এবাের মহিলাদের (Women) সুরক্ষার্থে ও তাঁদের জন্য কমফরটেবল জায়গা করে দিতে এক বিশেষ পদক্ষেপ নিল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। মহিলাদের জন্য এমন কিছু পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে শুধুমাত্র তাঁরাই থাকবেন। অর্থাৎ এই পার্কগুলোতে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। রাজধানী দিল্লিতে এমন মোট ২৫০টি পার্ক তৈরি করা হবে, যেখানে মহিলারাই শুধুমাত্র যেতে পারবেন। এই পার্কগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে 'পিঙ্ক পার্ক' (Pink Park)। জানা গিয়েছে, এই পদক্ষেপ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে এমন পিঙ্ক পার্ক তৈরির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। কোথায় তৈরি করা হবে এই পার্কগুলো, তার জন্য জায়গাও খোঁজা হচ্ছে। দিল্লি মিউনিসিপ্যালিটির ২৫০ টি ওয়ার্ডেই এই পার্কগুলো তৈরি করা হবে জানা গিয়েছে। দিল্লির ডেপুটি মেয়র আলে মোহাম্মদ ইকবাল জানিয়েছেন, তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনিও তাঁর এই পদক্ষেপের সমর্থন করেছেন।
আরও জানা গিয়েছে, এই পিঙ্ক পার্কগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, টয়লেট, জিম থাকবে। আবার সেখানকার দেওয়ালগুলোতে গ্রাফিটিও আঁকা থাকবে। দিল্লির মাতা সুন্দরী রোডেও এরকম ধরনের একটি পার্ক আগে থেকই রয়েছে। যেখানে ১০ বছর পর্যন্ত শিশুরা প্রবেশ করতে পারে। আর এই ধাঁচেই মহিলাদের জন্যও এই বিশেষ পিঙ্ক পার্ক তৈরি করা হবে দিল্লিতে।
নতুন অর্থবর্ষ থেকে মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ আমানত প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। শুরু হয়েছে মহিলাদের জন্য স্বল্প মেয়াদে আমানতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। দেশের ১ লক্ষেরও বেশি ডাকঘরে (Post Office) এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ লগ্নির পরিষেবা শুরু হয়েছে। ২০২৩-এ বাজেট ঘোষণার সময়ই এই ‘মহিলা সম্মান সঞ্চয় শংসাপত্র’ প্রকল্প চালুর বিষয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister)।
অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুধুমাত্র মহিলারাই এই প্রকল্প কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে আমানতকারী মহিলারা ২ বছরের আমানতের উপর সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ (Interest) পাবেন। সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নি করা যাবে। এমনকি মেয়াদ শেষের আগেই আংশিক আমানত তোলাও যাবে। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্তই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে ‘মহিলা সম্মান সঞ্চয় শংসাপত্র’ প্রকল্পে। এই প্রকল্পের ফলে মহিলা গ্রাহকদের উপকার হবে। এমনকি এই প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের ঘোষণা, মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে এই প্রকল্পে লগ্নির সময়সীমা শুধুমাত্র আগামী ২ বছরের জন্য সীমাবদ্ধ থাকায় উঠছে নানা প্রশ্ন।
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গবার মণীশ কোঠারিকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তাই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের হদিশ পায় ইডি আধিকারিকরা। একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার নামে এত কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কি? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার।
ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার নামে ফিক্স ডিপোজিট করা হয়েছে। ১৬ কোটি টাকার ফিক্সট ডিপোজিট সুকন্যার, জেরায় জানান মণীশ।
শুক্রবার মধ্যরাতে চেন্নাইয়ের গ্লোবাল ফার্মা (Chennai Global Farma) হেল্থকেয়ারে যৌথ অভিযান চালায় তামিলনাড়ু ড্রাগ কন্ট্রোলার। চেন্নাইয়ের ওই ফার্মেসির তৈরি চোখের ড্রপের (Eye Drop) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। ড্রপ ব্যবহারে চোখে নানা ধরনের সংক্রমণ (Eye Infection) ও সম্পূর্ন দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া থেকে রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ার মতো অভিযোগ উঠছে। দ্য ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রায় ৫৫টি রিপোর্টে এই অভিযোগ তুলেছে।
জানা গিয়েছে, চেন্নাই থেকে ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত ওই ওষুধ তৈরির কোম্পানি থেকে যে ধরনের ওষুধ তৈরি হচ্ছে, সেই ধরনের ওষুধগুলি ব্যবহার করে আমেরিকার বহু মানুষের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটেছে একজনের, এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছে ওই রিপোর্ট। রাতারাতি আমেরিকার সব ফার্মেসি দোকান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে চেন্নাই থেকে আমদানি হওয়া আই ড্রপগুলি।
এবিষয়ে চেন্নাইয়ের গ্লোবাল ফার্মা হেল্থ-কেয়ারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের আইড্রপগুলির বিক্রি-ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। চেন্নাইয়ের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে এও বলা হয়েছে, যে ওই কোম্পানি বহু বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত। ইউএস আইন প্রণেতাদের এই আই ড্রপের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শীঘ্র জানাতে বলা হয়েছে।