
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনা (Accident) মালদহে। অন্ধকার রাস্তায় প্রচণ্ড গতিতে থাকা বাইক গিয়ে ধাক্কা মারে বিদ্যুতের খুঁটিতে (Electricity poles)। এই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয়েছে এক কিশোরের। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের (Chanchal) পৌহরিয়া এলাকায়। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে শনিবার মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম শাহিন আক্তার (১৫)। বাড়ি মালদহের চাঁচল থানার ঘরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলাদহ গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পৌহরিয়ায় আত্মীয়র বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোর। পৌহরিয়া এলাকার রাস্তা ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকায় এবং বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে কিশোরের বাইকটি ধাক্কা মারে। তখনই বাইক থেকে ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে ওই কিশোর।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
ভালোবাসার (Love) টানে মানুষ কত কিছুই না করেন! প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, কিন্তু কেউ যাতে টের না পায়। আর তার জন্যই এমন এক কাণ্ড করে বসলেন কিশোরী, যা দেখে হতবাক গ্রামবাসীরা। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, তাই রোজ রাতে গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করত কিশোরী। কিন্তু এমনটা এক সপ্তাহ চলার পর পরে অবশেষে নিজেই বিপদে পড়ল সে। এই ঘটনাটি বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার বেতিয়া এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেতিয়ার বাসিন্দা প্রীতি কুমারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে রাজকুমারের। প্রতি রাতেই তার সঙ্গে দেখা করতে যেত প্রীতি। কিন্তু তার আগে পরিকল্পনা করে তার গ্রামের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যাতে কেউ দেখতে না পায়। অন্যদিকে এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না গ্রামবাসীরা। বিরক্ত হয়ে যান গ্রামবাসীরা। রোজ রোজ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তিতিবিরক্ত হয়ে যান তাঁরা। ইলেকট্রিক অফিসে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলও কোনও কাজে দেয়নি তা। ফলে রোজ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পিছনে কী কারণ, তা খুঁজতে একদিন বেরিয়ে পড়েন গ্রামবসীরা। আর তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে প্রীতি ও রাজকুমার। এরপরই বিদ্যুৎ যাওয়ার আসল কারণ জানতে পারেন গ্রামবাসীরা।
এরপরই প্রীতি ও রাজকুমারকে ধরার পর গ্রামবাসীরা চড়াও হন তাদের উপর। অন্যদিকে রাজকুমারের দলও আসে ও গ্রামবাসীদের মধ্য়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে ভাইরাল হয়। এরপর জানা যায়, গ্রামবাসীরা প্রীতি ও রাজকুমারকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাদের বিয়ে দিয়ে দেন।
মাত্রাতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিলের (Electric Bill) জন্য ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে নাজেহাল পরিস্থিতি। ফলে এই অবস্থায় এসি, ফ্যানের ব্যবহার বেশি পরিমাণে করতেই হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে বিলও আসে। ফলে এবারে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই কেন্দ্রের তরফে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। বিদ্যুৎ (Electricity) পরিষেবার নিয়মে পরিবর্তন আনল শক্তি মন্ত্রক (Power Ministry)।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, দিনে খরচ হওয়া বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কম ট্যারিফ (Tarrif) লাগবে। অর্থাৎ দিনের বেলায় যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার সাপেক্ষে যত টাকা বিল হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম খরচ লাগবে। তবে রাতের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম। জানানো হয়েছে, রাতের বেলা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার ২০ শতাংশ বেশি ট্যারিফ লাগবে।
গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে এবং তার জেরে বিদ্যুতের গ্রিডগুলির উপরে যে চাপ পড়ছে, তা কমানোর উদ্দেশেই শক্তি মন্ত্রকের তরফে এই বদল আনা হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই নিয়ম চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক গ্রাহক ও শিল্পাঞ্চলগুলির জন্যই এই নিয়ম চালু করা হবে। এর এক বছরের মধ্যে বাকি সমস্ত গ্রাহকদের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে খবর।
একটি সাপের কারণে বিদ্যুৎ (Electricity) বিভ্রাট (Outage)। যার ফলে ভোগান্তির মুখে পড়লেন শহরের ১৬ হাজার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) টেক্সাসে। বিদ্যুৎবিভ্রাট হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা শহরে। কোথাও কোন ভুল ত্রুটি হয়েছে কিনা তা খুঁজতে থাকেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তখন তাঁরা দেখেন, বিভ্রাট হয়েছে পাওয়ার স্টেশনেই। আর কারণ হলো একটি সাপ।
বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক ম্যাট জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে আগাছা এবং জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকেই কোনওভাবে একটি সাপ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যন্ত্রে ঢুকে পড়ে। তবে সাপটিকে দেখতে পাওয়ার পরই খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্যুৎ চুরির (Electricity theft) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে কলকাতা কর্পোরেশনের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে মারধরও করে বিক্ষোভকারীরা। মেটিয়াবুরুজে (Metiabruz) কলকাতা কর্পোরেশনের ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। খবর পেয়ে মেটিয়াবুরুজ থানা এবং রাজাবাগান থানার পুলিস (Police) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এলাকায় উত্তেজনার ফলে পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর রহমত আলম আনসারী তাঁর বাড়ির সামনে ও নিজের পার্টি অফিসের পিছনে সিইএসসির বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে বেশ কয়েকটি ফিউসের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে এলাকার মানুষদেরকে বিদ্যুৎ বিক্রি করতেন। এমনকি ওই বিদ্যুত্ চুরি করে নিজের বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম-সহ তাঁর কারখানার বেশ কিছু মেশিনও চালাতেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সোমবার এক ব্যক্তি প্রাক্তন কাউন্সিলরের সেই মিটার ঘরটি দেখতে পেয়ে ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কংগ্রেসের কাউন্সিলর ওয়াসিম আনসারীকে খবর দেন। খবর পেয়ে ওয়াসিম আনসারী লোকজন নিয়ে ওখানে যান ও দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে বেশ কয়েকটি ফিউজ করা রয়েছে এবং ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুৎ লাইন আসছে এই ফিউজে। আর সেই ফিউজ থেকেই রহমত আলম আনসারীর বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইন গিয়েছে।
অভিযোগ, বর্তমান কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে যখন যায় সেই সময়ই তাঁর উপরে রহমত আনসারী চড়াও হয়। তবে সিইএসসি থেকে লোক এসে ওই ফিউস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত রহমত আলম আনসারী বেশ কয়েক বছর ধরেই এরকম ভাবে বিদ্যুৎ চুরির কাজ করে চলেছে। তাঁদের দাবি, এই অপরাধে রহমত আলম আনসারী দৃষ্টান্তমূলক যেন শাস্তি হয়।
ইতিমধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ওয়াসিম আনসারীর তরফ থেকে বিদ্যুৎ চুরি করার জন্য মেটিয়াবুরুজ থানাতে একটি অভিযোগ করা হয়েছে রহমত আলম আনসারির বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর রহমতে আলম আনসারীর বক্তব্য, তিনি কোনওরকম বিদ্যুৎ চুরি করেননি। এমনকি কে বা কারা এই কাজ করেছে তিনি তাও জানেন না।
বিদ্যুৎ বিলের টাকা আদায় করতে গিয়ে বড়সড় বিপদের মুখে বিদ্যুৎ আধিকারিকরা। কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে ফিরতে হয় আধিকারিকদের।
গাড়ি করে এসেছিলেন বিদ্যুৎ আধিকারিকরা। সেই গাড়ি-সহ পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়, ঘটনাটি বিহারের সিওয়ান জেলার। পুলিস সূত্রে খবর, বিহারের সিওয়ানের চকরী গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুলে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে বলে অভিয়োগ পেয়েছিল বিদ্যুৎ দফতর। সেই বিদ্যুৎ বিলের টাকা আদায় করতে গিয়ে এবং বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করতে দলবল নিয়ে গ্রামে হাজির হয়েছিলেন এসডিও শাকিল আহমেদ।
বিদ্যুৎ দফতরের লোক গ্রামে আসছেন, এই খবর পেতেই সমর্থকদের নিয়ে গ্রামের রাস্তা অবরোধ করেন গ্রাম প্রধান। এসডিও গ্রামে পৌঁছতেই তাঁদেরকে ঘিরে ধরেন প্রধানের সমর্থকরা। অভিযোগ, এরপরই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকের উপর হামলা চালান তাঁরা। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এসডিওকে গাড়ি-সহ পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
হামলার খবর পেয়েই চকরী গ্রামে পুলিস পৌঁছয়। হামলাকারীদের হাত থেকে এসডিও এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসডিও-র দাবি, ১৫ বছর ধরে স্কুলের বিদ্যুতের বিল দিচ্ছিলেন না গ্রাম প্রধান। সেই অভিযোগ পেয়ে গ্রামে ঢুকতেই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয় তাঁদের উপর।
বিদ্যুতের (electricity) বেহাল পরিকাঠামো। বড়সড় অগ্নিকাণ্ড থেকে রেহাই পেল পুরুলিয়ার (Purulia) কাপড় গলি। ঘিঞ্জি এলাকার কারণে দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতেই পারলো না। প্রসঙ্গত, জেলা পুরুলিয়ার সব থেকে বড় কাপড়ের বাজার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাপড় গলি। যেখানে রয়েছে ২০০-এর বেশি দোকান। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার কাপড় কেনাবেচা হয় এই কাপড় গলিতে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে বিদ্যুতের খুঁটি কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। এদিন ওই বিদ্যুতের খুঁটিতেই আগুন লাগে যদিও ঘিঞ্জি এলাকার কারণে দমকলের ইঞ্জিন (Fire engine) ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা বিদ্যুতের খুঁটিগুলির। তারপরেও সেগুলির কোনও সংস্কার হয়নি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে বিদ্যুতের তার। আর তার জেরেই এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। যদিও গোটা ঘটনায় পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান নবেন্দু মহালি এলাকার ব্যবসায়ীদেরকেই দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালানো হচ্ছে। এরজন্যই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও আগুন নেভানোর জন্য প্রবেশই করতে পারছে না দমকলের ইঞ্জিন। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরকেই সচেতন হতে হবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত। বেহাল পরিকাঠামোর হাল ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন ব্যবসায়ীদের।
গ্রামের এক প্রান্তে বিদ্যুতের (electricity) অপচয় বাড়িয়ে দিনের আলোতে জ্বলছে রাস্তার আলো। আর অন্যপ্রান্তে বিদ্যুৎ খুটি পুজোর আগে লাগানোর পরও আজও জ্বলেনি আলো। নীল সাদা রঙের বিদ্যুতের খুটি শুধু দাঁড়িয়ে রয়েছে। ছবিটা তৃণমূল পরিচালিত খোদ জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষর গ্রামের। গ্রামের নাম শঙ্করপুর (Shankarpur)। দুর্গাপুরের (Durgapur) জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এই গ্রাম। শুধু এখানেই নয়, এই গ্রামের আশপাশেও বেশ কিছু অংশের বেহাল ছবি ধরা পড়েছে।
ইতিমধ্যেই রাস্তার (road) আলোকীকরণের কাজ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল অন্ধকারময় গ্রামগুলির রাস্তাগুলিকে আলোকীকরণ করা। সেই মোতাবেক এই বছর বিশ্বকর্মা পুজোর সময় নীল সাদা রঙের বিদ্যুতের খুটি বসিয়ে ছিলেন খোদ তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বাধীন ঘোষ। কিন্তু অভিযোগ, পুজোর আগে যে খুটি বসেছিল আলোকিকরণের জন্য সেই খুঁটির এল.ই.ডি আলো আজও জ্বলেনি। ফলে রাতের অন্ধকারে সমস্যায় পড়ে যান গ্রামবাসীরা।
সাপ খোপের উৎপাত রয়েছে গ্রামে। অন্ধকারে জীবন হাতে নিয়ে গ্রামের মানুষজন চলাচল করছেন। স্থানীয়রা জানান, মাঝে একবার রাস্তার আলো জ্বলেছিল, কিন্তু ওই একদিনের জন্যই। তারপর থেকেই বন্ধ আলো। তবে অন্যদিকে, শঙ্করপুর গ্রামের এক কোনে থাকা বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় গুটি কয়েক আলো দিনের বেলাতেও জ্বলছে বিদ্যুতের অপচয় বাড়িয়ে। ছবিটা শুধু শঙ্করপুর গ্রামের নয়, জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও বেশ কিছু গ্রামের ছবি একই রকম।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের সময় ভোট নেয় নেতারা। এরপর আর পাত্তা দেওয়া হয় না ভোটারদের। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ করিয়ে নেওয়ার পর টাকা না দেওয়ার অভিযোগও করেন তাঁরা। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ।
তবে এই ঘটনার পর জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধক্ষ স্বাধীন ঘোষ জানান, 'স্থানীয় বিধায়ক ব্যস্ত বিভিন্ন কাজে। তাই উদ্বোধন সম্ভব হচ্ছে না। খুব তাড়াতাড়ি আলো জ্বলবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।'
বাঙালির প্রাণের উত্সব দুর্গাপুজো(Durgapuja)। ইউনেস্কোর(UNESCO) সম্মানে ১ সেপ্টেম্বর রঙিন মিছিল করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শুরু হবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউ ধরে ধর্মতলায় শেষ হবে। আর এই বিশাল মিছিলকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পৌর সংস্থার(Kolkata corporation) আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ। শুক্রবার মেয়র পারিষদ আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগের সন্দীপ রঞ্জন বকশি জানিয়েছেন যে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যে সব রুটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটে মিছিল করবেন, সেই সমস্ত অঞ্চলের রাস্তার বিদ্যুৎবাহী বা কেবলের তার ঝুলে থাকলে সেটা খুলে ফেলা হবে। তিনি জানান যে ইতিমধ্যে সমস্ত কেবল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ৩০ আগস্টের মধ্যে এই রাস্তাগুলি পরিষ্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
শুধু তাই নয় আগামী ৩০ তারিখ মেয়র পরিষদ আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ সন্দীপ রঞ্জন বকশি নিজেই দোতলা বাস নিয়ে এই সমস্ত রুটে ঘুরে পরিদর্শন করবেন। সেসময় যদি কোথাও কোনও জায়গায় তার পাওয়া যায় সেটা সঙ্গে সঙ্গে কেটে ফেলা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া এখন থেকেই দুর্গা পুজোকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থা। মেয়র পরিষদ আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ সন্দীপ রঞ্জন বকশি আরও জানিয়েছেন যে, সমস্ত ঘাটে এখন থেকে আলো লাগানোর ব্যাবস্থা শুরু করে দেওয়া হয়েছে । দহিঘাট থেকে প্রিন্সেপ ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট থেকে সর্বমঙ্গলা ঘাট। সব ঘাটেই আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে বিসর্জনের সময় যাতে কোনও রকমের অসুবিধা না হয় তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কলকাতা পৌর সংস্থার আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ ।
গত ১০-১২ বছর ধরে তাঁরা একই ঠিকানায় বসবাস করছেন। ওই সময়কালে বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) এসেছে ৮০০, ৯০০, হাজার বা খুব জোর ১১০০ টাকা। গত মাসে বিল এসেছে ১২৫৯ টাকা। সেটা তাঁরা পেমেন্টও (Payment) করে দিয়েছেন। কিন্তু এই মাসের বিল দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ। বিলের অঙ্ক আগের বিলের ধারেকাছে নেই। এক লাফে বিল হয়েছে ১৩ হাজার ৭২ টাকা।
এত টাকার বিল মেটাবেন কীভাবে? চরম দুশ্চিন্তায় পরিবার। মিটারে (Meter) কী গাফিলতি আছে, তাও তাঁদের জানা নেই। ইলেকট্রিক অফিসে জানানো হয়েছে। ওরা নতুন মিটারও লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
পরিবারের সদস্যদের একটাই বক্তব্য, এত টাকার বিল কীভাবে এল, তা তাঁরা বুঝেই উঠতে পারছেন না। এত বিল তাঁরা দিতেও পারবেন না। ফলে লাইন কেটে দেওয়া ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।
গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন এই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু এখনই রাজনৈতিক যুদ্ধ জমে উঠেছে। বন্যা বইছে প্রতিশ্রুতিরও। তেমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এদিন সেখানে গিয়ে প্রচারে ঘোষণা করেন, ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত্ তাঁরা বিনামূল্যে দেবেন। বৃহস্পতিবার সুরাতের টাউন হলে তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন। উল্লেখ্য, এই মাসে এই নিয়ে তিনি দুবার সেখানে প্রচারে গেলেন। তিনি এদিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহেরও প্রতিশ্রুতি দেন।
কেজরিওয়াল বলেন, আমি যা বলছি, তা গ্যারান্টি হিসাবে ধরে নিতে পারেন। যদি আপনারা পরে এর থেকে কোনও বিচ্যুতি লক্ষ্য করেন, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে আর আপ-কে ভোট দেবেন না। আমরা ক্ষমতায় এলেই যা যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সবই অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করব। একইসঙ্গে তিনি এদিন আরও বড় একটি ঘোষণা করেন। বলেন, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যাবতীয় বকেয়া বিল ক্ষমতায় এলে মুকুব করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে কেজরিওয়াল গুজরাত সরকারকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, ২৭ বছরে গুজরাতের মানুষ বিজেপি সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। এ ব্যাপারে তাঁদের পরিপূর্ণ পরিকল্পনা তাঁরা খুব শীঘ্রই জনসাধারণের সামনে নিয়ে আসবেন বলে জানান।
রাজ্যের কর্মীদের জন্য পুরনো পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর করার অনুমোদন মিলেছে শুক্রবার ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভায়। এদিন মোট ৫৫ টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এটিও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আর্থিকভাবে দুর্বল গ্রাহকদের ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
রাজ্য মন্ত্রিসভা বেসরকারি ক্ষেত্রে স্থানীয়দের চাকরির জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্য সরকার মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্ট (MNREGA)-এর অধীনে তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের অতিরিক্ত ২৭ টাকা প্রদান করবে। এবং MNREGA-এর অধীনে নথিভুক্ত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ২৩৭ টাকা করা হবে।
কংগ্রেস নেতা অলোক দুবে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ মন্ত্রী অলোক দুবেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। অলোক দুবে বলেছেন, মন্ত্রিসভা দ্বারা গৃহীত খাদ্যশস্য বিতরণের সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক এবং এটি খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের সুবিধা দেবে। কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন, ঝাড়খণ্ড ১৬ জুলাই শনিবার ইতিহাস লিখতে চলেছে এবং প্রায় ১০,০০০ যুবককে চাকরি দেওয়া হবে।
এদিকে, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন ২৯ জুলাই থেকে শুরু হবে এবং ৫ অগাস্ট শেষ হবে৷ রাজ্য সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য তার প্রথম সম্পূরক বাজেট ১ অগাস্টে পেশ করবে৷
হনুমানের লঙ্কাকাণ্ডের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু জাপানের কোরিয়ামা সিটিতে যা ঘটল, তা এরচেয়ে কম কিছু নয়।
২৯ জুনের ঘটনা। সময় তখন দুপুর ২ টো বেজে ১০ মিনিট। প্রচণ্ড গরমে প্রাণ অস্থির। আচমকাই ঝুপ করে চলে গেল বিদ্যুত্। এক-দুটি নয়, একসঙ্গে বিদ্যুত্ চলে গেল প্রায় ১০ হাজার বাড়িতে। শুরু হয়ে গেল হইচই। খবর গেল তোহকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির অফিসে। অফিসের কর্মীরা এসে তন্ন তন্ন করে খোঁজখবর শুরু করলেন। আর তারপরই উন্মোচন হল রহস্যের।
দেখা গেল, সাব স্টেশনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আস্ত একটি সাপ। এ মেশিন, সে মেশিনে ঘুরতে ঘুরতে হঠাত্ শর্ট সার্কিটের জেরে সাপটির গায়ে আগুন ধরে যায়। বেজে ওঠে স্মোক অ্যালার্ম। ছুটে আসে দমকলের ছটি ইঞ্জিন। বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা বুঝতে পারেন, শর্ট সার্কিটের জন্যই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গোটা বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থা শাট-ডাউন হয়ে গিয়েছে। যার ফল ভুগতে হয়েছে কয়েক হাজার বাড়ির বাসিন্দাদের। তাঁরা এসে সাপটিকে নাকি জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতেও পেয়েছেন।
সেখানে শুধু আবাসিকরাই ছিলেন, এমন নয়। ছিল প্রচুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও। অনেকেই গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের অসুবিধার কথা ভেবে দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। অবশেষে বিদ্যুত্ ফিরে আসতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা।
কিন্তু তাই বলে একটা সাপ এভাবে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিল? তাহলে তো যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকেই এভাবে শাট ডাউন করে দেওয়া যায়। একজন তো বলেই ফেললেন, বজ্রপাত বা ওইজাতীয় ক্ষেত্রে বিদ্যুতে শাট ডাউন পরিচিত ঘটনা। তা বলে সাপ?
রাত হলে এখন আর ঘুটঘুটে অন্ধকার গ্রাস করবে না। থাকবে না অন্ধকারে বেরনোর কোনও ভয়। কারণ, দীর্ঘ ৭৭ বছরের লড়াইয়ের অবসান। গ্রামে এসেছে বিদ্যুৎ। ৭৭ বছর পর আলো জ্বলল আসানসোলের নিচু জামডোবা গ্রামে। জ্বলল স্ট্রিট লাইট, বাজল বক্স, আত্মহারা হলেন আদিবাসীরা। সোমবার সকালে নাচেগানে মেতে উঠলেন খেলা হবে গানের তালে। রবিবারই আলোহীন ছিল আসানসোলের নিচু জামডোবা গ্রাম। বিদ্যুতের খুঁটি বা তার ছিল, কিন্তু বিদ্যুৎ ছিল না। তবে সোমবার সকালে জ্বলে উঠল আলো। খুশি স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তি পেলাম কষ্ট থেকে। আর মোবাইল চার্জ দিতে যেতে হবে না আসানসোল। আর পড়াশুনায় হবে না কোনও অসুবিধা। শুধু তাই নয়, আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবার কথাও বলেন গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে। তার ঠিক আগের মুহূর্তে অন্ধকার থেকে মুক্তি পাওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন গ্রামের তৃণমূল নেতা তরুণদাকে। যদিও তরুণদা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই কাজ সম্ভব হয়েছে। গ্রাম জুড়ে বাজছে "খেলা হবে" গান।
যদিও এই গ্রামকে আলোকিত করার কাজে বিজেপিও নিজেদের উদ্যোগের কথাই জানাচ্ছে। বিজেপি সাংসদ অগ্নিমিত্রা পল তাঁর চেষ্টার কথাও বলেছেন এই প্রসঙ্গে।
তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিজেপি হোক বা তৃণমূল, যাই হোক না কেন দীর্ঘ ৭৭ বছর পর আলো জ্বলছে গ্রামে। খুশি কচিকাচা থেকে সকলেই।
তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। অথচ তাঁরই এক সময়ের গ্রাম কিনা অন্ধকারে ঢাকা। চারদিকে এত উন্নয়নের ঘনঘটার মাঝে এখনও অন্ধকারাচ্ছন্ন ওই গ্রাম। হয়তো কারও খোঁজই পড়ত না। কিন্তু যিনি রাইসিনা হিলের মালিক হতে চলেছেন, তাঁর ইতিহাস জানার আগ্রহ তো সবার থাকবেই। সেই খোঁজেই বেরিয়ে এল দ্রৌপদী মুর্মুর এই পৈতৃক গ্রামের কথা। আর সেই সূত্রেই বেরিয়ে এল আলোর উল্টোদিকের চিত্রটা।
তিনি অবশ্য এখন এখানে থাকেন না। চলে গিয়েছেন শহর এলাকায়। থাকেন ময়ূরভঞ্জ জেলার এই কুসুমি ব্লকের উপরবেড়া থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে পুর শহর রায়রঙ্গপুরে। সেখানে গিয়েছেন নয় নয় করে বছর দশেক হতে চলল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামের জনসংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার মতো। এরই একটি অংশে এখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে কেরোসিনের আলোই তাঁদের ভরসা। এমনকী মোবাইলে চার্জ দিতে গেলেও যেতে হয় পাশের গ্রামে।
দ্রৌপদী মুর্মুর নিকটজন যাঁরা এখনও ওই গ্রামে বসবাস করেন, তাঁরাও আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়েছেন, বারবার তাঁরা এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কেউ তাঁদের কথা শোনেনি।
না, আবেদন-নিবেদনের দিন শেষ। এবার সরকারি আধিকারিকরাই দৌড়ে গিয়েছেন আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামে। বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমার, কর্মী, মাটি খোঁড়ার যন্ত্র, অফিসার সব এখন এই গ্রামে।
না, আর দেরি হবে না। খুব শিগগিরিই আলো জ্বলবে এই গ্রামে।