ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক যুবকের, আহত আরও এক। বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানার অন্তর্গত বল্লালপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত ওই যুবকের নাম সমীর শেখ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পাশাপাশি অপর এক বাইক আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে বল্লালপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দাড়িয়ে থাকা লরিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে সমীরের বাইক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে ফরাক্কার দিক থেকে ধুলিয়ানের দিকে আসছিলেন দুই যুবক। দ্রুতগতিতে বাইক চালিয়ে আসার সময় পেছনের একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে ঘোলাকান্দি এবং বল্লালপুর এলাকা সংলগ্ন ৩৪ নাম্বার জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে তারা। ঘটনাস্থলেই কার্যত মৃত্যু হয় বাইক চালক সমীর শেখ নামে এক যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় নুরুল শেখ নামে আরও এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। সেই জ্বালা মেটাতেই ভিন রাজ্যে পাড়ি। মনের মধ্যে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে রোজগারের আশায় আপনজনদের ছেড়ে যেতে হয় বাইরের রাজ্যে (West Bengal)। কিন্তু পরিণতিটা যে এতটা মর্মান্তিক হবে তা কেই বা জানত? ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হলো এক পরিযায়ী শ্রমিকের। শিরোনামে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা (Farakka)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা পরিবারে।
জানা গিয়েছে, বেনিয়াগ্রামের সিংপাড়া এলাকার বাসিন্দা পুতুল মণ্ডল প্রায় ৩ মাস আগে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। বৃহস্পতিবার পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষটি চলে যাওয়ায় মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছে পুতুলের পরিবারে।
কিন্তু নিজের রাজ্য ছেড়ে বারবার ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছেই বা কেন? উত্তরে রাজ্যে কর্মসংস্থানের দুর্দশার চিত্রটা ফের স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ রাজ্যের সরকার বদল না হলে, রাজ্যের উন্নয়ন হবে না। একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
ভোররাতে হুলুস্থুল কাণ্ড ফরাক্কা সেতুতে (Farakka Bridge)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালগাড়িতে ধাক্কা ১৪ চাকার লরির। এমারজেন্সি ব্রেক কষে বড়সর দুর্ঘটনা (Accident) থেকে বাঁচালেন মালগাড়ির চালক। রেলের তরফে ডাউন রেল লাইনে রেল চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ রাখে। পাশাপাশি ফরাক্কা ব্রিজের উপরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তারপর লরিটিকে রেললাইনের ধার থেকে ক্রেনের মাধ্যমে সরিয়ে আনা হয়। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআইএসএফ (CISF) ও পুলিসের কর্মকর্তারা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে মালদহ থেকে ফরাক্কার রেল লাইন দিয়ে যাওয়া একটি মালগাড়িকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চৌদ্দ চাকার একটি লরি সজোরে ধাক্কা মারে। এমারজেন্সি ব্রেক করে মালগাড়ি চালক ডাউন লাইনে উপর দাঁড়িয়ে যায়। মালদহ থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। চৌদ্দ চাকা লরিটিও মালদহ থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় ফরাক্কার দিক থেকে মালদহের দিকে একটি ট্রাক্টর আসছিল। ১৪ চাকার লরিটি ব্যারেজের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ট্রাক্টরকে ধাক্কা মারে এবং তারপরেই গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে ব্রিজের রেলিং ভেঙে দিয়ে ডাউন মাল গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুমড়ে মুছরে যায় ট্রাক্টর ও লরিটি। যদিও কোন রকমে রক্ষা পেয়েছে মালগাড়িটি।
উল্লেখ্য, মালগাড়ি চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আর এটাই সবচেয়ে স্বস্তির খবর বলে মনে করছেন রেল কর্তারা।
আবারও পুকুর থেকে উদ্ধার (Rescue) এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্য়ক্তির মৃতদেহ (Deathbody)। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) ফরাক্কা থানার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই এলাকার শিবনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে ফরাক্কা (Farakka) থানার পুলিস। পুকুর থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালবেলায় ওই এলাকার স্থানীয়রা পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) ফরাক্কা ব্লকের বল্লালপুর হাট সংলগ্ন এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শ্যাম মোহাম্মদ(২৭)। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি ফরাক্কা গোহালবাড়ি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে ফরাক্কা বল্লালপুর হাট সংলগ্ন এলাকায় দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবকে ধাক্কা মারে। গুরুত্বর আহত হন ওই ব্যক্তি। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিস। তারপর পুলিস তাঁকে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করেছে ফরাক্কা থানার পুলিস।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে পথ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বয়দুল শেখ। তিনি ফরাক্কা (Farakka) ব্লকের আমতলা এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের শঙ্করপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সরকের উপর দিয়ে বাইক নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি পিকআপ গাড়ি পিছন থেকে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপরই ছিটকে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার পুলিস। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফরাক্কা বেনিয়াগ্রাম স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় সন্দেহভাজন তিনজনকে প্রথমে আটক করে ফরাক্কা থানা। তারপর তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের থেকে উদ্ধার হয় ৪০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। মাদক উদ্ধারের পরেই তাদের গ্রেফতার করে ফরাক্কা থানায় নিয়ে আসে পুলিস। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম অভিষেক ভাস্কর, মোহাম্মদ আমির খান, নবীন রজক।
প্রত্যেকের বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। ধৃতদের হেফাজতে পাঠিয়েছে জঙ্গিপুর আদালত। আর এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করছে ফরাক্কা থানার পুলিস।