
কাশ্মীরে চলতি সপ্তাহে জঙ্গিদের হাতে তিনজন সংখ্যালঘু হিন্দু খুন হয়েছেন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মধ্যে আতঙ্কের ছায়া। এর মধ্যেই ভূস্বর্গে সন্ত্রাসদমন অভিযানে বড় সাফল্য মিলল। গতকাল অনন্তনাগে আধাসেনা এবং পুলিসের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে হিজবুল কমান্ডার নিসার খান্ডে নিহত। টুইটারে এমনটাই দাবি করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, দক্ষিণ কাশ্মীরে হিজবুলের নানা নাশকতার ঘটনার মূল চক্রীই ওই জঙ্গি। তাকে গুলি করে নিকেশ করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, রিশিপোরা এলাকায় নিসার-সহ কয়েকজন জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। সন্ধের দিকে অতর্কিতে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। ওই সময় পুলিস ও আধাসেনার যৌথ অভিযানে নিকেশ হয় ওই জঙ্গি। অন্ধকারের সুযোগে তার সঙ্গীরা আশপাশের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি (কাশ্মীর জোন) বিজয় কুমার টুইটারে লিখেছেন, ''নিহত হিজবুল জঙ্গি নিসারের থেকে একটি একে-৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও এলাকা জুড়ে অভিযান চলছে।'' সংঘর্ষে তিন জওয়ান এবং এক সাধারণ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
২০১৯-এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের এক পশু চিকিৎসককে (Veterinary Doctor Rape and Murder) অপরহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে নির্যাতিতার দগ্ধ দেহ উদ্ধারে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিস (Hyderabad Police)। ধৃতদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণে গেলে পুলিসি এনকাউন্টারে (Encounter) মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। তেলেঙ্গানা পুলিসের দাবি ছিল, পুলিসের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। কিন্তু এই এনকাউন্টার ভুয়ো দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশের শীর্ষ আদালত সত্য অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই শিরপুরকর কমিটি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিপোর্টে জানিয়েছে সেই এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল। পাশাপাশি দোষী পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ আছে রিপোর্টে।
প্রশাসনের কাছে পুলিসের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তরা পালাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এ বার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত শিরপুরকর কমিশন তার রিপোর্টে স্পষ্ট বলল, সে দিনের সংঘর্ষ ছিল সম্পূর্ণ ভুয়ো। খুনের উদ্দেশেই পুলিস তাঁদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় চার জনের মধ্যে তিন জনই ছিল নাবালক।
সেই ঘটনার পর নিগৃহীতার দেহ হায়দরাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি নির্জন জায়গায় দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভালু, জলু শিবা এবং জলু নবীনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তারপরই অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে অকুস্থলে যায় পুলিস।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একটি অংশ পুলিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে নাগরিক সমাজের একটি অংশ। আবার অন্য একটি অংশ পুলিসের এই 'অতিসক্রিয়তা'কে তোপ দেগে সোচ্চার হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিশন গড়ে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
শুক্রবার সাতসকালে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে (Chittaranjan Park) উত্তেজনা। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই (Encounter) পুলিসের (Police)। গুলির লড়াইয়ে এক দুষ্কৃতী জখম হয়েছেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
দুষ্কৃতীরা বড় কোনও নাশকতার ছক কষেছিল কীনা তা এখনও সঠিক ভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত করে দেখছে পুলিস। দিল্লির অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত চিত্তরঞ্জন পার্ক। রাজধানীর বাঙালি মহল্লা বলে পরিচিত এই এলাকা।
দুষ্কৃতীরা প্রথমে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানা গেছে। পালটা গুলি করে পুলিস এক দুষ্কৃতীর পায়ে গুলি করে তাকে আটক করে। সূত্রের খবর, আহত দুষ্কৃতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দুষ্কৃতী কে এবং সে এলাকায় কী করতে এসেছিল তার সন্ধানে পুলিস।
জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ এক সিআইএসএফ জওয়ান। নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা প্রত্যাঘাতে খতম দুই সন্ত্রাসবাদী। রবিবার জম্মু সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তার দুই দিন আগে সেনা ছাউনির সামনে নিরাপত্তারক্ষী-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত চার জন গুলিবিদ্ধ।
সূত্রের খবর, জম্মুতে জঙ্গি হানা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তাই নিরাপত্তা বাড়িয়ে বড়সড় নাশকতা এড়ানো গিয়েছে। এমনটাই জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, পুলিশ সুনজবা এলাকায় অন্তত দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীদের অস্তিত্ব টের পেয়েই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। এতেই শুরু হয় সংঘর্ষ।
এই সংঘর্ষে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর শহিদ হয়েছেন। পাশাপাশি জঙ্গি হানায় আহত চার সিআইএসএফ কর্মী। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেনা-জঙ্গিদের এই গুলির লড়াই চলছে বলেও খবর।
জম্মুর পুলিসকর্তা মুকেশ সিং বলেন, 'জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করি। জঙ্গি হানার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আরও চার জন আহত হয়েছেন।'
চার বছর আগেও ২০১৮ সালে জঙ্গিরা এই ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা শহিদ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের বিশেষ ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কাশ্মীর সফর। এই সফরে মোদী পাল্লি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে এক বড় জনসভা করবেন।
জঙ্গি দমন (Encounter in Kashmir) অভিযানে গিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরে শহিদ দুই জওয়ান। সেনার পাল্টা গুলিতে নিহত এক সন্ত্রাসবাদী (Terrorist Killed)। শনিবার সকালে সোফিয়ানের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সূত্র মারফৎ সোফিয়ানের জৈনপোরায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির খবর মেলে। তারপরেই রাজ্য পুলিস, আধা সামরিক বাহিনী এবং ভারতীয় সেনা এদিন সকালে যৌথ অভিযানে (Gunfight) নামে। এমনটাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, শহিদ দুই জওয়ানের নাম সন্তোষ যাদব এবং রমিত তানাজি। দু'জনেই রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সিপাই পদে কর্মরত ছিলেন।
সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর এদিন ট্যুইট করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। সেই ট্যুইটে উল্লেখ, এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বিস্তারিত আসছে। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এলাকা ঘিরলেই এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় এক সন্ত্রাসবাদীর।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি বছর এটাই প্রথম ঘটনা, যেখানে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান।