ফের হাতির (Elephant) হামলা (Attack)। দেওয়াল চাপা পড়ে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যু (Death)। অপরদিকে, একটি গরুর উপর হাতির দল আক্রমণ করলে গরুটিও মারা যায়। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের প্ৰতাপপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিস (Police)। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম ভেদি মাহাতো (৭০)।
ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। শতাধিক হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের যেমন ক্ষতি করে চলেছে, তেমনি হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ একদল হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রামে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। ওই গ্রামে ঢুকে হাতির দলটি বেশ তাণ্ডব শুরু করে। কয়েকটি বাড়িও ভেঙে দেয় হাতির দলটি। যায় ফলেই একটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান ওই বৃদ্ধা। তবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হলেও হাতির হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরেও ওই এলাকায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি হাতি এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে এলাকাজুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে হাতির দল ওই এলাকায় গত তিন দিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে আরও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কার পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের বন্য হাতির (Elephant Attack) হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের ৩ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা (Forest Officer) ঘটনাস্থলে আসেন। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত আড়াইটা নাগাদ পার্শ্ববর্তী জলঢাকা জঙ্গল থেকে একটি বুনো দাঁতাল হাতি নাগরাকাটার ৩ নম্বর রেলগেট এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতিটি ঢুকেই প্রথমে নারায়ণ সেন নামের এক বাসিন্দার বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর ঘরের জানালা, দরজাও ভেঙে দেয়। সেখান থেকে হাতিটি বেরিয়ে এসে কনকা দত্ত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় এবং ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে এক বস্তা ধান উঠিয়ে নিয়ে যায় হাতিটি।
বুধবার রাতে প্রায় আধঘন্টা তান্ডব চালিয়ে হাতিটি ফের জঙ্গলে চলে যায়। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে কনকা দত্তের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ওই বন্য হাতটি। তবে বৃহস্পতিবার হাতিটি ওই এলাকায় এসে কনকা দত্তের বাড়িটি একেবারে গুড়িয়ে দেয়।
তাই এই ঘটনায় বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি সব নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
হাতির হানায় (Elephant Attack) গুরুতর জখম এক মহিলা-সহ দুই। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapur) বন বিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জের কিসমত বনকাটি এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, বনকাটি এলাকায় রবিবার রাত থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট একটি দাঁতাল হাতি। সোমবার ভোরে জঙ্গলে যায় মঞ্জু সিং নামের ওই মহিলা। তখনই হাতির সামনে পড়ে যান মঞ্জু। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের হাতির হামলার মুখে পড়েন মুক্তিপদ রায় নামে এলাকারই এক বাসিন্দা। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকেই স্থানীয়রা নিয়ে যান মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
উল্লেখ্য রবিবারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতির হানায় প্রাণ গিয়েছে দু'জনের। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হাতির হানায় রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় এখন বন দফতরের কোনও আধিকারিক নেই। যার জেরে হাতির হামলা রুখতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ঘনঘন হাতির হামলায় জঙ্গলমহলে মৃত্যুর প্রতিবাদ (Elephant Attack) ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। আট দফা দাবি নিয়ে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন (Deputation) জমা। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরির দাবি রয়েছে এই ডেপুটেশনে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমন দাবিও উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা ডেপুটেশনে।
খবর, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে নিত্যদিন হাতির হামলায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন জেলার বাসিন্দারা। তাই বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার নেতা অশোক মাহাতো ডেপুটেশন দেওয়ার পর বলেন, 'জঙ্গলমহলজুড়ে হাতির হামলায় প্রায় প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। এমনকি প্রতিদিন ঘর-বাড়ি ও ফসলের ক্ষতিও করছে হাতির দল। হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারবর্গকে চাকরি দেওয়ার দাবি এবং হাতির দল যাঁদের ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি করছে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে।'
ফের হাতির হামলায় (Elephant Attack) ক্ষয়ক্ষতি। গোটা ঝাড়গ্রাম(Jhargram) ব্লকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির একটি দল। রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের একাধিক জায়গায় খাবারের খোঁজে হামাল চালায় হাতির দল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের কুনডলডিহি গ্ৰামে মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ হাতির দল হামলা করে দীপেন্দু মাহাতো নামে এক স্থানীয়ের বাড়িতে। রাতে বাড়ির বাইরে লোকজনের চিৎকার শুনে দরজা খুলে দেখে একটা হাতি কলা গাছ ভেঙে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। তারপরই বাড়িতে রাখা দীপেন্দুর বিয়ে বাড়ির ডেকোরেশন ব্যবসার স্ট্রাকচারগুলো পায়ে মাড়িয়ে ভেঙে দেয়।
অন্যদিকে বুধবার সাতসকালে ওই হাতির দলটিই মোহনপুর ও মুড়াকাটি এলাকায় ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির চাষের ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দলটি, জানান গ্রামবাসীরা। এমনকি মানিক পাড়ার বৈদ্যপালে সকালে আলুচাষের জমিতে চাষিরা থাকাকালীনই ঢুকে পড়ে দাঁতালের দল। আলু খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্টও করে তারা।
পরে হাতির দলটি মোহনপুর জঙ্গল থেকে এনএইচ-৬ পেরিয়ে নেকড়াবিন্ধ্যা ও ছচমেটিয়ার দিকে চলে যায়।
হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Student) মৃত্যু। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Incident) টাকিমারি এলাকার ঘটনায় স্পষ্টতই শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক শুরুর দিনেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু। মৃত কিশোরের বাড়ি জলপাইগুড়ির টাকিমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে জঙ্গলের পথ ধরে বাবার বাইকে চেপে বেলাকোবায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে হাতির (Elephant Attack) সামনে পড়ে যান দু'জনে।
কোনওভাবে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বাবা। কিন্তু 'মৃত্যুদূতের' সামনে পড়ে যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতি। বন দফতর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় বন দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। প্রতিবছর হাতির হানায় মানুষের মৃত্যু হলেও বন দফতর কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। শুধু চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলে কি পরিবারের সান্ত্বনা মেলে? এভাবেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
সবাই আতঙ্কে আছে কেন ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কিশোরের স্কুল এবং বন্ধুরা। ঘটনা প্রসঙ্গে রেঞ্জ অফিসার জানান, 'সকাল ৯টা নাগাদ জঙ্গলের পাশের একটা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাবাকে একটা হাতি ধরে ফেলে। বাবা কোনওভাবে বেঁচে গেলেও, ছেলেকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়েই আমরা যাই, জখম সেই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আমরা জেনেছি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা। আমাদের সচেতনতা প্রচার চলছে। শর্টে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তা ধরেছিল। তবে সকাল ৯টা নাগাদ বেড়িয়ে অন্য রাস্তা ধরে গেলেও সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন যেতো।'
হাতির উপদ্রবে (Elephant Attack) নিত্যদিন প্রাণ হাতে করে যাতায়াত। পাশাপাশি শিয়রে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই আবহে নিরাপত্তা চেয়ে বন দফতরের অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়ার একাধিক গ্রামের মানুষ। হাতির হামলা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের কাছে গাড়ির দাবি স্থানীয়দের। গাড়িতে করে স্থানীয়দের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের (Madhyamik Exam) পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে গাড়ির দাবিতে সরব গ্রামবাসীরা।
সেই দাবি মেনে নিয়েছে বন দফতর। হাতি উপদ্রুত এলাকার মানুষদের ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য গাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বন দফতরের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বড়জোড়ার ডাকাইসিনী জঙ্গল এলাকার মানুষ বন দফতরের কর্মী আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি হাতির কারণে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত। এমনকি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু।
ফলে জঙ্গলপথে পরীক্ষার্থীদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। এই অবস্থায় ডাকাইসিনী-কালপাইনি গ্রামের মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ডাকাইসিনী-খাঁড়ারি জঙ্গল পথে গাড়ির ব্যবস্থা বন দফতর করছে বলে ওই এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।
বন দফতরের এক কর্তা জানান, 'মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আমরা গাড়িতে করে পরীক্ষা কেন্দ্র অবধি দিয়ে আসবো। আবার ফেরত দিয়ে যাবো। সেভাবেই গ্রামবাসীদের বাসস্ট্যান্ড অবধি দিয়ে আসবো। আবার ওদের বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামে ফেরত দিয়ে যাবো।'
সাত সকালেই আরামবাগের লোকালয়ে (Arambagh Hooghly) ঢুকে পড়ল দাঁতাল হাতি। পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকে গোঘাট হয়ে আরামবাগে ঢুকে পড়েছে দাঁতাল (Elephant Attack)। এমনটাই প্রসাশনে অনুমান। হাতির হামলায় একজন গুরুতর জখম বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সামনে চলে আসা এক যুবককে লাথি মেরেছে সেই দাঁতাল, এমনটাই অভিযোগ। বর্তমানে আরামবাগের কালীপুরের একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে দাঁতালটি। তাকে বাগে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিস ও বন দফতরের (Forest Department) কর্মীরা। তবে এভাবে হঠাৎ লোকালয়ে হাতি দেখে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। সাতসকালেই মাঠে কৃষি জমি দেখতে গিয়ে হাতি দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। তখনই গ্রামের মানুষদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং করে প্রশাসন। হাতির পিছনে দৌড়তে বারণ করা হয় স্থানীয়দের।
ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। তবে খাবারের সন্ধানে দাঁতাল লোকালয়ে ঢুকেছে বলে অনুমান। পাশাপাশি দাঁতালের সঙ্গে আরও একটি বাচ্চা হাতি রয়েছে বলে অনুমান বন দফতরের। হাতিকে আয়ত্তে আনতে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের হুলা পাটিকে খবর দেওয়া হয়েছে। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিস।
বন দফতরের এক কর্তা জানান, 'একটা দাঁতাল দেখা গিয়েছে। তার সঙ্গে বাচ্চা হাতি থাকার সম্ভাবনা। স্থানীয় পুলিস প্রশাসন এবং বন দফতর পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সজাগ রয়েছে। সবপক্ষকে এক জায়গায় করে আগামি পরিকল্পনা আলোচনা হবে।' এক স্থানীয় জানান, 'ভোর নাগাদ হাতিকে দেখে গ্রামকে সতর্ক করি। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।'
ফের জঙ্গলের ভিতরে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে বুনো হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু এক ব্যক্তির। মৃতের নাম কুন্ডিয়া মুন্ডা (৪২), বাড়ি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মেটেলি ব্লকের, মঙ্গলবাড়ি বস্তি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কুন্ডিয়া-সহ পাঁচজন চালসা রেঞ্জের পানঝোরা বিটের নর্থ ইনডং কম্পার্টমেন্ট এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে যান। বাকিরা কাঠ সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরলেও, বিকেল পর্যন্ত কুন্ডিয়া ফেরেননি। এরপরই খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি বন বিভাগের (Forest Department) খুনিয়া রেঞ্জে।
সেখান থেকে বনকর্মীরা আসেন, আসে মেটেলি থানার পুলিসও। জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। তখন তাঁরা কুন্ডিয়ার দেহ খুজে পান। দেখা যায় তাঁর দেহের কিছু দূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বুনো হাতির দল। দেহের পাশে হাতির দল থাকায় দিনের বেলায় কেউই দেহ উদ্ধার করতে যাওয়ার সাহস পায়নি। অবশেষ সন্ধ্যায় হাতিরা অন্যত্র চলে গেলে পুলিস-বনকর্মীরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন।
বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যেহেতু ওই ব্যক্তি জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে হাতির হানায় মারা গিয়েছে তাই তার পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না।এইভাবে কেউ যাতে জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ না করে, তার জন্য আবেদনও জানানো হয়েছে। মেটেলি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হবে।
শুঁড়ে পেচিয়ে বৃদ্ধাকে মারলো দাঁতাল হাতি (Elephant Attack)! সোমবার ময়নাগুড়ি (Moynaguri Jalpaiguri) রামসাই এলাকার এই ঘটনায় আতঙ্ক। সোমবার ময়নাগুড়ি থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠিয়েছে বলে খবর। মৃতার নাম রাত্মা ওরাও (৬৫), বাড়ি রামসাই গ্রামপঞ্চায়েতের কালামাটি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তিনি বাড়ির সামনেই যখন মুখ ধুচ্ছিলেন, সেই সময় হঠাৎ একটি দাঁতাল হাতি তাঁদের বাড়ির সামনে চলে আসে। সেই সময় বৃদ্ধাকে শুঁড়ে পেচিয়ে আছাড় মারে। এরপর বৃদ্ধার শরীরে উপর দিয়েই হাতিটি চলে যায়। এরপরেই তার প্রতিবেশীরা চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। রামসাই বন দফতরের রেঞ্জার প্রদ্যুৎ সরকার জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মেটেলি ব্লকের লামাপাড়া এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম পান্ডা ওঁরাও(৪৫)। তাঁর বাড়ি ইনডং ফরেস্ট বস্তি এলাকায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্কের (panic) পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা যায়, এদিন ওই ব্যক্তি দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাস্তায় একটি বুনো হাতি (elephant) তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর তাঁকে শুড় দিয়ে তুলে আছার মারে। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। আওয়াজে হাতিটি ওখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এই খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেটেলি থানার পুলিস ও খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। বনকর্মীরা আসলে এলাকাবাসীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই পাশের পানঝোরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতি। একাধিকবার বন দফতরকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
অবশেষে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভে তুলে নেন তাঁরা। পুলিস দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা যায়। এদিকে, সোমবার রাতেই হাতির হামলায় জখম হলেন আরও এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ধোবাশোল এলাকা। আহত মানস মাহাতো নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি স্থানীয় মহুলি গ্রামে। মানসবাবু সোমবার বাড়ি ফেরার সময় হাতির সামনে পড়ে গেলে তাঁকে আছাড় মেরে ফেলে দেয় একটি হাতি। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। জখম গুরুতর হওয়ায় ভাঙাগড় হাসপাতাল থেকে মানস মাহাতকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি ও এক যুবক জখম হওয়ার ঘটনায় বন দফতরের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বন দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'এই এলাকায় হাতির দল থাকা সত্ত্বেও হাতিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন দফতর। যার কারণেই এই হাতির হামলা।'
প্রায়ই হাতির তাণ্ডব (Elephant Attack) তটস্থ উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক ব্লকের মানুষ। কিন্তু এবার নিজেদের মধ্যেই দক্ষ যজ্ঞ বাঁধালো দুই দাঁতাল। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) কলাইকুণ্ডা রেঞ্জ। এক ভাইরাল ভিডিওয় (Viral Video) দেখা গিয়েছে, দুটি হাতি একে অপরকে শুঁড়ে জড়িয়ে যুদ্ধে নেমেছে। দুই হাতির মধ্যে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। কারণ হেরে গেলেই তো প্রেস্টিজ পানচার। তাই গায়ের জোড়ে চলছে দুই দাঁতালের লড়াই। আর সম্পূর্ণ এই ঘটনা সামনে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে মাঝে থাকা এক হাতি। কারণ তিনিই তো প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। তাই সব দেখেও চুপ থাকাটাই স্বাভাবিক। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের এই মুহূর্তে বাঁশপতরী জঙ্গলে। আর এই জঙ্গলেই রয়েছে একাধিক হাতি। এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত থাকলেও হাতির লড়াই দেখতে ভিড় জমিয়েছেন ছোট থেকে বড় অনেকেই।
এদিকে, সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ডিএফও অফিসের সামনে লোকালয়ে হাতি ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। এই ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি। এই ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিমি দূরে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম জেলার ডিএফও অফিস। এত কাছেই হাতির তাণ্ডব, অথচ বন দফতরের কোনও হেলদোল না থাকার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী।
এ যেন এক বিরল ঘটনা! ছাগল মেরে দেহ শুঁড়ে পেঁচিয়ে বনে নিয়ে গেল ক্ষিপ্ত বুনো হাতি (elephant)। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত। এবার ফের বুনো হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত জলপাইগুড়ির ডালিমকোট ডিভিশনের চা বাগানের পাকা লাইন শ্রমিক মহল্লা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি বাড়ি। রবিবার সকালে ভোরের আলো ফুটতেই হঠাৎ বিকট চিৎকার শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন শ্রমিকরা। দেখেন বিশাল এক হাতি এগিয়ে আসছে শ্রমিক মহল্লার দিকে। সবাই চিৎকার শুরু করেন। হাতি কোনও ভ্রুক্ষেপ না করে হানা দেয় শ্রমিকদের বাড়িতে। এরপর একের পর এক ৭টি বাড়ির ক্ষতি করে হাতিটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বন কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় স্থানীয় লোকজন ও বনকর্মীরা হাতিটিকে বনে ফেরত পাঠায়। কিন্তু হাতি বনে ফেরত যাওয়ার পথে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটায়, যা দেখে অবাক হয়ে যান স্থানীয় লোকজন সহ বনকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বনে ফিরে যাওয়ার পথে ক্ষিপ্ত বুনো হাতিটি একটি ছাগলকে মেরে দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেয়। দেহের কিছু অংশ ফেলে রাখে, বাকি ছাগলের দেহাংশ নিয়ে বনে চলে যায়। সম্পূর্ণ তৃণভোজী এক প্রাণী এভাবে ছাগল মেরে নিয়ে যাওয়া এর আগে কেউ দেখেননি। হতবাক সকলেই। অন্যদিকে, আচমকা সাঁকরাইল ব্লকের হাঁড়িভাঙ্গা গ্রামে একটি হাতির দল ঠুকে পড়ে। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে সাঁকরাইল ব্লকে প্রবেশ করল হাতির দল। এরপর বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। রবিবার ভোরে হাঁড়িভাঙা জঙ্গলে আশ্রয় নেয় ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি দল। এখন চাষিরা মাঠ থেকে পাকা ধান বাড়িতে তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এমন সময় হাতির দল এসে মাঠে গিয়ে পাকা ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করছে। যার ফলে ওই এলাকার চাষিরা চিন্তায় পড়েছেন।
এদিকে, হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় পথ অবরোধ করে রবিবার সকাল ছয়টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। যার ফলে সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী রগড়া বাস রাস্তায় সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চাষের জমিতে তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি, এমনটাই অভিযোগ। বন দফতরকে জানানো সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে কেউ না আশায় বন দফতরের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। এবার প্রাণ গেল এক চা বাগান শ্রমিকের। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার মুজনাই চা বাগানের। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম মালো গঞ্জু। তিনি চা বাগানের ৫ নম্বর লাইনের বাসিন্দা। শুক্রবার ওই যুবতি ম্যানেজারের বাংলো থেকে ঘরে ফিরছিলেন। সেই সময় একটি হাতি (elephant) তাঁর উপর আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। দেহটি উদ্ধারে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বনকর্মীদের। বনদফতরের মাদারিহাট রেঞ্জ (Madarihat Range) সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকায় নিত্যদিন হাতির হানা লেগেই রয়েছে। সন্ধ্যার পর হাতির ভয়ে ঘর থেকে বেরোনো যায়না। হাতির আক্রমণে মাদারিহাটে পরপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। হাতির হানা বন্ধের জন্য একাধিকবার বলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। কিন্তু এবার পাকাপোক্ত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে বনদফতরের দাবি, হাতির হানা রুখতে লাগাতার টহল চলছে তাঁদের পক্ষ থেকে।
শুক্রবারের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর চা শ্রমিকরা শনিবার বাগানের কাজ বন্ধ রাখে। এদিন ফ্যাক্টরির সামনে জমায়েত হয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা দাবি রাখেন। তাঁরা জানান, বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের সমস্ত কাজ থেকে ছুটি দিতে হবে। তা না হলে শ্রমিকদের বাগান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সঠিক নিরাপত্তার সঙ্গে শ্রমিক মহল্লায় পৌঁছে দিতে হবে।
শহরের উপকন্ঠে দাঁতাল হাতির তান্ডব (Elephant Attack)। হাতির আক্রমণ এক মহিলা সহ তিন জনের মৃত্যু (Death)। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহর সংলগ্ন কন্যাডোবা এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এক যুবকের (Boy)। গুরুতর জখম আরও দুই জনকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় তান্ডব চালানোর পর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বেনাগেড়িয়া এলাকায় হাতির মুখোমুখি পড়ে মৃত্যু হয় আরও এক মহিলার।
বুধবার রাতে দলছুট দুটি হাতি হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে এলাকায়। দলে একটি শাবকও ছিল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহরে। শহরের মধ্য তিন জনের হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, রাস্তার পাশে রোজকার মতো বুধবারও আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। হঠাৎ করে হাতি চলে আসায় পালানো সুযোগ পাননি। হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁরা। ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে হাতির তান্ডব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।