
চাকরি বরখাস্তের ক্ষেত্রে আদালতের (High Court) কোন তাড়াহুড়ো নেই। তবে কিছু বিনীদ্র রজনী কাটাতেই হবে আপনাদের। কারণ দুর্নীতিতে আপনাদের নাম জড়িয়েছে, নবম-দশম (Madhyamik Teacher) চাকরি বরখাস্তের মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Basu)। এদিকে, মামলাকারীদের সওয়াল, 'নিশ্চিত একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। তির আমাদের ছোঁড়া হচ্ছে। দুর্নীতির সুযোগ পেয়েছি ধরে নিলেও সামাজিক, মানসিক প্রভাব সরিয়ে ফেলা যায় না। দুর্নীতির নামে আমাদের যে তির ছোঁড়া হচ্ছে তাতে বিদ্ধ আমাদের পরিবারও।'
দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন এমন শিক্ষকের সঙ্গে যারা রয়েছে, তাঁরা এই সুবিধা না নিলেও তারাও এর মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে সময় লাগবে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে। কিন্তু তার মধ্যে আমার সন্তান স্কুলে যেতে পারবে না। দুর্নীতি দূর করতে আরেকটা অপরাধকে কোথাও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নও করেন মামলাকারীরা।
পাল্টা কোর্টের মন্তব্য, 'আমরা সেই সমাজে বসবাস করি না, যেখান থেকে এর মুক্তি মিলতে পারে। সিমপ্যাথী চাইবেন না। এখন রায় ঘোষণার দিকে সবাই তাকিয়ে। দেখা যাক তারপর কী হয়।' নবম-দশম মামলায় চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের একাংশ নতুন মামলা করেন। সেই মামলায় এই মন্তব্য বিশ্বজিৎ বসুর।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হাইকোর্টের। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, 'রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।'
আদালতের পর্যবেক্ষণ, '২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।' ইতিমধ্যে নবম-দশম শ্রেণিতে বিকৃত OMR শিটের জেরে চাকরি মামলার রায় দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের দিকে তাকিয়ে এখন কমিশন।
সিবিআই জেরার (CBI) সময় কুন্তল-তাপসের তর্ক জারি ছিল জেরা টেবিলে। মুখোমুখি জেরা পর্বেও বেশ কয়েকবার তর্ক জুড়েছেন হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই দাবি। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জেরা পর্বে দুই অভিযুক্তর মধ্যে তর্ক বাঁধে, এমনটাই খবর। জেরার সময় একে অপরের বক্তব্য বারেবারে খণ্ডনের চেষ্টা করেছিলেন তাপস-কুন্তল (Tapas-Kuntal) বলে সূত্রের দাবি।
এই দুজনের কলহের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জেরা বন্ধ রাখতে হয় সিবিআইকে।দু'পক্ষকে শান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তদন্তকারী অফিসাররা। এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, কুন্তল ঘোষ এদিন দাবি করেন তিনি কালীঘাটের কাকুকে চেনেন না। তিনি কাকু বলতে, একমাত্র তাঁর বাবার ভাইকেই চেনেন। যদিও কুন্তল 'মিথ্যা বলছে', 'ও সব জানে' বলে বৃহস্পতিবার পাল্টা দাবি করেন তাপস মণ্ডল।
পাশাপাশি এদিন কুন্তল আদালতে থেকে বেড়িয়ে জনৈক হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক 'রহস্যময়ী নারী'র প্রসঙ্গ টানেন। বিস্ফোরক কুন্তল বলেন, 'রহস্যময়ী নারী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় সব জানেন। তদন্তের ভিতরের কথা আর কিছু বলবো না।'
জানা গিয়েছে, তদন্তে চলাকালীন একটি সংস্থার নাম উঠে এসেছে। যেখানে গোপাল দলপতির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সেই অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টের খোঁজ নিতে গিয়ে এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে (CBI Court) পেশ করা হয়েছিল নিয়োগ-কাণ্ডে (Education Scam) ধৃত তিন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ,তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে। ৯ মার্চ পর্যন্ত এঁদের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এদিন শুনানিতে সকলেরই জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থার আপত্তি মেনে খারিজ হয় সেই আবেদন।
যদিও শুনানি চলাকালীন বিচারক সিবিআইকে সিডি দেখিয়ে জনৈক মিস্টার হোসেনের নামোল্লেখ করে প্রশ্ন করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'দু'জনের নাম উঠে এসেছে। সেখানে মিস্টার হোসেন নামে একজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। যিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। সিডিতে নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি কেনো?'
এই প্রশ্নের জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, উনি (পড়ুন জনৈক হোসেন) আমাদের প্রাইম উইটনেস। ও আমাদের বলছে, সেইমতো আমরা কাজ করছি।' এরপরেই বিচারক প্রশ্ন করেন, 'এই ব্যক্তির জবানবন্দি কোথায়?' সিবিআই আইনজীবী জানান, সেটা রেকর্ড করার কাজ চলছে।' বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন, 'যদি পরে রাজি না হয়?'
এদিকে, কুন্তল, নীলাদ্রি এবং তাপসের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায়,'এদের আইনজীবীরা স্বীকার করছেন যে ওরা এজেন্ট। এঁরা তদন্তে সহযোগিতা করেনি। মুখোমুখি জেরায় বেশ কিছু প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। যারা এঁদের সঙ্গে সংযুক্ত। এঁরা তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে। ষড়যন্ত্র এতটাই বড় যে, আমাদের তদন্তকারীর এতটা কম্পিটেন্ট যে কোনও প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করছে না। পনিরের কথা বলা হচ্ছে, ভ্যারাইটি অফ পনিরটাই খুঁজছে তদন্তকারীরা।'
এদিন কোর্টের বাইরে তাপস-কুন্তলের আইনজীবী জানান, 'বন্ধ দরজার ভিতরে সিবিআই কী করেছে আমরা জানি না। আমার দুই মক্কেলকে মাত্র এক ঘণ্টা জেরা করেছে। কিন্তু কোর্ট বারবার একটাই প্রশ্ন করছে, প্রভাবশালী সেই ব্যক্তিটা কোথায়?' পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের আইনজীবী জানান, 'সিবিআই এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। কুন্তল ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সিবিআইয়ের নোটিশের জবাবে আমরা তদন্তে সহযোগিতা করতে ছয় বার কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে গিয়েছি।'
জঙ্গি মুসার ছোড়া মগের অভিঘাতে পড়ে গিয়ে আঘাত পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। তাঁর মুখ, বুক এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। ঘটনার পর জেল হাসপাতালে (Jail Hospital) তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। শনিবারের এই ঘটনার পর বুধবার এসএসকেএম-র (SSKM) চিকিৎসকদের একটি দল গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে দেখে আসে। এখন স্থিতিশীল আছেন পার্থবাবু।
জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে বিকেলে লক আপে বন্দিদের ঢোকানোর সময় পার্থবাবুকে বারবার ঢুকতে অনুরোধ করেন সেন্ট্রি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ঢুকতে দেরি করছিলেন। সেই সময় একই জেলে বন্দি জঙ্গি মুসা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে মগ ছোড়েন। সেই অভিঘাতে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান পার্থবাবু। ঠোঁটে চোট পান। এই ঘটনার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাস্বরূপ মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতো জঙ্গি মুসা। জেল সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে গোপাল দলপতিকে। ফের বুধবার সিবিআইয়ের (CBI) তরফে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Education Scam) কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষের সঙ্গেই গোপাল দলপতির নাম উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, এদিন নিজাম প্যালেসে প্রয়োজনে তাপস-কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে গোপালকে। ইডির (ED) হাতে গ্রেফতারির পর গোপাল দলপতির নাম বলেছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। 'গোপালকে চিনি', প্রকাশ্যে বলেছিলেন নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির পর এবার সিবিআই নজরে গোপাল দলপতির স্ত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল- তাপস- নীলাদ্রি। তাঁদের একদিকে যেভাবে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে, অন্যদিকে বুধবার আবার ডেকে পাঠানো হয় গোপাল দলপতিকে। গোপালের থেকে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চায় তাঁর স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে ৬১ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। এই টাকা কোথায় থেকে এসেছে, কে পাঠিয়েছিল?
কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমান, চাকরি বিক্রির টাকাই ঢুকেছে গোপাল দলপতির স্ত্রী অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর গোপালের বয়ানে অসঙ্গতি পেয়েছে সিবিআই। তবে শেষ পাওয়া খবর, সকাল ১১টায় তাঁকে নিজামে হাজিরার কথা বললেও, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা (এই খবর লেখা পর্যন্ত) হলেও হাজিরা দেননি গোপাল দলপতি।
শিক্ষক নিয়োগ (Education Scam) দুর্নীতি মামলায় যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) ঘিরেও কড়া হতে চায় আদালত। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, 'অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন, কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে।' গত বছরের তুলনায়, এবছর কম সংখ্যক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik Exam 2023) নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
গত সপ্তাহে শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত অপর একটি মামলার শুনানিতে এই বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছিল, পড়ুয়া না থাকলে সেই স্কুলে শিক্ষক রেখে লাভ নেই। বরং যেসব স্কুলে পড়ুয়া নেই সেই সমস্ত স্কুল তুলে দিক। এই পরামর্শ শিক্ষা দফতরকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এদিকে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিয়োগ পাওয়া 'অযোগ্যদের' বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগভিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এবার শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একাধিক মামলাতেও কড়া আদালত। সোমবার এক মামলার শুনানিতে বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্যে দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা হয়েছে। আর এদিকে চার লাখ কম ছাত্র এবার মাধ্যমিকে বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে।'