Breaking News
Senior Citizen: কেউ আতঙ্কে, কেউ আবার দিব্যি আছেন, শহর কলকাতায় কেমন আছেন একাকী বয়স্করা?      cctv: ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় মারধর! সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার বৃদ্ধার পরিচারিকা      Mamata: 'বাংলায় বিনিয়োগ করলে...' দুবাইয়ের মঞ্চ থেকে বিনিয়কারীদের পথ দেখালেন মমতা      Parineeti-Raghav:শনিবার সকাল ১০টা বাজতেই শুরু হল পরিণীতি-রাঘবের বিয়ের অনুষ্ঠান      Manish: শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন অনুব্রতর হিসেব রক্ষক মনীশ কোঠারি      Summon: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ৩৪ পুর-কর্মীকে তলব, চাপে মদনের পুরসভা কামারহাটি      Anubrata: পিছল ইডির করা মামলা, মেয়ের মত অনুব্রতরও পুজো কাটতে চলেছে তিহারে      Court: আদালতে কিছুটা স্বস্তি রাজ্যের, সমবায় দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইয়ে আস্থা সার্কিট বেঞ্চের      Nipah virus: নিপা আতঙ্ক এবার বাংলাতেও, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক      Abhishek: ফের আদালতে ধাক্কা অভিষেকের, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় মিলল না বাড়তি সময়     

Egg

Murshidabad: মিড-ডে মিলে শিশু-পাতে পড়ছে না ডিম, বড়ঞায় বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

সুষম আহার, তাইতো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মিডডে মিলে (Mid Day Meal) সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে ডিম। আর সেই ডিমই কিনা শিশু-পাতে পড়ছে না। কেন? নাকি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ডিমের জন্য বরাদ্দ টাকাই পাঠাচ্ছে না সরকার। রীতিমতো ধার দেনা করে চালাতে হচ্ছে আইসিডিএস সেন্টার। এমনটাই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাদের (Murshidabad) বড়ঞার শিবরামবাটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তবে কেন্দ্রের শিক্ষিকার এই যুক্তি কোনওভাবেই মানতে নারাজ গ্রামের মানুষ। বুধবার ডিম না পেয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধু ডিম থেকে বঞ্চিত করাই না, ঠিক মতো খাবারও সরবরাহ করা হয়না এই সেন্টারে। প্রায়দিনই বন্ধ রাখা হয়।

প্রশ্ন উঠছে, যদি সবটা জেনেই থাকে প্রশাসন, তাহলে প্রশাসনিক আধিকারিকের ভূমিকা কোথায়? কেন ডিমের জট কাটছে না? এদিকে বড়ঞার সিডিপিও দেবজ্যোতি ঘোষ-এর সাফাই, কিছু কাগজপত্র নিয়ে ঝামেলা ছিল। সেগুলোর জন্যই টাকা আটকে ছিল। দু'একদিনের মধ্যে সেই টাকা স্কুলে পৌঁছে যাবে। তখন আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

উল্লেখ্য, বড়ঞার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলির বেহালদশার জন্য একমাত্র প্রশাসনকেই দায়ি করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব অয়ন মণ্ডল।

2 weeks ago
EGG: গরমকালে ডিম খাওয়া কি ক্ষতিকারক? দিনে কটা করে খাওয়া উচিত

ডিম (Eggs) এমনই একটি খাবার, যা প্রায় প্রত্যেকেরই পছন্দ। আমাদের নিত্য খাদ্য তালিকার একটি অংশ হল ডিম। তবে অনেকেই বেশি গরম পড়লে ডিম খেতে নিষেধ করেন। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, ডিম এমনিতে গরম খাবার, তাই গরমের সময় এটি খেলে ভালোর চেয়ে শরীরের বেশি ক্ষতি হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একেবারেই ভুল ধারণা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডিম পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন। দিনে দুটি ডিম খেলে মেলে প্রায় ১২.১ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া এতে রয়েছে কোলেস্টেরল, আয়োডিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যারোটিনয়েডস ইত্যাদি। তাই ডিম হল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও অনেকের ধারণা গরমে ডিম খাওয়াই উচিত নয়। কিন্তু পুষ্টিবিদরাই জানিয়েছেন, দিনে ১ থেকে ২টি ডিম খেলে তেমন কোনও সমস্যার আশঙ্কা নেই। তবে হ্যাঁ, মাত্রাতিরিক্ত কোনও খাবারই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি কেউ দিনে ৫ থেকে ৬টি বা তারও বেশি সংখ্যায় ডিম খায়, তবে তাঁর প্রোটিন মেটাবলিজমে ব্যাঘাত ঘটে এবং দেহের উষ্ণতা বাড়তে পারে। এমনকী হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অত্যধিক সংখ্যায় ডিম খাওয়া একবারেই উচিত নয়। ফলে গরমেও ডিম খাওয়া ভালো, তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায়।

3 months ago
Egg: রোজই ডিম খান? এই বিপদগুলো ডেকে আনছেন না তো

ডিম (Egg) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও এতে সমস্ত রকমের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-ভিটামিন রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য ডিমের জুরি মেলা ভারি কঠিন। ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবার, ফলে অনেকেই প্রায় রোজই এক-দুটো ডিম খেয়েই থাকেন। কিন্তু ডিম যেমন শরীরের পক্ষে উপকারী, তেমন বেশি ডিম খাওয়াও কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়, ডেকে আনতে পারে বিপদ।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রোজ ডিম ডায়েটে রাখা ভালো। তবে সেই পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ডিমের কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডিম প্রতিদিন খেতে থাকলে হৃদরোগের আক্রান্ত হতে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তো রয়েছেই। আবার যাঁরা বেশি পরিমাণে ডিম খান, তাঁদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। অনেকে আবার ডিমের সঙ্গে হাই-প্রোটিন যুক্ত খাবারও রান্না করেন। আর এটি খেলে তখন ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

ফলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, রোজই ডিম খেলে তেমন কোনও সমস্যা দেখা যাবে না, তবে মাত্রাতিরিক্ত হলে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

4 months ago


Bollywood: মাতৃত্ব! প্রিয়াঙ্কার পথে হেঁটে আর কোন বলিউড ব্যক্তিত্ব ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেন

সম্প্রতি এক পডকাস্টে ডিম্বাণু সংরক্ষণের বিষয়ে কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। সাধারণ মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে তেমন সচেতন নয়, তাই এমন জরুরি বিষয় নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় না। তবে বলিউডের সঙ্গে জড়িত এমন অনেক ব্যক্তিত্ব এই বিষয়ে সচেতন। তাই আগে থেকেই মাতৃত্বের এক ধাপ এগিয়ে রেখেছেন। কে তাঁরা? জানুন।  

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : ৩০ বছর বয়সে মা হতে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেই সময় উপযুক্ত মানুষের অভাব ছিল জীবনে। মা  স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, তাঁর উপদেশেই নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর নিক জোনাসকে বিয়ে করে সারোগেসির মাধ্যমে মা হন তিনি।   

তানিশা মুখোপাধ্যায়: ৩৩ বছরে নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন তানিশা। কিন্তু তাঁর চিকিৎসক সেই সময় তাঁকে বাধা দেয়। সাময়িকভাবে সেই চিন্তা স্থগিত রাখলেও পুরোপুরি ভুলে যাননি। ৩৯ বছরে নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেনা তানিশা। যদিও এখনও মা হননি তিনি। তবে ভবিষ্যতে সেই পরিকল্পনা তিনি করতেই পারেন।   


একতা কাপুর : মা হতে চেয়েছিলেন একতা কাপুর।  কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। তাই ৩৬ বছরে নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে সারোগেসির দ্বারা মা হন তিনি। একতার কোল জুড়ে আসে পুত্র সন্তান।  


মোনা সিং: অভিনেত্রী মোনা সিং নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন ৩৪ বছর বয়সে। বর্তমানে বিয়ে করেছেন। তবে নিজের সম্পর্ককেই সময় দিতে চান যিনি। ঘুরে বেড়াতে চান দেশে-বিদেশে। বাচ্চা ভালোবাসেন। ভবিষ্যতে সন্তানের কথা চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন।  



6 months ago
Paratha: বাড়িতে বানান সুস্বাদু ডিমের পরোটা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাড়িতে নিত্য জল খাবারের মেনুতে বৈচিত্র্য আনতে বানাতে পারেন সুস্বাদু ডিমের পরোটা। বাড়ির ছোট থেকে বড়ো সবারই ভাল লাগবে। এমনকী কোন অতিথি এলে তাঁদেরও এই ডিমের পরোটা খাইয়ে আপ্যায়ন করতে পারেন। ডিম পরোটা তৈরির পদ্ধতি--- একটা পাত্রে তিনশো গ্রাম ময়দা ও দুশো গ্রাম আটা নিয়ে তার মধ্যে আন্দাজমতো নুন দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে দুই টেবিল চামচ ডালডা বা সাদা তেল দিয়ে হাতের সাহায্যে আবার মিশিয়ে নিন। এবার এক কাপ উষ্ণ জল দিয়ে ভাল করে ঠেসে মাখুন।

এবার মাখা আটা ময়দার তাল মিনিট পনেরো আলাদা করে রাখুন। মিনিট পনেরো বাদে মাখা আটা ও ময়দার তাল থেকে চারটে লেচি কাটুন। আন্দাজমতো শুকনো ময়দা ছড়িয়ে লেচিগুলোতে মাখিয়ে নিন। লেচিগুলো গোল গোল বড় ও পাতলা করে রুটির মত বেলে নিন। প্রতিটি রুটির উপর এক টেবিল চামচ ঘি মাখিয়ে নিন। উপর থেকে সামান্য শুকনো ময়দা ছড়িয়ে দিন। এবার এক চিমটে করে কালো জিরে প্রতিটি রুটির উপর ছড়িয়ে দিন।

এবার প্রতিটি রুটি দুই হাতের সাহায্যে রোল করে নিন। এবার হাতের সাহায্যে চেপে রোল করা রুটির উপর ঘি মাখিয়ে নিন। উপর থেকে শুকনো ময়দা ছড়িয়ে দিন। এবার ফোল্ড করে লেচির মত পাকিয়ে নিন। এবার গোল গোল রুটির মত করে বেলে নিন। তাওয়া আঁচে বসিয়ে নীভু আঁচে রুটিগুলো অর্ধেক ভেজে তুলে রাখুন। একটা পাত্রে চারটে ডিমের গোলা, এক চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো, চারটে কাচা লঙ্কা কুচি, আন্দাজমতো নুন, দেড় টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি নিয়ে চামচের সাহায্যে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।

তাওয়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল দিয়ে গরম করে ওর মধ্যে ডিমের মিশ্রনের চার ভাগের এক ভাগ দিয়ে তার উপর একটা করে রুটি দিয়ে চাপুন। উল্টে পাল্টে হালকা বাদামী করে ভাজুন। একইভাবে সবক'টা পরোটা ভেজে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

8 months ago


Chicken: বাড়িতে বানান সুস্বাদু চিকেন এগ ড্রপ স্যুপ

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম স্যুপ খাবার মজাই আলাদা। বাড়িতে অতিথি এলে বা পরিবারের লোকজনদের নিজের হাতে সুস্বাদু   স্যুপ তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। বিশেষ করে শীতের সন্ধ্যায় একেবারে জমে যাবে।

চিকেন এগড্রপ  স্যুপ তৈরির পদ্ধতি -----  সসপ্যান আঁচে বসিয়ে সাত কাপ জল দিন। এবার ওর মধ্যে পাঁচটা ডিমের গোলা, এক চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন, দেড় চা চামচ রসুন কিমা, এক টেবিল চামচ আদার কিমা, দুটো মাঝারি পেঁয়াজ ( অর্ধেক করে কেটে) ও তিনশো গ্রাম হাড় সমেত চিকেনের খণ্ড দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে আধ ঘণ্টা রান্না করুন।

আধ ঘণ্টা বাদে ঢাকনা খুলে দেখুন। চিকেন সিদ্ধ হয়ে গেলে চিকেনের খণ্ডগুলো ও পেঁয়াজগুলো তুলে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে ওর মধ্যে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। মিনিট চারেক রান্না করুন। এক টেবিল চামচ চিলি সস ও চারটে কাচা লঙ্কা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার চারটে ডিমের গোলা এক হাতে ঢালতে থাকুন অন্য হাতে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। এবার সিদ্ধ করা চিকেনের খণ্ডগুলো থেকে হাড় বাদ দিয়ে চিকেনগুলো হাতের সাহায্যে ছোট ছোট  টুকরো করে স্যুপের মধ্যে দিয়ে দিন। ছোট এক মুঠো স্প্রিং অনিয়ন কুচি ছড়িয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচে থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

9 months ago
Jhargram: ঝাড়গ্রামের পথে গ্রামের দোকানে চপ 'বিক্রি' মমতার, জানুন কত টাকার বিক্রি?

বেলপাহাড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) যাওয়ার পথে শিলদার কাছে হঠাৎ থামল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় (Mamata Banerjee)। গ্রামের নাম মাগুরিয়া, সেই গ্রামের রাস্তার ধারে বড় স্টিলের থালায় রাখা ভাজাভুজি ও ডিমের চপ (Egg Devil)। ছোট্ট এই চপের দোকান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয় (Mamatas Convoy) থামিয়ে ঢুকে গেলেন দোকানের ভিতর। কথা বললেন দোকান মালিক বুদ্ধদেব মহন্তের সঙ্গে। চপ বেচার কাজে তারপরই হাত লাগালেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের হাতে যেমন চপ ভাজলেন, তেমনই স্টিলের থালায় সাজিয়ে রাখা ভাজাভুজি-চপ কাগজে মুড়ে তুলে দিলেন সকলের হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার টাকার শুধু চপই বিক্রি হয়ে গেল বুদ্ধদেব মহন্তর।


মুখ্যমন্ত্রীর এই কাণ্ড দেখে যেমন বিস্মিত বুদ্ধদেব, তেমনই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে চোখের সামনে দেখে আপ্লুত এই তরুণ বিক্রেতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে কর্মসূচি সেরে ঝাড়গ্রাম ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে শিলদার কাছে বুদ্ধদেবের চপের দোকানে এভাবে ঢুকে পড়েন তিনি। 

সেই সময় দোকানেও ছিলেন জনা কয়েক। তবে তাঁদের কেউই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘেঁষতে পারেননি। নিরাপত্তা বলয়ে থেকে হাজার টাকার চপ এবং চকলেট বিক্রি করে মাগুরিয়া ছাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।

10 months ago
Kajol: 'ক্যামেরা চালু ছিল, সবাইকে দেখিয়ে টাকা দিতেন', কাজলের উপর বেজায় খাপ্পা নেট দুনিয়া

পথশিশুকে এক টাকাও ভিক্ষা না দিয়ে নেটিজেনদের (Netizen) সমালোচনার মুখে অভিনেত্রী কাজল (Actress Kajol)। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে এই অভিনেত্রীর। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক পথশিশু (Child Beggar) ক্ষুধার্ত অবস্থায় অভিনেত্রীর চারপাশে ভিক্ষার জন্য ঘুরলেও, ডোন্ট কেয়ার বলিউডের সিমরান। উলটে সেই শিশুকে পাত্তা না দিয়ে গাড়িতে উঠে বেড়িয়ে যান কাজল। আর এভাবেই বান্দ্রায় দীপাবলির কেনাকাটা করতে বেড়িয়ে নেট দুনিয়ার রোষানলে অভিনেত্রী।

ভাইরাল এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কেনাকাটা সেরে নিজের গাড়িতে ফিরছেন কাজল। ঠিক তাঁর পিছনে একটি ক্ষুধার্ত মেয়ে। আবদার করছিল অভিনেত্রীর কাছে, যদি একটু খাবার জোটে। যদি কিছু টাকা দেন তিনি। কিন্তু না, কাজল সোজা গাড়িতে গিয়ে উঠলেন। তারপরেই আরও এক পথশিশুকে গাড়ির পাশে এসে ভিক্ষা চাইতে দেখা যায়, তাকেও পাত্তা না দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান কাজল। এতেই নিন্দার ঝড়। ক্ষোভ উগরে একজন লেখেন, “এত বিখ্যাত হওয়ার পরও সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয় এঁরা। পর্দার অভিনেত্রীরা কি বাস্তবের হিরোইন হন?” আর এক জনের খোঁচা, 'ক্যামেরা চালু ছিল, সবাইকে দেখিয়েও তো টাকা দিতে পারতেন!'

যদিও এই ধরনের সামাজিক কাজে যথেষ্ট সুনাম আছে সারা আলি খানের। ভিক্ষুক বা পথশিশু ক্ষুধার্ত কেউ এসে তাঁর সামনে হাত পাতলে, মোটেও ফেরান না সইফ-কন্যা।

11 months ago


Food: বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন পাঞ্জাবি ধাবার সুস্বাদু ডিম তরকা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: পাঞ্জাবি ধাবায় গিয়ে গরম গরম তন্দুরি রুটি সহযোগে সুস্বাদু ডিম তরকা খাবার মজাই আলাদা। সেই বিশুদ্ধ পাঞ্জাবি ঘরানার ডিম তরকা চাইলে বাড়িতে নৈশভোজে বানিয়ে পরিবারের সবাই মিলে জমিয়ে খেতে পারেন। 

জানুন সেই পদ্ধতি---  আন্দাজ মতো গোটা মুগডাল (কাচা মুগডাল) ও ছোলার ডাল একরাত বা ঘন্টাপাঁচেক ভিজিয়ে রেখে, প্রেসারে নুন, হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে আচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার এক হাতা সাদা তেল গরম করে এক টেবিল চামচ রসুন কুচি দিয়ে ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে এক চা চামচ আদাকুচি দিয়ে নেড়ে হালকা ভেজে ভাতের হাতার এক হাতা কুচি দিয়ে ভাল করে নেড়ে ভাজুন। যতক্ষণ না পেঁয়াজের রঙ হালকা বাদামী হচ্ছে।

হালকা বাদামী রং হলে ওর মধ্যে এক চা চামচ কাচা লঙ্কা কুচি, হাফ চা চামচ হলুদ গুড়, এক চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুড়, এক চা চামচ ধনে ও এক চা চামচ জিরের গুড় দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ টমেটো কুচি দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কষিয়ে নিন। যতক্ষণ না টমেটোগুলো মিশে যাচ্ছে। আন্দাজ মতো নুন দিন। হাফ কাপ জল দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার দুটো ডিমের গোলা ওর মধ্যে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ভাতের হাতার ছয় হাতা সিদ্ধ করা ছোলার ডাল ও গোটা মুগডাল এর মিশ্রণ দিয়ে অল্প জল দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা বন্ধ করে অল্প আঁচে মিনিট দুয়েক রান্না করুন। এবার ঢাকনা খুলে এক চা চামচ কস্তুরি মেথির গুড়, হাফ চা চামচ গরম মশলার গুড়, এক টেবিল চামচ মাখন দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। সব শেষে উপর থেকে এক টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আচ থেকে নামিয়ে রুটি, পেঁয়াজের  স্লাইস, কাচা লঙ্কা সহযোগে পরিবেশন করুন।

one year ago
Cooking: সর্ষে পোস্ত দেওয়া ডিমের চপ খেয়েছেন? বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ডিমের প্রতি শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই সমান আকর্ষণ রয়েছে। ডিম সিদ্ধ, পোচ, ওমলেট, Scrambled Egg, ডিমের চপ, ডিমের ডেভিল সহ আরও অনেক উপাদেয় ডিমের পদ আপনারা খেয়েছেন। কিনতু সর্ষে পোস্ত দেওয়া ডিমের চপ খেয়েছেন কি? এবার একটু অন্যরকম ডিমের পদ তৈরি করে খেতে ও খাওয়াতে পারেন।

সর্ষে পোস্ত দেওয়া ডিমের চপ তৈরির পদ্ধতি: ছয়টি মুরগির ডিম সিদ্ধ করে নিন। ডিমের খোসা ছাড়িয়ে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সুতোর সাহায্যে মাঝ বরাবর লম্বা করে কেটে নিন। ডিমের কুসুমগুলো তুলে একটি পাত্রে রাখুন। চামচের সাহায্যে পিষে নিন। এবার ওর মধ্যে তিন চা চামচ কালো ও সাদা সর্ষে বাটা, এক টেবিল চামচ পোস্ত বাটা, পাঁচ চা চামচ কাজু ও নারকেল বাটা, হাফ চা চামচ হলুদ, আন্দাজমতো নুন, এক চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, দেড় চা চামচ চিনি, হাফ চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এর মধ্যে দুই চা চামচ সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে হুইস্কের সাহায্যে নেড়ে মিশিয়ে নিন। পুর তৈরি হয়ে গেল।

ব্যাটার তৈরির পদ্ধতি--- একটি পাত্রে ভাতের হাতার দুই হাতা বেসন, আন্দাজমতো নুন, এক চা চামচ চিনি, এক চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, বড় এক চিমটে হলুদ ও আন্দাজমতো জল দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে ফেটিয়ে ব্যাটার বা গোলা তৈরি করে নিন। এবার ডিমের অর্ধেক করে কেটে রাখা সাদা অংশের মধ্যে পুরগুলো ভরে চামচের সাহায্যে চেপে দিন। এবার কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে নিন। পুরভর্তি ডিমের সাদা অংশগুলো ব্যাটার বা গোলায় চুবিয়ে তুলে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে   গরম তেলে ছেড়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে কড়া থেকে তুলে তেল ঝরিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

one year ago


Cooking: বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন ডিমের মালাই মশলা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ডিমের প্রতি বাচ্চা থেকে বুড়ো সবারই সমান আকর্ষণ রয়েছে। ডিম সকালের প্রাতঃরাশ থেকে মাধ্যাহ্নভোজ, বিকেলের জলখাবার থেকে নৈশভোজ, সবেতেই অপরিহার্য। ডিমের অনেক পদই তো খেয়েছেন। কিন্তু ডিমের মালাই মশলা খেয়েছেন কি? যদি না খেয়ে থাকেন, তবে বানিয়ে ফেলুন এই স্বতন্ত্রধর্মী সুস্বাদু এই ডিমের পদটি।

ডিমের মালাই মশলা তৈরির পদ্ধতি--ছয় পিস হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। সিদ্ধ করা ডিমগুলো আলাদা করে রাখুন। কড়ায় তিন টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে তার মধ্যে সিদ্ধ করা হাঁসের ডিমগুলো দিয়ে নেড়ে হালকা করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন। ডিমগুলো তুলে নেবার পরে কড়াতে যে অবশিষ্ট তেলটা রয়েছে, তার মধ্যে দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজবাটা দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কষে নিন, যতক্ষণ না পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ চলে যাচ্ছে এবং হালকা বাদামি রং হচ্ছে। হালকা বাদামি রং হলে ওর মধ্যে দুই টেবিল চামচ আদা, রসুন ও কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে নেড়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। মিনিট দুয়েক নেড়ে কষে নিন।

এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ জিরের গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ ধনের গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে দুই টেবিল চামচ কাজুবাটা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার দুই কাপ দুধ ও এক চা চামচ চিনি দিয়ে খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার সিদ্ধ করে ভাজা ডিমগুলো ওর মধ্যে দিয়ে দিন। এক টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিভু আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন। ঝোলটা ঘন হয়ে গেলে, ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট পাঁচেক রেখে দিন। পাঁচ মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে ডি গুলো ও ঘন ঝোল বা কাই সমেত প্লেটে রেখে ধনেপাতা ও গোটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

one year ago
Market: বাজারে মাছ কম, বাড়ল ডিমের দাম

জুন মাসের শেষ সপ্তাহ। মধ্যবিত্তের পকেটও এখন টান পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু তবুও বাজারে তো যতেই হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়েছিল মুরগির মাংসের দাম, এবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুরগির ডিমের দামও। আর ওই দাম বাড়ায় সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই। কারণ, দাম বাড়ায় বাজারে ক্রেতাদের দেখা খুব একটা মিলছে না, তাই ডিম বিক্রিও হচ্ছে না।

ক্রেতারা জানান, ডিম তো প্রায়দিনই লাগে সাধারণ মানুষের। কিন্তু সেই ডিমের দাম বৃদ্ধিতে সমস্যায় ক্রেতারা। পাশাপাশি বিক্রেতা জানান, বাজারে নেই ক্রেতার দেখা। আসলেও দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।

মৎস্যপ্রিয় মধ্যবিত্ত বাঙালির ইলিশ কেনার সাধ থাকলেও সাধ্যে হয়তো কুলোচ্ছে না। ২০০০ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছেরও দাম আগুন ছোঁয়া। বাজারে মাছ থেকে মাংস যাই কিনতে যাচ্ছেন তাতেই ছেঁকা খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি এবার ডিমের দাম বাড়াতেও সমস্যায় ক্রেতারা।

হাতিবাগান বাজারে পোল্ট্রির ডিম ৬টাকা করে পিস বিক্রি হচ্ছে। ৩০টা কিনলে দাম ১৭০ টাকা। অন্যদিকে গড়িয়াহাট বাজারে মুরগির ডিমের দাম সাড়ে ৬ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

one year ago
Egg: রান্নাঘরে ডিম ফাটাতেই গলগল করে বেরিয়ে এল রক্ত, তারপর?

প্রতিদিনকার মত নিজের রান্নাঘরে রান্না করছিলেন।  ডিম ফাটিয়ে রান্না করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনার অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। ডিম ফাটাতেই বেরোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত।  এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলঘরিয়া ত্রিভাষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মজুমদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

শিক্ষিকা আতঙ্কের সুরে বলেন, কেন ডিম ফাটালে তার মধ্যে  থেকে রক্ত বেরোচ্ছে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে বাজারে যাঁর থেকে ডিম কিনে এনেছিলেন তাঁর কাছে যান। ডিম বিক্রেতাকে ঘটনাটি বললে,  সে এই কথা মানতে নারাজ।

এ বিষয়ে পশুচিকিৎসক মিহির কুমার বিশ্বাস বলেন, এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিম কমার্শিয়াল ও ডোমেস্টিক জাতীয় ফার্মের হয়ে থাকে। কমার্শিয়াল ফার্মের ডিম সচরাচর মার্কেটে বের হওয়ার কথা নয়। সেটা হয়তো কোনও কারণে মার্কেটে চলে এসেছে। এবং তার থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।  এ ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র কমার্শিয়াল ফার্মের ডিমের ক্ষেত্রে দেখা যায়।  এই ধরনের ডিম খেলে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু ডায়রিয়া ও পেটের রোগ দেখা দিতে পারে বলে জানান তিনি।

গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।

one year ago


Bribe: ছেলেকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ! ভিক্ষা করছেন অসহায় দম্পতি

সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যাকে ঘিরে তোলপাড় নেটমাধ্যম। নেটাগরিকরা ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে, ওই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার দেখা যাক, ঘটনাটি ঠিক কী।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের সমস্তিপুরের রাস্তায় এক বৃদ্ধ দম্পতি ভিক্ষা চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা জানান, সরকারি হাসপাতাল থেকে ছেলের মৃতদেহ ছাড়াতেই ভিক্ষা করছেন। কারণ, হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, ছেলের দেহ নিতে হলে  ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। নাহলে দেহ দেওয়া হবে না। এমনটাই অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। তাঁদের কাছে টাকা না থাকায় ভিক্ষা করছেন বলেই জানান।

ওই বৃদ্ধ জানান, কিছুদিন আগে তাঁর ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে একজনের ফোনে জানতে পারেন, সমস্তিপুরের সদর হাসপাতালে ছেলের মৃতদেহ পড়ে আছে। হাসপাতালের এক কর্মী জানিয়েছেন, ৫০ হাজার টাকা না দিলে ছেলের দেহ ফিরে পাওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, তাঁরা অত্যন্ত গরীব। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। সেখানে এত টাকা হাসপাতালে দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। উপায় না পেয়ে ভিক্ষা করার রাস্তা বেছে নেন।

হাসপাতালের বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। এবং প্রায়শই তাঁরা সময়মতো বেতন পান না। এর আগেও এরকম বহু পাওয়া গিয়েছে, যেখানে কর্মীরা রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দোষী, তাদের ছাড়া হবে না।

one year ago
Beggar: স্বপ্ন হল সত্যি! ভিক্ষার টাকা জমিয়ে স্ত্রীকে বাইক উপহার

সামনে বসবেন তিনি। আর তাঁর ঠিক পিঠঘেঁষে বসবেন স্ত্রী। দু'চাকার যানখানা সামনের দিকে এগিয়ে চলবে হু হু গতিতে। হাওয়ার চোটে এলো চুলগুলো উড়বে। একে অন্যের কানের কাছে আলতো স্বরে হয়তো বলবেন, ''এই পথ যদি না শেষ হয়। তবে কেমন হতো তুমি বলো তো...'' এমন স্বপ্ন ছিল বহুদিনের। স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের ভাব জমানোটা তো সব সময় হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রেও হয়েছিল তেমনটাই। স্বপ্নখানা স্বপ্নই থেকে গিয়েছে বহুদিন। একজন ভিক্ষুকের কাছে বাইক কেনাটা তো স্বপ্নের মতোই। যাঁকে প্রত্যেকটা দিন অন্যের সামনে হাত পেতে রোজকার খাবারটা জোগাড় করতে হয়, তাঁর বাইক কেনা স্বপ্নের মতো মনে হলেও, সেটাই বাস্তবে করে দেখালেন এই ব্যক্তি।

কোনও ধার-বাকিতে নয়। কড়কড়ে ৯০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে স্ত্রীর জন্য বাইক কিনলেন মধ্যপ্রদেশের এক ভিক্ষুক। প্রেম জাত-পাত, উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব এসব বিচার করে হয় না। সম্প্রতি এমনই এক প্রেমের গল্প উঠে এসেছে যেখানে এক ভিক্ষুক ভালোবেসে তাঁর স্ত্রীকে একখানা মোপেড কিনে দিয়েছেন।

ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার। সন্তোষ সাহু নামে এক ভিক্ষুক তাঁর স্ত্রী মুন্নি সাহুকে বাইক উপহার দিয়েছেন। সন্তোষ এবং তাঁর স্ত্রী আদতে ছিন্দওয়াড়া লার আমরওয়াড়ার বাসিন্দা। সন্তোষ বিশেষভাবে সক্ষম। তাই তিনি ভিক্ষা করার জন্য ট্রাইসাইকেলে ঘুরে বেড়ান এবং তার স্ত্রী মুন্নি তাঁকে সাহায্য করেন। সন্তোষ জানিয়েছেন, তিনি সাইকেলে বসে থাকতেন এবং তার স্ত্রী ঠেলে সেই সাইকেলটিকে নিয়ে যেতেন। বিশেষ করে যখন রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকে, তখন তাঁর স্ত্রী সাইকেল ঠেলতে পারেন না। স্ত্রীর কষ্টের কথা ভেবেই তিনি বাইকটি কিনেছেন।

দিনের পর দিন তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। ইতিমধ্যেই স্ত্রীর চিকিত্‍সার জন্যও বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। তখন সন্তোষ ঠিক করেন, স্ত্রীর জন্য একটি গাড়ি কিনবেন। দু'জনেই বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এবং মন্দিরে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করেন। সেখান থেকে যা রোজগার হত, তা থেকে ৪ বছর ধরে টাকা জমিয়ে এই বাইকটি কেনেন তাঁরা। এখন তাঁরা এই বাইকে চেপেই ভিক্ষা করতে বের হন।

one year ago