
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় টানা পোড়েন। যার ফলে অকালে ঝরে গেল একটি জলজ্যান্ত প্রাণ। এই ঘটনায় ওই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম পিঙ্কি মাইতি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।
জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পিঙ্কি মাইতির সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয়েছিল সোনারপুরের যুবক ঈশান দাসের। তারপরেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তাঁরা। তিনমাস আগে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঈশানকে বিয়ে করেছিল পিঙ্কি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর শুরু হয় অত্যাচার। এরপর হঠাৎই পিঙ্কির দিদির কাছে ফোন আসে যে, তাঁর বোন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে পিঙ্কি। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে তাঁর।
এই ঘটনায় ঈশান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সোনারপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঈশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
খলিস্তানপন্থী শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার (India-Canada) সংঘাত চরমে। এবারে দুই দেশের তরফেই তাঁদের নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা (Advisory) জারি করা হল। মঙ্গলবার প্রথমে কানাডার তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কানাডার তরফে ভারতে থাকা কানাডিয়ান নাগরিকদের জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। আর এই নির্দেশিকার পরে ভারতের তরফেও সতর্কবার্তা জারি করে নয়াদিল্লি। ভারতীয়দের কানাডা যাওয়ার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ ভারত সরকারের।
মঙ্গলবার রাতে কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এই মুহূর্তে ভারতে থাকা নাগরিকদের উদ্দেশে কানাডা সরকারের পরামর্শ, খুব প্রয়োজন না হলে ভারত ছাড়ুন। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে বসবাস করা কানাডিয়ান নাগরিকদের চরম সতর্ক থাকতে হবে। বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নজরে রাখুন। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মানুন। কানাডিয়ান নাগরিকদের ভারত ভ্রমণ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা এই মুহূর্তে ভারতে আছেন, খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কানাডা সরকার।
এর পরই বুধবার দিল্লির তরফে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘কানাডায় এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হিংসা এবং অপরাধের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। যে সমস্ত ভারতীয় ওখানে রয়েছেন অথবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক এবং কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে নিশানা করা হয়েছে,যাঁরা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সমর্থক নন। তাই ভারতীয়দের এই মুহূর্তে কানাডা যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত’।
কয়েক ঘণ্টার জন্য গায়েব। তারপরই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। এক্কেবারে ফিল্মি প্লট পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন সরবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান (Panchayat Pradhan) কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়া। অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছিল প্রধানকে। এই নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাত ১২ টা নাগাদ নিজেই ফিরে আসেন অপহৃত প্রধান।
মুক্তি পেয়েই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন প্রধান। ছাড়তে চান পঞ্চায়েত সদস্য পদও। জয়লাভের পর হাসি হাসি মুখে ৫ বছরের উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সেই প্রধানেরই কী ভীমরতি হল? অপহরণকারীরাই কি তবে প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে?
এই নাটকের রহস্য ভেদ করতে হলে পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক মাস। ১২ আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেও প্রধান পদ নিয়ে ভাঙন ধরে সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, দল কমল জানা নামে এক সদস্যকে প্রধানের পদে বসাতে চাইলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার পাল্লা ভারী করে। দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই প্রধানের মুকুট ওঠে কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার মাথায়। কিন্তু অভিযোগ, দলের একাংশের দাপটে পদ পেয়েও পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি প্রধান। তাহলে কি দলের একাংশের হাতেই অপহৃত হয়েছিলেন তিনি? অভিযোগ ঘুরিয়ে প্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল।
এক অপহরণে ভোল বদল। রাস্তার কাঁটা সরাতেই কি প্রধানের কিডন্যাপিং? তাতে জড়িত দলেরই একাংশ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার শুনানির পর আদালতের নির্দেশ, পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারি করতে হবে। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। ওই রিপোর্ট ও ভিডিওগ্রাফি দেখিয়ে তাঁদের থেকে মতামত নিতে হবে। সিসিটিভি ডিভাইস ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পোস্টমর্টেম কপি দ্রুত পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে। ৬ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি।
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ঘটনার পরে গুরুতম জখম অবস্থায় ওই ছাত্রকে দীর্ঘক্ষণ কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ইনকোয়েস্ট বা সুরতহাল ঘটনার পরেই হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পরে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু কান থেকে রক্ত বেরোতে দেখা গেছে। এটা অবিশ্বাস্য। আইনজীবী নিয়ে মৃতের পরিবার কসবা থানায় গেলেও সিসিটিভি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কখন সে পড়ে গেছে, তার কোনও ছবি নেই। সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে। বাড়ির লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি। সিট গঠন করে তদন্তের দাবি।
বিচারপতি জানান, এমন একটা গুরুতর ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক গাফিলতি করবেন বলে মনে হয়? স্কুলের তরফে জানানো হয়, প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা নিয়ে ক্লাস টিচারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রের। সেই সময় শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করে সে। সিসিটিভি ফুটেজে সবটাই ধরা আছে। এরপর পাঁচতলার উপর থেকে সে ঝাঁপ দেয়। তখনই মুকুন্দপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিচারপতি বলেন, তার মানে খারাপ ব্যবহার করে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এটা বলতে চাইছেন? এরপরেই পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
পুজোর মুখে কয়লা পাচারকাণ্ডে সক্রিয় ইডি (ED)। কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার ইডির দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাকে। এর আগেও একাধিকবার লালাকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ফের ডেকে পাঠানো হল তাঁকে। বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে পাচারকাণ্ডের অন্যতম চক্রীকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। তারপর থেকে বেশ কয়েকবার তলব করা হয় অনুপ মাঝিকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুপ মাঝি। তার জেরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় লুকআউট নোটিসও। তার মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পান লালা। যদিও তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই ২০২১-এ তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন লালা। গত মে মাসেই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন বিকাশ মিশ্র। তাকে নিজেদের হেফাজতে পেয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। সেই সময় নিজামে হাজিরা দেন কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাও। বিকাশ ও লালাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
এই মুহূর্তে নেটিজেনরা তাকিয়ে রয়েছেন বলিউড এবং রাজনৈতিক জগতের বহু অপেক্ষিত বিয়ের জন্য। অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাঘব চাড্ডা (Raghav Chadha) বিয়ে করতে চলেছেন। আগামী ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর জাকঁজমক আয়োজনে সাত পাকে বাঁধা (Wedding) পড়বেন দুই তারকা। তার আগেই শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি। রাঘবের বাড়ি সেজে উঠেছিল আগেই। এবার অভিনেত্রীর মুম্বইয়ের বাড়ি ঢাকল রোশনাইতে।
পাত্র-পাত্রী ও তাঁদের পরিবার এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লিতে। সেখানে বিবাহপূর্ব নানা অনুষ্ঠান হবে। শিখ ধর্মমতে হবে অরদাস, কীর্তন। এই পাঠ চুকিয়েই তাঁরা পৌঁছে যাবেন রাজস্থানের উদয়পুর। সেখানে শুরু হবে আসল বিয়ের অনুষ্ঠান। দুটি প্রাসাদপম হোটেলে রাঘব- পরিণীতি বিয়ে সারবেন। দু'দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান থাকবে তালিকায়। ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর মেহেন্দি, সঙ্গীত, চূড়া হবে পরিণীতির। অন্যদিকে রাঘব 'সেহেরাবন্দি শেষে, জলপথে নিতে যাবেন তাঁর 'দুলহন'।
বাগদানের মতোই তাঁরা কাছের মানুষের উপস্থিতিতে বিয়ে সারতে চান। উদয়পুরে দুটি হোটেলে ২০০ জন অতিথির থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ৫০ জন ভিভিআইপি অতিথিদের জন্যও থাকার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। অভিনেত্রী তথা পরিণীতির তুতো দিদি, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আসার কথা। তবে তাঁর সঙ্গে নিক আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
২০২৪ অস্কারের (Oscar 2024) দামামা বেজে গেল। বছর ঘুরলেই ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অস্কারের অনুষ্ঠান। তার আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। কোন কোন সিনেমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অস্কারের মঞ্চে পাঠানো হবে সেই তালিকা তৈরী করার সময় এসেছে। ভারতীয় ফিল্ম ফেডারেশন বিবেচনা করে এই তালিকা তৈরি করবেন। সোমবার থেকেই চেন্নাইয়ে শুরু হয়েছে বেশ কিছু ছবির প্রদর্শন। এই প্রদর্শনী শেষেই ফেডারেশনের বিচারকেরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরী করবেন। তবে সেই তালিকায় কোন কোন ছবিগুলি রয়েছে বা থাকতে পারে, তার কিছুটা আভাস পাওয়া গিয়েছে।
২০২৪ অস্কারের তালিকায় থাকতে পারে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি, 'দ্যা কেরালা স্টোরি'। সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকটি জায়গায় সিনেমার প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তবে তা সত্বেও সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন কম হয়নি। সারা দেশে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ছবিটি।
এই তালিকায় উঠে আসছে 'ঘুমড়'-এর নাম। চলতি বছরে অগাস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক বচ্চন এবং সাইয়ামি খের। এই ছবিটি দেখতে তেমন হলমুখী হননি দর্শক। বক্স অফিস কালেকশনেও তেমন ম্যাজিক দেখাতে পারেনি। তবে সমালোচকেরা প্রশংসা করেছেন ছবিটির। অস্কারের তালিকায় নাকি থাকতে পারে এই ছবিটির নাম।
নন্দিতা দাস পরিচালিত এবং কপিল শর্মা অভিনীত 'জুইগ্যাটো' ছবিটিও থাকতে পারে এই তালিকায়। তবে শেষ পর্যন্ত অস্কারের মঞ্চে কোন ভারতীয় ছবিগুলি যাবে তা জানা যেতে পারে ২৩ সেপ্টেম্বর।
সদ্যোজাতের বদল ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের (Malda) চাঁচলের (Chanchal) একটি নার্সিংহোমে। পাশাপাশি দুটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের অদলবদলের অভিযোগকে ঘিরে বিপাকে পড়েন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার এক নার্সিং স্টাফকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস আদালতে পেশ করে।
পুলিস ও নবজাতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দঃ শালদহ ও ইলাম গ্রামের ২ প্রসূতি একই সঙ্গে নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই জানবী পারভীন ও চুমকি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দুই পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে এক সেবিকা তাঁদের সদ্যোজাতের মধ্যে অদলবদলের চেষ্টা করেন। সেই সময় সদ্যজাতের মায়েরা দেখে ফেলেন এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা নার্সিংহোমে ছুটে আসলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়।
খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতেই ওই অভিযুক্ত সেবিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সদ্যোজাত শিশু বদলানোর চক্র আগে থেকেই কি ওই নার্সিংহোমে সক্রিয় রয়েছে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতরেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই প্রসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চাঁচলের এই নার্সিংহোম চলতি মাসের ৯ তারিখেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়েছিল নার্সিংহোম চত্বরে। ভাঙচুর হয়েছিল নার্সিংহোম। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সদ্যোজাতের অদল বদলের অভিযোগ।
সৌমেন সুর: জেল থেকে মুক্তির পর কল্পনা দত্ত রবীন্দ্রনাথ ও দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। উত্তরের রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'তোমার চিঠি পেয়ে আমি খুশি হয়েছি। দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর তুমি মুক্ত হয়েছ। তুমি এখন দিনে দিনে শান্তি ও শক্তি লাভ করো। আমাদের দেশে অনেক কাজ করার আছে। তার জন্য দৃঢ়তা ও সুনিয়ন্ত্রিত মন থাকা চাই। দুঃখ ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতাই তোমার জীবন পূর্ণতা লাভ করুক। এই আমার আশীর্বাদ তোমার শুভার্থী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।' জেলে থাকাকালীন তিনি সংকল্প করেন দেশের জন্য মাস্টারদা তারকেশ্বর দস্তিদার এবং বহু কর্মী প্রাণ দিয়েছেন, তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন করবেন তিনি।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তার ওপর পুলিশের নির্দেশ জারি হল, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে কলকাতা ছাড়তে হবে। তিনি চট্টগ্রাম ফিরে যেতে বাধ্য হন। চট্টগ্রামে তখন জাপানি বোমা পড়ছে। বার্মা থেকে দলে দলে কেউ হেঁটে, কেউ নৌকায় চেপে ভারতের চলে আসছে। অন্য জেলার লোকও চলে আসছে। এদিকে জীবনযাত্রার মানও গেছে পাল্টে। চট্টগ্রামে যুদ্ধের জন্য ব্রিটিশ-আমেরিকান, আফ্রিকান ও ভারতীয় সৈন্য ছেয়ে গেছে। দিনকে দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। মিলিটারি রাস্তা বাধার জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে। এদিকে খাদ্যের সন্ধানে দলে দলে মানুষ শহরের পথে ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। কত মানুষ না খেতে পেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে আছে। দুটো ভাত দাও ফ্যান দাও-এর কান্না ভেজা গলা। বিচলিত মানুষ। এই সবকিছু সাক্ষী কল্পনা দত্ত। পুরোপুরি সেবায় নিয়োজিত করলেন নিজেকে। খাওয়া, চিকিৎসা এমনকি নৈশ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা সমস্ত কাজ করতে লাগলেন।
এরপর দেশভাগের পর ভারতে চলে আসতে বাধ্য হলেও এবং চাকরি গ্রহণ ছাড়া বাঁচার পথ না থাকলেও, তিনি শিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রুশ ভাষা শিক্ষায়তনের দায়িত্বে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী কল্পনা দত্ত পড়াশোনা করতেন বিস্তর। দেশ বিদেশের প্রচুর নামিদামি লেখক এর বই পড়তেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে 'বীরকন্যা' রূপেই চিহ্নিত হয়ে আছেন কল্পনা দত্ত। তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত
শনিবার তিনি সত্যির উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনিই ঝড়। তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লম্বা পোস্ট করলেন বসিরহাটের সাংসদ।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু গত মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে ছ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রবিবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওরা ফিসফিস করে বলেছিল, ঝড় এলে তুমি উড়ে যাবে। কিন্তু ওদের কাছে পালটা উত্তর গেল, আমিই ঝড়…।'
এদিকে ইডির একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, যে কোম্পানির হয়ে বাজার থেকে নুসরতের নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই কোম্পানির অডিট রিপোর্টে ডিরেক্টর হিসাবে সই আছে বসিরহাটের সাংসদের। এর আগে, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
গত ১৪ জুলাই, আদালতের নির্দেশ ছিল তিন দিনের মধ্যে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা জমা দিতে হবে। এরপর দুমাস কেটে গিয়েছে। এখনও সেই নমুনা জমা দেওয়া অনেক দূর। সংগ্রহ করাই হয়নি।
ইডি সূত্রে অভিযোগ, আদালত ওই নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে জেল হেফাজতে থাকলেও কার্যত টানা ২-৩ দিনও জেলে থাকেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্ত্রী মারা যাওয়ায় ১৭ দিন প্যারোলে মুক্ত ছিলেন। এরপর অসুস্থ ছিলেন তিনি। সেই কারণেই নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
ইডি সূত্রে দাবি গত ৩০ মে গ্রেফতারির পর তাঁর দুটি মোবাইল থেকে একাধিক ভয়েস কল রেকর্ড পাওয়া যায়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সেই ভয়েস কল গুরুত্বপূর্ণ বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবীরা। গত ৭ জুলাই, তাঁর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের আবেদন করে ইডি। আদালতের নির্দেশের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু। এরপর স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৭ দিনের প্যারোল পান তিনি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জেলে ফিরলেও ফের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন, এরপরেই শুরু হয়ে যাবে বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) এবং আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadha) বিয়ে। রাজস্থানের দুই প্রাসাদপম হোটেলে ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর বিবাহবাসর বসবে। দুই পরিবার মিলিয়ে ২০০ জন অতিথি এবং ৫০ জন ভিভিআইপি অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনিই জাঁকজমক আয়োজন করা হয়েছে বিয়েতে। বিশেষ দিনকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলতে দু'দিনব্যাপী নানা আয়োজন রাখা হয়েছে। তবে বিয়ের শুরু নাকি হবে ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে।
এই ক্রিকেট ম্যাচের একদিকে থাকবেন 'চোপড়াস' (পরিণীতি এবং তাঁর টিম), অন্যদিকে থাকবে 'চড্ডাস' (রাঘব চাড্ডা এবং টিম)। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা দিল্লিতে। রাঘব এবং পরিণীতি দু'জনেই পাঞ্জাবি। ফলে শিখ ধর্মমতে, অরদাস এবং শবদ কীর্তন দিয়ে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। এই মুহূর্তে পাত্র ও পাত্রীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সকলেই দিল্লিতে রয়েছেন।
২৩ সেপ্টেম্বরের আগে সকলে পৌঁছে যাবেন উদয়পুর। সেখানে তাজ হোটেল এবং লীলা প্যালেস হোটেলে বিয়ের সব অনুষ্ঠান হবে। ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে শুরু, এরপর হলদি,চূড়া, রাঘবের সেহেরাবন্দি অনুষ্ঠান হবে। সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় বরযাত্রীর শোভাযাত্রা। প্যালেস লাগোয়া লেকে জাহাজে করে রাঘব যাবেন পরিনীতিকে আনতে। বিয়ে শেষে ২৪ তারিখ হবে রিসেপশন। বিয়ের ছবি দেখতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন নেটিজেনরা।
জ্বরে আক্রান্ত যুবতীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক (Doctor) তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) প্রাক্তন সভাপতির (Former President) বিরুদ্ধে। বনগাঁর (Bangaon) গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই খবরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বছর ২৪-এর ওই যুবতী থানার দারস্থ হন এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার৷
যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ওই যুবতী ও পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। ওই যুবতী কলেজ পাস করে বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি টিউশনি করেন৷ একদিন সন্ধ্যায় টিউশনি করে ফেরার পথে তাঁর জ্বর বেশি থাকায় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন৷ সে সময় চেম্বারে কেউ ছিলনা৷ অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎই অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে ওই যুবতী কোনওভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির লোকের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করেন গ্রামের বাসিন্দারা৷ পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও যুবতীর পরিবারের লোকেরা স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে গিয়ে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি 'অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ অর্থের জোরে, ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছেন৷ এবার তাঁর শাস্তি চাই।'
সত্যিকে কখনও বিকৃত করা যায় না। কারণ তা শাশ্বত। তাই তার উপর রঙের প্রলেপ দিলেও, তা কখনও বদলে ফেলা যাবে না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই উপলব্ধি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানের।
গত মঙ্গলবার ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। টানা জেরার পর বাইরে এসে দাবি করেছিলেন, সব প্রশ্নের তিনি উত্তর দিয়েছেন।
সম্প্রতি নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। ইডির কাছেই সরাসরি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছিল নুসরতকে। নিজের সোশাল মিডিয়ার হ্যান্ডেলে নুসরত আরও লিখেছেন, যাঁরা আসল সত্যি বুঝতে পারেন না, তাঁরা একদিন ধ্বংস হয়ে যান।
উল্লেখ্য ওই দিন সিজিও থেকে বেরিয়েই সোজা মন্দিরে গিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার যা যা বলার সবই বলেছি। যা যা দেওয়ার ছিল, দিয়ে এসেছি। এর পরও যদি ওঁদের মনে হয়, যদি আমাকে ডেকে পাঠান, আমি আবার যাব। সহযোগিতা করব।’’
পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে অস্বীকার করে সমুদ্র স্নানে নেমে তলিয়ে গেল পাঁচ যুবক। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে। পাঁচ যুবকের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকে উদ্ধার করেছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দুই যুবক এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ওই পাঁচ পর্যটক কলকাতা থেকে মন্দারমণি ঘুরতে এসেছিলেন।
সমুদ্রের পরিস্থিতি উত্তাল থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছিল। কিন্তু দুপুরের দিতে নজরদারি কমতেই ওই যুবকরা স্নান করতে সমুদ্রে নামেন বলে অভিযোগ। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপান করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় স্নান করতে নেমে উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তিন জনের মধ্যে ২ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত যুবকের নাম নাভেদ আখতার (৩০)। এই যুবকদের সকলেরই বাড়ি কলকাতার ধর্মতলার আশপাশের এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে মন্দারমণিতে এসেছিলেন এই যুবকরা। শুক্রবার ঘটেছে বিপত্তি। তবে এই যুবকদের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। নিখোঁজ দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।