গোটা গাজা শহরকেই ঘিরে ফেলেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। এমনই জানাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গাজা ভূখন্ডকে মোট দুটি ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। একটি উত্তর গাজা এবং অন্যটি দক্ষিণ গাজা। হামাসদের পরাস্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পূর্বে পুরো গাজায় ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সংযোগও পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শনিবারই ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ইজরায়েল অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক সফরে গিয়েছিলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্য়ান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি দেখা করেন প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে।
এদিকে বহু আলোচনা হলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় নেতানিয়াহু। যুদ্ধ বিরতির কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুজোর আগে বড়সড় বিপদের মুখে প্যান্ডেল ব্যবসায়ী। সামনেই দুর্গাপুজো তার জন্য সবচেয়ে আগের প্রস্তুতিপর্ব হল প্যান্ডেল তৈরী করা। আর সেই প্য়ান্ডেল ব্য়সায়ীর গোডাউনে রাতের অন্ধকারে লাগে বিধ্বংসী আগুন। সোমবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার পলাশপাই এলাকায়। পুজোর আর মাত্র কটা দিন বাকি তার আগে এমন ক্ষতিতে মাথায় হাত প্যান্ডেল ব্যবসায়ীর।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ন'টা নাগাদ ওই এলাকার শক্তিপদ মাইতি নামের এক প্যান্ডেল ব্যবসায়ীর গোডাউনে আগুন লাগে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর খবর দেওয়া হয় দমকলে। আগুনের শিখা এতটাই বেশি ছিল যে তা প্যান্ডেল যাচ্ছিল না। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিনের দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার পর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আশীষ হুদাইত। তিনি জানিয়েছেন ওই গোডাউনে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার সামগ্রী আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেই ব্যবসায়ীরা। তবে কিভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে এখন রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সেই ব্যবসায়ী। পুজোর আগে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন ওই প্য়ান্ডেল ব্য়বসায়ী তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট চিন্তার কারণ।
করবস্থানের জায়গায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে বিবাদ। আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইছানগরী। বাঁশ কাটার এই ঘটনায় বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি করবস্থানের বাঁশ কাটতে যায় শেখ মুক্তার ও তাঁর দুই ছেলে শেখ সাজু এবং শেখ সাদ্দাম। তাঁরা গ্রামের কাউকে না জানিয়ে ওই করবস্থানের বাঁশ কাটতে যায়। এবং ওই বাঁশ কাটায় বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। বাঁশ কাটতে বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীদের ওপর বাঁশ, লাঠি, রড নিয়ে চড়াও হন শেখ মুক্তার ও তাঁর দুই ছেলে শেখ সাজু ও শেখ সাদ্দাম। তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয় এবং মারামারিও হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। এরপর আহত গ্রামবাসীরা জগৎবল্লভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শেখ মুক্তার ও তাঁর দুই শেখ সাজু শেখ সাদ্দাম এর বিরুদ্ধে।
যদিও শেখ সাজু ও শেখ সাদ্দাম উল্টে জানায় যে, ওই করবস্থানে তাঁদেরও জায়গা রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস এই পুরো ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে।
সৌমেন সুর: জেল থেকে মুক্তির পর কল্পনা দত্ত রবীন্দ্রনাথ ও দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। উত্তরের রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'তোমার চিঠি পেয়ে আমি খুশি হয়েছি। দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর তুমি মুক্ত হয়েছ। তুমি এখন দিনে দিনে শান্তি ও শক্তি লাভ করো। আমাদের দেশে অনেক কাজ করার আছে। তার জন্য দৃঢ়তা ও সুনিয়ন্ত্রিত মন থাকা চাই। দুঃখ ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতাই তোমার জীবন পূর্ণতা লাভ করুক। এই আমার আশীর্বাদ তোমার শুভার্থী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।' জেলে থাকাকালীন তিনি সংকল্প করেন দেশের জন্য মাস্টারদা তারকেশ্বর দস্তিদার এবং বহু কর্মী প্রাণ দিয়েছেন, তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন করবেন তিনি।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তার ওপর পুলিশের নির্দেশ জারি হল, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে কলকাতা ছাড়তে হবে। তিনি চট্টগ্রাম ফিরে যেতে বাধ্য হন। চট্টগ্রামে তখন জাপানি বোমা পড়ছে। বার্মা থেকে দলে দলে কেউ হেঁটে, কেউ নৌকায় চেপে ভারতের চলে আসছে। অন্য জেলার লোকও চলে আসছে। এদিকে জীবনযাত্রার মানও গেছে পাল্টে। চট্টগ্রামে যুদ্ধের জন্য ব্রিটিশ-আমেরিকান, আফ্রিকান ও ভারতীয় সৈন্য ছেয়ে গেছে। দিনকে দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। মিলিটারি রাস্তা বাধার জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে। এদিকে খাদ্যের সন্ধানে দলে দলে মানুষ শহরের পথে ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। কত মানুষ না খেতে পেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে আছে। দুটো ভাত দাও ফ্যান দাও-এর কান্না ভেজা গলা। বিচলিত মানুষ। এই সবকিছু সাক্ষী কল্পনা দত্ত। পুরোপুরি সেবায় নিয়োজিত করলেন নিজেকে। খাওয়া, চিকিৎসা এমনকি নৈশ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা সমস্ত কাজ করতে লাগলেন।
এরপর দেশভাগের পর ভারতে চলে আসতে বাধ্য হলেও এবং চাকরি গ্রহণ ছাড়া বাঁচার পথ না থাকলেও, তিনি শিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রুশ ভাষা শিক্ষায়তনের দায়িত্বে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী কল্পনা দত্ত পড়াশোনা করতেন বিস্তর। দেশ বিদেশের প্রচুর নামিদামি লেখক এর বই পড়তেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে 'বীরকন্যা' রূপেই চিহ্নিত হয়ে আছেন কল্পনা দত্ত। তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত
সৌমেন সুর: ১৯৩২ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবের কাছে পুরুষের বেশে কয়েকজন সঙ্গীসহ আটক করা হয়। পুলিশ তাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহ না করে প্রেমঘটিত ব্যাপার মনে করে। যখন সনাক্ত হন যে তিনি রায়বাহাদুরের নাতনি, তখন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী পুলিশ দ্বিধায় পড়ে যায়। কিন্তু ছেড়ে দেয় না, অপরাধীর মতন ১০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে জামিন দেয়। এর সাত দিন পর ২৪শে সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ হয় প্রীতিলতা ওয়েদেদারের নেতৃত্বে। এই প্রথম একজন মহিলার নেতৃত্বে বৈপ্লবিক আক্রমণ হলো। এই ঘটনায় সারাদেশের ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রিটিশ বিরোধী অকুতোভয় যোদ্ধা এবং চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম সদস্যা কল্পনা দত্ত ছিলেন বীর কন্যা। মাস্টারদা সূর্যসেনের প্রিয়পাত্রী ও রবীন্দ্রনাথের কন্যাসম ছিলেন তিনি। ১০৯ ধারায় মামলা চলাকালীন ডিসেম্বর মাসে মাস্টারদা নির্দেশ পাঠালেন কল্পনা দত্তকে আত্মগোপন করতে হবে। যদি না করে তাহলে তাকে বিনা বিচারে জেলে আটক করবে। এই কথা শোনা মাত্র তার নতুন জীবন শুরু হয়। আজ এ গ্রাম, কাল অন্য গ্রাম করতে থাকে। সুখে থাকা মেয়ে কৃষকের বাড়িতে মোট চালের ভাত খাচ্ছে। ছেঁড়া কাঁথায় ঘুমোচ্ছে। তাঁর জীবনে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ১৯৩৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি। গৈরলা গ্রামে ক্ষিরোধ প্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন মাস্টারদার সঙ্গে। রাত ৯টা নাগাদ বুঝতে পারলেন মিলিটারি চারদিকে ঘিরে ফেলেছে। সবাই বেষ্টনী ভেদ করে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। গুলি বিনিময় শুরু হয়। অবশেষে মাস্টারদা ধরা পড়েন। আর কল্পনা দত্ত পাশের গ্রামে এক কৃষকের ধানের গোলায় আশ্রয় নেন। এদিকে কল্পনা দত্তের বিরক্ত কাহিনী গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৩৩ সালে জুন মাসে শুরু হয় চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি ট্রাইবুনলি। ১৪ই অগাস্ট রায় হয় সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি। কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দ্বীপান্তর। মৃত্যুদণ্ড না দেবার কারণ তিনি নারী এবং বয়স কম। তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এক ঐতিহাসিক চুক্তি! এবারে যৌথ উদ্য়োগে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করবে ভারত (India) ও আমেরিকা (America)। ভারতের বায়ুসেনার (Indian Air Force) জন্য যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন এবারে দেশেই তৈরি করা হবে তাও আবার আমেরিকার উন্নতমানের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। সূত্রের খবর, এরোনটিক্স লিমিটেডের (Hindustan Aeronautics Limited) সঙ্গে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিকের (General Electric) চুক্তিকে সবুজ পতাকা দেখাল মার্কিন কংগ্রেস (US Congress)।
সূত্রের খবর, জুন মাস থেকেই এই চুক্তি আটকে ছিল। তবে এবারে মার্কিন কংগ্রেসের তরফেও এই চুক্তিতে সমর্থন জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে মার্কিন কংগ্রেস এবং সেনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এরপর কোনও কংগ্রেস সদস্য আপত্তি না জানানোর দরুণ প্রস্তাবটিকে সমর্থন করা হয়েছে জানা গিয়েছে। ফলে এবার থেকে আমেরিকার সংস্থা জিই-র সহায়তা নিয়ে এ দেশেই এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন বানাতে পারবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা 'হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড'।
এই চুক্তি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই চুক্তিতে মার্কিন কংগ্রেসের তরফে সম্মতি আসায় এবার থেকে এফ-৪১৪ জেট ইঞ্জিন তৈরি করতে জেনারেল ইলেকট্রিকের তরফে ৮০ শতাংশ প্রযুক্তি দেওয়া হবে। আবার এ দেশেই এটি তৈরি করা হবে বলে ভারতও 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর পথে আরেকটা ধাপ এগিয়ে যাবে। ফলে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক জেট ইঞ্জিন খুব সহজেই তৈরি করা যাবে, যার ফলে দেশের বায়ুসেনা লাভবান হবে। জিই-এর আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে হালকা ও দ্রুতগামী যুদ্ধবিমান এবারে ভারতেই তৈরি করা খুব সহজ হয়ে যাবে। যা দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাইডেন যখন ভারতে আসবেন তখনই এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে।
পোষ্য কুকুরদের (Dog) ঝগড়া ছড়াল মালিকদের মধ্যে। বিবাদ এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছয় গুলি চালানো শুরু করলেন এক ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ২ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬ জন। বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরে (Indore)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাজপাল রাজাওয়াত তাঁর পোষ্য কুকুরকে নিযে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁর এক প্রতিবেশীও তাঁর পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ দুই পোষ্য কুকুরের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু হয়। এই নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যেও তর্কাতর্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। অভিযোগ এরপর, রাজপাল রাজাওয়াতের ককুরটিকে আঘাত করেছিলেন অপর ব্যক্তি। বচসা আরও তুঙ্গে ওঠে। রাজপাল ঘরে ঢুকে নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক বের করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।
ঘটনাস্থলেই গুলি লেগে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ এসে আটক করে রাজপালকে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন তিনি। রাজপালের বন্দুকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গুলি চালানোর ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
স্বাধীনতা দিবসের আগেই আরও শক্তিশালী করা হল ভারত-পাক ও ভারত-চিন সীমান্তের নিরাপত্তা। গত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্ত হয়ে পাক জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশের মত ঘটনা বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে চিন থেকেও লাল ফৌজের আগ্রাসন বেড়েছে। ফলে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। তাই এবারে শ্রীনগরের (Srinagar) বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (MiG-29 Fighter Jet)। এমনটাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, এর আগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি চালাত রাশিয়ার তৈরি মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান। আর এবারে আনা হল উন্নতমানের মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান। এটি আগের যুদ্ধবিমানের তুলনায় শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করতে বেশি দক্ষ। এই যুদ্ধ বিমান রাতের আকাশেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যতে হামলা করতে সক্ষম। আবার এই যুদ্ধ বিমানে মাঝ আকাশেই তেল ভরার মতো প্রযুক্তি রয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীনগরের মিগ-২৯ 'স্কোয়াড্রন ট্রাইডেন্টস'-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্কোয়াড্রন ট্রাইডেন্টস।
ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার বিপুল শর্মা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে শ্রীনগর সমতল ভূমি থেকে অনেকটা উঁচুতে। ফলে সেখান থেকে কাশ্মীর ও লাদাখ সীমান্তে নজরদারি করা সহজ হবে। ফলে শ্রীনগরের বায়ুসনা ঘাঁটিতে উন্নতমানের ও শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান মিগ-২৯ মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্বেই জানা গিয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ফ্রান্স (France) সফরে শক্তিশালী হবে ভারতের নৌবাহিনী (Indian Navy)। ফ্রান্সের মাটিতে পা রাখতেই এদিকে রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Jet Fighter) কেনার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরের দিনই ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান এবং তিনটি অতিরিক্ত স্কর্পেন-শ্রেণির সাবমেরিন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করল ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল। ফলে এবারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে ভারত।
A meeting of the Defence Acquisition Council (DAC), held under the chairmanship of Raksha Mantri Shri Rajnath Singh, approved three proposals on July 13, 2023. The DAC granted Acceptance of Necessity (AoN) for procurement of 26 Rafale Marine aircraft along with associated… pic.twitter.com/7M1ajs8VFa
— ANI (@ANI) July 13, 2023
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সেই ছাড়পত্র মিলল। এর ফলে নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য যুদ্ধবিমান কেনা একপ্রকার পাকা হয়ে গেল। আজকের এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রাজনাথ সিং। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান, ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান এবং সেনার উচ্চপদস্থ কর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হবে ফ্রান্স-ভারতের। এর মধ্যে ২২টি ‘সিঙ্গল সিটার’, বাকি চারটি ‘ফোর সিটার’ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
ফের চর্চায় দিল্লি মেট্রো (Delhi Metro)। প্রায়শই কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে রাজধানীর মেট্রোয়। কখনও পোশাক নিয়ে বিতর্ক, কখনও যুগলের চুম্বন, কখনও আবার বসার জায়গা নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে চুলোচুলি, এই সব কিছু নিয়েই দিল্লির বুক চিড়ে যাত্রী বহন করে চলেছে দিল্লি মেট্রো। এবার মেট্রোর মধ্যে দুই ব্যক্তির মারপিটের ভিডিও প্রকাশ্যে (Viral Video) এসেছে। যদিও সেই ভিডিওর (Social Media) সত্যতা যাচাই করেনি সি এন পোর্টাল।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেখান থেকে মারপিটে পৌঁছয়। দুজনেই একে অপরকে চড়-কিল-ঘুষি মারতে থাকে। বাকি মেট্রো যাত্রীরা তাঁদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। তবে স্টেশন চলে আসায় মারপিট থামিয়ে তাঁদের মধ্যে হঠাৎই এক জন মেট্রো থেকে নেমে যান।
A fight broke out between two people on @OfficialDMRC Violet Line. #viral #viralvideo #delhi #delhimetro pic.twitter.com/FbTGlEu7cn
— Sachin Bharadwaj (@sbgreen17) June 28, 2023
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)। এই প্রসঙ্গে, ডিএমআরসির জনসংযোগ আধিকারিক অনুজ দয়াল বলেন, ‘‘আমরা অনুরোধ করছি যাতে মেট্রোতে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীরা সঠিক আচরণ করেন। কোনও যাত্রীর আপত্তিকর আচরণ লক্ষ করলে অন্যরা যেন অবিলম্বে ডিএমআরসির হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। মেট্রোর নিরাপত্তা কর্মীরা ইতিমধ্যেই যাত্রীদের অভব্য আচরণ বন্ধ করতে নজরদারি বাড়িয়েছে।’’
ভাইরাল হতেই ভিডিওটিতে একাধিক মন্তব্য করেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ মজার ছলে বলে বসেন, দুই শক্তিমানের লড়াই চলছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire) জেরে ভস্মীভূত চারটি বাড়ি। ঘটনায় আহত তিন জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আউশতলা থানার অন্তর্গত গুসকরা (Guskara) পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের (Firefighters) একটি ইঞ্জিন। ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ সুভাষপল্লী এলাকার শিবু বিশ্বাসের বাড়িতে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। অভিযোগ, শিবু বিশ্বাস নিজের বাড়িতেই পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবসা করেন। এলাকার লোকজন অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও তিনি ব্য়বসা বন্ধ করেননি। সেখান থেকেই আগুন লাগে বলে অভিযোগ। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে পর পর চারটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায় চারটি বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। স্থানীয়দের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জি। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। তাঁদের গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। পুড়ে ছাই ঘরবাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে হৃদয়পুর রেল স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে আটটি বাড়ি এবং পাঁচটি সিলিন্ডার পুড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের (Firefighters) তিনটি ইঞ্জিন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বস্তিতে একটি ঘরে একজন মোমবাতি জ্বালিয়ে শুয়েছিলেন। সেই মোমবাতির আগুন থেকেই প্রথমে একটি ঘর তারপর আশেপাশের প্রায় ৫ থেকে ৬টি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরগুলির মধ্যে থাকা একের পর এক সিলিন্ডার ব্লাস্ট করতে শুরু করে। স্থানীয় মানুষের তথ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ৬ টি সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেছে। ঘরের মধ্যে যারা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বেরিয়ে আসলেও জিনিসপত্রের ক্ষতি প্রচুর হয়েছে। তাঁদের আধার কার্ড থেকে শুরু করে ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র এবং সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সহ বিভিন্ন দরকারি নথিপত্র সব কিছু ঘরের মধ্যে ছিল। নিমেষে সব পুড়ে গিয়েছে বলে জানান
ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বারাসত থেকে দুটো দমকলের ইঞ্জিন এসে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মধ্যমগ্রাম থেকে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। তবে অনেক রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কারণ এলাকাটি প্রচণ্ড ঘিঞ্জি। ঘটনাস্থলে আছে বারাসত থানার পুলিস বাহিনী।
ফের শহর কলকাতায় (Kolkata) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire) ঘটনা। রাজভবনের উল্টোদিকের একটি বহুতলে বুধবার সকালে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। ওই বহুতলের উপরে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের (Fire Fighter) ৯ টি ইঞ্জিন। এই ঘটনার জেরে রাজভবন থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনাস্থলে এসে তিনি সমস্ত বিষয়টির তদারকি করেছেন। এমনকি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল ভিনোদ কুমার আর পুলিস কমিশনার ভিনীত গোয়েল।
প্রায় এক ঘণ্টা পার হতে চলল, কিন্তু এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। একজন সামান্য আহত হয়েছেন বলে খবর। এমনকি ওই বিধ্বংসী আগুন শরাফ হাউস থেকে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের বাড়িতেও। তবে কীভাবে এই আগুন লাগলো তা এখনও জানা যায়নি।
বরপক্ষ ও কনেপক্ষের লড়াইয়ে (Fight) বিয়েবাড়ি (Wedding) বদলে গেল রণক্ষেত্রে। দু-পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং শেষে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এই লড়াইয়ের জেরে আহতও হয়েছেন অনেকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) আগ্রার শাহগঞ্জে। ঘটনার ভিডিও (Video) ভাইরাল (Viral) হয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, বিয়ের আসরে বর কনেকে মাঝে রেখে তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন আত্মীয়স্বজনেরা। তখনই বর এবং কনেপক্ষের মধ্যে আচমকাই বচসা শুরু হয়। তারপরেই শুরু হয় জোরদার সংঘর্ষ। সূত্রের খবর, বিয়ে বাড়িতে নাচানাচিকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ তৈরি হয়।
— K.RAJ. 🇮🇳🚩 (@Kulwant70838898) May 5, 2023
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে চিৎকার করছেন এক মহিলা। বরকে লড়াইয়ের মধ্যে থেকে টেনে বের করার চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ। কেউ তো আবার লড়াই থামানোর চেষ্টাও করছেন।
গুরুদ্বারে চলা গুলির লড়াইয়ে (gun fight) মূল অভিযুক্ত, মাফিয়াদলের সদস্য-সহ ১৭ জন গ্রেফতার (Arrest)। গ্রেফতার করল ক্যালিফোর্নিয়া (California) পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হ্যান্ডগান, মেশিনগান, একে-৪৭-সহ আরও অনেক অস্ত্রশস্ত্র। এই গুলির লড়াইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোর একটি গুরুদ্বারে। এমনকি এই গুলির লড়াইয়ে আহত হন দু’জন। সেই ঘটনার তদন্ত করে রবিবার উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিযান চালায় পুলিস।
সূত্রে খবর, ধৃতরা বেশির ভাগই স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সদস্য। ধৃতদের মধ্যে ভারতের মাফিয়া দলেরও দুই সদস্য রয়েছেন। ধৃতরা একাধিক খুনে ‘ওয়ান্টেড’ বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল।
পুলিসের দাবি, মার্চ মাসের ২৩ তারিখ স্যাক্রামেন্টোর গুরুদ্বারে গুলির লড়াইয়ের জড়িত এই গ্যাংয়েরই লোকজন। তাই এই অভিযানের জেরে অন্তত দু’টি গুলির লড়াই বন্ধ করা গিয়েছিল, দাবি প্রশাসনের।