংকা অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারিয়ে দিয়েছিলো। তা হলে ভারত পারবে না কেন। স্টিভ ওয়া বা রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার থেকে এই দল যথেষ্ট দুর্বল। এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত জিতেছে এমন উদাহরণ কই? আফগানিস্তানের দিন ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ ধরে নিলে বা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ২০টি রান করলে তো অস্ট্রেলিয়া হারে। আরও একটি বিষয়ে এই দলে বয়স্ক খেলোয়াড় যথেষ্ট। কাজেই ভারত কয়েকটি স্ট্র্যাটেজি নিয়ে খেলুক। মনে রাখতে হবে এখনও পর্যন্ত ১০টি ম্যাচে ভারত কোনও চাপেই পরেনি সুতরাং ফাইনাল নিয়ে ভাবনা কিসের?
দুটি বিষয় বলতে চাই। আহমেদাবাদের পিচ বা উইকেট যেন স্পিনারদের অনুকূলে থাকে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্পিনে হাবুডুবু খাচ্ছিলো। অন্যদিকে ভারতীয় স্পিনাররা এই মুহূর্তে বিশ্ব সেরা। আমার মনে হয় অশ্মিনকে দলে নেওয়া উচিত। প্রশ্ন কার জায়গায়? আমি সিরাজকে বাদ দিতে বলবো। যদিও সিরাজ শুরুর বোলার কিন্তু এভারেজ বলছে যথেষ্ট রান দিচ্ছেন। তিনি পক্ষান্তরে উইকেট পেয়েছেন কম। বুমরা শামিকে দিয়ে পাওয়ার প্লের প্রথম দশ ওভার করিয়ে অশ্মিনকে বা জাদেজাকে নিয়ে আসুক যদি অস্ট্রেলিয়া প্রথম ব্যাট করে। পরে হলে ৭/৮ ওভারের মধ্যেই স্পিনার নিয়ে আসা হোক।
আমি কিন্তু অনেক বেশি আশা রাখছি রোহিতের উপর। ওর আরও একটা ভালো শুরু চাই। ইদানিং ওঁর পেটানোতেই কাহিল হয়েছে। শুরুতেই সমস্ত দল কাজেই আরও একটা হোক। আর রোহিত মোটেই ৫০ বা সেঞ্চুরির দিকে নজর দিচ্ছে না। ফাইনালে দিক। পিছনে কোহলি, শ্রেয়স, রাহুল, সূর্য জাদেজা ছিলই তার সঙ্গে যুক্ত হোক অশ্মিন। মনে রাখতে হবে যিনি টেস্টে প্রচুর রান করেন বা সেঞ্চুরি করেন বা টি-২০ তে ভালো ব্যাট চালান তাঁকে ব্যাটারই বলা হয়। তাই অশ্মিন। যদি অতিরিক্ত বোলার নেহাতই দরকার হয় তবে সূর্য অস্ত যাক। আলোর খেলায় সূর্য না থাকলেও চলবে। ইডেনে দেখলাম তো। পুরো খেলাটাই বিদ্যুতের আলোতেই হলো।
ইন্ডিয়া জিতে এস।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরির ম্যাচে একাই ৭ উইকেট তুলে নিলেন মহম্মদ শামি। এবার বিশ্বকাপে বোলিং আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ৩২৭ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এদিন ভারতের ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল না হলেও একা লড়াই করেন ড্যারিল মিচেল। শামির ডেলিভারিতে পরপর যখন একদিক থেকে উইকেট হারায় ভারত।৬৯ রান করে ফেরেন কেন উইলিয়ামসনও। কিন্তু থামেননি ড্যারিল মিচেল। ১৩৪ রান আসে তাঁর ব্যাটে। ৩৩ বলে ৪১ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু শামির বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণ ফিরতে হয় মিচেলকেও। কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাও একটি করে উইকেট তুলে নেন। আর খেলায় ফিরতে পারেনি কিউয়ি শিবির।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল বিরাট-রোহিতদের। এবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রবিবার আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
অবশেষে এক যুগ পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে (ICC World Cup Final 2023) উঠল ভারত। পুরো দেশ যেন উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা, আনন্দে ভাসছে। আর এই ক্রিকেট জ্বরে কাবু খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে (ICC World Cup Semi Final) ৭০ রানে কিউয়ি বধ করার পিছনে বড় অবদান রয়েছে মহম্মদ শামির (Mohammad Shami)। তিনি নিজেই ৭টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পথ এক ধাপ এগিয়ে দেন 'মেন ইন ব্লু'-কে। ফলে পুরো ক্রিকেট টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী, এর পাশাপাশি পৃথকভাবে শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, 'শামিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।'
বুধবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত ফাইনালে উঠতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া! অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে স্মরণীয়ভাবে ফাইনালে প্রবেশ করল ভারত। আমাদের টিমের অসাধারণ ব্যাটিং ও দারুণ বোলিংই ম্যাচ জিতিয়েছে। ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা রইল।" এর পরই শামিকে নিয়ে তিনি লেখেন, "আজকের এই সেমিফাইনাল ম্যাচটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছিল একক পারফরম্য়ান্সের জন্যও। এই ম্যাচে মহম্মদ সামির বোলিং এবং গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই তাঁর পারফরম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। ওয়েল প্লেড সামি!" প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছার উত্তর দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শামি।
এক বিখ্যাত ব্যক্তি বলেছেন, বিশ্বকাপ জেতা না হলে, জীবনে কোনও কিছুই পূর্ণ হয় না। মুম্বইয়ে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে মেসি মন্ত্রকেই স্মরণ করলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। জানালেন, পিছনে নয়, তাঁর টিম ইন্ডিয়া সামনে তাকাতে চায়। তাই ১৯৮৩ থেকে ২০১৯, কী হয়েছিল এই সময়ে তা ভুলে গিয়েছেন তাঁরা। বরং ফোকাস করছেন ১৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে কী হতে চলেছে।
ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ের সময় তাঁর জন্ম হয়নি। ১২ বছর আগে ভারতে দ্বিতীয় বিশ্বজয়ে জাতীয় দলে তাঁর ঠাঁই হয়নি। এসব কিছু তিনি বা তাঁর দল ভাবছে না। প্রথম সেমিফাইনালে আগে রোহিত জানিয়েছেন, এই দলের অর্ধেক সদস্য ১২ বছর আগে দলে ছিলেন না। তাতেও বিশ্বকাপের উপলব্ধি বুঝতে কারুর কোনও অসুবিধা হয়নি।
ধর্মশালায় ২০ আগে বছর বিশ্বকাপের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে বুধবার ফের রোহিতদের সামনে কিউইরা। তবে ল্যাথম নন, টিম ইন্ডিয়ার চ্যালেঞ্জ এবার কেন উইলিয়ামসন। মাঠে নামার আগে রোহিতের দাবি, ইতিহাস ভুলতে তাঁরা নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন। এটাই তাঁর টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যাশা।
ম্যানচেস্টারের বদলা কোন পথে ? মুম্বইয়ে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে এখন এটাই আলোচনা ভারতীয় ড্রেসিং রুমে। রোহিতদের হেড স্যর রাহুল দ্রাবিড়ের মাথায় এখন তিনটি বিষয় ঘুরঘুর করছে। এক, ব্যাটিং শক্তিকে আরও মজবুত করা। দুই ম্যানচেস্টারের স্মৃতি প্রতিটি ক্রিকেটারের মাথা থেকে মুছে ফেলা। আর তিন মাঠের মধ্যে আরও দৃঢ় হওয়া।
এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত স্বপ্নের ক্রিকেট খেলেছেন রোহিত শর্মারা। সেটা বিশ্বাস করেন খোদ রাহুল দ্রাবিড়ও। তবুও মুম্বই ম্যাচের আগে বাড়তি কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ তিনি। কারণ, ধর্মশালায় কিউইদের হারালেও, ওই ম্যাচে ভারতকে জিততে খানিকটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল। দ্রাবিড় মানছেন, উইলিয়ামসন দলে আসায় মুম্বইয়ে আরও শক্তিশালী কিউইরা।
এই শক্তি পরীক্ষাতেই নিজেদের উজার করে দিতে চান ভারতীয়রা। ছত্রিশ বছর পর ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। ১৯৮৭ সালে এই মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রিলায়েন্স কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল কপিল দেবের ভারত। ৩৬ বছর পর বিদায় নয়, রোহিত শর্মাদের টার্গেট সোজা আমেদাবাদ।
শ্রীলঙ্কাকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। ১৬০ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কিউয়ি ব্রিগেড। এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠার পথ মসৃণ করলেন কেন উইলিয়ামসনরা। পয়েন্ট টেবিলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই থেকে গেলেন তাঁরা। চাপ বাড়ল পাকিস্তানের।
এদিন চিন্নাস্বামীকে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন ও রচিন রবীন্দ্রের বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেন শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরার ৫১ রান ও থিকশানার ৩৮ রানের ইনিংসে ১৭১ রান তোলে তাঁরা।- ৩ উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
এদিন এত অল্প রান তাড়া করতে নেমেও উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রচিন রবীন্দ্র ৪৫ ও ৪২ রান করেন। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ১৪ রানে বোল্ড করে ফেরান ম্যাথিউজ। কিন্তু ৩১ বলে ৪৩ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ম্যাচ শেষ করে আসেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম।
ইডেনে নামার আগেই কি সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত ভণ্ডুল পাকিস্তানের! ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের কঠিন সমীকরণে পাকিস্তানের কাছে এক অদ্ভুত লক্ষ্যমাত্রা এসে দাঁড়িয়েছে। কী সেই হিসেব!
যদি পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে, তা হলে ২৮৭ রানের ব্যবধানে জিততে হবে তাঁদের। যার অর্থ, পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান করলে ১৩ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডকে অলআউট করতে হবে। প্রথমে পাকিস্তান বল করলে অন্তত ২৮৪ বল আগে খেলা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ ওভারের ম্যাচ পাকিস্তানকে ২.৪ ওভারেই শেষ করতে হবে।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বরে ভারত। দুই নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে আছে অস্ট্রেলিয়া। এই চার নম্বর স্থানের জন্য় নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের লড়াই। শ্রীলঙ্কাকে ১৬০ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারিয়ে রানরেট অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা।
বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। পরপর সাত ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে রোহিত ব্রিগেড। শ্রীলঙ্কাকে ৩০২ রানে হারানোর পর ভারতের নেট রান রেট অনেকটাই বেড়ে গেল। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে অনেকটাই স্বস্তি টিম ইন্ডিয়ার। পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা, তাতে সেমিফাইনালে যাওয়া আর অনিশ্চিত নয় ভারতের।
ম্যাচের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানান, "আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি, এই খবর পেয়ে খুবই খুশি। এটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল। ব্যাটার ও সিমার, দুজনেই দুজনের লক্ষ্যপূরণ করেছে।" রবিবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই পয়েন্ট টেবিলের সমীকরণ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। কোন দল প্রথমে শেষ করবে, সেই লড়াইয়েই ইডেনে নামবেন কুইন্টন ডি কক-বিরাট কোহলিরা।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩০২ রানে জেতে ভারত। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জেতে টিম ইন্ডিয়া। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জেতে টিম। ইংল্যান্ড ম্যাচে ১০০ রানে জয়ী হয় রোহিত ব্রিগেড।
টানা চার ম্যাচ হারের পর অবশেষে ইডেনে জয়ের মুখ দেখেছে পাকিস্তান । পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছেন বাবর আজমরা। তাই এখনও সেমিফাইনালে যাওয়া সুযোগ রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের বাংলাদেশকে হারানোর পর সেই বিষয়ে কী বলছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম ?
বাংলাদেশকে হারিয়ে অবশেষে একটু আশার আলো দেখছেন বাবরেরা । পাক অধিনায়ক জানাচ্ছেন, তাঁদের হাতে শুধু নিজেদের ম্যাচই আছে। তাই পরের দু'টো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবেন তাঁরা। বাকিটা ভাগ্যের ব্যাপার। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বাকি দুই ম্যাচ রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। দু’টি ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ চার নম্বরে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বাবরদের।
তবে, পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে গেলে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও হারতে হবে। এই মুহূর্তে ৭টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে জিতেছে ২টি ম্যাচে। পয়েন্ট ৬। নেট রানরেট -০.০২৪। পরবর্তী দু'টি ম্যাচ জিতলেই ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন বাবররা। এদিকে, চলতি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ
ফাইনালে এমন ম্যাচ হয়তো আগে দেখা যায়নি এবার তাই দেখল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। কথা বলছি ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা নিয়ে। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা পায়। শ্রীলঙ্কা ৫০ রানে সকল উইকেট হারায়। কুশল মেন্ডিস ও দূষণ হেমন্ত ছাড়া কেউই রানে দুই অংক বেরোতে পারেনি।
প্রথমে ব্যাট করতে নামে কুশল মেন্ডেস ৩৪ বলে ১৭ রান ও দূষণ হেমন্ত পনেরো বলে ১৩ রান করে। এছাড়া আশালঙ্কা, পাথিরানা, দলের অধিনায়ক দশুন শঙ্কা, সাদিরা, কুশল পেরেরা দলের ৫ টি খেলোয়াড় শূন্য রানে ঘরে ফেরে। ভারতের পক্ষে সিরাজ ৬ উইকেট, পান্ডিয়া ৩ উইকেট, ও বুমরা ১ টি উইকেট পায়। ভারতকে এখন জিততে হলে ৫০ ওভারে ৫১ রান করতে হবে।
তবে শ্রীলঙ্কার এর আগেও এমন ভরাডুবি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তারা ২০১২ সালে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-শ্রীলঙ্কা। কিন্তু, ম্যাচকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভিলেন সেই বৃষ্টি। রবিবারের ম্যাচে আবহাওয়া কেমন থাকবে ? কী বলছে আবহাওয়া দফতর ? জেনে নিন
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কলম্বোয় দুপুর ১টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। রাতের দিকে বৃষ্টির প্রকোপ কমবে। এদিকে, দুপুর তিনটে থেকে ম্যাচ। বৃষ্টির মধ্যে ম্যাচ করা সম্ভবই নয়। সেক্ষেত্রে কি ফের সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলতে হবে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে? কিন্তু, দু'দিনই খেলা না হলে কী হবে ?
জানা গিয়েছে, রবিবার যদি দুই দল অন্তত ২০ ওভার না খেলতে পারে, তা হলে সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলা হবে। আর দু'দিনই যদি বৃষ্টি হয়, ম্যাচ ভেস্তে যায়, তাহলে দুই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এবার এশিয়া কাপের ম্যাচগুলিতে বেশিরভাগ দিনই বাদ সেধেছে বৃষ্টি। দু'বার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ভেস্তে গেছে। শেষ ম্যাচটি খেলতে হয় রিজার্ভ ডে-তে। সেক্ষেত্রে ফাইনালেও যে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আশানরূপ থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য।