মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ছেলের। এ ঘটনায় মহিলা এবং তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটনাটি জলপাইগুড়িতে। শর্ট সার্কিটের জেরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত দুজনের নাম ননীবালা রায় এবং টিঙ্কু রায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হঠাৎই ননীবালাদেবীর চিৎকার শুনতে পান টিঙ্কু। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান ছেলে। সেসময় দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ননীবালাদেবীর বাড়িতে। সেসময় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা দ্রুত মেরামত করে দেন। অভিযোগ, সেসময় গোটা বাড়ি শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। সেকারণেই রবিবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ির ওয়ারিংয়ে সমস্যা ছিল। সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ানের এক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মোকলেসুর রহমান, বয়স ৩৩ বছর। মৃত্যুর খবর পরিবারে পৌঁছতেই কার্যত শোকের ছায়া নেমেছে ধূলিয়ান পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কৃষ্ণপুরে।
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগেই ধূলিয়ান থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে দিল্লির সরোজিনী নগরে যান মোকলেসুর রহমান। দিন কয়েক পরেই বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। রবিবার অন্যান্য দিনের মতো কাজ করছিলেন মোকলেসুর। সেসময় পানীয় জলের প্রয়োজন পড়লে মোটর চালু করেন। কিন্তু তখনই মোটরে শর্টসার্কিট হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবু তড়িঘড়ি মোকলেসুরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খবর জানাজানি হতেই সোমবার সকাল থেকে মৃত শ্রমিকের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই দেহ বাড়ি নিয়ে আসতে তৎপরতা শুরু হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে, দিন কয়েকের মধ্যেই ফের একবার ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকা জুড়ে।
বৈদ্যুৎতিক (Electrical) পোলে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যু (Death) হল এক কর্মীর। আর এই মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বৈদ্যুৎতিক কাজে যুক্ত বাকি কর্মীরা। এমনকি ভাঙচুর পর্যন্ত চালানো হয়েছে বিদ্যুৎ সাপ্লাই অফিসে। রবিবার সকালে মালদহের রঘুনাথগঞ্জে বিদ্যুৎ সাপ্লাই অফিস সংলগ্ন রাস্তায় ১১ হাজার বিদ্যুৎতের কাজ করার সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৩০)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রঘুনাথগঞ্জে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে কেবিল তার বদলানোর জন্য বৈদ্যুৎতিক পোলে ওঠেছিলেন ওই কর্মী। সেই সময় ওই কর্মী আচমকাই ১১ হাজার বিদ্যুৎতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মীর আওয়াজ শুনে ছুটে আসে বাকি কর্মীরাও। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে সমস্ত বৈদ্যুতিক তারের লাইন বন্ধ করে কাজ শুরু করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মিরজুল আলি নামের এক কর্মী। এই পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ট্রাকে ধানের বস্তা লোড করার সময় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্য়ু (Dead) হয় ওই যুবকের। রবিবার, মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার শঙ্করপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম নবাব শেখ (১৮)। নগর এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শঙ্করপুর এলাকায় একটি ট্রাকে ধানের বস্তা লোড করছিল ওই যুবক। সেই সময় হাতে থাকা একটি লোহার হুক রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়া ৪৪০ ভোল্টের তারের সঙ্গে সংযোগ হয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
এলাকায় কাজ নেই। পেটের টানে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্যু (Death) হল যুবকের। রবিবার, ছত্রিশগড়ে (Chhattisgarh) এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রমজান খান (২২)। মালদহ জেলার চাঁচল ১ নং ব্লকের কলিগ্রামের শহরবাগের বাসিন্দা। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার ও এলাকায়।
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসারের হাল ধরতে রমজান পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে তিনি ভিন রাজ্যে ফলসেলিং-এর কাজ করতেন। পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভোটও দিতে এসেছিলেন বাড়িতে। ভোট দিয়ে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতে যান ছত্রিশগড়ে। বাড়িতে বলে গিয়েছিল এক মাস কাজ করে আবার মহরমে আসবেন। কিন্তু আর ফেরা হল না রমজানের। রবিবার রাত ন'টায় বাড়িতে ফোন আসে ফল সিলিং-এ কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রমজানের। রমজানের চার দাদা থাকলেও তারা প্রত্যেকেই বিবাহিত। দিনমজুরের কাজ করে কোনক্রমে নিজেদের সংসার চালায়। তাই বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব ছিল রমজানের উপরেই। বাবা মা যাতে একটু ভালো থাকে তাই ভিন রাজ্যে কাজ করতেন রমজান।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এলাকায় কর্মসংস্থান না থাকার কারণেই পেটের টানে বাইরে যেতে হচ্ছে এলাকার যুবকদের।ভিন রাজ্য থেকে দেহ নিয়ে আসার খরচ কিভাবে জোগাবে তাই ভেবে পাচ্ছে না পরিবার। সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন পরিবার পরিজনদের। রমজানের বাবা একলাকুল খান বলেন, এখানে তেমন কোনো কাজ নেই। তাই ছেলেটা সংসার চালানোর জন্য বাইরে কাজ করত। ভোট দিতে এসে বলেছিল ঠিকাদার ডেকেছে। কাজ সেরে আবার মহরমে আসব। কিন্তু ছেলেটা আমার চলে গেল। ওই আমাদের সব ছিল। সরকারের কাছে আবেদন যাতে আমার ছেলের দেহ আনার ব্যবস্থা হয়। আর কিছু যদি ক্ষতিপূরণ পাই।
এলাকায় কোনও কর্মসংস্থান নেই, যার কারণে ভিন রাজ্যে পাড়ি আর কাজ করতে গিয়ে ঘটেছে এই মৃত্যু বলে অভিযোগ স্থানীয়দেরও।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electric shock) যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারালেন যুবক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া যুবকে বাঁচাতে পারলেও, তিনি নিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) মাদিওয়ালা এলাকায়।
মঙ্গলবার, মধ্যরাতে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে খোলা তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন এক যুবক। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন আকবর আলি। তিনি এক যুবককে ছটফট করতে দেখে সামনে এগিয়ে দেখেন যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। বিদ্যুতের তারটি থেকে ধাক্কা মেরে ওই যুবককে সরিয়ে দেন আকবর। যুবককে সরিয়ে দিতে গিয়ে তিনি নিজেই বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। তিনি ওই যুবকের মতো একইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি টহলদারি গাড়ি এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে আকবরকে। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক হলেন কেরলের বাসিন্দা। একটি মোবাইলের দোকান ছিল তাঁর। ব্যবসার জিনিসপত্র কিনতে প্রায়ই বেঙ্গালুরুতে যেতেন তিনি। মঙ্গলবারও মোবাইলের যন্ত্রপাতি কিনতে গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে যে সংস্থার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার খোলা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে, জানিয়েছে পুলিস। আস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।